জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এ বিষয় নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের কৌতুহল রয়েছে। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো কাঁচা ছোলা কেন এত উপকারী জিম করার পরে।  

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
আপনি প্রতিদিন কিভাবে জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবে। এর পাশাপাশি কি ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত। ও সপ্তাহে কয়দিন জিম করা উচিত এই সকল বিস্তারিত বিষয়ে জানতে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সুচিপত্রঃ জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন

ভূমিকা 

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে কাঁচা ছোলার উপকারিতা গুলো একটু জানা উচিত। এই কাঁচা ছোলা রান্না করে বা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কাছে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবার উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে পরিচিত আছে। সকলের এই খাবার দিনের শুরুতে খাবার অভ্যাস করা দরকার। এতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। 

এই গাধা ছোলার মধ্যে প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা একটু জেনে নিন। প্রোটিনের প্রায় ১৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০০ গ্রাম, ভিটামিন প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম রয়েছে এর বাইরেও রয়েছে ভিটামিন বি ১, বি২, বি৬ ভারতবর্ষে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস কপার ও আয়রন। 

পুষ্টি উপাদানগুলো থাকার জন্য ব্যায়াম করার সময় এবং জিম করার পর আপনি এই খাবারটি ফেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং তাৎক্ষণিক শক্তি পাবেন। এ ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ এন্টাসডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে যা পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া তৈরীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে বাঁচায়। এই উপাদানগুলো আপনার শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বের করে দিতে পারে যার কারণে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে। 

কাঁচা ছোলার মধ্যে আয়রন রয়েছে যে আপনার লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তের যে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা কম করে দেয়। কেউ যদি জিম করার পরে ভেজানো ছোলা খায় তাহলে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার এর ঘাটতি পূরণ করবে। এদের হয়েছে প্রচুর আঁশ যা রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজ এর মাত্রা কম বা নিয়ন্ত্রণ করে। 

শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি আপনি ডায়াবেটিস টু টাইপ রোগের সমস্যা কোন করতে পারবেন। জাতীয় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে এবং হাড়ের এক ভূমিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করার পাশাপাশি কাঁচা ছোলা খেতে পারে।   উপকারিতা গুলোর পেছনে রয়েছে এর মধ্যে বিদ্যমান ভিটামিন মিনারেল ও বিভিন্ন উপাদান। যা আপনার মধ্যে ভয়ঙ্কর রোগ অস্টিওপোরেসিস দূর করে। 

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় জানুন 

প্রতিদিন জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এটা আমাদের সকলের জানা উচিত। বিশেষ করে আমরা ছেলেরা কমবশি সবাই শারীরিকভাবে ব্যায়াম করতে পছন্দ করি। তাই আপনি জিম করার পর বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে শরীর শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে যা একজন মানুষের জিম করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত

শরীর গঠন এবং শরীর তৈরি করার জন্য মানুষের একটু শারীরিক পরিশ্রম বা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার করে শরীরকে ফিট রাখতে হয়। এই কাজটি করার জন্য প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি প্রয়োজন হয় এবং পুষ্টির প্রয়োজন হয় শরীরে। একটা মানুষ যদি নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যায়াম করে তাহলে তার শরীরে ঘাম ঝরবে, শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি বের হয়ে যাবে। এর পরিপূরক হিসেবে আপনি জিম করার পরে কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। 

  • তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হবে, আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে তাহলে জিম করার পাশাপাশি সকালে এবং বিভিন্ন নিয়ম মাফিক কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। এগুলো পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে কারণ দ্রুত প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। 
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করার মত প্রচুর পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। সাধারণত মানুষের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত কোষ বিভাজন। এই ফলিক এসিড বংশের কোষ বিভাজনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত কোষ বিভাজন থেকে রক্ষা করে ও ক্যান্সার কোষর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • যাদের হৃদরোগের সংসার রয়েছে তারা প্রতিদিন।  জিম করার পর এবং বিভিন্ন সময়ে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং আপনার হার্টবিট সঠিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করবে। এটা হৃদপেশি কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শরীরে অনেক ক্লান্তি ভাব দূর করে। 
  • আপনি প্রতিদিন আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা সঠিক পর্যায়ে রাখতে ব্যায়াম করার পর গুড় ও কাঁচা ছোলা মিশিয়ে খেতে পারেন। এদের ভিটামিন সবার উপকারে ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
  • যে সকল মানুষেরা শরীরে বিভিন্ন দূষিত টক্সিনের সমস্যায় পড়ে আছেন। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ও ফোড়া বা ফুলপরীর মতো বিভিন্ন সমস্যা হয়। তারা নিয়মিত কাঁচা ছোলা পেতে পারেন, কাঁচা ছোলার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের দূষিত টক্সিন বের করে দেয় ফুসফুস ও লিভার এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা শরীরে স্বাভাবিকের বাইরের রক্তচাপ কাদের জন্য উপযুক্ত খাবার হচ্ছে কাঁচা ছোলা গুড় এর সাথে আদা সামান্য পরিমাণ মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে আপনার শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে। 
  • ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে আপনি প্রতিদিন ছোলা খেতে কেন ছোলার মধ্যে থাকে ক্লোজেন বৃদ্ধি করার প্রোটিন যা আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এতে কক মসলিন ও উজ্জ্বল হয়। এ ছাড়া ত্বক বিভিন্ন সময় ব্রণ, কালো দাগ,  দূর করতে ব্যবহার করেন। 

ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা হাঁটা চলাফেরা করার সময় শরীরে ক্যালরি ক্ষয় হয় এবং প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে। হাঁটা চলাফেরা ও ব্যায়াম করলে শরীরে শতকরা নিয়ন্ত্রণ থাকে তাই আপনি ছোলা খেতে পারেন এটা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ও শর্করা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

জিম করলে কি খাবার খেতে হয়

জিম করলে কি খাবার খেতে হয় অনেকেই এই বিষয়টি জানতে চাই। আসলে জিম করলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি এবং প্রোটিনের প্রয়োজন হয় কারণ, শারীরিক এক্সাইজ করলে মানুষের শরীরের পুষ্টি চাহিদা বৃদ্ধি পায় কারণ শরীরের প্রত্যেকটি অংক পতঙ্গের কার্যক্ষমতা উন্নত হয় এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন ও ক্যালরির প্রয়োজন হয়। যার কারণে আপনি যদি জিম করেন তাহলে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করতে নিচে উল্লেখিত খাবারগুলো খেতে পারেন। 

  • জিম করলে সবচাইতে উন্নত মানের খাবার হচ্ছে, কাঁচা ছোলা এর সাথে সামান্য আদা ও গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। 
  • এছাড়া আপনি ব্যায়াম করার প্রথমের দিকে গ্লুকোজ খেতে পারেন। 
  • পাশাপাশি কলা বা টাটকা ফলের রস খেতে পারেন অথবা ফল। 
  • এরপর আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী ডিম খেতে পারেন বাটার খেতে পারেন বা মিল্কের সঙ্গে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খেতে পারেন। 
  • জিম করলে একজন মানুষ প্রতিদিন দই খেতে পারে এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 
  • আপনি প্রয়োজনমতো দুধ দিয়ে মুছেনি বা ওটস। এছাড়া বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাবার যেমন চিকেন স্যান্ডউইচ, সবজি খিচুড়ি যা আপনার জন্য উপকারী। 
  • কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে পারেন যেমন, গোটা শস্য, মটরশুটি বাদাম শাকসবজির মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট খেয়ে নিতে পারে। 
  • এছাড়া আপনি জিম করলে নিয়মিত সকালে একটি প্রোটিন সেক, দুপুরের খাবারে মাল্টি ক্লিন চাপাতি নেক্সট ভেজ বা সিদ্ধ ডিম সাথে সালাত। এক্সারসাইজ করার পর প্রোটিন বার জাতীয় খাবার, রাতে ঘুমানোর আগে চিকেন সালাত ও দুধ। 

এছাড়াও সিদ্ধ ভাত মুরগির মাংস মাশরুম দিয়ে সবজি, কৈ মাছ বা কুইন ও মাছের তরকারি। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল কুইন ও বোমা চিকন এবং ব্রকলি সালাত, চিনাবাদাম মাখন দিয়ে টোস্ট দিয়ে। গ্রিল খেতে পারবেন, প্রোটিন পাউডার খেতে পারবেন বাদাম স্মুদি খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা - ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম জানুন

এছাড়া ডায়েটের সময় যে সকল খাবার থেকে দূরে থাকবেন, 

  • মদ জাতীয় খাবার এক কথায় অ্যালকোহল জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর যা পেশির গঠন চর্বি হারানোর ক্ষমতাকে নৈতিক প্রভাবিত করতে পারে যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খান। 
  • বেশি চিনি যোগ করা খাবার খাওয়া যাবে না, এর মধ্যে ক্যান্ডি, কার্বোহাইড্রেট, কোমল পানীয়, কেক, পেস্টি, কুকিজ এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করে এগুলোতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই বেশি এবং পুষ্টি নেই বললেই চলে। 
  • এছাড়া উচ্চতর ছবি যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না যেমন গভীর ভাজা খাবার ফাস্টফুড খাবার এবং আধা রান্না করা বা ভিসার ও চর্বি জমে থাকা যে খাবারগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এবং জিম করার জন্য অধ্যাপক ক্ষতিকারক। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন জিম করার পর কি খাবার খেতে হবে এবং কি কি খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। আপনি যদি জিম করার উদ্দেশ্য হয় শরীরকে ফিট রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়ম অনুসরণ করে করতে হবে তাহলে আপনি সঠিক ফলাফল পাবেন। এছাড়াও জানতে হবে ব্যায়াম করার কতক্ষন পর খাওয়া উচিত। ব্যায়াম করার পরে এবং আগে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। আজকে এই বিস্তারের বিষয়গুলো জানতে পড়তে থাকুন। 

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় 

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় আপনি যদি না জানেন তাহলে দেখে নিন। একজন মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ও ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতে। নানান ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকে। এর মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে যার অপকারিতা বেশি এবং উপকারিতা কম। 

আবার কিছু খাবার রয়েছে যার মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী তবে প্রয়োজনমতো খেলে ক্ষতি নেই। এ খাবারের মধ্যে সবচাইতে উন্নত মানের খাবার হচ্ছে কাঁচা ছোলা এই খাবারটি খাবার মাধ্যমে মানুষ মোটা হতে পারে। কারণ ইতিমধ্যে জানিয়েছি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি, ভিটামিন মিনারেলস ও প্রোটিন রয়েছে যা একজন মানুষের শরীরের পুষ্টি চাহিদা এবং প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। 

তাই আপনি যদি কাঁচা ছোলা খেতে চান তাহলে খেতে পারেন। অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত পরিমাণ খেতে পারেন তাহলে আপনি স্বাস্থ্যবান হতে পারবে না। কাঁচা ছোলা তে ওজন বাড়ানোর কারণ হচ্ছে এতে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন ও ক্যালরি রয়েছে। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট চাপ বেশি গঠন করতে সাহায্য করে এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। 

আমরা জানি পুষ্টির দিক থেকে এটা অন্যতম হবে এর মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং খোদা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। কাঁচা সোলার মধ্যে সুস্থ ফ্যাট ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে উপকার করে। আপনার শরীরে শক্তি সঞ্চিত করে রাখতে সাহায্য করে। 

পাওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিন রাতে কাঁচা ছোলা ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম ভিজিয়ে রাখবেন। যা আপনার শরীরকে মোটা করার জন্য যথেষ্ট। তবে আপনি দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য এর সাথে কলা দুধ ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। স্যার আপনি কাঁচা ছোলা খাওয়ার মতো ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এর জন্য পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত লাগব।

সুতরাং আপনি যদি মোটা হতে চান সেক্ষেত্রে ছোলা খেতে পারেন এবং স্বাস্থ্য সঠিক পর্যায়ে রাখতে শোলা পেতে পারেন। একজন মানুষ প্রতিদিন একটি রুটিন করে সকালে ছোলা খেতে পারে। প্রতিদিনের যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয় একজন মানুষের সারাদিনে সকল কর্ম সম্পাদন করতে। তার অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালরি থাকে ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলার মধ্যে যা আপনাকে মোটা করার জন্য যথেষ্ট। 

জিম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত 

জিম করার আগে পরে কি খাওয়া উচিত এটা আমাদের জানা জরুরী। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠে মানুষ জিম করতে শুরু করে দিলে আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে বেশি। শরীরে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে জিম করার আগে কিছু খাবার শক্তি পূরণ করতে হবে। এবং জিম করার পরেও কিছু খাবার পূরণ করতে হবে কারণ জিম করার পরে শরীরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ও প্রোটিনের ক্ষয় হয়। যা রোধ করতে কিছু খাবার গ্রহণ করা উচিত।

জিম করার আগে যে খাবারঃ

  • কার্ডিও ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কিছু ধরন রয়েছে যে ধরনের ভিত্তিতে এটা নির্ধারণ করা হয়, তবে আপনি যদি দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, কঠোর পরিশ্রম জাতীয় কাজ করেন তাহলে আপনাকে যে ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনাকে ব্যায়াম শুরু করার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে কম চর্বি এবং বেশি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলা, এক গ্লাস দুধ, এক মুঠো কাজুবাদাম বা কাঠবাদাম।
  • আবার আপনি যদি সার্কিট ট্রেইনিং এ ধরনের ব্যায়াম করেন বা মাংসপেশি শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন পেশী গুচ্ছের প্রভাব ফেলে এসব ব্যায়াম করেন তাহলে আপনাকে অল্প বিরতি নিয়ে দ্রুত করতে হবে। এই ব্যায়াম করার পূর্বে আপনাকে কার্বোহাইড্রেট এর উপর বেশি আর আমিষের উপর কম মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য আপনি আপেল ও কলা খেতে পারেন। শুধুমাত্র ব্যায়াম করার ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট আগে শুকনো ফল খেতে পারেন।
  • শরীর চর্চা জাতীয় ব্যায়াম করার জন্য আপনি যে খাবারগুলো খাবেন। আপনি যখন মাংসপশি শরীর চর্চা মূলক ব্যায়াম করবেন। যেমন বুকডউন, ওয়েট লিপিটিং বা পেশির ব্যায়াম করবেন বা ভর বহন করবেন তখন আপনি বেশি আমিষ ও কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে। তাহলে আপনি বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। 

জিম করার পরে যে খাবারগুলো খাবেন

  • একজন মানুষ পর্যায়ক্রমে জিম করার পরে যে খাবারগুলো খাবে তা নিয়মমাফিক খাওয়া উচিত। আপনি যদি কার্ডিও ব্যায়াম করেন তাহলে আপনাকে ব্যায়াম শেষে আমি শো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন কম ননিযুক্ত দুধ, ডাবের পানি ইত্যাদি। 
  • এছাড়া আপনি সার্কিট ট্রেনিং করার পর মাংসপেশির প্রভাব ফেলে এই ধরনের ব্যায়াম করলে আপনাকে প্রেম শেষে যে খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে তার মধ্যে চর্বি থাকবে কম, এবং তাজা সালাত স্মুদি প্রোটিন ও বেশ কিংবা ফল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। 

শরীরচর্চা মূলক ব্যায়াম যদি আপনি করেন বা বুকডাউন এবং পেশি ভার উঠানো এক্ষেত্রে আপনি ব্যায়ামের শেষে যে খাবারগুলো খাবেন যা আপনার শরীরে বেশ ক্যালোরি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। আপনি ঘল খেতে পারেন বা ছানা দিয়ে তৈরি প্রোটিন। প্রয়োজনে দুধ কলা খেতে পারেন। পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে তাহলে আপনি সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন এবং ব্যায়াম করার পর ক্লান্তি বোধ না করে সুস্থতা এবং শক্তিশালী বোধ করবেন। 

সপ্তাহে কয়দিন জিম করা উচিত 

সপ্তাহে কয়দিন জিম করা উচিত এর সঠিক উপায় আমাদের জানা উচিত। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন কাজ-কাম এবং দৈনিক জীবনের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত থাকি। এর পাশে শরীরকে সুস্থ এবং ফিট রাখার জন্য জিম করার প্রয়োজন হয়। তবে অনেকেই মনে করে প্রতিদিন জিম করলে শরীর বেশি শক্তিশালী এবং সুন্দর হয়। 

প্রকৃতভাবে বিভিন্ন গবেষণা করে জানা যায়। সপ্তাহে প্রতিটি মানুষকে জিম করা উচিত তবে প্রতিদিন নয়। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অনুযায়ী ব্যায়াম করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বা প্রাপ্তবয়স্ক বা মাঝারি ধরনের তাদেরকে সপ্তাহে কি তুই সময় বের করে ব্যায়াম করা উচিত বিশেষ করে সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা। 

আরো পড়ুনঃ সোনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবাক করা তথ্য জানুন

যা গবেষণা করলে দেখা যায় প্রতিদিন ২১ মিনিট ব্যায়াম করা অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য। সারাদিনের মধ্যে এই সময়টুকু তেমন কিছুই না তবে আপনাকে প্রতিদিন সকালে এই অভ্যাসটি করতে হবে ঘুম থেকে উঠে হালকা খাওয়া-দাওয়া করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২১ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। 

যা আপনার প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকে সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা বজায় রেখে চলতে সাহায্য করে। তাই যে ব্যক্তিরা ব্যায়াম করতে চায় তারা শারীরিক অ্যাক্টিভিটি করতে পারে না তাদের জন্য আর কেউ ব্যায়াম উপযোগী। যা আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কমায়। 

এছাড়াও রক্তচাপ কমাতে এবং কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যার ফলে হূদরোগের ঝুঁকি কমে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের হার্ট রেট ২২০। যদি আপনার বয়স ৪০ হয় আর আপনার যদি ১৮০ এর বেশি হয় তাহলে আপনার কার্ডিও শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত। তবে আপনাকে একটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে যেমন বিভিন্ন ব্যায়াম বিশেষজ্ঞরা উপস্থাপন করেছে। 

আপনি কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন নির্ভর করবে আপনার শরীরের ক্ষমতা আপনার ফিটনেস আপনার পছন্দ অপছন্দ এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতার দিক থেকে যা আপনার কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাই একটু সময় নিতে পারবে তারপরেও উইপোকার পরে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন জিম করা আদর্শ সময়। 

ব্যায়ামের বিশেষজ্ঞ পার্সোনাল ট্রেনার টম ম্যানস তিনি বলেন সাপ্তাহিক অত্যন্ত তিনবার জিমে যেতে হবে এবং সর্বোচ্চ ভালো হয় ৫ দিন গেলে। তুমি অনেকেই মনে করে যে বেশি জিমে গেলে অধিক শক্তিশালী অধিক চর্বিযুক্ত অধিক ফিটনেস পাওয়া যায়। এটা ভুল কথা সঠিক পরিশ্রম করতে সঠিক নিয়ম ব্যবহার করতে হবে। 

এছাড়াও তিনি আরো বলেন ব্যায়ামের প্রতি সেকশনে স্থায়িত্ব মিনিমাম ৪৫ - ৬০ মিনিট থাকা উচিত।বিশেষজ্ঞের মতে ১০ মিনিট ওয়ার্ক আপ, ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ট্রেইনিং, ৫ থেকে ১০ মিনিট কুল ডাউন ও স্টেসিং এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে আপনি কন্ডিশনিং স্টশন ও ইন্টারভাল ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট সর্বোচ্চ নিতে পারেন। আপনার শরীরের দক্ষতাকে আরো বৃদ্ধি এবং কর্মসম্পাদনা করার জন্য দক্ষ গড়ে তুলবে যা আপনার শরীরকে সকল কাজের জন্য উপযুক্ত করতে সাহায্য করবে।

ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত 

ব্যায়াম করার পর কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত এটা আমাদের জানা উচিত। বিভিন্ন ব্যায়াম করার পূর্বে বিভিন্ন খাবার খাওয়া উচিত, তবে আপনি সাধারণত ব্যায়াম করার পর আপনার শরীরের হার্টবিট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে এবং বডির কোন টেম্পারেচার নরমাল হতে যতটুক সময় লাগে তারপরেই আপনি খাবার খেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ কাচা হলুদ এর ১১টি বিশেষ উপকারিতা - কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় জানুন

সবচাইতে বেশি উপযুক্ত মনে করা হয় ৫ থেকে ১০ মিনিট যা অনেক জনের ক্ষেত্রে কম বেশি হয়।এছাড়া আপনি ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে কিছু খাবার গ্রহণ করবেন এবং তবে সাথে সাথেই ব্যায়াম করতে শুরু না করে সর্বনিম্ন ব্যায়াম করার পূর্বে কম করে ৪০ মিনিট পূর্বে হালকা খাবার গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে কাঁচা ছোলা হতে পারে, 

কলা হতে পারে, দুধ হতে পারে, মধু হতে পারে, গুড় হতে পারে, যা খাওয়ার পর আপনি ব্যায়াম শুরু করবেন। এবং আপনি ব্যায়াম করার সময় শেষ হওয়ার পর শরীরের ঘাম শুকিয়ে এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে যে সময় লাগবে। উক্ত সময় পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। এর আপনি যে কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করবেন।

এছাড়া আপনি যদি কিছু সময় ব্যায়াম করে ক্লান্ত হয়ে যান তাহলে কিছু সময় রেস্ট করে আবার দান করবেন এবং এর মাছে হালকা খাবার গ্রহণ না করে শুধু পানি বা তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন। খাবার গ্রহণ করার পাশ থেকে ১০ মিনিট পরে আপনি পুনরায় আবার ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন এভাবে ব্যায়াম করে শরীরের বেশি উপকার পাওয়া যায়।

সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত

সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত তা আমাদের জানা থাকলে আমরা খুব সহজে ব্যায়াম করার পূর্বে সেই খাবারগুলো খেয়ে নিতে পারব এবং ব্যায়ামকে সহজ করতে পারব। অনেক সময় দেখা যায় সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাকৃতিক কাজগুলো সম্পন্ন করার পর শরীর অনেকটা ক্লান্ত এবং দুর্বল মনে হয়।  

সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত
 

তাই আপনাকে ব্যায়াম করার আগে পরিমাণমতো এক কথায় আপনি যে পরিমাণ পানি পান করতে পারবেন। তাপান করুন এরপর ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম রাতে ভিজিয়ে রাখা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি দুর্বল শরীরের অধিকারী হন তাহলে এর সাথে গুড় ও আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। 

যা আপনার শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাবে এবং আপনাকে ব্যায়াম করার জন্য শরীরে ক্লান্তিহীন হ থেকে রক্ষা করবে। স্যার আপনি শুকনো ফল এবং বাদাম খেতে পারেন যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি কি ব্যায়ামের আগে এবং পরে কিছু খাবার গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে যা শরীরের সঠিক উপকারিতা পেতে সাহায্য করবে। 

আপনি যদি ব্যায়ামের পর ক্লান্ত হয়ে যান এবং কোন খাবার গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে এবং আপনি ধীরে ধীরে ওজনহীন হয়ে যাবেন। আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করার পূর্বে হালকা খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে আপনি ব্যায়াম করার সময় শক্তি পান। ব্যায়াম শেষে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হলে আপনাকে কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আপনাকে পুনরায় শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করবে।

জিম করার পর ছেড়ে দিলে কি হয় 

জিম করার পর ছেড়ে দিলে কি হয় এটা আমাদের জানা উচিত। আসলে আমরা যখন প্রতিদিন জিম করি বা একটি নিয়মের ভেতর থেকে যখন জিম করি তখন প্রতিদিন আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার ও সঠিক পরিশ্রম থাকে যার ফলে আমাদের শরীর দৃঢ় ও স্বাস্থ্যবান থাকে। তবে কেউ যদি হঠাৎ জিম করতে করতে ছেড়ে দেয় এবং সেই নিয়ম অনুসরণ না করে। সেক্ষেত্রে তার জিম করার পর শরীরের অবস্থা খারাপ হতে পারে। 

আপনি জিম করার যে পরিমাণ পরিশ্রম এবং খাবার গ্রহণ করছেন তা যদি আপনি অন্য পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যয় না করেন তাহলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। আর আপনি যদি ব্যায়াম করেন তাহলে সেই শারীরিক ক্ষমতা ঠিক থাকবে এবং শরীরের সকল কার্যক্ষমতা অক্ষত থাকবে। আর আপনি যদি হঠাৎ জিম করা ছেড়ে দেন তাহলে আপনার শরীর দুর্বল ও ওজনহীন হয়ে যেতে পারে।

সুতরাং আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য এবং সঠিকভাবে শরীরের অঙ্গ পতঙ্গের কার্য পরিচালনা করার জন্য জিম করার অভ্যাস করতে হবে এবং এটা না ছেড়ে আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন সেই অনুযায়ী করতে পারেন। অনেক মানুষ রয়েছে যারা ৫০ বা তারও বেশি বয়সে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক চর্চার ব্যায়াম করে তারা সুস্থ থাকার জন্য এই কাজটি করে তাই আপনি অসুস্থ থাকতে ব্যায়াম করতে পারেন।

সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা কি ভালো 

সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা কি ভালো এটা অনেকেই জানেনা এবং এর সঠিক বিষয়টি জানেনা তাই বিশেষজ্ঞদের মতে খালি পেটে ব্যায়াম করলে শরীরের ডিহাইড্রেট হতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার শরীরে জলের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমে আসতে পারে ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই কিছুটা খাবার বা জল খেয়ে নিতে হবে। 

এছাড়া আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। মাথা ঘুরবে যা আপনাকে আরো সমস্যায় ফেলে দিতে পারে তাই আপনি খালি পেটে ব্যায়াম করা থেকে দূরে থাকুন এবং কোন কিছু খাওয়ার পরেই ব্যায়াম করুন। এখানে সৌন্দর্য কমে যাবে ব্যায়াম করার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার না করে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ আলু বোখারার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা অবাক হবেন জানলে

তাই আপনি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গিয়ে ব্যায়াম করার জন্য ক্ষতির সম্মুখীন যেন না হন তার জন্য খালি পেটে ব্যায়াম করা থেকে দূরে থাকুন। আপনি অবশ্যই সুস্থ থাকার জন্য খালি পেটে ব্যায়াম করবেন না এতে আপনার ক্ষতি হতে পারে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং শরীর আরো ক্লান্তি হয়ে যেতে পারে। 

তাই আপনি ব্যায়াম করার অবশ্যই বীজ থেকে ২৫ মিনিট আগে কোন ধরনের খাবার বা পানি গ্রহণ করবেন। এছাড়া আপনার বমি হতে পারে, খালি পেটে ব্যায়াম করলে আপনার শরীর ভেঙে যেতে পারে নার্ভাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার উপরে উল্লেখিত সমস্যা গুলো হয়।

ব্যায়াম করার পর কি করা উচিত

প্রেম করার পর কি করা উচিত জেনে নিন। সাধারণত আমরা ব্যায়াম করার পর বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর মূলক কাজ করি যার কারণে আমাদেরকে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। আপনি যদি ব্যায়াম করার সময় একটু সতর্কতা অবলম্বন করেন তাহলে এই সমস্যা গুলো হয় না। সাধারণ শরীরের আদ্রতা ধরে রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়।

ব্যায়াম করার পর কি করা উচিত

 

তাই আপনি ব্যায়াম করার পূর্বে পরিমাণমতো পানি পান করুন। তবে আপনি ব্যায়াম করার শেষে কিছু সময় অপেক্ষা করবেন যেমন অনেক মানুষের থেক অনেক রকম হতে পারে। আপনি ব্যায়াম করার শেষে আপনার হৃদস্পিনন যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় না আসে। আপনার স্নায়ু যতক্ষণ পর্যন্ত শান্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি একটি ছায়া এবং শান্ত পরিবেশে অপেক্ষা করুন। 

যখন আপনার শরীরের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হবে। এবং গা ঘামা বন্ধ হবে। সেই সময় আপনি পরিমাণ মতো পানি জুস বা বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারে। তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যায়াম করার পর আপনাকে অবশ্যই কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এই অপেক্ষা না করলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। 

তবে ব্যায়াম করা শেষে আপনি খাবার হিসেবে দুধ, পুষ্টিকর ফলমূল, কাঁচা ছোলা ও দই ও বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারেন। যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা দেয়, তাই উপরে উল্লেক্ষিত খাবার গুলো খেতে পারেন। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ব্যায়াম করার পর কি করা উচিত। 

ব্যায়াম নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ ছোট বুট ভিজ খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে?

উত্তরঃ ছোট বুট ভিজিয়ে খাওয়া উপকারী এটা স্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড হিসেবে গ্রহণ করা যায়, এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ফাইবার ক্যালসিয়াম সোডিয়াম ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আপনার হজম শক্তি উন্নত করে, হার্টের সুস্থতা রক্ষা করে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শতকরা নিয়ন্ত্রণ করে, চুল সুন্দর করতে ও স্বাস্থ্য সুন্দর করতে ভূমিকা রাখে।

প্রশ্নঃ ব্যায়াম করার পর ছোলা খেলে কি হয়? 

উত্তরঃ ব্যায়াম করার পর ছোলা খেলে আপনার শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। আপনি ব্যায়াম করার পূর্বে এবং ব্যায়াম করার পরে নিয়মিত ছোলা খেতে পারেন। 

প্রশ্নঃ ১ কাপ ছোলায় কত ক্যালরি থাকে? 

উত্তরঃ আসলে প্রতি দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীরে শক্তি যোগান দিতে সক্ষম এই ছোলা। এর প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলাতে প্রায় ৩৬০ এরও বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ কাঁচা ছোলা কখন খাওয়া উচিত? 

উত্তরঃ এই ছোলা বিভিন্ন সময় খাওয়া যেতে পারে ব্যায়াম করার আগে এবং পরে। আবার কেউ চাইলে এটাকে খাবারের সময় অথবা দুপুরে খাওয়ার সময় খেতে পারো। বিকেলে হালকা খাবর হিসেবে খেতে পারে। শরীরের উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে। 

প্রশ্নঃ ছোলা বুট কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়? 

উত্তরঃ আসলে ছোলা বুট সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া উত্তম। তবে এর কম সময় বা ছয় ঘন্টা মতো ভিজিয়ে রাখলেই খাবার উপযুক্ত হয়ে যাবে। 

প্রশ্নঃ কাঁচা ছোলা খেলে কি ওজন কমে? 

উত্তরঃ কাঁচা হলে ক্যালরি কম থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে। পেট ভরা রাখে এবং খোদা নিয়ন্ত্রণ করে তাই এটা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। 

প্রশ্নঃ ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়? 

উত্তরঃ কাঁচা ছোলা মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে যা আপনার শরীরকে শক্তিশালী এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। সুতরাং আপনি যদি দুর্বল হন এবং শরীরের পুষ্টির অভাব থাকেন তাহলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। 

প্রশ্নঃ কাঁচা ছোলা ডায়েটে খাওয়া যাবে কি? 

উত্তরঃ ডায়েটের জন্য আপনি ডাল বা শস্য কাঁচা খাওয়া যেতে পারে শালা ছোলা এবং মুগ ডাল খেতে পারে। ফাইবার এবং পুষ্টি রয়েছে কিন্তু ক্যালোরি ও চর্বির পরিমাণও কম।

প্রশ্নঃ ছোলা কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে গ্যাস কমে? 

উত্তরঃ ছোলা ০৮ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে গ্যাস কমে এবং গ্যাস কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে প্রতি তিন ঘন্টা পর পর পানি ঝরিয়ে নতুন পানি দেওয়া।

প্রশ্নঃ সিদ্ধ ছোলায় কত গ্রাম প্রোটিন থাকে? 

উত্তরঃ প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ, ৬৪ গ্রাম শর্করা ও ৫ গ্রাম ফ্যাট। সোলায় কার্বোহাইড্রেট গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।

প্রশ্নঃ কোন ছোলায় প্রোটিন বেশি? 

উত্তরঃ সাদা ছোলার তুলনায় কালো ছোলাতে প্রোটিন বেশি এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। আয়রন পলিপ ও এন্ট্রো অক্সিনের পরিমাণও বেশি থাকে তাই অন্য ধরনের সাদা বা বিভিন্ন ধরনের হচ্ছে আলোচনা অত্যন্ত উপকারী। 

শেষ মন্তব্য জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় 

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় এই বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য আপনাদেরকে সকল কাঁচা ছোলার উপকারিতা জানিয়েছি। কোন সময় খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সঠিক উপকারিতা পাবেন। জিম করার আগে ও পরে কিভাবে খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাওয়া যায়। এছাড়া আরো বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর যা আপনাদের জানা প্রয়োজন। 

একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা রাখতে পারে এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং শরীরকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে অবশ্যই শারীরিক সুস্থতা এবং ব্যায়াম করা বা জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url