হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানুন
হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, হাতির শুড় একটি অতি পরিচিত গাছ
এই গাছ কে আমরা প্রায় সবাই জাানি বা চিনি তাই এটা আমরা ব্যবহার করি।
এই গাছটির হাতির শুড় নাম হওয়ার কারণ এ গাছটির উপরে যে ফুল হয় সেটা কিছুটা
দেখতে হাতির শুড়ের মত হয়। ও সাদা ছোট ছোট ফুল ধরে ,এই লক্ষন দেখে গাছটি সহজে
চেনা যায় যে এটা হাতিরশুড়ের গাছ।
সূচিপ্রত্রঃ হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম যা জানবেন
- ভূমিকা
- হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
- হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
- হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও আপাং গাছের উপকারিতা কি
- লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- লজ্জাবতী গাছ কি কি কাজে লাগে?
- হাতির সুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
- হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়
- হাতির সুর গাছের ঔষধি গুন
- সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
- শেষ কথা
ভূমিকা
হাতির সুর একপ্রকার একবর্ষবীজী আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদ
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয় কেউ বলে হাতিশুড়ি কেউ বলে হস্তিসুড়ি
কেউ বলে শ্রী হস্তিনী কেউ বলে মহেশ্বরী ইত্যাদি। এই গাছ ১ বছর বয়সে দৃঢ় শাখার
নীতি উদ্ভিদ যা ১৫ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই গাছের পরিচিত
সম্পর্কে একটু জানুন।
এই গাছ কান্ড রুম যুক্ত যাতে একান্তর বিন্যস্ত ডিম্বাকার পাতা থাকে। কথাগুলো
গাঢ় সবুজ প্রকৃতির হয়, পত্রিপণ্ড অমসৃণ খসখসে হয়ে থাকে, আবার কিনারা ঢেউ
খেলানো উটকো গন্ধ পাওয়া যায়। আপনি কান্ডের শীর্ষে লম্বা ও বাঁকানো পুষ্পদন্ড
জুড়ে ছোট ছোট সাদা ফুল দেখতে পাবেন। এর বাঁকানো পুষ্পমন্ডিত জুড়ে ছোট ছোট
সাদা ফুলগুলো থেকে বীজ হয় এবং এই থেকে বংশবিস্তার করে।
আর এই পুষ্পদন্ড গুলো দেখতে হাতির সুরর মতো হয় তাই অনেকে এই গাছকে হাতিশুর
নামে ডাকে। এই ফুলের রং সাদা তবে বেগুনি ও হতে পারে আকৃতি অনেকটা মাইকের মত হয়
এর পাপড়ি থাকে এবং তাতে পাঁচটি খাস থাকে। এ গাছগুলো অনেকটা কলমে ফুলের মতো
সারাবছর ফুল ফোটে তবে বর্ষাকালে বেশি ফুটত দেখা যায়।
এই গাছ ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায় যেমন আপনার ত্বকের বিভিন্ন
সমস্যা। আবার আপনার মুখে বলুন মেছতা কালো দাগ এ ধরনের সমস্যা থাকলে এই পাতার
কান্ড কিসের রস ব্যবহার করলে সমাধান পাওয়া যায়। ফল ও বীজ ক্ষুদ্র এ গাছের
নানারকম জৈব উপাদান পাওয়া গেছে যেমন ইউডি সিন, পাইরোলি জি ডিন, অ্যালকো লাইড,
হেলিও তিন। এবং শিকরে আছে এসট্রাডিওল।
এর বিস্তার এশিয়া মহাদেশ ঝোপঝাড়ে রাস্তাঘাটের উচ্চ জায়গায় এবং আগাছা
হিসেবেই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। অপরি তত্ত্ব বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে
জন্মে অর্থনৈতিকভাবে এটি ভেষজ চিকিৎসায় বিভিন্ন সমস্যাই ব্যবহার হয় যেমন ক্ষত
ফোঁড়া চোখের কনজারভেটিভ এর চিকিৎসায়। এর মধ্যে পাইরোলিজিডিজিন অ্যালকোহলয়েড
বিষ থাকে। যা আপনার দেহে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে।
হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয় এটা অনেকেই জানতে চাই। প্রচলিত রীতি
অনুযায়ী বিভিন্ন মানুষের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন যে এই শিকড় কোমরে
বেঁধে রাখলে ব্যথা উপশম হয় শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
আবার এই শিকড় কোমরে বেঁধে রাখলে আপনার শারীরিক শক্তি অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে
মহিলাদের বার্ধক্য দূর করতে সাহায্য করে।
তাই আপনি হাতিশুর ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। যা
পর্যায়ক্রমে নিচের দিকে আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে
থাকেন তাহলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করবেন আর
প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন ক্ষত ও উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভালো করার জন্য
সবচাইতে উপযুক্ত হচ্ছে হাতি শুরের শিকড়।
হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা অপরিসীম যা জানলে আপনি অবাক হবেন। বেশি করে
অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে এটি হজমের সমস্যা সমাধান করে। আপনার শরীরে যদি ব্যথা
থাকে তাহলে শারীরিক ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। হাতি সুরের শিকড় আপনি যদি জ্বর
এবং শ্বাসকষ্ট সমস্যায় ভুগেন সেক্ষেত্রে এর রস খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে এর
রস খেলে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা কবে ও ব্যথা কমে
- কারো যদি ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে এই হাতে সুরের শিকড় খেতে পারেন অথবা এই গাছের পাতা সেই ত্বকের জায়গায় রস করে পেস্ট আকারে লাগিয়ে রাখুন।
- এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য হাতিশুর গাছের রস খেতে পারেন।
- ত্বকের সমস্যায় এটা উপশম করে ত্বকের ক্ষত আলসার এবং ছোড়া ছাড়ানোর জন্য এর রস অত্যন্ত উপকারী।
- যদি কোন মানুষের দাঁতের মাড়ি ফোলা ভাব এবং রাতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যা থাকে তাহলে এই গাছের শিকড় ও পাতার রস খেতে পারে।
- হাতিশুড়ে গাছের শিকড়ের সাথে আপনি যদি সামান্য খাঁটি মধু মিশিয়ে খান তাহলে আপনার শরীরের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যৌন ক্ষমতাকে দ্বিগুণ করে তুলবে।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও কি ধরনের
উপকারিতা পায় সেই ধরনের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। এছাড়াও আপনি চাইলে হাদিস
সুর ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সমাধান করে আপনার জীবনের চলার কঠিন
মুহূর্তগুলোকে বার করতে পারবেন বিভিন্ন সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন
যা একবারে প্রাকৃতিক উপায়।
হাতিশুড় গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
হাতির শুড় এইগাছটি হয়তো আমাদের অনেকেরী চেনা। কিন্তু আমরা এর ব্যবহার
সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা। এই গাছটি কে বিবিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন ,হাতিশুড়ি,
হস্তীশুড়ি শ্রীহস্থীনী ইত্যাদি নামে আমরা গাছটিকে চেনে থাকি। এই গাছের বৈজ্ঞানিক
নাম কি হল heliotropium indicum,এবঙ ইংরেজী নাম হল
Indian Heliotrope
উদ্ভিদটি এশিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়।
উদ্ভিদ এমন একটি জিনিস যা প্রত্যেকটা মানুষেরই প্রয়োজন উদ্ভিদের উপকারিতা বলে
শেষ করা যাবে না। মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় বা
বিভিন্ন রোগব্যাধিতে ভুগে আরে সকল রোগ-ব্যাধি দূর করার জন্য প্রত্যেকটা উদ্ভিদের
এক বিশেষভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আমাদের দেশে পাওয়া যায় এমন একটি
উদ্ভিদ তার নাম হচ্ছে বাংলায় আমরা জানি হাতির শুড।
এবং এই গাছ ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকারিতা পেয়ে থাকি। বিভিন্ন
রোগবালাইয়ের সমাধানে এই গাছ ব্যবহার করা হয় হাতে সুরের বিশেষ কিছু উপকারিতা
রয়েছে যা প্রত্যেকটা মানুষেরই কোন না কোনভবে কাজে আসে। তাই এগা সম্পর্কে জানা
এবং এই গাছ সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান বা তথ্য সংগ্রহ করে রাখা আমি মনে করি প্রয়োজন
তাই আপনাদের জন্য এই পোস্টটি লিখলাম হাতির সুর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আপাং গাছের উপকারিতা কি
হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ছাড়া আপাং এর তাজা পাতা এর বহু গুন
রয়েছে। এই পাতার চিনির সাথে খেলে পাগল কুকুরের বিষ নষ্ট হয়ে কুকুর সুস্থ
হয়। এছাড়া এই পাতার পেষ্ট পোকা মাকড়ের কামড় খেলে সেখানে লাগিয়ে দিলে বিষ
মুক্ত হয়ে যায়। আবার কোথাও কেটে গেলে এই গাছের রস লাগিয়ে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে
যায়।
পৃথিবীতে নানা ধরনের গাছ রয়েছে সেই গাছগুলোর নানা রকমের উপকারিতা রয়েছে আপা
গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে থাকুন। এবং জেনে নিন আপাং গাছের
উপকারিতা সম্পর্কে। এই গাছের উপকারিতা গুলো অবশ্যই আপনার বিপদে আপদে কাজে আসতে
পারে হঠাৎ কোথাও কোন ভাবে কেটে গেলে দেখা যায় অনেক রক্ত বের হয়ে যায়।
কিন্তু রক্ত বন্ধ হতে চায় না অনেক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে হঠাৎ সেই রক্তটা
বন্ধ করা যায় না সরাসরি ডাক্তারের কাছে যেয়ে এসে রক্ত বন্ধ করার ওষুধ বা
প্রেসক্রিপশন নিতে হয়। আর এই আপন গাছের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন সেই সমাধান। যদি
আপনার কখনো কোথায় কেটে যায় তাহলে আপনি অবশ্যই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপাং গাছের রস ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাটা ছেড়াতে উপকার পাবেন। এছাড়াও
অনেক সময় দেখা যায় মানুষ অনেক ধরনের পোকামাকড়ের কামড় খায় এবং কি সেই কামড়
খাওয়ার ফলে কামড়ে স্থানে অনেক রকমের দাগ হয়ে যায় সেই সকল সমস্যা সমাধানের
জন্য এই আপাং পাতা ব্যবহার করতে পারেন এবং পেতে পারেন এই পাতার উপকারিতা। এই
উপকারিতা গুলো জেনে তবেই তো আপনি বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি
কিভাবে আপাং গাছ থেকে মানুষ উপকৃত হয়।
আপনার পছন্দ হতে পারে আর পোস্টের তালিকা
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের ও অনেক উপকারীতা আছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। কারো যদি রক্ত
ডাইরিয়া হয় তাহলে এই গাছের শিকড় গুড়া করে ৩ গ্রাম গুড়া দয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে এর
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই কাজ অনেক উপকারী গাছ এই গানটি নাও অত্যন্ত সহজ খুব
সহজেই বোঝা যায়।
যে এটি লজ্জাবতী গাছ এবং ব্যবহার করা যায় এই গাছের বিভিন্ন গুনাগুন যা আপনার
আমার সকলের জীবনে উপকারে আসে। এছাড়া এর গুড়া যাদের ডাইবেটিস রয়েছে তাদের জন্যে অনেক ভালো কাজ করে। লজ্জাবতী
গাছ আমাদের আরো অনেক ধরনের উপকারে আসে। এই লজ্জাবতী গাছ মানুষের অনেক ধরনের
উপকারে আসে।
যেমন শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য এই গাছ ব্যবহার করতে পারেন। শরীরের
বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যায় ও বিভিন্ন সমস্যা থাকলে এই গাছ ব্যবহার করতে পারেন।
এই গাছের কান্ড পাতা মূল সকল কিছুরই উপকারিতা রয়েছে আপনি ব্যবহার করলে
প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে এবং সেই সাথে জানতে হবে।
কোন বিষয় সম্পর্কে না জানি সেই বিষয়ে কাজ করা বা ধারণা বাক মন্তব্য করা অত্যন্ত
ভুল বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে সেই বিষয়গুলোতে কাজ করার অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। লজ্জাবতী গাছ সম্পর্কে জানার পরে আপনার সেই গাছের ব্যবহার করা উচিত
ঠিক আছে বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে যা আমাদের জানা এবং অজানা। শেষ করে লজ্জাবতী
গাছের শিকড়ের মাধ্যমে পাইলসের সমস্যা সমাধান করা যায়। সমস্যার কারণে পৃথিবীতে
অনেক ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।
লজ্জাবতী গাছ কি কি কাজে লাগে?
লজ্জাবতী গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে এর পাতা খেলে অনেক জটীল রোগ থেকে রক্ষা করে
টা হোলো গোলা বেথা , ক্ষত , আলসার ,অর্শ বা পাইলস এবং রক্তপাত জন্যে পাতা
খুব উপকারী। শাস্বকষ্ট , ডাইরিয়া, ও পাথর রোগের জন্যে বিশেষ উপকারী ওষুধ হিসেবে
কাজ করে এছড়া অতিরিক্ত প্রসারের সমস্যা হলেও এর মুল খেলে সম্পূন ভালো হয়ে যায়।
এ সকল কাজগুলোতে ব্যবহার হয় বলে এই গাছকে ঔষধি গাছ ও বলা যেতে পারে।
এই লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার করতে তেমন কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই শুধু জানতে হবে
যে কোন কাজের জন্য কি উপায়ে ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন
এবং উপকার পাবেন এই গাছ থেকে।
আলসার বা পাইলস এর মত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই গাছ ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক সময় দেখা যায় পাইলসের সমস্যার কারণে মানুষ হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে এবং
খরচ করে ফেলে সমাধান পাই না। সেই ধরনের মানুষের জন্য এই লজ্জাবতীর গাছ
অত্যন্ত উপকারী।
এছাড়া ডায়রিয়া অর্শ রক্তপাত সহ নানা ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে সমাধান করতে
সাহায্য করে লজ্জাবতী গাছ কান্ড পাতা সকল কিছুই কাজ করে ওষুধি গুণ হিসেবে।
আপনি যদি উল্লেখিত কোন সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে আপনি ব্যবহার করে এই সকল সমস্যা
থেকে সমাধান পেতে পারেন এবং জানতে পারেন যে লজ্জাবতী গাছের কত ক্ষমতা সেই
সম্পর্কে।
হাতির সুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম জানুন রোগ নিরাময় করার জন্যে অনেক ধরনের
উদ্ভিদ রয়েছে তার মধ্যে হাতির শুড় একটি প্রাচিন ভেজস উদ্ভিদ এর শিকড় খেয়ে অনেক
রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।এই গাছের শিকড় অনেক উপকারী
একটি উপাদান নচে আলোচনা করা হল, গাছটিকে মাটি থেকে ভালো করে তুলতে
হবে ও পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
এবং পেষ্ট করে বড়ি বানিয়ে বা এমনি তে খেতে পারেন। এটি সর্দি ,জ্বর ,কাসি, গলা
বেথা সহ আরো অনেক ধরনের রোগের জন্যে খাওয়া যায়। এই গাছের পাতাতেও রয়েছে অনেক
উপকারতিা। পাতা পেষ্ট করে মুকে লাগালে ব্রন মেচতা ,বিভিন্ন কালো দাগ মিশে যায়।
প্রতিদিন সকালে এর পাতা রস গরম করে খেলে সর্দি কাসি একবারে ভালো করে
দেয়।
তাই বলা যায় এই গাছের গুনের কোন শেষ নেই। নানান ধরনের নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম
গুলো ফলো করতে পারেন অথবা আমি যে নিয়মটি বলবো সেই নিয়মটি ও ক্লো করতে
পারেন। সর্দি কাশি বা গলা ব্যথার জন্য ব্যবহার করার নিয়ম হলো সকালে খালি
পেটে হাতির শুরের শিকড় তুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে
চিবিয়ে তার রস খেয়ে নিতে হবে।
সর্দি জ্বর কাশি সহ গলা ব্যথার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কাজ করবে। এই স্মরণে সমস্যা
রয়েছে তারা ইচ্ছে করলে ট্রাই করতে পারেন এবং আশা করি ফল পাবেন আপনার এসকল সমস্যা
দূর করতে সাহায্য করবে।
হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়
হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম, হাতির শুড় এই গাছটি অনেক উপকারী গাছ এই
গাছের সম্পকেৃ কম মানুষ জানে এর জন্যে এ গাছ সবাই দেকেও ব্যবহার করে না। এই গাচ
সবচেযে বেশি এশিযা মহাদেশে বেশি পাওয়া যায় ।এটি বিবিন্ন জঙ্গোলে বা
রাস্তার আশেপাশে ও দেখতে পাওয়া যায় এই গাছটি ১ বছর মেযাদি হয়ে জন্মায় এবং জঙ্গলের
সাথে মিশে থাকে তাই সহজে মানুসের চোখে পড়েনা।
এই গাছের অনেক ঠিকানা রয়েছে এই গান বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গাতেই পাওয়া যায়।
বিভিন্ন বড় বড় জঙ্গল বা রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন খেতেও এই গাছ জন্মাতে দেখা
যায় বাংলাদেশের প্রায় সকল এলাকাতে এই গাছ পাওয়া যায়। এবং অনেক ওষুধই উপকারিতা
আছে বলেই এই যা গাছকে মানুষ ব্যবহার করে। এই এমন একটি গাছ যে গাছের উপকারিতা আর
কোন শেষ নেই এই গাছ মানুষ ব্যবহার করে তাদের উপকারের জন্য।
আরো পড়ুনঃ নিমপাতার কি কি উপকার আছে
তাই এই গাছ ব্যবহার করার জন্য আপনি কোথায় পান সেই সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে তাই
উপরে জানিয়ে রাখলাম কিভাবে এই গাছ পাওয়া যায়। মানুষ ব্যবহার করতে পারি না এরকম
কিছুই নেই এবং করতে পারে না এরকম কিছু দুনিয়াতে আছে কিনা আমার জানা নেই। পোস্টটি
পড়ার মাধ্যমে হাতিশুঁড়ের উপকারিতা অপকারিতা আপনিও এই সুবিধা গুলো ভোগ করবেন আশা
করা যায়।
হাতির সুর গাছের ঔষধি গুন
হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম, হাতির শুড় গাছের গুণ সম্পর্কে ইতি মধ্যে
আরোচনা করেছি। এই উদ্ভিদ নানা ধরনের গুন আছে। এই গাছ বর্ত মানে অনেক পরিচিত
হয়েছে। এর গুনের কারণে ,গাছটির পাতা মুল কান্ড সহ সকল কিছু মানব শরীরের
জন্য অনেক উপকারী। ব্রণ , মেচতা কালো দাগ এরপাতা ব্যবহার করলে সমাধান হয় ।
এছাড়া শিকড় খেলে ও আনেক উপকার হয় । তাই বলা যায় এটি একটি উপকারী বৃক্ষ যার
গুণের কোনো শেষ নেই ।এই গাছের আরো অনেক গুন আছে যা মানুষের প্রতিনিয়ত কাজে লাগে।
হাতিশুর গাছের অনেক ওষুধি গুনাগুন রয়েছে এটি বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার
করা হয় কখনো মানুষের মুখের ব্রণ দূর করার জন্য এই গাছের পাতা ব্যবহার করা
হয়।
আবার কখনো এই গাছের ডাল ব্যবহার করা হয় মানুষের সর্দি কাশির জন্য গাছের ডাল
সংগ্রহ করার পর ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেওয়ার পরে এর থেকে রস বের করে
সেই রস খাওয়ার মাধ্যমে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো অনেক ওষুধি গুনাগুন
রয়েছে এই হাতিশুর গাছের। হাতিশুর গাছ খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার গলা ব্যথা
সারতে পারেন।
গলা ব্যথা সারানোর জন্য আপনাকে এই গাছের রস ব্যবহার করতে হয় কিছুদিন নিয়মিত
ব্যবহার করার ফলে আপনি অবশ্যই উপকারিতা পাবেন এবং আপনার গলা ব্যাথা ভালো হয়ে
যাবে। সর্দি-কাশি সহ আরো অনেক ধরনের উপকারের জন্য হাতির সুর ব্যবহার করা হয় এই
গাছের বহুবিদ উপকারিতা রয়েছে যা মানুষকে নানা দিক থেকে উপকৃত করে আসে।
সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
প্রশ্নঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খেলে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ হাতিশুঁড় গাছের উপকারিতা কী কী জানুন? যাদের ব্রণে সমস্যা
বা ব্রণ এর দাগ আছে তারা এই হাতিশুঁড় গাছের পাতা ও তার কচি ডাল বেটে স্নান
করার ৬০ মিনিট আগে ব্রণের ওপর লাগিয়ে নিন। এতে ব্রণের সমস্যা বা ব্রণ এর দাগ
দূর হবে। যেসব ব্যক্তিদের দাঁতের মাড়ি ফোলার সমস্যা আছে তারা এই গাছের শিকড়
চিবিয়ে খাবে এতে মাড়ি ফোলা কমে যাবে।
প্রশ্নঃ হাতিশুঁড় কি কাজে লাগে?
উত্তরঃ ভেষজ চিকিৎসায় অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে। এর পাতার রস ক্ষত,
ফোঁড়া, চোখের কনজাংটিভাইটিস - এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যা সবার জন্য ভাল।
প্রশ্নঃ হাতির শুঁড়ের অপর নাম কি?
উত্তরঃ প্রোবোসিস হল কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাকের বৈজ্ঞানিক
শব্দ, বিশেষ করে লম্বা এবং নমনীয় যেমন হাতির শুঁড় বা ট্যাপিরের থুতু মনে করা
হই।
প্রশ্নঃ হাতির সুর গাছ খাওয়ার নিয়ম কি?
উত্তরঃ সর্দি লাগলে এই হাতিশুঁড়ের পাতা ছেচে দুই চামচ পরিমাণ রস
খেলে সর্দি ভালো হবে। একজিমা থেকে মুক্তি পেতে হাতিশুঁড় গাছের পাতা থেঁতলে
আক্রান্ত স্থানে লাগালে কিছুদিন ব্যবহারে একজিমা সেরে যাবে। টাইফয়েড রোগে এই
উদ্ভিদটি পাতা হতে পারে কার্যকরী সমাধান। এর পাতার রস হালকা গরম করে পানি
মিশিয়ে খেলে টাইফয়েড ভালো হয়।
প্রশ্নঃ একটি ঔষধি গাছের নাম কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির
জন্য বহু শতাব্দী ধরে ঔষধি গাছ ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বাধিক পরিচিত কিছু ঔষধি
গাছের মধ্যে রয়েছে অ্যালোভেরা, তুলসি, নিম এবং অশ্বগন্ধা। এই ঔষধি গাছগুলি
শুধুমাত্র প্রাকৃতিক প্রতিকারই দেয় না বরং তাদের স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য
বৈজ্ঞানিক সমর্থনও রয়েছে যা আপনার জন্য ভালো উপায়।
প্রশ্নঃ লজ্জাবতী গাছের শিকড় খেলে কি হয়?
উত্তরঃ লজ্জাবতী লতার মূল-ও চিবিয়ে খাওয়া যায় যা কাশি সারায়।
যাঁদের গলার টনসিলের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও লজ্জাবতীর সাহায্য নিতে পারেন। ডাঃ
মালিক বলেন যে, লজ্জাবতী গাছের পাতা কাশি, কফ ও সর্দি দূর করতে খুবই কার্যকর।
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, সকালে লজ্জাবতীর পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে যা
দরকার।
প্রশ্নঃ কোন উদ্ভিদের মূল খাওয়া হয়?
উত্তরঃ গাজর, মূলা, বীটরুট, শালগম এবং আলু হল উদ্ভিদের উদাহরণ
যেখানে তাদের শিকড় সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয় মানুষের উপকারে।
প্রশ্নঃ উদ্ভিদের কোন অংশ খাওয়া যায়?
উত্তরঃ আমরা যখন পালং শাক খাই, তখন আমরা গাছের পাতা খাই। আমরা
স্কোয়াশ, শসা এবং টমেটো গাছের ফল খাই। আমরা যখন ভুট্টা বা মটর খাই তখন আমরা
বীজ খাই, এবং যখন আমরা মূলা বা গাজর খাই, তখন আমরা শিকড় খাই। ফুলকপি এবং
ব্রকলি গাছের ফুল উৎপন্ন করে যা আমরা খেতে পছন্দ করি।
প্রশ্নঃ উদ্ভিদের কিছু অংশ খাওয়া উচিত নয় কেন?
উত্তরঃ কিছু গাছপালা অখাদ্য এবং এতে বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে যা
আমাদের ক্ষতি করতে পারে । তাই সব গাছপালা খাওয়া ঠিক নয়।
শেষ কথা হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম নিয়ে
হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম পৃথিবীতে যত ধরনের উদ্বিদ রযেছে তারের
কোন না কোন গুণ আছে। তার মধ্যে আমরা কিছু গুণ সম্পর্কে জানি আবার
অনেক গুণ আছে যার সম্পর্কে আমরা এখনো জানতে পারি নাই। পৃথিবীতে নানান ধরনের
উদ্ভিদ রয়েছে তেমনি রয়েছে হাতিশুঁড় গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা।
এই গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি এবং এর সকল দিক সম্পর্কে
আমরা জেনেছি। তাই একটি সঠিক পরামর্শ নেওয়ার জন্য সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে
করি। হাতিশুর গাছের উপকারিতা নেওয়ার জন্য হাদিস সুরের উপকারিতা এবং অপকারিতা
সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যক।
সঠিক উপকার পেতে হলে সঠিক পরামর্শ জানতে হবে তাই সঠিক পরামর্শ জেনে যে কোন কাজ
করলে তার ফল সঠিক পাওয়া যায় আপনি যদি সঠিক ফলাফল পেতে চান তাহলে সঠিকভাবে
ব্যবহার করলে এবং সঠিক ফলাফল গ্রহণ করুন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url