শরীরের গরম কমানোর উপায় - শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত জানুন

মানব শরীরের গরম কমানোর উপায় অনেকেই জানেনা। তাই আজকের আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিন কি কারণে শরীর গরম হয় এবং তাপমাত্রা কমানোর উপায় গুলো কি কি যা ব্যবহার করে শরীরকে স্বাভাবিক রাখা যায়।

শরীরের গরম কমানোর উপায় - শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত
আপনি যদি এ বিষয়গুলো না জানেন যে, মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন? ঘুম থেকে উঠার পর শরীর গরম থাকে কেন। শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় কেন। এছাড়া শরীরে গরম থাকলে কি হতে পারে সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ  শরীরের গরম কমানোর উপায় - শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত জানুন

ভূমিকা 

মানুষ একটি সামাজিক জীব। সমাজের বিভিন্ন পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। এভাবে চলতে চলতে অনেক সময় মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনগুলো ঘটার নানান কারণ রয়েছে যে কারণগুলো একটি শরীরে ঘটে যার জন্য শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়। মানব শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ এবং রোগ বাধিয়ে দেখা দেয়। 

বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীর গরম হতে পারে। শারীরিক কারণে মানুষের শরীর গরম হয় শরীরে প্রচুর পরিমাণ চর্বি জমে থাকার কারণে আপনি কোন কাজ করলে আপনার শরীর গরম হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। আবর যারা শরীরে বিভিন্ন পরিশ্রমী কাজ করার সাথে জড়িত তারাও শরীর দ্রুত গরম হয়। এই গরম স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে কিছু সময়ের পরে। তবে মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাপমাত্রা। 

স্বাগত গ্রীষ্মকালে মানুষ যে কোন কারণে শরীরে গরম অনুভূত করতে পারে। প্রচন্ড গরমে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগব্যাধি হয় যেমন ডায়রিয়ার প্রকোপ, শ্বাসকষ্ট নিউমোনিয়া, কাশি জন্ডিস সহ বিভিন্ন রোগ। তাই আমাদের এই সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য জানতে হবে এই শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হওয়ার পেছনের কারণ কি। কি কি উপায়ে অবলম্বন করলে আপনি আমি সবাই সহজেই শীতের এই তীব্র অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো। 

শরীরের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

মানব শরীরের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা উচিত। একজন মানুষের বিভিন্ন কারণে শরীরের এই সমস্যা হয়। সেটা শারীরিক অসুস্থতার কারণে হতে পারে অথবা বিভিন্ন পরিশ্রম বা শারীরিক বিভিন্ন ক্লান্তিময় পরিশ্রমে কাজ করার ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য সাময়িক যে উপায় গুলো রয়েছে পাশাপাশি কার্যকরী চিরস্থায়ী উপায় গুলো পর্যায়ক্রমে জেনে নিন। 

আরো পড়ুনঃ ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ ধনিয়া পাতা খাওয়ার নিয়ম জানুন

তবে শরীরের তাপ মানুষের প্রায় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়। সাধারণত মানুষের শরীরের তাপ এক্সপোজারের কারণে ঘটে। সাধারণত মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৬.৫ থেকে ৩৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়। যাকে ফারেনহাইট বস করলে ৯৭ থেকে ৯৭ ডিগ্রি হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ করে আপনি প্রচন্ড গরমের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। পর্যায়ক্রমে সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম।

  • শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করা অভ্যাস করতে হবে। 
  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি আপনি লবণ পানি অথবা স্যালাইন পানি খেতে পারেন। 
  • এছাড়াও শরীর গরম দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে চা খেতে পারেন। যেমন, তরমুজ, ডাব, পাকা কলা, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, শসা এই খাবারগুলো মানুষের শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করুন। 
  • মেন্থল ব্যবহার করতে পারেন তার শীতল বৈশিষ্ট্যর জন্য এটা অত্যন্ত বিখ্যাত। এই উপায়ে প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের তাপ কমানো যায় পেপার মিন্ট পান করা, সেবন করা যাতে মেন্থল বেশি থাকে। যা পিসির সংবেদন কে প্ররোচিত করে ও শীতল করে। এই পানীয় তৈরি করতে পারেন এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে বিভিন্ন সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় একবার তৈরি করে ঠান্ডা রাখার জন্য সারাদিন এটা খেতে পারেন। 
  • চন্দন ব্যবহার করতে পারেন। চন্দনের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে তা প্রাকৃতিকভাবে মানুষকে শীতল রাখে। এর জন্য আপনাকে পরিমাণমতো জল দুধের সাথে ২ টেবিল চামচ চন্দন পাউডার মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। হাতে কয়েক ফোটা গোলাপ জল দিতে পারেন। এবং এই উপকরণটি আপনার বুকে লাগান প্রাকৃতিক ভাবে শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে দেবার সময় ঠান্ডা দুধের সাথে দিতে হবে। 
  • শীতলী যোগব্যায়াম পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষের শরীর ও মনকে শান্ত এবং ঠান্ডা রাখা যায়। এর জন্য আপনাকে প্রথমেই শান্তভাবে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসতে হবে। এবার বন্ধ করে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস মুখ দিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে ছাড়ুন। প্রকৃতি কয়েক মিট করলে আপনার শরীর ঠান্ডা হবে। 
  • শীতের প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে শরীরকে এবং শরীরের ত্বকের বাঁচানোর জন্য আপনি অ্যালোভেরা জেল ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন এটা কয়েক মিনিট রেখে দেয়ার পর নর্মাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
  • আপনি মসলাদার মরিচ খেতে পারেন অথবা ঝাল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন শরীর শীতল রাখার জন্য। এই সময়ে একটি প্রক্রিয়া ঘটে আপনি যখন ঝাল বা মসলাদার খাবার গ্রহণ করেন তখন মস্তিষ্কে এক ধরনের সংকেত প্রেরণ হয় যে আপনার শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। তখন মস্তিষ্ক শরীরকে শীতল করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম বের করে এবং আস্তে আস্তে শরীর শীতল হয়। 
  • পেশার মতে সহজে বাটার মিল্ক ব্যবহার করে উচ্চ তাপমাত্রা কমাতে পারে। শরীরকে সারাদিন সুস্থ এবং ঠান্ডা রাখার জন্য সকালের নাস্তায় বাটার মিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে বিশেষ চিকিৎসকগণ।

গরমের বিশেষ আবহাওয়া আপনাকে আটা সাটা পোশাক এবং সূর্যের অত্যাধিক আলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের কঠোর হার্ডওয়ার্ক বা পরিশ্রম করার ফলে শরীরের তাপমাত্রা গরম হয়। এছাড়াও শারীরিক নিরাপদ ও বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যধির কারণে শরীরে তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এর কারণে ঘুম, আলসে ভাব, পেশিতে খিচুনি, মাথা ব্যথা এবং দ্রুত স্পন্দনের পরে সাধারণত দুর্বলতা হয়ে থাকে। 

তাই আপনাকে  ঢোলা এবং সুতির কাপড় পড়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি আপনার ক ছায়া যুক্ত এবং ভালো বায়ু চলাচল পরিবেশের সন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এছাড়াও উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন যা আপনাকে খুব সহজেই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা করবে। এই পদ্ধতিগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যা ১০০% কার্যকরী।

শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ জানুন

শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ এটা আমরা অনেকেই জানিনা। সাধারণত মানুষের শরীরে যে তাপমাত্রা তার পরিবর্তন হলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাই সাধারণত আমরা বলতেই পারি শরীর গরম থাকা একটি খারাপ লক্ষণ এর কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত মানুষ অনেক সময় এই সমস্যাগুলো অনুভব করে যার কারণ শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকা। 

  • শরীরে অতিরিক্ত তাপ হলে মাথা ঘোরা। 
  • বমি বমি ভাব।
  • মোরছা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া।
  • বেশি ব্যথা করা।
  • ভারি ভারি ঘাম হয়।
  • গ্লানি হয়।

বিষয়গুলো থেকে আপনি বুঝতেই পারছেন যে শরীর গরম থাকা একটি অস্বাভাবিক লক্ষণ। এর মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সাধারণত এই সমস্যাগুলো হওয়ার কারণ গুলি উল্লেখ করেছে। যে কারণগুলো থেকে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার শরীর গরম এই বিষয়টি কি কারনে হয় তা উপলব্ধি করতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনার উপকার করবে।

আরো পড়ুনঃ  মনমোহিনী গাছের পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

আবার বিভিন্ন ইনফেকশন বা প্রদাহ সৃষ্টি করেও শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়। এর ফলে মানুষের শরীরে জ্বর আসে যা হাইপারথাইরয়েডিজম জাবরাই শরীরের তাপমাত্রা দিয়ে পরিচালিত করে। তাই শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে শুরু করে যার ফলে শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বাইরে চলে যায়। এবং এটি অবশ্যই একটি খারাপ লক্ষণ তাই অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন 

মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন এটা অনেকেই জানতে চাই। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন মেয়েদের শরীর গরম থাকার কারণ তাহলে জেনে নিন। সাধারণত প্রত্যেকটা মানুষেরই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পরিবর্তন হওয়া উচিত। তবে এই পরিবর্তন যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। 

শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন লোক করা যায় যার অন্যতম কারণ হচ্ছে জ্বর, পিরিয়ড, হাইপার থাইরয়েডিজম, মেনোপজ গর্ভাবস্থা এনহইড্রোসিস। সাধারণত বয়সের কারণে শরীরে তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ কম বেশি হয়। বয়স বৃদ্ধির স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেটাবলিজম স্থির হতে থাকে। ধীর বিভাগ শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হ্রাস করে। 

যে কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরা হাইপোথ্যালামাস প্রবণতা হয়। তবে এসময় মেয়েদের কম বয়স থাকলে তাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ তাদের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। জেন্ডারের কারণে অনেক সময় হয়ে থাকে শারীরিক তাপমাত্রা পরিবর্তন। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের পেশির ভর কম সে তুলনায় তাদের চিত্রগুলো থেকে কম তাব উৎপন্ন হয়। 

যার কারণে পুরুষের তুলনায় মেয়েরা কম গরম অনুভব করে। ভারে হওয়া নির্দিষ্ট কারণ হচ্ছে বিভিন্ন নির্দিষ্ট হরমোনের পরিবর্তন। মেয়েদের শরীরের আকৃতির পুরো অনেক সময় তাদের শরীর গরম থাকার কারণ হয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায় মানুষের শরীরের তুলনায় সাথে তাপমাত্রার একটি বিশেষ ব্যাপার রয়েছে।

এ কারণগুলোর উপস্থিতিতে মহিলাদের শরীর গরম হয়ে থাকে। তবে শরীরের পরিবর্তনের একটি সাধারণ প্রভৃতি এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন মানসিক চাপের বৃদ্ধি, শারীরিক চাপের বৃদ্ধি, কঠোর পরিশ্রম, হৃদপিন্ডের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এ ধরনের সমস্যা থাকলে তাদের শরীর অতিরিক্ত গরম দেখা যায়। তাই আপনাকে বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেগুলোর উপরে আলোচনা করেছি সেই উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে তাহলে মেয়েদের শরীর গরম হওয়া থেকে বাঁচবেন।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির উপায় জানুন 

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি উপায় জানুন যা আপনার শরীরকে সঠিক তাপমাত্রায় রাখতে সাহায্য করবে। সাধারণত বিভিন্ন কারণে শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় যে বিষয়গুলো আপনাদের কে বোঝানোর ক্ষেত্রে উপরে উপস্থাপন করেছি। তবে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা অনেক সময় বিভিন্ন দুর্বলতা এবং শরীরের অপুষ্টি এবং প্রয়োজনীয় শক্তির ঘাটতি থাকার কারণে কমে যায়। 

সেই ক্ষেত্রে আপনি যে উপায়গুলো ব্যবহার করে শরীরে তাপমাত্রার বৃদ্ধি করতে পারবেন তা এখন জেনে নিন। একজন সুস্থ মানুষ তার শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন করার জন্য বা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত তালিকাভুক্ত অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে। যে খাবারগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকবে। 

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির উপায় জানুন
কারণ আমরা জানি আমাদের শরীরের একক যে বিষয়টা ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত। কণাগুলোকে শক্তি দ্বারা চালিত করতে হয়। আপনি যে খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করতে পারেন এর মধ্যে চর্বিহীন গরুর মাংস, মহিষের মাংস, রুটি বা পাস্তা, অনেকে ওটস খাই, হালকা মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা মিষ্টি আলু গোল আলু, ব্রকলি, মটরশুঁটির, মসুর ডাল এগুলো খেতে পারেন। 

পাশাপাশি খেতে পারেন বাদাম জাতীয় খাবার যা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে বিশেষ করে কাঠবাদাম কাজুবাদাম চর্বির একটি বিশেষ উৎস। আবার আপনি মনে চাইলে ডিম খেতে পারেন। যাকে শক্তি পাওয়ার হাউস বলে আধারণ  করা উপকরণ আদা। কেউ চাইলে শরীর গরম রাখার জন্য মধু খেতে পারে। নিয়মিত মধু খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শক্তি সঞ্চয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। 

এছাড়া আপনি রান্নার সময় একটু বেশি মসলা ব্যবহার করলে শরীর গরম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই এই ঘি ফ্রাই ফুড ব্যবহার করে শরীরের গরম রাখার জন্য। এ ছাড়া আপনি প্রতিদিন সকালে এক্সারসাইজ করতে পারেন। 

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর গরম থাকে কেন 

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর গরম থাকে এর বিশেষ কিছু কারণ আছে। শরীরের ঘুম থেকে ওঠার পেছনে বিভিন্ন কারণ ও প্রক্রিয়া জড়িত। ঘুম চক্র মানুষের ঘুমের পর্যায়ে আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। এই কাজটি ঘুম চক্র দ্বারা চালিত হয়। হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় বিশেষ করে গভীর ঘুমে যে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। 

বিছানা এবং পরিবেশ যদি আপনার ভারী কম্বলের নিচে উষ্ণ ঘরে ঘুমান তাহলে এটি তাপ আটকে রাখতে পারে এবং ঘুম থেকে উঠার সময় আপনাকে গরম অনুভূতি দিতে পারে। অনেক সময় মানুষের বিপাকে ও কার্যকলাপের সময় ঘুমের সময় আপনার বিপাকে সামান্য বৃদ্ধি পেলে তার ফলে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ কারণগুলোর জন্যই সাধারণত মানুষের ঘুম থেকে উঠে শরীর গরম অনুভূত হয়।

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার ও ১৪ টি উপকারিতা জেনে নিন

আবার মানুষের শরীর গরম হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া শরীরের সাথে এডজাস্ট না থাকলে গরম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনি সঠিক পরিবেশে ঘুমান এবং সঠিক নিয়ম অনুসরণ করুন তাহলে আপনি ঘুম থেকে উঠার পর স্বাভাবিক অনুভব উপলব্ধি করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কেন মানুষের ঘুম থেকে উঠার পর শরীর গরম অনুভূত হয়। 

শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত 

শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয় সম্পর্কেও আপনাদের একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। উপরে যে ফলগুলো নাম উল্লেখ করেছি সেই ফলগুলো খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনি আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারবেন। গ্রীষ্মকালের বিভিন্ন ফল রয়েছে যে ফলগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ঠান্ডা প্রকৃতির। যার কারণে এই ফলগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শরীর গরম হলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় - সকালে ঘুম দূর করার উপায় জানুন

এছাড়া আপনি ঠান্ডা লেবু জল খেতে পারেন। যা আপনার শরীরকে গরম হলে তা কন্ট্রোল করতে সাহায্য করবে। সাধারণত একজন মানুষ শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারে যে উপায়গুলো ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। তবে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত তার মধ্যে সবচাইতে উন্নত হচ্ছে ঠান্ডা পানি, তরমুজ, শসা। 

এগুলো মানুষের শরীরের স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনাকে একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে শরীর গরম হলে এই খাবারগুলো গ্রহণ করলে আপনি ধীরে ধীরে সমাজটা থেকে বাঁচতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানার জন্য নিচে পর্যায়ক্রমে পড়তে থাকুন যা আপনার জ্ঞানের পরিধিকে বাড়াতে সাহায্য করবে। 

শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করতে হবে 

শূন্য তাপমাত্রা কতগুলি আপনাকে সাধারণত উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে। একজন মানুষের শরীরে বিভিন্ন কারণে তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়। বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে যে প্রতিবছর একজন মানুষের গড়ে একবার হলেও শরীরের তাপমাত্রা বেশি হওয়া উচিত। অনেকেই বলে থাকেন যে শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা হয়। 

এ কথা সত্য তবে শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন একেবারে না হলেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদের জানা উচিত যে শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করতে হবে। আবার যদি শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি হয়ে যায় তাহলে কি করতে হবে। জাপানের কমে গেলে আপনাকে শক্তিশালী পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা কে ভিতরে বৃদ্ধি করবে। 

প্রক্রিয়াগুলোর উপর উপস্থাপন করা হয়েছে। যার কারণে পুনরায় আর উপস্থাপন করলাম না আপনি দেখে নিতে পারেন। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পরের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় কেন? মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কি কি কারণ থাকতে পারে। এবং মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কি কি হতে পারে। তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনি কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় জানুন

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় এই বিষয়গুলো আমাদের স্পষ্টভাবে জানা উচিত। সাধারণত পুষ্টিহীনতা এবং দুর্বলতাই ভগা শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। শরীরে পরিমাণ মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি থাকে। যে কারণে সে পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। আবার শারীরিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির উপায় জানুন
তাই শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য শিশুকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাতে হবে। শিশুটির বয়স যদি এক বছরের উপরে হয় তাহলে শিশুটিকে বিভিন্ন আমিষ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এই ধরনের খাবার খাওয়াতে পারে। যে খাবারগুলো শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি শিশুকে গরম দুধ খাওয়াতে পারেন যা তাপমাত্রা কমে গেলে বৃদ্ধি করবে। 

এছাড়া শরীর গরম করার জন্য গায়ে কাপড় খাওয়াতে পারেন এবং অতিরিক্ত খারাপ অবস্থা হয়ে গেলে তাকে কাপড় গরম করে তাপ দিতে পারেন। তাহলে ধীরে ধীরে তার শরীরের তাপমাত্রা প্রাকৃতিক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বড় ধরনের সমস্যার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি না হয়ে কমে গেলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত জানুন 

মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত এই বিষয়টা অনেকেই জানে না তাই তাদের জন্য আজকে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম। একজন মানুষের শরীরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। তবে ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উপরে উপস্থাপন করেছি যে, একজন মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৬.৫ থেকে ৩৭.৫ এর মধ্যে হয়ে থাক।

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাহিত্যের পর্যালোচনা লিঙ্গ এবং অবস্থানের পরিমাণের উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পরিসরে পাওয়া যায়। যে মাত্রাকে স্বাভাবিক মাত্রা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অনেকে মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত সেটা জানতে চাই, নবজাতকের শরীরে তাপমাত্রা কত এটা জানতে চাই মানব দেহের শরীরের তাপমাত্রা কত সেলসিয়াস তা জানতে চাই। সবগুলো প্রশ্নের একটাই উত্তর যা উপরে উপস্থাপন করেছি।

মানুষের শরীরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত হতে পারে এবং সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা হতে পারে এ বিষয়ে অনেকে জানতে চাই। আশাকরি এ বিষয়গুলো স্পষ্ট জানাতে পারবেন আপনি যদি এই পোস্টের তথ্যগুলো বিস্তারিত মনোযোগ সহকারে পড়েন। কারণ এখানে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা একজন মানুষের জানা জরুরী। 

শরীরের গরম কমানোর উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য 

শরীরের গরম কমানোর উপায় নিয়ে ইতিমধ্যে এই পোস্টের ভিতরে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছি। যে তথ্য অনুযায়ী আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারবেন। আবার এখানে উপস্থাপন করেছি কারো যদি শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে যায় তাহলে তা বৃদ্ধি করার জন্য কি উপায় অবলম্বন করবেন। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে বিষয়টি কাজ করে। তাহলে হাইপোথ্যালামাসের হরমোন গুলি। 

যা মানব শরীরের তাপমাত্রা তৃষ্ণা, খুদা, ঘু্‌ম, মেজাজ, যৌন সম্পর্কে এবং অন্যান্য হরমোনের মুক্তির মতো শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। যার কারণে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা কম বেশি হয়। এই হাইপোথ্যালামাসের হরমোনগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুমতি ক্ষরিত হয় যার নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক এবং এই মস্তিষ্ককে শারীরিক বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বার্তা পাঠানো হয়। এভাবে প্রক্রিয়াটি চলে এবং শরীরের তাপমাত্রা কম বেশি হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url