ডেলিভারি পেইন উঠানোর ৭টি উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি জানুন
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানুন যা মানবদেহের জন্ম প্রক্রিয়ার সাথে জড়িয়ে আছে। তাই বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানলে আপনি অবশ্যই গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এই পোস্টটিতে আমরা জানবো কিভাবে ডেলিভারি পেইন উঠানো যায়। এবং ডেলিভারি পেইনের না ওঠার কারণ গুলো সম্পর্কে। এবং কি কি কারণে ডেলিভারি পেন উড়তে দেরি হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে চলুন জেনে নেই।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি
- ভুমিকা
- ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানুন
- ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় যা প্রকৃতিক উপায়
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়
- বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সমূহ
- প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় আরো জানুন
- গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ সমূহ
- জরায়ুর মুখ খোলার ঘরোয়া উপায়
- জরায়ু মুখ না খোলার কারণ
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময়
- ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয় জানুন
- ২২সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
ভুমিকা
সন্তান জন্ম দিতে যে ব্যথা সহ্য করতে হয় তা পৃথীবির সকল কষ্ঠের চাইতে বেশি কষ্ঠদায়ক। প্রতিটি মাকে এই কষ্ঠ সহ্য করে মা ডাক শুনতে হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় পার হয়ে গেলে এটাও একটা বিশাল সমস্যা। এই থেকে বাচতে কিচছু উপায় আছে যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
প্রেগ্নেন্সির এই সময়টা অনেক সচেতন থাকতে হবে। ডেলিভারি পেইন উঠানোর অনেক উপায় আছে যা সবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। তবে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করা সব থেকে ভালো। যেহেতু সবার শরীর আলাদা তাই সবার পেইন উঠার সময় ও আলাদা হবে। এই পর্যায়ের একটি শেষ সময় আছে। একজন মায়ের ক্ষেত্রে এমন হয় যে, ৩৯ সপ্তাহ হলে লেবার পেইন উঠানোর জন্য প্রস্তুন থাকুন।
এই সময় দেখা যায় মায়েদের শরীরকে ধিরে ধিরে লেবারের জন্য প্রস্তুন করে নিতে হবে। এই সময় তলপেট শক্ত হয়ে ব্রাক্সটন হিক্স হতে পারে। আবার বেক পেইন সহ নানান রমক ব্যথা হতে পারে যা থেকে আপনাকে বুজঝতে হবে। আপনার নরমাল ডেলিভারি হতে পারে। আবার কোন সমস্যা হলে যদি পেইন না উঠে, তাহলে কি করতে হবে তা নিচে জেনে নিন।
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানুন
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানা থাকলে। আপনার যদি ডেলিভারি ডেট পার হয়ে যায়। তবুও আপনি ডেলিভারি হয় না কেন? সেই বিষয় গুলো জানুন। সাধারণত একটি গর্ভবতী মায়ের ৪০ সপ্তাহের মধ্যে বা ২৮০ দিনের মধ্যে গর্ভকালীন সময়ের সমাপ্ত ঘটে। এই সময় অতিক্রম করার পরে যেই গর্ভাবস্থায় মায়ের সন্তান জন্মগ্রহণ করে না। তাদের ডেলিভারি পেইন উঠানোর বিশেষ উপায় গুলো পোস্টটিতে আলোচনা করবো।
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যখন থাকে তখন অনেক ধরনের যত্ন এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু এই সাবধানতা ও অবলম্বনে মাত্রা আরও বেড়ে যায় তখনই যখন সময় পার হয়ে যায়। কিন্তু ডেলিভারি পেইন ওঠে না সেই সময়। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য এই সময়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা একজন মায়ের জন্য জরুরী। ডেলিভারি পেন উঠানোর জন্য আপনাকে অনেক উপায় অবলম্বন করতে হতে পারে।
যে যে উপায়ে ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলো,
- প্রতিদিন সকাল বিকাল ব্যায়াম করতে হবে।
- পুষ্ঠিকর খাবার খেজুত খেতে হবে।
- বেশি বেশি পানি পান করা।
- ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহার করুন।
- নিপল স্টিমুলেশন।
- আকুপাংচার ও আকুপ্রেসার ব্যবহার করুন।
এই উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু কিছু উপাদান খুবই নরমাল এবং সহজ বা প্রাকৃতিক উপায়। আবার এই উপায়গুলোর মধ্যে কিছু কিছু উপায় রয়েছে যা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বা বিভিন্ন মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়। প্রথম অবস্থায় একজন ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে দেখে যে, ডেলিভারি ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ডেলিভারি পেইন ওঠে না। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা অনুযায়ী রিপোর্ট করা হয়।
এবং এই রিপোর্ট দেখে পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগণেরা। যে কি ধরনের সেবা গ্রহণ করবেন ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য এবং নরমাল ডেলিভারি করতে পারবে খুব সহজে। নিচে ধারাবাহিকভাবে সেই উপায় গুলো আলোচনা করা হলো, যাতে আপনি খুব সহজেই ডেলিভারি পেইন উঠাতে এই সম্পর্কে জানতে পারেন। যা আপনার গর্ভাবস্থায় অনেক কাজে আসবে।
তবে এর জন্য প্রথমত ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহার করে। একজন গর্ভাবস্থায় মায়ের ডেলিভারি পেইন উঠানোর বিশেষ উপায় গুলোর মধ্যে সবচাইতে সুবিধাজনক উপায় না হলেও এই উপায়ে মাধ্যমে অনেক সময় জরায়ুর মুখ নরম করে এবং ডেলিভারি পেন উঠাতে সাহায্য করে। এই ব্যবহারের জন্য অনেক সময় গর্ভস্থ মায়ের ঝুঁকি থাকে বিভিন্ন ধরনের তাই এটা ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়। আবার অনেক ঔষুধ ব্যবহার করাও হয়ে থাকে।
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় যা প্রকৃতিক উপায় জানুন
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় হল নিপল স্টিমুলেশন উপায়। এর মাধ্যমে একজন গর্ভস্থ মায়ের ডেলিভারি ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরেও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানো যায়। একজন গর্ভস্থ মায়ের শেষ সপ্তাহের দিকে নিয়মিতভাবে নিপল স্টিমুলেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ সংকোচন করতে সাহায্য করে। এবং এটা ব্যবহার করার কারণে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে এর ফলে ডেলিভারি পেইন উঠতে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
আকুপ্রেশার এর মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়ঃ এই উপায়টির মাধ্যমেও খুব স্বাভাবিকভাবেই ডেলিভারি পেইন উঠানো সম্ভব। একটা বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে যে যদি ডেট নির্ধারণ করতে ভুল হয়, অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি ডেট নির্ধারণ করতে ভুল করেছেন। যে সময় ডেট নির্ধারণ করতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার ডেট বা গণনা টি সঠিক আছে তাহলে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনার শিশুর জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে। কারণ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীরে থাকা শিশুর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময়ের আগে যদি সে দুনিয়াতে চলে আসে তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন ভুল না হয়। সেই দিকে নজর রাখলে তাহলেই একজন মানুষ ডেলিভারি পেইন উঠানোর প্রকৃতিক উপায় গুলো জেনে ডেলিভারি স্বাভাবিক বা নর্মাল অবস্থায় করাতে পারবে।
শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারি উঠানোর উপায় হল, একজন গর্ভবতী মায়ের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তার শরীরের কোন ধরনের সমস্যা বা বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ করা। এবং প্রতিদিন নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তাহলে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারবেন আপনার জরায়ুর মুখ খুলে যাবে খুব সহজেই আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে সক্ষম হবেন।
একজন মানুষ হাঁটাচলা করার মাধ্যমে ডেলিভারি পেন তুলতে পারে। কারণ গর্ভাবস্থার শেষের দিকে যদি সময় পেরিয়ে যায় তবুও যদি ডেলিভারি পের না ওঠে। তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত সকাল এবং রাত্রে হাটা চলাফেরা করার অভ্যাস করতে হবে তাহলেই দেখা যাবে যে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই আপনি যদি ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন।
এছাড়াও যে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি ডেলিভারি পেইন উঠানোর বিশেষ উপায় ব্যবহার করতে পারবেন তা হল খেজুর খাওয়া, খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে ডেলিভারি পেন উঠানো যায়। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে খেজুর বেশি বেশি পরিমাণ প্রতিদিন খাওয়ার মাধ্যমে আপনার জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করবে বা নরম হবে। যাতে আপনি ডেলিভারি পেন উঠানোর জন্য বিশেষ উপকারিতা পাবেন।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে সহবাস করার মাধ্যমে ডেলিভারি পেন উঠানো যায়। এর প্রভাবে লেবের পেইন উঠে যা জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করে। আবার এটা মানুসিক চাপ কমাতে ও সাহায্য করে। যৌন ক্রিয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ করে যা লেবার পেইন উটঠানোর জন্য অনেক উপকারি।
এছাড়া ছেলেদের স্পার্মে প্রোষ্টাগ্লান্ডিন হরমোন থাকে, যা সার্ভিক্স নরম করে, এই সম তাই সহবাস করলে নরমাল ডেলিভারি হয়। এই সময় যেহেত শরীর লেবারের জন্য প্রস্তুন হয় তাই এইগুলো পেইন উঠাতে উপকার করে। তাবে মায়ের শরীর যদি লেবারের জন্য প্রস্তুন না হয় তাহলে এগুলো তেমন কাজে আসে না। যে করণে অন্য সময় সেক্সুয়াল ইন্তারকোর্সে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
নিপল স্টিমুলেশন যা জরায়ুর সংকোচন করে কন্ট্রাকশন সুত্রপাত ঘটাতে পারে। মুলত নিপল স্টিমুলেশন অক্সিটোসিন নামক লাভ হরমন সাহায্য করে জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। এই ভাবেই মা যখন সন্তানকে ব্রেস্টফিড ক্করান, তখন্ব আক্সিটসিন হরমোন সাহায্য করে জরায়ুর সংকোচন ঘটীয়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে ও প্রসব পরবর্তি রক্ত ক্ষরন বন্ধ করে।
আকুপাংচার ও আকুপ্রেশার হল এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যা গর্ভবতি মায়ের শরীরে অনেক ধরনের যে ব্যথা থাকে তা কমাতে পারে। এর খানে কিছু পয়েন্ট আছে যে গুলো ম্যাসেজ করে অনেক উপকারীতা পাওয়া যায়। এটি গর্ভাবস্থার শেষে করলে বেশ উপকার মেলে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে সন্তান যেন পুর্ণ সময় পর্যন্ত থাকে তাহলে শিশুর মস্তিক পুর্ণ বিকাশিত হবে।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় কাজ
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় বা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় অনেক উপায় রয়েছে। সেই উপায়গুলো অবলম্বন করলে একজন মানুষের নরমাল ডেলিভারি হবে। প্রত্যেক মা এবং পরিবারই চাই যে একজন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি হোক। তাই বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের এই আশা পূর্ণ হয় না। কিন্তু আমি কিছু এমন টিপস আপনাদের সামনে শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি হবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারী টিপস
নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে, নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ করার মাধ্যমে, ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করার মাধ্যমে, শরীরের ওজন সঠিক মাত্রায় রাখার মাধ্যমে, সর্বদা মানসিক চাপমুক্ত থাকার মাধ্যমে, গর্ভকালীন সকল স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার মাধ্যমে, কে গেল এক্সারসাইজ করা সহ পেরিনিয়াল মেসেজ ইত্যাদি মাধ্যম, ব্যবহার করার মাধ্যমে। আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে পারেন।
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলোর মধ্যে এই উপায়গুলো অন্যতম। এই উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহারকারী একজন সন্তান নরমাল ডেলিভারি অবস্থায় জন্মগ্রহণ করলে মা এবং শিশু সকলেরই বিশেষ সুবিধা হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, সিজার বা বিভিন্ন ধরনের কাটাছিরা করতে হয় এর জন্য অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয় এবং মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকে তাই উপায় গুলো ব্যবহার করুন।
বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়
বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয় জানা থাকলে আপনি বলতে পারবেন যে, বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়। এবং কি ধরনের উপায়ে নরমাল ডেলিভারি করানো যায়। সে সকল বিষয় সম্পর্কে। একজন বাচ্চার ওজন যে পরিমাণে থাকলে নরমাল ডেলিভারি হয় সেটা জানাও দরকার কারণ অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সময় দেখা যায় মা ও শিশু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে।
অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় সিজার করতে হয় বা বিভিন্ন অপারেশন করতে হয়। সিজার বা বিভিন্ন অপারেশন ছাড়াই কিভাবে নরমাল ডেলিভারি করা যায়। সেই উপায়গুলো উপরে আলোচনা করেছি। সাধারণত জন্মের সময় একটি সুস্থ বাচ্চার ওজন ২.৫ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মায়ের প্রসবের রাস্তা যথেষ্ট প্রশস্ত হলে এবং কোন জটিলতা না থাকলে ওই ওজনের শিশু নরমাল ডেলিভারি করা যায়। কিন্তু ৪ কেজি ওজনের অতিরিক্ত ওজন হলে তা মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। তাই নরমাল ডেলিভারি করার জন্য বা ডেলিভারি পেইন যেন সঠিক সময় উঠে তা নিশ্চিত করার জন্য বাচ্চার স্বাস্থ্য বা ওজন ঠিক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভবতী মায়ের গর্ভস্থ শিশুর ওজন অতিরিক্ত হওয়ার কারণে মা ও শিশুর দুজনেই মারা গেছে। এমন অনেক নজির রয়েছে তাই আপনি যেন আপনার শিশুকে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে পারেন তার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করুন।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সমূহ
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার যেসকল লক্ষণ রয়েছে সে লক্ষণগুলো যদি আপনি জেনে থাকেন। তাহলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আপনার জানা অবশ্যই। কারণ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে, কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানো হয়। আরো জানবেন নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সমূহ কিভাবে নরমাল ডেলিভারি হয় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ এর মধ্যে রয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে সে সময় বেশি স্রাব বের হওয়া। সাধারণত যে ধরনের স্রাব বের হয় তার থেকে আলাদা ধরনের বের হওয়া। যেমন পানি পানি, আঠালো কিংবা রক্ত মিশ্রিত স্রাব বের হওয়া। এছাড়াও যোনিপথ দিয়ে রক্ত বের হওয়া বা অন্তর্বাসের ঝোপ ঝোপ রক্ত দেখতে পাওয়া এই লক্ষণগুলো সাথে পেট ব্যথা পরিমাণ হবে এতটাই বেশি যে মাসিকের ব্যথার মতো মোচড় অনুভব করবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও গোপন টিপস
তলপেটে প্রচুর পরিমাণে চাপ অনুভূত হবে এবং কোমর সহ বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা অনুভূত হবে। এছাড়াও যোনিপথ ও হয়ে থাকবে অনেক নরম। উল্লেখিত লক্ষণসমূহ একজন গর্ভস্থ মায়ের মধ্যে যখন দেখা দেবে তখন বুঝতে হবে যে তার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের হাটা চলাফেরা বা প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করলে অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি হয়।
প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় আরো জানুন
প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় সম্পর্কে জানা থাকলে অবশ্যই এই বিষয়ে অনেক উপকৃত হবে। একজন মানুষের ৪০ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যেই ডেলিভারি হয়ে থাকে। এই সপ্তাহে অতিক্রম করে ফেললে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিদর্শন অবলম্বন করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কি করতে হবে। প্রথমে আপনাকে একটি স্থানীয় মেডিকেল বা হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন শারীরিক রক্ত বা পেশাব সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে নিতে হবে।
এবং পরীক্ষা করা হয়ে গেলে ডাক্তারের মত অনুযায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় সেই বিষয়গুলো জেনে ব্যবহার করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় জরায়ুর মুখে বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আরো কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে আছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে একজন গর্ভস্থ মায়ের ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু গোপনিয়তা
এর জন্য হাটাহাঁটি করতে হবে এবং বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এছাড়াও খেজুর খেতে পারেন, সাথে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে যাতে করে। আপনি সঠিকভাবে সেই বিষয়গুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনি পান আপনার জীবনের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী আপনার এবং আপনার সন্তানের সুরক্ষা। আশা করি বোঝাতে পেরেছি প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত।
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ সমূহ জানুন
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ সমূহ। একজন গর্ভস্থ মা প্রায় ২৮০ দিন মত একজন সন্তানকে তার গর্ভে ধারণ করে রাখে। এবং এই সময়কাল পার হয়ে যাওয়ার পর আর সন্তান পেটে থাকতে চায় না বা পারেনা এই সময়ের মধ্যে অনেক সময় অনেক মেয়েদের ডেলিভারি হয় আবার অনেক মেয়েদের ডেলিভারি করানোর জন্য ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় খুঁজতে হয়।
এই উপায়গুলো অবলম্বন করে একজন গর্ভস্থ মা তার শিশু এবং নিজের জীবনকে রক্ষা করতে পারে। গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলা লক্ষণসমূহের মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তা হচ্ছে, আপনার যদি নরমাল ডেলিভারি হয় তাহলে যোনিপথ দিয়ে কিছু পরিমাণ স্রাব বের হবে এবং সাথে পানি পানি, আঠালো অথবা রক্ত মিশ্রিত স্রাব বের হতে পারে।
এছাড়াও এইসব সাধারণত পাতলা ও সাদা বা হলদে হয়ে থাকে। এছাড়াও মিউকাস প্লাগ যা প্রসব প্রক্রিয়ায় জরায়ু মুখ বড় হওয়ার ফলে বের হয় সেটি অনেক ঘন হবে এবং পরিমাণেও অনেক বেশি হবে। উল্লেখিত লক্ষণ গুলো যদি আপনার গর্ভাবস্থার শেষের দিকে বা প্রসব বেদনা ওঠার পূর্ব মুহূর্তে লক্ষণগুলো দেখা যায়।
তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন যে আপনার নরমাল ডেলিভারি হবে। উল্লেখিত বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে আপনি আপনার শিশু সন্তানের ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় অবলম্বন করে আপনার নরমাল ডেলিভারি করাতে সক্ষম হবেন। একজন মায়ের নরমাল ডেলিভারি হলে মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী।
জরায়ুর মুখ খোলার ঘরোয়া উপায় জানুন
জরায়ুর মুখ খোলার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খোলা যাই। এই উপায়গুলোর মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খুলে নরমাল ডেলিভারি করা যায়। এবং সে উপায় গুলো হচ্ছে, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে, শরীরের বিভিন্ন প্রোটিন ও ভিটামিন আমিষের চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ করে। শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে, স্বামীর সাথে সহবাস করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খোলা যায়।
এটা একটি প্রাচীন উপায় এই উপায়ে এর মাধ্যমে প্রাচীনকালে হাজারো শিশুর জন্ম হয়েছে। কারণ জরায়ুর মুখ খোলার জন্য তখন তেমন কোনো উপায় ছিল না সেই উপায় গুলো ব্যবহার করতে ও মানুষ জানত না। ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বা শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খোলার চেষ্টা করতো।
এবং অনেক সময় সার্থক হতো সেই চেষ্টা গুলো এবং নরমাল ডেলিভারি করতো সেই সময়কার মানুষেরা। বর্তমানে অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে এই ডেলিভারি করানোর জন্য কিন্তু আমার মতে ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা দরকার প্রত্যেক জনের। গর্ভাবস্থায় আপনি প্রতিদিন পিছনের দিকে ঝুঁকে থেকে যতটা সময় কাটানো সম্ভব সেই সময়টুকু কাটান।
তাহলে আপনার অবশ্যই এই নরমাল ডেলিভারি হবার মত সুভাগ্য মিলবে। এই উপায়টি কে বলা হয় লিনিং বা ঝুঁকে থাকা যা আপনার জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করবে। ব্যাক স্ট্রেচ প্রসব বেদনা কমানোর জন্য এই সেরা ব্যায়ামটি ব্যবহার করে থাকে অনেকেই। এফএম ব্যবহার করার মাধ্যমে পেশীর আটোসাটো ঢাকা দূর করতে সাহায্য করে।
এবং মেরুদন্ড কাজ এবং পায়ের পিছনের পেশীগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হাটাহাটি করার মাধ্যমে, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা নামা করে। আপনার হিপ বা পাছা কে উপরে নিচে তুলা নামা করে এই ব্যায়ামটি করতে হয়। যার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে প্রসবের ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য পেতে পারেন।
বাটারফ্লাইস, পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ, এক্সারসাইজ বল, স্কোয়াটিং, পেলভিক টিল্টস
ইতালি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যায়। গর্ভবতি মায়েদের জরায়ুর মুখ খুলার জন্য এই উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে লেবার পেইন উঠানোর জন্য আপনি ভালো করে আপনার শরিরে অবসস্থা পরীক্ষা করে নিবেন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই কাজ করুন।
জরায়ু মুখ না খোলার কারণ জানুন
ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় অবলম্বন করেও যদি জরায়ুর মুখ না খুলে। তাহলে যে কাজটি করতে হবে বা যে কারণে জরায়ু মুখ খুলে না সে কারণগুলো হলো একজন গর্ভবতী মা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেই সমস্যাগুলো এড়াতে হবে এবং অনেক সময় দেখা যায় সার্ভিকাল দুর্বলতার ক্ষেত্রে ব্যথা বা জরায়ু সংকোচন ছাড়াই জরায়ু অপসারণ এবং ক্ষয় হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
একটি স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় জরায়ু সংকোচনের প্রক্রিয়া হিসেবে প্রসারণ এবং বিস্ফোরণ ঘটে। গর্ভাবস্থার অগ্রগতির সাথে সাথে জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান চাপ দ্বারা জরায়ু মুখ খুলতে খেলে সার্ভিকাল দুর্বলতায় এর জন্য বাধা প্রদান করে। এবং এই সকল বাধার কারণে জরায়ুর মুখ খুলতে পারে না। এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এবং ডেলিভারি পেইন তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় এবং জরায়ুর মুখ যেন খুলে এবং নর্মাল ভাবে যেন ডেলিভারি হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হয়। তাহলে আপনিও জানতে পারবেন ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন যা একজন গর্ভবতি মায়ের জন্য অনেক উপকারি।
উল্লেখিত সকল কারণের জন্যই বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে, জরায়ুর মুখ বন্ধ থাকে ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। এসকল সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আপনি উল্লেখিত ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এই জানার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে ব্যবহার করে সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন এবং আপনি এবং আপনার শিশুকে সুরক্ষা এবং ঝুঁকিহীন ভাবে জন্ম দিতে পারবেন।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় জানুন
সাধারণত সবাই ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানতে চাই। শিশু যদি গর্ভ অবস্থায় ৩৭ তম সপ্তাহ পূরণ হওয়ার পরে জন্মায় তাহলে আমরা সাধারণত নরমাল ডেলিভারি বলে থাকি। এসময়ে আগে ডেলিভারি হলে তাকে বলা হয় অকাল প্রসব বা প্রিমেরিউড ডেলিভারি। সচরাচর গর্ভকালীন ৩৭ থেকে ৪২ তম সপ্তাহের মধ্যে নরমাল ডেলিভারি হলে মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়।
উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যখন ডেলিভারি হয় তখন সেই সিলভারকে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া এই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায় যে অনেক সময় ব্যথা উঠে না বা ডেলিভারি হয় না। তখন সেই ধরনের ডেলিভারি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হয়। প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সেই সকল ফলাফল দেখে চিকিৎসক পরামর্শ দেন।
যে কি ধরনের উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানোর হবে। সেই উপায়গুলো পোস্টের উপরের অংশে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি ভালোভাবে জেনে নিয়ে আপনার জীবনে ব্যবহার করতে পারবেন। সকল পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনার নরমাল ডেলিভারি হবে বলে পরামর্শ দিলাম। এই বিষয়গুলো গবেষণা করে দেখা গেছে যে অনেক সময় মানুষের ৪০ সপ্তাহ বা ৪২ সপ্তাহের বেশি হয়ে যায় তাদের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয় জানুন
ডেলিভারি পেইন উঠানোর বিশেষ উপায় জেনে সেই উপায় গুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই ডেলিভারি পেইন উঠবে। সাথে আরো কিছু পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনি যদি নরমাল ডেলিভারি করতে চান তাহলে উল্লেখিত তথ্যগুলো সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী কাজ করুন।
তাহলে অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি হবে বলে আশা করা যায়। এবার জানবো ছেলে সন্ধান কত সপ্তাহে হয়। সাধারণত ২৮০ দিনের পরে আর কোন শিশু মায়ের গর্ভে থাকে না এই সময়কালের ভিতরেই গর্ভস্থ শিশু দুনিয়াতে ভুমিষ্ট হয়। এই সময়কাল পেরিয়ে গেলে অনেক সময় দেখা যায় মৃত সে ছেলে বা মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
সকল শিশু একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে জন্মগ্রহণ করে কোন সমস্যা বা সার্বিক কোন ত্রুটি না থাকলে সকল ভ্রূণের বিকাশকালে এক সময় সেটা ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়ের জন্য কার্যকর। তাই আমরা ছেলে বা মেয়ে সকল বিষয়েই একই নিয়ম মেনে ডেলিভারি করতে পারবো। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কি কি উপায়ে ও জানতে পারবেন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে।
২২সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
প্রশ্নঃ কি কি খেলে নরমাল ডেলিভারি হয়?
উত্তরঃ নরমাল ডেলিভারির জন্য নারকেল, তাজা ফল, তাজা মাছ এবং চর্বিহীন মাংসের মতো খাবার পছন্দনীয় খাবার খেতে পারেন। তবে মদ, ধূমপান, মাদকদ্রব্য যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত। প্রতিরোধ করতে প্রচুর পানি পান করা জরুরি ও নিরূদন, শোথ, এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত যা নরমাল ভেলিভারি করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ কিভাবে বুঝবো প্রসব ব্যথা শুরু হয়েছে?
উত্তরঃ আপনি যদি না জানেন যে কি কি লক্ষণ হতে পারে। তাই জানুন প্রথম পর্যায়টি শুরু হয় খিঁচুনি যুক্ত পেট ব্যথা বা পিঠ ব্যথা দিয়ে যা প্রায় আধা মিনিট স্থায়ী হয়, তবে তা দশ থেকে ত্রিশ মিনিট পরপর চলতে থাকে। খিঁচুনি যুক্ত ব্যথা তীব্রতর হয়ে ওঠে ও সময়ের সাথে সাথে তা আরো ঘন ঘন হতে থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, সংকোচনের সাথে সাথে চাপ দেখা দিতে পারে। এই বিষয় গুলো দেখলে আপনি বুঝবেন প্রসবের লক্ষন।
প্রশ্নঃ ব্যথাহীন নরমাল ডেলিভারি কি নিরাপদ?
উত্তরঃ ব্যথাহীন স্বাভাবিক প্রসব যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অসংখ্য সুবিধা প্রদান করে। যা মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই নিরাপদ থাকার পাশাপাশি আরো আরামদায়ক ও নিয়ন্ত্রিত প্রসবের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
প্রশ্নঃ নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয়?
উত্তরঃ সাধারণত মায়ের নরমাল গর্ভাবস্থার ডেলিভারী প্রায় ২৮০ দিন বা ৪০ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তবে আপনার গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহের আগেই একটি অকাল বা অকাল জন্মগ্রহণকারী শিশু জন্মগ্রহণ করে। অত্যন্ত অকাল জন্মগ্রহণকারী শিশু ২৩ থেকে ২৮ সপ্তাহে জন্মগ্রহণ করে।
প্রশ্নঃ স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য কত মাস থেকে ব্যায়াম শুরু করতে হয়?
উত্তরঃ স্বাভাবিক ভাবে সন্তান প্রসব করলে প্রসবের পরের দিন থেকেই আপনি ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। তাই অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করলে সাধারণত ৬ মাস একটু সাবধানে থাকতে বলা হয়, সে ক্ষেত্রে পেটের উপর চাপ পড়ে এমন কোনও ব্যায়াম না করাই ভাল। এ ছাড়াও সাঁতার কাটা, রানিং, জগিংও করা যায়। তবে প্রথম ৬ সপ্তাহ হালকা ধরনের ব্যায়াম করাই শ্রেয় যা অতি সাধারণ।
প্রশ্নঃ বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ কি কি?
উত্তরঃ বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ গুলো দেখুন যা আপনার জানা থাকলে সাহস বাড়বে, তাই দেখুন এর লক্ষণ,
- স্তন নরম হয়ে যাওয়া।
- মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া।
- বমি-বমি ভাব বা বমি (প্রভাতকালীন অসুস্থতা) হয়।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
- ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া।
- চরম ক্লান্তি বোধ হওয...
- মাথাব্যথা করা।
- বুকজ্বালা করা।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় পানি কমে গেলে কিভাবে বুঝব?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় পানি কমে গেলে কিভাবে বুঝব তাহল, আপনি যদি AFI তরলটিকে ৫ সেন্টিমিটারের কম দেখায়, সুতরাং ২-৩ সেন্টিমিটার গভীরতায় তরল পকেটের অনুপস্থিতি বা ৫০০-৩২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় ৩৬ মিলি এর কম তরল পরিমাণ দেখায়।তাহলে অলিগোহাইড্রামনিওস সন্দেহ করা হয়। কম অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের অবস্থা গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে। যাইহোক, এটি শেষ ত্রৈমাসিকের সময় সবচেয়ে সাধারণ। এই সমস্যা হলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি কাজ করবেন।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়?
উত্তরঃ গর্ভবতী মহিলাদের তাদের ঘুমের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ডাক্তাররা তাদের শিশুর সাথে সর্বোত্তম রক্ত প্রবাহ পেতে তাদের ডান বা বাম যে কোন পাশে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। তারা সবচেয়ে আরামদায়ক ঘুমের অবস্থানে যাওয়ার জন্য বালিশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্নঃ কত মাসে বাচ্চা নড়াচড়া বুঝা যায়?
উত্তরঃ গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া বা কিক প্রথম যেদিন অন্তঃসত্ত্বা মা বুঝতে পারে, সেদিনকার অভিজ্ঞতার কোনো তুলনাই হয় না। তবে সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহে মা প্রথম পেটের ভেতর শিশুর নড়াচড়া বুঝতে শুরু করেন। একেক শিশুর নড়াচড়ার ধরন একেক ধরনের হয়। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে বা ২৮ থেকে ৩৬ সপ্তাহ গর্ভকালে সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া বোঝা যায়।
প্রশ্নঃ দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার সঠিক সময়?
উত্তরঃ বেশির ভাগ মানুষের দ্বীতীয় গর্ভাবস্থার জন্য বেশি সাব্ধান থাকতে হয়, এর জন্য উপযুক্ত সময় হল ১৮ থেকে ২৪ মাস। এই সময় সব চেয়ে বেশি ভালো সময় মনে করা হয় দ্বিতীয় বার সন্তান ধারনের জন্য। সর্বোচ্চ ৫ বছরের আগে দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার জন্য ভালো সময় মনে করা হয়।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি আরো আলোচনা করে সেই কিভাবে ডেলিভারি পেইন উঠানো হবে। এছাড়াও আলোচনা করেছি বিভিন্ন ডেলিভারি বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত। আরো আলোচনা করেছি নরমাল ডেলিভারি সম্পর্কে এবং কিভাবে নরমাল ডেলিভারি করা যায় সে সকল বিষয়ে সম্পর্কে। একজন মানুষ কখনোই চায় না যে সিজার করে বা বিভিন্ন ধরনের কাটাছেঁড়া করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়।
এতে করে উভয়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সাধারণত প্রত্যেকটা গর্ভবতী মা চায় যে তাদের নরমাল ডেলিভারি হোক। এতে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই লাভজনক হয় তাই আপনার শিশু এবং মাকে সুস্থ রাখতে উল্লিখিত বিষয়গুলো আপনার জীবনে ব্যবহার করেন তাহলে আপনিও এই নরমাল ডেলিভারি হওয়ার মজাটা পাবেন এবং সুস্থ এবং সুন্দর সন্তান জন্ম দিতে পারবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url