মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় - মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত

আপনি কি আপনার ওজনের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে জেনে নিন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় যা এখানে বিস্তারিত জানানো হবে। 

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় - মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম

 

শুধু খাওয়া-দাওয়ায় নয় বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়ে যায়। তাই আপনার শরীরে ওজন কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন সেই বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলটিতে সাজানো হয়েছে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় নিয়ে যা জানবেন এই আর্টিকেল হতে

ভূমিকা 

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় নিয়ে অনেকের মাথায় অনেক ধরনের চিন্তা বা পরিকল্পনা থাকে। তবে আপনি খুব সহজেই আপনার ওজন পাঁচ থেকে ১০ কেজি কমানোর জন্য যে সহজ পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করবেন। যা আপনাকে অতিরিক্ত ওজন মুক্ত শরীর গঠনে সাহায্য করবে। মেয়েদের সৌন্দর্য অনেকটাই তাদের শরীরের গঠন এর উপরে নির্ভর করে। 

তাই আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাহলে আপনার জন্য নিচে দেওয়া তথ্যগুলো অত্যন্ত কার্যকরী। এ পোস্টের ভিতরে আপনাকে বলবো কিভাবে আপনি সহজেই ১০ কেজি ওজন কমাবেন। শুধু কি খাবার কম খেয়ে ওজন কমানো যায়। নাকি আরো কিছু উপায় রয়েছে? তাই চলুন জেনে নেয়া যাক সেই সকল জানা অজানা তথ্যগুলো। 

আসলেই একজন মানুষের শরীরে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারণ হলো অতিরিক্ত খাওয়া এবং কোন প্রকার পরিশ্রম না করা। এই কারণে সাধারণ মানুষের ওজন বৃদ্ধি হয়। অনেক সময় মানুষের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারণ তার শরীরের কোন রোগ হয়ে থাকে। তবে সুস্থ মানুষ খাওয়ার কন্ট্রোল এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করলে সহজেই ওজন কমাতে পারে। 

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সমূহ 

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সমূহের মধ্যে যে কার্যকরী বিষয়গুলো রয়েছে তা আপনাদের সামনে এখন উপস্থাপন করবো। সত্তিকার অর্থ একজন মেয়ের অবশ্যই অনেক সচেতনতার সাথে খাবার গ্রহণ করা উচিত। অনেকে আছে যারা সারাদিন বাসায় বসে থাকে কোন কাজ করে না। এই ধরনের মানুষের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তবে আপনি যদি এই নিয়মগুলো এবং খাবার খাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ করেন। 

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার ও ২০টি উপকারিতা জেনে নিন 

সেক্ষেত্রে আপনার ওজন কমাতে সহযোগিতা পাবেন। নিচে পর্যায়ক্রমে জানানো হলো যে কি কি কারণে মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয় এবং এই ওজন বৃদ্ধি থেকে বাঁচার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমে আমরা জানবো একজন মানুষ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য কি করবে এবং কেন মানুষের ওজন বৃদ্ধি হয়। 

মেয়েদের দ্রুত ওজন বৃদ্ধির কারণ সমূহ 

  • মেয়েদের দ্রুত ওজন বৃদ্ধির কারণ মেয়েদের তেমন কোন শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় না, সকল মেয়েদের ওজন বাড়ার কারণ। ও যারা বাসা বাড়িতে গৃহিণী, অথবা বাড়িতে তেমন কোন কাজ করে না রান্নাবান্না ছাড়া। তাদের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া অতিরিক্ত করলে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • আবার অনেক মানুষ রয়েছে যারা তেল চর্বি যুক্ত এবং হোটেল অথবা রেস্টুরেন্টের কিনা খাবার বেশি খায় আরো বেশি ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত ঘুম মানুষকে সহজে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  • খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুম খুব অতিরিক্ত পরিবহন করলে শরীরের চর্বি জমে এবং শরীর মোটা হয়ে যায় এবং আলসে হয়ে যায়। এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে এবং সঠিক মাপে খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাবে। 

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, 

  • মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলো ব্যবহার করলে খুব সহজেই ওজন কমানো যায়। তাই আপনাকে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য যেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে পর্যায়ক্রমে দেখুন। 
  • পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ, আপনাকে খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি একসাথে অধিক পরিমাণ খাবার গ্রহণ করেন। তাহলে পেটের ব্যথার সহ আরো বদহজম ও বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এবং পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়ে যেতে পারে। এর জন্য আপনার পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবার খেতে হবে এবং এক ভাগ পানি ও বাকি এক ভাগ ফাঁকা রাখতে হবে। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা, আপনাকে খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। খাবার গ্রহণ করার পরে হালকা ক্ষুধা লাগলে খাবার গ্রহণ না করে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে আপনার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমতে সাহায্য করবে। 
  • উন্নত খাবার পরিত্যাগ, উন্নত খাবার বলেতে গেলে যে খাবারগুলো চিনি চর্বি ও প্রচুর পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত, আশেপাশে ফাস্টফুড খাওয়ার, রেস্টুরেন্ট বা হোটেল থেকে কিনা খাবার বর্জন করতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে ফল সবজি ও প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যে আপনার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমাবে না এবং শরীরে শক্তি যোগাবে। 
  • নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে, এতে আপনার শরীরের পাকস্থলী ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর জন্য আপনি সকালে উঠে হাটাহাটি, সাইকেল চালানো, পুকুরে সাঁতার কাটা, বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো কম করে ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত করতে হবে।
  • ব্ল্যাক কফি গ্রহণ, আপনি যদি প্রতিদিন আপনার খাবার তালিকায় ব্ল্যাক কফি রাখেন যদি সেই ব্ল্যাক কফি চিনি ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। ব্ল্যাক কফি আপনার শরীরের ৫০% হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • উপোস থাকা,আপনি দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আরো একটি সহজ কাজ করতে পারেন সেটি হচ্ছে উপোস থাকা। না খেয়ে থাকার মাধ্যমে মানুষের বেশ কিছু উপকার হয় এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উপকার হচ্ছে শরীরের ওজন কমে এবং শরীরে বিরাজমান ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়। তাই আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য উপোস থাকতে পারেন। এতে আপনার একসাথে দুই ধরনের কাজ হবে। শরীরের ওজন কমবে এবং রোগমুক্ত থাকবে। 
  • লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, যে সকল ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস করে তাদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে না এবং চর্বি থাকলেও তা ঝরে যায়। তাই এই উপায় আপনি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন। 
  • আশযুক্ত খাবার গ্রহণ, আপনি যদি অতিরিক্ত আশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাহলে এই আজ আপনার শরীরের পানি ও তেল চর্বি শোষণ করবে, পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে তাই এই মাধ্যমে আপনি ওজন কমাতে পারেন। 
  • গ্রিন টি খেতে পারেন, আপনার যদি শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে ব্ল্যাক কফির পাশাপাশি গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি এর মধ্যে ক্যাফিনের মাত্রা খুব কম থাকে। ক্যাটেচিন নামক শক্তিশালী এন্টিঅক্সিজেনের প্রচুর পরিমাণ থাকে যা আপনার শরীরে দ্রুত চর্বি ঝরয়ে ওজন কমাতে পারে।
  • প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন, আপনি যদি প্রোবায়োটিক গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হবে এবং শরীরের চর্বি ও ক্লোরোস্টল ও রক্তচাপ কমানোর সাহায্য করে এর জন্য আপনি টক দই খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ অনুজীব থাকে যা হজম শক্তি উন্নতি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 
  • সোডিয়াম যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, সোডিয়াম যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত সোডিয়াম একটি অপরিহার্য পুষ্টি যা শরীরে সোডিয়াম গ্রহণ করে এবং পানি ঝরে রাখার জন্য কাজ করে, এছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়। তাই আমাদের সিডিসি প্রতিদিন ২৩০০ মিলিগ্রামের কম সোডিয়াম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 
  • ওজন কমাতে মানসিক চাপ কমান, দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। এজন্য বিভিন্ন উপায় আছে যারা অনুসরণ করতে পারেন। দুশ্চিন্তা এবং টেনশনে থাকলে মানুষের শরীরের চর্বি জমে এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক হরমোন নিঃসৃত হয় যা মানুষের শরীরকে মোটা করে তোলে। তাই আপনাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। 

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে আপনি হয়তো স্পষ্ট হয়েছেন যে, একজন মানুষের কি কারণে ওজন বৃদ্ধি হয় এবং কি উপায় গুলো অবলম্বন করে সেই অতিরিক্ত ওজনকে কমানো যায়। পরিশেষে এই কথা বলতে চাই যে একজন মানুষ ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন কমানো সবকিছুই তার চলাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়া, শারীরিক সকল কিছুর উপর নির্ভর করে। আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সকল বিষয়ের উপরই খেয়াল রাখতে হবে।

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম

মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম করলে আপনি খুব সহজে ওজন কমাতে পারেন। যার জন্য আপনাদের সুবিধার্থে কিছু নিয়ম বলে দিলাম, এই আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এর ফলে আপনি শরীরের ওজন কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস টু টাইপ ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। 

  1. সত্যি আপনাকে ওয়ার্ক আপ করতে হবে ১০ মিনিট করে।
  2. প্রতিদিন হাটা বা জগিং করতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অথবা ৬ থেকে ৮ মাইল।
  3. এরপর কানসাস আরটিও পুনরাবৃত্তি তিন সেট করতে হবে। 
  4. সাইকেল ক্রাঞ্চাস আটটি তিন সেট করতে হবে। 
  5. এরপর আপনাকে লেক রেইসেস আটটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে তিনবার। 
  6. আবার বারপিস করতে হবে আটটি পুনরাবৃত্তি করে তিন সেট। 
  7. এরপর লীগ ইন ও আউট করতে হবে আটটি করে পুনরাবৃত্তি তিন সেট করে। 
  8. রাশিয়ান টুইস্ট আটটি করে পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। 
  9. সিজার কি আটটি পুনরাবৃত্তি তিন সেট করে।
  10. মাউন্টেন ক্রাইমস আটটি পুনরাবৃত্তি তিন সেট করে।
  11. অ্যালবো প্লাম্ক আটটি করে পুনরাবৃত্তি করে তিন সেট করতে হবে।
  12. স্টেজ করুন ৫ মিনিট যা আপনাকে ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে।

এই শারীরিক ব্যায়াম গুলো করার পাশাপাশি আপনি হিট ওয়ার্কআউট করুন যা কার্ডিও পাশাপাশি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কেমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একে হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বলে। এই প্রেম করার পরবর্তী দুই ঘন্টা পর্যন্ত চর্বি পড়ে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জেনেছে অন্যান্য ব্যবহৃত এই ব্যায়াম ২৮.৫ শতাংশ বেশি ওজন কমাতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম না হলে বা প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুম না হলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। 

প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় 

প্রতিদিন ১ কেজী করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় যদি আপনি অনুসরণ করতে চান, তাহলে আজকের এই পোস্টটির সকল তথ্য আপনার জন্য কার্যকরী। আসলে প্রতিদিন ১ কেজিরও বেশি ওজন কমাতে পারবেন তবে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি সীমিত খাবার গ্রহণ করে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার শরীরের ক্যালরি বার্ন হবে। 

আসলে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতিদিন এক কেজি ওজন কমানোর জন্য আপনাকে ৭৭০০ ক্যালরি বার্ন করতে হবে। তবে আপনার শরীর থেকে এক কেজি ওজন কমে যাবে। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেটা যে কোন ধরনের পরিশ্রম অথবা শারীরিক ব্যায়াম হতে পারে। তবে এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে। খাবার না খেয়ে খুবই সীমিত খাবার যেগুলো শুকনো খাবার তা খেতে হবে। 

যেমন গমের রুটি একটি যদি পারেন তাহলে না খাওয়াই ভালো। করবো আপনি শারীরিক পরিশ্রম বা যেকোনো ধরনের কর্ম করবেন যেখানে আপনার শরীর থেকে ঘাম বের হবে। এ ধরনের কাজ নিয়মিত করলে আপনার শরীরে যদি ৭৭০০ ক্যালরি বার্ন হয় তাহলে ১ কেজী ওজন প্রতিদিন কমে যাবে। তবে আপনাকে এর পাশাপাশি দুপুরে এবং রাতে খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

দুপুরে আপনি ভাত এবং ভালো খাবার খেতে পারেন পরিমাণমতো যা আপনার পেটকে সম্পূর্ণ না ভরিয়ে তিন ভাগের এক ভাগ করে নিতে হবে। কিভাবে খাবার গ্রহণ করলে আপনি আমার পরিশ্রম করলে আপনার শরীরের ক্যালরি বার্ন হবে এবং এই মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে প্রতিদিন ১ কেজি করে ওজন কমে যাবে। তবে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পূরণ করতে আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে তবে সীমিত। 

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় 

আসলে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমার উপায় আপনার নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে আপনি যদি প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করেন এবং শরীর থেকে ক্যালরি বার্ন করতে পারেন। তাহলে আপনার সাত দিনে ১০ কেজি নয় সাত দিনে তারও বেশি ওজন কমানো সম্ভব। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই। কেউ যদি রাতে না খেয়ে ঘুমাই তাহলে তার শরীরে বেশি ওজন কমতে সাহায্য করে। 

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
 

রাতের খাবারে মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি তৈরি করে এবং যা শরীরের কোন শক্তি ব্যয় না হওয়ার কারণে জমে থাকে। আপনি যদি রাতের খাবার বন্ধ করেন তাহলে আপনার শরীরে জমে থাকা ক্যালরি গুলো রাতের সময় টুকু প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করবে এতে আপনার শরীরও ভালো থাকবে এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে। 

আপনি সকালে সীমিত খাবার দুপুরে সীমিত খাবার এবং রাতে না খেয়ে হালকা শুকনো মুড়ি খেয়ে পানি খেয়ে থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি রাতে খাওয়ার গ্রহণ করেন তাহলে খাওয়ার খাওয়ার তিন থেকে চার ঘণ্টা পর ঘুমাতে হবে। এতে আপনার শরীরে চর্বি জমবে না এবং আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য কঠিন হবে যদি আপনি সকল নিয়ম-কানুন মানতে হবে।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে একজন মানুষের শরীরের ওজন কমানোর জন্য শারীরিক পরিশ্রম এবং খাবারের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষের শরীরের সকল পুষ্টি এবং ক্যালরি যোগান দেয় যে কোন ধরনের খাবার পানি এবং যে খাবারগুলো আমরা প্রতিদিন খেয়ে থাকি তা। সুতরাং আমরা যদি খাবার নিয়ন্ত্রণ করি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম ও ক্যালরি বার্ন করতে পারে তাহলে সহজে ওজন কমানো সম্ভব। 

৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট ব্যবহার করে আপনার শরীরের ৫ কেজি বা তারও বেশি ওজন কমাতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে এই চার্ট বা নিয়ম অনুসরণ করে আপনি খাবার গ্রহণ এবং শারীরিক সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং আপনার যেই প্রয়োজন অনুযায়ী ওজন চান সেই অনুযায়ী ওজন রাখতে পারবেন। 

পর্যায়ক্রমে দেখে নিন কিভাবে আপনি এই ওজন নিয়ন্ত্রণের চারটি ব্যবহার করে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন। আপনি যদি প্রকৃত অর্থে আপনার ওজন ৫ কেজি কমাতে চান তাহলে আপনাকে কি রায় ৭৭০০ ক্যালরি বার্ন করতে হবে প্রতি ১ কেজি ওজনের জন্য। তাই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনে খাবার গ্রহণ করতে হবে তবে আপনার ডায়েট চার্টে।

তাই আপনাকে এই নিয়মটি এক মাসের জন্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন যা আপনাকে পাঁচ কেজি না, প্রয়োজন অনুযায়ী ওজন কমানোর জন্য সহযোগিতা করবে। সকালে ৮ টার আগে বা খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে। এবং এই চার্টের যে খাবার থাকবে তার মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরি হতে হবে যা সারাদিনে আপনি গ্রহণ করবেন।

  • এবার সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খেতে হবে যা ৫২ ক্যালরি,
  • একটি জাম্বুরা খেতে পারেন যা ৯৬ ক্যালরি বহন করে।
  • দুটি রুটি খেতে পারেন যা ২১০ ক্যালরি বহন করবে।
  • যেকোনো ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন আপনার শরীরের ১৫০ ক্যালরি যোগ করবে। এগুলো থাকবে সকালের নাস্তায়। 
  • এরপর সকাল ১১ টায় এক কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন চিনি ছাড়া এতে কোন ক্যালরি নেই কিন্তু আপনার শরীর সতেজ করবে। একটি আপেল খেতে পারেন যা ৮১ ক্যালরি বা একটি কমলা খেতে পারেন যা ৮৬ ক্যালরি।
  • এখন দুপুর ২ টায় আপনি খাবার গ্রহণ করবেন ভাত এক কাপ ২১৬ ক্যালরি অথবা দুইটি রুটি ২১০ ক্যালরি। সাথে এক কাপ ডাল ২২০ ক্যালরি অথবা এক টুকরা মাছ ১৪২;ক্যালরি খেতে পারেন।
  • এবার বিকাল ৫ টায় আপনি খেতে পারেন এক কাপ গ্রিন টি চিনি ছাড়া অথবা দুইটি ক্রিম ছাড়া বিস্কিট যা ৩০ ক্যালরি।
  • সন্ধ্যা ৭ টায় ডাবের পানি খেতে পারেন এটা রয়েছে প্রায় ৪৬ ক্যালরি, এছাড়া আপনি ১২ থেকে ১২ টি পেস্তা বাদাম খেতে পারেন যা ৭০ ক্যালোরি।

এরপর রাত ৮:৩০ মিনিট এ সময় রাতের খাবার খেতে পারেন। এক কাপ ভাত অথবা দুইটি রুটি। এবং এক কাপ সালাত ৫০ ক্যালরি এবং এক কাপ সবজি যা ৮৫ ক্যালরি অথবা আধা কাপ দই যা ৬৫ ক্যালরি। এই হলো মোটামুটি ১৫০০ ক্যালরি যা আপনার সারাদিনের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে এবং পাশাপাশি আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে যা আপনার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। 

৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
 

এছাড়া আপনি মাসে প্রতি মাসে আজকে কি ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকাল দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে দুই গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন। এতে কম খাবারে পেট ভরে যাবে এবং আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। পারলে আপনি সকালে খালি পেটে একটা লেবুর রস এবং আদা কাপ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

এছাড়াও আপনি সবজির লিস্টে ব্রকলি, লেডুস, পালং শাকের অন্যান্য সবজি রাখার চেষ্টা করুন। রেগুলার সালাতের সাথে যেকোনো ধরনের অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন এটা ক্যালরি বার্ন করতে খুব উপকারিতা দেয়। রাতের খাবারের অন্তত দুই ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা পর ঘুমাতে যান। তবে বিশেষ সতর্কতামূলক এই কথা বলতে চাই যে দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে ধীরে ধীরে ওজন কমানো ভালো শরীরের কোন ইফেক্ট বা সমস্যা হয় না। 

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট 

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার ওজনকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার যে কারণ রয়েছে তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এবং কি কারণ নেই আপনি অতিরিক্ত ওজন থেকে বের হতে পারছেন না সে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। আপনি যদি মেয়েদের ওজন কমানোর চার্ট ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ওজন কমাতে পারবে। 

উপরে একটি চাট বা সারাদিনের খাবার রুটিন উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ১৫০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে যা একজন মানুষের শরীরের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন হয়। এছাড়া এর বেশি খাবার গ্রহণ করলে আপনি ডায়েট করেও ওজন কমাতে পারবেন না। ওজন বা ডায়েটের চার্ট করার এটাই উদ্দেশ্য যে ডায়েটের চার্ট অনুযায়ী আপনি খাবার গ্রহণ করলে আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি বার্ন হতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটি চেনার ৭টি কার্যকরী উপায় জানুন 

শুধু ডায়েট বা চার্ট অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করলেই হবে না আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ওজন হয়ে থাকে। তাহলে সেই ওজন কমানোর জন্য আপনাকে শারীরিক এক্সারসাইজ এবং অতিরিক্ত মানসিক চিন্তা এবং ঘুমের দিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিচের দেওয়া প্রতিদিনের খাওয়ার নিয়ম এর মত বা চাটের মত একটি লিস্ট বা ছবি দেখতে পাচ্ছেন সেটা ব্যবহার করেও ডায়েট করতে পারেন। 

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং যেখানে যে ধরনের খাবার নিয়ম নীতি গুলো আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে আপনি এক মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর চার্ট এর প্রয়োজন হবে না। দ্রুত ওজন কমানোর চার্ট বা উপরে যে চারটি দেওয়া আছে সে চার্ট ব্যবহার করে আপনি যে কোন সময় যেকারো ওজন বৃদ্ধির সমস্যা থেকে রক্ষা করতে এই উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। 

ওজন নিয়ে সতর্ক জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ ডায়েট করে কি ওজন কমে? 

উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই ডায়েট করলে ওজন কমবে তবে আপনাকে ডায়েট করার পাশাপাশি নিজের মানসিক টেনশন এবং ঘুমের দিকে নজর দিতে হবে। 

প্রশ্নঃ ডায়েটে কি কি খাওয়া যাবে না? 

উত্তরঃ ডায়েটে কিছু খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন, ফাস্টফুড খাবার, চিনিযুক্ত খাবার এবং যে সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার ডায়েট চার্টের বাইরের কোন খাবার না খাওয়াই ভালো। 

প্রশ্নঃ যে কোন ধরনের ব্যায়াম করলে ওজন কমে? 

উত্তরঃ কোন ধরনের ব্যায়াম করলে ওজন কমে এটা সত্য কারণ ওজন ফলে মানুষের শরীরের ক্যালরি বার্ন হয় এবং ক্যালরি বার্ন হলে মানুষের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে। তবে এর মধ্যে দৌড়, হাঁটাচলা, সাইকেল চালানো, যোগ ব্যায়াম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। 

প্রশ্নঃ চিকন হওয়ার জন্য কি খেতে হবে? 

উত্তরঃ চিকন হওয়ার জন্য কম পুষ্টি এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। শাকসবজি সাধারণ ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবে না এবং প্রোটিন এবং বেশি ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া উপরে উল্লেখিত সকল নিয়ম গুলো মানলে আপনি সহজে চিকন হতে পারবেন। 

প্রশ্নঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন কমে? 

উত্তরঃ সকালে খালি পেটে আপনি লেবুর রস এবং অল্প পরিমাণ মধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ওজন কমাতে পারবেন। 

প্রশ্নঃ মুড়ি খেলে কি ওজন কমে? 

উত্তরঃ তাদের একটি ভালো খাবার কারণ মুড়িতে কম ক্যালরি থাকে এবং কম চর্বি থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

প্রশ্নঃ রাতে কি খেলে ওজন কমে? 

উত্তরঃ রাতে খুব কম খাওয়ার খাওয়া উচিত এবং কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে হবে তাহলে ওজন কমবে। আপনি রাতে না খেয়ে থাকতে পারেন এটা ওজন কমবে আপনার সামান্য পরিমাণ শুকনো মুড়ি এবং পানি খেয়ে থাকতে পারেন এতে ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

প্রশ্নঃ ওজন কমাতে মেথি কিভাবে খাবেন? 

উত্তরঃ ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে মেথি মিহি করে গুড়া করে নিতে হবে। এরপর আপনি মেথির সাথে দই, স্মুথি এবং মিশিয়ে এক গ্লাসের পানির সাথে বা সালাদের সাথে ছিটিয়ে খেতে পারে।

প্রশ্নঃ ভাত কম খেলে কি ওজন কমে? 

উত্তরঃ পুষ্টিবিদদের মতে এক মাসের জন্য ভাত ছেড়ে দিলে শরীরের ক্যালরি মাত্রা কমতে শুরু করে এবং শরীরের ওজন কমে যায়। ভাতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি এবং প্রোটিন থাকে যা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়। 

শেষ মন্তব্যঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে 

ইতিমধ্যে আপনাদেরকে জানিয়েছি একজন মানুষ মোটা হওয়ার কারণ এবং কিভাবে সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে সেই সকল বিষয়ে। যদি আপনি দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে লিখিত প্রশ্নের তথ্য গুলো ব্যবহার করুন। আপনার খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করুন নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন, মাসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন খাদ্য অভ্যাসে ক্যালরিযুক্ত কম খাবার খান। 

পাশাপাশি আপনি প্রতিদিন কম করে হলেও আধাঘন্টা এক্সারসাইজ করুন যা আপনার সঙ্গে ওজন কমাতে বিশেষভাবে উপকার করবে। পুলিশকে নিয়ম তৈরি করুন সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনি প্রতিদিনের খাবার গ্রহণ এবং বিভিন্ন পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করুন যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলো কেমন হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url