আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা ও ১৪ টি রোগ মুক্তির উপায় জানুন
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পরিমাণ পুষ্টিগুণ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গুণাবলী। এই তিনটি ফলের মিশ্রণে একটি শক্তিশালী খাদ্য তৈরি করা হয় যাকে বলা হয় ত্রিফলার মিশ্রণ এবং এই ত্রিফলার মিশ্রণ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং উপকারী।
আর এই ত্রিফলা মিশ্রণ খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় উপাদান এর চাহিদা পূরণ করতে পারবে। এই আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা মধ্যে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রাখবো।
পোস্ট সুচিপত্রঃ আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা
- আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা
- আমলকির উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার জানুন
- হরতকির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ব্যবহার বৃধি জানুন
- বহেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সাথে ব্যবহারের উপায়
- দাঁতের যত্নে ত্রিফলার ব্যবহারের উপকারিতা
-
ওজন কমাতে ত্রিফলার উপকারিতা ও ব্যবহার
- ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে ব্যবহার করুন
- ত্রিফলার জলের উপকারিতা রয়েছে কি
- ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায় জানুন
- ত্রিফলার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
- ত্রিফলা পাউডার এর উপকারিতা
- ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা কি সে সম্পর্কে আলোচনা
- ত্রিফলার চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম কানুন
- ত্রিফলা কাদের খাওয়া উচিত নয়
- সকালে খালি পেটে ত্রিফলা খেলে কি হয়
-
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানউন
- ত্রিফলা কত দিন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও শেষ কথা
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবশ্যই এই আমলকি হরতকি ব্যবহার করতে আগ্রহী হবেন। কারণ এই আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই উপাদান মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে পেটের সমস্যা দূর করা যায়।
বর্তমানে মানুষের ভেজাল খাবার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের পেটে সমস্যা হয়ে থাকে সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আমলকি খাওয়া প্রয়োজন। হরিতকি এই ফলের মধ্যে ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা একটা মানুষ শরীরের জন্য অনেক উপকারী উপাদান বয়ে নিয়ে আসে এই ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের বিভিন্ন প্রোটিনের চাহিদা।
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও বহেরা একটি ক্লোরোস্টল নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবেও কাজ করে এ বহেরা ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের কোন রেস্টুরেন্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। সাধারণত আমলকি হরিতকি বহেরা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঔষধি উপকরণ তৈরি করা হয় যাতে রয়েছে।
একাধিক ভিটামিনের উৎস এবং রোগ প্রতিরোধ করার মত ক্ষমতা যা অনেক ধরনের রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এর সাথে এই ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে গেলিক অ্যাসিড, ইলেগিক এসিড, চেবুলিনিক এসিড, যা ত্বক এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যাদের চুল এবং ত্বকের সমস্যা রয়েছে তারা এই ফলটি নিয়মিত ব্যবহার করে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এই ফলগুলো খাওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবে না একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে এই ফলগুলো প্রস্তুত করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন তাতে আপনার তেমন কোন অসুবিধা হবে না বলে আমি মনে করি একটি সহজ উপায় আমি এখন শেয়ার করব আপনাদের সামনে যে উপায়ে আপনি ব্যবহার করলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
হরিতকি খাওয়ার জন্য আপনাকে হরিতকী গুড়া করে নিতে হবে এবং আমলকি ও বহেরার গুড়া করে নিতে হবে এবং সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে, একটি পাত্রে রাখতে হবে এবং মিশ্রিত উপাদান গুলো ক্যাপসুল আকারে তৈরি করে ও খেতে পারেন, এছাড়াও সে উপকরণগুলো পানি গরম করে অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে ও খেতে পারা যায়।
আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই হরিতকী আমলকি ও বহেরার উপকারিতা আপনার জীবনের সকল দুর্বলতা দুর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিচের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।
আমলকির উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার জানুন
আমলকি অতি পরিচিত একটি ভেষজ ঔষুধ যা আপনার শরিরের অনেক উপকার করে। আমলকির পাতা ফল দুই টা মানুষের উপকারেরন জন্য ব্যবহার হয়। আমলকিতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকে যা পেয়ারার চেয়ে অনেক বেশি, এমনকি কলা, আপেলের থেকেও বেশি ভিটামিন থাকে। একজন মানুষের গড়ে ৩০গ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া দরকার।
আর এর চাহিদা পুরণ করতে শুধু দুইটি আমলকি খেলেই তা পুরণ করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিজেন আছে যা আমাদের শরিরে কনেক সমস্যা দুর করে। শরীরে দুষিত টক্সিন দুর করে। আরো পেতের সমস্যা ভালো করে। আরো যে যে উপকারিতা আচছে তা জেনে নিন।
- আমলকি কাঁচা খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পুরণ করে।
- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপকার করে ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
- হৃদ যন্ত্র ও মস্তিষ্ক শক্তিশালি করে।
- শুকনো কাশির ভালো কর।
- বহু মুত্রের রোগে এর ব্যবহার করতে পারেন।
- এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দুর করে।
- বহু মুত্র ভালো করে।
- অকালে চুল পড়া রোধ করে।
- আবার মুখের রুচি ভালো করে এই আমলকি।
এতোক্ষন জানলেন আমলকির উপকারিতা তবে একখন জানবো এর কি কি ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে যা আপনাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
- অতিরিক্ত আমলকি খেলে কষা হয় ও কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে।
- আবার এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাটঠিন্য রোগ তৈরি করতে পারে।
- এই আমলকি মানুষের শরীরের তেপমাত্রা কমায় দেয় যার ফলে সর্দি জ্বর হতে পারে।
- আবার একসাথে বেশি খেলে পেটের সমস্যা তঐরি করে।
সুতরাং আপনি যদি এই আমলকি ব্যবহার করে উপকারীতা পেতে চান তাহলে এর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে এর সঠিক উপকারিতা পাবেন না। তাই আশা করি উপরে উল্লেখিত উপকারীতা পাওয়ার জন্য নিয়ম অনুসরণ করুন যা আপনাকে সঠিক উপকারিতা দেবে।
হরতকির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ব্যবহার বৃধি জানুন
হরতকির উপকারিতা ও অপকারিতা পেতে আপনাকে এর সম্পর্কে জানতে হবে। এর অনেক উপকারি গুন রয়েছে যা পেতে আপনি এর ফল বীজ ও পাতা ব্যবহার করতে পারবেন। এতে পর্যাপ্ত পরিমান এন্টি অক্সিজেন আছে যা অনেক উপকারি একটি মানুষের জন্য। পেতের সুস্থতা রক্ষা করতে ও নিচে উল্লেখিত রোগ মুক্তি পেতে পারেন।
- এটি গুড়া করে পানিতে ভিজিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়।
- এলার্জি বা চুল্কানি বাড়ায়।
- হরতকির গুড়া নাকেলের তেলের সাথে মিশিয়ে দিলে আপনি মাথা ও চুলের জন্য উপকার পাবেন।
- দাঁতের জন্য বেশি উপকার করে এর গুড়া।
- কারো গলা ব্যথা হলে এই সমস্যা দুর করে হরতকি।
- পিত্তশুল দুর করতে ঘি এর সাথে খেতে হবে।
এর এই উপকারিতা পাশে কিছু ক্ষতির বিশষয় জানা দরকার। তাই দেখেনিন কি কি ক্ষতি আছের।
- গর্ভবতি ও কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য হরতকি ক্ষতি কর।
- প্রতিদিন খেলে নানান সমস্যা হতে পারে তাই মাঝে মাঝে খেতে হবে।
- আবার সকল সমস্যা থেকে বাচতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
বহেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সাথে ব্যবহারের উপায়
বহেরা একটি অতি উপকারি ফল এর উপকারিতা পেতে আপনি নিয়ম করে ব্যবহার করবেন। এই গাছের ফল গুলো বেশি ভাগ দুই ধরনের হয়। একটি হল গোল ও অপরটি হল ডিম্বাকৃতি। তবে এর অনেক উপকারিতা আছে যা আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে বহেরা পেশি ও অস্থিকে শক্তিশালি করতে পারেন। তাই এর উপকারিতা দেখুন।
- যাদের আমাশা আচছে তারা এর ব্যবহার করে সমাধান পাবেন। এর জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে এর গুড়া মিশিয়ে খেতে হবে।
- চুল পড়া রোধ করে। এর জন্য বহেরার বিচি বের করে এর ফল পিষে মাথার চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া ও চুলের সব সমস্যা দুর করে। কারো যদি অকালে টাক পড়ে তা থেকে বাচতে এর ব্যবহার করুন।
- আবার ফুলা কমানোর জন্য এর শ্বাস বাদ দিয়ে শুধু উপরের অংশ পিষে ফুলায় লাগালে এর থেকে উপকার পাওয়া যায়।
এর উপকারিতা পেতে হলে আপনাকে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে,। তাছাড়া কিচছু ক্ষতির স্মমুখিন হতে পারে। তাই সাবধাণতা অব্লম্বন করে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে যা আপনার অনেক উপকার করবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
দাঁতের যত্নে ত্রিফলার ব্যবহারের উপকারিতা
দাঁত আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্ব পুর্ণ যাব্যবহার করে আমরা আমাদের শরীরের অনেক উওকার পায়। আপনার দাঁতে ব্যথা, দাঁত ক্ষয় , দাতের রক্ত পড়া সকল কিছু ভালো করার জন্য এই ত্রিফলা অনেক উপকারিতা দেয় যা আমাদের দাঁতের জন্য।
আপনি এর উপকারিতা সঠিক ভাবে পেতে হলে এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়তে পারেন এখানে উপস্থাপন করা আছে। মুখের দুর্গন্ধ থাকলে এর ফল ব্যবহার করুন যা আপনার জীবনের জন্য মুখের দুর্গন্ধ দুর করে। দাতের হলদে ভাব ভালো করতে পারে।
ওজন কমাতে ত্রিফলার উপকারিতা ও ব্যবহার
মানুষের শরীরে ওজন কমাতে ত্রিফলার ব্যবহার করুন। বতর্মানে এই সমস্যা অনেক বেশি তাই আপনি ত্রিফলা খেয়ে শরীরের ওজন কমাতে পারে। আপনার খাওয়ার তালিকায় প্রতিদিন এই ফল রাখুন যা আপনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে। এই ত্রিফলা হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে, পেতের সব সকল সমস্যা দুর করে।
আপনার শরীরে ওজনের সঠিক মাপ বজায় রাখতে আপনি এর ফল খান। আবার আপনার যদি চোখের
সমস্যা থাকে তা ভালো করতে এর ব্যবহার করুন। চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখা, রাত কানা
রোগ ভালো করতে এর ত্রিফলার ব্যবহার অনেক কর্যকারিতা দেয়।
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে ব্যবহার করুন
আমলকি হরতকি বহেরার উপকারিতা বাবার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে এই ফলগুলোকে গুঁড়ো মিশ্রন করে নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাওয়া যায় এই মিশ্রণ কে বলা হয় ত্রিফলা। ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে ব্যবহার করুন তাহলে আপনি অবশ্যই সঠিক ফলাফল পাবেন। অনেকে অনেক ধরনের নিয়ম ব্যবহার করে এই ত্রিফলা খাওয়ার জন্য আসলে ত্রিফলা খাওয়ার কোন আদর্শ নিয়ম বা ডোজ নেই।
আর পড়ুনঃ পুদিনা সিরাপ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ৯টি গুনুগুণ
ত্রিফলা পাউডার আকারে বা জুস আকারে এবং ক্যাপসুল আকারেও খাওয়া যায় এই মিশ্রণটির ভিতরে রয়েছে অজস্র ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ উপাদান। যা আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রোগ মুক্তি করবে এবং সুস্থ জীবন গঠনে সাহায্য করবে তাই আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন তৈরি এবং ছোটখাটো রোগে ভুগে থাকেন তাহলে এই আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা গ্রহণ করবেন।
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মধ্যে আরো একটি নিয়ম রয়েছে যা বিশেষজ্ঞদের মতে এই ত্রিফলার থেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে খালি পেটে ত্রিফলা খাবার অভ্যাস তৈরি করতে হবে তাহলে সবচাইতে বেশি উপকারিতা পাবেন। প্রতিদিন নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠবেন সুস্বাস্থ্যবান এবং রোগমুক্ত মানুষ তাই দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করে দিন এই সহজ ফর্মুলাটি ব্যবহার করতে।
ত্রিফলার জলের উপকারিতা রয়েছে কি
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা রয়েছে, এছাড়াও ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে ব্যবহার করলে অনেক ধরনের রোগ মুক্ত এবং বিশেষভাবে পেটের সমস্যা থাকলে ভালো হয়ে যায়। আরো বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন ত্রিফলার জলের উপকারিতা। ত্রিফলা জলের উপকারিতা রয়েছে দাঁতের সুস্থতা রক্ষা বিশেষ উন্নত জাকির না আর মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে এবং মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া মানুষের দাঁতের বা মুখের বিভিন্ন সমস্যা কে ধরে রাখতে সাহায্য করে এই ত্রিফলার জলের উপকারিতার গুণ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন এই ত্রিফলা জলের এটি মানুষের শরীরের মেদ ঝরাতে বিশেষভাবে কাজ করে। তাই যারা বেশি ওজন নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য এই ত্রিফলা রসের উপকারিতা অপরিসীম বা অপরিহার্য। ত্রিফলা জলের উপকারিতা এর মধ্যে যেই বিষয়গুলো অন্যতম তা হলো,
হজম শক্তি ভালো করতে সাহায্য করে ত্রিফলার জল, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সুস্থ রাখে। দাঁতের সুরক্ষা দেয় এছাড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা বা চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে চাইলে এটি কলার ভেজানো জল খেতে পারেন তাহলে বিশেষ উপকারিতা পাবেন বলে আশা করা যায় এই উপায়গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন। এই ত্রিফলা জলের মধ্যে রয়েছে হাজারো গুনাগুন।
এছাড়াও গবেষণা করে আরো অনেক তথ্য পাওয়া গেছে যার মধ্যে রয়েছে গ্যাসের সমস্যা সমাধানে কাজে লাগে এই ত্রিফলার জল। উল্লেখিত সকল উপকার পাবেন শুধুমাত্র এই ত্রিফলা জল ব্যবহার করার মাধ্যমে এ জলের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে যা ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি এসকল সমস্যায় পড়ে থাকেন বা আপনার প্রয়োজন মনে হয় তাহলে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী ত্রিফলার জল বা ত্রিফলা ব্যবহার করতে পারেন।
ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায় জানুন
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা মধ্যে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যে ধরনের উপকারিতা প্রত্যেকটি মানুষের প্রয়োজন পড়ে তাই আপনি আমলকি হরিতকি বহেরার মিশ্রণের উপকারিতা বা ত্রিফলার উপকারিতা পেতে চাইলে এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন এটা প্রতিদিন ব্যবহারে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। ত্রিফলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ।
আরো পড়ুনঃ পালং শাকে কি এলার্জি আছে
সকল বয়সের এবং সকল শ্রেণীর মানুষের ত্রিফলা ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্দেশনা রয়েছে যে গর্ভবতী মা বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের ত্রিফলা খাওয়া থেকে বিরত থাকায় ভালো কারণ ত্রিফলার মধ্যে হরিতকী আমলকি এবং বহেরা রয়েছে এর মধ্যে হরিতকি রয়েছে যার কিছু উপাদানের কারণে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হতে পারে বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে তাই বিজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী গর্ভবতী মায়ের এড়িয়ে চলাই ভালো।
ত্রিফলার উপকারিতা রয়েছে এবং ত্রিফলার জলের উপকারিতা এসকল উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরে যে সকল উপকারিতা পাবেন তা হলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে লিভারে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থকে দূর করতেও সাহায্য করে। শরীরের ক্লোরোস্টল নিয়ন্ত্রণ করা এবং কমায়।
ত্রিফলার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা রয়েছে অনেক এই তিনটি ফলের মিশ্রণে যে মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে ত্রিফলা নামে অনেকেই চেনে বার্থডে কে থাকেন তাই এই ত্রিফলার অনেক উপকারিতা রয়েছে যা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ মুক্তির সম্পর্কেও ধারণা দেয়া হয়েছে এই পোস্টটিতে। ত্রিফলার এই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি একটি নিয়ম বা প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।
এটা অনেক উপায়ে ব্যবহার করা যায় এবং অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু মানুষের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করায় অন্যতম বলে আমি মনে করি। আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য মতে রোগব্যাধি ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলার জুড়ি নেই। এটি বহুকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালা নিয়ন্ত্রণ এবং সে সকল রোগ থেকে মুক্তির ওষুধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
এই আমলকি হরতকি বহেরার উপকারিতা সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য এই তিনটি ফলকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে একসঙ্গে মিশিয়ে যে মিশ্রণটি তৈরি করা হবে তাকে ত্রিফলা মিশ্রণ বলে। আর এই মিশ্রণটি ট্যাবলেট আকারে ও খাওয়া যায়, চায়ের মত গরম পানির সাথে ও খাওয়া যায়, অথবা ওষুধ খাওয়ার মত করে অল্প একটু নিয়ে পানির সাথে খেয়ে নিলেও হবে এক কথায় বলতে গেলে এটা যেকোনো উপায়ে খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে।
ত্রিফলা পাউডার এর উপকারিতা
ত্রিফলা পাউডার বলতে বোঝায় আমলকি হরিতকি বহেরার মিশ্রিত উপাদান কি এই উপাদানটি বিভিন্ন উপায়ে সেবন করা যায় সেই উপায় গুলোর মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে পাউডার হিসেবে ব্যবহার করা যায় এই পাউডার হিসেবে ব্যবহার করে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন যে উপকারিতা গুলো আপনার বিশেষ কাজে আসবে সেই উপকারিতা গুলোর মধ্যে যে উপকারিতাগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে এখন আলোচনা করবো চলুন জেনে নেয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ লটকনের উপকারিতা ও অপকারিতা ৮ টি কার্যকারী টিপস
- ত্রিফলা খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন তা হলো, ভিটামিন সি।
- হজম ভালো রাখে ত্রিপুরা ব্যতিক্রমী পাচক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত একটি ভেষজ ওষুধ।
- লিভার সুস্থ রাখে এবং লিভারের আবর্জনা পরিষ্কার করে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপকারিতা করে।
- দাঁত সুস্থ রাখে এবং দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে।
- চোখের জন্য ব্যবহার করুন ত্রিফলার পাউডার।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- ত্রিফলার ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
- এছাড়াও বাত বিরোধী হিসেবে কাজ করে।
- চুলের সমস্যায় কাজ করে ত্রিফলার জলের উপকারিতা।
উল্লেখিত সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন ত্রিফলা বা আমলকি হরিতকি বহেরার মিশ্রণ থেকে তৈরি ত্রিফলা। যা আপনার শরীরের বিভিন্ন মিরাবেল ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে আপনার শরীরকে সুস্থ এবং সবল রাখবে যা প্রত্যেকটা মানুষই আশা করে সুস্থ এবং সবল থাকতে।
ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা কি সে সম্পর্কে আলোচনা
ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা বা আমলকি হরতকি বহেরার উপকারিতা আমার জন্য আপনি ত্রিফলা চূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন। অতিরিক্ত মেদ ভুড়ি থাকলে নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে এই ত্রিফলা চূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
এছাড়াও ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার মাধ্যমে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এছাড়াও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা গেছে ত্রিফলার চূর্ণ ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং অর্শ ও চর্মরোগ প্রতিকার কার্যকরী। আরো কিছু রোগের সমস্যার সমাধান নিয়ে আসে এই ত্রিফলার চূর্ণ যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষীণ দৃষ্টি ও হৃদরোগের কার্যকরী ভূমিকা রাখে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে।
আশা করি ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে জানাতে পেরেছি এই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি ত্রিফলা চূর্ণ খেতে পারেন যা আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই দেরি না করে আপনি যদি ভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করা অন্বেষণ করে থাকেন তাহলে এই পদ্ধতি একবার ব্যবহার করে দেখুন আপনার অবশ্যই কাজে আসবে।
ত্রিফলার চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম কানুন
ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে তাহলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন এবং ত্রিপুরার চূর্ণ খাবার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। সাধারণত আমরা আমলকি হরিতকী বহেরার মিশ্রণ এর মাধ্যমে তৈরি করে থাকি ত্রিপুরার জন্য এই ত্রিফলা জন্য খেয়ে আবার অনেক মানুষ নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা এই ত্রিফলার রস খাওয়া থেকে দূরে থাকো। চলুন জেনে নেই ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম যাক নাকি সঠিক ফলাফল প্রদান করবে, এর জন্য আপনাকে হাফ চা চামচ পাউডার জলের সাথে মিশিয়ে সকালে অথবা রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে খেতে হবে। এছাড়াও আরব ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গুলো হচ্ছে ত্রিফলার আলাদা১:২:৪ অনুপাতে খেতে হব।
এবং বহেরা চূর্ণ টি খাওয়ার আগে আমলকি চিহ্নটি খাওয়ার পরে ও হরতকি চিহ্নটি খাওয়ার 2 থেকে 3 ঘন্টা পর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই সকল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন তাই আপনি যদি সঠিক ব্যবহার না জেনে থাকেন তাহলে এ ব্যবহারটি করে উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়। এ ত্রিফলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী।
ত্রিফলা কাদের খাওয়া উচিত নয়
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা পাওয়ার জন্য এই সকল উপকরণকে একসাথে চূর্ণ করে এক ধরনের মিশ্রণ তৈরি করা হয় যে মিশ্রনটিকে বলা হয় ত্রিফলা। ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চাহিদা পূরণ করা যায়। এই ত্রিফলা খাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞগণ যে মতামত প্রকাশ করেছেন সে মতামতগুলো জানা অবশ্যই আপনার প্রয়োজন।
তাদের মতে গর্ভবতী বা স্তনদানকারী মহিলাদের ত্রিফলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই ত্রিফলার মধ্যে রয়েছে হরিতকী যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে তবে এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও অনেকেই বলেন যে এই মিশ্রণটি খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই একটু সাবধানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে অবশ্যই ফল পাওয়া যাবে কিন্তু গর্ভধারিণী মায়েদের জন্য এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য নিরাপদ নয়।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি কোন ধরনের মানুষের জন্য এই ত্রিফলার প্রয়োজন হবে এবং কোন ধরনের মানুষের জন্য ত্রিফলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সেই সম্পর্কে। এই ত্রিফলা এমন একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মিশ্রণ যা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বদলায় দূর হয় এবং মানুষ নানাভাবে উপকারিতা পেয়ে থাকে তাই আপনিও যদি আমলকি হরতকি বহেরার উপকারিতা পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি পড়ে সকল নিয়ম-কানুন জেনে ব্যবহার করতে পারেন।
সকালে খালি পেটে ত্রিফলা খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে কিভাবে ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে সবচাইতে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় সে বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তাহলে আপনি ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাবেন। আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা পাওয়ার মাধ্যমে রোগ মুক্তি হয়।
প্রথমে রোজ খালি পেটে যদি ত্রিফলা ভেজানো জল খাওয়া যায় তাহলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকলে দূর হয় যাদের দাঁতের সমস্যা আছে তাদের জন্য বিশেষ উপকারিতা আনে এই ত্রিফলা মিশ্রণ। এছাড়া ত্রিফলার জল খাওয়ার মাধ্যমে মেটাবলিজমের হার সঠিক থাকে ও চোখের সমস্যায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যেমন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এই ত্রিফলার রস।
ত্রিফলা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে যেমন ডায়াবেটিস কোষ্ঠকাঠিন্য ইট রক্তচাপ ইত্যাদি। আমাদের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সাহায্য করে এই মিশ্রণটি এছাড়াও জরায়ুতে ভর এবং গ্রন্থি গঠন রোধ করতে এবং মহিলাদের জরায়ুর সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে আমলকি হরিতকি বহেরার মিশ্রণ। তাই এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনিও ব্যবহার করুন।
১৫সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানউন
প্রশ্নঃ সকালে খালি পেটে ত্রিফলা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ ত্রিফলার ভেজানো পানি হজমশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো পানি খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয় এবং হজমজনিত নানান অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এটিকে নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রশ্নঃ ত্রিফলা খেলে কি কোলেস্টেরল কমে?
উত্তরঃ ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে যা দুষিত টক্সিন বের করে দেয় এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত কতে সমর্থন করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে।
প্রশ্নঃ ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
উত্তরঃ সহজ নিয়ম এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ত্রিফলা চূর্ণ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। যা কারো কাছে বেশি ঝাঁজালো লাগলে মধু বা তালমিসরি যোগ করতে পারেন। অনেকে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করে থাকেন। এভাবে ও পান করতে পারেন যা অনেক উপকারি।
প্রশ্নঃ ত্রিফলা কী কী দিয়ে তৈরি?
উত্তরঃ ত্রিফলা তিন ফলের মিশ্রণ যা আমলকি, হরতকি, বহেরা দিয়ে তৈরি করা হয় যা আমাদের স্বাস্থের জন্য অনেক উওকারিতা দেয়।
প্রশ্নঃ ত্রিফলার অর্থ কী?
উত্তরঃ ত্রিফলা হল হরিতকী, বহেরা ও আমলকি এই তিনটি ফলের শুকনো গুঁড়া দিয়ে তৈরি। ত্রিফলা মানবদেহের বর্জ্য নিষ্কাশন করে ও দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে। কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য ও চর্মরোগের ঝুঁকি কমায় এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ ত্রিফলার অনুপাত কত?
উত্তরঃ শাঙ্গধর সংহিতা অনুসারে ত্রিফলার হলো এক ভাগ হরীতকী, দুই ভাগ বহেড়া এবং চার ভাগ আমলকীর মিশ্রণ। এই অনুপাতে (১:২:৪) তিন ফলের চূর্ণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্রিফলা চূর্ণ তৈরি হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা আমাদের ছোট বড় নানা রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে।
প্রশ্নঃ ত্রিফলা কি ধরনের ওষুধ?
উত্তরঃ ত্রিফলার শীর্ষ ১৪টি উপকারিতা আছে যা উপরে দেওয়া, ত্রিফলা হল ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস। এই ভিটামিনটি শ্বেত রক্তকণিকা তৈরির জন্য অপরিহার্য, যা ইমিউন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ত্রিফলা কত দিন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও শেষ কথা
আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা পাবার জন্য ত্রিফলা মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এবং উপরে ব্যবহার বিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি দূর হয় এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য অপরিহার্য উপাদান সরবরাহ করে। এবং এই ত্রিফলা খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন রোগ দূর হয়।
এছাড়াও এটি প্রাকৃতিক রেচনতন্ত্রের গতি বাড়াতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগ থেকে বাঁচার জন্য দুই থেকে তিন দিনের মতো ব্যবহার করলেই এর ফলাফল পেতে শুরু করে দিবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করার জন্য দুদিনের অথবা তিন দিনের বেশি ব্যবহার করলে বোঝা যায় যে কতটাই না কার্যকারী এই ত্রিফলা মিশ্রণটি। এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ভালো থাকুন এবং ব্যবহার করুন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url