ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাইরাসের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের পোষ্ট লিখেছি। আপনি যদি ভাইরাস সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকারী
ভাইরাস হল একটি অতি আণুবীক্ষণিক সংক্রমক বস্তু যা খালি চোখে দেখা যায় না। এটি জীবের জীবন কোষের অভ্যন্তরে বংশবিস্তার করে ও জীবের শরীরে বাস করে।পোস্ট সুচিপত্রঃ ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা - এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- ভূমিকা
- ভাইরাসের প্রকারভেদ আকৃতি অনুযায়ী
- ভাইরাস কি জড়ো নাকি জীব জেনে নিন
- ভাইরাস কি বাধ্যতামূলক পরজীবী বলা হয় কেন?
- ইমার্জিং ভাইরাস কি জানুন
- ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
- ভাইরাসের গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- ভাইরাস নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে শেষ মন্তব্য
ভূমিকা
ভাইরাস হল একটি ল্যাতিন ভাষা থেকে গৃহীত একটি শব্দ। এর বাংলা অর্থ হচ্ছে বিষ। সাধারণত তবে ভাইরাস এক অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়। এটি পর্যবেক্ষণ করতে হলে কেবল মাইক্রোস্কোপ দ্বারা করা যায়। এর মধ্যে কিছু ভাইরাস আছে যা মানুষের অনেক উপকার করে আবার কিছু ভাইরাস আছে যা মানুষের চরম ক্ষতি করে।
এমনকি প্রাণীর প্রাণ কেরেকনিতে পারে যা অনেক ক্ষতিকর। তবে কিছু ভাইরাস আবার মানুষের সাথে থেকে মানুষের অনেক উপকারিতা দেয়। এর কিছু রোগ নিরাময় করে যা ক্যান্সার নিরাময়ক, জিনগত ব্যাধি দূর করে বা প্যাথোজেনিক ভাইরাল সংক্রমণ রোধ করে। তাই নিচে এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ভাইরাসের আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
ভাইরাসের প্রকারভেদ আকৃতি অনুযায়ী
ছয় ধরনের হয়ে থাকে যা হল দন্ডাকার, গোলাকার, বহুভুজাকর, ব্যাঙ্গচি আকার, সূত্রাকার এগুলো সম্পর্কে একটু জানা উচিত। আমাদেরকে এর পার্থক্য গুলো বুঝতে সাহায্য করবে। সাধারণত প্রকারভেদ ভেদ গুলো নিচে আলোচনা করা হয়,
- দন্ডাকার, এই যে দেখতে অনেকটা ধন্ডা বা লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। প্রধান সে বলা যায় টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV), আলফা আলফা মোজাইক ভাইরাস, ম্যাম্পস ভাইরাস।
- গোলাকার, এই ভাইরাসের আকার দেখতে অনেকটা গোল আকৃতির হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় পলিও ভাইরাস, TIV, HIV, ডেঙ্গু ভাইরাস।
- বহুভূজাকার ভাইরাস , এই ভাইরাস গুলো কিছুটা পাউরুটির মত হয়ে থাকে।যেমন, হার্পিস, ভ্যাকসিনিয়া ভাইরাস।
- ব্যাঙাচি আকার, এদের দেখতে অনেকটা মাথা ও লেজ স্পষ্ট এরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে যা দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মতো হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, T2,T4, T6 ইত্যাদি।
- সিলিন্ডাক্যাল বা সূত্রাকার ভাইরাস, যা দেখতে অনেকটা লম্বা সিলিন্ডারের মতোই হয়ে থাকে তাই একে সিলিন্ডার ভাইরাস বা সূত্রাকার ভাইরাস বলা হয়। যেমন, Ebola ভাইরাস, ও মোটরের স্টিক ভাইরাস।
- ডিম্বাকার ভাইরাস, এ ভাইরাসটি ডিম্বাকার করার কারণে এটা অনেকটা ডিমের মত দেখতে হয়। যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
- এছাড়াও নিউক্লিক এসিডের ধরন অনুযায়ী দুই ধরনের হয়, একটি হলো DNA ভাইরাস, RNA ভাইরাস।
আরো পড়ুনঃ নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয় - নবজাতকের বিলিরুবিন কমানোর উপায়
- ডিএনএ DNA ভাইরাস, যে ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে ডিএনএ থাকে তাদেরকে ডিএনএ ভাইরাস বলে। উদাহরণস্বরূপ আমরা জানি T2 ভাইরাস, ভ্যাকসিনিয়া, ভ্যালিরলা, এডিনো হারপিস সিমপ্লেক্স ইত্যাদি ভাইরাস।
- আরএনএ RNA ভাইরাস, যে ভাইরাস নিউক্লিক এসিড হিসেবে আরএনএ থাকে আরএনএ ভাইরাস বলে। উদাহরণস্বরূপ আমরা জানি টি এম ভি, এইচআইভি, ডেঙ্গু পোলিও মাম্পস, র্যাবিস ইত্যাদি।
- এছাড়া বহিঃস্থ আবরণীকে ভাইরাসটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় একটি হচ্ছে আবরণহীন ভাইরাস, যেগুলোকে টি এম ভি, T2 ভাইরাস বলে। এসার বহির্বাহী আবরণী ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস হার্ডডিক্স এইচআইভি ভাইরাস।
- এছাড়া পশুর দেহ অনুসারে চার ধরনের হয়ে থাকে নিচে পর্যায়ক্রমে দেখুন।
- উদ্ভিদ ভাইরাস, এ ভাইরাস সকল উদ্ভিদ দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে উদ্ভিদের ভাইরাস বলে থাকে কারণ এটা সকল উদ্ভিদের দেহে বসবাস করে। টিএমভি, বেন ইয়োলো ভাইরাস (BYV), এছাড়াও ফুলকপির মোজাইক ভাইরাস।
- প্রাণি ভাইরাস, এগুলো সাধারণত প্রাণীদের রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস কে বলা হয় যা প্রাণীদেহে বসবাস করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এইচআইভি, ভ্যাকসিনিয়া ভাইরাস।
- ফায ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ফাস্ট ভাইরাস, ভাইরাস যখন ব্যাকটেরিয়ার উপর পর পরজীবী তখন ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করে তখন তাকে ব্যাকটেরিয়াফায ভাইরাস বলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, T2,T4,T6 এগুলো ব্যাকটেরিওফায ভাইরাস।
- সায়ানোফায, সায়ানো ব্যাকটেরিয়া (নীলভ সবুজ শৈবাল) ধ্বংসকারী ভাইরাসকে সায়ানোফায বলে, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, LPP1,LPP2( Lyngbya, plectonema ও phormidium নামক সায়ানো ব্যাকটেরিয়ার প্রথম অক্ষর দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে)।
অশোক দেহের সংগ্রাম ও বংশবৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে সাধারণ এই ভাইরাস ও রিট্রো ভাইরাস এখানে ভাইরাল আরএনএ থেকে ডিএনএ তৈরি হয়। ছাড়া অন্যান্য ধরনের ভাইরাস রয়েছে যেসব ভাইরাস ছত্রাকে আক্রমণ করে তাদের মাইক্রো ফায বলে। 1948 খ্রিস্টাব্দে হোল ম্যাচ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকারী ভাইরাসকে phaginae, উদ্ভিদ সংক্রমণকারী ভাইরাসকে phytophaginae এবং প্রাণী আক্রমণকারী ভাইরাস কে Zoophaginae নামকরণ করেন।
ভাইরাস কি জড়ো নাকি জীব জেনে নিন
ভাইরাস জ্বর নাকি প্রশ্নের উত্তর একটু কঠিন কারণ ভাইরাস চড়ো এবং জীব দুই ধরনের আচরণ বৈশিষ্ট্য শব্দদূষণ করতে পারে। আপনাদের সামনের নিচে জীব ও জড়ো বৈশিষ্ট্যগুলো উপস্থাপন করা হবে। ভাইরাসের জড়ো রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য গুলো,
- এ ভাইরাস অকোষীয় ও অতি আণুবীক্ষণিক। এদের সাইটোপ্লাজ,ম কোষঝিল্লি, কোষ প্রাচীর, রাইবোজোম, মাইটোকনয়া এসব নেই।
- এদের নিজস্ব কোন বিপাকীয় ক্ষমতা বা এনজাইম নেই যা খাদ্য গ্রহণ করে তা ফলে পুষ্টি ক্রিয়া ও নেই।
- এই ভাইরাস জীবন কোষে সাহায্য না করলে প্রজনন করতে পারে না।
- ব্যাকটেরিয়া রোধক ফিল্টার ভাইরাসকে ফিল্টার যোগ্য নয়।
- ভাইরাসের কোন দৈহিক বৃদ্ধি হয় না এবং এটা পরিবেশের প্রতি উদ্দীপনায় কখনোই সাড়া দেয় না।
- ভাইরাস এসিড ক্ষার ও লবণ প্রতিরোধে সক্ষম এবং এটি এন্টিবায়োটিক এদের দেহে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া করতে পারে না।
- এবার ভাইরাসের জীবও বৈশিষ্ট্য সমূহ
- ভাইরাস পশু অভ্যন্তরে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
- নতুন ভাইরাস সৃষ্টি করে মাতৃ ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে এবং এটি ভাইরাস তার অনুরূপ ভাইরাস হিসেবে কাজ করে।
- ভারতের দেহ জেনেটিক বস্তু ডিএনএ আরএনএ এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
- সাধারণত ভাইরাস সুনির্দিষ্টভাবে বাধ্যতামূলক পরজীবী একটি জীব।
- এটি ভাইরাস পরিব্যক্তি ঘটলে এবং প্রকরণ তৈরি করতে সক্ষম।
- এদের কি অবিভাজ্য ক্ষমতা দান করা হয়েছে। তাই এরা অবিভাজ্য ক্ষমতাশীল। এদের জিনগত পুনরবিন্যাস ঘুরতে দেখা যায়।
ভাইরাস কি বাধ্যতামূলক পরজীবী বলা হয় কেন?
ভাইরাস কে বাধ্যতামূলক পরজীবী বলা হয় কারণ এটা শুধুমাত্র পরজীবী হিসেবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং এর নিজস্ব তেমন কোন বংশ বৃদ্ধি এবং বিশেষ কিছু ক্ষমতা নেই যার কারণে এটা পরনির্ভরশীল ভাবে জীবন যাপন করে। সাধারণত পরজী হিসেবে থাকার চরিত্রকে পরাজীব হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
আসলেই ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী এটি একটি আদি বৈশিষ্ট্য। এ ভাইরাস অন্য কোন জীবের শরীর যেমন মানুষ প্রাণী উদ্ভিদ ব্যাকটেরিয়া শৈবাল এসব কোষে তার বংশ বিস্তার করে এবং লক্ষণগুলো প্রকাশ করে এছাড়া সে বংশবিস্তার করতে পারে না। এছাড়া কোনভাবেই আবাদ মাধ্যমে ভাইরাসের বংশ বৃদ্ধি করা বিজ্ঞানের পক্ষেও সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুনঃ থাইরয়েড নরমাল কত পয়েন্ট জানুন বিস্তারিত
তাই ভাইরাসের এই বিষয়টি সুনির্দিষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট প্রকারের ভাইরাস কোন নির্দিষ্ট জীবদেহে পরজীবী হয় হিসেবে রয়। ভাইরাসের বিভিন্ন ধরন রয়েছে কিছু ভাইরাস আদি কোষকে আক্রমণ করে এবং কিছু ভাইরাস প্রকৃত গোষ্ঠী আক্রমণ করে তার ভিন্নতা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন ভাইরাসের প্রোটিনের আবরণ তার আক্রমণাত্মক সুনির্দিষ্ট জীবদেহ নিশ্চিন্ত করে।
কিছু কষে বিভিন্ন ভাইরাস প্রোটিনের জন্য রিসেপ্টর সাইট থাকলে তবেই এই ভাইরাস পোশক দেহের কোষ কি আক্রমণ করতে পারে। যার কারণে দেখা যায় ঠান্ডা লাগার ভাইরাস শাসনতন্ত্রের মিউকাস মেমো প্লেন কোষকে আক্রমণ করতে পারে। এর কারণে চিকন পক্স ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। আবার চিকন পক্স ভাইরাস আসলে আক্রমণ করতে পারে না।
কারণ শ্বাসনালী কষে এর কোন রিসেপ্টর সাইট নেই। ঠান্ডা লাগার কারণে ত্বক কোষ কি আক্রমণ করতে পারে না কারণ ত্বক কোষে ভাইরাসের জন্য কোন রিসিপ্টর থাকেনা। আবার চিকেন পক্স ভাইরাস তক্ষক কোষকে আক্রমণ করতে পারে পোলিও ভাইরাস উর্ধ্বতন শ্বসনতন্ত্রের আবরণ কোষ কখনো স্নায়ু কোষ কে রিসেপ্টর সাইট উপস্থিত থাকার কারণে আক্রমণ করে।
ঠান্ডা লাগা ভাইরাস ত্বককে আক্রমণ করতে পারে না কারণ এখানে এক ধরনের রিসিপ্টর থাকে না। হজ ভাইরাস কেবল ব্যাকটেরিয়া কোষ আক্রমণ করে ফাস্ট ভাইরাসের মধ্যে T2 ব্যাকটেরিয়া ফায ই কলি ব্যাকটেরিয়া কে আক্রমণ করে। টিএমভি ভাইরাস কেবল তামাক গাছকে আক্রমণ করে। এভাবেই সুনির্দিষ্ট ভাইরাস নির্দিষ্ট প্রকার পশোক কোষ কে আক্রমণ করে।
ইমার্জিং ভাইরাস কি জানুন
এই ভাইরাস হলো এক ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী যা প্রথমে এক ধরনের অশোক দেহে রোগ সৃষ্টি করে, পরবর্তীতে নতুন পশুকে রোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা অর্জন করে, এবং রোগ সৃষ্টি করে তাকেই ইমার্জিং ভাইরাস বলে থাকে। যেমন এই ভাইরাসগুলো করোনা ভইরাস (SARS -COV- 2)প্রথমে এটা রোগ সৃষ্টি করতো। এটা বানরের প্রথমে রোগ সৃষ্টি করত পরবর্তীতে বিবর্তিত হয়ে মানুষকে রোগ সৃষ্টি করছে।
ভিরিয়ন এটি নিউক্লিয় এসিড ও একই ঘিরে অবস্থিত ক্যাপসিড সমন্বয়ে গঠিত এক ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন ভাইরাস কণা কে বলে ভিরিয়ন। সংক্রমণ ক্ষমতাসীন ভাইরাসকে এটা বলা হয় নিউক্লিয় ক্যাপসিড। এর প্রতিটি বিরিয়ানি সর্বোচ্চ ২০০০ হতে ২১৩০ ক্যাপসোমিয়াম থাকে। আবার ভিরইয়েডস হল সংক্রমক আরএনএ যা ডাবলু এস রায়হান ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কার করে।
এটি হলো এক সূচক বৃত্তাকার ডিএনএ অনুর যা কয়েকশো নিউক্লিওটাইড নিয়ে গঠিত এবং ক্ষুদ্রতম ভাইরাস থেকে বহু গুণে ক্ষুদ্র। তবে কেবলমাত্র উদ্ভিদে পাওয়া যায়। এরা উদ্ভিদ থেকে উদ্ভিদ এবং মাতৃ উদ্ভিদ থেকে সন্তান উদ্ভিদের স্থানান্তরিত হতে পারে। উদ্ভিদ পোশাক এনজাইম ব্যবহার করে এরা সংখ্যা ভিত্তিক করে এবং বিজ্ঞানীগণ এর ধারণা করেছেন হেপাটাইটিস ডি এর কারণে ভি যা নারিকেল গাছ এর ক্যাডাং রোগ তৈরি করে।
আবার প্রিয়ন্স সংক্রামক প্রোটিন ফ্লাইবিল হলো প্রিয়নস। এটি নিউক্লিক অ্যাসিড বিহীন প্রোটিন আবরণ মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের KURU ও creutzfeldt রোগ, ভেড়া ও ছাগলের scrapie রোগ দিয়ে থাকে। ম্যাটকাও রোগ সৃষ্টির সাথে এর সম্পৃক্ত তারা রয়েছে। ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম স্ট্যানলি বি প্রেসার অতি ক্ষুদ্র প্রকৃতির পিয়ন এর অস্তিত্বের কথা বলেন যার জন্য ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পান।
ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে যা আপনার বোঝার জন্য উপরে বিষয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছে। এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব এই ভাইরাসের কি ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই নিচে দেখে নিন পর্যায়ক্রমে ভাইরাসের সকল উপকারিতা সমূহ যা আপনার জ্ঞানের পরিধিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এবং ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
উপকারিতা সমূহ,
- এই ভাইরাসের কারণে বসন্ত পোলিও প্লে এবং জনন অঙ্গ রোগের প্রতিশোধ টিকা তৈরি করে ভাইরাস এর বিপক্ষে শরীরে দিয়ে রাখা হয়।
- এ ভাইরাস থেকে জন্ডিস রোগের টিকা তৈরি করা হয় যা বর্তমানে মানুষকে জন্ডিস রোগ থেকে রক্ষা করে।
- যাদের কলেরা টাইফয়েড আমাশা ইত্যাদি রোগের সমস্যা রয়েছে তাদের এই রোগের ওষুধ তৈরি করার জন্য ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
- ভাইরাসকে বর্তমানে বহুল আলোচিত জেনেটিক প্রকৌশল এ বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- মানব শরীর বা উদ্ভিদ শরীরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকারক গুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ভাইরাস গুলো ব্যবহার করা হয়।
- আগাছা নাশক এবং কতিপয় কীটপতঙ্গ দমনের জন্য ভাইরাসের ভূমিকা ও তুলনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের এনপিভি ভাইরাসকে কীটপতঙ্গ নাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- ফায ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করে এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
- লাল টিউলিক ফুলের ভাইরাস সংক্রমণের ফলে লম্বা লম্বা সাদা সাদা দাগ পড়ে একে ব্রোকেন টিউলিপ বলের ফলে ফুলের বিভিন্ন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং মূল্য বৃদ্ধি পায়।
অপকারিতা সমূহ,
এই ভাইরাস মানবদেহে বসন্ত, হাম, পোলিও, জননাঙ্গ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া ভাইরাস হেপাটাইটিস কেপিসি মার্ক হওয়া প্রকৃতিক মারাত্মক ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। অবশ্যই আপনাকে সাবধান করতে হবে।
- বিভিন্ন উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন সিমের মোজাইক রোগ আলুর লিফরোল, বাপ পাতা কুচকে যাওয়া, পেঁপের জন্য লিফ ক্যারল, ক্লোসিস, ধানের টুংরো রোগ শহর 300 উদ্ভিদের রোগ ভাইরাস দ্বারা ঘটে থাকে।
- গবাদিচ্ছ গরুর বসন্ত ভেড়া ছাগল শুকুর মহিতালে প্রাণে ফুড এন্ড মাউথ রোগ সৃষ্টি করে। কটা দিদির পা ও মুখের বিশেষ ক্ষত রোগ তৈরি হয় যা মানুষ কুকুর ও বিড়ালের দেহে জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি করে।
- কিছু ফাস্ট ভাইরাস মানুষের কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে।
- এইচআইভি দিয়ে এইডস হয় এবং রোগ রোধ ক্ষমতা খুব কমে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
- Ebola ভাইরাসের আক্রমণে cell Lysis ভয় যা বা কোষ ফেটে যায়।
- Zika ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়ায় মাইক্রোসেফালি ঘটে অর্থাৎ অপরিচিত মস্তিষ্ক নিয়ে শিশু জন্মায় ডেঙ্গুর মত লক্ষণ দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ এলার্জি দূর করার ২৭ টি উপায় জেনে নিন
- নিপা ভাইরাস যা paramyxoviridae পরিবারভুক্ত একটি RNA ভাইরাস যার নাম henipaviras।১৯৯৯ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় শুক্রের খামারে ধরা পড়ে তবে এটা দক্ষিণ এশিয়ায় তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। বাদুর এই ভাইরাসটির বাহক কাঁচা খেজুরের রসে এই ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত অনুপ্রবেশ হয়। আবার এ ভাইরাস আক্রমণের শ্বসন জটিলতায় মানব শরীরে বলতো পশুপাখির মৃত্যু ঘটে।
- সাম্প্রতিক SARS ভাইরাসের কারণে সিন তাওয়ান কানাডা প্রকৃতির দেশ বহু লোকের মৃত্যু ঘটেছে। MERS ভাইরাস ও একটি মারাত্মক ভাইরাস।
- প্লাটফেক্টরি ভাইরাসজনিত রোগ। ২০০৮ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্লাটফর্ম মহামারী আকারে হয়েছিল। বর্তমান বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজার মুরগি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। H5, N1, এই টাইপের ভাইরাসগুলো হাঁস মুরগিতে বার্ড ফ্লু ও মারাক্তক রোগের সৃষ্টি করে।
- আবার সোয়াইন ফুল ( SIV) দ্বারা সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালে এপ্রিল মাসে সোয়াইন ফ্লু শনাক্ত করা হয়, এ ভাইরাসের টাইপ হচ্ছে H5, N1, H1, N1 এগুলির কারণে হয়ে থাকে। এই ভাইরাস মানুষের শুকুর আক্রান্ত হয় এবং ২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে বহু লোক এতে মারা যায়। যুগে এটি মেক্সিকো এবং সারা বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে ঘটেছে।
- হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দিয়ে মানুষের লিভার ক্যান্সার, পেপিলোমা ভাইরাস দিয়ে এনোজেনিটাল ক্যান্সার বা জরায়ুর মুখ ক্যান্সার, হারপিস সিমপ্লেক্স দিয়ে কার্পোসি সার্কুলার ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হয় বলে ধারণা করা হয়।
- মানুষের অসুস্থতা হয় যেমন সর্দি কাশি জ্বর প্রকৃতি হয়ে থাকে বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণের কারণে যা ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
- অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি রোগ চিকনগুনিয়া ভাইরাস এর আক্রমণে উচ্চর জ্বর জয়েন্টের ব্যথা শরীরে রেস উঠানো এবং মাথা ব্যথা শরীর কি দুর্বল করে ফেলে। লক্ষণগুলো হলে অবশ্যই সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- হিউম্যান হারপিস ভাইরাস: এটি Rhadino গণের এবং DNA ভাইরাস। এর দ্বারা এ ভাইরাস ক্যাপাসিট সারকোমা রোগ তৈরি করতে পারে যা ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ভাইরাস কি এবং ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। এই ভাইরাসের মধ্যে কিছু ভাইরাস রয়েছে যেমন শরীরের জন্য উপকার করে এবং কিছু ভাইরাস রয়েছে যা মানুষ প্রয়োজনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আপনি কি আমাকে সকলকে সুবিধা পেতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যার জন্য বিশেষ বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত। সেজন্য এই পোস্টের ক্ষেত্রে ভাইরাসের সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভাইরাসের গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কাজের গঠন সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত। এখন আপনার সাথে পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করবো। প্রকৃতপক্ষে ভার্সেস গুলি বিভিন্ন আকার ও ধরনের হয়ে থাকে যাকে মরফোলজি বলে হয়। সাধারণত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া চেয়ে অনেক গুন ছোট। বিভিন্ন সময় ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করা হয়েছে।
সাধারণত ভাইরাসের ব্যাস ২০ থেকে ৩০০ ন্যানোমিটার এর মধ্যে হয়। এর মধ্যে কিছু ফিলো ভাইরাস যা আসে মত চিকন তারা প্রায় ১৪০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের ব্যাস ৮০ ন্যানোমিটার। এগুলোকে দেখার জন্য স্ক্যানিং বা বিভিন্ন ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করা হয়। ভাইরাস এবং এর পটভূমির মধ্যে পার্থক্য দেখার জন্য ইলেকট্রন ডেন্স দাগ ব্যবহার করা হয়।
এগুলো ট্যাংস্টের মতো ভারী ধাতু লবণের দ্রবণ যা দাগ যুক্ত অঞ্চল থেকে ইলেকট্রন কে বিক্ষিপ্ত করে। ভেরি অন যখন দাগ মুক্ত থাকে তখন সূক্ষ্ম বিবরণ অস্পষ্ট হয়ে যায়। পটভূমির স্টেইন করে নেগেটিভ স্টাইল এবং এই সমস্যাটির সমাধান করে। একটি সম্পূর্ণ কণা যাকে ফরিয়ন বলা হয়, তা নিউক্লিক অ্যাসিড দিয়ে গঠিত যা প্রোটিনের একটি সুরক্ষামূলক আবরণ দ্বারা বেষ্টিত থাকে।
একে ক্যাপসিড বলা হয় ক্যাপসিড ক্যাপসোমিয়ার নামে প্রোটিন সাব ইউনিট থেকে গঠিত হয়। এবং ভাইরাসের হোস্ট কোষের ঝিল্লি থেকে একটি লিপিড আলভেলপ থাকতে পারে। ক্যাপসিড ভাইরাল সিনোম দ্বারা এনকোডেড প্রোটিন তৈরি করে। এবং আকৃতি বা রূপগত পার্থক্যের ভিত্তি হিসেব করা হয় ভাইরাস থেকে প্রোটিন সাব ইউনিট নিচ থেকে একত্রিত হয়ে ক্যাপসিড গঠন করে।
যা সাধারণ জিনোমের উপস্থিতির প্রয়োজন হয় জটিল ভাইরাসের সাংকেতিক প্রোটিনগুলো ক্যাপসিড এর গঠনে সহায়তা করে। যা পরবর্তীতে নিউক্লিক এসিডের সাথে যুক্ত প্রোটিন গুলোকে নিউক্লিও প্রোটিন বলা হয়। ক্যাপসিড এবং সম্পূর্ণ ভাইরাসের গঠন আটমিক ফর্স মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে যান্ত্রিকভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে।
সাধারণত ভাইরাসের পাঁচটি প্রধান রূপগত প্রকার রয়েছে, যেমন, হেরিকেল বা পেঁচান, এটি এক ধরনের একক ধরনের ক্যাপসোমিয়ার দ্বারা গঠিত। এছাড়াও আইকোসাইড্রাল প্রাণী ঘটিত ভাইরাস জাগ গোলাকার হয়ে থাকে। প্রলম্বিত, এটি আইকো সাইডের পাঁচগণ অক্ষ বরাবর দীর্ঘায়িত এবং ব্যাকটেরিওফাজের মাধ্যমে মাথার একটি সাধারণ বিন্যাস।
এই কাঠামোটি দুই প্রান্তে একটি ক্যাপ যুক্ত একটি সিলিন্ডার দিয়ে গঠিত। এনভেল পোড আক্রান্ত কোষের বহিরাবরণের পরিবর্তিত রূপ দিয়ে নিজেদেরকে আবৃত করে নেয়। আবার জটিল এভাবে ভাইরাসগুলো একটি ক্যাপসুল থাকে যা সম্পূর্ণরূপে প্যাচাল এবং সম্পূর্ণরূপে আইকোসাইড্রাল নয়।
ভাইরাস নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ ভাইরাসের উপকারিতা ও অসুবিধা?
উত্তরঃ জিন থেরাপি ভাইরাস ব্যবহার করা হয় চিহ্নিতভাবে পৃথক সোমাটিক কোষগুলি পরিবর্তন করতে এবং ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর উৎপাদন করতে এটা উপকার করে। বিভিন্ন ধরনের রোগ তৈরি করার জন্য এই ভাইরাস দায়ী যা উপরে উল্লেখ করা আছে।
প্রশ্নঃ ভাইরাসের জনক কে?
উত্তরঃ দ্বিমিত্রী আইওসি ফোভিচ তিনি ছিলেন একজন রুশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী যা ভাইরাসের সহ আবিষ্কারক এবং ভাইরাস বিদ্যার ও নতুন প্রতিষ্ঠাতা। ২৮ শে অক্টোবর ১৮৬৪ থেকে ২০ শে জুন ১৯২০ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন।
প্রশ্নঃ কোন জীবকে সরলতম জীব বলা হয়?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত ছোট আকারের জীব সাধারণত ০.২ থেকে ৫ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে অর্থাৎ এটি আণুবীক্ষণিক যাকে সরলতম জীব বলা হয়।
প্রশ্নঃ অনুজীব কি?
উত্তরঃ জীবাণু একপ্রকার এক কোষীয় জীব যাদের সাধারণত খালি চোখে দেখা যায় না। একক কোষীয় আকারে অথবা কোষীয় করলি বা উপনিবেশ হিসেবে বিদ্যমান থাকে। অণুবীক্ষণিক জীবন হিসেবে পরিচিত কারণ এগুলো কেবলমাত্র মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখা যায়।
প্রশ্নঃ ভাইরাসের নামকরণ হয় কত সালে?
উত্তরঃ বিশ্লেষণ ভাইরালের প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায় ১৯৪৮ সালে। যার উৎপত্তি ১৯৫৯ সালে, কোষ থেকে নির্গত একটি মাত্র ভাইরাস কণা কে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা এক ধরনের অন্য বসে সংক্রমণ করতে সক্ষম।
প্রশ্নঃ অনুজীব কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ অণুজীব বিজ্ঞানী ১৬৭৬ সালে ব্রিটিশ সৌখিন বিজ্ঞানী গ্রন্থির ভন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম অনুজীব আবিষ্কার করে।
প্রশ্নঃ জীবাণুর অর্থ কি?
উত্তরঃ একটি জীবাণু একটি ক্ষুদ্র জীব যা একটি উদ্ভিদ বা প্রাণীর মধ্যে কি রোগ সৃষ্টি করে বিজ্ঞানীরা এইগুলোকে জীবাণু বা অণুজীব বলে।
প্রশ্নঃ ভাইরাস জনিত রোগ কোনগুলো?
উত্তরঃ ভাইরাস জনিত রোগ সাধারণত শাসনতন্ত্রের সংক্রমণ, পাচনতন্ত্রের সংক্রমণ, হেমো রেসিস ভাইরাল ইনফেকশন, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ভাইরাস, স্নায়বিক ভাইরাল সংক্রমণ, জন্মগত ভাইরাল সংক্রমণ হতে পারে।
প্রশ্নঃ কয়েকটি ছত্রাক জনিত রোগের নাম?
উত্তরঃ কয়েকটি ছত্রাকৃত নামের মধ্যে কলেরিয়া টাইফয়েড প্লে দাগ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ প্রকৃত পরজীবী কণার অর্থ কি?
উত্তরঃ প্রকৃত পরজীবী কণার অর্থ হচ্ছে পরজীবী জীবিত জীবদেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাইরে জীবনের লক্ষণ দেখায় না তাদের প্রকৃত পরজীবী বলে।
প্রশ্নঃ ভ্যাকসিনিয়া ভাইরাস কি?
উত্তরঃ ভ্যাকসিনিয়া ভাইরাস হলো পক্স ভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি বড় জটিল আবৃত ভাইরাস। এটি একটি রৈখিক ডাবল স্ট্যাডেট ডিএনএর জিনোম রয়েছে যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯০ kbp যা প্রায় ২৫০ টি জিনকে এনকোট করে।
ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে শেষ মন্তব্য
এর মধ্যে আমরা জানলাম ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ তথ্য। এছাড়া আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে এই ভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে একজন মানুষ কিভাবে বুঝবে যে এগুলো ভাইরাসের লক্ষণ এবং কি ভাইরাস থেকে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রান্ত হয়।
তবে এই ভাইরাসগলোর ভিতরে অনেক ভাইরাস রয়েছে যা মানুষের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ভাইরাস কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় একটি হচ্ছে উপকারী ভাইরাস এবং একটি হচ্ছে অপকারী ভাইরাস। আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে ভাইরাসের উপকারের দিক গুলো কেমন এবং ক্ষতিকর প্রভাব গুলো কেন হয় এবং রোধ করার উপায় কি।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url