শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ৭টি ঘরোয়া উপায় জানুন
বর্তমানে অনেকেরই শ্বেত রোগ হয়ে থাকে তাই আমাদের জানা উচিত শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়। যা ব্যবহার করে সহজেই আমরা এই রোগ থেকে বাঁচতে পারি।
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের থেকে উপস্থাপন করবো এই রোগ কেন হয় এবং এই রোগ থেকে মুক্তির সকল ঘরোয়া উপায় গুলো। পাশাপাশি কি ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা যায় আরব বিস্তারিত সকল বিষয়।পোস্ট সুচিপত্রঃ শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় যা জানবেন
- ভূমিকা
- শ্বেতী রোগ চেনার উপায় জানুন
- শ্বেতী রোগের কারণ ও লক্ষণ গুলো জেনে নিন
- যাতের জন্য শ্বেতী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে
- শ্বেতী রোগ চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ ভালো হয় কি?
- শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসা
- শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
- শ্বেতী রোগ হলে কি কি খাওয়া যাবে না
- শ্বেতী রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
- শ্বেতী রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
- শ্বেতী রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
- শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির দোয়া জানুন
- সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
- শেষ মন্তব্যঃ শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
ভূমিকা
প্রথমে আমাদের জানা উচিত শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলো কিভাবে ব্যবহার করব এবং আসলেই শ্বেত রোগটি কি? আসলে সেটি রোগ হল এক ধরনের চর্ম রোগ, যা আমাদের দেহের ত্বকের নির্দিষ্ট অংশের রং বা মেলানিন হঠাৎ অনেকটা কমে যায়। ফলে এই সাদা অংশ হালকা রঙের হয়ে যায় তাই একে অটোইমিউন রোগ বলে।
সাধারণত মানুষের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুল করে নিজের ত্বকের মেলানিন কোষগুলোকে আক্রমণ করে যার ফলে শরীরের ত্বকে বিভিন্ন জায়গায় সাদা সাদা দেখা যায়। সচরাচর এই রোগটি মানুষের শরীরে হয়ে থাকে যাকে শ্বেত রোগ বলে জানে। সেতি রোগের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যা আমরা নিচে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিতভাবে জানবো।
শ্বেতী রোগ চেনার উপায় জানুন
শ্বেতী রোগ চেনার উপায় রয়েছে যা আপনাকে খুব সহজেই এ রোগকে চিহ্নিত করার জন্য সাহায্য করবে। শ্বেতী চেনার সহজ উপায় হচ্ছে এ রোগের লক্ষণ গুলো জানতে হবে এবং কি কারণে এগুলো হয় সেই বিষয়গুলো জানলে আপনি সহজেই মুক্তির উপায় ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত শুরুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ত্বকে ফ্যাকাশে ফ্যাকাশে ঝোপ দাগ দেখা যায় যেগুলো সাদা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাইরাসের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তারপর তা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায় এবং আক্রান্ত অংশে কেন্দ্রীয়ভাবে সাদা ও তার চারপাশে ফ্যাকাশী হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনার ত্বকের নিচে দিয়ে যদি কোন রক্তনালী যায় তবে সেগুলো সাদা হয়ে যাওয়ার কারণে সামান্য গোলাপী দেখাবে। আপনি এ রোগের কারণগুলো যদি বিস্তারিত জানেন তাহলে অবশ্যই চিনতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই রোগ চেনার জন্য নিচে এর লক্ষণ ও কারণ উল্লেখ করা হলো।
শ্বেতী রোগের কারণ ও লক্ষণ গুলো জেনে নিন
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে অবশ্যই আপনাকে এই রোগের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানতে হবে। তাই দেখে দিন এই রোগ কেন মানুষের শরীরে কিভাবে লক্ষণ গলো প্রকাশ করে। সাধারণত নিচের এই প্রতিক্রিয়া গুলো দেখলে আপনি বুঝবেন আপনার শ্বেতী রোগ হতে যাচ্ছে,
- ত্বকে ধীরে ধীরে দুধের মত সাদা সাদা দাগ দেখা যাবে।
- সাধারণত মুখ হাত-পা ঠোট চোখের চারপাশে বা যৌনাঙ্গের আশেপাশে দাগের পরিমাণ বেশি দেখা দেবে।
- আপনার চুল চোখের ভ্রু বা চোখের পাপড়ি সাদা হতে দেখতে পাবেন এবং পুরো শরীরে এই সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকে।
- শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে ব্যাজ গুলো এক সেন্টিমিটার এর চেয়ে বড় হয়। কারণ সেতি রোগ থাকলে শরীরের যেসব আক্রান্ত স্থানে চুল আছে সেই চুলগুলো রুপালি হয়ে যেতে পারে।
এই রোগের কারণ সমূহ জানুন
- শ্বেতী রোগ সাধারণত মানুষের শরীরে বেশি দেখা যায় তাই এই রোগের কারণ গুলো যেই বিষয় থেকে সৃষ্টি হয় তা জানা উচিত।
- সাধারণত অটোইমিউন প্রক্রিয়া যা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজ দেহের ত্বকের উপরে সংক্রমণ করে মেলানিন একেবারে কমিয়ে দেয়।
- শরীরে মেলানিন এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এর কারণে এই রোগ সৃষ্টি হয়। শরীরে ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরের বিভিন্ন সুস্থ কোষকে ভুল করে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মনে করে।
- এরপর প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এন্টিবডি তৈরি করে এবং মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করে। রয়েছে জিনগত পরিবর্তন এর কারণ।
- আপনার শরীরের ডিএনএ তে বা জেনেটিক মিউটেশন কোন পরিবর্তন এলে এই মেলানো সাইড এর কার্যকলাপ কে প্রভাবিত করে।
- এই রোগের বিশেষজ্ঞ ক্লিপ ল্যান্ড ক্লিনিক বলেছে ৩০ টিরও বেশি জিন রয়েছে যা শ্বেতী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
- কারো যদি বংশগত এ রোগ থাকে তাহলে তার পারিবারিক পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- সাধারণত মানসিক চাপ এর কারণে এটা সৃষ্টি হয় আবার কোন অংশে দেখা যাচ্ছে কোন চর্ম আঘাতপ্রাপ্ত হলে এই রোগ হয়।
- এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে সূর্যের সংস্পর্শে অতিরিক্ত সময় কাটালে এর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আপনি যদি রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে বেশি সময় ধরে থাকেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন এই রোগ হওয়ার কারণগুলো কি এবং এই রোগ হলে কি ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। সাধারণত এই রোগ ছোঁয়াশি নয় অনেকে এই রোগ ছোঁয়াচে মনে করে। এই রূপ খাওয়া-দাওয়া চলাফেরা বা সংস্পর্শে থাকলে কোন ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে না। উপরে উল্লেখিত কারণগুলো ছাড়া এর লোক হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা থাকে না।
যাতের জন্য শ্বেতী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে
যে সকল ব্যক্তিদের জন্য এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাদেরকে সঠিকভাবে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য এই বিষয়গুলো জানা উচিত। আপনি যে কোন বয়সের স্মৃতি রোগ জাতি লিঙ্গ বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের মানুষের বা যে কোন ধরনের মানুষের হতে পারে। তবে যাদের ত্বক কালো বা বাদামে গারো রঙ তাদের ক্ষেত্রে এ ঝোপ ঝোপ সাদা দাগ বেশি দৃশ্যমান হয়।
সাধারণ ক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়সের আগে রঙহিন বা সাদা ত্বক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কেউ যদি আগে থেকে অটো মাইন্ড রোগের আক্রান্ত থাকে তাদের ক্ষেত্রে শ্বেতী রোগ হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি থাকে। যেমন হরমোন উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে এডিসনস ডিজিজ, অ্যানিমিয়া, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস, রিউমওয়েট, আর্থাইটিক্স ও থাইরয়েড ইত্যাদি হতে পারে তাদের জন্য বেশি ঝুঁকি।
স্যার আপনার সন্তানের জন্মদানের পর কোন কিভাবে হরমোনাল পরিবর্তন হলে কারো লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে মিলনমেলা হলে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই উপরে উল্লেখিত রোগের লক্ষণ ও কারণগলো বুঝার সাথে সাথে আপনি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করবেন।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট
কালোজিরা খাওয়ার ২৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
মেলাট্রিন ক্রিম এর উপকারিতা - মেলাট্রিন ক্রিম এর সাইড ইফেক্ট বিস্তারিত জানুন
শ্বেতী রোগ চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ ভালো হয় কি?
বিভিন্ন বিষয়কদের মত অনুযায়ী শ্বেতী রোগের জন্য চিকিৎসা অত্যাবশ্যক না। তবে এই রোগের ক্ষেত্রে যদি বেশি পরিমাণ হয় এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তাহলে চিকিৎসা নিতে পারেন। কারণ এই রোগের তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রানে শুধুমাত্র ত্বকের পরিবর্তন হয়। যদিও এই পরিবর্তনগুলো স্থায়ীভাবে হয়ে থাকে তবে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা যায় না।
আর স্টেট কম যদি কাজ করে তাহলে এই সমস্যার কিছুটা কম করতে পারেন এছাড়া লাইট থেরাপি বা ফটোথেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে এছাড়া এই শ্বেত রক্ত কণিকা চিকিৎসার জন্য অস্ত্রপ্রচার করা হয়। ত্বকের রং স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনতে আপনি স্ট্রয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সমস্যা সাময়িকভাবে রং ফিরে পেলেও স্থায়ী সমাধান হয় না।
যদিও এই রোগের সম্পূর্ণ চিকিৎসা নেই তবে আপনি কিছু বিষয় ব্যবহার করতে পারেন বা সতর্কতা অবলম্বন করেন তারত আপনার কিছুটা হলেও কম হর সম্ভাবনা থাকে। যেমন আপনি সূর্যের আলোতে নিরাপদে চলাচল করবেন। অতিরিক্ত কেমিক্যাল জাতীয় জায়গায় বেশি সময় না দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া আপনি মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন এবং এই রোগের জন্য অটোইমিউন ডিজজ রোগের চিকিৎসা নিবেন।
শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসা
শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসা আছে কি এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই। সাধারণত এই রোগ হওয়ার কারণ হচ্ছে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার উল্টো ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে। যা মানুষের শরীরে একটা পর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যান্টি বডি তৈরি করার ফলে নিজের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় এবং মেলালিন গুলোকে এক ধরনের শেষ করে দেয় যার ফলে এ রোগ সৃষ্টি হয়। যদিও এই রোগের স্থায়ী চিকিৎসা নেই তবে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য কিছু ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে এই রোগের তেমন কোন বিপজ্জনক সমস্যা নেই শুধু দেখতেই একটু খারাপ লাগে। বিভিন্ন দেশ রয়েছে যেমন ইউরোপ আমেরিকা যা এই অসুখে রোগের পর্যায়ে ফেলে না। তারা এগুলোর সমাধানে ওয়াটার রেজিস্টার কভার ব্যবহার করেন। তবে এই রোগের শুরু থেকে কেউ যদি চিকিৎসা করে সঠিকভাবে তাহলে এই দাগগুলো মুছে ফেলা খুব কঠিন নয়।
সাধারণত ত্বকের ভিতরে থাকা মেলানোসাইট কোষকে মেলানোজনেসিস পদ্ধতিতে মেলানিন তৈরি করে। এই মেলা নিনই ফর্সা বা কালো রঙের কারণ। বেশি মেলানিন হলে গায়ের রং কালো হয় এবং মাঝারি হলে বাদামি এবং খুব কম হলে ফর্সা হয়। এভাবেই মেলানোজনেসিস প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হলে ত্বকে এ ধরনের সাদা তৈরি হয়।
এ রোগের চিকিৎসায় অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে ফটোথেরাপি ব্যবহার করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধের সাহায্যে বা ন্যারো ব্যান্ড আল্ট্রাভায়োলেট থেরাপির সাহায্যে এই শ্বেতী রোগ সারানো যায়। অল্প সমস্যা হলে বিকেলে পিয়ালী জানান, এ রোগের চিকিৎসা করলে বা ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে বা স্বাভাবিক রং ফিরে আনা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ বিশেষ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় জেনে নিন
এই রোগের স্থায়ী সমাধানের জন্য এনবিইউভি ফটোথেরাপিতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা অ্যাসিস্ট ডেট এনবিইউভি ল্যাব থেকে খুব সাধারণভাবে নির্দিষ্ট নিয়মে সামান্য সময়ের জন্য এই রশি ফেলেন এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে অতি জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অতি ধীরে ধীরে আবার মেলানিন তৈরি হয় ত্বকে স্বাভাবিক পণ্য ফিরে আসে। তবে স্থায়ী সমাধান পেতে সেটির যেকোনো চিকিৎসার মতো এটিও ফটোথেরাপি তে ধৈর্য ধারণ করে করতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে এটা সাধারণত দুই ধরনের একটি হচ্ছে সেগমেন্টাল ও নন সেগমেন্টাল। নন সেগমেন্টাল খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যার কারণে এটা দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় মাইক্রো পিগমেন্টেশন, স্কিন গ্রাফটিং, (চামড়া কেটে বসানো) ব্লিস্টার গ্রাফটিং ব্যবহার করে সাদা ত্বককে আবার পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় পূর্বের অবস্থায়। আবার আধুনিক মেলানোসাইড এতে ত্বক পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
গবেষণায় জানা গেছে যে করোনার অতি মারি সময়ে সেটি ও চিকিৎসার কোন সমাধান অর্থে বলা হয় অতি বেগুনি রশ্মি কোভিড ১৯ ভাইরাস কি ধ্বংস করে ফেলে তাই এর শ্বেতী রোগ ধরা পড়লে অবশ্যই দূরত্ব চিকিৎসা নেওয়া উচিত যা থেকে আপনি একসাথে দুই রোগের চিকিৎসা নিতে পারবেন। সহজেই দুই ধরনের রোগকে নিরাময় করতে পারবেন।
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে এ রোগ থেকে কিছুটা নিস্তার পাবেন। ইতিমধ্যে আপনাদেরকে এ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। আসলে এই রোগ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের জান। এই ঘরোয়া যে উপায় গুলো রয়েছে মুক্তির জন্য বা রকেট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তা আপনাদের সামনে নিচে পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করলাম।
- পেঁপে খাওয়ার অভ্যাসঃ আপনাকে পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে পেঁপে শ্বেতী ও সমস্যার জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী। চোখের সাদা স্থানে পেঁপের টুকরো ভূষণ এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। একারণে হারিয়ে যাওয়া মেলানিন কোষগুলো পুনর্নির্মাণ করতে নিয়মিত পেপের দৃষ্টিতে।
- লালমাটি ব্যবহারঃ আপনার স্মৃতি চিকিৎসার জন্য লাল মাটি ব্যবহার করতে পারেন। লাল মাটিতে তামার পরিমাণ থাকে এই মাটি আপনার রোগ নিরাময় করতে পারে এর জন্য এক টেবিল চামচ আদার রসের সাথে দুই টেবিল চামচ লালমাটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। আদার রস আপনের সমস্যা কৃত স্থানে রক্ত প্রবাহে সহায়তা করে।
- তামার পাতিল ব্যবহারঃ পানি খাওয়া খাবার-দাবার এবং যে কোন খাবার খাওয়ার জন্য তামার পাতিক ব্যবহার করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটা তামার ব্যবহার আপনার শরীরে মেলানিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে।
- তুলসী পাতার রসঃ আপনার শরীরে সাদা স্থানে বা আক্রান্ত স্থানে আপনি তুলসী পাতার রস ব্যবহার করলে সমস্যা সমাধান পাবেন। তবে এই তুলসী পাতার রসের সঙ্গে আপনি লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে মেলালিন উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। ও তুলসী পাতা এন্টি এজিং ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।
- আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করুনঃ আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ কি করে। আবার আপনি চাইলে এই ক্ষতস্থানে আখরোটের গুরুর মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
- অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ, বি১২, সি, ফলিক অ্যাসিড, তামা ক্রোমিয়াম ও জিং থাকে যা ত্বকের বর্ণ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
- হলুদ ব্যবহার করতে পারেনঃ আপনি যদি আপনার ত্বকের এই সমস্যা সমাধান করতে চান তাহলে কাঁচা হলুদ অথবা বুড়া হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেলের সাথে। এর জন্য সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়া নিয়ে সরিষার তেলের পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন আপনার আক্রান্ত জায়গাগুলোতে যা দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে পারেন আপনাকে এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনি যদি খুব সহজে এই সমস্যাগুলো থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করুন। আপনাদেরকে জানানো হবে যে এই রোগ হলে আপনাকে কি ধরনের খাবার গ্রহণ করা থেকে দূরে থাকতে হবে। যা চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত।
শ্বেতী রোগ হলে কি কি খাওয়া যাবে না
শ্বেতী রোগ হলে কি কি খাওয়া যাবেন এটা আমাদের জানা উচিত। যদিও এই রোগের তেমন কোন পার্শ্ব পতিক্রিয়া নেই ত্বকের পরিবর্তন ছাড়া। তবে আপনি যদি এই রোগের চিকিৎসা করতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিচে এই খাবারগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যা এই রোগটি হলে আপনাকে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শ্বেতী রোগ হলে যে যে খাবার খাওয়া যাবে না,
- মাছ,
- দই
- সি ফুড,
- আঙ্গুর
- আচার
- কমলালেবু
- বেড মিটস,
- বেগুন,
- বেদেনা
- পিয়ার
- কাঁচা টমেটো
- কাঁচা রসুন
- কফি
- চকলেট
- তেতুল
- মদ
এগুলো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে কারণ এগুলো যদি খেতে থাকেন তাহলে এই উপাদানের মধ্যে পিতামান কিছু কেমিক্যাল বা উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমাণ আরো কমিয়ে দেবে এবং আপনার রোগ বৃদ্ধি করবে। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই শ্বেতী রোগ হলে এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে যদি আপনি চিকিৎসা নিতে চান। আপনি যদি চিকিৎসা না নিতে চান তাহলে খেতে পারেন এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
শ্বেতী রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
শ্বেতী রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। প্রাচীনকালের ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে এটা ব্যবহার করা হয় যেখানে ত্বকের রং ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ওষুধ ডায়েট ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা হয়। সাধারণত কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়া থেকেও থাকতে বলা হয়েছে উপরে উল্লেখিত।
এই চিকিৎসার লক্ষ্য হচ্ছে আপনার শরীরের দোষ মুক্ত করা, বাত পিণ্ড, কপ এগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করা। রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং শরীরের ত্বকের মেলানিন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বাকুচি এটি সবচেয়ে ব্যবহৃত বেশি ব্যবহৃত, তেলের গুড়া ব্যবহার করা হয় সূর্যের আলোতে লাগালে ভালো ফল দিতে পারে ব্যবহারের সতর্কতার ত্বকে জ্বালা করা হতে পারে তাই সীমিত ব্যবহার করতে হবে।
মুখে খাওয়ার জন্য আপনি যে ওষুধ গলো ব্যবহার করবেন, পাকুচির গুড়া ১ থেকে ৩ গ্রাম দিনে দুইবার গরম জলের সাথে। এছাড়াও আপনি মনোজিত ব্যবহার করতে পারবেন যা রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে। শনিবার ও রক্ত পরিশোধনের সহায়ক হচ্ছে কাদিয়া রিস্তা, আরোগিভার্ধিতি ভাতি, শাড়িভাদিয়া সাফ এগুলো খাবার মাধ্যমে আপনার উপকার পাবেন।
ব্যবহার করার জন্য আপনি বাকুচি তেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রক্রিয়া উপরে বলেছি এছাড়াও চুলকানির জন্য নিম ব্যবহার করতে পারবেন যা অত্যন্ত উপকারী এখানে আপনি কালিজিরা অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন যা এন্টি ফাংগাল ও এন্টি ইনফ্লামেন্টরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। চিকিৎসাকালীন সুমাইয়া আমাকে কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যা উপরে উল্লেখিত রয়েছে।
এই যোগের চিকিৎসার জন্য সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে যেমন আপনি বাকুচি তেল গুড়া ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা থাকলে তা ইশকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। আবার সব ওষুধ থেরাপি শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ততক্ষণে নেওয়া উচিত। নিজের মতো করে ব্যবহার করা উচিত নয় তবে এই ধারণা অনুযায়ী ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
শ্বেতী রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
শ্বেতী রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে যা ব্যবহার করলে আপনি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যেতে পারেন। এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। রোগের চিকিৎসায় সর্বাপেক্ষা পুরোপুরি ভালো না হলেও যেসকল জায়গার লোম থাকে সে সকল জায়গায় ভালো হয় তাড়াতাড়ি এবং ঠোঁট আঙ্গুল এগুলোতে লোম না থাকলে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া ২৭টি উপায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ জানুন
কথাও গবেষক বুঝতে পারলে আপনি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা এই মলম থেরাপি, ত্বক স্থানান্তর থেরাপি এবং রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য বয়সী স্থান এবং ব্যক্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন মাত্রার কার্টিকো স্টরে জাতীয় মলম ব্যবহার করা হয়, যেমন,
- Hydrocortisone cream,
- কেলসিপ্টিন মলম, টেক্রলিমাস বা পাই মলম, মুখের খাবার স্টেরয়েড ( cotson বা Hydrason 10 mg) ট্যাবলেট।
- রিবোফ্লোবিন ট্যাবলেট
- ক্লোভেট
- মেলাডিনিন
- ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাদ্য
লিখিত কতগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি কাজগুলো করতে পারেন। একজন সচেতন মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী তা বইয়ে নিয়ে আসে। আশা করি আপনারা একজন সচেতন মানুষ হিসেবে কাজ করতে পারবেন। থেরাপি গুলো ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজেই শ্বেত রোগের মুক্তির উপায় ব্যবহার করতে পারবেন যে আপনার রোগ মুক্তিতে সাহায্য করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কি কি ওষুধ খেয়ে আপনি এলোপ্যাথিক উপায়ে রোগ মুক্তি করবেন।
শ্বেতী রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
শ্বেতী রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করার আগে আমাদেরকে কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত। সাধারণত জীবনের শাকসবজি খাবার এবং যে বিষয়গুলো রয়েছে সে বিষয়গুলো জানা উচিত। আপনাকে প্রচুর পরিমাণ সতে দিয়ে শাকসবজি পাকা ফল খেতে হবে। কোনরকম সংরক্ষণ করা যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না এবং সময় কোন নির্দিষ্ট সময় বজায় রাখতে হবে।
- তিনি মিনিমাম ১২ ঘন্টা প্রবাস থাকার অভ্যাস করতে হবে।
- মাসে যেকোনো একদিন পূর্ণ দিন উপহস করার অভ্যাস করতে হবে। আপনার শরীর নিজে নিজেই কিছু কাজ করতে পারে। জন্য আপনি আরো সাবান পেট্রোলিয়াম জেলি কসমেটিক ব্যবহার করবেন না।
- টক জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকলে হবে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- এবং কাচা বাদাম কাঠ বাদাম মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করলে ভালো হবে।
- হোমিওপ্যাথি ওষুধ ARS SUL.FLAV 3X,
স্মৃতি রোগের জন্য নির্ভরযোগ্য ওষুধ, মায়াজম ভিক্তিক বা উপসর্গ ভিত্তিক পশুদের সাথে এই ওষুধ চলবে প্রথমে, 3x শুরু করতে হবে, এবং পর্যায়ক্রমে ক্রমবর্ধমান ওষুধের শক্তি বৃদ্ধি করুন, যেমন, 3x - 6x- 30CH 200CH- 1M পর্যন্ত শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন। এছাড়া নিচের ওষুধ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে হবে।
- CAUSTICUM 200, যাতের রোগ চোখের পাতায়, নাকের ডগায়, আঙ্গুল ও নখের ধারে তাদের জন্য এই ওষুধ উপযুক্ত।
- ACID. NITRIC 200, যাদের মিউকাস মেমোব্রেন এবং চর্মের সন্ধি স্থলে হয়েছে তারা।
- SEPIA 200, এই ওষুধটি মহিলাদের জন্য বেশি ভালো হবে সকল মহিলারা মনোপজ হওয়ার সময় স্মৃতি রোগে আক্রান্ত হয় তাদের জন্য এটা অত্যন্ত উপকারী।
- THUJA OC 1M, বংশীয় ভাবে যাতে এই রোগ রয়েছে তারা এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন ও মাসে একবার ওই ওষুধ অবশ্যই প্রয়োগ করবেন।
- PIPER MENTH 200, যদি শরীরে কোন একটা নির্দিষ্ট স্থানে স্কিনের উপর মাছের আঁশের মতো সমস্যা দেখা যায়, তাহলে সেই সাদা জায়গায় সেরে যাওয়ার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করুন।
- CINA 200, শ্বেতী রোগ ওই ওষুধ বিশেষ ভূমিকা রাখে, গুড়ো কৃমি শরীরের পুষ্টিহীনতার জন্য ভীষণভাবে দায়ী। যা শরীরকে দুর্বল করে দেয় তাই আপনার রক্ত শোষণ করে শরীরের রক্ত শর্করা তৈরি করে। সমস্যা থাকলে এবং অটো ইউনিয়ন ডিসঅর্ডারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে এটা দেখা যায় বেশি কাজ করে তাই আপনি এ ধরনের সমস্যার জন্য ব্যবহার করুন।
- FILIX MAX 200, ফিতাকৃমির এলার্জেন গুলি ছড়িয়ে পড়ার ফলে রোগীর শরীরে এলার্জি ফুলকুঁড়ি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এগুলোর সমাধান করার জন্য আপনি এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন ( type worm)।
- CUPRUM MET 200, সরাসরি শ্বেতী রোগের ওষুধ নয় তবে শরীরের যে খনিজ পদার্থ থাকে তার মধ্যে তামা একটি বিশেষ ভূমিকা রাখে যা আপনার জন্য অনেক উপকারিতা নিয়ে আনে। এছাড়াও আপনি ব্যবহার করার জন্য বা বাইরে খাওয়ার পাশাপাশি ব্যবহার করার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন, যেমন, PSORAILA COR Q, JASMINE IOL, বা ALMOND OIL।
এটি অনুপাত ১:৩ নিয়মে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন এবং তিনি দুইবার ব্যবহার করতে পারেন যা ওষুধ লাগানোর পর আধা ঘন্টা সূর্য উঠে থাকতে হয়। এটি বলে, ডক্টর সুব্রত সেনগুপ্ত, ভারত রবীন্দ্র নাগর শিলিগুড়ি। ছাড়াও আপনারা অনেকে জানতে চান শ্বেতী রোগের ক্রিম কি?
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির দোয়া জানুন
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির দোয়া জানলে আপনি রোগ মুক্তি পাবেন। ইসলামী দর্শন অনুযায়ী মানুষের রোগ মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট যে দোয়া রয়েছে তা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা আমার চাওয়ার মাধ্যমে ইউরোপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন তার জন্য আরবি দোয়া ও বাংলা মানে আপনাদের সামনে উপস্থাপন। দেখে নিন প্রথমে আরবি দোয়া এবং পরে বাংলা মানে। তবে আপনি চাইলে বাংলাতে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে পারেন।
আরবিতে, اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ، أَذْهِبِ الْبَاسَ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
বাংলাতে, হে আমার মানুষের রব, কষ্ট দূর করে দাও তুমি চিকিৎসক, তোমার চিকিৎসা ছাড়া কোন চিকিৎসা নেই এমন চিকিৎসা দাও যা কোন ব্যাধি কি অবশিষ্ট রাখবে না।
শ্বেত রোগ থেকে মুক্তির দোয়া হিসেবে এই দোয়াটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, সকল রোগকে এক ধরনের কবরের আজাব বলা হয়। তাই আপনি এই দোয়াটি নিয়মিত পড়তে পারেন এবং আত্মবিশ্বাসের হাতে কুরআনের সূরা আল ফাতিহা ও আল ইখলাস পাঠের মাধ্যমে নিজের বুকে ফু দিলে আত্মবিশ্বাস এবং প্রশান্ত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী রোগ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
প্রশ্নঃ শ্বেতী রোগ কি বংশগত?
উত্তরঃ শ্বেত রোগ বা ধবল রোগ বংশগত কারণে হতে পারে। গবেষণা দেখা গেছে ১০০ জনের মধ্যে ৩০ বংশগত কারণে এই রোগে আক্রান্ত হয়। অন্য গবেষণায় জানা গেছে ৬ শতাংশ হয়ে থাকে বংশগত কারণে।
প্রশ্নঃ শরীরে সাদা দাগ কেন হয়?
উত্তরঃ সাধারণত এই সাদা দাগ হওয়ার কারণ হচ্ছে শরীরে মিলেনিন ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। শরীরের একটা পর্যায়ে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে মেলা নসাইড থাকে না যার কারণে অটোইমিউন রোগ হয়। যা শরীরর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মেলানোসাইট ধ্বংস করে ফেলে এবং মেলানিন তৈরি করে না। যার কারণে এই শরীরের সাদা দাগ গুলো হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ শ্বেতী রোগে মসুর ডাল খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ খেতে পারেন এগুলো শরীরে প্রোটিনের সেরা উৎস হিসেবে কাজ করে। তবে আপনি যদি না জানেন এই রোগ হলে কি খাবার খেতে হয়? এবং কি খাবার খেতে হয় না তাহলে আজকের এই পোস্টটি পুনরায় ভালো করে পড়তে পারে।
প্রশ্নঃ ভিটিলিগো কি ১০০% নিরাময় যোগ্য?
উত্তরঃ ভিটি লিখো ১০০% নিরাময় যোগ্য নয় এটা ওষুধ খাওয়ার ফলে কিছুটা কমিয়ে রাখা যায় তবে চিরতরে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। উন্নত দেশগুলোতে এইটাকে রোগ মনে করা হয় না কারণ এটা শুধু শরীরের চামড়ার পরিবর্তন ছাড়া আর কোন সমস্যা করে না।
প্রশ্নঃ মাছের তেল খেলে কি শ্বেতী রোগ হয়?
উত্তরঃ গবেষণায় জানা গেছে ভারতের ভিটি লিগোর মত ত্বকের অটোইমিউন রোগে মাছের তেলের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
প্রশ্নঃ শ্বেতী রোগ থেকে দ্রুত মুক্তির উপায়?
উত্তরঃ সংকীর্ণ ব্যান্ডের আল্ট্রাভায়োলেট বি (UVB) সহ ফটোথেরাপি স্বয়ংক্রিয় অগ্রগতি বন্ধ করতে পারে। এছাড়াও কার্ডিকো স্টোরেট ইনহি বিটের সাথে ব্যবহার করলে এটি আরো কার্যকর হতে পারে।
প্রশ্নঃ শ্বেতী রোগ রোধ করার উপায়?
উত্তরঃ ত্বকের সাধারণ বর্ণ হারিয়ে যাওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা রোদ করতে পারলে এরূপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। আপনাকে সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং বিভিন্ন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে ও বিভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
প্রশ্নঃ ঘর্ষণের ফলে কি শ্বেতী রোগ হয়?
উত্তরঃ শ্বেতী রোগের একটি নির্দিষ্ট উপকার যাকে সেগমেন্টাল ভিটিলিগো বলা হয়। শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে বা বিভিন্ন অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ত্বকে প্রভাবিত করে। একটা বিভিন্ন বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে শরীরের ত্বকে শারীরিক আঘাত ঘর্ষণ হলে এগুলো ছড়িয়ে পড়তে পারে যাকে কোয়েবনার ঘটনা বলা হয়।
প্রশ্নঃ কিভাবে সারা শরীরে শ্বেতী রোগ ছড়ায়?
উত্তরঃ এটি সারা শরীরে এই সংস্পর্শের মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিদের ছড়িয়ে পড়ে না, তবে মানুষ যে ব্যক্তি আক্রান্ত তার শরীরের এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় হতে পারে।
প্রশ্নঃ শ্বেতী রোগের চিকিৎসা না করলে কি হয়?
উত্তরঃ আসলে এরূপটি কিভাবে অগ্রসর হয় তা ভবিষ্যৎ বাণী বলা যায় না কখনো চিকিৎসা ছাড়াই দাগ তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। আবার চরমভাবে চিকিৎসা করেও এর কোন সমাধান মিলে না। তবে আপনি পাঠক্রমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে এর ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির হার কমাতে পারেন।
শেষ মন্তব্যঃ শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি সেটি রোগ কি এবং কিভাবে এই রোগ শনাক্ত করা যায়। তাই আপনি যদি শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় দিয়ে মুক্তি চান? তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ে সকল তথ্য ভাবনার বাস্তবিক জীবনে ব্যবহার করতে পারেন। যে ওষুধ গুলোর কথা উল্লেখ করা রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় না হলেও এই রোগ থেকে বাঁচর জন্য কিছু উপায় রয়েছে যা আপনার রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এবং প্রাথমিক অবস্থায় সম্পূর্ণ চিকিৎসা করলে এটা ভালো হয়ে যায়। তাই আশা করি আপনি এই তথ্যগুলো আপনার বাস্তবে জীবনে ব্যবহার করবেন। সচেতন মানুষ হিসেবে সকল বিষয় জেনে রাখা ভালো।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url