কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে - হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে যায় এবং এই সমস্যা সমাধান করার জন্য কি উপায় রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের হাতের চামড়া ওঠার ক্রিম ব্যবহার করে। হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
সাধারণত হাতের চামড়া ওঠা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে এসে কিছু ভিটামিনের অভাবে যে ভিটামিনের মানুষের শরীরের শুষ্ক বাতাস অতিরিক্ত প্রভাবের কারণে শরীরের চামড়া বা হাতের চামড়া ওঠে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে এই বিষয়ে যা জানবেন
- ভূমিকা
- কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে জানুন
- কোন ভিটামিনের অভাবে চর্ম রোগ হয়
- কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়
- কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়
- ভিটামিনের অভাবের কারণে চোখের কি কি সমস্যা হতে পারে
- হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করার উপায়
- কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
- হাতের চামড়া উঠার ক্রিম এর নাম
- হাতে চামড়া উঠার ওষুধ গুলো
- হাত পায়ের চামড়া উঠা নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের শেষ কথাঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
ভূমিকা
আজকে আমরা জানবো কোন কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে যায়। এবং এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে হাতের চামড়া ওঠার ক্রিম কোনগুলো ব্যবহার করবেন। বাচ্চাদের হাত চামড়া উঠে কেন এবং পায়ের চামড়া হওয়ার সকল কারণ ও বিস্তারিত চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যেই কারণগুলোতে হাত পা এবং শরীরে মানুষের চামড়া উঠে।
নিজের হাতের ও পায়ের সমস্যা যদি হয় যেগুলো সময় দেখা যায়। পুষ্টি পুষ্টি থেকে চামড়া উঠে সাধারণত শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে এই সমস্যাটি হয় তবে আপনি আপনার হাতে পায়ের চামড়া ওঠার সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন টিপস ও উপায় রয়েছে। যে উপায় গুলো ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজেই আপনার এই সকল সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে জানুন
কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে সে বিষয়ে শুধু আমরা অনেকে জানিনা। সাধারণত কিছু কারণ থাকলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়া উঠে। হাতের চামড়া উঠলে তাকে গ্রাম্য ভাষায় বলে দোষী পোকা চামড়া খেয়ে নিচ্ছে। এছাড়া আরো অনেক নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই মনে করে কারো হাতের সাথে হাত ঠেকালে তার এই সমস্যা হয়ে যাবে। চলুন আসল বিষয়গুলো জানি।
কোন ভিটামিনের অভাবে কি সমস্যা হতে পারে,
- সাধারণত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বায়োটিন ভিটামিন বি ৭ এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও চামড়া উঠে। এই সমস্যা থেকে হাতের ও পায়ে চামড়া উঠে। আমার নাইআসিন এর অভাবে পেলেগ্রা রোগ হতে পারে যার ফলে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে।
- ভিটামিন এ এর অভাবেঃ সাধারণত আমাদের শরীরে ভিটামিন এ এর অভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে রয়েছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, চুলকানি ত্বকে খসখসে ভাব সৃষ্টি করা। অনেক সময় এর কারণে ত্বক শুষ্ক হয় এবং হাত ও পা সহ বিভিন্ন অংশের চামড়া উঠে।
- ভিটামিন সি এর অভাব হলেঃ আপনার শরীরে যদি ভিটামিন সি এর অভাব থাকে তাহলে আপনার শরীরের উপর প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এর জন্য কোন সমস্যা হবে যখন কার্ভি রোগ হতে পারে, যার ফলের ত্বকের নমনীয়তা কমে গিয়ে চামড়া উঠে ও ত্বক ফেটে যায়।
- একজন গবেষক ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্বরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর সিনথিয়া আলম বলেন, আমাদের ত্বকের বাইরের দিককার সূক্ষ্ম স্তর গুলি ২৮ দিন পর পর পরিবর্তন হয়। এটি সকল মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তবে এই পরিবর্তনটি এতটাই সূক্ষ্ম যে যা পৌঁছা যায় না। তবে মানুষের শরীরের কিছু ভিটামিনের অভাব হলে এই সমস্যাগুলো চোখে পড়ে।
বিশেষ করে গরমের রোদের তীব্রতা ও পানি শূন্যতার অভাব হলে ত্বক সুস্থ হয়ে পড়ে এবং এর জন্য তাড়াতাড়ি চামড়া উঠর সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও গরমের দিনে হাতে পায়ের তালু হতে চামড়া হতে পারে শীতের সময় রুক্ষদন পেরিয়ে অনেকেই মশ্চারাইজার ব্যবহার করে না যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে এই সমস্যা হয়। আবার দেখা যায় যে কারো কারো হাত ঘামে যার ফলে শরীরের লুম কূপ বন্ধ হয়ে থাকে যে কারণে ত্বকের স্বাভাবিক ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।
অতিরিক্ত চামড়া ওঠার আরো যেসব কারণ রয়েছে
পরপর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজার বেশি পরিমাণ ব্যবহার করার ফলে হাতের চামড়া উঠতে পারে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা বডি পারফরম স্প্রে এবং পরোক্ষভাবে অনেক ধরে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া অনেকেই গোসলের পানিতে জীবাণু রোধী রাসায়নিক দ্রব্য যোগ করে যার কারণে সমস্যা হয়। এছাড়াও জারের শরীরে কিছু রোগ রয়েছে যেমন সোরিয়াসিস, কন্টাক্ট, ডার্মাটাইটিস ও একজিমা।
আরো পড়ুনঃ শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ৭টি ঘরোয়া উপায় জানুন
- এর থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে নিজের দেখানো উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে, বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
- সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে স্বাভাবিক যদি একজন মানুষ ৮ লিটার পানি পান করে তাহলে তাকে ১০ থেকে ১২ লিটার পানি পান করতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণ ত্বকে ভিটামিন এ এর ঘাটতি থাকলে এই সমস্যা হয় তাই আপনাকে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভিটামিন সি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। যা সাধারণত সবুজ শাকচর দিয়ে তাজা ফলমূল নানা ধরনের বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে।
- মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন তবে কিছু মশ্চারাইজার রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের পর চিটকিত ভাব হয় সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আপনি সেরা মাইট যুক্ত ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করতে পারবেন যেগুলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ মশ্চারাইজার।
আবার আপনি প্রতিবার হাত ধোয়ার বা পরিষ্কার করার পর হ্যান্ড ক্রিম লাগিয়ে এর সমাধানের ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই রয়েছে তারা শরীরে ঘাম হলে ঘাম মুছে না এবং পরিষ্কার করে না এদের জন্য ঘাম মুছে নিতে হবে এবং প্রয়োজনে গোসল করতে হবে দিনে একাধিক বার যাতে আপনার শরীরের রুম কূপ গুলো পরিষ্কার থাকে এবং শরীরে ময়লা জমে না থাকলে এতেও শরীরের অনেক সমস্যা হয়।
কোন ভিটামিনের অভাবে চর্ম রোগ হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে চর্ম রোগ হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার জন্মদিন হওয়ার পূর্বে সতর্কতা মূলক ভাবে সেই বিষয়গুলো জেনে রাখতে পারেন। যা আপনাকে সম্পূর্ণরূপ থেকে বাঁচাতে পারে। প্রকৃতপক্ষে চর্মরোগ হচ্ছে একজন ধরনের চুলকানি এ ধরনের লক্ষণ থেকে প্রথমত অবস্থায় বোঝা যায়। সাধারণত যে সকল সমস্যার কারণে চর্মরোগ হয়ে থাকে সেই সমস্যা তারমধ্যে ভিটামিনের অভাব।
আপনার মুখে ফাটল হতে পারে বিভিন্ন ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন বি২, এছাড়া এই রোগকে আমরা সাধারণত কৌণিক স্টোমাটাইটিস বলে জানি। সাধারণত মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ত্বকে একজিমা এবং সোরিয়াসিস এর তীব্র আকার ধারণ করে প্রাথমিক আকার যখন হয় তখন ত্বকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা চুলকানি ফুলকুঁড়ি ও আরো নানান সমস্যা দেখা যায় পরবর্তীতে এই চর্মরোগ বড় আকারে দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাইরাসের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কে থাকে মুখে সাদা সাদা হয়ে যায় অনেক জায়গায় আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা যায় চুলকানি ও বিভিন্ন গ্রহের লাল লাল ফুলে যাওয়ার মত লক্ষ লক্ষ। প্রকৃত অর্থে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর তুলনামূলক অভাব দেখা দিলে আমাদের শরীরে চর্ম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনাকে চুলকানি একজিমা বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ভিটামিন জড়িত খাবার খেতে হবে।
প্রধানত হিসেবে ভিটামিন সি প্রধান হিসেবে ঘোড়া হয় কারণ এবিসি মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য তাই ভিটামিন সি এর অভাব হলে আমরা শরীরের অসুস্থতা তৈরি হতে পারে তাই আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন সি এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং টক জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই সমস্যাগুলো বাই ভিটামিন গুলো সচরাচর পেপে, পাকা আম, কলা, গাজর বহন করে।
আর আপনার শরীরে যদি ভিটামিন বি এর অভাব থাকে তাহলে আপনি বেরিফল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। আবার এই ভিটামিন বি এর অভাব হলে আপনার হল স্কার্ভি রোগ, রাতকানা রোগ রিকেট রোগ সহ আরো কার্ভি রোগের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং আপনার শরীরে চরম রোগ দেখা দিলে এই জাতীয় খাবার গুলো বেশি গ্রহণ করতে হবে তাহলে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে সমস্যা কমতে সাহায্য পাবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়
আমরা অনেকেই জেনেছি যে কোন কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে চামড়া ওঠার সমস্যা সৃষ্টি হয় তবে এই সমস্যাগুলো হওয়ার কিছু না আরো অনেক কারণ রয়েছে। আমরা চেনেছি তবে কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয় এই বিষয়গুলো এখন দেখে নেন। সাধারণত আমাদের শরীরে ভিটামিন এ ক্যালসিয়ামের অভাব হলে শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। চার থেকে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। আবার ভিটামিন বি টু এর অভাব হলেও ঠোঁটের কোন বা জিব্বায় ঘা বা চুলকানি হতে পারে।
ভিটামিন এ
যা আমাদের কোষের মেরামত করে ও নতুন কোষ তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে। আপনি ভিটামিনের অভাবে ফলে ত্বকের মৃত কোষ জমে যার ফলে একজিমা প্রবাহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর থেকে বাঁচতে আপনি পালং শাক, মিষ্টি আলু, কমলালেবু, আম, পেঁপে, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, ডিম, গম, সয়াবিন ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের হাড় এবং দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর উৎস হালকা রোধর তাপ এছাড়াও এই ভিটামিন স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ত্বকের এপিডার্মিস এ ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকে এবং শুষ্ক ত্বক ভিটামিন ডি এর অভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে দাঁড়ায়। আমার ভিটামিন ডি ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক বাধা গঠনের জন্য দায়ী যা ত্বককে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করে এবং কোন মেস্তা পুরো কালো দাগ দূর করে।
আরো পড়ুনঃ কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় জেনে নিন
ভিটামিন ই
এটি অপরিহার্য একটি ভিটামিন যা ত্বকে হাইড্রেট এবং মশ্চারাইজার রাখতে সাহায্য করে। আপনি ভিটামিন ই লিপিডের জন্য তেলের ভিত্তি এবং প্রদাহ এবং বার্ধক্যের প্রাথমিক প্রবাহ কমাতে ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত ত্বকের ফাটল বন্ধ করার জন্য ভিটামিন ই এর প্রচুর প্রয়োজন। এর উৎস হিসেবে আপনি সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়ো, গোলমরিচ, কুসুম ও সয়াবিন তেল খেতে পারেন।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের ত্বক রক্ষাকারী কাজ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি ত্বক রক্ষাকার হিসেবে ভিটামিন সি এর কথা শুনেছেন অবশ্যই। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্লোরিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। সাধারণত এই ভিটামিনের অভাব হলে পানির ক্ষয় বেড়ে যায় যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় সর্বাধিক ত্বক সংরক্ষণের জন্য সুবিধা পেটে সাইটাস ফল গোলমরিচ, ক্যান্টালগ, স্ট্রবেরি, ব্রকলি খেতে পারেন।
জিংক এর অভাব
উপরে উল্লেখিত সকল ভিটামিনের অভাবে আপনার শরীরে চুলকানি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমার আপনার শরীরে যদি সামান্য জিংক এর সমস্যা বা অভাব দেখা দেয় সে ক্ষেত্রেও আপনার শরীরে নানাবিদ সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমন, সোরিয়াসিস শুষ্ক মাথার ত্বক। এডোপিক টার্মাটাইসিস ইত্যাদি এমন কি চুলকানি সমস্যা তৈরি করে। ত্বকের সমস্যা এবং সুরক্ষিত সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য জিংক সম্পর্কিত খাবার খাওয়া উচিত।
এই খাবারগুলোর মধ্যে আপনি ঝিনুক খেতে পারেন যদিও মুসলিমেরা খায় না। এদের জন্য লাল মাংস, মুরগি, কার্বোহাইড্রেট, লবস্টার, মটরশুটি, বাদাম উপযুক্ত। সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুন এবং খাদ্য তালিকা গত সম্পর্ক গুলি সম্পর্কের আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন যাক ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এছাড়া আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
ভিটামিন এবং খনিজ ঘাটতি বিভিন্ন উপায়ে আপনার ত্বককে প্রভাবিত করে, এর প্রভাবে ত্বক চুল নখ ও স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর ক্ষতি হয়। আপনি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন এবং খনিজ গ্রহণ করেন তবে এটা পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ করছি কিনা সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন কোন কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের চুলকানি হয় সেই বিষয়গুলো তো আমরা জেনেছি।
তাই এর সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যাদের ঘন ঘন শরীরে বিভিন্ন অংশ চুলকায় এবং যাদের ত্বক শুষ্ক থাকার প্রবণতা রয়েছে। সে সকল ব্যক্তিদের জন্য তার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর ঘাটতি। এতে উপরে উল্লেখিত পাঁচটি ভিটামিন রয়েছে যার ঘাটতি বলেই এই ধরনর সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই আপনি উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো এবং ভিটামিন গুলো শরীরে পর্যাপ্ত আছে কিনা তা চেক করে নিতে পারেন।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্টের তালিকা
কালোজিরা খাওয়ার ২৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
মেলাট্রিন ক্রিম এর উপকারিতা - মেলাট্রিন ক্রিম এর সাইড ইফেক্ট বিস্তারিত জানুন
কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয় এটা আমরা অনেকেই জানি তবে তারা সঠিকভাবে জানে না তাদের জন্য এই তথ্যগুলো জানা জরুরী। সাধারণত আমরা জানি ভিটামিন এ এর অভাবে আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আপনার চোখের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য যে ভিটামিন গুলো তাই সেই ভিটামিন গুলো কি এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।
চোখকে সুস্থ এবং ঝলমলে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমূহ যার অভাবে চোখের বিভিন্ন সমস্যা হয় তাহলে,
ভিটামিন এঃ চোখের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন এ যা রেটিনল নামে পরিচিত। এটিকে আদ্রতা বজায় রাখে এবং কর্ডিয়ার পৃষ্ঠকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণভবে কাজ করে। আমরা অনেকে জানিনা কোন কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়। প্রধান উপাদান বা ভিটামিন হলে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের চোখের অন্ধকারে আসার সময় আলো পরিবর্তনের সাথে সামদর্শক করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এটি কম আলোতে ভালো দৃষ্টি দিতে সাহায্য করে। শান্ত এটি রেটিনাকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং অতএব ভিটামিন হল দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। ভিটামিন এ এর সমস্যা গুলো দূর করতে শাকসবজি খেতে পারেন এর মধ্যে সবুজ সবজি, ব্রকলি, পালং শাক, পাতাযুক্ত শাকসবজি, শাকসবজি বেল, মরিচ ও কুমড়া রয়েছে। এছাড়া আপনি ছোট মাছ খেতে পারেন।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলতে বোঝায় ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি ৩, বি ৬,বি১২ ইত্যাদি এই ভিটামিন গুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। জারণ চাপ কমায় এবং মানুষের চোখকে মুক্ত রেডিক্যালর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। চোখের কর্নিয়া এবং রেটিনাকে প্রদাহজনক এবং অক্ষয় জড়িত পরিবর্তন থেকে রক্ষা করে।
এগুলো গ্লুকোমা একটি এমন অবস্থা যেখানে চোখের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করে যার উপর দৃষ্টিশক্তি হতে পারে। এবং এই ভিটামিন বি এর উৎস গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এই উৎসগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের এই চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারেন যা আপনার শরীরে চোখের সমস্যার জন্য দায়ী। আপনি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিন আকারে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
ভিটামিন সি যা আপনার চোখের জন্য অন্যতম একটি ভিটামিন একটি শক্তিশালী করতে পারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কে যা আপনার চোখকে ক্ষতিকারক মুক্ত বিভিন্ন ফ্রিজে বাঁচাবে। আবার আপনি চাইলে এটি ক্লোজেন সংশ্লেষণ এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন এই ভিটামিন সি আপনার কোড নিয়ে এবং স্কলারের ক্ষেত্রে এটি ছানি এবং বয়স জড়িত রেটিনার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। এর জন্য কমলা, আঙ্গুর, কিউট, আম, আনারস, পেঁপে, তরমুজ, স্ট্রবেরি খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি এটাও আপনার চোখের জন্য ভালো একটি ভিটামিন যা চোখে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ভালো করে ও চোখের শুষ্কতা সানি গঠন এবং রেটিনার ক্ষয় রোধ করে। এগুলো বিয়ের উৎস বলে উল্লেখ করেছি তবে আপনি চাইলে ডিমের কুসুম,গরুর দুধ, সয়া দুধ, কড ডেলিভারের তেল এবং শ্যামন খেতে পারেন। এছাড়া ভিটামিন ই রয়েছে যা চোখের অক্সিডেটিভ সেস্টসের সাথে সম্পর্কিত।
এটিও আপনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রিডিক্যাল এর মধ্যে ভারসাম্যতা বজায় রাখে ভিটামিন ই অতি গুরুত্বপূর্ণ এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত তাই এটি আপনার শরীরে চোখের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এছাড়াও আরো অনেক কারণে মানুষের চোখের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
লুটিন এবং জেক্সানথিনঃ এই দুটি ক্যারোটিয়েট পরিবারের অংশ যা উদ্ভিদ দ্বারা সংশ্লিষ্ট উপকারী যৌগ গুলির একটি গ্রুপ। এই ক্যারোটিয়েট গুলি আপনার চোখের রেটিনায় পাওয়া যায় যেখানে তারা ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে আসা সম্ভাব্য ক্ষতিকারক নীল আলো ফিল্টার করতে সাহায্য করে। লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন সমৃদ্ধ উৎসের মধ্যে রয়েছে গাজর পাতা যুক্ত সবজি প্রকল্পের পেস্তা বাদাম কুমড়ো এবং ব্রাসেল স্প্রাইট।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডঃ এটি হলো এক ধরনের পলি এন্ড স্যাচুরেটেড ফ্যাট যার প্রবাহ বিরতি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি শুষ্ক চোখের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আরো অশ্রু উৎপাদনে সহায়তা করে তাদের উপকার করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গুলি হচ্ছে মাছ, তিসির বীজ, সিয়া সিড বীজ, বাদাম ও জলপাই তেল।
ভিটামিনের অভাবের কারণে চোখের কি কি সমস্যা হতে পারে
উপরে উল্লেখিত ভিটামিন গুলোর কারণে আপনার চোখের চেয়ে যেই সমস্যাগুলো হতে পারে তার কারণ এবং লক্ষণ গুলো জেনে রাখুন। আপনার এই ভিটামিনের অভাব হলে চোখের দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা হতে যার মধ্যে কিছু সমস্যা চিকিৎসা করা হয় তবে গুরুতর আকার ধারণ হলে ভিটামিনের জন্য হতে পারে।
প্রথমে রয়েছে রাতকানা রোগঃ ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয় এর কারণ হলো ভিটামিন ই এর অভাব কম আলোতে রেটিনার কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। এবং এই সমস্যার লক্ষণ হিসেবে অন্ধকারে দেখতে অসুবিধা হয় চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। যার জন্য ভিটামিন এ উপযুক্ত।
শুষ্ক চোখ ভিটামিন এ ও এবং ওমেগা থ্রি এর অভাবঃ শুষ্ক চোখ হওয়ার পিছনে ভিটামিন এ এবং ওমেগা ৩ এর অভাব প্রভাব রয়েছে। আপনার শরীরে এই উপাদানগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকলে আপনার শরীরে সমস্যা হতে পারে। কারণ অপর্যাপ্ত ভিটামিন এ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের চোখের জলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় যার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। চোখ লাল হওয়া জ্বালাপোড়া করা ও তীব্রভাবে জ্বালাপোড়া করা ও ব্যথা করা।
আরো পড়ুনঃ উঁচু দাঁত নিচু করার ঘরোয়া পদ্ধতি ও চিকিৎসা জানুন
ঝাপসা দৃষ্টিঃ অনেক সময় আপনার শরীরে ভিটামিনের এই অভাবগুলো কারণে দেশের শক্তি কমে যায় এবং আপনি যে কোন বস্তু অল্প বা ঝাপসা দেখতে পান। এর কারণে আপনাকে ভিটামিন বি১২ এর অভাব পূরণ করতে হবে যা সমস্যা কমাবে। কারণ ভিটামিন বি১২ স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য এটি অভাব অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে। লক্ষণ হিসেবে ঝাপসা দৃষ্টি আলোর সংবেদনশীলতা এবং চোখের ক্লান্তি বোধ দেখা যায়।
ছানি পড়াঃ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর অভাব যদি হয় তাহলে আপনার চোখের ছানি পড়া রোগ হতে পারে। সাধারণত আপনার শরীরে এর কারণ হলো ভিটামিন ই এবং সি এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জরুন চাপ প্রতিরোধ করে যা ছানি গঠনে অবদান রাখে। এতে আপনার লক্ষ্য হিসেবে মেঘলা বা ঝাপসা দৃষ্টি ঝলকানি সংবেদনশীলতা এবং বিবর্ণ রং দেখা যায়।
ম্যাকুলার অবক্ষয়ঃ আপনার শরীরের ম্যাকুলার অবক্ষয় হতে পারে লুটেইন এবং জ্যাকসন থিন এবং জিংকের ঘাটতি হলে এ সমস্যা হয় কারণ হলো এটি অপুষ্টির নীল আলো এবং বর্ধক জড়িত ক্ষতি থেকে রেটিনাকে রক্ষা করে। এবং এর লক্ষণ হলো কেন্দ্রীয় দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া মুখ চিনতে অসুবিধা হয় এবং দৃষ্টিতে কালো দাগ দেখা দেওয়া।
অপটিক নিউরোপ্যাথিঃ আপনার শরীরে অপটিক নিউরোপ্যাথি রোগ হতে পারে যদি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গুলোর অভাব থাকে এর কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গুলো আপনার অপটিক স্নায়ু প্রভাবিত করে। এর লক্ষণ হল দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া রঙিন দৃষ্টির সমস্যা বা চোখের ব্যথা অনুভুত করা।
রেটিনোপ্যাথিঃ এ সমস্যার জন্য ভিটামিন ডি দায়ী যা চোখের ভিটামিন বিয়ের ঘাঁটতে পড়লে সমস্যা হবে চিহ্নিত হয়। সাধারণত এর কারণ হলো ভিটামিন ডি এর অভাব যাতে ডিনার রক্তনালীগুলোকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয়। লক্ষণ হচ্ছে কালচে দাগ ভাসমান অবস্থায় এবং সময়ের সাথে সাথে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে চোখের সমস্যা হওয়ার জন্য কোন কোন ভিটামিন দায়ী এবং কি কারণে তাদের এই সমস্যাগুলো এই ভিটামিনের অনুপস্থিতিতে চোখের মধ্যে দেখা যায়। অনেকেই এই সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে থাকেন তবে আমি এটুকু বলতে চাই যে আপনি উপরে উল্লেখিত সকল ভিটামিন জড়িত খাবারগুলো গ্রহণ করলে চোখের এই সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং আপনি স্বাভাবিক হয়ে যাবেন।
হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করার উপায়
হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করার উপায় জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই এই নিম্নলিখিত উপায় গুলো ব্যবহার করে হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করতে পারবেন এর জন্য কার্যকরী কিছু উপায় আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম যা আপনাকে হাত-পা এবং তালুর চামড়া ওঠা থেকে রক্ষা করবে। বিশেষ করে হাতের চামড়া ওঠার এই সমস্যা দেখা যায় শীতের সময় এবং তীব্র গরমে। এর কিছু কারণ রয়েছে যা ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। তা এর সমাধান গুলো দেখুন।
গুঁড়া দুধ চিনি ও অলিভ অয়েল এর মিশ্রণঃ গুড়া দুধ চিনি ও অলিভ অয়েল এর মিশ্রণ গুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবং এই মিশ্রণটি আপনার হাত-পা মুখ এমনকি শরীরের সকল অঙ্গ সমূহে লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং এটি ২০ মিনিট ভালো করে লাগিয়ে রাখার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর সেখানে সামান্য নারিকেল তেল লাগানো এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করুন আপনার সপ্তাহখানেক ব্যবহার করলে সমস্যা কমবে।
গোসলের আগে অলিভ অয়েলঃ আপনার যদি শরীরের ত্বকের বিভিন্ন হাত পায়ের চামড়া ওঠার সমস্যা থাকে তাহলে গোসলের পূর্বে প্রতিদিন হালকা করে অলিভ অয়েল সারা গায়ে লাগিয়ে দিতে পারেন। এরপর ৮ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে আপনি ধুয়ে ফেলতে পারেন। এর মধ্যে বিভিন্ন উপকারী ফ্যাটি এসিড ও এন্অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের সমস্যা দূর করে। গোসলের পর এই তেল নিয়মিত হাতে মালিশ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ থাইরয়েডের ওষুধ না খেলে কি হয় বিস্তারিত জানুন
কাঁচা দুধ ও গরম পানিঃ আপনার যদি শরীরে অপর্যাপ্ত ভাবে চামড়া উঠে তাহলে আপনি কাঁচা দুধ ও গরম পানি একটি গ্লাসের মধ্যে সমপরিমাণ করে মিশিয়ে এবার তুলা ব্যবহার করে আপনার শরীরের ত্বকগলোতে এটা ভিজিয়ে লাগিয়ে রাখুন। হাত পায়ের ত্বকের যত্ন না এবং মরা কোষ রিপেয়ার করে ত্বক নরম রাখে এবং নিয়মিত করলে কিছুদিন এর মধ্যে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
গোলাপ জল লেবু রস ও কাঁচা দুধঃ এছাড়াও আপনি গোলাপ জল লেবুর রস ও কাঁচা দুধ এই তিনটি উপকরণ ভালো করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে, আপনার হাতের নির্দিষ্ট অংশে বা পায়ে বা মুখের জিনিস জায়গাতে চামড়া উঠে লাগিয়ে রাখতে পারেন ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শুকিয়ে যাওয়ার পর হাত ধুয়ে নিয়ে এবং দিনের মধ্যে দুইবার এই কাজটি করলে আপনার শরীরের সমস্যা দূর হবে।
সরিষার তেল ব্যবহারঃ হাতে পায়ের চামড়া ওঠা বন্ধ করার জন্য আপনি প্রতিদিন খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার সারা শরীরে মেখে রাখতে পারেন। সাধারণত শীত এবং প্রচন্ড গরমে সরিষার তেল ব্যবহার করা না গেলেও আপনি প্রয়োজন নিয়ে হাতে এবং পায়ে পাতাতে ও তালুতে ব্যবহার করতে পারেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হাত-পায়ের চামড়া উঠা কে কেরাটোলাইসিস এক্সফুলিয়াটিচা বলা হয়।
তিলের তেলে গ্লিসারিন ও গোলাপ জলঃ আপনার হাতে চামড়া পায়ের চামড়া এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য গ্লিসারিন গোলাপ জল ও সমপরিমাণ তিলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে আপনার শরীরে ব্যবহার করতে পারেন অথবা তিলের তেলের জায়গায় আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি পায়ের চামড়া উঠা থেকে বাচার জন্য মধু গিসারিন লেবুর রস ও ক্ষিত কুমারীর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এটি লাগানোর পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সয়াবিনের গুড়াঃ সয়াবিনের গোড়া হাতে পায়ে চামড়া উঠা থেকে রক্ষা করতে পারে সোয়াবিন একটি পাত্রে দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ নেড়ে গরম করে নিতে হবে। এরপর সেটা দিয়ে হাত ও পা ধুয়ে ফেলুন এটা পরিষ্কারের পাশাপাশি মশ্চারাইজার এর ভূমিকা রাখে এভাবে আপনি খেয়াল মত হাত-পা পরিষ্কার করে বিছানায় ঘুমাতে যাবেন।
হাত সব সময় শুকনো রাখাঃ হাত-পা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আপনাকে অনেক সময় পানি বা ভেজানোর প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যত কম পরিমাণ ভেজানো যায় ততই ভালো। কারণ মনে রাখবেন চামড়া উঠার অবস্থায় হাতপালে সমস্যা বেড়ে যায় তাই আপনাকে সুষুব খাদ্য আমিষ, লৌহ, জিংক, ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
লবণ ও শ্যাম্পুঃ আপনার শরীরে হালকা গরম পানির সাথে লবণ এবং শ্যাম্পু মিশিয়ে হাতের তালু পাওয়া। এর জন্য গরম পানির মধ্যে আধা শ্যাম্পু ও একটু লবণ দিয়ে ১০ মিনিট হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর বের করে পরিষ্কার করে নিন ভালো করে ঘষে ঘষে। এছাড়াও আপনাদেরকে জানানো হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি অফ ডার্মালজিস্ট এর মতে একটি আদর্শ মশ্চারাইজ এ নিম্নলিখিত যা থাকে।
পেট্রোলিয়াম অয়েল, মিনারেল অয়েল, সিয়া সিড, লেনলিন, ডায়ামেথিকন। এগুলো আদ্রতা বজায় রাখে। এছাড়াও আদ্রতা উৎপাদক কারক যেমন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ইউরি ভাই এগুলি আদর্শ মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আশা করি বিষয়গুলো থেকে আপনি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন যে একজন মানুষের হাত পায়ের চামড়া উঠলে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে যে, হাত পায়ের চামড়া ওঠার প্রথম কারণটি হচ্ছে জিনগত বা বংশগত। এবং পরে অভাব চরিত্র কারণ।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া থেকে আমরা অনেকে যায় সাধারণত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এই ভিটামিন গুলোর অভাবে আমাদের শরীরের চামড়া উঠে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের সামনে ইতিমধ্যে করেছি। তাই আপনি এই বিষয়গুলো থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে এবং পর্যাপ্ত উপকরণ ও নিয়ম মেনে উপকার পাবেন।
সাধারণত কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে তাহলে এর অন্যান্য আরো কিছু কারণ রয়েছে যা আপনার মুখে চামড়া ওঠার জন্য দায়ী। যদি ঠান্ডা আবহাওয়া শুষ্ক পরিবেশ হয় অথবা অতিরিক্ত গরম হয় সে ক্ষেত্রে আপনি গোসল অতিরিক্ত পরিমাণ করেন বা পানি ঘাটাঘাটি বেশি করেন সেক্ষেত্রে আপনার মুখের চামড়া ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
কিছু রোগের কারণে এবং মুখে চামড়া উঠে যা আমরা আলোচনা করেছি। আবার যদি আপনার মুখের চামড়া উঠে যায় তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার পদ্ধতি আপনাদেরকে জানিয়েছে যা থেকে আপনি খুব সহজেই মুখে চামড়া ওঠার সমাধান করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে মানুষের মুখে চামড়া উঠে যায়।
হাতের চামড়া উঠার ক্রিম এর নাম
হাতের চামড়া ওঠার ক্রিম এর নাম গুলো জেনে রাখছেন আপনাকে হাতের চামড়া ওঠার সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। সাধারণত আমরা বিভিন্ন ধরনের উপায় সম্পর্কে জেনেছি যে হাত পা এবং মুখের চামড়া উঠলে কি কি পদক্ষেপ পূরণ করতে হয়। এখন আমরা জানবো যে হাতের চামড়া ওঠার ক্রিম গুলো কি এবং সেই ক্রিম গুলোর ব্যবহার। যা আপনার হাতের চামড়া ওঠা প্রতিরোধ করতে পারে।
Horse oil brothers repair cream যা আমাদের হাতের পায়ের মুখের গোড়ালির চামড়া ওঠা ও পা ফাটার সমস্যা সাত দিনের মধ্যে ভালো করতে পারে। এই ক্রিমটি সাধারণত সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন পাও হাতের ক্রিম হিসেবে খুব কার্যকরী এটি।
ব্যবহার করার জন্য আপনাকে উষ্ণ জল দিয়ে আপনার গা ধুয়ে ফেলু দেবো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এটি পূর্ণ পরিমাণে ব্যবহার করা এবং উপযুক্ত পরিমাণ প্রয়োগ করুন এবং প্রয়োগের পর সেখানে মেসেজ করুন। প্রতিদিন দুইবার ব্যবহার করবেন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ফাটা এবং ফাটা পায়ের জন্য তিন দিনে এর কার্যকারিতা দেখা যায়। ত্বকের গভীরে যায় এবং ত্বককে মেরামত করে পুরো কালো দূর করে এবং বিভিন্ন নমনীয়তা ফিরিয়ে আনে।
আশেপাশে ত্বকের শুষ্কতা মসৃণতা এবং মশ্চারাইজার বজায় রাখতে চায় এন্টি ফাংগাল ও এন্টিব্যাক্টেরিয়াল অ্যালকেনের দ্বারা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল চুলকানি সমৃদ্ধ সমস্যা দূর করতে পারে। সুতরাং আপনি মশ্চারাইজিং মেরামত এবং হাতে পায়ের বিভিন্ন গোড়ালির চামড়া ওঠার সমাধানের জন্য অতি দ্রুত এটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন নিচে দেওয়া ক্রিম গুলো,
- ইমোল্যান্ড ক্রিম
- টোকো ডার্ম প্লাস ক্রিম
- ক্যারাসল ৬% ক্রিম
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় কি। কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং পায়ের চামড়া ওঠার ক্রিম কি। হাতের চামড়া ওঠার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনেছেন। এই পোস্টের ভিতরে হাতে পায়ে চামড়া ওঠার কি কি কারণ রয়েছে সেগুলো বিস্তারিত জানানো হয়েছে স্কিন এলার্জির কারণ গুলো আলোচনা করা হয়েছে। অনেকেই আবার জানতে চায় হাতে চামড়া ওঠার ওষুধ।
হাতে চামড়া উঠার ওষুধ গুলো
হাতে চামড়া ওঠার ওষুধ গুলো আমরা আসলেই ব্যবহার করতে পারি। এর কিছু কারণ রয়েছে সাধারণত শুষ্কতা পরিবেশগত কারণ এবং ত্বকের অবস্থা অনুযায়ী এ ধরনের সমস্যা হয়। সাধারণত এলার্জি ছত্রাক সংক্রমণ একজিমা এই সকল কারণে মানুষের হাতে চামড়া উঠে। তাই অন্তর্বর্তী ওষুধ গুলো সম্পর্কে দেখে নেন যা আপনার উপকার করবে।
হাতে চামড়া উঠার ওষুধ গুলো,
- মশ্চারাইজার হিসেবে, ভ্যাসলিন, Cetaphil, eucern, Nivea soft, glycern & petroleum jelly এগুলো দিনে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করা যায় হাত পা ধোয়ার পরে।
- Hydrocortisone cream 1% এটি একজিমা থেকে চুলকানি এবং চামড়া ওঠার সমস্যা দূর করে দিনে দুইবার লাগাতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
- Clotrimazole cream 1% এটিও ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রে চুলকানি ফসরা দুর্গন্ধ থাকলে দিনে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- এছাড়া মুখে খাওয়ার ওষুধ হিসেবে, এলার্জিলির ওষুধ যেমন, leratadane, Cetrizine এটি রাতে একবার করে খাওয়া যেতে পারে।
- এবং ভিটামিন ই ও বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে তাহলে আপনার এই সকল সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান হবে এছাড়াও আপনি যদি নিজে লক্ষণগুলো দেখতে পান তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
- রক্ত পড়া বা সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে
- সারা শরীরে চুলকানি ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে
- চুলকানির জ্বালা তীব্রতর হচ্ছে
এক সপ্তাহ কোন ওষুধ বা বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ফলাফল পাচ্ছিনা অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া আপনি সাবান ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে পারেন এবং হাত বারবার ধোয়া এ ধরনের অভ্যাস তৈরি করতে হবে যাতে আপনার শরীরে কম পরিমাণ পানি ব্যবহার হয় এবং প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন এবং হাতের চামড়া ওঠার ওষুধ হিসেবে খাবার পর উপকারিতা হবে।
হাত পায়ের চামড়া উঠা নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ হাতের চামড়া কেন ওঠে?
উত্তরঃ হাতের চামড়া ওঠার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন শুষ্কতা অতিরিক্ত হাত ধোয়ার সূর্যের সংস্পর্শে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যের সাথে সময় কাটানো এবং শারীরিক বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব।
প্রশ্নঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের তালুর খোসা পড়ে?
উত্তরঃ সাধারণত যেই যেই ভিটামিন আপনার ভারসাম্যের তা নষ্ট করে তার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৩ যা অতিরিক্ত ভিটামিন এ এর ফলে তক্ষ খোসা করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ হাতের চামড়া তোলার উপায় কি?
উত্তরঃ এক্সফোলিয়েশন মৃত শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক দূর করতে সাহায্য করে। অবাঞ্চিত মৃত কোষের কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে তাই এর জন্য জলপাই তেল এবং উপরে উল্লেখিত উপকরণ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্নঃ হাতের উপরের চামড়া অবশ হয়ে যায় কেন?
উত্তরঃ হাতের অসারতা বা আপনার বাহু এবং কব্জির স্নায়ু বা স্নায়ু শাখা জ্বালাপোড়া বসন্তের কারণে এমন হতে পারে। ডায়াবেটিসের মতো পেরিফেরাল স্নায়ু গুলোকে প্রভাবিত করে এবং রোগ গুলি অসারতা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্নঃ শরীরের মরা চামড়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায় কি?
উত্তরঃ আপনার শরীরে যে সকল মরা চামড়া রয়েছে তা দূর করার জন্য আপনার ত্বকের শক্ত হয়ে যাওয়া অংশটি ১০ মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। একটি মৃত কোষের কোষগুলো দ্রবীভূত হয়ে পরিষ্কার করা সহজ হবে তারপর ত্বকের ধরনের উপর বিভিন্ন করে বডি স্ক্রাব দিয়ে মৃত কোষের কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করবেন এছাড়াও আপনার ত্বককে এক্সফলিয়েট করুন।
প্রশ্নঃ লবণ খেলে কি মরা চামড়া দূর হয়?
উত্তরঃ এক লবণ একটি যান্ত্রিক এক্সপ্লেইন এবং চাপ হিসেবে কাজ করে মৃত কোষের কোষ দূর করতে বিশেষভাবে উপকার করে ত্বককে মসৃন নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।
প্রশ্ন: হাতের চামড়া উঠে কেন?
উত্তরঃ হাতে চামড়া ওঠার কয়েকটি সাধারণ কারণ রয়েছে। সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়া শুষ্ক আবহাওয়া সূর্যের আলো ও রাসায়নিক বিভিন্ন কেমিক্যাল এর সাথে কাজ করা এবং একজিমার কারণে এ সমস্যা হয়। হাতে চামড়া উঠে কেন এর জন্য আপনাকে দুটি কারণ জানতে হবে। একটি শারীরিক বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে এবং অপরটি হচ্ছে বাহিক বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক প্রক্রিয়ার ফলে।
প্রশ্নঃ হাতের আঙ্গুলের চামড়া কেন ফেটে যায়?
উত্তরঃ হাতের আঙ্গুলের চামড়া বিভিন্ন কারণে ফাটে প্রধান কার্যক্রম মধ্যে রয়েছে শুষ্ক ত্বক অতিরিক্ত ঠান্ডা অতিরিক্ত গরম রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এছাড়া শরীরে অভ্যন্তরীণ ভিটামিনের অভাব।
প্রশ্নঃ কোন ফল খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়?
উত্তরঃ সাইটাস ফল, কমলা, জাম্বুরা, লেবু ইত্যাদি সাইটোসল আপনার হাড় ও মজবুত দাঁত করতে সাহায্য করে। এক কথায় ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্নঃ সবজিতে কোন কোন ভিটামিন রয়েছে?
উত্তরঃ সবজি থেকে আমরা দৈনিক চাহিদার অর্ধেক পরিমাণ ভিটামিন সি পাই, চাহিদার ১৫ ভাগ ভিটামিন এ পাই, ভিটামিন বি পেয়ে থাকি, ভিটামিন সি বিটা ক্যারোটিন ফলিক অ্যাসিড, এছাড়া ঘোল সবুজ পাতা সবজিতে অধিক পরিমাণ সি, বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সবজিতে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন থাকে।
লেখকের শেষ কথাঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
আমরা অনেকেই জানিনা কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের পায়ে চামড়া উঠে। আজকের আর্টি সাজানো হয়েছে কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে এবং এর প্রতিকার মূলক ব্যবস্থাগুলো। একজন মানুষ কি কি ভিটামিনের অভাব হলে তার শরীরের এই একজিম ও চামড়া ওঠার লক্ষণ হতে পারে। সে বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছে।
আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের এবং পায়ের চামড়া উঠে সে বিষয়গুলো জেনে রাখবেন। যা আপনার সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের জন্য বিশেষভাবে উপকার করবে। সুতরাং আপনারা যদি এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন তাহলে উল্লেখিত পোস্টের তথ্যগুলো আপনার জন্য উপযুক্ত। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন জ্ঞানমূলক তথ্য জানতে পারবেন যে আপনার কোন ভিটামিনের অভাবে কি সমস্যা হতে পারে তা জানতে সাহায্য করবে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url