মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি ও মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হয় কেন বিস্তারিত জানুন

মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি এটা আমরা অনেকেই জানি এবং এই মৌলিক সম্পূর্ণভাবে পূরণ করেই মানুষ তার জীবনে সকল সময় এবং চাহিদা পূরণ করে। তাহলে চলুন জেনে নিই অশোক মহিলাদের চাহিদা গুলো কি কি।

মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি

এবং সেই চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম চাহিদা কোনটি? মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। এছাড়াও একটা মানুষের উপর মৌলিক মৌলিক চাহিদা ও মৌলিক অধিকার আছে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি ও এর সকল প্রয়োজনীয়তা জানুন

ভূমিকা 

আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি। এবং সেই চাহিদা কিভাবে পূরণ করতে হয়। তাই আমাদের প্রথমে জানা উচিত মৌলিক চাহিদা কি? আসলে মানুষের দীর্ঘমেয়াদি শস্য জীবন চলতে ন্যূনতম যে প্রয়োজনগুলো না হলে মানুষ বাঁচতে পারে না সেগুলোকে মৌলিক চাহিদা বলে। আসলে এই মৌলিক চাহিদাগুলো মানুষের বেঁচে থাকার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। 

বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দারিদ্র পরিমাপের প্রধান মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করা হয় মৌলিক চাহিদার প্রয়োজনীয়তা। একটি দীর্ঘমেয়াদী সসল জীবন যাপন করার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। যা সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিশ্ব কর্মসংস্থান সম্মেলনে মৌখিকভাবে এই পদ্ধতি চালু হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

যে বিষয়গুলো ছাড়া একজন মানুষ সুস্থ স্বাভাবিকভাবে তার জীবন পরিচালিত করতে পারবে না। তাই জানুন কি কি মৌলিক চাহিদা এবং কয়টি। বর্তমানে প্রচলিত ধারনাই যেগুলোকে মৌলিক চাহিদার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেমন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা এগুলোকে মৌলিক চাহিদা বলে ধরে নেওয়া হয়। আবার আধুনিক মত অনুযায়ী খাদ্য পানি বস্তু ও বাসস্থান ছাড়াও পরন নিষ্কাশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাকে অন্যতম স্তরে মৌলিক চাহিদা হিসেবে ধরা হয়। 

মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি 

মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি এ বিষয়ে আমরা কমবেশি সবাই জানি। তবে যারা এই বিষয় গুলো স্পষ্টভাবে জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আসলে মানুষের মৌলিক চাহিদা সাধারণত পাঁচটি ধরা হয়। এই পাঁচটি চাহিদা ছাড়া মানুষ কোনভাবেই জীবনের সঠিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে না। এই মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো হলো, 

  • খাদ্য 
  • বস্ত্র 
  • বাসস্থান 
  • শিক্ষা ও 
  • চিকিৎসা 

এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদা প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের সুস্থ স্বাভাবিকভাবে অতিবাহিত করার জন্য জরুরী। তাই এই পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন যে এগুলো কি এবং কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় এবং উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলোকে। আমরা জানি যে দেশে বা রাষ্ট্রের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা যত বেশি সেই দেশ বা রাষ্ট্র তত উন্নত। তাই এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও ব্যাখ্যা জানুন। 

খাদ্যঃ খাদ্য হলো মানুষের জীবনের অন্যতম প্রধান একটি মৌলিক চাহিদা। খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেগুলো খাওয়ার মতন মানুষ জীবন ধারণ করে, যেমন, ভাত, রুটি, ও বিভিন্ন শস্য ফলমূল জাতীয় খাবার, একটা মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রধান উপকরণ হচ্ছে খাবার। তাই খাবার আপনার জীবনের বেঁচে থাকার জন্য একটি মৌলিক চাহিদা। 

আরো পড়ুনঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত জানুন 

বস্ত্রঃ বস্ত্র এটা একটি মৌলিক চাহিদা। মানুষ জন্মসূত্র থেকেই বস্ত্র পরিধান করে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে না ঠিকই। তবে মানুষ সামাজিক ভাবে বসবাস করে তাই তাকে বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। নিজের শরীরকে সংরক্ষণ করে রাখা এবং নিরাপদে রাখার জন্য বস্ত্র অন্যতম। প্রাচীনকাল থেকে এর ব্যবহার হয়ে আসছে, সেই সময় মানুষ পশুর চামড়া গাছের ছাল ব্যবহার করতো বস্ত্র হিসেবে। তবে বর্তমানে মানুষ কাপড় প্যান্ট শার্ট এবং বিভিন্ন ধরনের রকমারি বস্ত্র ব্যবহার করে। 

বর্তমান সময়ে বস্ত্র ছাড়া চলাফেরা করা অসম্ভবতায় বস্ত্র আমাদের মৌলিক চাহিদার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত। যদিও মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বস্ত্র তেমন কোন প্রভাব ফেলে না তবুও সামাজিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য এটা অনেকটাই প্রয়োজনীয় এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বস্তু একটি অধিকতর মৌলিক চাহিদা হিসাবে বিবেচনা করা যায়। 

বাসস্থানঃ মানুষের জীবনের আরো একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে বাসস্থান। মানুষ খাদ্য ও বস্ত্র ব্যবহার করে জীবন পাঠাতে পারে তবে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট এবং সুন্দর বাসস্থান প্রয়োজন। যেখানে তার সারাদিনের ব্যস্ততা এবং সকল কিছুর পরে শান্তিতে সময় পার করতে পারবে। আদিকালে মানুষ গাছ, পাহাড়ের গুহা এগুলোতে বসবাস করতো। তবে বর্তমান সময়ের মানুষ দালানকোঠা বিভিন্ন প্রাসাদ অট্টালিকা তৈরি করে বসবাস করে। 

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এই বাসস্থান অতীত প্রয়োজনীয় মানুষ সামাজিক জীব তাই তাকে সমাজে বসবাস করতে হয় তাই সমাজে বসবাস করার জন্য বাসস্থান যতই জরুরী যতটা জরুরী খাদ্য এবং বস্ত্র। তাই আপনি বাসস্থানকে অবশ্যই মৌলিক চাহিদার বাইরে রাখতে পারেন না কারণ একটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য কোন না কোন জায়গাতে অবশ্যই থাকতে হবে। আর মানুষ যেখানে থাকে তাকেই তার বাসস্থান বলে। 

শিক্ষাঃ মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত প্রয়োজন। শিক্ষা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা ব্যবহার করে মানুষের জীবনধারার উন্নতি এবং জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করা যায়। আগে আদিম সময়ে মানুষ খাদ্যবস্ত্র অর্জন করার জন্য স্বীকার করত। শিক্ষনীয় বিষয়গলো মানুষকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে তাই মানুষ শিক্ষনীয় তাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে পদার্পণ করতে পেরেছে। 

সুতরাং কোন জাতির উন্নতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। বিভিন্ন জ্ঞানী গুণীরা বলেছেন শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। তাই মানব জাতিকে উন্নত সমৃদ্ধশালী করে তোলার জন্য শিক্ষামূলক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত করা হয় কারণ শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি করা অসম্ভব। তাই আমাদেরকে শিক্ষাকে মৌলিকভাবে মেনে নিতে হবে। আর এই শিক্ষা ও সকল মৌলিক চাহিদা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে নিশ্চিন্ত করতে হবে। 

চিকিৎসাঃ মানব জীবনে বেঁচে থাকার জন্য চিকিৎসা অতি প্রয়োজনীয়। মানুষ বেঁচে থাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেটা মানুষের শরীরের অভ্যন্তরীণ হতে পারে এবং বাহিক হতে পারে। আর বাহির সমস্যা বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা আদিকাল থেকে রয়েছে। মানুষ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য ভেষজ ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন গাছপালা ব্যবহার করতো। 

বর্তমান সময়ে এখন মানুষ বিভিন্ন চিকিৎসা নেই। কারণ মানুষের সমস্যা হতেই পারে সমস্যা সমাধান করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থার আবিষ্কার হয়েছে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এসে শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত পর্যায়ে চলে এসেছে। আর শিক্ষার উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন দিক থেকে চিকিৎসার উন্নত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান সময়ে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যায় না। যদিও অনেক চিকিৎসা ব্যয়বহুল তবে চিকিৎসা করার সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে যা মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য অন্যতম উপায়। 

বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার 

বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য জানি না। বাংলাদেশ সংবিধানে তৃতীয় ভাগ মৌলিক অধিকার অনুসারে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকটা বাংলাদেশিকে মৌলিক অধিকার দিতে হবে। তৃতীয় ভাগ মৌলিক অধিকার এর শুরুতে ২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন আইন করা যাবে না।

কেউ যদি করে তাহলে তা বাতিল করে দেয়া হবে। এই অনুচ্ছেদে আর বলা হয়েছে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী পূর্বেকার সকল আইন সংবিধান ভাবে অবৈধ। তাই আপনি মৌলিক অধিকার শারীরিক ও মানসিক সীমা না সংকোচনকারী কৃত্রিম বাধা অতিক্রম করে মুক্ত ও ন্যায়বিচারের পরিবেশ নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য নিশ্চিহ্ন করে নাগরিকের জীবন মর্যাদা পূর্ণ করে। 

আসলে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহ এগুলো অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা চতুর্থ সংবিধানের পরিচ্ছেদে ১০২ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার অধিকার দিয়েছে। এবং বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকটি বাংলাদেশি নাগরিকের মৌলিক অধিকার ১৮ টি সে বিষয়গুলো জানুন। 

আরো পড়ুনঃ নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ বিস্তারিত জানুন 

আইনের দৃষ্টিতে সমতাঃ মৌলিক চাহিদাগুলো প্রত্যেকটা ব্যক্তির জীবনে সকল দিক থেকে সুনিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ লঙ্গ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনে সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এর অর্থ হলো যে ব্যক্তি হোক না কেন আইনের চোখে তার কমবেশি নেই। 

ধর্ম প্রকৃতি কারণে বৈষম্য করা যাবে নাঃ বাংলাদেশের অধিকার সময়ের মধ্যে এটাও একটি অন্যতম ২৮ নং১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে ধর্ম-বর্ণ লিঙ্গ বাসস্থান এবং পেশাগত কারণে কোন নাগরিকের প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ করা যাবে না। এর মানে হল আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন বাংলাদেশের অনেক ধর্মের লোক কম বেশি আছে। 

আমাদের সবার ভিতরে সমতা প্রদান করে চলতে হবে, যে যে ধর্ম বিশ্বাস করে তাকে সেই ধর্ম বিশ্বাস করতে দিতে হবে এবং বাধা প্রদান করা যাবে না। কারণ ধর্মের ভিতরে কোন জোরজবস্তি নেই কারণ যে যার মত করে তার বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্ম পালন করতে পারে। এটাও বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে একজন মানুষের মৌলিক অধিকার।

বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার বিস্তারিত

নারী-পরুষ সমান অধিকারঃ ২৮ নং অনুচ্ছেদের ২ বলা হয়েছে যে রাষ্ট্র জনগণের মধ্যে সর্বস্তরে নারী এবং পুরুষদের সমন অধিকার দেওয়া হবে। এর মানে হচ্ছে যে কোন নারী এবং যে কোন পুরুষ তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোন কর্ম এবং যেকোনো জায়গায় থাকতে পারে। এখানে কেউ কাউকে ছোট করে বা বড় করে দেখাতে পারবে না সবাই সমান। 

সরকারি বিনিয়োগ লাভের সুযোগের সমতাঃ সরকারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ ভাব পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ ছবিটা থাকতে হবে এ ধরনের কথা বলা হয়েছে ২৯ নং অনুচ্ছেদে। সুতরাং আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি যেকোনো কাজ বা পদের জন্য দরখাস্ত করতে পারেন এখানে সকলকে সকল দিক থেকে সমান অধিকার দেওয়া হবে। 

আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারঃ আইন চলে তার নিজস্ব গতিতে আইন তৈরি করেছে রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে সঠিক এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য সুতরাং রাষ্ট্রের সকল মানুষের জন্য আইনেরমানদন্ড সমান হতে হবে যা প্রত্যেকটা মানুষের মৌলিক চাহিদা কারণ আইনের চোখে সবাই সমান। 

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে এবং কেন  অক্টোবর ২০২৪ হল জানুন 

জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতাঃ ৩২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতাদের কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তির অধিকার হরণ করতে পারবে না। প্রত্যেকটি ব্যক্তি তাদের ইচ্ছেমতো চলতে পারে। ইহুদী কার জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্র রয়েছে এবং এই অধিকারের ভিত্তিতে বিশ্বের বহু দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গ্রেফতার ও আটকে রক্ষাকবচঃ ৩৩ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত রয়েছে যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলে যথাযথ গ্রেফতারের কারণ না জানিয়ে আটকে রাখা যাবে না। এই উক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবী সাথে পরামর্শ ও তার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। গ্রেফতারকৃত ও প্রহার আটক ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখীন করতে হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে।

এবং ম্যাজিস্ট্রেটের রায় ছাড়া তাকে বেশি ফুল ধরে রাখা যাবে না সুতরাং এটা যদি কেউ করে তাহলে আইনত ভাবে এই ভাবে তার বাজি ব্যক্তিকে আটক করা হবে তার ব্যক্তিগত অধিকারকে হরণ করা হবে কারণ কোন অপরাধ ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া ভয়ঙ্কর মাপের বড় ধরনের শাস্তি সুতরাং অবশ্যই ম্যাচটিতে অনুমতি ছাড়া বা প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি ছাড়া কাউকে ধরা যাবে না। 

জোরজবস্তি মূলক শ্রম নিষিদ্ধঃ সংবিধানের ৩৪ তম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে কেউ যদি কোন কাজ করতে না চায় তাহলে তাকে অবশ্যই জোরজবস্তিভাবে শ্রম বা কাজ করানো যাবে না এটা আইনত দণ্ডনয় অপরাধ। কেহ যদি এই নিয়মকে অবহেলা বা অবমাননা করে তাহলে তাকে আইনত ভাবে অপরাধ বলিয়া গণ্য করা হবে। 

বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণঃ ৩৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে আমরা জানি যে কিছু নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সে নিয়মগলো হলো অপরাধের দায়মুক্ত কার্য সংকটকালে বলবৎ ছিল এরূপ আইন ভঙ্গ করার অপরাধে ছাড়া কোন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। অপরাধ সংলগ্নকালে সেই আইন বলে যে দন্ড দেওয়া হবে তাকে তার থেকে ভিন্ন দন্ দেওয়া যাবে না।

  • এক অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে একাধিক দন্ড দেওয়া যাবে না এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করা যাবে না।
  • ফৌজদারি অপরাধের দায় অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বার ট্রাই বুলেট দ্রুত প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকার হবেন বলে জানায়। 
  • এছাড়া কোন অপরাধে দায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। কেউ এমন করলে যে করবে তাকে দণ্ডনীয় অপরাধ শাস্তি পেতে হতে পারে। 
  • কোন ব্যক্তির যন্ত্রণা যাওয়া যাবে না কিন্তু নিষ্ঠুর অমানসিক লাঞ্ছনা দণ্ড দেওয়া যাবে না কিংবা হাহাকার অনুমতি অনুরূপ করা যাবে না। 
  • প্রচলিত আইনের নির্দিষ্ট কোন দ্বন্দ্ব বা বিচারপদ্ধতি অনুসরণ ছাড়া অন্য কোন বিচারের প্রয়োগ কে দাখিল করা যাবে না অনুচ্ছেদ ৩ এর ৫ দফার কোন কিছু প্রভাবিত করে না। 

চলাফেরার স্বাধীনতাঃ ৩৬ নং অনুচ্ছেদে আইন অনুযায়ী মোতাবেক বলা হয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবাধ চলাফেরা করা যাবে, এছাড়াও এর জন্য কোন স্থানে বসবাসের স্থান তৈরি বাস এখান থেকে স্থানান্তর করা যাবে বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশের পূর্ণ প্রবেশ করার অধিকার প্রত্যেকটা নাগরিকের থাকবে।

সমাবেশের স্বাধীনতাঃ ৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন মোতাবেক, প্রত্যেকটা মানুষ আইন সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমাবেশ করার এবং জনসভা ও জনসভার যোগদান করার মতো অধিকার আছে প্রত্যেকটি বাংলাদেশি নাগরিকের। 

সংগঠনের স্বাধীনতাঃ ৩৮ নগ্ন ছেদ অনুযায়ী বলা হয়েছে যে আইন সাপেক্ষে বিভিন্ন সমিতির সংগ্রহ এবং সংগঠন তৈরি করার জন্য প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার নিশ্চিন্ত থাকবে। তারা যেন তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা অনুযায়ী নিজস্ব সংগঠন তৈরি করতে পারে। 

চিন্তা বিবেক ও বাক স্বাধীনতাঃ ৩৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জানা যায় যে নাগরিকের চিন্তা বিবেক ও বাক স্বাধীনতা রয়েছে। প্রত্যেকটি নাগরিক বাক ও তার ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা পাশাপাশি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া রয়েছে। যে কোন মানুষ তার কথাবার্তা এবং তার ভাবকে সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বাংলায় - নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে 

পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা ধারা ৪০ঃ আইন শতকের কোন পেশা বা বৃদ্ধি গ্রহণের কিংবা কারবার ব্যবসায় প্রচলন করা থাকলে অনুরূপ যোগ্যতা সম্পন্ন প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো আইন সঙ্গত পেশা বা ভিত্তি গ্রহণের এবং যেকোনো আইনসঙ্গত কাজ বা ব্যবসা পরিচালনা করার অধিকার থাকবে। কোথায় প্রত্যেকটা মানুষ স্বাধীনভাবে তার পেশা এবং প্রবৃত্তি নির্বাচন করতে পারে। 

ধর্মীয় স্বাধীনতা ধারা ৪১ঃ ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রত্যেকটা মানুষের থাকতে হবে কারণ এটা মানুষের মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের লোক বসবাস করে তাই তাদের প্রত্যেকের ধর্ম প্রত্যেকের নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী অবলম্বন করবে এবং পালন ও প্রচার করতে পারবে।

সম্পত্তির অধিকার ধারা ৪২ঃ আইনের দ্বারা অপরিচি বাধা নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন ধারণ হস্তান্তর এবং অন্যভাবে বিলি ব্যবস্থা করিবার অধিকার থাকিবে। আসলে আইনের কর্তৃত্ব ব্যক্তিত্ব প্রত্যেকটা সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ রাষ্ট্রায়ন ও দখল করা যাবে না। 

গৃহ ও যোগাযোগের অধিকারঃ ৪৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন সাপেক্ষে প্রত্যেকটা নাগরিকের প্রবেশ, তল্লা ও আটক হইতে শীঘ্রই গৃহ নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকবে এবং চিটপত্রেরও যোগাযোগের অন্যতম উপায়ের গোপনা তার রক্ষার অধিকার থাকবে। সেখানে তারা স্বাধীনভাবে এই কাজগুলো করতে পারবে। 

মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হলে উচ্চ আদালতের রিট করার অধিকার: কোন ব্যক্তি যদি তার মৌলিক অধিকার থেকে বিচ্যুত হয় তাহলে সে তার অধিকার আদায়ের জন্য হাইকোর্টে বা উচ্চ আদালতে রিড করতে পারে। অনুচ্ছেদ ১০২ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কোন ক্ষমতার খরবনা করে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য সকল ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকটি নাগরিকের। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন একজন বাংলাদেশী নাগরিকের তার জীবন পরিচালনা করার জন্য কত ধরনের মৌলিক অধিকার রয়েছে এবং সেই অধিকার গুলো কি কি এবং কিভাবে তা পাওয়া যায়। একজন মানুষ কখনোই তার মৌলিক অধিকার এবং মৌলিক চাহিদাগুলো থেকে বঞ্চিত হতে চায় না যদি কেউ তাকে এই কারণে বঞ্চিত করে তাহলে তাকে অবশ্যই আইনত ভাবে শাস্তি সম্মুখীন হতে হবে। 

মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝায় জানুন

মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝায় এটা আমার অনেকে জানি আবার অনেকেই যায় না তাই আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে সম্পূর্ণভাবে মৌলিক অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সাধারণত মৌলিক অধিকার বলতে বোঝায় না রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সংবিধান স্বীকৃত কিছু অপরিহার্য অধিকারকে। 

যে অধিকারগুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে যেগুলো রয়েছে তা হচ্ছে সংবিধান স্বীকৃতি অধিকার, 

  • ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য অপরিহার্য 
  • সরকারের জন্য অলংঘনীয় 
  • সংরক্ষিত প্রতকার

আইনের দৃষ্টিতে সমান সমান জীবন ও ব্যক্তিগত অধিকার যা মানুষের জীবনের মান ও সকল দিকের উন্নতি করতে সাধন হয়েছে। একটি সুস্থ শৃঙ্খলা রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা এবং মৌলিক অধিকার গুলো পূরণ করতে হবে। তাই সরকার এ ধরনের অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে মানুষকে নিশ্চিন্তভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে সরকারের মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝায়। 

৫টি মৌলিক অধিকার কি কি বিস্তারিত আলোচনা 

৫টি মৌলিক অধিকার কি কি এই বিষয়ে উপরে সংক্ষিপ্ত আকারে জানিয়েছি। যে এই আচরণগুলো কোন কোন আচরণ যা মানুষের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধানে নাগরিকের জন্য যে পাঁচটি অধিকার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো কি কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানুন। 

আইনের দৃষ্টিতে সমতাঃ আইনের দৃষ্টিতে সমতা বলতে সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদের অনুসারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকের ক্ষেত্রে ধনী গরিব সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য আইনের দৃষ্টিতে সমান ভাবে বিচার এবং আশ্রয় প্রদান করা হবে। যেমন, যদি একজন ধনী মানুষ একটি অন্যায় করে, তবে সেই ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্রীয় যে বিচার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,

ঠিক একইভাবে গরিব এবং মধ্যবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে, এমনকি সকল ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রে একই হবে। যাকে বলা হয় আইনের দৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান অধিকার লাভের অধিকারী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেশের শাসন ব্যবস্থা অবশ্যই সমতা প্রদান করা উচিত। সেই জন্য জনগণের মৌলিক চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে আইনগত সমতা। 

৫টি মৌলিক অধিকার কি কি বিস্তারিত আলোচনা
 

ধর্ম প্রকৃতির করণে বৈষম্য না করাঃ ২৮ নং অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রীয়ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে অধিকারটি তা হল ধর্ম বর্ণের বিশেষে সকল জাতি লিঙ্গ বাসস্থান এবং উপসাগত দিক থেকে যে ধরনেরই হোক না কেন নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। সবাই একই দেশের এবং একই মাতৃভূমিতে তাই সবাই একে অপরের ভাই ভাই। তবে আমরা ইতিহাসে দেখে আসছি বিভিন্ন সময়ে ধর্ম নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। 

তবে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, সকল ধর্ম তার নিজ নিজ ধর্ম অবলম্বী মানুষ নিজেদের ধর্ম অনুযায়ী স্বাধীনভবে পালন করতে পারবে। পবিত্র কুরআনের বলা আছে, ধর্ম যার যার ধর্ম সে পালন করবে, ধর্মের মধ্যে কোন জোরজবস্তি চলে না। সুতরাং একটি রাষ্ট্র গঠন করতে যেমন বিভিন্ন ধরনের মানুষ, বিভিন্ন জাতি এবং ধর্ম অবলম্বী ব্যক্তি থাকে। সুতরাং সকলের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। 

গ্রেফতার ও আটকে রক্ষাকবচঃ ৩৩ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে, যদি কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে যথাসম্ভব দ্রুত গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে, এছাড়া তাকে আটক রাখা যাবে না। আটক অবস্থায় ব্যক্তি তার মনোনীত আইনজীবী এবং আত্মপক্ষ সমর্থের অধিকারী দের সাথে দেখা করতেও পারবে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত বা বহরায় আটক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখীন করতে হবে। 

গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হাজির করতে হবে এবং তার আদেশ ছাড়া এর বেশি সময় প্রত্যাহার করা যাবে না। কোন আইন রক্ষাকারী যদি এমন করে তাহলে তাকে আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। যেমন, অনেক সময় দেখা যায়, সন্দেহমূলকভাবে কাউকে গ্রেফর করে, কোন কারণ ছাড়াই 24 ঘন্টার বেশি সময় রেখে দেয় এবং জবাবদিহিতা করে। যদি তার কোন অপরাধ না থাকে তাহলে এটা করা নিষেধ। 

জোর জবরদস্তি মূলক শ্রম নিষিদ্ধঃ ৩৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন ব্যক্তি যদি পরিশ্রম না করতে চাই, তাহলে তাকে অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে শ্রম নিষিদ্ধ। কেউ যদি এটা করে, জোর করে কোন ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করে বলে থাকে পরিশ্রম করিয়ে নেয় তাহলে এই কাজটি আইনের চোখে অপরাধ বলে পূর্ণ হবে এবং এর জন্য সাজা ভোগ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কলকারখানায়, শিশুশ্রম ও জোরজবস্তি মূলক কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। এটা আইনের চোখে অপরাধ ও শাস্তিযোগ্য। 

চলাফেরার স্বাধীনতাঃ ৩৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন মোতাবেক বাংলাদেশের নাগরিকদের সর্বত্র স্বাধীনভাবে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় চলাফেরা করার অনুমতি থাকবে, এছাড়াও যেকোনো স্থানে বসবাস এবং বসতি স্থাপন অথবা বাংলাদেশ ট্যাগ এবং বাংলাদেশ পুনরায় আসার অনুমতি থাকবে। যেমন, কোন ব্যক্তি চাইলে বাংলাদেশে থাকতে পারি এবং বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে থাকতে পারে এবং সেখান থেকে আবার এসে নিজের দেশে থাকতে পারে।

শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি বিস্তারিত 

বাংলাদেশের জন্ম গ্রহণ করা কোন শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি এ বিষয়ে অনেকেই জানেনা। তাই এই মৌলিক অধিকার গুলো কি এবং এর কারণ গুলো কি জয়ের জন্য নবজাতক শিশুর জন্য গ্রহণযোগ্য এবং অতি প্রয়োজনীয়। আসলে এই মৌলিক অধিকারগুলো শিশুর জন্ম থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা সম্পন্ন করে। 

যেমন, বাংলাদেশের যদি কোন শিশু জন্মগ্রহণ করে তবে তার শিক্ষা চিকিৎসা, বাঁচার অধিকার, বাংলাদেশি পরিচয়, পরিবার ও সমাজের ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার, প্রকৃত অর্থে শিশুর অধিকার হলো নাবালকদের বিশেষ সুরক্ষা এবং যত্নের অধিকার নিশ্চিন্ত করে। এই অধিকারটি নিশ্চিন্ত করে মানব অধিকার বিভাগ। মানব পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সার্বজনীন এবং সহজাত ও হস্তান্তরযোগ্য একটি অলংঘনীয় অধিকারী হলো মানবাধিকার। 

এই মানবাধিকার প্রত্যেকটি মানুষের একেক ধরনের অধিকার সেটা তার জন্মগত অবিচ্ছেদ্য। বাংলাদেশ বা দেশের মানুষ মাত্র এই অধিকার ভোগ করবে। সাধারণত ১৮ বছরের নিচে ছেলে এবং মেয়েদেরকে শিশু তার নাবালক মনে করা হয়। তাই এদের জন্য প্রদত্ত যে যে আইন রয়েছে তা শিশু অধিকার বলে বিবেচিত। শিশুর সকল চাহিদার মধ্যে রয়েছে পিতা-মাতা ও উভয়ের সাথে মিলানো সহায়ক এবং দেখা করার অধিকার। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০টি সুবিধা ও অসুবিধা - ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বিস্তারিত জানুন 

এছাড়াও রয়েছে মানুষের পরিচয় শারীরিক সুরক্ষা স্বাস্থ্য খাদ্য সার্বজনীন রাষ্ট্র প্রদত্ত চিকিৎসা শিক্ষা, নাগরিক অধিকার শিশুর জাতি লিঙ্গ যৌন অভিমুখ লিঙ্গ করতে জাতীয় উৎপত্তি। ধর্ম অক্ষমতা রং জাতীয়তা ও অন্যান্য গোষ্ঠীর ভিত্তিতে বৈষম্য থেকে মুক্তি করা। একজন শিশুর ও নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা সাবালক বা স্বায়ত্তশাসিত কর্মকাণ্ডের ক্ষমতা অর্জন করার আগ পর্যন্ত শিশুর শারীরিক মানসিক এবং বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা লালন পালনের অধিকার। 

আন্তর্জাতিক আইনে কিশোরগঞ্জের তরুণদের বসানোর জন্য এর বাইরে আলাদা সংজ্ঞা নেই। তবে শিশুদের অধিকারের ক্ষেত্রে আইন রাজনীতি ধর্ম এবং নৈতিকতার ক্ষেত্রে বিস্তৃত। এর মধ্যে ন্যায্যতা, যেখানে কয়েকটি মানবাধিকার আইন আছে যা উভয় চুক্তি নরম আইন উভয় সাধারণ শিশু নির্দিষ্টতা শিশুর স্বতন্ত্র অবস্থা এবং বিশেষ প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে থাকে। 

শিশুরা তাদের দুর্বলতা এবং খুরশিদ প্রজন্ম হিসেবে তাদের গুরুত্বের কারণে তারা সাধারণত বিশেষ চিকিৎসার অধিকারী এবং বিপদের পরিস্থিতি সহযোগিতা এবং সুরক্ষার অগ্রাধিকার পায়। জেনি কুমার সশস্ত্র সংঘাতে শিশুর নাগরিকদের বিষয়ে যে আন্তর্জাতিক আইন বলেন, এই আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশুদের সশস্ত্র বা বিশ্বের যে কোন পরিচিত এতিম খানায়ে তাদের নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। 

তবে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক পরিচর্যা কালীন পরিবর্তিত যেসব পিতা-মাতা, সমাজ করবে, যুবতী পূর্বে শিক্ষক, এবং অন্যান্যদের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সেই কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত করা হবে। এখানে কেউ কেউ মনে করে এই অবস্থায় শিশুদের নিজেদের উপর অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের দুর্বল করে। আবার লুইস আলথুসার এই আইনি যন্ত্রপাতির বর্ণালীতে এত দূরে গিয়ছেন যে, যেন এটা শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দমন মূলক রাষ্ট্রযন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

শিশুদের অধিকারের ঐতিহাসিক সংজ্ঞা 

শিশুদের ঐতিহাসিক অধিকার নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। এখানে স্যার উইলিয়াম ব্ল্যাক স্টোন ১৭৭৫-১৭৬৯ সালের সময়ে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার তিনটি দায়িত্ব চিহ্নিত করেন, প্রথম রক্ষণাবেক্ষণ সুরক্ষা এবং শিক্ষা, যাকে আধুনিক ভাষায় সন্তানের পিতা-মাতার কাছ থেকে এগুলো পাওয়ার অধিকার বলে বিবেচনা করা হয়।

আবার লিভ অব লেনসন বলেন শিশু অধিকার একটি ঘোষণাপত্র দেন জেনেভা যা শিশু স্বাভাবিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ শিশুকে খাওয়ান অধিকার, অসুস্থকে সুস্থ করার অধিকার, স্বপ্নে পিছিয়ে পড়া শিশুদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, অনাথ বাবা হারা মা হারা শিশুদের আশ্রয় এর অধিকার ও শোষণের অধিকার। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র যা অনুচ্ছেদ ২৫(২) এই মাতৃত্ব এবং শৈশবকে বিশেষ সুরক্ষা ও সহযোগিতা এবং সকল শিশুর সামাজিক সুরক্ষার অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এখানে জাতিসংঘের শিশুদের অধিকারের ঘোষণাপত্রে গৃহীত হয় যে, শিশুদের অধিকারের সার্বজনীনতা ও উন্নয়ন অধিকারের মধ্যে দিয়ে সুরক্ষা অধিকার এবং বৈষম্য থেকে সুরক্ষা অধিকার সহ শিশুদের অধিকারের সুরক্ষার জন্য ১০ টি নীতিমালা ঘোষণা করে। ইসরাইলারি কিংটনের তৎকালীন প্রকাশনায় বলেছিলেন যে শিশুদের অধিকার একটি সংজ্ঞা প্রয়োজনের স্লোগান, 

তবে কার্যগত পুনর্বাসন পরিষেবা রাষ্ট্রীয় পরিচর্যাশ শিশুদর যত্ন সুরক্ষা জাতি বর্ণ ধর্ম সকল বিষয়ে জাতীয় উৎপত্তি ধর্ম অক্ষর ও বৈশিষ্ট্যসহ স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং ওকালতি। এ কিছু শ্রেণীবিভাগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের শিশুদের দুই ধরনের মানবাধিকার রয়েছে। প্রথমত প্রাপ্তবয়স্কদের মতো মৌলিকতার সাধারণত মানবাধিকার রয়েছে। আবার কিছু মানবাধিকার যেমন বিয়ের অধিকার তাদের বয়স না হওয়া পর্যন্ত সুপ্ত থাকে। 

দ্বিতীয়ত তাদের বিশেষ মানবাধিকার রয়েছে যা তাদের সংখ্যালঘু অবস্থায় তাদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। শৈশব থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া। ছাড়া শিশুদের মানবাধিকারের মধ্যে রয়েছে অন্যতম বিশেষ অধিকার এবং নাম ধারণের অধিকার শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত প্রকাশের অধিকার, স্বাধীন চিন্তা করার অধিকার ধর্ম অধিকার স্বাস্থ্যসেবা অধিকার এবং অর্থনৈতিক ও যমুনা শোষণ থেকে রক্ষার অধিকার। 

প্রকৃত অর্থে শিশুদের অধিকার অসংখ্যভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যেমন নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার ও সাস্কৃতিক অধিকার। এখানে দুই প্রকারের অধিকার রয়েছে একটি হলে শিশুদের স্বায়ত্তশাসিত ব্যক্তি হিসেবে সমর্থন করা এবং যারা নির্ভরতার কারণে শিশুর উপর সংঘটিত ক্ষতি থেকে সুরক্ষার জন্য সমাজের কাছে দাবি করে এগুলোকে ক্ষমতায়নের অধিকার এবং সুরক্ষা অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 

শিশুদের জন্য জাতিসংঘের ব্যক্তি শিক্ষাগত নির্দেশনা গুলির শিশু অধিকার সংক্রান্ত কোন ভেজনে বর্ণিত যে অধিকারগুলো 3ps হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় তা একটি হচ্ছে বিধান, সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ। এরমধ্যে প্রথমে রয়েছে বিধান, শিশুদের পর্যাপ্ত জীবনযাত্রার অধিকার স্বাস্থ্যসেবার চিকিৎসা শিক্ষা খেলাধুলা ও বিনোদনের অধিকার। এছাড়া সুষম খাদ্য, ঘুমানোর জন্য একটি উষ্ণ বিছানায় এবং স্কুলে পড়াশোনা করানোর জন্য পরিবেশ অধিকার।

শিশুদের অধিকারের ঐতিহাসিক সংজ্ঞা  

আরেকটি হচ্ছে সুরক্ষা, শিশুদের অপব্যবহার এবং অবহেলা এবং শোষণ এবং বিভিন্ন বৈষম্য থেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে। এর মধ্যে শিশুদের নিরাপদে থাকার অধিকার ও খেলাধুলার অধিকার, গঠনমূলক শিশু লালন পালনের আচরণ এবং শিশুদের বিকশিত করে তোলার ক্ষমতার স্বীকৃতি। সর্বশেষ রয়েছে অংশগ্রহণ। শিশুদের সমাজে কমিউনিটিতে অংশগ্রহণের অধিকার আছে এবং নিজেদের জন্য প্রোগ্রাম বা সেবা আছে।

যার মধ্যে রয়েছে লাইব্রেরী কমিউনিটি প্রোগ্রামের শিশুদের অংশগ্রহণ করার অধিকার, তরুণদের ভয়েজ ক্রিয়া-কলাপ এবং শিশুদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। একইভাবে শিশুদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক অধিকারকে দুই গ্রুপে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এখানে প্রথমে রয়েছে অর্থনৈতিক সামাজিক ও সংস্কৃতির অধিকার যা মৌলিক মানুষের চাহিদা, যেমন, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, লাভজনক কর্মসংস্থান পূরণের প্রয়োজনীয় শর্ত গুলি অধিকার।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন ১ মিনিটে কি উপায় জানুন

আবার পর্যাপ্ত খাদ্যজাল স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতা মান কর্মক্ষেত্রের অধিকার সেই সাথে সংখ্যাগুরু এবং আদিবাসীদের সংস্কৃতির অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা। অপরদিকে রয়েছে পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক গত উন্নয়নমূলক অধিকার। যাকে কখনো কখনো তৃতীয় প্রজন্মের অধিকার বলা হয়ে থাকে। নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বসবাসের অধিকার সহ জনগণের গোষ্ঠীর সংস্কৃতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অধিকার ও থাকে। 

এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল খেলা করার চারটি অধিকার নিশ্চিন্ত করে তার মধ্যে রয়েছে প্যারোল ছাড়া কিশোর কারাবাসের অবসান, রয়েছে শিশুদের সাময়িক ব্যবহার বন্ধু ২১ বছরের কম বয়সী মানুষের মৃত্যুদণ্ডের সমাপ্তি। বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। এই জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি আন্তর্জাতিক প্রচার সংগঠন যা শিশুশ্রম কিশোর বিচার এবং এতিম ও পরিত্যক্ত শিশু শারীরিক শান্তি ইত্যাদি ব্যাপারে কাজ করে। 

  • পান্ডিত্বপূর্ণ পড়াশোনা সাধারণত স্বতন্ত্র অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করে শিশুদের অধিকারের দিকে মনীষ করে থাকে। নিচে সেই অধিকার গুলো উল্লেখ করলাম যা শিশুদের সুস্থ মুক্তভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অনুমতি দিয়ে থাকে। 
  • বাক স্বাধীনতা, মানুষ তার নিজের মনের ভাব কে তার উপযুক্ত পরিবেশ অনুযায়ী এবং যেকোনো পরিবেশে প্রকাশ করার জন্য অধিকার আছে যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 
  • চিন্তার স্বাধীনতা, মানুষ তার জীবন এবং নিজের সকল বিষয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারবে। একজন শিশুর জন্য ভয় মুক্তভাবে চিন্তা করার স্বাধীনতা বা অধিকার থাকতে হবে। 
  • ভয় থেকে মুক্তি, শিশুকে বেড়ে ওঠার জন্য এবং সকল কিছু বুঝে শিখে জানার জন্য তাকে ভয়মুক্ত রাখতে হবে এটাও তার মানবাধিকার এবং অন্যতম একটি অধিকার। 
  • স্বাধীনভাবে পছন্দ করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকতে হবে। যাতে সে তার স্বাধীনতা এবং পছন্দকে প্রকাশ করতে পারে। 

কারো শরীরের উপর মালিকানা থাকা যাবে না। নিজের শরীরের উপর নিজের মালিকানা সম্পূর্ণভাবে থাকবে। তাই আমরা নিচে যাব মানুষের শারীরিক অধিকার গুলো কি এবং সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোচনা। একজন মানুষ বিভিন্নভাবে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করা হয়। সুতরাং আপনি জেনে নিন শারীরিক অধিকার গুলো সম্পর্কে। 

শিশুর শারীরিক অধিকার 

একজন শিশুর শারীরিক অধিকার বলতে তার শরীরের সকল বিষয়ে তার সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের সংসদীয় পরিষদের সামাজিক বিষয়, স্বাস্থ্য এবং টেকসই উন্নত বিষয়ক কমিউনিটি একটি প্রতিবেদন থেকে জানানো যায় যে, উদ্বিগ্ন বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে চিহ্নিত রয়েছে, মেয়েদের যৌনাঙ্গ বিচ্ছেদ, ধর্মের কারণে ছোট ছেলেদের খতনা, ইন্টারসেক্স শিশুদের ক্ষেত্রে শৈশবকালীন মেডিকেল হস্তক্ষেপ। 

এছাড়াও শিশুদের ছিদ্র টাট্টু প্লাস্টিক সার্জারির জমা দেওয়া বাধ্য করা।২০১৩ সালে একটি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয় যা তার সদস্য রাষ্ট্রকে শিশুর শারীরিক অখণ্ডতা বৃদ্ধির জন্য অসংখ্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় রাখে। তাই শিশু অধিকার সংক্রান্ত কনভেশনের অনুচ্ছেদ ১৯ এই দলটিকে সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা শোষণাঘাত ও অপব্যবহার অবহেলা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। 

শিশুকে যথাযথভাবে আইনি উপায়ে রক্ষা এবং প্রশাসনিক সামাজিক শিক্ষাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলে। শিশুর এই নিরাপত্তার আইনে রয়েছে শারীরিক শাস্তি একেবারে নিষিদ্ধ। সমস্ত রাষ্ট্রীয় দলের নিষিদ্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বাধ্যতামূলক কথা এবং শারীরিক শাস্তি থেকে দূর করার মন্তব্য করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির অনুচ্ছেদ ৭ এ বলে। 

যাতে শিশুদের শারীরিক শাস্তি সহ শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর অমানবিক ও অবমাননার আচরণ না করে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। নিউ এল যুক্তি দিয়েছেন যে, শিশুদের শারীরিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সকল শিশুদের অধিকারের জন্য চাপ দেওয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। অন্যান্য সমস্যাগলো শিশুদের অধিকার কে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য সমস্যা রয়েছে শিশুদের সাময়িক ব্যবহার এবং শিশুদের বিক্রি, শিশু পতিতাবৃত্তি এবং শিশু ফটোগ্রাফি।

মৌলিক অধিকার কেন প্রয়োজন 

মৌলিক অধিকার কেন প্রয়োজন এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট থাকা উচিত। মানুষ সামাজিক জীব সমাজে বসবাস করে, তাই সমাজের সকল সুবিধা অসুবিধা তাকে উপভোগ এবং ভোগ করতে হয়। সুতরাং আপনি যদি সমাজের মৌলিক চাহিদাগুলো সম্পর্কে না জানেন তাহলে সে চাহিদা গলো থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। আসলে মৌলিক চাহিদাগুলোর হলো, যা একজন মানুষের দীর্ঘদিন সমাজে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।

মৌলিক অধিকার কেন প্রয়োজন
 

একজন মানুষ সমাজে প্রচলিত সকল সুযোগ সুবিধা উপভোগ করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন নিয়ম বা আইন তৈরি করা হয়ে থাকে। যাতে সকল শিশু রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সবিধা অধিকার লাভ করে। যদি বলি একটি ক্লাসরুমে দশটি ছাত্র রয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ১০ দেওয়া হয় এবং বলা হয় যে কিছু চকলেট নিয়ে আসো। এবং বাকি পাঁচজনকে বলা হয় তোমরা ৫ টাকা নিয়ে ১০ টি চকলেট নিয়ে আসো।

তবে দেখা যাবে যে পাঁচজনকে ১০ টাকাতে ১০টি চকলেট আনতে বলা হয়েছে তারা সফলভাবে ১০ টাকা দামের চকলেট নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু যাদেরকে ৫ টাকা দিয়ে দশটি চকলেট আনতে বলা হয়েছে তারা কখনোই এক টাকা দামের দশটি চকলেট ৫ টাকায় নিয়ে আসতে পারবে না। ঠিক তেমনি একটি দেশের সকলের প্রতি সমান অধিকার এবং সমান সম্মান না দিলে তাদের সামাজিক বেড়ে ওঠার ক্ষমতা কমে যাবে সমান হবে না। 

সুতরাং আপনাকে একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে, রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে সবার প্রতি সমান অধিকার থাকতে হবে। তাই মৌলিক অধিকার প্রয়োজন মানুষের সমাজে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য। সমাজের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে মানুষ সঠিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে যার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের সমাজের অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যদি শিশু এবং বৃদ্ধ হয় তবুও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে হলেও সমান অধিকার দেওয়া উচিত। 

মানুষের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্নঃ মৌলিক চাহিদাগুলো কি কি? 

উত্তরঃ মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো হলো বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন হয় সমাজের মানুষের সকল কিছুই তার মৌলিক চাহিদা। তবে এর মধ্যে কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলো ছাড়া মানুষ সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবে দীর্ঘদিন জীবনযাপন করতে পারে না। যেমন, একজন মানুষের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা অবশ্যই প্রয়োজন।

প্রশ্নঃ চারটি মৌলিক চাহিদা কি কি? 

উত্তরঃ আসলে আমাদের মৌলিক চাহিদা পাঁচটি তবে যে চারটি আমাদের অত্যাবশ্যক তা হচ্ছে খাদ্য, আশ্রয়, পোশাক ও স্বাস্থ্যসেবা।

প্রশ্ন; জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের পাঁচটি উপায় কি কি? 

উত্তরঃ জনসংখ্যা সমাধানের জন্য যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় তা হচ্ছে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য সেবার প্রসার, আমার কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। 

প্রশ্নঃ সমাজের উপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব কি কি? 

উত্তরঃ সমাজের উপর যে প্রধান তিনটি জনসংখ্যা সমস্যা তা হচ্ছে, পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পরে, বনভূমি ও বিভিন্ন পরিবেশ দূষণ ঘটে। বেকারত্ব ও দারিদ্রতা বৃদ্ধি পায়। ইসরো জনসংখ্যা বৃদ্ধি হলে রাষ্ট্রীয় সকল নাগরিকের উপর সকল মৌলিক চাহিদার সংকটের প্রভাব পড়ে। 

প্রশ্নঃ সর্বোত্তম জনসংখ্যা কি? 

উত্তরঃ সর্বোত্তম জনসংখ্যা হল জনসংখ্যার আকার বা মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি বড় বিষয় হচ্ছে আয়। সর্বোত্তম স্তরের উপরে এবং নিচে জনসংখ্যার আকার বৃদ্ধি ও হ্রাসে আয় হ্রাস। আসলে একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ফুল উৎপাদন কৌশল এবং মূলধনের স্টক দেওয়া হলে এটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার আকার থেকে সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের সাথে মিলে। 

প্রশ্নঃ গণবিস্ফোরণ কি?

উত্তরঃ গণবিস্ফোরণ হল একটি এলাকার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে জনসংখ্যার দূরত্ব বৃদ্ধি কে বোঝায়। আসলে এটি এমন একটি পরিপন্থী যেখানে অর্থনীতির জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম থাকে না। এক কথায় অল্প জায়গায় অনেক জনসংখ্যা বৃদ্ধি হঠাৎ হলে তাকে গণবিস্ফোরণ বলে। 

প্রশ্নঃ কাম্য জনসংখ্যা কি? 

উত্তরঃ কাম্য জনসংখ্যা হল কোন দেশের সেই অঞ্চলের সেই জনসংখ্যা যা সম্পদ ও সুযোগ-সবিধা গুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে। 

প্রশ্নঃ বৃহত্তম জনসংখ্যা তন্ত্র কি? 

উত্তরঃ সর্বোত্তম জনসংখ্যা বলতে আমরা বুঝি বা বৃহত্তম জনসংখ্যার মধ্যে বোঝা যায় আদর্শ জনসংখ্যা যার একটি দেশের সম্পদ বিবেচনা করা উচিত এবং সেই সম্পদের অনুযায়ী জনসংখ্যা আকার এবং সকল ব্যবহারের সুবিধা। জনসংখ্যা সর্বোত্তম আকার হল সেটি বিদ্যমন প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রযুক্তির একটি প্রদত্ত অবস্থান যার সাথে দেশের মাথাপিছু আয়ের একটি মিল রয়েছে। আসলে সর্বোত্তম জনসংখ্যা মানে একটি দেশের জনসংখ্যা সেরা এবং সবচেয়ে পছন্দসই আকার।

প্রশ্নঃ জনসংখ্যা তন্ত্রের জনক কে? 

উত্তরঃ জনসংখ্যা তত্ত্বের জনক হচ্ছে টমাস রবার্ট মাল থাস তিনি প্রভাবশালী ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ যার জনসংখ্যা বৃদ্ধির তন্ত্রের জন্য একটি পরিচিতি রয়েছে। তিনি ১৭৯৮ সালে জনসংখ্যার নীতির উপর একটি রচনা বই বর্ণিত করে।

প্রশ্নঃ মূলনীতি শব্দের অর্থ কি? 

উত্তরঃ মূলনীতি শব্দের অর্থ হলো মৌলিক নীতি যা কোন কিছু পরিচালনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। মূলনীতি বলতে বোঝায় মৌলিক নীতি ও আদর্শ যে নীতির উপর ভিত্তি করে কোন কিছু পরিচালিত হয় কোন সিস্টেম বা সংগঠন বা আদর্শের ভিত্তি। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য মানুষের মৌলিক চাহিদা নিয়ে 

মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি এবং কি কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই পোস্টটি আলোচনা করেছি বিভিন্ন দার্শনিক এবং বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করা রাষ্ট্রীয় জনগণের জন্য প্রযোজ্য মৌলিক চাহিদা ও অধিকার সমূহ সম্পর্কে। যে মৌলিক অধিকার একজন মানুষের সমাজে বসবাস ও সমাজে সঠিকভাবে জীবনযাত্রা অতিবাহিত করার নিশ্চয়তা দান করে। 

এখানে প্রাপ্তবয়স্ক শিশু এবং সকল মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার রয়েছে। যা একজন মানুষের সুস্থতা এবং সকল দিক সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য অন্যতম চালিকাশক্তি। তাই আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে নিজের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার বুঝে নিবেন এবং অন্যকে তার অধিকার ও চাহিদা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করবেন। 

এটাই আজকের এই পোস্ট লিখার মূল উদ্দেশ্য যাতে সকল মানুষ সচেতনভাবে মৌলিক অধিকার ও বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং তার বাস্তবিক জীবনে পরিলক্ষিত করতে পারে। একজন সঠিক সচেতন মানুষই সঠিক এবং সুস্থ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। সুতরাং সচেতনভাবে আমাদেরকে সমাজের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার বজায় রেখে চলতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url