আয়তাল কুসরি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থ ফজিলত জেনে নিন

আয়তাল কুসরি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ সহ ফজিলত গুলো আজকের আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিন। আয়াতুল কুরসি পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২৫৫ তম আয়াত। 

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত

এই আয়াতের সমস্ত মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে। এই কুরআনের আয়াতটি ইসলামী মতবাদে ব্যাপকভাবে পরিচিত। এছাড়াও এই আয়াতটি অসংখ্য উপকার ও ফজিলত পূর্ণ মনে করা হয়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  আয়তাল কুসরি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থ ফজিলত জেনে নিন 

ভূমিকা 

আয়তুল কুসরি কুরআনের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে অনেক ইসলামী পন্ডিতগণ ব্যাখ্যা করেছেন। অনেক তান্ত্রিক গুরু এই সূরাটি বিভিন্ন আত্মা ও জিনকে বশ করতে ব্যবহার করে। তাই এই সূরাটি আপনার জীবনে বিপদভুক্ত শান্তিময় করে তুলতে অনেক ভূমিকা রাখবে যদি আপনি এই সূরাটি আমল করতে পারেন। এই আয়াতটি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা পাঠ করলে বিভিন্ন অশুভ শক্তি এবং শয়তানি কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচা যায়। 

তাই আজকে আমরা জেনে নেব এই বিখ্যাত আয়াতটি বাংলা উচ্চারণ এবং আরবি। অনেকে আছে যারা আরবিতে পড়তে পারে আবার অনেকেই আছে যারা আরবি পড়তে পারে না তাদের জন্য বাংলাতে আরবি উচ্চারণ দেওয়া হয়েছে। এবং বিভিন্ন ইসলামিক গবেষণা দৃষ্টি থেকে এর সামান্য ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আয়তাল কুরসি সম্পর্কে বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত জানবেন। 

আয়তুল কুরসির গুরুত্ব সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস জানুন 

আয়তাল কুসরি একটি অতি মর্যাদাপূর্ণ একটি আয়াত যা কুরআন শরীফর দ্বিতীয় সূরা যে সূরাটি সূরা বাকারা তার ২৫৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে। তাই বিভিন্ন সময়ে এই আয়াতটি মানুষের মধ্যে আলোন সৃষ্টি করেছে এবং ইসলামের একত্ববাদের অঙ্গীকার করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টি এবং তার বিশাল এই জগতের বিস্ময়কর বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াতের সম্পর্কে হাদিস গুলো হলো, 

উবাই ইবনে কাব থেকে বর্ণিতঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে একদিন জিজ্ঞেস করেন, তোমার কাছে কুরআনের সর্ব উত্তম ও সর্ব মহান আয়াত কোনটি? উত্তরে ইবনে কাব বলেন, আয়াতুল কুরসি সূরার প্রথম অংশ। তারপর মহানবীর তার নিজ হাত দিয়ে ইবনে কাবির বুকে সাবাস দিয়ে বলেন তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। 

ইবনুল আসকার মুক্ত দাস এর সূত্রে বর্ণিতঃ তিনি ইবনুল আস কাকে বলতে শুনেছেন যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: মুহাজির বা হিজরত করে মক্কা থেকে মদিনায় কে ছিলেন সে সময় আঙিনায় তাদের নিকট আসলেন। এবং এক ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করল কুরআনে কোন আয়াতে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ? সে সময়ে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা: বলেন আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হু  হাইয়ুল কাইয়ুম। তথা আয়তুল কুরসি প্রথম অংশ। 

আরো পড়ুনঃ সকল কাজা নামাজ ও ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় জেনে নিন 

আবু হুরাইয়া থেকে বর্ণিতঃ কোন এক রাতে স্বেচ্ছায় দানকৃত অর্থ চুরি করতে আসে একজন চোর আবু হুরাইয়া তাকে ধরে ফেলে কিন্তু চোর তাকে বলে আমি খুব অভাবি তাই চুরি করতে আসছি আমার অর্থের প্রয়োজন আর আসবো না। এরপর সকালে মহানবীর কাছে কথাটি তিনি তাকে বলে চোর মিথ্যা কথা বলেছে সে আবার আসবে। পরের দিন তিনি অপেক্ষা করে এবং চোর আবার আসে তোর কাছে ধরা খাই এবং একই কথা তিনি আবারও বলেন। 

যে আমি অভাবী আজকেই এসেছি আর আসবো না। পরের দিন মহানবীকে কথা বলায় তিনি বলেন, চোর আবারো মিথ্যা বলেছে সে আবার আসবে, পরদিন চোর আবার আসে তখন তাকে আটকে নিয়ে মহানবীর কাছে নালিশ করার বা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তবে, তাকে বলে যে তুমি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুসরি পড়ে ঘুমালে সারারাত সকাল পর্যন্ত শয়তান কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

এই কথা শুনে আবু হুরাইরা তাকে মুক্ত করে দেয়। পরের দিন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিষয়টি জানালেন এবং সবকিছু শুনে মহানবী বললেন চোর যদিও খারাপ এবং শয়তান তবে সে এই কথাটি ভালো বলেছে। ইসরাব আবু আনসারী একই রকম ঘটনা বর্ণিত করেছেন, তাকে খেজুর রাখা হতো শয়তান তার চুরি করে নিয়ে যেত তবে শেষে তাকে এই কথা বলার চুরি হবে না যদি আপনি রাতে আয়তাল বিক্রি করেন শয়তানের কনিষ্ঠ থেকে বাঁচবেন। 

মোহাম্মদ ইবনে ইসমাইল কর্তৃক বর্ণিত: হুমায়রা আল বারিকি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন আল্লাহু আকাশ ও পৃথিবীতে আয়তুল কুরসি অপেক্ষা আর মহান কিছু সৃষ্টি করেনি। আশাকরি এই বিষয়গুলো থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আয়তনে কুস্তি কতটা মর্যাদা পূর্ণ একটি অংশ যা কুরআনের মধ্যে আল্লাহ তাআলার এক বিশাল গুণের প্রকাশ করে। শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ করে রাখে। 

এ আয়াতটি প্রথমে আল্লাহতালার ব্যতীত কোন ইবাদত গ্রহণের যোগ্য নেই সে কথা বলা হয় সে এবং পরবর্তীতে জানানো হয়েছে তিনি সর্বদা জীবিত এবং চিরঞ্জিব। এখানে চিরস্থায়ী এবং সবকিছু ধারক অর্থাৎ তিনি নিজেই বিদ্যাবান থেকে উন্নত বিদ্যামান রাখেন সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ করেন। আল্লাহকে কোন কিছু যেমন তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না অর্থাৎ মহান বিশ্বের সকল কিছু তারই অধীনে। আরো যে বিষয়গুলো রয়েছে তা আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো। 

আয়াতুল কুরসি আরবি দেখে নিন 

আয়তাল কুরসি আরবি অনেকেই জানে তাই আরবিতে যারা পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য নিচে আরবিতে আয়াতুল কুরস উপস্থাপন করা হলো যা আল্লাহতালা কোরআনের ভাষায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন যে কুরআনের একটি ভাষা বা শব্দ উচ্চারণ করলে সেখান থেকে নেকি বা সওয়াব পাওয়া যায়। আপনি যদি একজন পরিস্কার সৎ ব্যক্তি হতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো কাজ করতে চাইবেন। পর্যায়ক্রমে বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ উপস্থাপন করা হয়েছে। 

আয়াতুল কুরসি আরবি, 

اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-

আশা করি আয়াতুল কুরসি আরবি ভাষায় পড়ার জন্য আপনি উক্ত শব্দগুলো ভালো করে পড়তে পারবে। আপনাদের সূরা কোরআন শরীফের মত করে আরবিতেই আয়াতুল কুরসি পড়তে চান অথবা শিখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি এই তথ্যগুলো সেভ করে রাখতে পারেন। সকল মানুষের সহজে এই আয়াতটি উপকারিতা পাওয়ার জন্য আরবি বাংলা এবং কিছু ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে যা আপনাকে এই সূরাটির যে ফজিলত তা জানাতে সুবিধা করবে।

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত 

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ফজিলত দেখে নিন। প্রকৃত অর্থে সুরা বাকারার গুরুত্বপূর্ণ আয়াতগুলো এই আয়তুল কুসরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ সহজ করে পড়ার জন্য প্রয়োজন। অনেকে আছে যারা আয়াতুল কুরসি আরবি পড়তে পারে না তারা বাংলায় উচ্চারণ করে আরবি গুলো পড়তে পারবে। নিচের বাংলা উচ্চারণ দেখুন। 

আয়তাল কুরসি বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতাও ওয়ালা লাউম। লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়া মাফিল আরদ্বী। মানজাল্লাজি ইয়াশফা ইন দাহু ইল্লা বিইজিনিহি, ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাই ইম মিন ইল মিহি ইল্লা বিমা শা ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়া উদুহ হিবজুহুমা ওয়াল আলী ইউনাজিম।

আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচী ২০২৩ - তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও ফজলত দেখুন 

আশা করি উচ্চারণ গুলো দেখে দেখে আপনি বাংলাতে আরবি উচ্চারণে করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সবচেয়ে উপকার হবে যে সকল ব্যক্তি আরবি পড়তে পারে না কিন্তু আয়তুল কুরসি পড়ে এর ফজিলত ভোগ করতে চায় তাহলে অবশ্যই এই উপায়ে পড়তে পারে যেখানে বাংলায় উচ্চারণ দেওয়া হলো আরবি যা সহজেই যে কোন বাংলা ভাষার মানুষ করতে পারবে। এছাড়া কিছু সংক্ষিপ্ত উত্তর আপনাদের সামনে অবস্থান করা উচিত যা এই অর্থ হিসেবে গণ্য করা হয়।  

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত

আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন উপাসনা নেই, তিনি কি জীবিত বা চিরঞ্জীব। সবকিছুর ধারক বাহক। তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আকাশ ও ভূমিতে যা কিছু রয়েছে, সবাই তার। কি আছো এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? বৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুতেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না। কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। 

তার কুরসি সিংহাসন সমস্ত আসমান ও জমিন কে পরিবেষ্টত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। এছাড়াও এই আয়াতগুলোর যে সার্বিক বিষয় রয়েছে এবং কিছু ব্যাখ্যা যা থেকে আপনারা বুঝতে পারবেন যে আসল প্রকৃত বিষয়টা কি। আল্লাহতালা তার সৃষ্টির সকল পর্যায়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ চেতন এবং সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই ঘটে তার ইচ্ছার বাহিরে চোখের পাতা বন্ধ হয় না।

আয়তাল কুরসির ফজিলতঃ আয়াতুল কুরসি বিভিন্নভাবে তেলাওয়াত করে পড়ার মাধ্যমে ফজিলত পাওয়া যায়। এই আয়তুল কুরসী দিনে রাতে এবং ঘুমানোর পূর্বে পড়ার পছন্দের কথা বলা হয়েছে। হাদিসে জানা গেছে কেউ যদি ঘুমানোর সময় এই আয়াত পড়ে ঘুমায় তাহলে সারারাত শেষ শয়তান এরকম মন্ত্রণা থেকে দূরে থাকবে। প্রত্যেক বিশ্বাসী ইসলামিক মানুষের কর্তব্য আরেকটিকে প্রতিদিনের অজিফার রাখা। 

আমরা দেখেছি যারা আহলে বায়াত এর অনুসারে সুফি সাধক তাদের সাধনার অজিফায় এই কালামটি দেওয়া আছে যা বিভিন্ন শতকদের সাধনাকালীন সময়ে পড়ার কথা বলা হয়। এছাড়াও কুরআনের আরো অনেক সূরার আয়াত গুলো তাদের সাধনার অধিকার থাকে সেই থেকে সাধনায় সিদ্ধি লাভ করার জন্য এ আয়াতের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। 

হযরত আবু  উমামা থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতি ফরজ নামাজের পর যে ব্যক্তিরাল কুরসি পড়বে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোন কিছুই বাধা থাকবে না। নায়াসি ১০০। এছাড়া প্রতিদিন শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়ার কথা বিভিন্ন হাদিসে আছে যা আমরা উপরে বলেছি। ইসরা আবুল লাইলা থেকে বর্ণিত, সে গিয়ে তার ভাইকে নিয়ে এলে তিনি তাকে নিজের সামনে বসান।

আমি শুনতে পেলাম তিনি সূরা ফাতিহা সূরা বাকারা প্রথম চার আয়াত ও মধ্যখানের ১৬৩-১৬৪ নং আয়াত আয়তাল কুরসি ২৫৫ নং আয়াত বাকারার শেষ তিন আয়াত এবং আল ইমরানের একটি আয়াত আমার মনে হয় তিনি ১৮ নং আয়াত পড়েছিলেন। এছাড়া সরা আরাফের ৫৪ নং আয়াত সূরা মুমিনের এক আয়াত ১১৭ নং আমার সুরা হাশরের তিনটি ২২,২৩,২৪ সূরা ইখলাস সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে বুকে ফু দিলেন। 

তাতে বেদুইন এমন ভাবে অসুস্থ হয়ে দাঁড়ান যে তার কোনো রোগই অবশিষ্ট নেই। সুনানে ইবনে মাযহাব ৩৫৪৯ এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে যা আয়তাল কুসরি এর মর্যাদাকে আরো অনেক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। সুতরাং আপনি যদি সুস্থ এবং বিভিন্ন রোগ মুক্তির চেয়ে পেতে চান তাও এই দোয়াটি পড়তে পারেন। আশা করি আজকের আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত গুলো রয়েছে তা বুঝতে পেরেছেন।

আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণ ছবি 

আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণ ছবি দেখে অনেকেই পড়তে চান বাবু মোবাইলে সেভ করে রাখতে চাইলে আজকের এই নিচে দেওয়া ছবিগুলো দেখতে পারেন যেখানে আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হয়েছে এবং তার সাথে সাথে এর মানে এবং অর্থ দেওয়া হয়েছে যা আপনার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। অনেকেই রয়েছে যারা এই ছবিগুলো বের করে রাখতে চাই তাই আপনি এই ছবিগুলো ঘরে রাখতে পারেন যে কোন সময় পড়তে পারবেন। 

আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণ ছবি

এই ছবিটি দেখে যে কেউ খুব সহজেই উচ্চারণ করে আরবি বাংলা এবং বাংলা সহকারে বলতে পারবে। আপনি যদি আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণ এর ছবি দেখে সে ছবি অনুযায়ী পড়তে চান তাহলে খুব সহজেই এই ছবিটি আপনার জন্য উপকারী। এই ছবিতে সম্পূর্ণ আয়তাল কুসরি দেওয়া হয়েছে যা আপনার ইবাদতের জন্য সহযোগিতা হবে। এছাড়া অনেকে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি hd পেতে চাই তারাও এই ছবিটি দেখতে পারেনি।

আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ নিয়ত ফজিলত নিয়ে আজানা তথ্য 

কিছু মানুষ রয়েছে যারা আয়াতুল কুরসি ছবি ডাউনলোড করতে চাই তেলাওয়াত করা এবং মুখস্ত করে আমল করার জন্য। সেই সুবিধার্থে আমি উপরের ছবি সহ আরো বিস্তারিত বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি খুব সহজেই বিষয়গুলো বুঝতে পারেন। একজন মানুষ তার পারিপার্শ্বিক জীবনের সাথে ইবাদত করার প্রক্রিয়া গুলো জেনে রাখলে জীবনের প্রতিবাহিত সময়ের সাথে ইবাদতেরও সুবিধা পাবে। 

আয়াতুল কুরসি নিয়ে সচরাত জিজ্ঞাসাত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ আয়াতুল কুরসির অর্থ কি? 

উত্তরঃ আয়াতুল কুরসি হলো সূরা বাকারার 255 নম্বর আয়াত এর অর্থ হলো আল্লাহ এক অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরীক নেই তিনি চিরঞ্জীব এবং আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে এবং আল্লাহ তার গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ তার কুসরি বা সিংহাসন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। 

প্রশ্নঃ আয়তুল কুরসি পড়লে কি হয়? 

উত্তরঃ আয়তাল কুরসি করলে বিশেষ উপকারিতায় পাওয়া যায় আল্লাহর একত্বতা এবং তার বিশলতার প্রকাশ পায় এই আয়তাল কুরসির মাধ্যমে এটা পড়লে মানুষ বিপদ এবং বিভিন্ন ধরনের খারাপ শয়তানি প্রভাব থেকে বেঁচে যায়।  

 

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত

প্রশ্নঃ কুরসি শব্দের অর্থ কি? 

উত্তরঃ কুরসি শব্দের অর্থ চেয়ার বা সিংহাসন। 

প্রশ্নঃ আয়াতুল কুরসির নামকরণের কারণ কি? 

উত্তরঃ আয়তাল কুরসি তেলাওয়াত কিতাবের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত এবং এরমধ্যে পরম করুণাময় সিংহাসন উল্লেখ করার কারণে নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বময় তার সিংহাসন তিনি সকল জায়গায় বিরাজমান। 

প্রশ্নঃ আয়তাল কুরসি কত নম্বর পারায়? 

উত্তরঃ আয়তুল কুরসি প্রথম পাড়ায় সুরা বাকারার ২৫৫ নাম্বার আয়াত এ আয়াতটিতে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত গুলো অনেকেই বিবেচনা করে। বিভিন্ন সাধকদের খুঁজে পাই এই আয়াতটি দেখতে পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ সূর বাকারা অর্থ কি?

উত্তরঃ সূরা বাকারার অর্থ গরু একটা পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সূরাটি মদিনাতে অবতীর্ণ হয়েছে সূরা ৬৭ থেকে ৭১ আয়াতে বনি ইসরাইলের একটি গরু জবাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করা রয়েছে।

প্রশ্নঃ কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সূরা কোনটি? 

উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের সবচাইতে মর্যাদা পূর্ণ সূরা হিসেবে বিবেচনা করা হয় সূরা ফাতিহা। পবিত্র কুরআনে কারীমের সবচেয়ে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ সূরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওয়াত প্রাপ্তির শুরুর দিকে সুরা ফাতেহা অবতীর্ণ হয়। 

লেখক এর শেষ মন্তব্যঃ আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত 

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত অর্থপূর্ণ সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত না জানেন, তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ে অবশ্যই অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। সাধারণত পবিত্র কুরআনে এ সূরাটি অনেক মর্যাদাবান এবং এই সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াতটি আয়তুল কুরসি হিসেবে গণ্য করা হয় যা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনেক ফজিলতপূর্ণ তাই এই আয়াতটির আমল করে অনেক ফজিলত পাওয়া যায়। 

বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ত পাওয়া যায় সুতরাং আপনি যদি সঠিক এবং ইসলামিক পদ নিদর্শন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই মূল্যবান আমলটি করার প্রয়োজন হবে কারণ অনেক সাধক এবং আল্লাহর মুমিনেরা এই আয়াতটির আমলের কথা বলেছেন যার কারণে আপনিও বিভিন্ন বিপদ এবং সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি পড়তে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url