ফিটকিরির ২২টি উপকারিতা ও অপকারিতা - ত্বকে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম বিস্তারিত জানুন

ফিটকরির উপকারিতা ও অপকারিতা যদি আপনি না জানেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ণ পড়ুন যা ফিটকিরি ব্যবহার ও এর উপকারিতা গুলো সচেতন করবে।

ফিটকরির উপকারিতা ও অপকারিতা
এই ফিটকিরিরর অনেক উপকার আছে এটি আপনার ত্বকের নানান ধরনের উপকার করবে। এই ফিটকিরি মেয়ে ও ছেলে উভয় ব্যবহার করতে পারে। এই ফিটকিরিতে আছে নানান উপকারি গুনাগুণ।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ সকল ব্যবহার জানুন

ভুমিকা

ফিটকিরি হল একধরনের জমাট বাঁধা শক্ত ও সাদা রংগের এক প্রকার পটাশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সালফেট। এটি প্রদাহনাশক এবং অ্যাসট্রিনজেন্ট জাতীয় একটি শক্ত উপাদান। যা এক কথায় বলতে গেলে লবণ। তবে এটি পটাশিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সালফেট পটাশিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি দ্বৈত লবণ। এটাকেই আমরা সাধারণত ফিটকিরি বলে জানি। 

এটি ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া ডাক্তার হিসেবে ব্যবহার করা। আবার অনেকেই জানতে চাই যে ফিটকিরি কাকে বলে এর প্রশ্নের উত্তর হবে ফিটকিরি হলো এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ, যা সাধারণত অ্যালুমিনিয়ামের একটি হাইড্রডেট ডাবল সালফেট লবণ যার সম্পৃক্ত সূত্র হলো, XAI(SO.4)2. 12H.2O, যাকে X পটাশিয়াম বা অ্যামোনিয়াম এর মত একটি মনো ভ্যালেন্ট ক্যাটান। 

এই অনেক কাজে ব্যবহার করা হয় পানিতে ফিটকিরি দিলে পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইট ধ্বংস হয়। এই ফিটকিরর সাহায্যে পরিশোধিত হওয়া পানি খেলে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আমাশয় ও কৃমি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু ফিটকিরি হিসেবে পাওয়া যায় যার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হচ্ছে অ্যালুনিট। 

আরো পড়ুনঃ ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা - ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম জানুন

আবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা শিল্প ভাবে উৎপত্তি হয় সেগুলো হচ্ছে, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম। সাধারণত রেসিপি গুলোতে অ্যালুমিনিয়াম সালফেট এবং সালফেট মনো ভ্যালেন্ট ক্যাটেশন একত্রিত করা হয়। এর উৎপাদনের উপর বা অ্যালুমিনিয়াম ভিত্তিক কিছু নামকরণ রয়েছে মনু ভ্যালেন্ট ক্যাটান দ্বারা। 

এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিটকিরি যেগুলো সেগুলো হলো, পটাশিয়াম ফিটকিরি, সোডিয়াম ফিটকিরি, অ্যালুমিনিয়াম ফিটকিরি। বিভিন্ন উপকারের জন্য বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয় তাই আপনি নিজে জেনে নিন ফিটকিরির বিভিন্ন উপকারিতা যা মানব শরীরের জন্য প্রয়োজন এবং এর কিছু ব্যবহার বিধি যা আপনাকে উপকারিতা পেতে সাহায্য করবে। 

ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন 

ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের আরও বিশেষ কিছু বিষয়ে জানতে হবে। ফিটকিরি হল সাধারণত সোডিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। এটি একটি স্বচ্ছ কাচ সাদৃশ্য কঠিন পদার্থের মত দেখতে। রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। সাধারণত এটি কে এলাম নামে ডাকা হয়। এটা দামের সস্তা সহজলভ্য এবং জীবাণু নাশক হিসেবে কাজ করে সাধারণত পানি পরিশোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়। বাচ্চার রাসায়নিক সংকেত, K2SO4AO4L2(SO4)3.24H2O।

  1. সেভ করার পরে এটি ব্যবহার করা যায়। আপনি শিলিগুড়ি অথবা বাসায় দাড়ি কাটার পর যে ব্লেড এর পাঁচটি শেষ করে এর জন্য আপনার ত্বকে এক ধরনের কাটাছেঁড়া অবস্থা হয়। এ সময় সেভের পর বিভিন্ন ক্রিমের পরিবর্তে আপনি ফিটকারি ব্যবহার করতে পারেন। 
  2. সাথে হালকা কষা এবং মিষ্টি জাতীয়। বিভিন্ন ওষুধ তৈরির জন্য লাল রঙের স্বচ্ছ ফিটকিরি ব্যবহার করা হয়। ঔষধ বিভিন্ন উপকারিতা দেওয়ার জন্য মানুষের শরীরে কাজ করে। 
  3. মুখের ভেতরে বাইরে ব্যাকটেরিয়া বা বিভিন্ন দুর্গন্ধ মূলক সমস্যা দূর করার জন্য আপনি পানিতে ফিটকিরি নিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাবেন এতে আপনার মুখের দুর্গন্ধ এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। 
  4. উকুননাশকঃ যাদের মাথায় উকুনের সমস্যা রয়েছে তারা ফিটকিরির পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন এতে আপনার মাথার উকুন কমে যাবে এবং উকুন হওয়ার সম্ভাবনা ও কমে যাবে। 
  5. শারীরিক প্রদাহ কমাতে এবং শরীরকে স্বস্তিতে রাখতে আপনি প্রতিদিন গোসলের সময় ফিটকিরি পানি মিশিয়ে উপর করতে পারেন এতে আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঘামা ও পানি বেরিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে। 
  6. দাঁতের যন্ত্রণা পোকা লাগা এবং বিভিন্ন ব্যথার স্বার্থে ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য পরিমাণ ফিটকারি নিয়ে পানি মিশিয়ে ফুলকুচি করতে হবে এবং এই উপায়ে দুই থেকে তিনবার প্রতিদিন করতে হবে তাহলে আপনার দাঁতের ব্যথা যন্ত্রণা এবং পোকা লাগার সমস্যা দূর হবে। 
  7. রূপচর্চায় ফিটকারীঃ রূপচর্চার জন্য আগের মেয়েরা বেশি পরিমাণ ফিটকারি ব্যবহার করতে পারে। এটা ত্বকের কালো দাগ বলে রাখা করতে দেয় না এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। যাদের মুখে ফুলকুঁড়ি ব্রণ তারা এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
  8. শুষ্ক ত্বক ও চামড়া কুঁচকে যাওয়ার রোধ করতে ফিটকিরি অত্যন্ত কার্যকারী এটা ঠান্ডা লেগে যাওয়া যার কারণে গলা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া সমস্যা হয় এর জন্য আপনি এক চিমটি লবণ ও ফিটকিরির চূর্ণ করে পানিতে মিশিয়ে কয়েক গারগল করলে বেশ আরাম। এছাড়া ফিটকিরি বিভিন্ন মোমের সঙ্গে মিশিয়ে লোমনাশক ক্রিম প্রস্তুত হয়।
  9. বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহার করে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাগজ ও চামড়া শিল্প যাদের পিকগুলো হবে এই ফিটকারি ব্যবহার করতে হয়।
  10. অনেক বড় বড় সমুদ্রগামী জাহাজ যেখানে নাবিকেরা তাদের কাপড় কাগজ ব্যবহার করে তা আগুন থেকে বাঁচায় সে কাপড়গুলো তৈরি করতে পৃথিবীর ব্যবহার হয় যা অগ্নি নিরাপদ যন্ত্রের রাসায়নিক দ্রব্য থাকে যা ফিটকিরি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়।
  11. ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করেঃ যাদের ত্বকে ফাঞ্জাব জাতীয় ইনফেকশন রয়েছে তারা নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের চুলকানি ও ইনফেকশন দূর হয়। 
  12. ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখেঃ আপনি যদি সচেতনভাবে নিয়মিত পানিতে ভিজিয়ে রেখে ত্বকে সিটকারি পানি ব্যবহার করেন তাহলে তার ত্বকের শুষ্কতা রক্ষা করে এবং আদ্রতা ফিরিয়ে আনে। 
  13. ত্বকের কালচে দাগ দূর করেঃ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য আপনি ফুচকার ব্যবহার করতে পারেন যেখানে বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে পারে এমনকি আপনার বগল পাওনা স্থানে কালো দাগ দূর করার জন্য নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। কিসের আপডেট ত্বক টানটান বা ত্বকের উষ্ণতা বজায় রাখতে বয়সের চাপ কমাতে ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত।
  14. ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করেঃ যাদের বাসায় ফ্রিজ রয়েছে ফ্রিজে অনেকদিন বিভিন্ন খাবার বা কাঁচা মাংস রাখার ফলে এর থেকে এক ধরনের দুর্গন্ধ বের হয় এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি ফ্রিজের ফিটকিরি পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  15. চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে কিভাবে পানি ব্যবহার করা হয় এটা অনেকদিন নরম ও প্রক্রিয়াজাত করে রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন চামড়ার কোম্পানি বা কারখান গুলোতে এই ফিটকারি ব্যবহার করা হয়।
  16. কাপড়ের রং স্থায়ী রাখতেঃ আপনার কোন পছন্দের কাপড় বা পোশাক থাকলে সেই পোশাকের রং স্থায়ী রাখতেই আপনি ঠিকভাবে পানি ব্যবহার করতে পারেন। জন্য আপনাকে কাপড়টি পরিষ্কার করার জন্য বা ধোয়ার ধোয়ার জন্য যে পানি ব্যবহার করবেন তার সাথে সামান্য পরিমাণ ফিটকারি ব্যবহার করুন।
  17. চুল পড়া রোধ করেঃ কারো মাথায় যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে চুল ভেঙে দেয় এবং পড়ে যায় বা চুলে অপুষ্টি দেখা দেয় তাহলে চুল পড়া রোধ করতে ফিটকিরি মিশ্রিত পানি ব্যবহার করতে পারেন চুলের গোড়ায় যা চুল পড়া রোগ এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার করে। 
  18. নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করেঃ নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে কি কি ব্যবহার করতে পারে। এর জন্য আপনাকে তোমার বল প্রথমে বরফ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এরপর সামান্য দোকান ফিটকিরি ভিজে নিতে হবে এরপর ফিটকিরি ছিটিয়ে দিয়ে বলটি নাকের ভিতরে চেপে ধরতে হবে এটা আপনাকে দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। তবে দুই ছিদ্রে দুইবারে দিতে হবে একসাথে দেওয়া যাবে না। 
  19. কাটা ছেড়য় রক্তপাত বন্ধ করেঃ খুব দ্রুত কাটা চালায় রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ফিটকারি পানি সেই কাটা বা ক্ষত স্থানে দিয়ে দিতে পারেন। এতে ক্ষত বা কাতার স্থানে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি সংঘটিত হবে এবং আপনার রক্তপাত বন্ধ হবে। 
  20. মুখের ঘা দূর করতেঃ যাদের কিছু সময় দেখা যায় মুখে ঘা হয়, জিব্বায় ঘা হয়, তাদের জন্য এই ফিটকারি পানি অত্যন্ত উপকারী এটা মুখে নিয়ে কোন খুশ করলে দ্রুত ভালো হয়।
  21. পায়ের দুর্গন্ধ দূরঃ অনেক সময় দেখা যায় জুতা ব্যবহার করলে বাদ দিয়ে সবাই কাজ করলে পায়ের দুর্গন্ধ বের হয়। প্রেম থেকে বাজার জন্য অবশ্যই তেরি পানি ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ফিটকারি পানি দিতে হবে এরপর সাথে পরিমাণমতো পানি মিশি করে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং পায়ের দুর্গন্ধ হয়।
  22. ঘামের দুর্গন্ধ ও বগলের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আপনি ব্যবহার করতেন ফিটকিরি পানি এর জন্য আপনাকে সামান্য পানি নিয়ে এর সাথে ফিট খেতে পানি যোগ করে গোসল করতে হবে এবং কিছু সময় নিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে বাস ১০ মিনিট তাহলে আপনি খুব সহজে এর থেকে বাঁচতে পারবেন।

ফিটকিরির অপকারিতা সমূহ

ফিটকিরির উপকার করার তার পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর প্রভাব উপকারিতা রয়েছে। ফিটকিরি পানির পিএইচ কমিয়ে ফেলতে পারে এবং অতিরিক্ত ব্যবহার করলে বিষাক্ত অ্যালুমিনিয়ামের মাত্রা যায়। তাই এই পানি চোখে স্পর্শ করলে জ্বালাপোড়া করে। এর পানি ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইট ধ্বংস করলেও ভাইরাসের জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না ফলে শীতকালে পানি বেশি পরিমাণ খেলে উপকার পাওয়া যায় টাইফয়েড, ডায়রিয়া কৃমনাশক হিসেবে।

আরো পড়ুনঃ ভাতের মাড়ের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাতের মাড়ের রূপচর্চা জানুন

  • তবে জানা গেছে যে হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাসজনিত রোগ জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। 
  • অতিরিক্ত এই ফিটকিরি  ব্যবহার করলে ত্বকের সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আপনার ত্বকে চুলকানি জ্বালাপোড়া ও দেখা দিতে পারে।
  • কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় ফিটকিরি ব্যবহার করলে শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত বিরক্ত কর এবং বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ জন্য ব্যবহার করার পূর্বে অল্প পরিমাণ ব্যবহার করে প্রভাব বুঝে নিতে হবে।
  • ফিটকিরির মুখে ব্যবহার করে বিভিন্ন উপকার পাওয়া গেল এটা অনেক সময় মুখে শ্লেষ্মা দিল্লিতে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। মাত্রা অতি ব্যবহার করলে ত্বক এবং শরীরের বিভিন্ন প্রভাব ও ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। 
  • দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে কিডনির সমস্যা করে দিতে পারে তাই অবশ্যই সাবধান এবং সতর্কতার সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। নিজে কিছু সতর্কতা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। 

সাবধানতা বা ফিটকিরি ব্যবহারের সতর্কতা

  • অল্প বয়সে ছোটদের কে ফিটকিরি ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এটি উপকার না হয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বাচ্চাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রদাহ ও জ্বালা পোড়া সৃষ্টি করতে পারে। 
  • ব্যবহার করার পূর্বে শরীরের সামান্য কোন অংশে ব্যবহার করে এর প্রভাব লক্ষ্য করে তারপর কোন প্রতিক্রিয়া না ঘটলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করতে হবে। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফিটকিরি ব্যবহারের কি উপকারিতা এবং ক্ষতিকর প্রভাব বা অপকারিতা রয়েছে তাই আপনার অবশ্যই সচেতনতার সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী ফিটকিরি ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে অবশ্যই অতিরিক্ত ফলের আশায় বেশি ব্যবহার করে প্রতি সমর্থন হবেন না নিয়মিত ব্যবহার করুন এবং এর উপকারিতা গুলো উপভোগ করুন। বিষয়গুলো রয়েছে তা বিস্তারিত জানতে পোস্ট পড়তে থাকেন।

ফিটকিরির ত্বকের উপকারিতা গুলো 

ফিটকিরির ত্বকের উপকারিতা গুলো দেখে রাখুন যা আপনার শরীরে বিভিন্ন উপকারিতা কারণ পাশাপাশি ত্বকের যে উপকারিতা গুলো পড়ে তা আমাদের সকলের জানা উচিত। ফিটকিরির মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে এবং এন্টি ফাংজাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য উপকারিতা করে। আপনি ফিটকিরি ব্যবহার করে ত্বকের যে উপকার গুলো পাবেন।

  • ফিটকিরি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া উপাদানগুলো ব্রণ এবং ব্রণের থেকে সৃষ্টি কালো দূর করে এবং ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ সমস্যা এবং ব্যাকটেরিয়া নির্ভর করতে পারে। 
  • এই ফিটকিরির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যাস্ট্রিনজেন্ট রয়েছে। যা ওপেন কোর্স সংকুচিত করতে বা সেবাম উৎপাদনর ক্ষেত্রে সমতা রাখতেও পর। যা ব্ল্যাকহডস বা হোয়াইট হেডস এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। 
  • তোকে নিয়মিত ফিটকিরি ব্যবহার করলে টেক্সচার ভালো হয় ত্বকের উপর জমা মৃত কোষ এবং সরিয়ে ফেলা জিল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ত্বকের এই উপকারিতা গুলো পেতে আপনি গোলাপ জলের সঙ্গে একবারে অল্প পরিমাণ ফিটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন তারপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো যার ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব স্পর্শ খতরতা এবং বিভিন্ন সেতুর পূর্বে আপনি সাধারণত বিভিন্ন ভাবে ত্বকের সমস্যা সমাধান করার জন্য সিটকারি ব্যবহার করতে পারেন। 

ফিটকিরির ত্বকের অপকারিতা বা ফিটকিরির ক্ষতিকর দিক 

ফিটকিরির ত্বকের উপকারিতা বা যে ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব গুলো রয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। ফিটকির ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। ত্বকের জাত এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায়। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ঠিক করে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকে দেখলে সমস্যা হতে পারে। 

  • অ্যালুমিনিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা আপনার শরীরে ত্বকের পানির পিএইচ এর মাত্রা কমে যাবে। 
  • ত্বকে দেখা করতে গিয়ে কোনমতে আপনার চোখে স্পর্শ করলে চোখ জ্বালাপোড়া এবং বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে হবে। 
  • ত্বকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং প্যারাসাইট ধ্বংস করলেও এটা ভাইরাস জনিত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে না যার ফলে এটা হেপাটাইটিস এ ও হেপাটাইটিস এর সমস্যা দূর করতে পারে। 
  • এলার্জির বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে তাই আপনাকে স্বার্থের সাথে ব্যবহার করতে হবে। 

অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহার হয় কোন ত্বকে কাজে বেড়ে যেতে পারে কারণ কখনো যেতে পারে। আমরা এখান থেকে খাবার ব্যবহার করার মাধ্যমে কি উপকার বিষয়ে জেনেছি। পুরো আলোচনা করেছি কিভাবে ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করা যায়। আদিকাল থেকে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন রূপচর্চার ক্ষেত্রে মেয়েরা ব্যবহার করতো। আপনি উপকারিতা পাওয়া যাবে ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য নিচে কিছু নিয়ম দেখে নিন। 

ফিটকিরি দিয়ে রূপচর্চা - ত্বকের যত্নে ফিটকিরি 

ফিটকিরি দিয়ে রূপচর্চা করার জন্য আপনি অন্য উপায় অনুসরণ করতে পারেন এর জন্য সহজ এবং উন্নত উপায় হচ্ছে আপনার যদি মুখে ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, এবং বিভিন্ন ক্ষত, বা কালচ থাকে সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই এর থেকে বাঁচার জন্য খুব সহজ কয়টি উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। ইতিমধ্যে ফিটকিরি ব্যবহারের এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেক তথ্য উপস্থাপন করেছি। 

  • ফিটকিরি দিয়ে রূপচর্চা করার জন্য আপনি সরাসরি ফিটকিরি মুখে বা ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • আপনি যদি নিয়মিত ত্বকের মৃত কোষ ও ত্বকের পুনর্জীবিত করতে চান বা হাইপার ট্রিটমেন্ট সন বা কালো দাগ কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন ফিটকিরির পানি দিয়ে মুখ এর ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়ে গোসল করতে পারে ফিটকিরির পানি যোগ দিয়ে।
  • সাধারণত আপনি ত্বকের টোটকা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন ফিটকিরি পানিটা আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ভাইরাস অভিনন্দনের ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে কাজ করে দেয় আপনি ফুটকি দিয়ে পানি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। 

ফিটকিরি মুখে দেওয়ার উপকারিতা 

ফিটকিরি মুখে দেওয়ার নানান উপকারিতা রয়েছে যা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আমরা আলোচনা করেছি। এই ফিটকিরি ব্যবহার করলে আপনি সঠিক মাত্রায় উপকার পাভেলের জন্য সঠিক উপায় ব্যবহার করতে হবে। পুকুরে অনেক উপায় এবং নিয়ম উপস্থাপন করা হয়েছে যেগুলো দেখে ব্যবহার করলে আপনি এই উপকারিতা গুলো পাবেন। 

  • আপনার মুখে যদি কালো দাগ থাকে তাহলে দূর হবে। 
  • ব্রণের সমস্যা এবং পূরণের জন্য কালো দাগ দূর হবে। 
  • মুখে কুলি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। 
  • আপনি মুখের ভিতরে ব্যবহার করলে দাঁতের এবং দাঁতের ইনফেকশন জাতীয় সমস্যা দূর হবে। 
  • প্রতিদিন মুখে ফিটকিরি দেওয়ার মাধ্যমে আপনি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য পাবে। 

যারা ফিটকিরি মুখে দেওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। ফিটকিরির মধ্য এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরকে বিশেষ করে ত্বককে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি নিজে জেনে নিন কিভাবে পানিতে ফিটকিরি ব্যবহার করে। 

পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম 

পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানো যা আপনাকে বিভিন্ন উপকারিতা পেতে সাহায্য করবে। এক বড় পাত্র বা একটি নির্দিষ্ট পাতিলে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এর প্রভাবে পানির মধ্যে থাকা সকল ময়লা আবর্জনা তলে নেমে যাবে। এবং উপরে থাকে স্বচ্ছ এবং নিরাপদ পরিশোধিত পানি যা সংগ্রহ করে বিভিন্নভাবে খাওয়া যাবে।

পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম
 

আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে সেই পানি সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন খেতে পারবেন। বন্য পরিবেশ বা বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল যেখানে পরিশুদ্ধ পানি নেই বা নোংরা পানি আছে সেখান থেকে পানি নিয়ে আপনি তার মধ্যে ফিটকিরি মিশিয়ে দুই তিন ঘন্টা রেখে দিলে সেই অপরিষ্কার পানি গুলোকে খাওয়ার উপযুক্ত করে তুলতে পারবে এই ফিটকিরি। 

আরো পড়ুনঃ কাচা হলুদ এর ১১টি বিশেষ উপকারিতা - কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় জানুন

পানি পরিষ্কার করার জন্য ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। যেখানে প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি করে ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। বিচিং ব্যবহার করা হয় ১০ লিটার বিচিং গুলিয়ে দিলে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে। এর জন্য ১০ মিলিগ্রাম পরিমাণ প্রয়োজন হবে। কি পরিমান পানি দিয়ে কি পরিমান ফিটকিরি ব্যবহার করতে হয় তা হলো, সাধারণত প্রতি এক লিটার পানিতে ০.৫ থেকে ১ গ্রাম অর্থাৎ আধা চামচ ফিটকিরি ব্যবহার করা যাবে। 

এর জন্য ফিটকিরি গুড়া করে নিতে হবে। ভালো করে নেড়ে নিতে হবে এক ঘন্টা থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিলে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে যায়। এছাড়া আপনি গারগল বা কুলকুচি করার জন্য এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক ১/৪ চা চামচ ফিটকিরি গুড়া দিতে পারেন। ত্বকের সমস্যা বা ফুসকুড়ি সারাতে দিতে পারেন এক বালতি বা ১৫ লিটার পানিতে ১ থেকে ২ চা চামচ।

ফিটকিরি মুখে দিলে কি হয় 

ফিটকিরি মুখে দিলে নানান উপকারিতা পাওয়া যায় যে উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনাদের কে জানিয়েছি। কেউ যদি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং রূপচর্চার সামগ্রী ব্যবহার করে মুখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে না পারেন। তাহলে এই আদি পুরাতন ঔষধি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ফিটকিরির সাধারণত সোডিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়ামের একটি মিশ্রণ বলা হয়। 

 এর জন্য যে পানির সাথে একটি অনুপাতে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ও মুখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে হবে। মুখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্য ফিটকারি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। যে ব্যবহার বিধি সম্পর্কেও জানানোর চেষ্টা করেছি। যা থেকে আপনার বোঝা উচিত যে কি পরিমান বিক্রি পানি কি কাজে পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। 

যদি কেউ ফিটকিরির নিয়মিত ব্যবহার করে তাহলে ব্রণ, মেছতা, কালো দাগ, ত্বকের বিভিন্ন ইনফেকশন জ্বালাপোড়া প্রদাহ জড়িত সকল সমস্যা দূর হবে। তাই আপনি যদি চিরতরে মুখের উজ্জ্বলতা এবং বিভিন্ন উপকারিতা থেকে ব্যবহার করতে চান তাহলে নিয়মমাফিক ফিটকিরি মুখে ব্যবহার করুন যা আপনার উপকারিতা বজায় রাখ এবং ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুখে রক্ষা করবে। 

চুলে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম 

চুলে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করলে চুলের বিভিন্ন উপকারিতা পাবেন। যেমন বর্তমানে মানুষ শ্যাম্পু বিভিন্ন ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য। চুল পড়া চুল ভেঙে যাওয়া চুলে খুশকি এবং অপুষ্টি ও উকুন এর মত বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূর করার জন্য বিভিন্ন রকমের ঔষধি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। 

আপনি যদি সঠিকভাবে ফিটকারি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে  এক বালটি পানিতে ফিটকিরি ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনি পানি দিয়ে গোসল করার সময় চুলের প্রচুর সমস্যা কমাতে পারবেন। শ্যামপুর পরিবারকে চুলের খিটখিটে পানি দিলে চুল ভাঙ্গা এবং চুলের অপরিষ্কার ও বিভিন্ন সমস্যা বোধ হয়। 

চুলের পুষ্টি যোগায় চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে এবং চুল শক্তিশালী করে। এছাড়া আপনি নিয়মিত চুলের ফিটকিরি ব্যবহার করলে আপনার মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে এবং মাথার ত্বকের খুশকি এবং চামড়া টানটান এবং সুন্দর হয়ে উঠবে। আর আপনি প্রতিদিন বা মাঝে মাঝে গোসলের সাথে ফিটকারি পানি ব্যবহার করুন। 

ফিটকিরি দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় 

ফিটকিরি দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ব্রণের সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। প্রিয় পাঠাক ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছি যার মধ্যে রয়েছে ব্রণ দূর করার জন্য ফিটকিরির ব্যবহার। তবে আপনি যদি না বুঝেন যে কিভাবে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয় তাহলে এই পদ্ধতিটা দেখুন। 

প্রথমে আপনাকে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি পানি নিয়ে নিতে হবে। অথবা ফিটকিরি পানি যদি তৈরি করা না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য ফিটকিরি গুড়া করে নিয়ে উপরে উল্লেখিত পরিমাণ অনুপাতে মিশিয়ে সেই পানি মুখে ব্যবহার করতে হবে। সে পানি দিয়ে আপনি ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি ব্রণের জন্য যে কালো দাগ থাকে। 

আরো পড়ুনঃ ১০০% গ্যারান্টি সহকারে কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানুন

সে দাগগুলো সম্পূর্ণভাবে কমে যাবে। তাই আপনি প্রাকৃতিকভাবে ব্রণের সমস্যা সমাধান করার জন্য ফিটকিরির ব্যবহার করতে পারেন। এই ফিটকিরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান যা ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগ দূর করতে পারে। এছাড়া উপরে বিভিন্ন ফেসপ্যাক এর নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করেও আপনি সহজেই সমাধান পেতে পারেন ব্রণের।

ফিটকিরি মুখে দিলে কি দাড়ি গজায় 

ফিটকিরি মুখে দিলে কি দাড়ি গজায় এ বিষয়টি অনেকে জানতে চাই আসলে মুখে দাড়ি গজানোর সাথে ফিটকিরির কেমন কোন সম্পর্ক নেই। তবে জানা গেছে ফিটকিরি ব্যবহার করলে অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায়। লোমের যে বৃদ্ধির গতি তাকে কমিয়ে রাখা যায়। তবে ফিটকিরি ব্যবহার করে মুখে দাড়ি গজায় এ ধরনের তথ্য কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

অনেক মানুষ সেভ করার পর বা দাড়ি কাটার পর সাধারণত বিভিন্ন ক্রিমের পরিবর্তে ফিটকিরি ব্যবহার করে। এতে ছোট ছোট ক্ষত ও দাগগুলো ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং অনজীব প্রতিরোধ করে। দাড়ি মানুষের সাধারণত জিনগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে হয় যেটি হরমোনাল এবং পুষ্টিও স্বাস্থ্যবান দেহে দাড়ি ভালো গজায়। দাড়ি গজানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে যা পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের কাছে। 

১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরি দিতে হয় 

১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরিতে হয় এই বিষয়ে অনেকে জানে না। আপনিও যদি সঠিক তথ্য না জানেন তাহলে এই তথ্যটা দেখুন এবং এই অনুপাতে ব্যবহার করে বিভিন্ন উপকার পেতে পারেন। নানা কাজে মানুষ এই ফিটকারি ব্যবহার করে। বড় বড় প্রজেক্টে পানি শোধন করার জন্য ফিটকারি ব্যবহার করা হয়। 

সেখানে ১০,০০০ লিটারের পানির ট্যাংকের মধ্যে ৫০০ মিলি ফিটকারি দেয়া হয় যা ধীরে ধীরে মিশ্রিত হয়ে পানি শোধন করে। বিশুদ্ধতার প্রয়োজনীয়তায় আর এম আই সি মানগুলি সর্বোচ্চ ১৫০ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম সালফেট পার লিটার জলের সাথে ডোজের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এই নমুনা কে ম্যানগ্রোভে বর্ণিত নমুনা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

যা অপরিষ্কার ঘনত্বের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ব্যবহারের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রকার বা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পানি পরিশোধনের জন্যঃ ০.৫ গ্রাম থেকে এক গ্রাম পরিমাণ প্রতি ১ লিটার পানির জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। এ পানিতে ফিটকিরি দেয়ার পর ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। 

আপনি যদি কুলি করতে চান বা মুখে ব্যবহার করতে চান তাহলে যে পরিমাণ ব্যবহার করবেন তা হলো এক গ্লাস পানি বা ২৫০ মিলিলিটার চার ভাগের এক ভাগ ফিটকিরি গুড়া। আবার আপনি গোসল করার জন্য ১৫ থেকে ১০ লিটার পানিতে ১ থেকে ২ চামচ ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন।

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার নিয়ম 

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার নিয়ম জানুন। এতক্ষণ আমরা জানলাম প্রতি এক লিটার পানিতে কত পরিমান ফিটকিরি ব্যবহার করা উচিত। এই পরিমাণ বিভিন্ন অনুপাত নির্ধারণ করা হয় ব্যবহার বা কাজের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। সুতরাং আপনি যদি পানি বিশুদ্ধ করতে চান ফিটকিরি ব্যবহার করে তাহলে যে উপায় গুলো অনুসরণ করবেন।

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার নিয়ম

 

প্রথমে আপনাকে একটি পাত্রে পানি সংগ্রহ করতে হবে আপনি যে পানিগুলো বিশুদ্ধ করতে চান। এই পানি গুলো সংগ্রহ করার পর আপনার কি ফিটকিরি সংগ্রহ করতে হবে। কি পরিমান পানি বিশুদ্ধ করবেন সেইগুলোতে ফিটকিং গুলোকে পুরো করে নিতে হবে। সে গ্রহিত ফিটকিরি পানির ভিতরে মিশিয়ে একটু লারা দিতে হবে। 

এরপর আপনাকে এক থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে পানির পরিমাণ বেশি হলে বেশি সময় লাগে এবং কম পরিমাণ পানি হলে কম সময় লাগে। তবে সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট প্রয়োজন হবে এরপর আপনি দেখতে পাবেন পানির নিচে অনেক প্রকারের ময়লা বা তলায় জমা হয়ে গেছে এবং উপরের পানিগুলো স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার। এবার আপনি উপর থেকে পানি সংরক্ষণ করেছে থেকে নিয়ে খেতে পারেন যা স্বাস্থ্য উপকারী এবং বিভিন্ন সমস্যা রোধ করে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ ফিটকিরি কি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে? 

উত্তরঃ ফিটকিরিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা ব্রণ, কালো দাগ, মেছতা এবং বিভিন্ন মুখের সমস্যা ও তত্ত্বের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ ত্বক ফর্সা করার জন্য ফিটকিরি কিভাবে ব্যবহার করবেন? 

উত্তরঃ ত্বক ফর্সা করার জন্য রাতে ঘুমানোর পূর্বে ফিটকিরি পেস্ট বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে এতেলাকতা এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে। তোক লাগিয়ে হালকা করে আপনাকে মেসেজ করতে হবে। 

প্রশ্নঃ ফিটকিরি গোসল করলে কি হয়? 

উত্তরঃ ফিটকিরির গোসল করলে ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ থেকে বাঁচা যায় এবং ত্বকের সংকুচিত ও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট গুলির সাময়িকভাবে ছিদ্র কমাতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ ফিটকিরি এর সূত্র কি? 

উত্তরঃ একটি রাসায়নিক যৌগ পটাশিয়াম সালফেট ও অ্যালুমিনিয়াম সালফেট এর মিশ্র লবণ যা জলের অনু দ্বারা হাইড্রেটেড হয় রাসায়নিক সূত্র হলো, AI2(SO4)3.24H2O.

প্রশ্নঃ ঘামের জন্য ফিটকিরি কিভাবে ব্যবহার করব? 

উত্তরঃ আপনি ঘামের জন্য একটি ছোট ফিটকিরি টোটকা সামান্য জল দিয়ে ভিজিয়ে নিন এবং ভেজা ফিটকিরি পরিষ্কার ও শুকনো আর্মি আলতো করে রাখুন বা শুধুমাত্র রেখে দেন। 

প্রশ্নঃ আলফেটকিরি ও সাদা ফিটকিরির পার্থক্য কি? 

উত্তরঃ সাধারণত ফিটকি দুই ধরনের দেখা যায় লাল ফিটকিরি ও সাদা ফিটকিরি। সাদা ফিটকিরি অ লৌহঘটিত ও এতে খুব কম পরিমাণ লৌহ থাকে। যা সাধারণত গৃহস্থদের কাজে ব্যবহৃত হয় ও কাগজ তৈরি শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ও লাল ফিটকিরিতে লোহার পরিমাণ কিছু বেশি থাকে এটা লাল রঙের হয়। রূপচর্চার বিষয়ে তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

প্রশ্নঃ আসল ফিটকিরি চেনার উপায়? 

উত্তরঃ প্রথমে পরীক্ষা করতে হবে যৌগের গলনাঙ্ক নির্ণয় করতে হবে এবং মানটিক আলামের জন্য গৃহীত (৯২.২•) মানের সাথে তুলনা করতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষা হলো আলাম স্ফটিক গুলোকে উপস্থিত হাইড্রেশন এর জল নির্ধারণ করে তৃতীয় পরীক্ষাটি হল আপনার আলামিন নমুনায় সালফেটের শতাংশ নির্ধারণ করার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষা এগুলো করে আসল ফিটকিরি বোঝা যায়। 

প্রশ্নঃ ফিটকিরি কত প্রকার? 

উত্তরঃ সাধারণত ফিটকিরি পাওয়া যায় পটাশ ফিটকিরির সোডা ফিটকিরি অ্যালুমিনিয়াম ফিটকিরি এবং ক্রোম ফিটকিরি। এছাড়াও রয়েছে লাল এবং সাদা ফিটকিরি। 

প্রশ্নঃ ফিটকিরি কিসের জন্য বিখ্যাত? 

উত্তরঃ ফিটকিরির একটি বহুমুখী পদার্থ যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খাদ্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে প্রসাধনী, ওষুধ প্রয়োগ পর্যন্ত বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীনকালে মিশরীয়রা এটিকে মমি করনে প্রাকৃতিক দুর্গন্ধ দূরীকরণ হিসেবে ব্যবহার করতো পরবর্তীতে এটি নকল রূপা এবং মুক্তা তৈরিতে এবং কাপড় রং করার পদ্ধতি হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ফিটকিরির অনেক গুরুত্ব রোমান্স ফিটকিরি ব্যবহার করতো কাপড়ে রঞ্জক পদার্থ ঠিক করার জন্য এটি চামড়া সংরক্ষণের জন্য এবং পোশাক ব্যবহার করে ও রঙ্গ মালিকের মর্যাদা প্রতিফলিত করতে এবং রঙের গভীরতা এবং রঙের দৃঢ়তা গুরুত্বপূর্ণ ছিল যার কারণে এটাকে বিখ্যাত মনে করা হতো। 

প্রশ্নঃ মুদি দোকানের ফিটকিরি কি? 

উত্তরঃ সাধারণত মুদির দোকানে আলাম বা অ্যালুমিনিয়াম সালফেট বা অ্যামোনিয়া সালফেট। যা বিভিন্ন ধরনের খাবার আচার সংরক্ষণ এবং ক্যানিয়নের জন্য আদর্শ এটি মুচমুচে আচার যুক্ত ফল এবং আচার যুক্ত শাকসবজিতে তৈরি করতে সাহায্য করে। 

শেষ মন্তব্য ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে 

আপনাদের সামনে এখন পর্যন্ত ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা ও বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হলো। কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কি কি ক্ষতি রয়েছে। খাবার কি উপায়ে ব্যবহার করে এই ক্ষতিগুলো থেকে বাঁচা যায় এবং কোন জিনিস থেকে এর উৎপত্তি ও কিভাবে এই ফিটকিরি তৈরি হয়। 

এ ধরনের সকল প্রশ্ন উত্তর এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যা আপনার জন্য ফিটকিরি সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং এর সঠিক ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন উপকারীতা এবং ত্বকের সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url