ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - ফলিক এসিডের উপকারিতা জানুন

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করে খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ফলিক এসিডের উপকারিতা গুলো পাবেন। এই ফলিক এসিড আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ গ্রহণ করে। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ফলিক এসিড শিশু এবং বয়স্ক সকল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকার করে। তাই আমাদের ফলিক এসিডের সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম এবং উপযুক্ত সময় জেনে গ্রহণ করতে হবে। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - ফলিক এসিডের উপকারিতা জানুন

ভূমিকা 

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো ফলিক এসিডের উপকারিতা কি কি এটা কিভাবে খাবার মাধ্যমে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেগুলোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সুস্থ থাকার জন্য মানুষের শরীরের গঠন ও কোষ বিভাজন সহ বিভিন্ন কার্যকলাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি ফলিক এসিডের ব্যবহার এবং এর কাজ কি তা না জানেন। 

আসলে ফলিক এসিড কি? ফলিক এসিড হলো এটি একটি ভিটামিন বি গ্রুপের সদস্য যা ভিটামিন বি নাইন হিসেবে আমরা জানি। এটি পানির সাথে দ্রবণীয় অবস্থায় থাকতে পারে এবং মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলিক এসিডের একটি রাসায়নিক সংকেত রয়েছে যে সংকেতটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম সে সংকেতটি হলো, C19H19N7O6।

সে ক্ষেত্রে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এখানে আমরা জানতে পারবো ফলিক এসিড ট্যাবলেট কি এই ট্যাবলেটের খাওয়ার নিয়ম, কেনই বা ফলিক অ্যাসিড খায়। যদি কোন মানুষ ফলিক এসিড না খায় তাহলে তার কি সমস্যা হতে পারে এবং কি সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে জানবো। ফলিক অ্যাসিড কে আরো একটি নামে চেনা যায় সেটা হচ্ছে ভিটামিন বি নাইন। 

আরো পড়ুনঃ মেলাট্রিন ক্রিম এর উপকারিতা  - মেলাট্রিন ক্রিম এর সাইড ইফেক্ট বিস্তারিত জানুন 

এই ফুলের নামে মানবদেহের প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট এর রূপভেদ রয়েছে যেমন, টেরইল এল গ্লুটামিক অ্যাসিড, তেরিল এল গ্লুটামেট, এসআউটের ইল মনো গ্লোটেমিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত এই হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি নাইন এর বিশেষ কিছু রূপ। ফলিক এসিড যৌগিকভাবে বিক্রিয়াশীল না তবে মানব দেহের যকৃতের ডাই হাইড্রোফলিক এসিড হতে এর রূপান্তরের পরে টেট্রা হাইড্রোফলেট এবং অন্যান্য উপজাতির কারণে এটি অনেক গুরুত্বপুর্ন।

ফলিক অ্যাসিড দেহের সকল গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনের জন্য ভূমিকা রাখে তাই আপনি এটিএনএ বা এর গঠন সিন্থেসিস কোন কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামতের কাজে ব্যবহার হয়। এছাড়াও এটি আমাদের ক্রমাগত কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আমরা গর্ভাবস্থায় এবং নবজাতকদের জন্য ফলিক এসিডের খাওয়ার পরামর্শ জেনে থাকি। 

সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকা তৈরির কাজে এবং রক্তস্বলতা দূর করতে এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকল দের জন্য প্রচন্ড উপকারী। হলেট ও ফলিক এসিড উভয় নামও এসেছে ল্যাটিন শব্দ থেকে সেই শব্দটি হল ফলিয়াম থেকে যার অর্থ পাতা। সবুজ পাতা সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি ফলিক এসিডের সবচাইতে বড় উৎস। আপনি প্রাকৃতিকভাবে ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার পাশাপাশি শাক-সবজি খেতে পারেন। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম রয়েছে যে নিয়ম অনুসরণ করা আমাদের জন্য জরুরী। ফলিক এসিড ট্যাবলেট বিভিন্ন বয়সের মানুষ খেতে পারে গর্ভ অবস্থায়। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সকল মানুষ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিন্ত করার জন্য এটি খেতে পারে। এর মধ্যে বিশেষ কিছু গুণাগুণ রয়েছে যা মানব শরীরের গঠন ও গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকে। তাই নিচের ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম দেখুন। 

  • ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, সাধারণত ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার গ্রহণের পরে খাওয়া উচিত। এজন্য ডোস কত হওয়া উচিত সেটা জানতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড খাওয়া পর্যাপ্ত।
  • তবে গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য এর পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। এই ধরনের মানুষের জন্য প্রায় ৬০০ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৮০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যায়। তবে গর্ভবতীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। 
  • ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ট্যাবলেট দিনে একবার খেতে হবে। আপনি যে কোন সময় এটা খেতে পারেন তবে প্রতিদিন একই সময়ে খেলে ভালো ভালো। খাবার গ্রহণের পর সকালে অথবা রাত্রে এক ক্লাস জল দিয়ে গিলে খেয়ে নিন।
  • ফলিক অ্যাসিড খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার শরীরের চাহিদার উপর। তারপর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে যদি আপনি ফলিক এসিডের অভাব থাকি তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। মহিলা গর্ভবতীদের জন্য গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে কি খাওয়া জরুরী। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো একজন মানুষের জন্য উপযুক্ত। তবে মানুষ এই ট্যাবলেট খাবার পাশাপাশি বিভিন্ন শাকসবজি বা পাতা জাতীয় খাবার রয়েছে সেগুলো খেতে পারে তাতেও ফলিক এসিডের মাত্রা পূরণ করা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় এবং শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার শরীরকে ডাক্তারের চিকিৎসা অনুযায়ী খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। 

আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম 

আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানলে আপনি কি সমস্যা এই ট্যাবলেট খাবর মাধ্যমে আপনার শরীরের কিছু সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এর জন্য আপনার অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ দিতে চান না তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খেলে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। কিছু মানুষ একটি পরামর্শ দেয় সেই ডাক্তার গুলো আয়রন থেকে এবং ফলিক এসিড ট্যাবলেট একসঙ্গে খেতে বলে। 

  • আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার উপযুক্ত ডোজ হচ্ছে প্রতিদিনের যে কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে একবার করে খাওয়ার গ্রহণের পরে খেতে হবে। 
  • একটি খাবার গ্রহণের পরে খেতে হবে যাতে পেটের কোন সমস্যা না হয় ডাক্তাররা সাধারণত দিনে এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন দোজ অনুপাতে খেতে পারেন।
  • এর জন্য একটি ট্যাবলেট এক গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে ট্যাবলেট চিবিয়ে বা ভেঙে খাবেন। অথবা আপনি এক গ্লাস পানির মধ্যে ট্যাবলেট খেয়ে গুঁড়ো করে মিশিয়ে খেতে পারেন। কারণ অনেকেই আছে যারা ট্যাবলেট খেতে পারে না। 
  • সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খেতে হবে যতদিন পর্যন্ত আপনার শরীরে রক্তশূন্যতা এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর হবে। 

এই উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ফলিক এসিড খাওয়ার মাধ্যমে সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। এসিড ও এই ফলিক এসিড ট্যাবলেট মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এটা শরীরের রক্ত ও হাড়ের দুর্বলতা সারাই ও গঠন শক্তিশালী করে পাশাপাশি কোষ এর উৎপাদনে সহযোগিতা করে। এই ফলিক এসিডের কিছু প্রাকৃতিক উৎস রয়েছে সেই উৎস গুলো দেখে নিন যা আপনার প্রাকৃতিকভাবে ফলিক এসিড গ্রহণে সাহায্য করবে। 

ফলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস 

ফলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস রয়েছে যে উৎসগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই ফলিক এসিড ট্যাবলেট না খাওয়ার মাধ্যমে ফলিক এসিডের বা আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। সাধারণত আপনি যদি ফলিক অ্যাসিড বা ট্যাবলেট খেতে না পারে সে ক্ষেত্রে এই উপায়গুলো আপনার জন্য বেশি কার্যকরী। এছাড়া আপনি ফুলের এসিডের প্রাকৃতিক উৎস হতে স্বাভাবিকভাবে ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেই সেই উৎসগুলো,  

 

ফলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস

  • সবুজ শাকসবজি পালং শাক, লেটুস, ব্রকলি এগুলো প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিডের উৎস।
  • এসব ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলা, লেবু, কলা, স্ট্রবেরি, এবং অ্যাভোকাডার মতো ফল যা ফলিক এসিডের ভরপুর।
  • যেমন শস্য জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে মটরশুটি, সিম, ডাল এগুলো ফলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস। 
  • বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারের মাধ্যমে চিনাবাদাম সূর্যমুখী স্টিলের বীজ  ফলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস। 
  • এছাড়াও মাংস মাংস আমিষ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে কলিজ, ডিম যা প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড বহন করে। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে কোন খাবারগুলো ফলিক এসিডের উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়। আপনার শরীর যদি সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি এই খাবারগুলো খেতে পারেন। এটা আপনার শরীর সুস্থ এবং কোষের বৃদ্ধি সহ রক্তসল্পতা হওয়ার মতো সম্ভাবনা কমে। এছাড়া আপনার শরীর যদি প্রচুর পরিমাণ এই এসিডের কমতে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে হবে।

ফেরাস ফিউমারেট ও ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম 

ফেরাস ফিউমারেট ও ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানা উচিত যা আপনার শরীরের উপযুক্ত সুরক্ষা দিতে পারে। ফেরাস  এসকরবেট ও ফলিক এসিড শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পরিপূরক সরবরাহ করে। লৌহের অভাব দূর করে রক্তস্বল্পতা ভালো করে। ফলিক এসিড লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।

  • দিনে সর্বোচ্চ একটি করে খাওয়া যেতে পারে। খাওয়ারের আগে অথবা পরে যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। গুরুতর অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরাশ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
  • কারো যদি গ্যাস্ট্রো ইস্টাইল ব্যাঘাত এর সমস্যা থাকে। সে ক্ষেত্রে তাকে ট্যাবলেটটি খাওয়ার পূর্বে খেতে হবে।
  • একইভাবে ফলিক এসিড ট্যাবলেট দিনে এক থেকে দুইবার খেতে পারবেন। যদি অতিরিক্ত সমস্যা মনে হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরে খেতে হবে।

এছাড়া উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো ব্যবহার করে আপনি খেতে পারেন। প্রতিদিন একটি ট্যাবলেট প্রয়োজনীয় উপকার করে তবে কারো শরীরে অতিরিক্ত সমস্যা থাকে শারীরিক রক্তস্বল্পতা, গঠনগত দুর্বলতা, এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে তারা দুইবার খেতে পারে। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এই ট্যাবলেট গুলোর কারণে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে বিষয়গুলো আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর কাজ কি 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর কাজ কি এ বিষয়ে যদি আপনি না জানেন তাহলে এই তথ্যগুলো দেখে রাখুন। যেখান থেকে আম শারীরিক মানসিক এবং বিভিন্ন দিক থেকে উপকার পাবেন। সাধারণত এই ফলিক এসিড এর অভাব হলে মানুষের শরীরের কোষ বিভাজনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ গর্ভ অবস্থায় এটি নবজাতকের জন্য জরুরী।

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর কাজ কি

মা ও শিশুর লোহিত রক্ত কণিকা তৈরির কাজে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করার কাজে বিশেষভাবে উপকার করে। এছাড়াও এটি আপনারা শরীরে হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলিক এসিড না থাকলে বা উপস্থিতি কমে গেলে এ সমস্যাগুলো দেখা যায়। যা আপনার শরীরকে দুর্বল এবং অসুস্থ করে তোলে। 

আরো পড়ুনঃ আলফালফা সিরাপ খেলে কিভাবে মোটা হওয়া যায় বিস্তারিত বিষয়ে জানুন

তাই ভুলে গেছি ট্যাবলেটের কাজ হিসেবে আপনি শরীরকে সুস্থ এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠন বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এই ফলিক এসিড ট্যাবলেটের স্বল্পতা দেখা দিলে জন্মগত ত্রুটি হতে পারে গর্ভাবস্থায় জটিলতা ও আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হবে। 

ফলিক অ্যাসিড অভাবের কারণে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় তাই এটার কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় এই বিশেষ প্রথমে নিয়ে বয়সের মহিলাদের পরামর্শ দেয় এটি খাবার। যা স্বাভাবিক গরু ধারণে সাহায্য করে। এটা আপনার মস্তিষ্কে স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে। আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজন ফলিক অ্যাসিড। ফলিক এসিডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে যেটা হৃদরোগের কমায় অ্যামিনো এসিড হৃদ রোগ ও স্ট্রোক মধ্য চিকিৎসা এটি ব্যবহৃত হয়। 

এছাড়া চুলের যত্নে এর উপকারিতা বিশেষ করে নক ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও আরো যে সকল উপকারিতা রয়েছে সেই বিষয়গুলো আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো এবং কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানব যাতে আমরা সাধারণত অবলম্বন করে। সঠিক ব্যবহার করে এর সঠিক উপকারিতা পেতে পারি। আমরা এই ফলিক এসিড ব্যবহার করি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এটি আমাদের বিশেষভাবে উপকার করে।

ফলিক এসিডের অভাবে কি হয় 

ফলিক এসিডের অভাবে কি হয় এ বিষয়ে কি আপনি জানেন? যদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো না জানেন তাহলে নিজের তথ্যগুলো দেখুন এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে কি কারণে ফলিক এসিডের অভাবে সমস্যাগুলো হয়। সাধারণত ফলিক এসিড হচ্ছে একটা গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক উপাদান যা মানুষের শরীরের বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ এর সাথে যুক্ত থাকে। 

আরো পড়ুনঃ amilin 10 কিসের ওষুধ - এমিলিন ১০ কিসের কাজ করে বিস্তারিত জানুন 

স্বাধীনতা আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ ভালোভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজের ভূমিকা অপরিসীম। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে খনিজ ও ভিটামিন বি নাইন আমাদের অনেক উপকার করে। প্রকৃত অর্থে ভিটামিন বি নাইন কে ফলিক এসিড বলা হয়। এই এসিড মানুষের শরীরে এবং পানিতে দ্রবণীয় তবে এটি প্রাকৃতিকভাবে মানব শরীরের সৃষ্টি হয় বি১২ মতই।

  • সাধারণত এটি আমাদের শরীরের কোষের বিভাজন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সঠিকভাবে কোষ বিভাজনকে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • আবার আপনার শরীরে যদি ফলিক এসিডের অভাব দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনার দুর্বল হয়ে যাবে যাতে আপনার শরীর মেরামত করতে অক্ষমতা প্রকাশ করবে। 
  • এছাড়াও আপনার শরীরে ক্রমাগত কোষ বিভাজনে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে কোষের বৃদ্ধিতে বিশ্বকাপে প্রভাবিত হয়। 
  • এছাড়া আপনি ক্লান্তি বোধ করতে পারেন শরীরের ফ্লাইট এর অভাব ক্লান্তি ভাব বেড়ে যায় এবং নিয়মিত ক্লান্ত বোধ করে।
  • চুল ধূসর হয়ে যাওয়া এবং চামড়া ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার মতন লক্ষণ দেখা দেয়। আপনার চুলের রং বদলে যাবে এবং এছাড়া চামড়ার রং হালকা ও ফ্যাকাপ হয়ে যেতে পারে। 
  • কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় জিব্বা ও মুখে ঘা ও ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এতেও মূলত ফলিক এসিডের অভাবের কারণে হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এই ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলেই সমাধান হয়ে যাবে।
  • আপনার শরীরের শারীরিক যে স্বাভাবিক বৃদ্ধি থাকে সেই বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটাবে যদি আপনার শরীরে ভিটামিন বি নাইন বা ফলিক এসিডের অভাব হয়। 

সুতরাং আপনি যদি আপনার শরীরের এই লক্ষণগুলো এবং সমস্যাগুলো দেখেন তাহলে মনে করবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন বি নাইন ফলিক এসিডের ঘাটতি রয়েছে এটি সাধারণত আপনার শরীরের রক্তসল্পতা তৈরি করার জন্য দায়ী। তাই আপনার শরীরের পর্যাপ্ত রক্তস্বল্পতায় ও নিঃশ্বাসের দুর্বলতা সহ উল্লেখিত সকল সমস্যা দূর করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন এটি আপনার শরীরের উক্ত সমস্যাগুলো দূর করবে। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা 

ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আমাদের জরুরী এই ট্যাবলেটের মধ্যে বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে যে বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আপনাদেরকে অবস্থাপন করেছি। ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য যেই উপকারিতা গুলো রয়েছে তা পাওয়ার জন্য আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী ট্যাবলেট খেতে হবে। 

  • ইতিমধ্যে আপনার জন্য ফলিক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা এবং বিশেষ বিষয় সম্পর্কে উপস্থাপন করেছে যা থেকে আপনি খুব সহজেই ট্যাবলেট খাবার মাধ্যমে নিতে পাবেন। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে। 
  • আপনার ডিএনএ আরএনএ গঠনে সাহায্য করে। এটা শরীরের গঠন এবং শারীরিকভাবে দুর্বলতা রোধ হয়। 
  • যাদের শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে ভারপ্রাপ্ত হয় তা রক্ত সম্প্রদায় ভুগছে তারা এই ফলিক অ্যাসিড নিয়মিত খেতে পারে। 
  • ফলিক এসিডের উপকারিতা মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শারীরিক গঠন ও রক্তস্বল্পতার মতো ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধান। 
  • এটি গর্ভাবস্থায় নবজাতকদের ফলিক এসিড গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ এবং শারীরিক গঠনের কাজ করে। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ফলিক অ্যাসিড খেতে পারে। 
  • ফলিক এসিডের উপকারিতা পেতে আপনাকে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে খেতে হবে। তাহলে আপনার শরীরের কোষ মেরামত ও ডিএনএ শক্তিশালী হবে। 
  • এছাড়া আমাদের শরীরে দেখা যায় মানুষের মুখে বিভিন্ন ধরনের ঘা দেখা যায় তারা এই ফলিক এসিডের উপকারিতা পেতে পারে। 
  • মুখের আলসার যদি ফলিক এসিডের অভাবে হয় তাহলে রাইব্রোগ্লোবিন বা ভিটামিন বিটু রোগীকে খাওয়াতে পারে এতে ভালো না হলে আপনি  ভিটামিন বি নাইন  খাওয়াতে পারেন।

এই ছিল ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা। এই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে খাবেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী খাবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ফলিক এসিডের উপকারিতা এবং ফলিক এসিড খাওয়ার মাধ্যমে কি ধরনের উপকার পাওয়া যায়। আসলে ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি নাইন হলো ভিটামিন বি সি অথবা ফলেট নামে মানবদেহের প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি এক ধরনের রূপভেদ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর ছবি 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর ছবি অনেকে আমরা এ ট্যাবলেট এর উপকারিতা এবং ব্যবহার করেছি। তবে আমরা অনেকেই এই ট্যাবলেটের ছবি দেখিনি। সেই জন্য আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু কিছু ফুলের এবং ফলিক এসিডের ট্যাবলেট উপস্থাপন করলাম যে ছবিগুলি দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা আসলেই ফলিক এসিড ট্যাবলেট ছবি। নিচে সেই ছবিগুলো উপস্থাপন করা হলো, 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর ছবি

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর ছবি

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর ছবি

উল্লেখিত ছবিগুলো থেকে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর ছবিগুলো কেমন। সাধারণত গর্ভাবস্থায় এবং শিশু ও বয়স্ক সকল মানুষই এই ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা উপভোগ করে। কারণ এই এসিড এতটাই গভীরভবে কাজ করে যে মানুষের গঠনমূলক কাজের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সে বিষয়গুলো জেনে নিন। 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। আমরা সাধারণত জানি ফলিক অ্যাসিড আমাদের শারীরিক গঠন ও বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কাদের সাথে যুক্ত। কিভাবে এই ফলিক এসিড অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেগুলো নিচে উপস্থাপন করলাম। 

  • প্রথমত তীব্র আকারে জ্বর আসতে পারে। 
  • দুর্বলতা এবং সাধারণত অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। 
  • চুলকানি বা রেশ জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • পাশাপাশি আপনার শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • পেটের অস্থিরতা ব্যথা বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
  • অনেক সময় দেখা যায় গ্যাস্ট্রিকর সমস্যা তৈরি করে এবং পেট ফুলে যায়। আবার পেটের বাধা মৃদু পেটের বাধার একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। 
  • কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ফলিক এসিড বিরল এসিডের অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। 
  • এই সমস্যা থেকে তৈরি হয় মুখ, ঠোঁট, জিব্বা, গলা ফুলে যাওয়া শ্বাসকষ্ট। 
  • কিছু ইসলামিক লক্ষণ হিসেবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে অনিন্দ্রা দেখা যায়। 
  • আবার খিটখিটে বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ব্যক্তি বিভ্রান্তি বা মনোযোগ এর দুর্বলতা অনুভব করে।

তাই আপনাকে অবশ্যই সাবধান অবলম্বন করতে হবে এবং ওভার ডোজ গ্রহণ করা যাবে না এতে স্নায়বিক রক্তস্বল্পত এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন কি দেখা গেছে এই ফলিক এসিডের অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশাপাশি আলসার হৃদরোগের মত বিভিন্ন সমস্যা তাই আপনাকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত বি১২ এর অভাব পূরণ আছে কিনা তা চেক করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হবে।

Folinic 5 এর কাজ কি 

Folinic 5 এর কাজ কি এটা অনেকে জানে না আসলে এইটি বলতে 5 এমজি ফলিকল কে বোঝায়। সাধারণত এটা রক্ত এবং তার উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া আপনি পিউরিন এবং পিরিমিডিন সংশ্লেষণ করতেও সাহায্য পাবেন। সাধারণত এছাড়া এটি অ্যামোনিয়া, কিডনি, ডায়ালাইসিস, এটি আপনার অ্যালকোহলিজম লিভারের রোগ এবং অন্তের দ্বারা অনুপযুক্ত পুষ্টির শোষণে প্রতিকারের জন্য নির্ধারিত। 

Folinic 5 এর কাজ কি

সাধারণত এটি নতুন কোষ তৈরি করে এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে হাড়ের গঠন রক্তস্বল্পতা দূর বিভিন্ন অশান্তি মূলক চিন্তাভাবনা থেকে অবসান এবং মনের ডিপ্রেশনের সমস্যা দূর করা। এছাড়াও ইসলামিক সমস্যা দূর করে। গর্ভবতী মহিলারা তাদের শারীরিক এবং গর্ভস্থ শিশুর ভিটামিন এবং ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করার জন্য এই ফলিক এসিড খেতে পারে। 

এছাড়াও ফলিক অ্যাসিড ফাইভ এর কাজ অত্যন্ত আকর্ষণীয় যে আপনার শরীরের অতিরিক্ত সমস্যা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে এটি শরীরকে সুদীয গঠন ও শক্তিশালী করে রাখতে সাহায্য করে তাই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ট্যাবলেট আপনার শরীরের প্রয়োজন থাকলে খেতে পারেন যা আপনার শরীরের বিভিন্নভাবে উপকার করবে এবং আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। 

ফলিক এসিড নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত? 

উত্তরঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ৩.৫০ পাতা বিক্রি হচ্ছে। যদি আপনি এক প্যাকেট ফলিক অ্যাসিড ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে দাম দিতে হবে ৩ পয়সা করে খরচ হবে। 

প্রশ্নঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর নাম কি? 

উত্তরঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর নাম গুলো হলো, এম ফলিক ৫ এমজি ট্যাবলেট, ফোল্ডি ভিউজ ৫ এমজি ট্যাবলেট, ফলিনাল ৫ এমজি, ফলি ৫ এমজি ট্যাবলেট, জাইফোলিক ৫ এমজি ট্যাবলেট। এগুলো সবগুলোকে ফলিক এসিডের নাম বলে জানা যায়।

প্রশ্নঃ গর্ভবতী হওয়ার জন্য ফলিক এসিড কখন খাওয়া উচিত? 

উত্তরঃ গর্ভাবস্থার কোন মাসে ফলিক এসিড বেশি প্রয়োজন গর্ভবতী হওয়ার আগে এবং গর্ভ অবস্থার ১২ সপ্তাহ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা অপরিহার্য।

প্রশ্নঃ আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয়? 

উত্তরঃ আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ হবে ফলিক এসিডের অভাবে ঘাটতির কারণে গ্যাস্ট্রিক, অ্যামোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা কমবে। পুষ্টির অভাবদূত রক্তস্বল্পতা ঠিক করে এবং ডিএনএর গঠন শক্তিশালী করে। 

প্রশ্নঃ ফলিক এসিডের অপর নাম কি? 

উত্তরঃ ফলিক এসিডের অপর নাম হল ভিটামিন বি নাইন বা ফলেট অ্যাসিড। 

প্রশ্নঃ ফলিক এসিডের অভাবে কি কি রোগ হতে পারে? 

উত্তরঃ ফলিক এসিডের অভাব হলে আপনার শরীরে জিব্বা ঘা, মুখে ঘা ফুলে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা, রক্ত গঠনে বাধাপ্রাপ্ত, গ্যাস্ট্রো ইস্টাইল, মুখের কোনে ফিচার ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। 

প্রশ্নঃ ফলিক এসিড কাদের এড়ানো উচিত? 

উত্তরঃ আপনার শরীরে নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ভিটামিন বিবাহের মাত্রা কম হলে আসলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে তাই কখনো ফলিক এসিড কোন ওষুধের প্রতি এলার্জির ক্রিয়া হতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এসব আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শরীরে যদি ফলিক এসিডের ঘাটতি থাকে সে ক্ষেত্রে এলিয়ে চলতে হবে।

প্রশ্নঃ ফলিক এসিড কি আয়রন? 

উত্তরঃ ফলিক এসিড কি আয়রন জেনন লোহিত ঘটিত লবণ যা ফলিক এসিডের ঘাটতি এবং আয়রনের ঘাটতি গর্ভ অবস্থায় পূরণ করতে পারে এটাই আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে রক্তস্বল্পতার চিকিৎসায়। 

প্রশ্নঃ ফলিক এসিড কখন খেতে হয়? 

উত্তরঃ ফলিক এসিড আপনি সাধারণত দিনে একবার এবং এছাড়া শরীরের পরিবর্তন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি দিনে দুইবার দিতে পারেন তবে নির্দিষ্ট সময়ে। 

শেষ মন্তব্যঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি। জানানোর চেষ্টা করেছি এই ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর মাধ্যমে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আবার কেন এই ফলিক অ্যাসিড মানুষ প্রতিনিয়ত গর্ভ অবস্থায় এবং বিভিন্ন বয়সের মানুষ গ্রহণ করে। আরো জানিয়েছি যে কি কি সমস্যা হতে পারে এই এসিডের অভাব হলে। 

এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে কিভাবে আপনি ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণ করবেন সেই বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং কোন কোন ফল এবং উদ্ভিদের মধ্যে এই ফলিক এসিডের পরিমাণ পর্যাপ্ত রয়েছে যা শরীরের ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম সেই সকল সবজি এবং ফলমূলের উল্লেখ করেছে যা আপনাকে ফলিক এসিড সংগ্রহে প্রাকৃতিক ভাবে উপকার করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url