সকল কাজা নামাজ ও ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় জেনে নিন

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে আজকে আপনাদের জন্য সঠিক তথ্য উপস্থাপন করলাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা কাজা নামাজ পড়ার জন্য কোন সময় এবং নিয়ত করতে হয়।

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়
 

সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কোরআন ও হাদিসের আলোতে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব কিভাবে সকল কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় অনুযায়ী আদায় করা যায়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ সকল কাজা নামাজ ও ফরজের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় জেনে নিন 

ভূমিকা 

প্রথমে বলে রাখা ভালো কাজা নামাজ বলতে বোঝায় যেকোনো সময় ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী মানুষেরা যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সে নামাজ অনেক সময় কাজা হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ থাকে ঘুমিয়ে যাওয়া অথবা যাত্রা পথে থাকা, অনেকেই ভুলে যায় বিভিন্ন কাজের চাপে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফজরের নামাজ ঘুমের জন্য কাজা হয়ে যায়। অনেকেই জানতে চাই কিভাবে ফজরের কাযা নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জানবো। 

বর্তমানের সুফি দরবেশ বাবা কালান্দর জাহাঙ্গীর তিনি তার ওয়াজের মধ্যে উপস্থাপন করেছেন। তায়েফের ময়দানে রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজ কাজা করে যাত্রা করছেন। সে সময় একজন সাহাবী বলে উঠলেন হে রাসূলুল্লাহ আমরা ফরজ নামাজ কাজা করে চললাম। তখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দেওয়ার আগেই সৈয়দ মোহাম্মদ আসফি বলে উঠলেন এটা আমার নবীর খুশি। 

আর নবীর খুশি তার সাহাবা বা আমার জন্য ফরজ কিছু দুর যাওয়ার পরেই দেখলেন মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে গেছেন এবং তারা গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। মহানবী সে সময় আসরের নামাজ না পড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাগরিবের নামাজের সময় তিনি কাজা নামাজ আগে পড়েন এবং তারপরে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেন। তাই এখান থেকে বুঝে যাই নামাজ তো নামাজ। এই নামাজকে আলাদা করে দেখা যাবে না। 

ফজর, জহর, আসর, মাগরিব ও এশা সব নামাজের মূল্য আল্লাহ তায়ালার কাছে একই। নামাজ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে সংযোগ ও যোগাযোগ। যা প্রভুর সাথে বা সৃষ্টি কথর সাথে করতে হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয় না যে কোন সময় বা সর্বক্ষণ নামাজের সাথে থাকতে হয়। যেমন সূরা মারি যে ২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, তাহারাই মুসল্লি যারা ২৪ ঘন্টা দায়ী সাদাতের উপরের দন্ডায়মান। সুতরাং বলা যায় মানুষকে ২৪ ঘন্টার দাইমি সালাতের মধ্যে ডুবে থাকার জন্য এই সালাতের চর্চা করতে হয়।

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় 

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে একটু জেনে রাখা প্রয়োজন কারণ আমরা অনেকেই অনেক প্রয়োজনে বা ক্লান্তিকর অবস্থায় থাকার কারণে, ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠতে পারিনা যার করেনে নামাজ কাজা হয়ে যায়। সেজন্য আমরা অনেকেই জানতে চাই ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে। প্রকৃত অর্থে বলতে গেলে ফজরের নামাজ সময়ে পড়া সবচেয়ে বেশি উপকারি।

আর আপনি যদি এই নামাজ কাজা করে ফেলেন তাহলে আপনাকে এই নামাজটি পূরণ করার জন্য যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই তথা দ্বিপ্রহরের আগে কাজা করা নামাজ পড়ে নিতে হবে। এটাই হচ্ছে উপযুক্ত সময়, এই সময় আপনাকে নামাজটি পড়ে নিতে হবে তবে ফজরের নামাজের যে ফরজ নামাজ রয়েছে সেইটুকু পড়ে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচী ২০২৩ - তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও ফজলত দেখুন 

নিয়ম হচ্ছে জোহরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত সময় সবচাইতে ভালো হয় আপনি যে মুহূর্তে বুঝতে পারবেন যে আপনার ফজরের নামাজ পড়া হয়নি বা ঘুমিয়ে থাকলে বাজ কোন জায়গায় থাকলে যখনই সময় বা মনে হবে তখনই আপনি নামাজটি পড়ে নিবেন। তবে সর্বোচ্চ উপরে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত পড়া যায়। কারো যদি ঘুম থেকে উঠে বা ফজরের সঠিক সময় নামাজ না পড়া হয় তাহলে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে নামাজ পড়তে হবে। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার আগে ফরজের নামাজ আদায় করে সে যদি এক রাখা তো পাই আবার যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার আগে আসরের নামাজের এক রাকাত পেল সে আসরের নামাজ পেলো যাও সহি বুখারী হাদিসের ৫৭৯ নাম্বার হাদিসে বলা হয়েছে। আবার যদি এতটা কম সময় থাকে যে দুই রাকাত পড়া যায় তাহলে ফরজ দুই রাকাত পড়ে নিতে হবে। 

মহানবী বলেছেন যে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত আদায় করতে পারেন তিরমিজি শরীফ হাদিস ৪২৩। আরো একটু বিস্তারিত বলতে চাই এ ব্যাপারে ফিকহের কিতাবে রয়েছে। ছুটে যাওয়া ফরজের নামাজ যদি একজন ব্যক্তি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই আদায় করে তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত পড়বে। আর যদি যহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজা করা হয় তাহলে শুধু ফরজ পড়তে হবে সুন্নত পড়া প্রয়োজন নেই। 

আসলে ফজরের নামাজটি হচ্ছে সারাদিনের শুরুর নামাজ এই সময়ে অত্যন্ত সচেতনতার সাথে এবং আল্লাহর দিন দিয়ে শুরু করার জন্য আপনি ফজরের নামাজ পড়ে শুরু করতে পারেন এতে আপনার সারাদিনের কর্ম এবং সকল কাজী বরকতময় ও তা থাকবে যদি আপনি একজন সঠিক এবং কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ পড়ে। বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে সৎ ব্যক্তি ছাড়া ফজরের নামাজ আদায় করতে পারে না।

যোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় 

জোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে জানুন। জোহরের কাজা নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ ও সময় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে তাই আপনাদের সামনে নিচে পর্যায়ক্রমে যোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় উপস্থাপন করলাম।

জোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম, আপনাকে জহরের কাজা নামাজ পড়ার জন্য যে নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে তা পূর্বের যেকোনো নামাজ পড়ার মতোই তবে এর নিয়তটি হবে। কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে কাজা নামাজ পড়ার নিয়তে আল্লাহু আকবার। এ বলে আপনি নামাজটি পড়ার নিয়ত করবেন। এরপর আপনি ফরজ নামাজ দিয়ে আদায় করে নিবেন। হাতে সময় থাকলে গোটা জোহরের নামাজট আদায় করতে পারেন।

এই নামাজের জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে আপনি যদি জহুরের নামাজ কাজা হওয়ার পর তা আদায় করতে চান। তাহলে আপনাকে আসরের নামাজের সময়ে এই কাজা নামাজটি পড়তে হবে এবং তারপরে আপনাকে আসরের নামাজ পড়তে হবে এইটাই হচ্ছে সবচাইতে উপযুক্ত সময়। এই সময় পেরিয়ে গেলেও আপনি পরবর্তী সময়ে যখন নামাজ পড়বেন তখন কাজা নামাজ আগে পড়ে তারপরে ওয়াক্তের নামাজ পড়বেন। 

সাধারণত জোহরর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে আমরা জানি সেই নিয়মটি ব্যবহার করতে হবে তবে আপনাকে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে যেই সময় কাজা করেছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে এবং কাজা নামাজ টি পূর্বে করে নিতে হবে। সাধারণত চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ, ও চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করে। অনেকে কেউ কম বেশি করে নফল নামাজ আদায় করে। তবে আদায় করলে উপকার হবে এবং কাজা করা নামাজ থেকে হাই পাওয়া যাবে। 

আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় 

আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় অন্যান্য সকল কাজা নামাজ পড়ার জন্য যে নিয়ম ও সময় রয়েছে ঠিক তেমনি এই নামাজও কিছুটা নিয়ম রয়েছে তাই সেই নিয়মগুলো বিস্তারিত জানুন। ইতিমধ্যেই আসরের নামাজ সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি কাহিনী উপস্থাপন করেছি। এই নামাজকে কেউ যদি আলাদা করে।

তাহলে সে মুসলমানি থাকবে না কারণ ফজর জোহর মাগরিবের সকল নামাজি আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্য পালন করা হয়। কেউ যদি সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন কারণে নামাজ আদায় করে লোক দেখানো বা বিভিন্ন মানুষের কাছে ভালো হওয়ার জন্য তাহলে সে নামাজ পড়ার জন্য তাকে অয়েল নামক দোযখে যাওয়া লাগবে যার স্পষ্ট ঘোষণা কোরআনে দেওয়া আছে। 

সুতরাং আমাদেরকে সাবধান এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ বিভিন্ন ইসলামী হাদিসগুলোতে সহি হাদিস এবং বুখারি হাদিসে। কেউ যদি সইচ্ছাই এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করে তাহলে তাকে ৮০ হোকবা বা জাহান্নামে থাকতে হবে। তাই আসরের নামাজ কাজা করে ফেললে আপনি সে নামাজট মাগরিবের নামাজের পূর্বে মাগরিবের নামাজের সময় প্রথম আসরের নামাজটি পড়ে নিবেন। 

এরপর আপনি মাগরিবের নামাজ আদায় করবেন। এতে আপনার নামাজ পড়াটি হল এবং কাজা নামাজ ও আদায় হয়ে গেল। আসলে নামাজ মানুষকে আল্লাহতালার সাথে সংযোগ এবং যোগাযোগের জন্য উত্তম মাধ্যম। যা ব্যবহার করে আল্লাহ তায়ালার সাথে সংযোগ যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো।

আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময়

প্রতিষ্ঠিত মানে নামাজের চেয়ে বাংলা অর্থ সংযোগ যোগাযোগ তা প্রতিষ্ঠিত করতে বলেছে। বিষয়ে অনেক হাদিস রয়েছে তবে কুরআন মাজিদে আল্লাহ বলেন আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্য তুমি নামাজ কায়েম করো মুসলিম মিশকাত ৬০৪ নং হাদিস। আরো একটু পরিষ্কার করে বলতে গেলে কেউ যদি আসরের নামাজ কাযা রেখে মসজিদে এসে মাগরিবের জামায়াতে খাড়া হয়। 

তবে সে আসরের কাজা পড়ার নিয়তে শামিল হবে। এতে ইমাম সালাম ফিরালে সে আর এক রাকাত উঠে পূর্ব চার রাকাত আসরের নামাজ আদায় করে নিবে এবং পরে একাকী মাগরিবের নামাজ পড়ে নিবে। এতে পরিপূর্ণভাবে কাজা নামাজ আদায় হবে। এই ধরনের ঘটনাটি ঘটে যখন মসজিদে বা জামতে মানুষ নামাজ পড়তে যায় এবং তার পূর্বে কোন কাজা নামাজ থাকে। এছাড়া আপনি নামাজ আদায়ের যে নিয়ম রয়েছে সচরাচার সেইভাবেই নামাজ আদায় করতে পারেন। 

মাগরিবের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম 

মাগরিবের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম দেখুন। আসলে যে কোন কাজা নামাজ পড়ার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলোই উপযুক্ত। তবে কেউ যদি মসজিদে নামাজ পড়ে এবং জামায়াতের সাথে পড়ে তবে সে যদি মাগরিবের সময় নামাজ পড়তে না পেরে এশার সময় নামাজ পড়তে যায় এবং জামায়াতে দাঁড়ায় তাহলে তাকে মাগরিবের নামাজের নিয়ত করতে হবে। 

এবং মাগরিবের নামাজের তিন রাকাত পড়ার পরে বসে নামের সাথে সালাম ফিরিয়ে। এরপর এশার নামাজ পড়তে হবে তবে সবচাইতে ভালো হয় কেউ যদি কাজা নামাজ আদায় করতে চাই তাহলে যখন মনে হবে যে আমার নামাজ কাজা হয়েছে তখন ওই সেই নামাজ পড়তে হবে। এটা হচ্ছে সবচাইতে উত্তম যদি সেই সময় নামাজ পড়ার ওয়াক্ত থাকে। 

অথবা যেই সময় ওয়াক্ত না থাকলেও আপনি মনে হওয়ার সাথে সাথে নামাজ পড়তে পারেন এর অনেক হাদিস রয়েছে যা উপরে উল্লেখ করেছি। তবে কিছু বিষয় আপনাদেরকে পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য একটি হাদিস উল্লেখ করলাম। এখানে বলা হয়েছে মাগরিবের কাজা নামাজ রেখে কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করে।

এবং নামাজ পড়তে শুরু করে তাহলে তাকে প্রথমে কাজা নামাজ বা মাগরিবের নামাজের নিয়ত করে সেই জামায়াতে শামিল হতে হবে। এরপর তিন রাকাত নামাজ বা মাগরিবের নামাজ ফরজ পর্যন্ত পড়ে বসে থাকতে হবে। এরপর পরে ইমাম সাহেব যখন তার নামাজ শেষ করবে একসাথে সালাম ফিরিয়ে নিতে হবে। 

এবং আপনি এই ভাবে মাগরিবের কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন। এরপর সালাম ফিরানোর পর উঠে আপনি একাকী এশার নামাজ পড়ে নিবেন এবং দ্বিতীয় কোন জামাত তৈরি করার ব্যবস্থা থাকলে বা অনেকজন থাকে যারা দেরি করার ফলে বা যাতায়াতের সমস্যার কারণে নামাজ জামাতে পায় না তাদের নিয়েও আপনি একসাথে জামাই দেন নামাজ পড়তে পারেন।

এশার কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম উপায় 

এশার কাজা নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করলেই হবে। আপনি যদি এশার নামাজ মিস করেন তাহলে যখনই আপনার মনে হবে যে আপনি নামাজ মিস করেছেন তখনই আপনি ঘুমিয়ে থাকলে ঘুম থেকে উঠে বাজে কোন কাজ থাকলে সেটা সেরেক নামাজে দাঁড়িয়ে যাবেন। এবং যেহেতু এশার নামাজের পর আর কোন নামাজ সে দিনের জন্য পড়তে হয় না তাহাজ্জুদ ব্যতীত। 

আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার অভ্যাস করেন তাহলে এশার নামাজের পর বেতের নামাজ না পড়ে সারারাত বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারেন। আর আপনি যদি এশার নামাজ করে ফেলেন তাহলে যখন মনে হবে যে আপনি এশার নামাজ পাতা পড়েছেন ঠিক তখনই নামাজ পড়তে শুরু করবেন এবং এই নামাজ পড়ার সময় পরবর্তী ফজরের আযানের পূর্ব পর্যন্ত পড়তে পারেন। 

এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এশার নামাজের যে নিয়ম সে নিয়ম অনুসরণ করে আপনি নামাজটি আদায় করবেন তবে আপনাকে কাজা নামাজটি উল্লেখ করতে হবে। আপনি এশার নামাজের যেহেতু অনেক সময় থাকে সে ক্ষেত্রে মানুষের কাযা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাই আপনি সারারাতের মধ্যে না ঘুমিয়ে থাকলে যে কোন সময় পড়ে নিতে পারেন। ঘুমিয়ে পড়লেও অনেক সময় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়া যায়। 

সারা জীবনের কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম ও নিয়ত 

সারা জীবনের কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম ও সময় সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। অনেক মানুষই রয়েছে খুব কম সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা নামাজ কাজা করেননি জীবনে কখনোই। আর বেশিরভাগ মানুষই রয়েছে যারা কোন প্রচুর পরিমাণ নামাজ কাজা করেছেন। তারা তাদের কাজা নামাজক তোলার জন্য প্রতিদিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অথবা নির্দিষ্ট নামাজের সময় কাজা নামাজ পড়ার জন্য একটি নিয়ত করতে পারেন। 

নিয়ত টি হল, আমি আমার জীবনের যত কাজা নামাজ রয়েছে তা পড়ার জন্য নিয়াত করছি এবং দুই রাত করে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে আপনার যখন মনে হবে যে আপনার আর মনে হয় কাজা নামাজ নেই এবং মনে প্রশান্তি আসছে। মনের প্রশান্তি এবং শান্তি থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কাজা নামাজ শেষ হয়ে গেছে তখন থেকে আপনি আবার পূর্বের নাই নামাজ আদায় করতে শুরু করবেন। 

মহান আল্লাহতালা বলেন যখন তোমরা নামাজ পূর্ণ করবে তখন দাঁড়াবে বসবে এবং শুয়া অবস্থায় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করবে। এবং নামাজ নিজের ভিতরে কায়েম করবে বা প্রতিষ্ঠিত করবে। নিশ্চয়ই নামাজ বিশ্বাসীদের বা মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময় ফরজ সূরা নিসা ১০৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, 

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম সবচাইতে প্রিয় ইবাদত কি রাসূলুল্লাহ বলেন যথাসময়ে নামাজ আদায়। এরপর সৈয়দ ইবনে মাসউদ আবার জিজ্ঞেস করেন তখন তিনি বলেন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার, এরপর যখন আবারো জিজ্ঞেস করা হয় তখন মহানবী উত্তরে বলেন আল্লাহর পথে জিহাদ বাজি হাত করে শহীদ হয়ে যাওয়া সবচাইতে বড় এবং গ্রহণযোগ্য আল্লাহর কাছে। 

এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ইবাদত রয়েছে যেগুলো করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি বলেছেন, কেউ যদি আল্লাহর নিকটে থাকতে চায়, সে যেন একজন অলির কাছে চলে যায়। বিভিন্ন হাদিস এবং দলিলে বা বিভিন্ন গবেষকদের মতে বলা হয়েছে যে বিভিন্ন সময় মানুষের নামাজ কাজা হয়ে যায় যদি ফজরের নামাজ কাজা হয়।

তাহলে তা যোহরর সময় তুলে নিতে হবে, আবার জোহরের নামাজ কাজা হলে তার পরবর্তী আসরের নামাজের সময় তুলে নিতে হবে এভাবে পর্যায়ক্রমে ফরজ নামাজ আদায় করে নিতে হবে। কাজা নামাজ সুন্নত ও নফল না আদায় করলেও চলে তবে খরচটুকু আদায় করা প্রয়োজন। মহানবী বলেন কারো যদি নামাজ কাজা হয়ে যায়। 

তাহলে তার স্মরণ হওয়া মাত্রই আদায়িত হবে কারণ এর কাফফারা দেওয়া যায় না এই নামাজের কাফফারা শুধুমাত্র নামাজ। স্মরণ হওয়া মাত্রই নামাজ আদায় করে নিতে হবে। তোর আগে হলেও আপনাকে আপনার জীবনের সকল কাজা নামাজ গুলো পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

আল্লাহতালা অতীত দয়াল তিনি সকলকে দয়া করেন এবং দয়ার মাধ্যমেই সকলের দুঃখ অবসান কে কম করে দেয় এবং তার দিকে ধাপিত করে। কারণ আল্লাহ সবসময় মানুষকে তার দৃষ্টির ভিতরেই রাখে আল্লাহর দৃষ্টির বাহিরে কোন বান্দা কখনোই থাকে না। আল্লাহতালা সবসময় তার সামনে উপস্থিত। কিন্তু আমরা আল্লাহতালাকে দেখি না দেখার জন্য উপলব্ধি করার জন্য ইবাদত করতে হবে ও মুর্শিদের পদ অনুসরণ করতে হবে। 

পবিত্র কোরআন শরীফে ৮২ বার নামাজের কথা বলা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে নামাজকে প্রতিষ্ঠিত করতে। প্রত্যেকটা ব্যক্তি তার স্রষ্টা বা পরমেশ্বরের সাথে সংযোগ ও যোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাকে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। তাই ইমাম বুখারী শরীফ ও বড় বড় হাদিস গুলোতে উল্লেখ্য যে, পবিত্র নামাজ বেহেশতের চাবি। 

তা আগে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ পড়তে হবে তাহলে অবশ্যই পূর্ণতা পাওয়া যাবে। কোরআনে বলেছেন আসসালাতুল মেরাজুল মুমিনিন সালাতের মাধ্যমে মুমিন বান্দার মেরাজ হবে। সুতরাং কেউ যদি সালাত বা নামাজ কে পরিপূর্ণভাবে আদায় এবং নিজের ভিতরে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে

তাহলে তার সাথে স্রষ্টার দর্শন হবে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন কোরআনের মধ্যে। তাই বলা হয়েছে কেউ যদি আল্লাহর নিদর্শন গুলো দেখতে চাই সে যেন তার নিজের ভিতরে চার মাস সময় ভ্রমণ করে। আল-কোরআন। আশাকরি বুজঝতে পেরেছেন।

উমরি কাজা নামাজের নিয়ম 

উমরি কাজা নামাজের নিয়ম সাধারণত যে নামাজ গুলোকে বিভিন্ন অবহেলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়া হয় সেই নামাজ গুলোকে তোলার জন্য বা সেগুলোকে আদায় করার জন্য যে নামাজ পড়া হয় তাকে উমরি নামাজ বলে। সাধারণত দীর্ঘদিনে যেসব নামাজ কাজা থাকে সেটাকে উমরী নামাজ বলা হলেও এই নামাজ আদায় করার যে নিয়ম সেটা হচ্ছে,

প্রতিদিনের নামাজের যেকোন নির্দিষ্ট একটি সময়ে। আপনি অতীতের কাজা নামাজগুলো আদায় করার জন্য নামাজ পড়বেন সেটাই হচ্ছে উমরে কাজা নামাজ। এ বিষয়ে অনেক ধরনের মতবাদ রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ এবং হাদিস গবেষকরা বলেছেন যে যে নামাজগুলো ইতিমধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে কাজা করেছেন সেই নামাজগুলো যখন বুঝতে পারলেন।

উমরি কাজা নামাজের নিয়ম

যেগুলো আপনার ভুল হয়েছে তখন আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাআলা সেগুলো ক্ষমা করে দিতে পারে। পরবর্তীতে আপনি যেন সেই কাজ না করেন সেজন্য আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিতে পারে এবং আপনি যদি বারবার ভুল করেন এবং বারবার ক্ষমা যান এটা এক ধরনের বেয়াদবি আর আল্লাহ এর শাস্তি দিয়ে থাকেন। 

সুতরাং আপনাকে ভুলের ক্ষমা আল্লাহু করতেই পারে কিন্তু ভন্ডামির ক্ষমা করেন না। আপনি সুযোগ পেতে পারেন যদি নামাজ পড়েন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে কোনভাবেই নামাজ কাজা না করেন। কোন নদীকে উপরে উল্লিখিত বিষয়টি বলেছেন যারা কাজা নামাজ আদায় করার জন্য এবং অনেক দিনের কাজা নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন সময় নামাজ আদায় করে থাকে তাকে উমরি নামাজ বলে থাকে। 

তবে কেউ যদি তওবা করে এবং সঠিকভাবে নামাজ আদায় শুরু করে তাহলে পূর্বের গুনা খাতা মাফ করে দেয়া হয় বলে জানা যায় তাই আপনাকে পূর্বের নামাজ নাই আদায় করে বর্তমানের নামাজ আদায় করতে হবে। মানে হল কাজা নামাজ আগে এবং পরে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করতে হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ সূর্য ওঠার কতক্ষণ পর নামাজ পড়া চাই? 

উত্তরঃ সূর্যোদয় শুরু হয়ে যাওয়ার পর সব নামাজের মতো ওই দিনের ফরজের নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ হয়ে যায় তবে সূর্য পুরোপুরি উঠে যাওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকে বিভিন্ন হাদিসে এবং গবেষণায় জানা গেছে যে, সম্পূর্ণ সূর্য না উঠা পর্যন্ত নামাজ পড়া যায়। যা গায়ের পশম দেখা না যাওয়ার মত ফর্সা হলেই চলবে। 

প্রশ্নঃ ফজরের নামাজ পড়ার উত্তম সময় কখন? 

উত্তরঃ ফজরের নামাজ দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামায়াতের সাথে আদায় করা হয়। শুভ সাদেক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফরজের নামাজ আদায় করা যায়।

প্রশ্নঃ কোন নামাজের প্রথমে ফরজ নামাজ পড়তে হয়? 

উত্তরঃ মাগরিবের নামাজের প্রথম এই ফরজ নামাজ পড়তে হয় এবং পরে নফল নামাজ পড়তে হয়। 

প্রশ্নঃ মাগরিবের আগে কি নফল পড়া আছে? 

উত্তরঃ হ্যাঁ মাগরিবের ফরজের আগে দুই রাকাত নফল নামাজ আছে। আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত মদিনায় যখন মুয়াজ্জিন মাগরিবের আযান দিলেন তখন আশেপাশে থেকে প্রচুর লোক এসে ওই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তেন। দেখে মনে হতো নামাজের জামাত যেন শেষ হয়ে গেছে। 

প্রশ্নঃ কোন সময়ে নফল নামাজ পড়া নিষিদ্ধ? 

উত্তরঃ সূর্যোদয়ের সময় সব নামাজ নিষিদ্ধ আবার সূর্য মাথার উপর স্থিত থাকা অবস্থায় নামাজ পড়া মাকরুমে তাহরিমি, এছাড়া সূর্যাস্তের সময় চলমান আসর ব্যতীত কোন নামাজ বৈধ নয়, আবার ফরজ নামাজের ওয়াক্ত হলে তখন সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসর নামাজের ওয়াক্ত পড়া হলে তখন শেষ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন ধরনের নফল নামাজ পড়া নিষেধ। 

প্রশ্নঃ মাগরিবের নামাজের কত রাকাত? 

উত্তরঃ মাগরিবের নামাজ মোট ৭ রাকাত, তিন রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত, দুই রাকাত নফল। 

প্রশ্নঃ কোন কোন ইবাদত নকল? 

উত্তরঃ এই যে ইবাদতগুলো নকল মনে করা হয় তার মধ্যে সুন্নত নামাজ, যা ফরজ নামাজের পাশাপাশি মুসলমানরা সুন্নত নামাজ পড়ে থাকে। আবার নফল তাহাজ্জুদ নামাজ তাহাজ্জুদ হলো রাতের বেলা আদায় করা একটি বিশেষ নামাজ। এশার ওয়াক্তে নামাজের অনেক ফরজ নামাজের পাশাপাশি মুসলমানরা ওয়াক্ত আর নামাজ। জিকির করা হচ্ছে নফল ইবাদত, আল্লাহর ধ্যানে বা চিন্তায় সময় পার করা বা ধ্যানস্ত থাকা। 

প্রশ্নঃ কোনটি সর্বোত্তম নফল নামাজ? 

উত্তরঃ বলা হয় নফল ইবাদত বন্দেগী ছাড়া কখনোই আল্লাহর অলি হওয়া যায় না। নফল ইবাদত এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামাজ, ধ্যান করা সবচাইতে বেশি উল্লেখযোগ্য ইবাদত। 

প্রশ্নঃ খরচ বলতে কি বুঝায়? 

উত্তরঃ ফরজ সরাসরি মুসলনি সমাজের সাথে সম্পৃক্ত এটি আরবি শব্দ যার অবশ্য কর্তব্য কোন ধর্মীয় আচারকে নির্দেশ করে। ইসলামী ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা আন নূর এর এক নম্বর আয়াতে ব্যবহারের কারণে ফরজ কি একটি কুরানিক শব্দের অভিহিত করা হয়। 

প্রশ্নঃ শরীয়ত দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নামাজ কোনটি? 

উত্তরঃ শরীয়ত দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ যা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য নিদ্রা এবং সকল আরাম আইস ফেলে আল্লাহর জন্য ধ্যানস্থ থাকা বা নফল ইবাদত করা বা তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা, সবচাইতে উত্তম। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য 

ফরজের কাজা নামাজ পড়ানোর নিয়ম ও সময় নিয়ে ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি বিশেষ কিছু তথ্য। যাতে কি আপনি বুঝতে পারবেন যে কেন মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে না এবং নামাজ কাজা হয়ে গেলে কি উপায়ে নামাজ পড়তে হবে। আসলে নামাজ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা মানুষকে প্রতি ক্ষণিকক্ষণে পালন করা উচিত। পবিত্র কুরআনের নামাজ সম্পর্কে ৮২ বার নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে নামাজ কায়েম করুন। 

সুতরাং আপনি যদি নিজের ভিতরে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে অবশ্যই শরীয়তে এ পাঁচ ওয়াক্তে নামাজকে মূল্য দিতে হবে এবং এই নামাজের উপলব্ধি করতে হবে এবং সে পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে সেটা হল সার্বক্ষণিক সালাত যার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এটা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন জানা ব্যক্তির কাছে জেনে নিতে হবে যে সব সময় কিভাবে নামাজ আদায় করতে হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url