রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস কয়টি জানুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিশ্বমানের কবি তার কবিতা সারাবিশ্বের মানুষকে এক অসাধারণ উপহার দেয়। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী জানুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে যা যা জানবেন
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক জীবনী বা ইতিহাস
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম জীবন থেকে কিছু কথা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ব ভ্রমণ সম্পর্কে জানুন
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু সাল
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও বংশ পরিচয়
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের নাম সমূহ
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার নাম সমূহ
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধের নাম
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কয়টি
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখক এর শেষ মন্তব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী সম্পর্কে সকল তথ্য আপনাদের জানার সুবিধার্থে উপস্থাপন করা হলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিশ্ব মাপের বাঙালি কবি। তিনি তার সাহিত্য নাটক ও বিভিন্ন কাব্যের মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মনের ভিতরে একটি স্থান করে রেখেছে। তারা রেখে যাওয়া কবিতা গ্রন্থ প্রবন্ধ সকল কিছুই যেন অসাধারণ বাস্তবমুখী।
ইতিহাসে তার মতন বাংলা ভাষার সাহিত্য নেই তাই তাকে সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যক বলা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিভিন্ন নামে ডাকতেন কেউ গুরুদেব, কেউ কবিগুরু তিনি বিশ্ব কবি অভিধায় ভূষিত হয়। তার জীবন দশায় ৫২ টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮ টি নাটক, ১৪ টি উপন্যাস, ৩৬ টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সংলগ্ন লিখেছেন। যা তার কিছু অংশ তার মৃত্যুর পরেও প্রকাশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের সর্বমোট ৯৫ টি ছোট গল্প রয়েছে, রয়েছে ১৯১৫ টি গান যথাক্রমে আরো অনেক গল্পগুচ্ছ গীতিবি সংকলনের সমাহার। বিভিন্ন সময়ে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাগারের অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খন্ডে রবীন্দ্রনাথ রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০০০ এরও বেশি ছবি এঁকেছেন।
রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য ১৯ খন্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। তিনি ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি প্রথম ইউরোপীয় এবং এশীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন জন্মগতভাবে হিন্দু পরিবারের ব্রাহ্মণ পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারের। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পিতৃপুরুষদের আবাসভূমি ছিল বাংলাদেশের খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত ঘাট ভোগ ইউনিয়নের পিঠা ভোগ গ্রামে।
বাল্যকালে তিনি প্রথাগত বিদ্যালয় ভুতে একপ্রকার প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন যা মূলত শিক্ষাদানের কেন্দ্র সেখানে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তক এর মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করতো। তবে তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষা করেননি। বাড়িতে গৃহশিক্ষক রেখে তিনি শিক্ষার কাজ চালিয়ে নিতেন। সর্বপ্রথম ৮ বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। আরো বিস্তারিত বিষয়গুলো নিচের দিকে ধারাবাহিকভাবে জেনে নিন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে জানা উচিত কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী থেকে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়ে রয়েছে। তিনি একজন মহাকবি তার লেখা সারাবিশ্বে আজও প্রচলিত রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাকে দেখা হয় তার লেখাগুলোকে গবেষণা করা হয়। জীবনে তার প্রথম লেখা আট বছর বয়সের কবিতাটি ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার তার অভিলাষ কবিতায় প্রকাশিত হয়।
এটা ছিল তার জীবনের প্রথম প্রকাশিত রচনা। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ড ভ্রমণ করে। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সাথে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলা দয়ের জমিদারি এস্টেটে বসবাস করতেন। এরপর তিনি ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে পাকাপাকি ভাবে বাস শুরু করেন।
এরপর ১৯০২ সালে তার পত্নী বিয়োগ হয় এবং ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রাম্য উন্নয়নের জন্য তিনি স্মৃতি কেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ১৯২৩ সালে বিশ্বভারতী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দীর্ঘ জীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন।
আরো পড়ুনঃ ইমাম আবু হানিফার জীবনী - ইমাম আবু হানিফার পীর কে ছিল জানুন
সমগ্র জীবনে তিনি বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন এবং রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাব ও গভীরতা গীতি ধর্মিতা চিত্র রূপকথা এবং আধ্যাত্ম চেতনার ঐতিহ্য পীড়িত প্রকৃতিপ্রেম বা মানবপ্রেম যা স্বদেশপ্রেম বা বিশ্ব প্রেম হিসেবেও পরিচিত করে রবীন্দ্রনাথকে। তিনি একজন রোমান্টিক বা অন্যরকম ছিলেন তার ভাষা এবং লেখনীতে বাস্তব কথাগুলো তুলে ধরতেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের ধ্রুপদী ও অলৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্প দর্শন তার রচনায় গভীরভাবে প্রকাশ দেয়। বিভিন্ন সময় কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মত ও সহজ সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। সমাজকল্যাণের জন্য তিনি গ্রাম উন্নয়ন ও গ্রামের দারিদ্র্য মানুষদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এবং শিক্ষিত করে তোলার অনুপ্রেরণা।
এর পাশাপাশি তিনি ভেদাভেদ এবং অদৃশ্যতা ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং ধর্মতত্ত্ব তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তীব্র ভাবে। তিনি জানিয়েছেন তার দর্শন চেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ দেব-দেবী গ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছেন। যা বর্তমান আহলে বায়াতের মুখে শোনা যায়। মানুষ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ রহস্য।
সঙ্গীত ও নৃত্য কে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। কীর্তন এবং গান শুনতে পছন্দ করতেন তার রচিত গণ মগন অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত শ্রীলংকার মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক জীবনী বা ইতিহাস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পারিবারিকভাবে হিন্দু ধর্মের ছিলেন এবং ব্রাহ্মণ পরিবারের। ঠাকুরের আদি পদবী ছিল কুশারী, কুশারা ভন্ডা নারায়ণের পুত্র দিন প্রসারের বংশজাত। তিনি কুশারী মহারাজ খিশি ক্ষিতী সুরের নিকট কুশ নামক গ্রাম পেয়ে গ্রামের অধিবাসীগণ ও কুশরী নামে খ্যাত হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের ইতিহাস প্রায় ৩০০ বছর আগের।
রবীন্দ্রনাথ পুরা পরিবারের সদস্যরা অনেকেই বাণিজ্যিক সমাজ সংস্কার ধর্ম সংস্কার আন্দোলন ও সাহিত্য শিল্পকলা ও সঙ্গীতের জগতের ব্যক্তিত্ব দিতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী কার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় তার রবীন্দ্রজীবনী ও রবীন্দ্রসাহিত্য প্রবেশক গ্রন্থের প্রথম খন্ডে ঠাকুর পরিবারের বংশ পরিচয় দিতে পারে।
পরবর্তীকালে কুষারা বঙ্গদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে যশোরের হার্ট ভাগুর হুদা থেকে ঢাকার কয় কির্তন থেকে ঝালুকা সোনামুখী হতে খুলনার পিঠাভোগ পর্যন্ত। খুলনার পিঠা বুকের কুরাশি রায় এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অবস্থা সম্পন্ন হয়ে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের ১৪ জন ভাই বোন ছিলেন তিনি ছিলেন পিতা-মাতার সর্বশেষ সন্তান। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হলো,
- দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি জ্যেষ্ঠপুত্র দার্শনিক কবি ছিলেন।
- সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি একজন জ্যেষ্ঠ পুত্র ও সিভিল সার্ভেন্ট ছিলেন।
- জ্যোতিষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি সংত ও সুরকার ও নাট্যকার ছিলেন।
- স্বর্ণকুমারী দেবী তিনি একজন উপন্যাসিক ছিলেন।
- হেমন্ত নাথ ঠাকুর ও সৌদামিনী দেবী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম ছিল দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার মায়ের নাম ছিলেন সারদা দেবী। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথের ছদ্মনাম ছিল প্রথম কৈশোরে তার ছদ্মনাম ছিল ভানুসিংহ ঠাকুর। এই নামে তিনি কয়েকটি কবিতা রচনা করেছেন কিন্তু রাজ শেখর বসুর না সুনামি অনুবাদ সাহিত্য প্রবন্ধ রচনা করলেও তিনি তার গল্পগুলিতে লিখতেন পরশুরাম।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্টের তালিকা
বুখারী শরীফের পূর্ণ নাম কি - বুখারী শরীফের বৈশিষ্ট্য জানুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম জীবন থেকে কিছু কথা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী সম্পর্কে জানতে হলে এই বিষয়গুলো জানা উচিত। আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে সোমবার জন্মগ্রহণ করেছিল। তারপর তিনি সেখানে বড় হয় তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্মণ ধর্মগরু দেবেন্দ্রনাথ যার জন্ম ১৮১৭ এবং মৃত্যু ১৯০৫ সালে। ইছাড়া তার মাতা ছিলেন সারদাস সুন্দরী দেবী।
তার মাতা ১৮২৬ সালে জন্মগ্রহণ করে ও ১৮৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার পিতা-মাতার সর্বশেষ সন্তান ছিলেন। তবে তারা এবং তাদের পরিবারের সকলেরাই ছিল, এক কথায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্মণ আদিধর্ম মতবাদের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যখন ১৪ বছর বয়স তখন তিনি মা হারা হন। এরপর তিনি দেবেন্দ্রনাথ তার পিতা যার সাথে তুমি দেশ ভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে থাকতেন।
রবীন্দ্রনাথ ধনাত্মক পরিবারের সন্তান হলেও তার ছোটবেলা কেটেছিল ভীতুদের অনুশাসনে। শৈশবকাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি নর্মাল স্কুল বেঙ্গল একাডেমি এবং সেন্ট জেভিলার্স স্কুল এন্ড কলেজে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। তবে রবীন্দ্রনাথ স্কুল শিক্ষায় বেশি আগ্রহী ছিল না তিনি বাড়িতে গৃহশিক্ষকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতেন।
১৯৮৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তার বয়স যখন ১২ তখন রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাস তার পিতার জন্য দেশ ভ্রমণে বের হন। প্রথমে শান্তি নিকেতনে, পাঞ্জাবের অমিত সরে সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি প্রদর্শন করেন। এরপর রবীন্দ্রনাথের পিতা তাকে নিয়ে পাঞ্জাবের ওই একটি প্রদেশ শৈল শহরের নিকট যান। এবং সেখানে তিনি ইংরেজি জ্যোতির্বিদ্যা সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ করতেন।
রবীন্দ্রনাথকে তার পিতা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী যেমন কালিদাস রচিত ধ্রুপদী সংক্ষিপ্ত কাব্যনাট্য উপন্যাস ইত্যাদি পড়তে উৎসাহিত করতেন। রবীন্দ্রনাথের বয়সের নাটক কাব্য ও উপনিষদ পাঠ করতেন। ১৯৯৭ সালে ভারতীয় পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। মেঘ যেখানে মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনায় ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী এবং ভিকারি ও করুণা নামের দুটি গল্প ছাড়া হয়।
ধীরে ধীরে আরো অনেক কাব্যগ্রন্থ তিনি প্রকাশিত করেন কবি কাহিনী এছাড়া পরবর্তীতে তিনি রচনা করেন সন্ধ্যা সংগীত, রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ। এভাবেই তিনি ধীরে ধীরে যৌবন কালে দিকে পদার্থ হন এবং তার লিখনী এবং সকল চর্চা আরো বহুগুণ আকারে বৃদ্ধি হতে থাকে। রবীন্দ্রনাথের যৌবনের কিছু ইতিহাস। ১৯৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি ব্রাইটেনের একটি পালকি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন।
এরপরে সেখান থেকে তুমি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইন বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানে পড়াশোনা করা অবস্থায় তিনি সাহিত্য চর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা থেকে সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের থাকাকালীন তিনি শেক্সপিয়ার ও অন্যান্য ইংরেজি সাহিত্য কারে রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটান। সব সময় তুমি মনোযোগ সহকারে পাঠ করতেন এবং এই সময় তার ইংল্যান্ড বাসের অভিজ্ঞতার কথা ভারতীয় পত্রিকায় পাঠদানে প্রকাশ করে।
উক্ত পত্রিকায় তার অভিজ্ঞতা পুলকেশ দাগ কাটে এবং জ্যৈষ্ঠ ভাত্রা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনা সহ প্রকাশিত হয়, সেখানে জৈব যাত্রী কোন বঙ্গীয় ধ্রুবকের প্রধানত নামে এটা প্রকাশ করা হয় এবং ১৮৮১ সালে সে পদ্রবলী। রবীন্দ্রনাথের লেখা গুলো ছিল চলতি ভাষায় অবশেষে ১৮৮০ সালে করে দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে তিনি ডিগ্রী না নিয়ে দেশে ফিরে আসে।
এরপর তিনি ঠাকুরবাড়ির অদৃষ্ট কর্মচারী বেণী মাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী। তাদের পরিবারের সন্তান ছিলেন ৫ জন, মাধুরীলতা, রবীন্দ্রনাথ, মিরা, শমিন্দ্রনাথ, তবে এদের মধ্যে সুমিন্দ্রনাথ ও রেনুকা দ্রুত অল্প বয়সে মারা যায়। ১৯৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা পাবনা ও রাজশাহী জেলা এবং ওসির আয় জমিদারের গুলির তদারকি করেন।
কুষ্টিয়ার শিলাদহের কুঠি বড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। জমিদার রবীন্দ্রনাথ শিলাদের পদ্মা নামে একটি বিলাসবহুল পারিবারিক বজ্র রায় চড়ে প্রজা বর্গের কাছে খাজনা আদায় ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে যেতেন। গ্রামবাসীরা তার সম্মানে ভোট সভার আয়োজন করতো। ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ মানসিক প্রকাশিত হয়।
যেটি কুড়ি থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গীতি সংলগ সংকলন প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশ করেন তার নিজস্ব পত্রিকা সাধনা পত্রিকা। তিনি এক সময় ছোটগল্প গুলিতে একটি গ্রাম বাংলার জীবন ও গণজীবনের আবেগময় ও শেষ তারক চিত্র একা ছিল। এছাড়াও মধ্য জীবনে শিলাদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরে।
উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে যেখানে তিনি ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ও ১৮৯১ সালে একটি ব্রাহ্মণ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমের আম্মু কুঞ্জ উদ্যান একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করেছেন ব্রহ্মবিদ্যালয়। এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্কুল প্রতিষ্ঠা করার পরেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রহ্মবিদ্যালয় বা ব্রহ্মাশর্যনামে একটি পরীক্ষামূলক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে।
তবে তার কিছু পরে ১৯০৩ সালে সেপ্টেম্বরে কোন বেনুকা মারা যায়। এরপরে ১৯০৭ সালের ২৩ শে নভেম্বর কনিষ্ঠ পুত্র সমীদ্রনাথ মৃত্যু হয়। এরপর ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশপ্রেমী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এবং ১৯০৬ সালে জ্যৈষ্ঠ পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। সেখানে আধুনিক কৃষি ও গোপন অবলা বিদ্যা শেখানোর জন্য।
১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যপাধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান এবং এরপর শান্তিনিকেতনের ব্রাহ্মণ বিদ্যালয় অর্থ সংকটে পড়ে। পাশাপাশি তার জামাতা এবং পুত্র পড়াশোনার খরচ চালাতে তাকে নিজ স্ত্রীর গহনা ও পুরাতন বসত বাড়ি বিক্রি করতে হয়। এরপর ১৯১০ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি ইংরেজি অনুবাদ করা হয় এরপর তিনি নোবেল পুরস্কার পান সুইডিস একাডেমি থেকে।
এরপর তিনি ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের অদূরে শুরু নামে মার্কিন কৃষি অর্থনীতিবিদ লেনার্ড নাইট অ্যালো হারস্ট কিছু শিক্ষক ও ছাত্রের সহযোগিতায় রবীন্দ্রনাথের পল্লী সংগঠন কেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠা সংগঠন তৈরি করে। এর উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন কৃষি উন্নতি সাধন ম্যালেরিয়া ও বিভিন্ন রোগ নিরাময় ও ধর্ম গলায় উপস্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা। ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে স্মৃতি কেতন রাখে যাকে মহাত্মা গান্ধীর প্রতীক মনে করা হয় ও প্রতিবাদ আন্দোলনের বিকল্প মনে করা হয়।
জীবনের শেষ সময়েও তিনি সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় গোড়ানো থেকে বাঁচার জন্য মানুষদেরকে নির্দেশ এবং তার লেখনীতে প্রকাশ করেছে। কে প্রচুর কাব্যগ্রন্থ নাটক উপন্যাস এবং বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তিনি সারাজীবন বিভিন্ন ধরনের গবেষণা পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং এসকল বিষয়ে কাজ করেছেন যাতে মানবকল্যাণ হয়। এর সাথে তিনি জীবনের শেষ বছরগুলিতে বিজ্ঞানের সংলগ্ন সরল বাংলায় লিপিবদ্ধ করেছে।
তার অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় কাব্যে গল্প-সল্প সংলগ্ন তিনি বিজ্ঞানী চরিত্রকেন্দ্রিক একাধিক গল্প সংকলত করেছেন। ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে মানুষ মারা যায় তবে ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিহার প্রদেশে ভূমিকম্পের শতাধিক মানুষের মৃত্যু গান্ধীজী ঈশ্বরকে রস বলে অভিহিত করে। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজীর এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন প্রকাশ্য তার সমালোচনা করে।
কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশা ও ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের গুরুত্ব অর্থ সামাজিক অবক্ষয় তাকে বিশেষভাবে বিতালিত করে তুলেছিল। জীবনের শেষ চার বছর ছিল তার ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়ে সময়ের মধ্যেও দুইবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশয়ী হয়ে থাকতে হয়েছিল তাকে। একবার অচল নন হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল। এই সময় তিনি মৃত্যু চেতনা কে কেন্দ্র করে কিছু কবিতা রচনা করেন।
এমনকি মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সৃষ্টিশীল ছিলেন দীর্ঘ রোগভোগের পরেও তিনি চার্নিশ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। এবং তিনি সেই সময় ও তার লেখনি এবং মনের কথাগুলো মানুষের মধ্যে প্রকাশ করার সত্য অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। যে মানুষটিকে আজ ও বিশ্বের সকল মানুষ মনেপ্রাণে ভালোবাসে এবং তার কথাগুলোকে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ব ভ্রমণ সম্পর্কে জানুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে ছোট সময় থেকেই বিভিন্ন দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি তার জীবন দশায় মোট ১২ বার বিশ্বভ্রমণ করতে বেরিয়েছিলেন। তিনি ১৮৭৮ থেকে ৩২ সালের মধ্যে পাঁচটি মহাদেশের ৩০ টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করে। ১৯১২ সালে ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ডে গিয়ে ইয়েস প্রমো কয়েকজন ইংরেজি কবি ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে সৎ রচিত গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করে শোনায়।
যা শুনে সকলে মুগ্ধ হয়েছিল এবং ইয়েটস স্বয়ং উক্ত কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকাটি লিখে দিয়েছিলেন এই ভ্রমণের সময় দীর্ঘ বন্ধু চার্জ ফিয়ার এন্ড বুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরিচিত হন। ১৯১৩ সালের সুইডিশ একাডেমি তাকে নোবেল পুরস্কার সম্মানিত করেন জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রীন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্যবাদ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যে বক্তৃতা বিশ্ব খ্যাতি পেয়েছিল।
সফরের সময় মধ্য পাশের মধ্যে যেমন চীন দেশে সফর করেন ১৯২৪ সালের পর তিনি জাপানে গিয়ে সেখানে বিভিন্ন বক্তৃতা দেন, আবার পেরু সরকারের আমন্ত্রণে সে দেশে যাওয়ার পথে আর্জেন্টিনায় অসুস্থ হয়ে কবি ভিক্টোরিয়া ও পোকা আমপুর আথিন ডে ৩ মাস কাটান। স্বাস্থ্যের কারণে পীরু ভ্রমণে তিনি স্থগিত করে দেন পরে পেরু ও মেক্সিকো উভয় দেশে সরকার ওই বিশ্বভারতীয় কে প্রচুর মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য প্রদান করেছিল।
১৯২৬ সালে বেনিত মুসোলিন আমন্ত্রণে ইটলি সফর করে, প্রথমে তিনি খুবই মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তবে পরে তা সমালোচক ন্যায় এবং সকল বিষয়ে জানার পর তিনি প্রতিবাদ করেন এবং তাদের বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক ছেদ হয়। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রীস তুরস্ক ও মিশর ভ্রমণ করেন এরপর ভারতে ফিরে আসে। এবং সুনিতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এর সাথে চার সঙ্গীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৭ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর করে এবং
সে সময় তিনি বালি জাভা কুয়ালালামপুর, মালাঙাগা, পেনাং, সিয়াম ও সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করে। এরপরে তিনি ১৯৩০ সালে কবি শেষবার ইংল্যান্ড যান এবং অক্সফোর্ডে হিবর্ড বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি ভ্রমণ করেন ফ্রান্স,জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরে ১৯৩২ সালে ইরান পারস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন কবি। সিংহলে যান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯৩৪ সালে এটি ছিল তার সর্বশেষ বিদেশ সফর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেসব বইতে তার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন বালি বিবর্ধন করেছেন তা হচ্ছে জোরোপ যাত্রীর ডায়েরি, রাশিয়ার চিঠি, জাপানি যাত্রী। ১৯৩৯ সালে ব্যাপক বিশ্বভ্রমণ হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমসাময়িক অধিবেশন আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ফ্রস্ট, টমাস মান, জর্জ বার্নার্ড শ, এইচসি ওয়ারলেস, রোমারোলা সিগমেন্ট ফয়েল্ড প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু সাল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু সাল আমাদের জানা উচিত কারণ এটা বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নে আসে। স্কুল-কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষায় এই প্রশ্নগুলো আসে। আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালের মে মাসের ৭ তারিখে। তিনি তার জীবনে অনেক কবিতা গল্প লিখেছেন এবং বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। এভাবে তিনি ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে খ্যাতি অর্জন করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার মৃত্যুর আগেও অনেক শান্ত এবং নিশ্চিন্তা হবে জীবন পার করতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় থেকেও তিনি কিছু কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেন। সে প্রবন্ধ এবং রচনা আজও মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালাই। এ বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪১ সালে ৭ ই আগস্ট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের রাজবাড়ী কুঠি বাড়িতে মৃত্যু গরম করো।
এছাড়াও অনেকেই জানতে চাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু সাল বাংলা কত সালে? সেই প্রশ্নের উত্তরও আজকে আপনাদের সামনে অবস্থান করলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলায় ১২৬৮ সালের ২৫ শে বৈশাখ জন্মগ্রহণ করে। তিনি তার তার জীবন দশায় ৮০ বছর বেঁচে ছিলেন। এই সময় তিনি তার জীবনের সবচাইতে বড় উপহার গুলো মানুষের জন্য দিয়ে গেছেন। সেই উপহারটি হল জ্ঞান অর্জন করার উপায়।
তবে তিনি বাংলা মাস অনুযায়ী ১৩৪৮ সালের বাইশে শ্রাবণ মৃত্যুবরণ করেন আর নিজ বাসভবনে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম বাংলা তারিখ কত। এবং বাংলায় ও ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু কত তারিখে এবং জন্ম কবে এবং কত দিন তিনি বেঁচে ছিলেন এই সকল বিষয়ে আশা করি সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও বংশ পরিচয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও বংশ পরিচয় জানলে আঁকে অবাক হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান। রবীন্দ্রনাথের পিতা ছিলেন একজন ধর্মগুরু তিনি রবীন্দ্রনাথকে ধর্মের শিক্ষা দেন এবং প্রাথমিক অবস্থায়। এরপর ধীরে ধীর বংশী ও পরের জয় নিয়ে বড় হতে থাকে। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল সেই সময়ের একটি প্রভাবশালী পরিবার।
সেই পরিবারের বংশগতভাবে জন্মগ্রহণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার জন্মদাতা মাতা ছিল সারদা সুন্দরী দেবী। এই পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদি ধর্ম মতবাদের বিশ্বাসী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা একজন ভালো মানের প্রসিদ্ধ জমিদার ও ব্যবসায়ী ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। তাদের বংশ নাম হচ্ছে ঠাকুর পরিবার।
ঠাকুর পরিবারের সবাই ব্রাহ্ম ধর্ম এবং সাহিত্য সংস্কৃতে প্রসিদ্ধ ছিলেন। সেই থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রহ্মচর্য করার জন্য আশ্রম তৈরি করেন। এবং সেখানে বিভিন্ন ধর্মশিক্ষা এবং এবং আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়া হয় যেখানে ধ্যানস্থ হয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সাধনা করছিল এবং যোগ ব্যায়াম করতেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের নাম সমূহ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের নাম সমূহ জানা উচিত যদি কেউ সঠিক উপন্যাসটি পড়তে চায়। যে কোন বিষয়ে বা বস্তু সম্পর্কে জানতে সঠিক যেন অর্জন করতে বই পড়া অত্যন্ত জরুরী। বই পড়া গল্প পড়া উপন্যাস পড়া এগুলো মানুষের জ্ঞান কে আরো বিকশিত করতে সাহায্য করে। তাই আপনি এই রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের নাম গুলো না জানলে দেখে নিন।
- করুণা
- বউ ঠাকুরানীর হাট
- রাজর্ষি
- চোখের বালি
- নৌকা ডুবি
- প্রজাপতির নির্বন্ধ
- গোরা
- ঘরে বাইরে
- চতুরঙ্গ
- যোগাযোগ
- শেষের কবিতা
- দুই বোন
- মালঞ্চ
- চার অধ্যায়
উক্ত উপন্যাস গুলো আপনার জীবনের জ্ঞানের পরিধিকে বিকশিত করতে ভূমিকা রাখে। আপনি যদি একজন জ্ঞান আরবি হন তাহলে অবশ্যই এই উপন্যাস গুলো পড়ে দেখবেন। উপন্যাস গুলোর মধ্যে মানুষের মুক্তি এবং মানবতার মহান উদার কথা উল্লেখ করা রয়ছে। সাজানো হয়েছে বাস্তবিক ঘটনা যা প্রতিনিয়তই মানুষের জীবনের মধ্যে দিয়ে ঘটে যায়। যেমন শেষের কবিতা, বিখ্যাত উপন্যাসে বঙ্গদেশের প্রবাসীতে ধারাবাহিকভাবে নও শিক্ষিত অভিজাত সমাজের কথা আছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার নাম সমূহ
আপনি যদি একজন রবীন্দ্র প্রেমে হয়ে থাকেন এবং রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে যান তাহলে অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতার নাম জানতে হবে। আপনি যে খুব সহজে নামগুলো মনে রাখতে চান তাহলে এই নামগুলো দেখতে পারেন যা রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবি আর বলতে কিছু অন্যতম কবিতা।
- সোনার তরী,
- গীতাঞ্জলি
- বলাকা
- পূরবী
- চিত্রা
- সোনার বাংলা যা এখন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
- আফ্রিকা
- বোধন
- দুই পাখি
- দুই বিঘা জমি
- অনন্ত প্রেম
- বীরপুরুষ
এছাড়াও আরো রয়েছে মাঝি, কাগজের নৌকা, সভ্যতার প্রতীক, ভারত তীর্থ, অপমানিত, শাহজাহান, আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু, আছি আমার হৃদয়ে আছে ভরা, প্রাণ, বোঝাপড়া, একটি শিশির বিন্দু, বাঁশি, আষাঢ়, কৃষ্ণকলি, লুকোচুরি, সবুজের অভিযান, বর্ষার দিনে, জুতা আবিষ্কার, দুঃখময়, তালগাছ, হঠাৎ দেখা, ওরা কাজ করে, সামান্য ক্ষতি, প্রার্থনা, অত চুপি চুপি কেন কথা কও, অভিমান, রবিবার ও অন্তর মম বিকশিত করো ইত্যাদি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধের নাম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধের নাম জেনে নিন যা আপনাকে প্রবন্ধ করতে সাহায্য করবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বিশেষ কয়েকটি প্রবন্ধ রয়েছে যা অনেকেই পড়তে পছন্দ করে এবং বিশ্বব্যাপী এর প্রচার হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলেন কালজয়ী একজন বিশ্ব বিখ্যাত কবি। তার প্রবন্ধের মনমুগ্ধকর কথা ও কাহিনী মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়।
মানুষের মনের চেতনা জাগিয়ে তোলে, সেরকম কিছু প্রবন্ধের নাম হলো, আত্মপরিচয়, পঞ্চভূত, কালান্তর, বিবিধ প্রসঙ্গ, সাহিত্যের পথে, লোকসাহিত্য, ভারত বর্ষ, চারিত্র পূজা, রাশিয়ান চিঠি, আধুনিক সাহিত্য, ইতিহাস, সাহিত্য, সাহিত্যের স্বরূপ, স্বদেশ, শব্দতত্ত্ব, রাজা প্রজা, জীবনস্মৃতি, সঞ্চয়, ধর্ম, জাপানি যাত্রী, বিশ্বভারতী।
এছাড়াও রয়েছে সমবায়নীতি, শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন, বা ধর্ম দর্শন, সংগীত, গ্রন্থ সমালোচনা, ব্যক্তি প্রসঙ্গ, খ্রিস্ট, মানুষের ধর্ম, পশ্চিম যাত্রীর ডায়েরি, শান্তিনিকেতন, বিচিত্র প্রবন্ধ, প্রাচীন সাহিত্য ইত্যাদি যা করল আপনার মন মুগ্ধ হয়ে যাবে। প্রবন্ধগুলো এতটাই উচ্চমানের যে একজন মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করার জন্য এর মধ্যে অনেক জ্ঞান রয়েছে যা পড়ার মাধ্যমে আপনি অর্জন করতে পারেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কয়টি
অনেকে জানেনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কয়টি। তাদের জন্য জেনেনি রবীন্দ্রনাথের মোট কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২ টি। পর্যায়ক্রমে এর মধ্যে সবগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আপনি এর থেকে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে আকাশ প্রদীপ, আরোগ্য, উৎসর্গ, কোরিও কোমল, কথা, কবি ও কাহিনী।
এছাড়াও রয়েছে কনিকা, চিত্রা, জন্মদিনে, নবজাতক, পরিশেষ, পলাতকা, প্রভাব সংগীত, প্রান্তিক, বনফুল, বলাকা, বনবাণী, ভগ্ন হৃদয়, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, মহুয়া, মনসী, শিশু, শিশু ভোলানাথ, শ্যামলী, সানাই স্ফুলিঙ্গ। এগুলো হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ 2025 কততম রবীন্দ্র জয়ন্তী?
উত্তরঃ আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জয়ন্তী কে স্মরণ করছি এটি ৯ মে ২০২৫ শুক্রবারে পালিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা কোনটি?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ লেখা কবিতা হল তোমার দৃষ্টির পথ, এটি শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। এটি শেষ কবিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদুর নাম কি?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদুর নাম প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, তিনি ১৭৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৪৬ এ মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবসা বিনিয়োগের উদ্যোক্তা।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ গল্পের নাম কি?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পের জনক বলা হয় তার লেখা প্রথম ছোটগল্প হলে ভিখারিনী এবং সর্বশেষ হলো ল্যাবরেটরি।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের ডাকনাম কি?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের ডাক নাম ছিল রবি দেশেরাও আদর করে তার বাড়ির লোকজন তাকে পেলি বলে ডাকতো, অনেকেই বলেন বেলা বলে ডাক।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রীর নাম মৃণালিনী দেবী তিনি 10 বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথকে বিয়ে করেন।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আসল নাম কি?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আসল নাম হলো রবীন্দ্রনাথ কুশারী, ঠাকুর বংশের আসল পদবী হল প্রসারী।
প্রশ্নঃ পৃথিবীর প্রথম কবি কে?
উত্তরঃ পৃথিবীর প্রথম কবি ছিলেন সমস্ত লিপিবদ্ধ ইতিহাসের নামকরা প্রথম কবি, যার নাম মেসোপটেমিয়ার কবি, রাজকন্যা এবং পুরোহিত এনহেদুয়ানা পৃথিবীর প্রথম নামকরা কবি।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রেম কে ছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রেম ছিল বোম্বের অন্নপূর্ণা তুরখাদ। রবীন্দ্রনাথ তার ১৭ বছর বয়সে এই মেয়ের প্রেমে পড়ে, এবং তিনি তাকে তার কবিতায় অমর করে রেখেছেন। বিভিন্ন কবিতার মধ্যে তার নাম আছে।.
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কি ছিল?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কয়েকটি ছদ্মনাম রয়েছে তার মধ্যে প্রথম ছদ্মনাম হচ্ছে ভানুসিংহ ঠাকুর। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় অকপরট চন্দ্র ভাস্কর, আন্নাকালী পাকরাশি, দিকশূন্য ভট্টাচার্য, নবীন কিশোর শর্মন, যষ্টি চরণ দেবশর্মা, বাণী বিনোদ বিদ্যা বিনদ, শ্রীমতি কনিষ্ঠা এবং শ্রীমতি মধ্যমা নামগুলো ব্যবহার করতেন।
প্রশ্নঃ কবিগুরু উপাধি দেন কে?
উত্তরঃ কবিগুরু উপাধি দেন ক্ষিতিমোহন সেন, তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী এবং বিনম্র ছিলেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং এর জীবনের ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন জীবন দর্শন এবং তার জীবনের বিভিন্ন কবিতায় এবং প্রবন্ধ সম্পর্কে আপনাদেরকে একটি স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি একজন রবীন্দ্র প্রেমিক হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক উপকারী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশ-বিদেশি ঘুরে বিভিন্ন ধরনের বিখ্যাত মানুষদের সাথে দেখা করেছেন এমনকি তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন এর সাথেও দেখা করেছেন। তাই তার জ্ঞানের পরিধি এতটাই বেশি যে আজও মানুষ সে কবিতা প্রবন্ধ রচনা গুলো পড়ে এবং সেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করে। আপনিও যদি সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে চান তাহলে রবীন্দ্রনাথের জীবনী সম্পর্কে জেনে শিক্ষা নিতে পারেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url