অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় - সকালে ঘুম দূর করার উপায় জানুন

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই অতিরিক্ত ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালে, পরিপূর্ণ ঘুম ধরে নেওয়া হয়। 

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় - সকালে ঘুম দূর করার উপায়

এ সকল সমস্যাগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। ডাক্তারি পরামর্শ এবং সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলার মাধ্যমে আপনি সকালে ঘুম দূর করার এই উপায় ব্যবহার করতে পারবেন।

পোস্ট সুচিপত্রঃ অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় - সকালে ঘুম দূর করার উপায় সূমহ জানুন

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় বিস্তারিত জানুন 

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় বিস্তারিত জানা থাকলে এই সমস্যা দূর করতে পারবেন। একজন মানুষের স্বাভাবিক যে নির্ধারিত সময় রয়েছে তার চাইতে বেশি ঘুম হলে ডাক্তারি মতে তাকে রোগ বলে বিবেচনা করা হয়। রোগের নামটি আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো তবে এর থেকে মুক্তির জন্য যে উপায়গুলো অবলম্বন করবেন সেগুলো উপস্থাপন করলাম। 

  • অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে আপনি শারীরিক বা মানসিক ভাবে কোন অসুবিধার মধ্যে আছেন কিনা। 
  • শরীরের থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে ঘুমের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে অতিরিক্ত ঘুম হয়। এর থেকে বাঁচার জন্য শরীর সুস্থ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। 
  • রাতের ৬-৭ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম না হলে দিনের বেলা ঘুমানোর প্রবণতা দেখা দেয় এবং যা অতিরিক্ত ঘুমের জন্য দায়ী। এই সেই জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ একটানা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
  • অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যে খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আপনার শরীরে বাড়তি শক্তি দিবে এবং রাতে ঘুম ভালো হতে সাহায্য করবে।
  • আরো একটি কাজ করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে নিয়ম অনুসরণ করতে হবে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। এবং ঘুমানোর সময় আপনাকে যতটা সম্ভব একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। 
  • মানসিক উদ্বেগ বা মানসিক টেনশন থাকলে মানুষের ঘুম হয় না। অনেকে বলে মানসিক টেনশন সকল রোগের সৃষ্টির কারণ তাই ঘুম না হওয়ার এটি অন্যতম কারণ বিবেচনা করা হয়। মানুষের মনের মধ্যে চিন্তা থাকলে মানুষ কখনো ঘুমাতে পারবে না। সেজন্য চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। 
  • হঠাৎ অক্লান্ত পরিশ্রম করার ফলে প্রচন্ড পরিমাণ ঘুম হয় তাই আপনি যদি প্রচুর পরিশ্রম করেন তাহলে ঘুম বেশি হতে পারে তবে কিছু ক্ষেত্রে ঘুম স্বাভাবিকভাবে মানুষ বেশি করে ঘুমাই।

আরো কিছু ইউনিক উপায় রয়েছে যেমন, আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে অতিরিক্ত ওজন থাকলে ঘুম বেশি হয়। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাইতে হবে। পাশাপাশি নিয়ম মাফিক শরীর চর্চা করতে হবে মদ পান এবং ধুমপান থেকে দূরে থাকতে হবে। শরীরে পরিমাণ মত খাবার গ্রহণ এবং শারীরিকভাবে মানুষ যে পরিমাণ ঘুমানো প্রয়োজন, সেই পরিমাণ ঘুমাতে হবে। এছাড়া ঘুমানো কঠিন মনে হলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ জানুন

অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ এটা অনেকেই জানতে চাই তাদেরকে বলে রাখলাম যে অতিরিক্ত ঘুম হাইপারসোমনিয়া রোগ। এই রোগীরা প্রচুর পরিমাণ ঘুমায় এ কারণে তাদের শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় তাই মাতলামির মত ঘুম থেকে উঠার জন্য অশেষ অসুবিধায় পড়তে হয়। এছাড়া কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো প্ররিলক্ষিত করা যায় নিচে উল্লেখ করা হলো,

  • কোন কিছু নিয়ে উদ্বেগ থাকা বা বিভিন্ন চিন্তায় থাকা। 
  • শারীরিক শক্তি কমে যাওয়া এবং নিজেকে দুর্বল মনে হওয়া। 
  • মানসিকভাবে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া। 
  • ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া।

উল্লেখিত এই সমস্যা গুলি হওয়ার কারণে একজন মানুষের অতিরিক্ত ঘুম আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কারণগুলো যার রয়েছে সে একটি বিশেষ রোগে আক্রান্ত বলে মনে করা হয়। সে রোগটির নাম হাইপারসোমনিয়া। ঘুম বেশি হয় এবং রোগ নির্ণয়ের অন্তত ৩ মাস আগ পর্যন্ত এই লক্ষণ দেখা যায় যা ঘুম থেকে উঠার জন্য প্রচুর পরিমাণ অসুবিধা সৃষ্টি করে। এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য নিচে কিছু উপায় জানাবো। 

হাইপারসোমনিয়া থেকে মুক্তির উপায় বিস্তারিত 

হাইপারসোমনিয়া থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে খুব সহজে এই রোগের থেকে বাঁচতে পারবেন। সঠিকভাবে আপনাকে খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং শারীরিক দুর্বলতা থাকলে তা দূর করতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

এছাড়া আপনি প্রতিদিন নিয়মভাবে ঘুমানোর অভ্যাস করুন, বিজ্ঞানীদের মতে এটাকে রোগ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে তাই আপনি এ রোগ ভালো করার জন্য ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে দ্রুত খাবার গ্রহণ করুন। দিনে অন্তত আধাঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর জন্য অভ্যাস করুন।

আরো পড়ুনঃ সর্দিতে কারণে কান বন্ধ হলে করণীয় ৭টি উপায় জানুন

ঘুমানোর পূর্বে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন এবং মোবাইলের এলার্মটি হাতের কাছে রেখে একটু দূরে রাখুন এবং চেষ্টা করুন অ্যালার্ম বাজা শুরু হলে ঘুম থেকে উঠার। এই অভ্যাসগুলো করার চেষ্টা করুন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। তাহলে ধীরে ধীরে এই সমস্যা দূর করতে পারবেন। তবে মানসিক চিন্তা করলে এই সমস্যা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই মানসিক দুশ্চিন্তা বা কোন ধরনের চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। 

ঘুম ঘুম ভাব কিসের লক্ষণ জানেন কি? 

ঘুম ঘুম ভাব কিসের লক্ষণ এটা অনেকেই জানে না। সাধারণত শরীরে ঘুমের অভাব থাকলে বা রাতে ঘুমের কমতি থাকলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে মানুষের অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাস হয়েছে যারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ঘুমায়। এছাড়া এই ঘুম ঘুম ভাব একটি রোগের সৃষ্টি করে যে রোগের নাম আমরা জেনেছি। এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে শরীরে ঘুম ঘুম ভাব হয়। 

মানব শরীরে অনেক রকমের হরমোন রয়েছে যার এক একটা হরমোন একেক টা কার্য নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, থাইরয়েড হরমোন মানুষের শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং শারীরিকভাবে প্রশান্তি দেয়। এই হরমোনের ঘাটতি হলে আপনার ঘুম ঘুম ভাব হবে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কিডনি বা লিভার জড়িত সমস্যা থাকলে দিনের বেলায় বা শরীরে অতিরিক্ত বমি ঘুম ভাব দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ গ্যাসের ব্যথা বুকের কোন পাশে হয় জানুন 

অনেক মানুষের কিছু রোগের দেখা গেছে যেমন, মস্তিষ্কের কিছু রোগ যার ফলে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা হয়। তাছাড়া মানুষের যদি হার্টের রোগ থাকে সেক্ষেত্রে এবং ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রে থেকেও মানুষের শরীরে অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা দেখা যায়। সুতরাং আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা দেখা দেয় এবং তা স্বাভাবিক অবস্থায়। যদি শারীরিক কোন দুর্বলতা না থাকা সত্ত্বেও ঘটে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

সকালে ঘুম দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত 

সকালে ঘুম দূর করার উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সকালে এই ঘুম থেকে উড়তে পারবেন। অনেক মানুষ রয়েছে যারা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে। তাদেরকে প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার পরে ২৪ ঘন্টায় সর্বনিম্ন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। পাশাপাশি কিছু শারীরিক টিপস মানতে হবে। 

  • দুপুরের আগে যে কাজগুলো করবেন তারপর একটু ঘুমানোর চেষ্টা করবেন যদি সময় থাকে। 
  • প্রতিদিন একই সময়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করবেন যাতে সেই সময় হলে আপনি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠেতে পারেন।
  • মোবাইল অথবা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। এলার্মটি হাতের নাগালের বাইরে রাখুন যেন ঘুমের ভেতরে এলারাম বাজলে আপনি হাত দিয়ে বন্ধ করে আবার যেন না ঘুমান। এলার্মটি বন্ধ করার জন্য হলেও যেন আপনাকে বিছানা থেকে দূরে আসতে হয়।
  • চেষ্টা করুন ঘুমানোর পূর্বে দুধ খাওয়ার কারণ দুধ খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরের ঘুম একটানা ভালোভাবে করা যায়। আপনি যদি একটানা ভালোভাবে ঘুম করেন তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হবে। 
  • রাতে ঘুমানোর পূর্বে মোবাইলে বা টিভি দেখা থেকে দূরে থাকুন যা আপনার ঘুম ভালোভাবে হওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা করবে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হবে।
সকালে ঘুম দূর করার উপায়

অতিরিক্ত কায়ফ্রেন্ড থেকে বের হয়ে চলুন। গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করলে খুব সহজেই আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। বেশিরভাগ শীতের সময় এই সমস্যাটি দেখা দেয় মানুষ অলসতা বা রাতে না ঘুমানোর কারণে সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠতে দেরে হয়। এ সময় আপনি রাতে সঠিক সময় নির্দিষ্ট টাইম অনুসরণ করে ঘুমান এবং খেয়াল রাখুন যেন আপনি রাতে সর্বনিম্ন ৬-৮ ঘুমাতে পারেন একটানা তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হবে। 

অতিরিক্ত ঘুম আসার কারণ কি কি থাকতে পারে 

অতিরিক্ত ঘুম আসার কারণ কি কি হতে পারে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে কারণগুলি রয়েছে এবং সাধারণ যে কারণগুলোর কারণে মানুষের অতিরিক্ত ঘুমায় সেগুলো দেখুন এবং জানুন মানুষ অতিরিক্ত কেন ঘুমায়। অনেক মানুষ রয়েছে যারা একটু আলসে টাইপের হয় তারা অতিরিক্ত ঘুমাতে পছন্দ করে। তাছাড়া মানুষের সকালে ঘুম থেকে উঠতে চায় না জোর করে অনেক সময় থাকে এবং অতিক্রম ঘুমাই। এগুলো সাধারণ কারণ যার কারণে মানুষ ঘুমায় অথবা রাত জেগে বিভিন্ন কাজ করার সময় সকালে বেশি ঘুমাতে ভালো লাগে। 

এছাড়াও কিছু শারীরিক কারণ থাকে যার মধ্যে উল্লেখিত হয়েছে কিডনিস বা লিভারের সমস্যা থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ঘুম দেখা দেয়। এই অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা চিকিৎসকদের মতে একটি অসুখ যা সমাধান করা উচিত। অনেক মানুষের ক্যান্সার থেকে অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা দেখা দেয়। আবার মানসিক উদ্বেগ শারীরিক দুর্বলতা থাকার ফলে মানুষ অতিরিক্ত ঘুমায়। অতিরিক্ত পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করার ফলে মানুষের শরীরে অতিরিক্ত ঘুম হয়।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় ১০টি উপায়

শারীরিক রক্ত সল্পতা দেখা দিলে মানুষের ঘুম বৃদ্ধি হয়ে যায় আবার অনেক মানুষ রয়েছে তাদের স্নায়ু সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম রোগ হয় যা অতিরিক্ত ঘুম হওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে সুতরাং আপনি যদি মনোযোগ সহকারে আজকের এই পোস্টটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে একজন মানুষের অতিরিক্ত ঘুম হওয়ার কারণ কি এবং এটা হওয়ার থেকে বাঁচার জন্য কেমন উপায় অবলম্বন করবেন। 

দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় জানুন 

দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি অতিরিক্ত দিনে ঘুমানোর অভ্যাস কমাতে পারবে। একজন সুস্থ মানুষ সারাদিন বা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বনিম্ন ছয় থেকে ঘুম করলে সুন্দর বাঁচতে পারবে। দিনের বেলা ঘুমানোর কিছু কারণ রয়েছে যে কারণগুলো আগে আমাদের জানতে হবে। একজন মানুষ দিনের বেলা কখন ঘুমায় যখন সে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে পারেনা।

রাতে কম ঘুমালে এবং সকালে ঘুম পরিপূর্ণ না করে থাকলে দিনের বেলা ঘুম আসে। যার জন্য আপনার সারাদিন অলসতা এবং ঘুম ঘুম ভাব থাকতে পারে। এই সমস্যাকে দূর করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘমাতে হবে। রাতের বেলা নিয়মিত ঘুমানোর সময় ঠিক রাখতে হবে সেই সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সকালে পর্যন্ত ঘুম হওয়ার পর ঘুম থেকে উঠতে হবে।

এছাড়াও অনেক মানুষ রয়েছে তারা দিনে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। শিশু কোন মানুষকে ঘুমানোর মাধ্যমে শরীর দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হয় এবং শারীরিক নানা ধরনের সমস্যায় অন্তর্ভুক্ত হন। কিসের জন্য দিনে ঘুমের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। মানসিক চিন্তা পূর্ণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ রাতের বেলা ঘুমাতে হবে তাহলে দিনে ঘুমানোর অভ্যাস টা ধীরে ধীরে কমে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট এর মধ্যে সকালের খাবার গ্রহণ করতে হবে যা অতিরিক্ত শক্তি বৃদ্ধি করবে শরীরে।

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় জেনে অবাক হবেন 

পড়াশোনায় ঘুম কমানোর উপায় একদম সহজ উপায় গুলো ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজে পড়ার সময় ঘুমানোর যে জ্বালা এর থেকেও বাচবেন। অনেক মানুষ রয়েছে যারা ঘুমাতে বসলে বা শুয়ে ঘুমানোর সময় চোখে প্রচুর পরিমাণ ঘুম চলে আসে তাতে সে পড়া লেখা করতে পারে না। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়। আরেকটি বিশেষ বিষয় হলো আপনাকে পড়ার সময় বিরত নিতে হবে মনে করেন আপনি ৩০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিট বিরত নিবেন। এভাবে পড়তে থাকলে ঘুম আসতে পারে না।

আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাসায় ঘুমাতে হবে নিয়মিত। এবং পড়ার সময় যেন ঘুম না আসে তার জন্য পানি পান করতে হবে বেশি করে। এবং যেই পড়াশোনাটি করবেন তা মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে তাহলে ঘুম কম আসবে। মাথার ভিতরে ঘুমের চিন্তাটি রাখা যাবে না। এবং আপনাকে শুয়ে থেকে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং চেয়ার টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করতে হবে।

এবং আপনাকে পানি রাখতে হবে ঠান্ডা পানি বা কফি অথবা চা যেগুলো আপনার পড়ার টেবিলের সামনে রাখবেন এবং ঘুমানোর ভাব আসলে বা শরীরে আলিশ জমা হলে সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীর রিফ্রেশ হবে এবং আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়ে পড়ার সময় ঘুম কমাতে পারবেন। পড়াশোনা করার সময় বা দুপুরে বা দিনে যে কোন সময় ঘুমানোর জন্য উপরে উল্লেখিত কারণ গুলো উল্লেখযোগ্য। সেজন্য আপনাকে সচেতন ভাবে সকল বিষয় পালন করতে হবে।

ঘুম কমানোর ব্যায়াম - কি খেলে ঘুম কমে? 

ঘুম কমানোর ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে আপনি শারীরিকভাবে ঘুম কমাতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কিলো পরিমাণ হাটাহাটি বা দৌড়াদৌড়ি করতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনার শরীরের মানসিক চিন্তা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ঘুমের কারণ হতে পারে। 

সেজন্য আপনাকে খাবারের বিষয়ে কিছু নিয়ম মানতে হবে যেমন মসলা জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরোধ করতে হবে যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে এবং ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া মানুষ মনে করেন যে হোয়াইট ব্রেড আমরা ওজন বৃদ্ধি করে বলে জানি তবে এর আরো একটি কাজ আছে সেটা হচ্ছে ঘুম বৃদ্ধি করা। মানব শরীরের ঘুমের বৃদ্ধি করতে পারে।

ঘুম কমানোর ব্যায়াম - কি খেলে ঘুম কমে

তবে কিছু খাবার রয়েছে যেমন টক জাতীয় খাবার, আইসক্রিম, চকলেট জাতীয় খাবার এবং ঝাল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এই খাবারগুলো খাবার মাধ্যমে ঘুম কমে। বিশেষ কিছু ডার্ক চকলেট রয়েছে যাদের থেও ব্রোমিন নামক যৌগ থাকে যা হৃদস্পনদন বাড়িয়ে তুলে এবং ঘুম কমাতে সাহায্য করে। কিছু খাবার উচ্চ ফ্যাট যুক্ত যা হজম শক্তি ধীর করে যা ঘুম কমাতে সাহায্য করে। সুগার জাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে ঘুম কমানোর উপকার পাওয়া যায়। 

ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় জানুন 

ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ঘুমকে স্বাভাবিক রাখতে পারেন এর জন্য আপনাকে কিছু কাজ হবে। পদার্থ পরিবর্তন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে যে খাওয়ার কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘুম কমানোর জন্য আপনি আরো একটি যে কাজ করবেন সেটি হচ্ছে রাতে ঘুমানোর পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করুন খাবার গুলোর ভিতরে চর্বির পরিমাণ কম থাকবে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকবে। 

এ ছাড়া আমাদের প্রাকৃতিক উপায়ে শারীরিক ব্যায়াম করতে পারি যা ঘুম কমাতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর অভ্যাস করুন স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের যে পরিমাণ ঘুম দরকার। অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রাকৃতিক ভাবে বেশি ঘুমাতে পছন্দ করেন তাই আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে ঘুম কমানোর ক্ষেত্রে। আপনি যদি সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকেন তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এই উপায় গুলো ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুনঃ পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ১৭টি ঘরোয়া উপায়

এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে প্রতিদিন সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে। অ্যালকোহল এবং কাইফেন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বের থাকতে হবে। ঘুমানোর পূর্বে শান্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে এবং ঘুমানোর আগে একটু হালকা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ঘুমানোর পূর্বে চাপ ও টেনশন মুক্তভাবে থাকার চেষ্টা করুন। আজকের এই পোস্টের সকল বিষয়গুলো সঠিকভাবে মানতে পারলে অবশ্যই প্রাকৃতিকভাবে অতিরিক্ত ঘুম কমবে।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য 

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অনেক মানুষ রয়েছে যারা সাধারণভাবে বেশি ঘুমাতে পছন্দ করে। আমার অনেক মানুষ রয়েছে যারা শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতা এবং অসুস্থতার কারণে বেশি ঘুমায়। 

এই কারণগুলো নিশ্চিত হওয়ার পর আপনি শারীরিকভাবে সুস্থতা অর্জন করে এবং মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাধ্যমে ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। মানুষ ঘুমানোর জন্য অনেক সময় বিরক্ত বোধ করে বেশি ঘুম হওয়ায়। চিকিৎসকের মতে অতিরিক্ত ঘুম একটি সমস্যা বা রোগ তাই আপনাকে এই সমস্যা অনেকদিন যাবত বা তিন মাসের বেশি পরিলক্ষিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Post Page Ad Right After Title