মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন
মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। বর্তমান সমাজে ছোট বড় সকল বয়সের মানুষই মোবাইল আসক্তির সমস্যায় ভোগে, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে মোবাইল কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনা।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ছাত্রদের মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন
- ভুমিকা
- মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন
- মোবাইল আসক্তির প্রতিকার সমূহ দেখুন
- মোবাইল আসক্তির কুফল সম্পর্কে জানুন
- শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তির কারণ সমূহ জানুন
- শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল জানুন
- ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা জানুন
- ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল জানুন
- মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন জানুন
- বাচ্চাদের মোবাইল দেখলে কি হয় জানুন
- ২২সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
- মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার নিয়ে শেষ মন্তব্য জানুন
ভুমিকা
মোবাইল আসক্তি এক ধরনের রোগ তাই আমরা যারা মোবাইল ব্যবহার করি তারা সচেতন ভাবে মোবাইল ব্যবহার করবো। যাতে আমরা মোবাইলের উপকৃত হই। মোবাইল আসক্তি নিয়ে গবেষণা করে ও জানান যে এই সেল ফোন মানুষের মনস্তান্তিক বা আচরণগত নির্ভরতার রুপ হিসেবে ধরা হয়।আরো গবেষনায় বলে যে স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আচারণগত আসক্তি দেখায়।
এর ধারনা থেকেই মুলত আসক্তি শব্দটির উদ্ভব হয়। আসক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হল মোবাইলের যোগাযোগ ব্যবস্থা, মোবাইলে অধিক অর্থ বা সময় ব্যয় করা ও অটোমোবাইল চালানোর মত সামাজিক বা শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যবহার করা। অত্যাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার শারীরিক ও মানুষিক সমস্যা তৈরি করে।
তাই যাদের কম বয়স ও বেকার বা বয়স্কদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ২০০০ সালের পর থেকে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। ২০১৯ সালের পরিচালনায় বিশ্বব্যাপি মোট জনসংখার শতকরা ৪১.৫ ভাগ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে। এর ব্যাপক প্রযুক্তির কারণে অনেক মানুষ এর ব্যবহার করে বিভিন্ন কারণে.২০১৮ সাল পর্যন্ত নিবন্ধন করা মোবাইল ছিল ৭০০ লক্ষ।
ডিজিটাল প্রযুক্তির বা মিডিয়ার ব্যবহারে অনেক মানুষের চোখের সমস্যা হয়। বিশেষ করে কম বয়সের মানুষের বেশি হয়। একটি গবেশষণায় জানা যায় যে এই ভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজনসংখার শতকরা ৪৯.৮ ভাগ মানুষ মায়োপিয়াতে আক্রান্ত হবে। তাই আমাদের মোবাইল ব্যবহার করার জন্য সচেতনতা অবম্লবল করতে হবে।
মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন
মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার নিচে উপস্থাপন করা হলো, এখন মোবাইল একজন মানুষ বিভিন্ন সুবিধা বা প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যবহার করে। তবে অনেক মানুষ বিশেষ করে ছোট ছেলে ময়েরা মোবাইলে গেম খেলা, ভার্চুয়াল বিষয়ের সাথে সময় কাটিয়ে এর মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ, যখন মোবাইল, ল্যাপটপে টিভি। এগুলো দেখে এবং এর মধ্যে সময় কাটাই।
ঠিক সেই সময় শরীরের শারীরিক রাসায়নিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। দেখা গেছে ভার্চুয়াল ইন্টারটেইনমেন্ট সমূহ দেখার সময় মস্তিষ্কের কোষ থেকে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ হয়। শরীরে এটি এমন একটি হরমোন যা মানুষের শরীরে ভালো লাগার অনুভূতি সঞ্চার করে। যেমন, একজন মানুষের দুঃখ দেখলে দুঃখ অনুভূত হয় এবং সুখ বা আনন্দ দেখলে আনন্দ অনুগত হয়।
আরো একটি কথা বলতে চাই, এই ধরনের আসক্তি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পরিবেশ। কারণ প্রত্যেকটা বিষয় ঘটার জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশ প্রয়োজন হয়। শরীরের অভ্যন্তরীণ হরমোন গুলোর পরিবর্তন এবং নিঃসরণ করে এই ঘটনাগুলো ঘটে। তাই কিভাবে এর থেকে বাঁচবেন এবং সঠিক ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ
প্রচলিত বিভিন্ন প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আলোচনা দেখুন
বর্তমানে ছোট ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা বা বিভিন্ন ভাবে সামাজিক যোগাযোগ এবং একে অপরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং বিভিন্ন খেলাধুলা করার সময় সুযোগ না থাকার কারণে এ ধরনের আসক্ত দেখা যায়। অনেক কর্মজীবী মানুষ তাদের সন্তানদেরকে একা রেখে কর্মের জন্য যাই। সে বিভিন্ন টিভি কম্পিউটার এবং এ ধরনের ডিভাইসের সাথে সময় দিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
মোবাইল আসক্তির কারণ সূমুহঃ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আকর্ষণঃ মোবাইল চালাতে চালাতে আমরা ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব ভিডিও দেখা, ইনস্টাগ্রাম এগুলোতে সব সময় নতুন কিছু দেখার লোভ তৈরি হয়।
- বিভিন্ন নোটিফিকেশনঃ মোবাইলের ডাটা চালু থকলে অনেক ধরনের বার্ত্রা আসে যা মোবাইল ব্যবহার করতে আকর্ষণ করে।
- গেমিং আসক্তিঃ অনলাইল ও অফ লাইওনে অনেক ধরনের গেম আচছে যা আমাদের সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। এই গেম অল্প বয়সিদের বেশি ক্ষতি করে।
- একাকিন্ত ও মানুষিক চাপঃ একাকিত্ত ও মানুষিক চাপের কারণে মোবাইলের সাথে সময় দিতে দিতে আসক্ত হয়ে পড়ে।
- আন্তর্জাতিক ও অনলাইনে সংযোগের চাহিদাঃ অনেকেই আছে যারা সকল আপডেট দেখার জন্য অনলাইনে বেশি সময় দেয় ও ধিরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ে।
- ডোপামিন রিওযার্ড সিস্টেমঃ এটি এমন এক্টি সিস্টেম যা মানুষের শরীরের এক ধরনের সুখের অনুভুতি দেয় যার কারনে মানুষ মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়। আর এটা হল মোবাইল আসক্তির প্রধান কারণের একটি বড় কারণ।
- প্রয়োজনীয় কাজের অজুহাতে মোবাইল ফোন অনেকেই বেশি ব্যবহার করে। যেমন, পড়ালেখা, অফিসের কাজ,অনলাইন লেনদেন ইত্যাদি কারণে আমরা সবাই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করি।
- ঘুমের অভাবঃ অনেকেই আছে যারা রাতে না ঘুম আসলে মোবাইল দেখে সময় পার করে যা আসক্তির একটি উন্নতম কারণ।
- ভার্চুয়্যাল যোগাযোগঃ ভার্চুয়্যাল যোগাযোগ ও একটি কারণ মোবাইল আসক্তির জন্য, সবাই দুরের মানুষ বা আন্তীয়দের সাথে যোগাযোগ করা, ফোনে কথা বলা অকারণে, বিদেশে কাজ করার ফলে বাড়ির মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়।
- ডিজিটাল মার্কেটিং ও অ্যালরিদমঃ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোন প্লাটফ্রমে ভিডিও দেখে সেই ধননের ভিডিও আপনার কাছে বেশি আসবে।
- কম খরচে বেশি সুবিধা ও স্মার্টফোনের ব্যবহার ও মোবাইলের আসক্তি বৃ্দ্ধি করে।
- নিজের ভাইরাল হ্বয়ার ইচ্ছা ও নতুন ভিডিও টিকটক ও ফেসবুকে আপলোড করার নেশা মোবাইল আসক্তির কারণ।
- এভহাড়াও অবিভাবকের উদাসিনতা, বিকল্প বিনোদনের অভাব, ডিজিটাল শিক্ষা ও কাজের প্রভাব, স্বয়ংক্রিয়তার অভাব।
- আসক্ত হওয়ার পর যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকেঃ সময় মতো খাওয়া-দাওয়া করতে অনীহা এবং এর ফলে অপুষ্টি দেখা দেয়।
- অনেক সময় আলোর দিকে একঘেয়েমি হবে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের সমস্যা হয়। ধীরে ধীরে চোখের জ্যোতি কমে যায়।
- যারা অনেক সময় ধরে মোবাইল কম্পিউটার বা বিভিন্ন ডিভাইসে সেবা এবং বিভিন্ন কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কোমর এবং কাঁধের সমস্যা দেখা দেয় বা ঘাড়ে বিভিন্ন ব্যথা অনুভূত এবং আরো নানান সমস্যা হয়।
- অনেক সময় এই মোবাইল বা ডিভাইস গুলো না পেলে সে বদমেজাজি এবং অনেক যদিও চঞ্চল ভাব দেখায়। যার ফলে লেখাপড়া এবং কর্ম জীবনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়।
- অনেকেই বিভিন্ন ইমোশনাল এবং ভৌতিক ও বিভিন্ন ধরনের বিষন্নতামূলক ভিডিও দেখে মানসিক চাপ এবং বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোগ করে থাকে।
- এই সমস্যা থাকার কারণে পরিবারে অবাধ্য বা সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে মা-বাবার সাথে জুলুম মূলক বিভিন্ন আচরণ এবং দাবি উপস্থাপন করে।
- মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেক সংসার নষ্ট হয়ে গেছে এবং অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মানুষ এই মোবাইলে আসক্ত হয়ে জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এর ব্যবহার সচেতনতার সাথে করা উচিত।
-
অনেক মানুষের এমন সমস্যা দেখা গেছে যে, মোবাইলের বিনোদন এবং বিভিন্ন গেম খেলার
নেশায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ করাতে অমনোযোগী এবং করতে চায় না তা ফাঁকি
দিয়ে গেম খেলে ও স্মার্টফোন নিয়ে সময় কাটায়।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মোবাইল কাছে রেখে ঘুমানো বা সব সময় মোবাইল কাছে রাখা। মোবাইলের নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে যে এনার্জি থাকে তা মস্তিষ্কে বিশেষ প্রভাব ফেলে। এরই কারণে মানুষের ঘুমের সমস্যা দেখা যায়। পাশাপাশি আরো নানান ধরনের সমস্যা হয় এবং এই ইলেকট্রিক নেটওয়ার্কের কারণে পরিবেশের উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে ইলেকট্রিক ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন গুলো।
মোবাইল আসক্তির প্রতিকার সমূহ দেখুন
মোবাইল আসক্তির থেকে বাঁচার জন্য প্রতিকার মূলক কাজ করা এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি। একজন মানুষ মোবাইল আসক্ত হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ করতে পারে। বর্তমানে অনেক ছেলে মেয়ে দেখা গেছে তারা মোবাইলে গেম খেলার মাধ্যমে এক সময় পাগল হয়ে গেছে। কারণ গেম খেলে মানুষের মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে যার ফলে মস্তিষ্ক বিভিন্ন অনুভূতির সিগনাল দেয় যা একজন মানুষকে এই মোবাইলে আসক্ত করার জন্য প্রধান ভাবে উৎসাহ দেয়।
- সমস্যা গুলো থেকে বাচতে হলে সময় নির্ধারণ করে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে।
- প্রয়োজন ছাড়া নোটিফিকেশন বন্দধ করে রাখতে হবে। আমাদের যে সব আপস ব্যবহার করা দরকার নাই সেই আপস বন্ধ রাখুন।
- সোশ্যাল মিডিয়া সময় নিধারণ করে ব্যবহার করুন। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক যা প্রয়জন না হলে ব্যবহার করুন।
- সময় পার করার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বেশি মোবাইল ব্যবহার না করে অন্য কিছু করে সময় পার করুন।
- চার্জ এর পয়েন্ট ঘরের বাইরে রাখুন যা আপনার মোবাইল আসক্ত কম করতে সাহায্য করে।
- আপনি ডিজিটাল ডিটক্সডে পালন করুন। সপ্তাহে কম করে এক দিন পা্লন করুন যে দিন আপনি সারা দিন ফোন ব্যবহার করবেন না।
- পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় ব্যয় করুনই একে অপরের প্রতি মনোযোগি হন, গঘুম খাওয়াদাওয়া ঠিক ঠাক করুন, মানসিক ভাবে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
- এছাড়া আপনি পেশাদার সমস্যায় পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে দেখতে পারেন তবে উল্লেখিত বিশষ যদি পালন করেন।
- শশুদের বোঝানোর চেষ্টা করুন ও যারা অভিভানবক তারা শিশুদের সাতথে সময় দিন যাতে তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত না হয়।
এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে আপনাদেরকে যে কাজটি করতে হবে। সকলকেই একাকীত্বতা দূর করতে হবে এবং মানুষের সাথে কথা বলে বা বিভিন্ন কর্ম খেলাধুলা করে সময় পার করার চেষ্টা করতে হবে। মোবাইল ব্যবহার করতে হবে প্রয়োজন অনুযায়ী। বিনোদন দেখার জন্য বা সময় পার করার জন্য মোবাইল দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। ছোটদের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের মাথায় রাখতে হবে যেন শিশুটি সব সময় একাকী একঘেয়েমি এবং মোবাইল বা সিনেমার সাথে যুক্ত না থাকে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশি অ্যাপস কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন 500 থেকে 1000 টাকা ইনকাম জানুন
একজন ছোট বাচ্চাকে সকল সমস্যা থেকে বাঁচানোর জন্য খেয়াল রাখতে হবে। তাকে অন্য কিছু শেখানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। মোবাইলে সময় পাস করে বিনোদন করার চাইতে আপনার বাচ্চাকে বিভিন্ন গান, নাচ, আবৃতি ও খেলাধুলার দিকে আগ্রহ তৈরি করার জন্য আপনাকে সকল ভাবে পরিচর্যা এবং ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
একজন মানুষ যদি সহজে তার বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে পারে তাহলে সে অবশ্যই কঠিন বা সহজ কোন কাজ করতে চাইবে না। তাই কেউ যদি মোবাইলের মাধ্যমে সবসময় বিভিন্ন সময় পাস করা। পড়াশোনা খেলাধুলা বা গেম খেলে সময় পার করা বিনোদন ছবি এবং বিভিন্ন ধরনের তিক্তক রিল দেখে সেই ক্ষেত্রে তার মধ্যে খারাপ প্রভাব পড়বে।
তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন তাকে সেই সকল বিষয় তাকে দূরে রাখা যায়। সব সময় চেষ্টা করতে হবে মোবাইলে যেন সে খেলাধুলা এবং বিনোদনমূলক ভিডিও বা তথ্যগুলো না দেখে, জ্ঞানমূলক এবং পড়াশোনা মূলক বিষয় গুলো দেখে। এর জন্য আপনাকে নিজেই খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাচ্চার প্রতি।
মাঝে মাঝে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পার্ক, সিনেমা হল ভালো দর্শনীয় জায়গা। বিভিন্ন ইসলামিক প্রতিষ্ঠান এবং আদর্শ মুলক অলি আউলিয়ার নিদর্শন গুলো। তাদের ধর্ম সম্পর্কে বোঝা প্রয়োজন, সকল বিষয় সমূহ সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করার চেষ্টা করতে হবে। যেন সে জাগতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে বুঝতে পারে এবং নিজে ভালো-মন্দ সকল বিষয়ে জ্ঞান রাখতে পারে।
মোবাইল আসক্তির আরো কিছু প্রতিকার দেখুন
একজন মানুষ যদি ভালো এবং খারাপ উভয় সম্পর্কে জানে তাহলে সে অবশ্যই তার সুস্থ্য জ্ঞানে খারাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করবে। এবং ভালো কাজের দিকে নিজেকে প্রেরিত করবে। সেরকম একজন মানুষ যদি মোবাইলের বিভিন্ন ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কে জানে এবং এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে।
তাহলে সে কখনোই চাইবে না যে জেনে শুনে ক্ষতি হোক। তাই প্রত্যেকটা বাচ্চাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন ভাবে জানাতে হবে। যেন তারা নিজেরাই বুঝতে পারে অতিরিক্ত মোবাইল বা কোন কিছুই ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে বাচ্চারা যে এগুলো ব্যবহার করবে না। তাদেরকে বিভিন্ন প্রয়োজনমূলক কাজে সে সকল ডিভাইস বা মোবাইল গুলো ব্যবহার করতে দিতে হবে। সর্বোপরি তাদেরকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে যে,
একজন মোবাইল ব্যবহার করবে তার বিভিন্ন প্রয়োজনে। যেই প্রয়োজনগুলো তার উপকার করবে। যদি প্রত্যেকটা জিনিসের সঠিক ব্যবহার করার বিষয়টি বুঝতে পারে তাহলে সে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য অনুসরণ করতে পারবে। এবং যেটা যেখানে দরকার সে বিষয়টি দিতে পারবে। বিভিন্ন জ্ঞান মূলক বিষয় জানার জন্য আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা দিতে হবে।
বিভিন্ন বাস্তবিক উদাহরণ দিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। একজন ছোট ছেলে সে তার সকল বিষয় আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে শিখে। একজন বাচ্চার সবচেয়ে কাছের মানুষ তার মা-বাবা তাই তাদের আচরণ সংযুত এবং সঠিক রাখতে হবে। এতে ছোট্ট শিশু সঠিক আচরণ করতে অনুপ্রাণিত হবে। নিজেদের ভিতরে কোন ঝামেলা হলে সে ঝামেলা বাচ্চার সামনে কখনোই করা যাবে না। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রভাব পড়ে ছেলে বা শিশুর প্রতি। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
মোবাইল আসক্তির কুফল সম্পর্কে জানুন
মোবাইল আসক্তির কুফল অত্যন্ত ভয়ানক। একজন মানুষ মোবাইল আসক্ত হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তার মধ্যে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধ কমে যাবে। পরিবারের সকল মানুষের সাথে অমানবিক আচরণ করবে। আবার অনেক সময় দেখা গেছে অনেক মানুষ মানসিক রোগী হয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো দেখুন
মোবাইল আসক্ত হওয়ার মূল কারণ মোবাইলের ভিডিও গুলো এবং বিভিন্ন বিনোদন দেখার পর সেই অনুযায়ী মানুষের মনের ভিতরে সুখ এবং দুঃখের অনুভূতি হয়। যেই অনুভূতি একসময় মানুষ বাস্তব আকারে মনে করতে শুরু করে। আর সেই কারণে একজন মানুষ মোবাইল আসক্তির কুফল হিসেবে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জ্ঞান এবং মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে।
বর্তমানে অনেক ছেলে মেয়ে দেখা গেছে তারা গেম খেলে খেলে মানসিক রোগের আক্রান্ত। তাই সতর্কতামূলক উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো জানা উচিত। তাছাড়া এরকম ফল হিসেবে মানুষের মূল্যমান জীবনকে হারাতে হতে পারে। আপনার বাচ্চাকে যদি এই কুফল থেকে বাঁচাতে চান বা আসক্তির যে কারণ এ কারণের হাত থেকে রক্ষা করতে চান?
তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চার পেছনে সময় দিন এবং যথেষ্ট পরিমাণ সঠিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করুন। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা মোবাইলে আসক্তি থাকার কারণে পড়াশোনায় ভাল রেজাল্ট করতে পারে না। কোন কর্মে তাদের মন বসে না এমনকি তারা নিজের মানুষের সঙ্গে বা বিভিন্ন সময়ে একাকী এবং মনমরা হয়ে থাকে। সুতরাং সাবধান এবং সচেতন হওয়া আমাদের জন্য জরুরী। তাই মনে রাখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।
শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তির কারণ সমূহ জানুন
শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তির কারণ সমূহ আমাদের জানা উচিত। কারণ একজন মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্নভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে। বর্তমানে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। ৯০% মানুষ শিক্ষিত, তবে অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন মোবাইল এবং ডিভাইসের সাথে আসক্ত জীবন পার করে।
এই সময়টি সবচাইতে বেশি দেখা যায় ছাত্রজীবনের মধ্যে। শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আসক্তি হওয়ার প্রধান কারণ হলো তাদের বর্তমানের প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনার ব্যবস্থা। আগের সময় মানুষ বই খাতা নিয়ে স্কুল কলেজে পড়াশোনা করতে যেতো, কিন্তু বর্তমানে এখন মানুষ মোবাইল এবং ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন ডিভাইস সঙ্গে করে পড়াশোনা করার জন্য যায়।
এখানে দেখা যায় আগের মানুষ বিভিন্ন বিনোদন এবং খেলাধুলা করার জন্য একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতো এবং এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বেড়াতে যেত। কিন্তু বর্তমান শিক্ষার্থীদের এই মোবাইল আসক্তির কারণে তারা মোবাইলের মধ্যে বিভিন্ন খেলাধুলা এবং বিনোদনের জন্য মোবাইল ব্যবহার করে।
আর তাদের এই সকল কিছুর উৎস মোবাইলের ভিতরে হয়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা সবসময় মোবাইলের সাথে সময় পাস করে। এবং তাদের ভালোলাগা এবং চাওয়া পাওয়ার অনেকটাই মোবাইলের সাথে সম্পর্কিত হয়ে যায়। কোন গান শুনতে চাইলে মোবাইল ব্যবহার করে গান শুনে। কোন কিছু করতে মন চাইলে মোবাইল ব্যবহার করে।
এ ধরনের আরো অনেক কাজ যেগুলো মোবাইলের মাধ্যমে করা যায় সেই সকল কাজের সাথে জড়িত থাকতে থাকতে তারা মোবাইলের সাথে আসক্ত হয়ে যায়। মোবাইল ব্যবহার করে অনেক মানুষ ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পোস্ট এবং বিভিন্ন বিনোদন মানুষের কাছে প্রচার করার জন্য এই মোবাইলের প্রতি বেশি আসক্ত হওয়া সম্ভাবনা দেখা যায়।
বর্তমানে অনেক মানুষ মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করে। এই কথা ভেবে অনেকেই আসক্ততার মত মোবাইলের পিছনে সময় দেয়। এবং প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মোবাইলের সাথে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে একজন শিক্ষার্থী মোবাইলের সাথে অতি পরিচিত ভাবে জড়িত হয়ে যায়। যার ফলে সে নিজেই বুঝতে পারে না সে কখন মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
অনেক মানুষ রয়েছে যারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে এমন একটা পর্যায়ে চলে যায় খাওয়া-দাওয়া পড়াশুন বা কারো সাথে কথা বলা কোথাও বেড়াতে যাওয়া সকল বিষয়ে মোবাইলের সাথে সংযুক্ত। তাদের বিষয়ে এবং আচরণগুলোকে মোবাইল আসক্ত হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করে। কিন্তু অনেকেই এটাকে সঠিক এবং ভালো দিক মনে করে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
দেখুনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ গুলো ব্যাখ্যা করা হলো
দেখুনঃ বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গোপন উপায়
দেখুনঃ
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ বিস্তারিত জানুন
শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল জানুন
শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল জানা উচিত। কারণ একজন মানুষ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে সমস্যায় পড়ে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ে। একজন শিশু মোবাইলে আসক্ত হলে যেই প্রধান কারণ এবং সমস্যাগুলো হয় জানুন। কারণ একজন মানুষের মোবাইল আসক্তির জন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় যে সমস্যাগুলো শিশুর জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।
- শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল পড়াশোনা নষ্ট হয়ে যায়।
- ভবিষ্যৎ কোন কাজ করার প্রতি আগ্রহ থাকে না। যার জন্য তাদের কর্মজীবনে অবনতি থেকে যায়।
- শিশুরা মোবাইলে আসক্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের আচরণ করে। যেমন, অনেক ছেলেরা কার্টুন দেখে, যারা কার্টুনের মত স্বভাব চরিত্র এবং কথাবার্তা বলার মত স্বভাব অর্জন করে।
- বাস্তবিক অভিজ্ঞতা কমে যায় এবং আবেগ এবং জেদ বেশি হয়ে যায়।
- খাওয়া-দাওয়া অনিয়ম হয়ে যায় এবং অপর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয়। তাদের ভাষা দক্ষতা কমে যায়।
- বাহিরে চলাফেরা খেলাধুলা এবং বিভিন্ন শারীরিক দক্ষতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একঘেয়েমি ভাবে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে।
- মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা এবং সংস্কৃতি দেখে তাদের মনে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির একটি মিশ্রণ এবং নানান ধরনের অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা এবং মতামতের সৃষ্টি হয়।
সুতরাং একজন শিশুকে মোবাইলের আসক্তি থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতার সাথে লালন পালন করতে হবে। সব সময় সর্তকতার সাথে তার প্রত্যেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেন সে একাকীত্বতা মনে না করে। এবং তার মন যেন মোবাইল কেন্দ্রিক বা বিভিন্ন ডিভাইস কেন্দ্রিক না হয়ে যায় সেজন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং কাজকর্মের সাথে সংযুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে এবং বাইরে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা জানুন
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা একজন ছাত্রের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। ছাত্রজীবনের মোবাইল ফোন উপকার করে তবে এর ব্যবহার যদি অতিরিক্ত হয় বা অপ্রয়োজনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের অনেক অপকারিতা রয়েছে। এর থেকে বাঁচার জন্য সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আপনি নিচে উল্লেখিত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যা একজন ছাত্রের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সমূহঃ
- ছাত্র জীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার আপনার মানসিক চিন্তা শক্তিকে নষ্ট করে দিতে পারে।
- ছাত্ররা তাদের স্কুল বা বিদ্যালয়ের সময় অমনোযোগী এবং পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যেতে পারে।
- ছাত্র অবস্থায় বেশি মোবাইল ব্যবহার করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং মানসিক রোগ হতে পারে।
- ছাত্র জীবনে আরো একটি প্রধান সমস্যা হতে পারে সেটা হচ্ছে তাদের ছাত্র হিসেবে যে ক্যারিয়ার থাকে সেই ক্যারিয়ারে আঘাত করতে পারে। এতে ভবিষ্যতে খারাপ হয়।
- অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা হয় যা একজন ছাত্রের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মোবাইলের আলোকরশ্মি চোখে পড়ে এবং এর থেকে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয় যাকে মাইগ্রেন বলে।
- মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ গবেষণায় দেখা গেছে ১২ থেকে ১৭ বছরের কিশোর-কিশোরীরা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে মোবাইলের রেডিয়েশন মস্তিষ্কে বিকাশে বাধা দেয়।
- শ্রবণ শক্তির সমস্যা হয়ে যায় তারা কম বয়সে কানে কম শোনার সমস্যায় ভোগে। আবার অনেক কিশোর কিশোরীর মধ্যে দেখা গেছে মানসিক এবং যৌনতায় বিভিন্ন অক্ষমতার সমস্যা দেখা দিছে। মোবাইলে অতিরিক্ত যৌনতামূলক বিভিন্ন ভিডিও দেখার ফলে তাদের এই সমস্যা হয়।
তাই অবশ্যই সচেতন এর সাথে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া কান, চোখ, নাক, মুখ সকল কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য পরিবেশ দরকার তাই সঠিক পরিবেশে সঠিক ভাবে জীবন যাপন করার জন্য মোবাইলের আসক্তি মূলক ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। এর থেকে দূরে থাকতে না পারলে আপনার জীবন এবং ক্যারিয়ার সকল কিছুই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। মোবাইলের ভার্চুয়াল জীবনে সকল কিছু ভাবা এবং করা সম্ভব কিন্তু বাস্তবিক জীবনে তা করা অত্যন্ত কঠিন তাই অবশ্যই আপনাকে বাস্তবিকভাবে জীবনযাপন করার জন্য সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল জানুন
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল জানা থাকলে এগুলো থেকে আপনি সঠিক উপকারিতা পাবেন। এবং ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে পারবেন। আপনি যদি একজন সচেতন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে কি কুফল হয় এবং কি সুবিধা বা সুফল হয় তা জানতে চাইবেন। আপনাদের সামনে কুফল এবং সুফল উপস্থাপন করলাম।
- ছাত্রদের সবচাইতে বেশি উপকার দেয় মোবাইল তা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য জানতে পারে।
- বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনীয় তথ্য যা মানুষ সচরাচর সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য সঠিক ধারণা দিতে পারে।
- পড়াশোনার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্য মোবাইল ব্যবহার হয়। ছাত্র তাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর বা বর্তমানে সকল বইয়ের প্রশ্নের উত্তর মোবাইলে গুগল সার্চ এর মাধ্যমে পাওয়া যায়।
- পড়াশোনা করার জন্য বই পত্র নিয়ে বেড়াতে হয় না। মোবাইল এর মাধ্যমেই সে সকল বইয়ের পড়াগুলো পড়া যায়।
- বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করা যায়। পড়াশোনার কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করে সরাসরি শিক্ষকদের সাথে কথা বলে তা সমাধান করা যায়।
- ছাত্র জীবনে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করা যায়। বর্তমান অনেক রকমের ওয়েবসাইট এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো ছাত্র অবস্থায় দুই তিন ঘন্টা কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
ছাত্র অবস্থায় বিভিন্ন আবেদন এবং অনলাইন বিভিন্ন কার্যকলাপ এবং পরীক্ষা সহ কলেজের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য মোবাইল ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আরো নানান ধরনের সুবিধা পাওয়ার জন্য মোবাইল ব্যবহার করা হয়। তবে এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে চলুন দেখে নিন।
আরো পড়ুনঃ
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন ১ মিনিটে কি উপায় জানুন
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের কুফল সমূহঃ
- মোবাইল ছাত্রদের জন্য প্রধান যে সমস্যা সৃষ্টি করে তা হচ্ছে মোবাইলের বিভিন্ন বিনোদন এবং ছবি দেখার প্রতি আসক্ত।
- মোবাইল দেখার ফলে মানুষ একক দৃঢ়তা এবং বিভিন্ন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়।
- ছাত্র জীবনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা এবং গল্পযোগ এবং বিভিন্ন পড়াশোনা বিষয়ে আলোচনা করার এই সুযোগটা নষ্ট হয়ে যায় মোবাইল ব্যবহার করে।
- আগের সময় মানুষ সেই সময়ে একে অপরের সাথে কথা বলত কিন্তু এখন বন্ধুরা একসাথে বসে থাকলেও একে অপরের সাথে কথা না বলে মোবাইলে সময় পার করে। এতে মানুষের বন্ধুত্ব এবং মাতৃত্ব এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার পরিমাণ কমে যায়।
- সামাজিক রীতি নীতি কে অবহেলা এবং বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রভাব দেখা যায়।
- দুনিয়াবী কাজকামের প্রতি মনোযোগী না হাওয়াই তারা কর্মজীবনে অনেক পিছিয়ে থাকে।
- পরিবারের প্রতি বিভিন্ন খারাপ আচরণ এবং পরিবারের ওপর জুলুম করে বিভিন্ন দাবি পূরণ করা এ ধরনের স্বভাব দেখা যায়।
ভালো-মন্দ এবং হেদায়েত জ্ঞান কমে যায়। অনেকে মানসিক রোগী হয়ে গেছে। পাশাপাশি শারীরিক মানসিক আরো নানান ধরনের সমস্যা হয় যেমন, কানে কম শোনা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করার কারণে, চোখে কম দেখা, ঘাড় এবং কোমরে ব্যথা এবং বিভিন্ন সমস্যা অনুভূত হওয়া। যা একজন ছাত্রের জন্য বিশেষ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন একজন ছাত্র তার মোবাইল আসক্ত জন্য মূল্যবান জীবনের কতকি হারিয়ে ফেলে।
মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন জানুন
মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ। কারণ একজন শিক্ষার্থী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহার করে অপ্রয়োজনে। যদি কেউ সঠিক উপায়ে সঠিক সময়মতো মোবাইলের ব্যবহার করে তাহলে সে মোবাইল ব্যবহার করে অনেক উর্ধ্ব পর্যায়ের জ্ঞান সংগ্রহ করতে পারবে। এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে অনুধাবন করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য এবং জ্ঞান অন্বেষণ করার জন্য ব্যবহার না করে।
প্রায় সকল শিক্ষার্থীরাই তাদের মোবাইল ব্যবহারকে বিভিন্ন বিনোদন এবং অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় দেয়। এর থেকে তাদের জীবনের মূল্যবান সময় যেমন কমে যায়। ঠিক তেমনি তাদের এই সময়কে না দেওয়ার কারণে একটি পর্যায়ে গিয়ে তাদেরকে সবচাইতে বেশি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। যে পরীক্ষা কে বাস্তবিক জীবন বলে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ মোবাইল অপ্রয়োজনে ব্যবহার করলে আপনি একটা সময় মানসিক রোগী হয়ে যেতে পারেন
বাচ্চাদের মোবাইল দেখলে কি হয় জানুন
বাচ্চাদের মোবাইল দেখলে কি হয় জানেন কি? আসলেই বাচ্চাদের মোবাইল দেখলে বিভিন্ন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল বাচ্চারা ছোট থেকেই মোবাইল বা বিনোদনের সকল ডিভাইসের সাথে সময় পার করে তাদের চিন্তাভাবনা কথাবার্তা এবং চলাফেরার ধরন বরণ সেই সকল চিত্র বিনোদন এবং কার্টুনের মত দেখা যায়।
অনেকেই রয়েছে যারা কার্টুন দেখতে পছন্দ করে। তাদের চিন্তা কথা বলার ভাষা এই ধরনের প্রভাব পড়ে। যেন তারা কান এবং সেখান অন্য কিছু শিখেছে। ছোট বাচ্চাদেরকে তাই সচেতন মূলক এবং জ্ঞান মূলক কাজ ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করতে না দেওয়া উচিত। তবে ব্যবহার করতে দিলে পরিমিত সময় দিতে হবে।
অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা খাবার বা বিভিন্ন কাজ করার কথা বললে বা বিভিন্ন কিছু করতে বললে তারা বিনিময়ে কাজটি করতে চায় কিন্তু মোবাইল টিপতে বা মোবাইল দেখতে শর্ত দেয়। এটা এক ধরনের আসক্তি তাই এই রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য আপনাকে বাচ্চার পিছনে মোবাইল না দিয়ে সময় দিতে হবে। যাতে সঠিক বিষয়টি বুঝতে পারে এবং সঠিক ব্যবহার করতে পারে।
২২সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
প্রশ্নঃ মোবাইল আসক্তির কারণ কী কী?
উত্তরঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে, শিশুদের স্মার্টফোনের আসক্তির কারণ মূলত সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সময় না কাটানো। এছাড়া খেলার মাঠের অভাব, খেলার সাথির অভাব, স্মার্টফোনে কার্টুন দেখা, স্মার্টফোনে গেম খেলা ইত্যাদি। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল, সামাজিক যোগাোযগমাধ্যম ও ইন্টারনেট গেম আসক্তি অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের আসক্তির মতোই হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব কী কী?
উত্তরঃ মোবাইল ডিভাইসের থেকে আমাদের শরীরে ও এক ধরনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। যা মাথাব্যথা, অনিদ্রা, অবসাদ, বমি বমি ভাব, ত্বক খসখসে করার সাথে ও ব্রেন টিউমার, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। আবার কানের পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডের টিউমারের সমস্যা আছে। এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস।
প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ১০টি ক্ষতিকর প্রভাব?
উত্তরঃ অনেক গবেষণায় সেল ফোন রেডিওফ্রিকোয়েন্সি বিকিরণের অসংখ্য প্রতিকূল প্রভাব দেখা গেছে। যার মধ্যে রয়ে, ১. মস্তিষ্কের ক্যান্সার বৃদ্ধি, ২.ডিএনএ ক্ষতি, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, ৩.রোগ প্রতিরোধ ৪.ক্ষমতার কর্মহীনতা, ৫.মস্তিষ্কের বিকাশে পরিবর্তন, ৬.ক্ষতিগ্রস্ত প্রজনন, ৭.ঘুমের পরিবর্তন, ৮.অতিসক্রিয়তা এবং ৯.স্মৃতিশক্তির ক্ষতি, মানসিক সমস্যা হয়।
প্রশ্নঃ ডিজিটাল আসক্তি কী?
উত্তরঃ ডিজিটাল আসক্তি হল বর্তমানের প্রযুক্তির ওপর মানুষের যে অসাভাবিক চাহিদা। যা ইন্টারনেট আসক্তি ডিসঅর্ডার ( আইএডি ), সমস্যাযুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার, বা প্যাথলজিকাল ইন্টারনেট ব্যবহার নামেও পরিচিত, ইন্টারনেটের একটি সমস্যাযুক্ত বাধ্যতামূলক ব্যবহার, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে , যা দীর্ঘ সময়ের জন্য একজন ব্যক্তির কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে।
প্রশ্নঃ অনলাইনে যুক্ত হলে কী কী ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে?
উত্তরঃ অতিরিক্ত ইন্টারনেট এর ব্যবহারের কারণে নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়া হতে পারে। এছাড়া বেশি সময় ধরে ডিভাইস ব্যবহারে পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা, চোখের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। মানসিক ঝুকি হয় একজন শিশুর মধ্যে ইন্টারনেটে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত চ্যাট রুম এবং সাইবার পর্ণের প্রতি আকর্ষণ বিশেষভাবে বেড়ে যায়।
প্রশ্নঃ কিভাবে ফোনের আসক্তি কমানো যায়?
উত্তরঃ নোটিফিকেশন কমান, ব্যবহারের সময় কমান, স্মর্টফোন ব্যবহার কমান। দিনে কতবার স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, তা নির্ধারণ করুন। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন দিনে ১৫ বারের বেশি স্মার্টফোন দেখবেন না। এ ছাড়া খাওয়া ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। বন্ধ করুন সোশ্যাল সাইট গুলো যা আপনার জন্য ক্ষতিকর।
প্রশ্নঃ মোবাইল দেখলে বাচ্চাদের কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ স্মার্টফোনে আসক্ত হলে বাচ্চাদের ঘন ঘন মেজাজ বদলে যায়। কারণ ছাড়াই রেগে যাওয়া, অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিত ঘুম, অমনোযোগিতা, ভুলে যাওয়া, ভাষার দক্ষতা বিকাশ না হওয়া এবং ভাইবোন, বাবা-মা ও খেলার সাথিদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাসহ বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়।
মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার নিয়ে শেষ মন্তব্য জানুন
মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আপনাদের সামনে বিশেষ কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছি। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার শিশুকে মোবাইলের আসক্তির হাত থেকে রক্ষা করবেন। তাদেরকে সময় পাস করার জন্য এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক বিষয়ে শেখানোর জন্য মোবাইলের পাশাপাশি বাইরে চলাফেরা এবং মানুষের সাথে কথা ও চলাফেরা করার শিক্ষা দিতে হবে।
প্রয়োজনে বাচ্চাদেরকে মাঝে মাঝে বাড়ির বাইরে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে এবং বাড়ির আশেপাশে তাদের সমবয়সী ও ছেলে মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করার জন্য উৎসাহ দিতে হবে। তাহলে আপনার বাচ্চা মোবাইলের আসক্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। এবং মোবাইলের সঠিক ব্যবহার করে তার জীবনকে সুন্দর এবং উজ্জ্বল করতে পারবে। সুতরাং এই উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার বাচ্চার পেছনে সময় দিতে হবে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url