মশা মারার ঔষুধের নাম কি ও মশা তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জানুন
আমাদের দেশে মশা মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়। মশা মানব শরীরে কিছু রোগ ছড়ায় যেমন, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকঙ্গুনিয়া, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর। তাই আমরা এসকল রোগ থেকে বাঁচতে হলে যে উপায় গুলো ব্যবহার করব
দেখা যায় অনেক সময় মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল, ঔষুধ ব্যবহার করি যা আমাদের কিছু ক্ষতি করে। সুতরাং আমাদের নিরাপদ উপায় ব্যবহার করতে হবে যাতে মশা তাড়ানো যায় ও ক্ষতি ও না হয়। এর জন্য ঘরোয়া উপায় উপযোগী।পোস্ট সুচিপত্রঃ মশা মারার ঔষুধ ও মশা তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জানুন
- ভুমিকা
- মশা তাড়ানোর উপায় কি কি জানুন
- মশা মারার ঔষধের নাম জেনে নিন
- ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
- মশা তাড়ানোর স্প্রে
- রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
- মশা তাড়ানোর দোয়া
- তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
- কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
- সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- মশা তাড়ানোর উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
ভুমিকা
পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আছে যা মশার কামড় থেকে বেচেছে। মশা যে শুধু মানুষকে কামড় দেয় না নয়, এর খাবার হল রক্ত তাই যার শরীরে রক্ত আচছে তাকেই কামড় দিতে পারে। তাই আমাদের মশা থেকে বাচার জন্য যে উপায় গুলো পরিবেশ বান্ধব সেই উপায় গুলো ব্যবহার করতে হবে। তবে এর থেকে চিরতে বাচতে হলে মশার বংশ বৃদ্ধি করা কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
তাই আমাদের জানতে হবে মশার জীবন ধারা এরা সাধারণত যে কয়দিন বাচে, তার সময় কাল খুব কম। তবে মশা যে ভাবে বংশবিস্তার করে তাতে এক সাথে অনেক মশা জন্ম নেয়। মশা থেকে বাঁচতে হলে প্রাকৃতিক ও আধুনিক কিচছু উপায় জানতে হবে যা মশার বংশবিস্তার রোধ করে। মশা দিম দেয় এর থেকে ৭ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফোটে।
বাচ্চা ফোটার পরে এই মশার জীবন কাল শুরু হয়, মশা হল একটি ছোট মাছির প্রজাতির পতঙ্গ। এই মশাদের বেশির ভাগ স্ত্রী মশা স্তন্যপায়ী প্রাণির রক্ত পান করে। মশাদের অনেক প্রজাতি আছে যারা মেরুদন্ডী প্রাণী, পাখি, উভয়চর, সরীসৃপ ও মাছের থেকেও রক্ত শোষণ করে। এই মশা যাদের রক্ত পান করে তার থেকে অনেক গুণ ছোট তবে মশা তাদের শরীরে জীবাণু ছড়ায় যা থেকে উপরে উল্লেকখিত রোগ হয়।
পুরুষ মশা কাউকে হুল ফোটায় না, বরং এরা স্ত্রী মশার সাথে মিলন করে মরে যায় যা এরা সর্বচ্চ ১ বা ২ দিন বাঁচে আর স্ত্রী মশা ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ বেচে থাকে। এই মশা দীর্ঘ ২৫০০ বছর ধরে পৃথিবীতে আছে। এই মশা হল নেমাটোসেরা মাছি বর্গের অন্তর্ভুক্ত, এরা আবার ক্রেন মাছি পরিবারের সদস্য। অনেক মশা আচছে যারা রক্ত শোষে না।
এর কিছু রক্ত শোষে এরা রক্তে উচ্চ থেকে নিম্ন চাপ সৃষ্টি করে, সারা বিশ্বে প্রায় ৩৫০০ প্রজাতির মশা আছে। যে মশা গুলো কামড় দেয় এর জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের মশা বাহিত রোগ হয়। এরা এই রোগের চলক হিসেবে কাজ করে। কিছু মশা অ্য়ালোফিলিস, কিউলেক্স, এডীস, হেমাগোগাস রোগ তৈরি করে।
মশার জীবণ চক্র এরা সবাই মাছির মত চারটি ভাবে বিভক্ত হয়ে নেয়। প্রথম ডিম, এরপর শুক, মুককীট, এরপর পুর্ণ মশা হয়। এই মশা জমে থাকা পানিতে, নরদোমায়, ফ্রীজের নিচে জমা পানিতে, ফুলের টবে ও বিভিন্ন জায়গায় কমা পানিতে ডিম পাড়ে। ডিন পাড়ার সময় স্ত্রী মশা পানির কাছে অবস্থান করে। আবার এই মশা হ্রদে, ডোবায়, যে কোণ জলা ভুমিতে ডীম দেয়।
লবণ বা মিঠা পানি সব ধরনের জায়গায় ডিম দিতে পারে। ডিম এর প্রজাতির ধরণ অনুযায়ী আলাদা হতে পারে। এর সব চেয়ে সহজ হল স্ত্রী মশা পানির উপরে ও নিচে উড়াউড়ি করে ডিম পাড়ে। এই কাজ অ্য়ানোফিসিয়া প্রজাতি বেশি করে, এর ডিম চুরুটের মত, দুই পাশে জলে ভেসে থাকার উপাদান আছে। এরা নোংরা বা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। একটি মশা তার জীবনে ১০০ থেকে ২০০ ডিম পাড়ে।
শূকে মশা খাবার উপযোগি যার মুখ সহ মাথা, পা হীন বক্ষস্থল, ও বিভক্ত পেট আছে। এর লার্ভা চার টি স্তরে বৃদ্ধি করে মুককীটে পরিণত হয়। এই মুককীট দেখতে কমা আকৃতির হয় এর মাথা ও বক্ষস্থল পেটের সাতথে বাঁকা হয়ে একত্রীত থাকে। এই মুককীট তার পেটের সাহায্যে সাতাঁর কাটে এরদের বেশির ভাগ প্রজাতির শ্বাস প্রশ্বাস নেয় পানির উপরে এসে।
একটি মশা পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হতে অনেক কম বেশি দেখা যায়। আশেপাশের তাপমাত্রার উপর ও অনেক নির্ভর করে। তবে ৫ থেকে ৪০ দিনের মত সময় দরকার হয় একটি মশা পূর্ণতা পেতে। এই মশ্র কিছু প্রজাতি আচছে যারা আরো বেশি সময় দেয়। এটা মশার শারীরিক আকৃতি ও শূকের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।
মশা তাড়ানোর উপায় কি কি জানুন
মশা তাড়ানোর উপায় কি এটা অনেকেই জানে, তুমি মশা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে আবার কিছু কৃত্রিম উপায়ে রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করে মানুষ মশা তাড়াতে পারে। মশা একটি পতঙ্গ যা মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে শরীরের অভ্যন্তরে। তাই আপনি যদি এই মশা তাড়াতে চান সহজে তাহলে দুই ধরনের উপায় ব্যবহার করতে পারেন এবং সাধারণ ওষুধ রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।
অসাধারণের উপায় এর মধ্যে রয়েছে ঘরোয়া উপায় ও কৃত্রিম উপায় এবং ওষুধের ব্যবহার তাই এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিন। কি কি উপায়ে ব্যবহার করে আপনি মশা তাড়াতে পারবেন এবং কিভাবে ব্যবহার করলে সঠিক উপকারিতা পাবেন। প্রথমে আপনাদের সামনে মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় গুলো উপস্থাপন করলাম। যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই মশার হাত থেকে আপনি এবং আপনার পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাইরাসের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়ানোর উপায়ঃ সারাদেশে এতটাই মশার উপদ্রব যে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। এরোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ির আশেপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, কোথাও এক সপ্তাহের বেশি পানি জমে থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। যেমন ফ্রিজের নিচে, ফুলের টবে, বাসা বাড়ির আঙ্গিনাই। তাহলে মশার বংশ বৃদ্ধি কম হবে এবং মশার কামড় থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়।
তুলসী গাছ ব্যবহার করতে পারেন। তুলসী গাছ টপে লাগিয়ে আপনার ঘরের বা জানালার পাশে রাখলেই এর ঘ্রান আপনার ঘরে মশা মাছি রোধ করবে। বাড়ির আশপাশে তুলসী গাছ লাগাতে পারেন যা মশা তাড়ানোর জন্য অন্যতম উপায়।
কর্পুলঃ মশা তাড়ানোর জন্য আরো একটি সুগন্ধি ব্যবহার করা যায় এটি কৃত্রিম ও বলা যায় আবার প্রাকৃতিক উপাদান। যদিও এটি অন্য কোন কাজের জন্য তৈরি তবে এটা ঘরের মধ্যে রাখলে মশা কম আক্রমণ করে। এই কাজটি করার জন্য আপনি ৫০ গ্রাম কর্পূর নিন এবং তা ছোট বালটিতে পানি পূর্ণ করে রাখুন। এইভাবে ঘরের ভিতরে রেখে দিতে হবে এবং দুইদিন পর পানি পরিবর্তন করতে পারেন। এতে মশা থেকে বাঁচা যায়।
নিম তেলঃ নিম গাছের এক ধরনের তেল পাওয়া যায় যেটাকে নিম তেল বলে সেই তেল ব্যবহার করে ওকে মশার হাত থেকে বাঁচতে পারেন। যাদের শরীরে অতিরিক্ত মশায় কামড়ায় তারা এই তেল গায়ে মাখলে মশার কামড় থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ঘ্রাণ পেলে মশা পালায় তাই ঘরর যেকোনো পাশে রেখে দিলে মশার উপদ্রব কমে।
রসুনঃ সাধারণত আমরা জানি মশার কে তার জন্য রসুনকে ব্যবহার করা হয়। অনেকে এটাকে মশার জম বলে জানে, রসুন ব্লেন্ডার করে এটি জলের সাথে মিশিয়ে সেই স্প্রে গোটা ঘরে করলে মশা পালিয়ে যায়। এ পদ্ধতিটি অনেক সহজ আপনি বাসায় পরীক্ষা করতে পারেন।
লেবু ও লবঙ্গ ব্যবহারঃ মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে, এর জন্য আপনি একটি লেবু যে লেবু গুলো ভাত দিয়ে খেতে হয়। কাগজি লেবু বাদাম লেবু এ ধরনের লেবু মাঝখান দিয়ে কেটে এর মধ্যে লবঙ্গ দিবেন। লবঙ্গর ফুলের অংশ বাইরের দিকে রেখে নিচের অংশ ভিতরে ঢুকিয়ে দিবেন। এভাবে বেশ কয়েকটি করে একটি প্লেটের ঘরে রেখে দিলেই মশা পালিয়ে যায়।
সুগন্ধি ব্যবহারঃ কোন ধরনের সুগন্ধি মশারা একদমই পছন্দ করে না। সুতরাং আপনি আতর বাজে কোন ধরনের পারফিউম বডি স্প্রে, আতুর বা লোশন জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করলে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়। আপনার জামা কাপড় এবং শোয়র ঘরে এই সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।
নিমের তেল ও নারকেল তেলঃ কামড় থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিমের তেল এবং সমপরিমাণ নারকেলের তেল একসাথে মিশিয়ে সারা শরীরে চামড়ায় ভালো করে মাখিয়ে মশার কামড় থেকে ভয় পাবেন। এতে এলার্জি এবং ইনফেকশন জড়িত সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতার ব্যবহারঃ ছোট ক্লাসের পুদিনাপাতা পাঁচ থেকে ছয়টি গাছি পুদিনা পাতা দিয়ে এর মধ্যে পানি দিয়ে দিন এরপর খাবার টেবিলে রেখে দিন তিন দিন অন্তর পানি বদলাবেন এতে আপনার ঘরে বা আশেপাশে মশা কম যাবে। বিভিন্ন গবেষণায় যে কোন বায়ুর রিসোর্স টেকনোলজি গবেষণা থেকে জানা যায় পুদিনা তুলসী পাতার মত মশা দূর করতে পারে।
পুদিনা পাতা থেকে নিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে এরপর ভাব পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন তাহলে দেখবেন ঘর থেকে মশা চলে গেছে। আপনি চাইলে পুদিনা তেল ব্যবহার করতে পারেন আপনার শরীরে যার ফ্রেন্ড বা গন্ধে পালিয়ে যাবে যে কোন মশা।
টবে লেমনগ্রাস লাগানঃ ইথাইল এমন গ্লাসে আছে সাইট্রুলিন অয়েল যা বের হয় এক ধরনের শক্তিশালী সুগন্ধ। এস সুগন্ধ মোসাদের জন যার কারণে আপনি এই গ্লাস ব্যবহার করে মশার হাত থেকে বাঁচতে পারে। এজন্য টবে গাছ লাগিয়ে আপনার আশেপাশে বা যেখানে পরিবারের সদস্যরা বেশি সময় দেয় সেখানে রাখুন।
ধুনোর সঙ্গে নিশিন্দা ও নিম পাতার গুড়াঃ আপনি নিয়মিত প্রতিদিন নিসিন্দা ও নিম পাতার গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে মশার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন ব্যবহার করলে।
হলুদ বৈদ্যুতিক আলোঃ আপনি হয়তো দেখতে পাবেন বিভিন্ন কোম্পানি বা বড় বাড়িগুলোর আশেপাশে হলুদ লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয় এই বৈদ্যুতিক আলো সেলোফেনে জড়িয়ে নিন। এতে হলুদ আলো হবে দেখবেন মশা কমে গেছে কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চাই। মশা কিছু অনির্দিষ্ট লাইটে বেশি আকৃষ্ট হয়। তাই আপনি এলইডি লাইট হলুদ পার্ক লাইট ও সোডিয়াম লাইট ব্যবহার করতে পারেন।
চা পাতা ব্যবহারঃ চা খাওয়ার পর যে চা পাতা থাকে সেগুলো ফেলে দিয়ে অনেকেই অনেক রকম কাজ করে তবে আপনি চা পাতার পাতি পুড়িয়ে মশা তাড়াতে পারবেন। চা পাতার শুকনো পাতি পুড়িয়ে ধোঁয়া দিলে ঘরে মশা পালিয়ে যায়।
ক্যাট লিপ অয়েলঃ এ অয়েল মশা না সব হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা গায়ে ব্যবহার করলে মশা মানুষের কাছে আসতে পারে না তাই আপনি এটি শরীরে ব্যবহার করে মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
প্রাকৃতিক চামচিকাঃ আগের সময় দেখা যেত চামচিকা মানুষের বাসা বাড়িতে থাকতো তারা প্রায় ঘন্টায় কয়েকশো পোকামাকড় খায় যার কারণে আপনি বাড়ির আশেপাশে বাড়ির বান্দার অথবা ভেন্টিলেটরের কাছে বাক্স রাখতে পারেন যা মশার উপদ্রুব কমাবে।
বৈদ্যুতিক ফ্যান ব্যবহারঃ ঘরে মশা থাকলে আপনি জোরে বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান ব্যবহার করলে ঘর থেকে বাতাসের দাপটে মশা বেরিয়ে যাবে। এছাড়া আপনি টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন যা মশা রোধ করতে পারে বাতাসের কারণ আপনার কাছে মশা আসবে না।
কালার নিয়ন্ত্রণঃ অনেক ধরনের রং বা কালার রয়েছে যেমন নীল কালো ও লাল এ কাপড়গুলো বেশিরভাগ পোকামাকড় পছন্দ করে। আপনি এ কাপড় গুলো ব্যবহার করলে পোকামাকড়ের আকৃষ্ট হবে এবং আপনার ঘরে মশা ভেসে আসবে। অন্য কালার ব্যবহার করুন যদিও এটা সম্ভব নয় তবুও এই উপায়টি ব্যবহার করে আপনি মশা তাড়াতে পারেন।
নারিকেলের ছোবড়া ব্যবহারঃ নারিকেলের শুকনো ছোবড়া ব্যবহার করে আপনি মশা তাড়াতে পারেন এর মধ্যে এক ধরনের ধোয়া বের হয় যা মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যায়।
কেরোসিন তেলঃ মশা তাড়ানোর জন্য এটি অনেক আগের মানুষ ব্যবহার করত। অনেক সময় দেখেছি আমাদের সময়ে যে মানুষ মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য গায়ে কেরোসিনের তেল মেখে রাখতো। এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী এছাড়া আপনি কেরোসিনের তেল স্প্রু করে নিতে পারেন এবং এর সাথে কর্পূর মিশিয়ে রুমে স্প্রে করতে পারেন যা মশা তারাই।
প্রদীপ ব্যবহারঃ মশা তাড়ানোর জন্য একটি বিশেষ প্রদীপ ব্যবহার করতে পারেন যা মশা তাড়াতে কার্যকারী। এর জন্য আপনাকে নিতে হবে কয়েক টুকরা রসুন বাটা, এরপর এতে সামান্য পরিমাণ তেজপাতা গুড়ো করে দিতে হবে, এর সাথে সামান্য কুরকুরা মিশিয়ে উপকরণ গুলো ভালো করে সরিষার তেলের সাথে নিমজ্জিত অবস্থায় মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর সেই নিমজত তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে এর ধোঁয়া থেকে নির্গত হলে আপনার বাড়ির আশেপাশে থেকে মশা চলে যাবে। এই ব্যবহার গুলো আপনার কোয়েলের ব্যবহার ছাড়াও মশা মশা তাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।
এছাড়া আমরা অনেকেই জানি কোয়েল রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এবং উপকরণ দিয়ে তৈরি যা ব্যবহার করে মশা তাড়ানো যায়। তবে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং মানসম্মত উপায়ে মশা তাড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি খুব সহজেই উল্লেখিত উপায় গুলো ব্যবহার করে মশা তাড়াতে পারবেন। এছাড়াও কি ওষুধ ব্যবহার করে মুছে তাড়ানো যায় তা আপনাদের সামনে নিচে দেখানো হলো।
মশা মারার ঔষধের নাম জেনে নিন
মশা মারার ঔষধের নাম জানা থাকলে আপনারা খুব সহজেই যে ফার্মেসি থেকে বা কনফেকশনারি দোকান থেকে কিনে মশা মারার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। মশা মারার ওষুধ বলতে বোঝায় মশা তাড়ানোর জন্য যেই ধরনের কেমিক্যাল বা বা ঔষধ ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে। নিচে ওষুধ গুলোর নাম আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যা ব্যবহার করে মশা তাড়ানো যায়।
তাসলা ১০ ডব্লিউপিঃ এটি একটি স্পর্শ ও পাকস্থলীর ক্রিয়া সম্পন্ন পাইরিথ্রয়েড জাতীয় কীটনাশক। এটি সহজে ব্যবহার করা যায় এটি ঘরের ভিতরে বাহিরে বাহিরে ট্রেনে নালা ও গর্তে বা ব্যবসাকারী বিভিন্ন জায়গায় কীটপতঙ্গ দমনে ও ব্যবহার করা হয়। এটা কেনার সময় এর মেয়াদকাল দেখে কিনবেন এর মেয়াদ দেওয়া থাকে অরজিনালটা দুই বছর এবং ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম ওজন এবং রেজিস্ট্রেশন নং পিএইচপি ৩৪৪।
আমার মেলাথিয়ন ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন কীটনাশক হিসেবে যা মশা এবং তেলাপোক মাছি মারার জন্য কার্যকারী। ফলের মশা মাসি এবং পোকামাকড়ের নিয়ন্ত্রণ, উকুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ওষুধ বা কীটনাশক টি ব্যবহার করা যায়। একটি বর্ণহীন হলুদ বাদামি তরল পাখিদের জন্য মাথার বিষাক্ত। অমেরুদন্ডী প্রাণীর জন্য বিশেষ কার্যকরী।
মশা মারার ঔষধের নাম আরো একটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যেমন, মিশা মারার ফিনিশ লিকুইড রয়েছে যা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে নক ক্রস দা পাউডার বা লিকুইড পাওয়া যায়। এগুলো বাসা বাড়িতে স্প্রে করে ব্যবহার করা যায় বা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে aci aerosol insect spray, hit mosquito aerosol ও Bionil oil spray 400ml.
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট দেখুন
কালোজিরা খাওয়ার ২৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ওষুধের নাম ও মাইগ্রেন সমস্যা কেন হয় বিস্তারিত জানুন
নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয় - নবজাতকের বিলিরুবিন কমানোর উপায় জানুন
ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই মশা তাড়াতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ন্যাপথলিন সংগ্রহ করতে হবে এবং এই ন্যাপথলিন কি একটি সহজ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে আপনি মশা দাঁড়াতে পারবেন। ন্যাপথলিন কি আপনি গলিয়ে স্প্রে আকারে বাসায় ব্যবহার করলে খুব সহজেই মশা পালিয়ে যায়।
এর জন্য আপনি ন্যাপথলিন একটি পাত্রে নিয়ে তার তরলে পরিণত করবেন। বোতলে স্প্রে করে গোটা ঘর ছড়িয়ে দিবেন তারপর দেখবেন মশা আপনি আপনি পালিয়ে যাবে। যদি মশা পালিয়ে না যায় তাহলে সেই মশা মরে যাবে। তাই আপনি সহজেই ন্যাপথলিন দিয়ে মশা তাড়ানোর জন্য এই উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি একবার এই উপায়টি ব্যবহার করলে বারবার ব্যবহার করতে চাইবেন কারণ এই উপায়টি সহজ এবং খুব দ্রুত করা যায় এবং ফলাফলও খুব দ্রুত পাওয়া যায়। এজন্য করফুলের সাথে ন্যাপথলিন একসাথে গুঁড়ো করে মিক্সড করে নিতে হবে। তারপর আপনি এই মিষ্টিগুলো পানির সাথে স্প্রে আকারে ব্যবহার করবেন, তবে ব্যবহার করার আগে সে পানি গরম করতে হবে, খুব সিম্পল এবং সহজ যা ব্যবহার করলে সহজ সমাধান পাওয়া যায়।
আরো ভালো ফলাফল পেতে সেই উপকরণগুলো পানিতে গরম করার পর এর সাথে লেবুর রস এবং যেকোনো ধরনের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এবং এই মিশ্রণটি একসাথে করার পর আপনি যে কোন একটি বোতলে স্প্রে মেশিন লাগিয়ে খুব সহজেই আপনার ঘরে দিনে দুইবার স্প্রে করলে মশার সংক্রমণ থেকে এবং বিভিন্ন ধরনের তেলাপোকা ছারপোকার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
মশা তাড়ানোর স্প্রে
মশা তাড়ানোর স্প্রে যা মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে সবচাইতে উন্নত এবং ভালো মানের স্প্রে গুলোর নাম আপনাদের সামনে ইতিমধ্যে উপস্থাপন করেছি। আপনি সেই মশা তাড়ানোর উপায় গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি এই স্প্রে গুলো ব্যবহার করতে পারেন যা বাজারে বিভিন্ন মূল্যে বিভিন্ন। স্প্রেগুলো খুব উন্নত এবং কার্যকর।
আপনি খুব সহজে বাজার থেকে কিনে বাসায় দুইবার বা যখন বাসায় থাকেন তখন স্প্রে করলে মশার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবেন নিজেকে। কিছু উন্নত মানের দূরে এসে যেমন ফিনিশ লিকুইড ব্যবহার করেন এছাড়াও এক্সপেল স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন যে অত্যন্ত কার্যকরী এবং মশার জন্য জম। এছাড়া রয়েছে ডাবল হিট আরো অনেক উন্নত মানের স্প্রে যা মশা তাড়ানোর স্প্রে নামে পরিচিত যে আপনি ব্যবহার করে মুসা দাঁড়াতে পারেন।
রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় কয়েকটি রয়েছে এর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে রসুন স্প্রে রসুনের কোয়া ভালো করে থেতো করে এর রস পানি এবং লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে বোতলে করে বা বিভিন্ন স্প্রে মেশিন দিয়ে আপনার ঘরে স্প্রে করে মশা তাড়াতে পারেন। এই উপায়টি অত্যন্ত সহজ এবং কোন প্রকারের খরচ ছাড়াই ঘরোয়া উপায় করা যায়।
এছাড়াও আপনি রসুনের কয়া আছে তো করে আপনার ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিন যা মশাকে উত্তপ্ত করে এবং মশা থাকলে তা তাড়াতে সাহায্য করে। আবার আপনি চাইলে রসুন সেদ্ধ করে সেই পাত্রে পানি দিয়ে কয়েকটি রসুনের কুয়া ফুটিয়ে নিতে পারেন। এভাবেই পানি গন্ধ ঘরে রেখে দিলে আপনার ঘর থেকে মশা পালিয়ে যাবে।
আবার আপনি চাইলে লেবুর রস রসুনের রস এবং এর সাথে হ্যান্ডওয়াশ সামান্য পরিমাণ মিশিয়ে একটা ভালো মিশ্রণ তৈরি করে তা ঘরে স্প্রে করতে পারেন। যা মশাদেরকে তাড়ানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এই ছিল আজকের রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর সবচাইতে উন্নত উপায়। এছাড়াও উপরে আরো একটি উপায় উল্লেখ করেছি যা রসুন ব্যবহার করে করা যায়।
মশা তাড়ানোর দোয়া
মশা তাড়ানোর দোয়া কোরআন বা হাদীসের কোথাও নির্দিষ্টভাবে নেই। তবে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রাণী থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে প্রার্থনা করতে পারেন। এই ধরনের বিষয়ে কুরআন স্পষ্ট বলা আছে আপনি মশা তাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় এবং বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার পাশাপাশি। আপনি চাইলে সুরা বাকারার ২৫৮ নম্বর আয়াত পড়তে পারেন যা বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে রক্ষার জন্য বা ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে বাঁচার জন্য আমল করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ উঁচু দাঁত নিচু করার ঘরোয়া পদ্ধতি ও চিকিৎসা জানুন
এছাড়া আপনি আয়তাল কুরসির সূরা পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে পারেন। আল্লাহতালা সকল সৃষ্টি এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মালিক তিনি আপনাকে সকল প্রকার বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করতে পারে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন যে মশা তাড়ানোর দোয়া আছে কিনা এবং কিভাবে আল্লাহতালার কাছে ক্ষতিকর পোকামাকড় বা মশারা থেকে বাঁচানোর জন্য দোয়া করবেন।
সারা হাদিসের দৃষ্টি থেকে বিপদ আপদ বা ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ জীবজন্তুর অনিষ্ঠ থেকে বাঁচার জন্য আপনি এই দোয়াটি পড়তে পারেন যা হলো আউযুবি কালিমা লিল্লাহি তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক। পুরোপুরি আপনি বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় জীবজন্তুর সাপ বিচ্ছু ইত্যাদি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারেন।
তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় অত্যন্ত সহজ এই উপায়টি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার ঘর থেকে মশা তাড়াতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে তেজপাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই তেজপাতাকে গুঁড়ো করতে হবে। আপনি সরাসরি তেজপাতা পুড়িয়ে এ থেকে যে ধোঁয়া বের হবে তা দিয়ে মশা তাড়াতে পারেন। অথবা তেজ পাতার গুড়া ও কর্পূরের সাথে মিশিয়ে আগুন ধরিয়ে এর ধোঁয়া দিয়ে মশা তাড়াতে পারেন।
মশা তাড়ানোর জন্য আরো একটি উপায় রয়েছে আপনি তেজপাতার সাথে শুকনো নিমের পাতা মিশিয়ে একসাথে পুড়িয়ে মশা তাড়াতাড়ি পারেন। এ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনি শুকনো নিমপাতা ও তেজপাতা একসাথে চূর্ণ করে একটি পাত্রে আগুন দিয়ে সেই পাত্রের থেকে যে ধোঁয়া বের হবে তা ঘরের মধ্যে দিলে এর যে সুগন্ধ বের হবে তার জন্য মশা ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে।
এজন্য আপনি আরো একটি উপায় ব্যবহার করতে পারেন সেটি হচ্ছে কাঁচা নিমপাতা কিছুটা নিয়ে এর মধ্যে শুকনো তেজপাতা একটি পাত্রে নিন এবং এর সাথে লবঙ্গ গুঁড়ো করে দিন। এবং এই উপকরণগুলো একটি পাত্রে নিয়ে এর সাথে নারকেলের শুকনো ছোঁয়া মিস করে তার মধ্যে আগুন দিলে যে ধোঁয়া বের হবে তা ঘরে রেখে দিতে হবে এবং এর ধোয়ার কারণে ঘর থেকে মশা পালিয়ে যাবে। উপায়টি আপনি খুব সহজে বাড়ির ব্যবহৃত জিনিস গুলো দিয়েই করতে পারবেন।
কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
কর্পোর দিয়ে মাথা তাড়ানোর উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম উপায় রয়েছে যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। হয়তো ইতিমধ্যেই কিন্তু তাদের বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছেন। আসলে কর্পূর কয়েকটি উপায়ে ব্যবহার করে মশা তাড়ানো যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
- কর্পুলের বাটি, কর্পূরের বাটি ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য আপনাকে একটি বাটিতে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মতো টুকরো করে নিতে হবে করুন এবং পানি দিয়ে পূর্ণ করে এটা ঘরের কোণে রেখে দিতে হবে। পানির থেকে যে ঘ্রান বের হবে, ঘরের মশা বের করে দিবে।
- ভোর ফুলের স্প্রে কর্পূর গলিয়ে বা গুঁড়ো করে নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে গরম করে আপনি স্প্রে করে মশা তাড়াতে পারেন।
আবার আপনি চাইলে বুলবুলের ধোঁয়া তৈরি করে মশা তাড়াতে পারেন কর্পূরের ট্যাবলেট পাড়িতে রেখে দিলে বা পানিতে রেখে দিলেও সে পানির থেকে যে ধরনের গন্ধ বা সেন্ট বের হবে তার থেকেও আপনি মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও পূর্বের তেল ব্যবহার করা যায় নারকেল এবং কর্পূরের তেল একসাথে মিশিয়ে গায়ের চামড়াতে লাগালে মশা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ কি করলে মশা থাকবে না?
উত্তরঃ উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো ব্যবহার করলে আপনার ঘরে মশা থাকবে না এবং মশার হাত থেকে রক্ষা পাবে। বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যা ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্নঃ দারুচিনি দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়?
উত্তরঃ দারুচিনি দিয়ে মশা তাড়ানোর জন্য আপনাকে দারুচিনি কয়েক কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে রাবিং অ্যালকোহল যোগ কয়েক ফোঁটা এরপর সাবান দিয়ে আপনি কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন অথবা এরপর সে পানি স্প্রে করুন দেখে মশা চলে গেছে অথবা গায়ে চামড়ায় লাগাতে পারেন।
প্রশ্নঃ মশার আয়ু কাল কত দিন?
উত্তরঃ মশার আয়ুকাল নির্ভর করে তার প্রজাতি এবং পরিবেশের উপর সাধারণত পাঁচ তিন থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে স্ত্রী মশা। এবং পুরুষ মশা বেঁচে থাকে একদিন থেকে সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ মশা পেটে গেলে কি হয়?
উত্তরঃ মশা ফেটে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে এর লক্ষণ হচ্ছে উচ্চ জ্বর ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট, গুরুতর পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা, ফুলকুঁড়ি ও পিঠে ব্যথা শুরু হতে পারে, বমি ভাব হতে পারে, ডায়রিয়া এবং চোখের পিছনে ব্যথা হতে পারে। এগুলো মশা বাহিত রোগের লক্ষণ এবং মশা পেতে গেলে এগুলো হতে পারে।
প্রশ্নঃ পুরুষ মশা কি রক্ত খায়?
উত্তরঃ আসলে পুরুষ মশার জীবনকাল অনেক ছোট তারা সাধারণত রক্ত পান করে না বা বেশিদিন বেঁচেও থাকে না, তবে পৃথিবীতে অনেক হাজার জাতির মশা রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বা সকল ক্ষেত্রে স্ত্রী মশা রক্ত পান করে।
প্রশ্নঃ মশা রক্ত খাওয়ার পর কতদিন বেঁচে থাক?
উত্তরঃ সকল স্ত্রী মশা মানুষের রক্ত বা বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত খায়, এরা ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয় সেই কারণে রক্ত পান করে যা অতিরিক্ত মানুষ পশুপাখির হয়। আবার পুরুষ মশার মত ফুল বা নরম কাণ্ডের রস খেয়ে কয়েক সপ্তাহ বেশি থাকতে পারে কিন্তু রক্ত খাওয়ার পরে তারা দুই থেকে চার সপ্তাহ বেশি থাকতে পারে।
প্রশ্নঃ কোনটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মশা?
উত্তরঃ অস্ট্রেলিয়ান এলিফ্যান্ট মশা যা টকশোর হিনকাইটস নামে পরিচিত,। আর এই অস্ট্রেলিয়ান এলিফ্যান্ট মশা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মশা, যার দৈর্ঘ্য ১.৩ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এটি রক্তের পরিবর্তে ফুলের অমিত এবং অন্যান্য মশার প্রজাতির লার্ভা খায়।
প্রশ্নঃ কোন রক্তের গ্রুপের মানুষ মশা খায় না?
উত্তরঃ বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে এ গ্রুপের রক্তের মানুষের প্রতি মশার কম আকর্ষণ থাকে।
প্রশ্নঃ মশা কি ধরনের খাবার খায়?
উত্তরঃ মশা সাধারণত প্রজনন এবং বেঁচে থাকার জন্য রক্ত ও পরিহার্য চাওয়া স্ত্রীর মশার জন্য প্রয়োজন হয় এটা বংশবিস্তার করার জন্য প্রচুর প্রোটিন এবং রক্তর আয়রন খেয়ে থাকে। তবে এছাড়াও স্ত্রী এবং পুরুষ মশা ফুলের নার্ভা বা অমিত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
প্রশ্নঃ মশার কয়টি চোখ আছে?
উত্তরঃ সাধারণত মানুষের দুটি চোখ থাকে তবে মশা মাছির চোখকে যৌগিক চোখ বলে, যে চোখগুলো অসংখ্য ছোট ছোট লেন্স দ্বারা গঠিত। এই প্রতিটি চোখের মধ্যে ওমাটিডিয়া নামক ছোট ছোট লেন্স থাকে যা মশা দেখতে ব্যবহার করে। যার কারণে মশাকে কাছ থেকেও সহজে মারা যায় না।
প্রশ্নঃ পুরুষ মশা রক্ত খায় না কেন?
উত্তরঃ পুরুষ মশা রক্ত খায় না এর কারণ হলো মশা বেঁচে থাকতে রক্ত খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। মূলত পুরুষ মশা বিভিন্ন ফুলের অমৃত এবং রস খাই। এরা সর্বোচ্চ একদিন থেকে তিন দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে পুরুষ মশার বদলে স্ত্রী মশা রক্ত খায় তবুও এদের রক্ত খাবার কারণ হলো প্রোটিন শরীরে সরবরাহ করে ডিম বা বংশবিস্তার করা।
মশা তাড়ানোর উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
মশা তাড়ানোর উপায় কি এ বিষয়ে অনেকেই সঠিক তথ্য জানে না তাই তাদেরকে সন্তুষ্টি এবং তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আজকের এই পোস্টটি উপস্থাপন করেছি। আপনি যদি খুব সহজেই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ে ব্যবহার করে মশা তাড়াতে পারবেন এবং মশার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মশার জীবন প্রণালী কি মশা কি খেয়ে বেঁচে থাকে এবং কোন মশা কতদিন বেঁচে থাকে কত প্রজাতির মশা আছে, একটি মশা একজন মানুষকে কামড়ানোর পরও ১০০ দিনের উপর বেঁচে থাকতে পারে তার জীবন দশায় মশা জীবন ধারণের জন্য নয় বরং বংশবিস্তার করার জন্য মানুষের রক্ত বা প্রাণীদের রক্ত খায়। আমার জানা গেছে মশা তার জীবন দশার অনেক সময় ঘুমিয়ে কাটায়।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url