ঘরে বসে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায়
আপনি যদি অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান? ২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে বর্তমান সময়ে নামজারি খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে অনুসন্ধান করা যায়।
অনলাইনে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি জমির খতিয়ান নাম্বার, মালিকের নাম জমির দাগ নম্বর ও কিছু তথ্য প্রদান করে সহজেই তা ঘরে বসে জানতে পারবেন।পোস্ট সুচিপত্রঃ ঘরে বসে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায়
ভূমিকা
সাধারণত আমরা অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য বিভিন্ন রকম হয়রানি সম্মুখীন হই। ভূমি মন্ত্রণালয় অফিসে বিভিন্ন ধরনের পর্যায়ক্রমিক কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই এই কাজকে সহজেই কম সময়ে করার জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করা হয় ২০২১ সালে। সকল মানুষের সুবিধার্থে এবং সহজে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে যার মধ্যে প্রবেশ করে সহজে কাজটি সম্পন্ন করা যায়।
এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানা যায় এবং প্রয়োজনে সেই তথ্য সংগ্রহ করে রাখা যায়। অনলাইনের মাধ্যমে জমির তথ্য এবং জমির মালিকানা তথ্য প্রদান করে খুব সহজেই আপনি নামজারি খতিয়ান চেক করতে পারবেন। যা পর্যায়ক্রমে আপনাদেরকে দেখানো হলো যে, কি উপায়ে ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজেই কাজটি করতে পারবেন।
নামজারি খতিয়ান চেক করার নিয়ম
নামজারি খতিয়ান চেক করার নিয়ম অত্যন্ত সহজ এর জন্য আপনাকে একটি ভুমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেই ওয়েবসাইটের ঠিকানা https://land.gov.bd/এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। এখানে আপনার জমির ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ অপশন থাকবে। যেগুলো পর্যায়ক্রমে নামজারি খতিয়ান অপশন বাছাই করতে সাহায্য করবে এরপর ভূমির বা জমির বিভাগ জেলা ও উপজেলা বাছাই করে।
আপনার খতিয়ানের ধরন ও মৌজা বাছাই করতে হবে তারপর খতিয়ান নং দিয়ে যেখানে খুঁজুন বাটুল লেখা থাকবে সেখানে ক্লিক করতে হবে তাহলে নামজারি খতিয়ানের অনুসন্ধান পাওয়া যাবে। এই উপায়টি ব্যবহার করে এক মিনিটে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন দিয়ে এ কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই আপনাদের সামনে নামজারি খতিয়ান চেক করার ধারাবাহিকভাবে ধাপগুলো উপস্থাপন করা হলো।
প্রথম ধাপঃ প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। https://land.gov.bd/ এখানে ভিজিট করার পরে আপনার সামনে যে ইন্টারফেস্টি চলে আসবে তা লক্ষ্য করতে হবে। এর মধ্যে থেকে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ বাছাই।
দ্বিতীয় ধাপঃ এভাবে ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ বাছাই করার পরে আপনি দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন চলে আসছে আপনার সামনে, এর মধ্যে থেকে আপনাকে ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এছাড়া আপনি একটি লিংকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন। লিংকটি হলো,https://dlrms.land.gov.bd/এরপর আপনার সামনে যে ইন্টারফেস আসবে। এখান থেকে আপনি নামজারী খতিয়ান বাছাই করুন।
তৃতীয় ধাপঃ এরপর আপনি এই নামজারি খতিয়ান বাছাই করার পর উপরে উল্লেখিত ছবির একটি পেজ শো করবে এখান থেকে নামজারি খতিয়ান অপশন বাছাই করার পরে আপনি নিচে দেখতে পাবেন বিভাগ ও জেলা বাছাই করার অপশন আসছে। তা পূরণ করলে আপনার সামনে চলে আসবে, উপজেলা থানা ও মৌজা বাছাই করার অপশন। এই তথ্যগুলো অবশ্যই সঠিক দিতে হবে যার জন্য করবেন বা যেই জায়গার ভূমি সম্পর্কে এ তথ্য বের করবেন।
খতিয়ান তথ্য গুলো লিখতে হবে, খতিয়ান নম্বর দিতে হবে খতিয়ানের সতীত্ব লেখার পর আপনি খুঁজুন বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনের নামধারী তথ্য দেখাবে। এছাড়া আপনি দাগ নম্বর অথবা মালিকের নাম দিয়ে খতিয়ান যাচাই করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না মালিকের নাম অথবা দাগ নাম্বার দিয়ে খুজুন বাটনে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনি সহজেই দেখতে পাবেন। যার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় প্রয়োজন হয়।
নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান
নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি কি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনাকে দেখানো হবে বিভিন্ন রকমের তথ্য, এর মধ্যে থকে ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা হলো,
- নামজারি খতিয়ান বাছাই করতে হবে।
- নিজের জেলা ও বিভাগ উপজেলা বাছাই করতে হবে।
- আপনার যে খতিয়ানটি রয়েছে তার ধরন ও মৌজা যা যাচাই করতে হবে।
- এরপর আপনার সামনে খতিয়ান এর খতিয়ান নাম্বার দিয়ে খুঁজুন অপশন থাকবে তাতে ক্লিক করতে হবে।
তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার খতিয়ান নাম্বারটি পেয়ে যাবেন এই কাজটি করার জন্য আপনি বাসায় বসে থেকে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে গুগল অথবা যেকোনো ব্রাউজার থেকে জেনে নিতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছি নাম ধরে খতিয়ান অনুসরণ করার নিয়ম যা এই পোস্টের ভিতরে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো দেখুন
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে ওই একই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং এরপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা আপনি হয়তো কিছুটা বুঝতেই পারছেন। এখানে এই ওয়েবসাইটের ভিতরে প্রবেশ করার পরে আপনার সামনে যে ইন্টারটি চলে আসবে সেখানে লেখা থাকবে সার্ভে খতিয়ান। অনেকগুলো অপশন এর ভেতর থেকে আপনি সেখানে ক্লিক করবেন সম্ভবত এটা দুই নম্বর অপশনে থাকে।
উপরে যে ইন্টারটি থাকবে তার মধ্যে থেকে আপনি সার্ভে খতিয়ানের ভিতরে প্রবেশ করলে আপনি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনি যদি ইতিমধ্যেই ই পর্চা খতিয়ান যদি অনলাইন করে থাকেন। তাহলে ৫ মিনিটে আপনি তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারভীন সেই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে। আর যদি আপনার খতিয়ানটি অনলাইনে না হয়ে থাকে তাহলে অনুসন্ধানও ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। প্রথমে অনলাইন করার কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
- এছাড়া খতিয়ান অনলাইন অনুসন্ধানের জন্য প্রথমে https://www.eporcha.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- তারপর আপনাকে সার্ভে খতিয়ান অপশন বেছে নিতে হবে।
এরপর সেখান থেকে বিভাব নির্বাচন করতে হবে যেমন রাজশাহী, এরপর জেলা নওগাঁ, উপজেলা, যেটা হবে সেটা এবং খতিয়ানের ধরন যেমন আর এস খতিয়ান বা অন্য যে খতিয়ান রয়েছে, এরপর আপনাকে মৌজা নির্বাচন করতে হবে যেমন, আনিসাইল মৌজা, এরপরে আপনাকে খতিয়ান নাম্বার দিতে হবে অনুসন্ধান করতে হবে বা খুঁজুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে না পাওয়া গেলে আপনি অধিকতার অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করে জমির নাম ও মালিকের নাম দিয়ে খুঁজুন।
অনলাইন খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম
অনলাইন খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম জানলে আপনি খুব সহজে খতিয়ান অনুসন্ধান করে ডাউনলোড করতে পারবেন। এ অনুসন্ধান করার পর ডাউনলোড করতে চাইলে ১০০ টাকা ফ্রি প্রদান করতে হয় আবেদন করার জন্য। সে অনলাইন কপি তাৎক্ষণিক ভাবে ডাউনলোড করা যাবে। আপনি চাইলে সার্টিফাইড কপি নিতে চাইলে আপনার ঠিকানা ডাকযোগে পৌঁছাতে পারি তবে সর্বোচ্চার দিন সময় লাগে।
- এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ হলো,
- জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর।
- জন্ম তারিখ, মোবাইল নাম্বার ইংরেজিতে নাম
- ইমেইল ঠিকানা
- আপনার বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা
ডাউনলোড করার জন্য যে ধাপসমূহ রয়েছে, জাতীয় পরিচয় পত্র তারিখ মোবাইল নাম্বার দিয়ে যাচাই করতে হবে এবং ইংরেজিতে নাম ইমেইল ঐচ্ছিক ঠিকানা লিখতে হবে। এরপর আবেদনের ধরণ নির্বাচন করতে হবে যার জন্য অনলাইন কপি ১০০ টাকা এবং স্যাটিস্ফাইড কপি ১৪০ টাকা ডাকযোগে দিতে হয়। খতিয়ান অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি জেনে দেখলে আপনি খুব সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন।
এবছর খতিয়ান অনলাইন করে অনুশীলন করে খতিয়ান না পেলে খতিয়ান আবেদন বাটনে ক্লিক করুন এবং ফরম পূরণ করুন। এরপর খতিয়ান ডাউনলোডের আবেদন কম বেশি একই ধরনের হয়ে থাকে তাই আপনি একটি শুধু স্যাটিসইড কপি অপশন থাকবে এবং অফিস থেকে যোগাযোগ করে ডাকযোগে সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই পত্রা খতিয়ান অনলাইন অনুসন্ধান করতে পারবেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান বি এস
ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান বি এস অথবা এমনিতেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনি সচরাচর ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। ওয়েবসাইটের ঠিকানা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ঠিকানার মধ্যে প্রবেশ করে আপনি খুব সহজেই অনেক ধরনের ভূমি বিষয়ে সেবামূলক অপশন দেখতে পাবেন।
সেখান থেকে আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ে যেকোনো ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সংরক্ষণ করতে পারবেন। যার জন্য আপনি সরাসরি এই লিংকের ভিতরে প্রবেশ করে আপনি এই লিংকের মধ্যে প্রবেশ করার পর যে ইন্টারফেস আসবে তার সকল তথ্য গুলো পূরণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি ফলাফল দেখতে পারবেন। এই লিংকে প্রবেশ করুন। তাহলে উল্লেখিত ইন্টারফেসটি আসবে।
দাঁত ও খতিয়ান নং চেক
দাগ ও খতিয়ান মা চেক করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে কিছু বিষয় জেনে রাখতে হবে যেমন আপনি যদি জমির মালিকানা যাচাই করতে চান তাহলে অবশ্যই দাগ নম্বর জানতে পারে দাগ নম্বর জানা থাকলে আপনি যে কোন মুহূর্তে মালিকানা যাচাই করতে পারবেন। জন্য কিছু ধাপ রয়েছে যে ধাপগুলো আপনাকে পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করতে হবে।
প্রথমে,DLRMS অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে যা আপনি প্লে স্টোর থেকে পেয়ে যাবেন। প্লে স্টোর সার্চ বারবার গিয়ে এই নামটি লিখে সার্চ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন এবং সেটা ইন্সটল করে নিতে হবে। ইনস্টল হয়ে গেলে আপনাকে দ্বিতীয় ধাপটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ, এভাবে আপনার ইন্সটল করা অ্যাপস টি ওপেন করতে হবে, ওপেন করা হয়ে গেলে আপনার কিছু অপশন দেখতে পারবেনের মধ্যে সরাসরি ছাড়ব খতিয়ান অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি এখান থেকে বিভাগ নির্বাচন করবেন। আপনার জমি যে বিভাগে অবস্থায় সেই বিভাগ নির্বাচন করতে হবে।
জেলা নির্বাচন করতে হবে যেখানে উপজেলা রয়েছে সেই উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। বিভাগ জেলা উপজেলা সবকিছু নির্বাচন করা হয়ে গেলে এরপর আপনাকে খতিয়ানের ধরনের নির্বাচন করতে হবে। এটা কোন ধরনের খতিয়ান আর এস খতিয়ান নাকি এমনি খতিয়ান। খতিয়ান নির্বাচন করার পর মৌজা নির্বাচন করে।
আপনার জমি কোন মৌজায় অবস্থিত তা নির্বাচন করতে হবে সঠিকভাবে। এরপর আপনাকে খতিয়ানের তালিকা নাম্বার দিতে হবে অর্থাৎ আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার লিখতে হবে জমির খতিয়ান নাম্বার লিখে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে।
আপনি আপনার নাম্বার যদি সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে ক্লিক করার সাথে সাথেই পেজটি চলে আসবেন যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন করা থাকবে। এভাবে আপনি সরাসরি পরবর্তী যে কোনো ধরনের ভূমি সংক্রান্ত তথ্য গ্রহণ করার জন্য এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারে। যা উপরে উল্লেখিত সকল তথ্য সহজে বের করতে সাহায্য করবেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ আর এস খতিয়ান অনলাইনে চেক করার নিয়ম কি?
উত্তরঃ আর এস খতিয়ান অনলাইন চেক করার জন্য উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটটির ভিতরে প্রবেশ করতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই সার্ভ খতিয়ান অপশন এ প্রবেশ করে আর এস খতিয়ান সম্পর্কিত সকল তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন এবং বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।
প্রশ্নঃ নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই করার নিয়ম?
উত্তরঃ নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই করার জন্য আপনি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, eporcha.gov.bd যা আপনার জমির ঠিকানা ও মৌজ উল্লেখ করে দিলে অধিকতর অনুসন্ধান এ ক্লিক করলে মালিকের নাম বিভিন্ন তথ্য খালি বক্সে কাঙ্খিত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রশ্নঃ আর এস খতিয়ান এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ আর এস খতিয়ান এটি একটি খতিয়ান সংক্রান্ত বিষয় যার পূর্ণরূপ হলো রেকর্ডেড সেটেলমেন্ট। যা একটি ভূমি সংক্রান্ত রেকর্ড বা খতিয়ানের ধরন বোঝায়। এটি মূলত ব্রিটিশ শাসনামলে ভূমির মালিকানা ও ব্যবহার নির্ধারণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সিএস খতিয়ান এর পর এই আরএস খতিয়ান এর ব্যবহার শুরু হয়। যা জমির মালিকানা দখলদারি জমির পরিমাণ শ্রেণীর তাদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ খতিয়ান কয় প্রকার বা কয় ধরনের?
উত্তরঃ খতিয়ান সাধারণত পাঁচ প্রকার যত রকমের সিএস খতিয়ান, আর এস খতিয়ান, এস এ খতিয়ান, বিএস খতিয়ান, ডিপি খতিয়ান। এগুলো বিভিন্ন সময়ে 1888 থেকে বর্তমান সময়ে পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসছে তবে বর্তমান সময়ে আর এস খতিয়ানের ব্যবহার হয়ে থাকে যা ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জমির মালিক কে?
উত্তরঃ বাংলাদেশের জমির মালিকানা হয়ে থাকে ব্যক্তিগত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অথবা রাষ্ট্রের। এই তিনটি সর্বাধিক প্রচলিত ব্যক্তিগত মালিকানা হচ্ছে আইনগত ফ্রি হোল্ড যা অনির্দিষ্ট কালের জন্য একচেটিয়া মালিকানা, এবং ২০০৫ সাল থেকে ৬৯% কৃষি জমি ধারণ ক্ষমতা ক্ষেত্রে পর্যন্ত বলে অনুমান করা হয়।
প্রশ্নঃ জেএল নাম্বার কি?
উত্তরঃ জে এল নাম্বার হল প্রত্যেকটি মজাকে একটি স্থায়ী নায়েম বা ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয় যে সংখ্যাকে জেএল নাম্বার বা জুরি সঠিক সন লিস্ট নাম্বার বলা হয়। সাধারণত নাম জেল নাম্বার কে ক্রমানে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সাজানো হয়।
প্রশ্নঃ আর এস খতিয়ান কত সালে হয়?
উত্তরঃ আর এস খতিয়ান জরিপের পর বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সাল থেকে এই জরিপের উদ্যোগ নেয় যা এই পর্যন্ত আধুনিক জরিপ বলা হয়।
প্রশ্নঃ নামজারির অপর নাম কি?
উত্তরঃ নামজারি অপর নাম হচ্ছে মিউটেশন, এটিকে ইংরেজি নাম বলা হয় যার অর্থ হলো পরিবর্তন। এই শব্দটিকে সাধারণত নামজারি বলে জানা যায় নামজারি বা নাম খারিজ বলতে নতুন মালিকের নামে জমির রেকর্ড বুজ করা বোঝায়। অর্থাৎ পুরনো মালিকের নাম্বার দিয়ে নতুন মালিকের নাম জমির রেকর্ড করাকে নামজারি বা নাম খারিজ বলে।
প্রশ্নঃ খারিজ এর অর্থ কি?
উত্তরঃ খারিজের অর্থ হচ্ছে বাতিল করা হয়েছে এমন বা বর্জিত বা পরিবর্তন করা অথবা একজনের নাম থেকে অন্যজনের নামে জমির রেকর্ড তৈরি করা।
প্রশ্নঃ দাগ ও খতিয়ান কি?
উত্তরঃ একটি দাগ নম্বর সাধারণত দাগ নম্বর দিয়ে তৈরি হয় যেখানে একটি ব্যক্তি একজন মালিকানাধীন জমির পরিমাণ দেখায়। এবং ভূমির সকল ধরনের কর এবং সকল তথ্য আদায়ের জন্য খতিয়ান ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ সূত্র পচরা কি?
উত্তরঃ এটা হল কিসের ভিত্তিতে আপনার নামে রেকর্ড হয়েছে তার প্রমাণ যে কাগজে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে সূত্র পর্চা বলে বা ওয়ার্কিং ভলিউম অথবা ড্রাফট।
অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান নিয়ে শেষ মন্তব্য
অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য যে উপায় গুলো ব্যবহার করা যায়। তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছে যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। অনেকে জানে না কিভাবে তাদের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সঠিক আছে কিনা বা কি অবস্থায় আছে তা জানতে হয়।
সে সকল ব্যক্তিরা খুব সহজেই আজকের এই পোস্টি পড়ে জানতে পারবেন কিভাবে ভূমি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায় ঘরে বসে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। এবং এই সচেতনতা নিজের জীবনে ব্যবহার করতে পারবেন এবং যে কোন বিষয়ে জানার জন্য ভূমি সংক্রান্ত তথ্য সেবা পাওয়ার জন্য আমাদের মুক্ত আঁখি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url