চন্দনের উপকারিতা ও চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার ৮টি উপায় জানুন

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। অনেক আদিকাল থেকে প্রাচীন মানুষ ব্যবহার করে। তাই আপনি যদি চন্দন দিয়ে রূপচর্চা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে জেনে নিন।

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

চন্দন দিয়ে রূপ এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম। লাল চন্দন মুখে দিলে কি হয় জানতে হবে, কোন চন্দন ভালো কাজ করে ত্বকের জন্য সাদা নাকি লাল তা জানতে হবে তাই বিস্তারিত তথ্যগুলো এখান থেকে দেখে নিন যা আপনার উপকারে আসবে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে যা জানবেন

ভূমিকা

চন্দন বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। এটি একটি সাধারণত গাছ তবে এই গাছের অনেক চাহিদা এবং ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। চন্দন সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি শ্বেত চন্দন ও অপরটি লাল চন্দন। শ্বেত চন্দনের বৈজ্ঞানিক নাম santalum album যা সালতা লাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ। সাধারণত আমরা এই উদ্ভিদ সম্পর্কে অনেকেই জানি না।

তবে এই উদ্ভিদের অনেক প্রজাতি রয়েছে এবং এই প্রজাতির উদ্ভিদের উচ্চতা সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত হয় এবং প্রস্থ ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত হয়। এই চন্দন গাছ সাধারণত ১০০ বছরের উপর বেঁচে থাকতে পারে। তবে এই গাছ দিয়ে বিভিন্ন প্রসাধনী ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

এছাড়া বাসের রঞ্জনা একটি ভেষজ উদ্ভিদ বা রক্তচন্দন। এটি রক্ত চন্দ্র বা লাল চন্দন নামেও পরিচিত। সাধারণত এই গাছের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। আপনি চাইলে এই চন্দনের ব্যবহারে বাতের ব্যথা ইনফেকশন ও বিভিন্ন পরিলক্ষিত সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এই গাছ এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। সাধারণত এই চন্দন এর ইংরেজি নাম হল স্যানডাল উড।

এই গাছের লাল রঙের ছোট ছোট ফুল হয় এবং শেষে এই ফুল ও ফলের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা জন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ভারত-শ্রীলঙ্কা ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়াতে এটি বিশেষভাবে চাষ করা হয়। তবে ভারতের মহীশূর চন্দনের জন্য বিখ্যাত। আবার কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে প্রচুর পরিমাণ জন্ম এছাড়া উত্তর প্রদেশ রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ চন্দন দেখা যায়।

আমার বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে দুই একটি গাছ দেখা যায় তবে সাম্প্রতিক চট্টগ্রামের ষোল শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের বন গবেষক ইনস্টিটিউটে ১০ বছরে প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ১০০ টির অধিক চন্দন গাছের বাগান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি পরিপূর্ণ পর্যায়ে নিয়ে যেতে ৫০ থেকে তারও বেশি সময় লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন।

এছাড়া এই গাছের শিকড় আংশিক পরজীবী আশ্রয়ী গাছ দ্য হোস্ট প্লান্ট ছাড়া এটি বড় হতে সময় নেয়। শ্বেতচন্দ্রের আশ্রয় গাছ হিসেবে কালো কড়াই নিম সেগুন ইত্যাদি উপযুক্ত মনে করে। প্রাচীন ভারতে এই শ্বেত চন্দনকে পূর্ণ অর্জুনের উপকরণ হিসেবে সম্মান করা হতো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো। বিভিন্ন উচ্চতর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ব্রণ দূর করে ও বলিরেখা নির্মল করে। 

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত 

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে যারা সঠিক তথ্য জানেন না এবং বিভিন্ন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে আছেন যে চন্দন কিভাবে ব্যবহার করলে ফর্সা হওয়া যায় এবং এর কি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা চন্দনের কি অপকারিতা রয়েছে। তার সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব প্রথমে জেনে নেব যে চন্দন দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় এবং এর উপায় গুলো কি কি?

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহঃ

  • প্রথম উপায়ঃ চন্দন কাঠ গলা জল দিয়ে বেটে নিন এবং ভালো মানের চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। যে প্যাকটি তৈরি করার পর মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন যা আপনার ত্বকের তেলাপ্ত ভাব এবং উজ্জ্বলত বৃদ্ধি করে।
  • দ্বিতীয় উপায়ে চন্দন এবং হলুদঃ খুব সহজে আপনি কম টাকা দিয়ে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য চন্দন এবং হলুদ গুঁড়া একসাথে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন এরপর শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন। 
  • দ্বিতীয় উপায় চন্দন ও নিম পাতাঃ এর জন্য আপনাকে নিম পাউডার এর সঙ্গে চন্দনের পাউডার একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে খুব সাবধানতার সাথে মুখে ব্যবহার করে রেখে দিন এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন যা বর্ণের সমস্যা থাকলে দূর করবে এবং এই ব্যাগটি অত্যন্ত জাদুকরী হিসেবে কাজ করে। 
  • তৃতীয় নিয়ম চন্দন ও গোলাপ জলঃ ত্বকের আদ্রতা রক্ষা করার জন্য এই রেসিপিটি ব্যবহার করুন আপনাকে প্রথমে চন্দন পাউডার নিতে হবে এবং তাকে জলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে সরাসরি মুখে ব্যবহার করুন এবং শুকানোর বদ্ধ ধুয়ে পেলুন। 
  • চতুর্থ নিয়ম চন্দন এবং বেসনঃ যাদের মুখের চামড়া উঠছে তারা বেসনের সঙ্গে চন্দন পাউডার মিশিয়ে হালকা জল অথবা দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো প্যাক তৈরি করে মুখে মাখুন এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন যা আপনার ত্বকের পুনর্গঠন এবং উজ্জ্বলত পুনর্জীবিত করবে এবং শুধুমাত্র ড্রাই স্কিনের জন্য দুধ ব্যবহার করুন এছাড়া পানি ব্যবহার করুন। 
  • পঞ্চম নিয়ম চন্দন ও অ্যালোভেরাঃ এক চা চামচ চন্দন পাউডারের সঙ্গে এক চামচ জেল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখন যা মুখের দাগ এবং খোলা ভাব কমাবে। 
  • ষষ্ঠ নিয়ম চন্দন নারকেলের তেল এবং অমান্ডো তেলঃ এর জন্য এক চা চামচ চন্দন গুড়া এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ নারকেলের তেল এক চা চামচ এর চার ভাগের এক ভাগ আমন্ড অয়েল সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়ার পথ ধুয়ে ফেলুন যা শুষ্কতা দূর করবে এবং ত্বকে মশ্চারাইজার ফিরিয়ে আনবে।
  • সপ্তম নিয়ম হচ্ছে চন্দন ও টমেটো রসঃ মুলতানি মাটি: আধা চামচন্দন গুড়া আধা চামচ টমেটো রস আদা চামচ মুলতানি মাটি সামান্য গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে সেই প্যাক মুখে ব্যবহার করুন এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখের ভিতর বাইরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করবে এবং তেল তেলে ভাব দূর করবে। 

অষ্টম নিয়ম চন্দন ও কমলার ছালঃ এর জন্য ১ চা চামচ চন্দন গুড়া ১ চা চামচ কমলা ছাল এর পেস্ট এবং সামান্য গোলাপ জলের একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে ২০ মিনিটে মেখে রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন শুকিয়ে যাওয়ার পর এই কাজটি করার মাধ্যমে আপনি স্ক্রিনে এক্সট্রা উজ্জ্বলতা এবং আকর্ষণীয়তা অর্জন করবেন। সুতরাং এই উল্লেখিত নিয়ম গুলো যদি আপনার ভালো লাগে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত 

চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম কানুন জানা উচিত কারণ চন্দন সাবান ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় মানুষ খুব সহজেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্য চন্দন সাবান ব্যবহার করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি চন্দন সাবান সাবান ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন উপকারিতা পেতে চান যেমন ত্বকের প্রতি রেখা দূর এবং কালো দাগের মতো বিভিন্ন সমস্যা। 

  • তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করতে পারবেন এই পোস্টের উল্লেখিত নিয়মে। 
  • তাছাড়া আপনি চন্দন সাবান খুব সহজে গোসলের সময় ব্যবহার করতে পারবেন। 
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ পরিষ্কার করার সময় এটা সকালে আপনাকে ফ্রেশনেস প্রদান করবে। 
  • কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় সাধারণ ফেসওয়াশের পরিবর্তে চন্দন সাবান দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। 
  • তাছাড়া আপনি চন্দন সামান নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারন এটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন।
  • যাদের ত্বকের প্রদাহ জনিত সমস্যা রয়েছে তারা সীমি তাড়াতাড়ি ব্যবহার করতে পারেন এবং এর যে উপকারিতা গুলো রয়েছে তাও ব্যবহার করতে পারেন। 

আশা করি চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন তাই এই নিয়ম ও সতর্কতা সহ ব্যবহার করলে আপনি অবশ্যই সহজেই সাফল্য আবর্তন করতে পারবেন। বিভিন্ন ডাক্তারি পরামর্শে তারা বলে থাকেন যে যাদের ত্বকের বিভিন্ন প্রদহ বা নানান ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী চন্দন সাবান ব্যবহার করতে পারে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তেমন নেই বললেই চলে তবে এর বিশেষ উপকারিতা রয়েছে যা এই পোস্টটি আলোচনা করেছি। 

চন্দন মুখে দিলে কি হয় জানুন 

চন্দন মুখে দিলে কি হয় এটা অনেকেই জানতে চাই তাদের জন্য সহজেই তথ্যটা উপস্থাপন করলাম একজন মানুষ মুখে চন্দন ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন উপকার পেতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে সুবিধা নিজে উপস্থাপন করলাম একজন মানুষ প্রতিনিয়তন সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে বিশেষ বিশেষে উপকারিতা পাবে বিশেষ করে ত্বকের ক্ষেত্রে। 

  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি। 
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি। 
  • ত্বকের শুষ্কতা রক্ষা। 
  • ত্বকের কালো দাগ ব্রণ মেছতা দূর করে। 
  • তাছাড়া ত্বকের পার্থক বা বয়সের ছাপ কমায়।

এছাড়া আপনার ত্বকের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের প্রভাব রয়েছে সেগুলো থেকে রক্ষা করতে পারে তাই আপনি প্রতিনিয়ত মুখে চন্দন মাখার মাধ্যমে এই উপকারিতা গুলো পাবেন সুতরাং আপনি যদি চন্দন সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার টিপস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি কি হতে পারে মুখে চন্দন দিলে।

চন্দন সাবানের দাম জানুন 

চন্দন সাবান এর দাম কি হতে পারে এটা অনেকেই জানতে চাই তাই চন্দন সাবানের দাম উল্লেখ করলাম চন্দন সাবান সাধারণত ২৫০ টাকা হতে বাংলাদেশি মূল্যে পাওয়া যায়। এর চাহিদা এবং পরিমাণ অনুযায়ী অনেক সময় দাম পরিবর্তন হতে পারে। চন্দন সাবান একটি জনপ্রিয় সাবান এটি বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ত্বকের মসৃণতা রক্ষা এবং মশ্চারাইজিং এর জন্য ভালো ব্যবহার করা হয় এবং এটি ১০০% প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। সুতরাং এটি সম্পূর্ণ চন্দন এবং মধুর মিশ্রণ দিয়ে তৈরি তাই চন্দন সাবান স্বাস্থ্য উপকারী এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব কম রয়েছে তাই আপনি এটি নিঃসন্দেহে বিভিন্ন ত্বকের উপকারিতা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

চন্দন সাবান এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন 

চন্দন সাবান এর উপকারিতা অনেক চন্দন সাবান ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষ পূরণের দাগ ভালো করতে পারে ঘাড় গলা এবং কালো দাগ গুলো থাকে যা মানুষের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে সেই মুখের কালো দাগ দূর করতে পারে এবং যাদের ব্রণ হওয়ার ফলে কালো দাগ হয়েছে তারা চন্দন সাবানের উপকারিতা পাওয়ার জন্য হলেও ব্যবহার করতে পারেন। 

আমাদের এই চন্দন সাবানটা একটি জনপ্রিয় সাবান যা মানুষের ত্বক জড়িত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বকের মসৃণতা প্রদান করে এবং এই উপাদানটি এতটাই কার্যকারী যে মানুষ এখনো প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করে এই প্রযুক্তির যুগে এসেও। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে এটি পাওয়া যায় বলে এর ব্যবহার বেশি কারণ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাত্রা খুব কম। 

চন্দন মাটি মুখে দিলে কি হয় জেনে নিন 

চন্দন মাটি মুখে দিলে কি হয় এবং চন্দন মাটি ব্যবহারের নিয়ম জানা উচিত কারণ চন্দন মাটি মুখে দেয়ার ফলে মানুষের ত্বকের যে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যাগুলো থেকে বাঁচা যায়। আপনি যদি আপনার ত্বকের পোড়া দাগ এবং বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারেন তাহলে চন্দন মাটি মুখে ব্যবহার করতে পারেন। একজন মানুষের সুস্থতা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই চন্দন মাটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

চন্দন মাটি মুখে দিলে কি হয়

চন্দন মাটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে রাতে শোবার আগে অথবা গোসল করার পূর্বে ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়াও আপনি বিভিন্ন ফেস ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এটি মুখে লাগিয়ে আপনি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার মুখের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং আরো নানান উপকারিতা পাবেন যা এই পোস্টে উল্লেখ করেছি। 

চন্দন মাটির উপকারিতা অপরিসীম 

চন্দন মাটির উপকারিতা ত্বকের জন্য অপরিসীম কারণ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া সহ নানান সমস্যা দূর করার জন্য চন্দন মাটি ব্যবহৃত হয়। চন্দন মাটির মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরের শীতলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের দূষিত টক্সিন এবং ত্বকের মধ্যে জমে থাকা মৃত কোষ গুলোকে দূর করে এবং ত্বকের পুনর্গঠন করতে ভূমিকা রাখে।

তাই আপনি যদি চন্দন মাটির উপকারিতা পেতে চান তাহলে চন্দন মাটি ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার মুখের বা ত্বকের যদি কোন ধরনের সমস্যা থাকে সেগুলো নিমিষে ভালো করতে পারবেন শুধু চন্দন মাটি ব্যবহার করে। এছাড়াও অনেক প্যাক তৈরির উপায় রয়েছে যা আরো পরম সেকশন গুলো অথবা এ পোস্টের ভিতরে দেখে নিতে পারেন। 

চন্দন কাঠের উপকারিতা জানুন 

চন্দন কাঠের উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় আছে যারা জানি তারা তো জানি আর যারা জানিনা তাদের জন্য কিছু উপকারিতা উপস্থাপন করলাম চন্দন কার্ড প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের পরিচয় তার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যারা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে যারা তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে চন্দন কাঠ। 

এর মধ্যে অনেকেই রয়েছে বিশেষ করে হিন্দু বিশ্বাসীরা তারা চিতায় চন্দন কাঠ ব্যবহার করে। তাছাড়া চন্দন কাঠ ব্যবহার করার ফলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় মুখের ব্রণ কালো দাগ রোদ ভাব সহজে দূর করা যায় যা আপনার আমার সকলের জন্য উপকার করার জন্য উপযুক্ত। জাতের ব্রণের সমস্যা অতিরিক্ত এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব তারাও ব্যবহার করতে পারেন। 

যা তৈলাক্ততা দূর করে এবং ত্বক মসৃণ এবং তুলতুলে নরম করে রাখতে সাহায্য করে। আপনি বিভিন্ন উপায়ে এই চন্দন কাঠ মুখে বা ত্বকে ব্যবহার করে উপকারিতা পেতে পারেন যার জন্য আপনাকে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে সেই উপায়গুলো এই পোস্টগুলোর ভিতরে উল্লেখ করেছি দেখে নিতে পারেন। 

চন্দন কাঠের ব্যবহার ও চন্দন কাঠের দাম 

চন্দন কাঠের ব্যবহার ও চন্দন কাঠের দাম জানা উচিত কারণ বর্তমান যুগেই নয় প্রাচীনকাল থেকে চন্দন কাঠ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেদিক থেকে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা ব্রণ কালো দাগ এবং আরো প্রদাহ জড়িত সমস্যা দূর করতে পারে চন্দন কাঠ। শুধু সুস্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রেই নয় এটি ব্যবহৃত হয় মানুষের আসবাসপত্র তৈরির করার ক্ষেত্রে ও লাগে।

চন্দন কাঠের ব্যবহার ও চন্দন কাঠের দাম

অনেক ধনী মানুষ রয়েছে যারা চন্দন কাঠের বিভিন্ন আশবাস পত্র তৈরি করে ব্যবহার করত। তবে এই কাঠের প্রচুর পরিমাণে মূল্য যা বাজারে সোনার দামে কিনতে হয়। এর কারণ এই কাঠ তৈরি হতে অনেক সময় লাগে তবে তবে এর ব্যবহার অত্যন্ত বেশি হওয়ায় উৎপাদনে চাইতে বেশি গ্রাহকের আগ্রহ থাকায় এটি প্রচুর পরিমাণে দামি একটি পণ্য তাই সকলেই এই কার্ড কিনে ব্যবহার করতে পারে না। 

চন্দন চাষের একটি গাছ প্রায় ১০-১৫ থেকে ২০ কেজি কাঠ পাওয়া যায় যা বাজারে তিন থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে। এই চন্দন কাঠ কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি ৩ থেকে ৯০০০ টাকা আরো বেশি হতে পারে এবং অনেক সময় শেয়ার বাজার বা বিভিন্ন বাজার অনুযায়ী এর কম বেশি দাম হয়। এর কম বেশি দামের কারণে মানুষ আরো বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।

চন্দন কাঠ কোথায় পাওয়া যায় জানুন

চন্দন কাঠ কোথায় পাওয়া যায় এটা অনেকে জানে না তাই তাদের জন্য সহজেই কিছু জায়গার নাম উপস্থাপন করবো যাতে সহজেই বুঝতে পারে যে চন্দন গান কোথায় পাওয়া যায়। যদিও অনেক মানুষ জানি তবুও কিছু তথ্য উপস্থাপন করলাম। সাদা ছোট চন্দন কাঠগলো মাঝারি আকারের হয়ে থাকে সেগুলো চির বিভক্ত এটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ভারতে এবং দক্ষিণ এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে সুগন্ধি গাছ হিসেবে এই শ্বেত চন্দন গাছ পাওয়া যায়।

ভারতের কিছু উপদেশ রয়েছে যে উপদেশ গুলোতে প্রচুর পরিমাণে লাল এবং সাদা চন্দন পাওয়া যায় যেমন তামিলনাড়ু এর মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে বিভিন্ন দেশেই এটার উৎপাদন করা হয় তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় সাদা চন্দন কাঠ কিনতে পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। বিভিন্ন কসমেটিক তৈরি করার জন্য চন্দন কাঠের ব্যবহৃত। পোকামাকড়ের কামড় এবং ক্ষত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় চন্দন কাঠের ঘোড়া এবং চন্দন কাঠ। 

1 কেজি চন্দন কাঠের দাম কত জানুন 

1 কেজি চন্দন কাঠের দাম অনেক যা আমাদের সাধ্যের বাইরে বিশেষ করে যারা সাধারণ মানুষ তারা 1 কেজী চন্দন কাঠ কিনতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে কারণ 1 কেজি কাঠের দাম প্রায় 8 থেকে 7 লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ের দাম কম বেশি হতে পারে সুতরাং আপনি সবথেকে 8 লাখ টাকা দিয়ে চন্দন কাঠের 1 কেজি কিনলে এর উপকারিতা পাবেন ঠিকই কিন্তু এটা আপনার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে তাই আপনি চন্দন কাঠের বিভিন্ন প্যাক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন বাজার থেকে কিনে। 

1 কেজী চন্দন কাঠ দিয়ে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করা যাবে তবে বিশেষ করে হারবাল চিকিৎসায় বা কসমেটিক তৈরি করার জন্য কিছু কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় চন্দন কাঠ যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সুতরাং আপনি যদি চন্দন কাঠের উপকারিতা পেতে চান তাহলে বিভিন্নভাবে পেতে পারেন।

চন্দন নিয়ে জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্নঃ মুখে ত্বকের জন্য চন্দনের কি কি উপকারিতা রয়েছে? 

উত্তরঃ মুখের তেল ভাব কমাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে, পাশাপাশি দাগ স্পট কমাতে ও রোদ পোড়া দাগ মেছতা বলি রেখা ও ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন এই চন্দন। 

প্রশ্নঃ প্রতিদিন চন্দন মুখে দিলে কি হয়? 

উত্তরঃ প্রতিদিন চন্দন মুখে দিলে মুখের তেলাক্ত ভাব দূর হবে, ব্রণ দূর হবে এবং মুখের তেলতেলে ভাব দূর হবে, টানটান করবে এবং কাঠফাটা রোদে পুড়লে তা কমে যাবে দাগ যোগ কমবে ইত্যাদি সমস্যা এক কথায় ত্বকের যত সমস্যা সব সমাধান করার জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। 

প্রশ্নঃ আসল চন্দন গুড়া চেনার উপায় কি? 

উত্তরঃ আসল চন্দন গুড়া চেনার জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে তবে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গন্ধ, স্বাদ, টেক্সটাইল এবং গুড়ার গঠন দেখে আপনাকে বুঝতে হবে। খাঁটি চন্দনের মিষ্টি সুগন্ধ থাকে এবং কিছুক্ষণ পর হালকা হয়ে যায়। আবার এই আসল চিন্তা হাতে নিলে খুব মসৃণ মনে হয় ঘোড়াটি জমাট বাঁধে না। 

প্রশ্নঃ একটা চন্দন গাছের দাম কত? 

উত্তরঃ সাধারণত একটি চন্দন গাছের দাম অতুলনীয় এটি লাল চন্দন গাছ রোপন করে এটা বড় হতে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ বছর সময় লাগে। তবে এই গাছ পরিপূর্ণতা পেলে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি দাম পাওয়া যায়। লাল চন্দন এর দাম ১ টন কাঠের দাম প্রায় ৩০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক হতে ১৫ থেকে ২০ বছরের মত সময় লাগে।

প্রশ্নঃ চন্দন কিভাবে মুখে লাগাতে হয়? 

উত্তরঃ চন্দন মুখে লাগানোর জন্য আপনি বাজার থেকে জন্য সংগ্রহ করতে পারেন। এই যন্ত্রণাকে চাইলে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আবার আপনি এই চন্দনের ঘোড়া গোলাপ জল এবং দুধে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট দখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অতিরিক্ত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এর সাথে 

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে শেষ মন্তব্য 

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিশেষ তথ্য উপস্থাপন করেছি যা ব্যবহার করে আপনি আপনার সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি এবং উজ্জ্বলত সহকারে ফর্সা করতে পারবেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি এই পোস্টের তথ্যগুলো পড়ে উপকারিতা পান তাহলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় নিকটস্থ তম প্রিয়জনদের কাছে জানাতে পারেন। 

যেন চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার মাধ্যমে আপনি এবং আপনার স্বজনরা আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হতে পারে কারণ চন্দন কাঠের যে এন্টি ইম্প্লেমেন্ট বৈশষ্ট্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং সুরক্ষা দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্যকে আরো তিনগুণ চার গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। আর এ ধরনের আরো তথ্য মূলক বিষয় জানতে আমাদের হোমপেজে ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Post Page Ad Right After Title