বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম আবেদন প্রক্রিয়া জানুন

আপনি কি ঘরে বসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনযোগ সরকারে পড়ে জানুন বিস্তারিত কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম আবেদন প্রক্রিয়া জানুন 

কারণ একটা সময় পাসপোর্ট করার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, তবে বর্তমানে অনলাইন ব্যবস্থায় আপনি সহজেই ঘরে বসে এই কাজগুলো করতে পারবেন। তাই সঠিকভাবে আবেদন করার প্রক্রিয়া ও সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম আবেদন প্রক্রিয়া জানুন

ভূমিকা 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করছে তা পর্যায়ক্রমে আপনাদের নিয়মগুলো জানানো হবে। আপনি নিজে দেওয়া তথ্যগুলো দেখে পর্যায়ক্রমে নিজেই হাতের মোবাইল, কিংবা কম্পিউটার লেফটেন্যান্ট এর মাধ্যমে কি প্রক্রিয়ায় আবেদন করবেন। সেই প্রক্রিয়া গুলো সঠিকভাবে পূরণ করার জন্য সঠিক গাইডলাইন এর প্রয়োজন যার জন্য আজকের আর্টিকেলটি।

সাধারণত বাংলাদেশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য সরকারি পরিচয়পত্র হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যে উপকারিতা গুলো পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের সময় আপনার পরিচয় ও বাংলাদেশী নাগরিকত্বের প্রমাণ। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের অনুমতি বিমান স্থল জলপথে যেকোনোভাবে পাসপোর্ট অপরিহার্য। 

আরো পড়ুনঃ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদেশে শ্রমিক নিয়োগ ২০২৫ অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া 

বিদেশে সুরক্ষা ও কোন সোলার সহযোগিতায় বিদেশের যে কোন সমস্যা দেখলে বা সমস্যার মধ্যে পড়লে আপনাকে বাংলাদেশের এই প্রমাণপত্র বা পাসপোর্ট দেখে হাই কমিশন আপনার সাহায্য সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়া আপনি ব্যাংক ভিসা ও অন্যান্য নথি, আন্তর্জাতিক ব্যাংক একাউন্ট বিদেশ শিক্ষা চাকরি শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট এর ধর্ম ই-পাসপোর্ট ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বর্তমানে ইস্যু করা হয়। 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ খরচের নিয়ম রয়েছে সে বিষয়গুলো আমাদের জানা জরুরী। বিশেষ করে আমরা যারা বিভিন্ন দেশে ঘোরাঘুরি করি অথবা পড়াশোনার সহ বিভিন্ন কাজে যাওয়া আসা করে তাদের জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য যে বিষয়গুলো জানতে হবে তার ধারাবাহিক আলোচনা আপদের জন্য নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হয়েছে। 

প্রথম ধাপ, প্রথমে একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে যেখানে একটি আপনার একাউন্ট এ লগইন করতে হবে, সেই ওয়েবসাইটটি হল epassport.gov.bd এখানে আপনার একাউন্টটি লগইন করতে হবে। লগইন করার পর আপনার সামনে একটি ড্যাশবোর্ড আসবে সেখানে Apply for a new e- passport লেখা থাকবে সেই বাটনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে ক্লিক করলে নতুন আবেদন ফরম শুরু হবে। এবং একাউন্টের মধ্যে ঢুকলে আপনাকে যেই ইন্টারফেসটি প্রথমে দেখাবে। জাতীয় পরিচয় পদ অনুযায়ী সকল তথ্য দিলেই সঠিক ফল পাবেন। 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

দ্বিতীয় ধাপ, নতুন পৃষ্ঠায় আসার পরে প্রথমে পাসপোর্ট এর ধরন নির্বাচন করতে হবে, এরপর এখানে সাধারণ ব্যক্তির জন্য ordinary passport নির্বাচন করতে হয়, এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে official passport নির্বাচন করতে হয়। নিচে দেওয়া ইন্টারপোর্সে আপনি এই কাজগুলো এখানে প্রয়োজন নির্বাচন করার পর save and continue বাটনে ক্লিক করুন। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ইন্টারফেসটি দেখুন।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

তৃতীয় ধাপ, এরপর আপনি নতুন একটি ইন্টারফেস পেয়ে যাবেন। এরপর personal information ধর্মে প্রথমে I apply for myself অপশন এ ক্লিক করেটিক মার্ক করতে হবে। এরপর আপনার নাম ও রেজিস্ট্রেশন তথ্যের নিজেই সে হিসেবে সেভ হয়ে আসবে। এরপর বাকি তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে যেমন, আপনার নাম ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী, জেন্ডার, বর্তমান পেশা, ধর্ম, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ সমস্ত তথ্য জাতীয় পর্যায়ে পত্র অনুযায়ী দিতে হবে। এরপর সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে save and continue বাটন নিচের দিকে থাকবে ক্লিক করতে হবে। 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

এরপর address ধর্মের এখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা, থানা, ডাকঘর, পোস্টাল কোড, গ্রাম, রাস্তা, ইত্যাদি সকল তথ্য সঠিকভাবে মিলিয়ে দিতে হবে। কেউ বিদেশে থাকলে বিদেশি ঠিকানা দিতে হবে যদি থাকে সে ক্ষেত্রে। এরপর যদি আপনার আগের এড্রেস এবং এখানকার এড্রেস একই না হয় সেক্ষেত্রে ভালোভাবে মিলিয়ে দেখতে হবে। কারণ আপনার বর্তমান এড্রেসে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আসবে এবং সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার পর seven continue বাটনে ক্লিক করতে বের পর নিচে আসবে পরের অংশ আইডি ডকুমেন্ট। 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

ডকুমেন্টগলো পূরণ করার পর এখানে একটা জিনিস ভালোভাবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হলো আপনি পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে সে পাসপোর্টে আছে যদি MRP পাসপোর্ট হয় তাহলে এক নাম্বার যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে দুই নম্বার এবং যদি একদম নতুন হয়ে মানে আগের কোন পাসপোর্ট নেই সেক্ষেত্রে তিন নাম্বার সিলেক্ট করতে হবে। তবে এক নম্বর অথ দুই নম্বর হলে সেখানে ইনফরশন দিতে হবে আগের পাসপোর্ট এর, তারপর নিচে দেওয়া আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে save and continue ক্লিক করতে হবে। 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

চতুর্থ ধাপ, এরপর পর পরবর্তী অংশে আপনার পিতা-মাতার তথ্য দিতে হবে। এখানে আপনার পিতা-মাতার পূর্ণ নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং তাদের পেশা। আমার পিতার ইনফরশন দিতে হবে তারপর নিচে মায়ার এবং ১৮ বছরের নিচে যদি হয় বা শিশু হয় সেক্ষেত্রে বাবা মায়ের এনআইডি কার্ড নম্বর হবে। শব্দটির সঠিক ভাবে নিচে দেওয়া ছবিতে যেভাবে দেওয়া আছে এ ধরনের ইন্টারফেসে তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

তারপরে বৈবাহিক অবস্থায় নির্বাচন করুন, এখানে অবিবাহিত হলে সিঙ্গেল সিলেক্ট করতে হবে, বিবাহিত হলে স্বামী স্ত্রীর নাম এবং তাদের আইডি কার্ড এবং পেশার তথ্য দিতে হবে, পাশাপাশি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে দেওয়া হয়ে গেলে আপনি আমার পুনরায় নিচের জিকে স্কল করলে save and continue বাটন পাবেন এবং সেখানে ক্লিক করে দিন।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম 

তারপর emergency contact মানে জরুরী যোগাযোগের জন্য ফরম পূরণ করতে হবে এখানে একজন পরিচিত লোকের তথ্য দিতে হবে যিনি বিশ্বস্ত এবং আপনার পরিচিত। তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক কি তাও বলে দিতে হবে। বড় ভাই অথবা আত্মীয়-স্বজন যাই হোক না কেন এবং এই তথ্যগুলো পুলিশ যাচাইদের জন্য ব্যবহৃত হয় তাই সবসময় সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে সেভ এন্ড কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হয়।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

পঞ্চম ধাপ, এই ধাপে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে passport options এ চলে আসবে সেখানে প্রবেশ করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাতার সংখ্যা মেয়াদ নির্ধারণ করুন। মেয়াদ হিসেবে ৫ থেকে ১০ বছর বেছে নিতে পারেন, কম মেয়াদের কি কম এবং বেশি মেয়েদের ফি বেশি। আপনার নির্ধারিত পাসপোর্ট সিলেক্ট করার পর save and continue বাটনে ক্লিক করতে হবে। নিচের ইন্টারফেসটি দেখলে বুঝতে পারবেন। 

বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

উক্ত বিষয়গলো থেকে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আবেদন প্রক্রিয়া। তাহলে ডেলিভারি অপশনে অর্জুন এর পর যে কাজগুলো করবেন। সেলফি অপশন আসবে এবং সেখানে regular বা express নির্বাচন করতে হবে। Regular হলে আনুমানিক ২১ দিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্টটি পাওয়া যাবে, আর যদি এক্সপ্রেস হয় তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে এক্সপ্রেসে হলে ফ্রি বেশি। সকল তথ্য পূরণ শেষে Seve and continue বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

এই তথ্যগুলো দেওয়ার পর যদি কোনভাবে দেখেন যে কোনো  অমিল হয় তথ্য গুলোর মধ্যে সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে চেঞ্জ করতে পারবেন, এডিট অপশনে প্রবেশ করে এই তথ্যগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন এবং আশা করি আপনি এই তথ্যগুলো দেখে খুব সহজেই বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে মেনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন আমরা জানবো নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত।

নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি

নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি ব্যবহার করতে হবে সেই বিষয়ে আমাদের সঠিক তথ্য জানা উচিত। সাধারণত নতুন পাসপোর্ট করার জন্য যে কাগজপাতি গুলো অত্যন্ত জরুরী। এর মধ্যে রয়েছে জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র। আপনার বয়স যদি ১৮ নিচে হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে জন্ম নিবন্ধনের কাগজ এবং আপনার পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।

  • ২০ বছর হলে সর্বোচ্চ তার নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড। কম বয়সীদের জন্য ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। 
  • নমিনি করার জন্য তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে, পাশাপাশি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। 
  • অনলাইন আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইট থেকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। সে ফর্মটি পূরণ শেষে আপনি application summary and registration form পেয়ে যাবেন। 
  • এ ফোনে দেওয়া তথ্যগুলো আপনার এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে মিলে যায় সেটা খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে, এছাড়া পাসপোর্ট পেতে সমস্যা হবে। 
  • যদি আপনি চাকরি করেন তাহলে অফিসের আইডি কার্ড লাগবে, যদি ছাত্র হন তাহলে ছাত্রদের প্রমাণ দিতে হবে যেমন স্কুল সার্টিফিকেট বা কলেজ সার্টিফিকেট। 

এই তথ্যগুলো জমা দিলে আশেপাশে আপনি যদি গৃহিণী হন বা শিশু হন বা কোন চাকরি না করেন তাহলে এসব ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। বিবাহিত হলে স্বামী বা স্ত্রীর ফর্ম দিতে হবে এবং প্রয়োজনে ম্যারিড সার্টিফিকেট দিতে হবে। এই তথ্যগুলো জমা দিলে আপনি খুব সহজেই সরকারিভাবে পাসপোর্ট তৈরি করে আপনি ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। আবেদনকারী ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন জানুন। 

আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন

আপনি যদি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে না জানেন তাহলে নিচে দেওয়া তথ্য গলো দেখুন । নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে নিজের ব্যক্তিগত সকল তথ্য সঠিকভাবে জমা দিতে হবে। আবেদন করার সময় যে ফরম পূরণ করবেন সেই ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে কোন উপকার ভুল করা চলবে না। আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং সকল তথ্য দেখে দেখে পূরণ করতে হবে। 

অনেক সময় দেখা যায় নামের বানান জন্ম তারিখের উল্টাপাল্টা এ সমস্যাগুলো হয়ে যায়। টাইপ সম্পূর্ণ করার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে ঠান্ডা মাথায় ফরম পূরণ করতে হবে। প্রথমে ফরম পূরণ করার পর আপনার নাম গুলো যে লিখেছেন সেই নামগুলো বানান ঠিক আছে কিনা? জাতীয় পরিচয় পত্র সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা সকল অক্ষর সঠিকভাবে সাবমিট করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন ১ মিনিটে কি উপায় জানুন   

জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, বর্তমান ঠিকানা, ফোন নাম্বার সহ এনআইডি কার্ডের সকল তথ্য গুরুত্বপূর্ণভাবে আপনাকে প্রবেশ করাতে হবে। যদি একটি শব্দ ভুল হয় তাহলে আপনি যে আবেদনটি করেছেন সে আবেদনটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই ঠিকানা দেওয়ার সময় বর্তমান আর স্থায়ী দুই ঠিকনায় লিখবেন এবং খেয়াল রাখবেন যেটা এনআইডি অনুযায়ী কাগজে আছে সেই নাম দিতে হবে এবং ঠিকানা। 

অনেক সময় ফোন নম্বর আর ইমেইল নম্বর ঠিকানা দিতে হয় কারণ পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে এসএমএস পাওয়া ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য দেওয়া হবে। সেখানে তথ্য দেওয়ার পর ফর্মে স্বাক্ষর করবেন কিন্তু তার আগে একবার ভালোভাবে দেখে নিবেন নাম ঠিকানা এনআইডি কার্ড সহ সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা। সকল তথ্য ঠিক থাকলেই আপনি স্বাক্ষর করবেন এছাড়া যদি কোন ভুল থাকে সে ক্ষেত্রে পুনরায় আবার তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। 

১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কি জানুন

১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কি জানুন। সাধারণত যাদের বয়স ১৮ এর নিচে তাদেরকে নাবালক বলে বিবেচনা করা হয়, অর্থাৎ তাদের সকল কাজ করার জন্য প্রাপ্ত বয়স হয়নি বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে তাদের যদি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় তাহলে তারা শিশুর ক্ষেত্রে যে নিয়ম সেই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী যে নাম এবং যে তথ্যগুলো থাকবে সেই তথ্যগুলো সাবমিট করতে হবে।

১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কি জানুন

পাশাপাশি যেহেতু সে শিশু তার জন্য তার পিতা-মাতার জাতীয়  পরিচয় পত্রের সকল তথ্য ব্যবহার করতে হবে এবং তাদের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বার ব্যবহার করে সেই তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার জন্য এই তথ্যগুলো পূরণ করার সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য পূরণ করতে হবে তাহলে আপনি ১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার জন্য সহজে আবেদন করে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জানুন

বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেই তথ্যগুলো আমাদের সবার জানা উচিত। সাধারণত যারা বিবাহিত তাদের নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে। প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি একসঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। বিবাহিত হলে অবশ্যই বিবাহিত যে সনদ সেটা জমা দিতে হবে প্রমাণ স্বরূপ। যদি আগের পাসপোর্ট থাকে তাহলে কপি ও মূল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক করুন ১ মিনিটে 

বিশেষ করে বিদেশে যাত্রা জন্য অথবা নতুন পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার সময় শত কাগজপত্র নির্ভুল হওয়া জরুরী এছাড়া আপনি বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। দেখা যায় অনেকেই বিবাহিত কিন্তু অবিবাহিত হিসেবে পাসপোর্ট করতে চাই সে ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ঠিকানা প্রণয়নের জন্য বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট কপি সঙ্গে রাখতে পারেন। কাগজপত্র সঙ্গী রাখলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং নতুন পাসপোর্ট দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়ে যায়। 

ঠিকানা সংক্রান্ত ও তথ্য গ্রহণের সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয় 

ঠিকানা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে পাসপোর্ট এর ফর্মের ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যগুলো অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিল থাকতে হবে। সাধারণ অর্থে এগুলো ভুল হলে আপনার পাসপোর্ট যাচাই করনের সময় বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই ভালোভাবে ঠিকানা পূরণের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি একই না হয় তাহলে যেটা আছে সেটাই হবে স্থায়ী ঠিকানা আপনার স্থায়ী বসবাসের ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনি বসবাস করছেন। 

এ ঠিকানা নির্ভুলতা এবং সঠিক যাচাই করার জন্য আপনার যদি বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল অথবা বিভিন্ন ধরনের যে বিষয় রয়েছে যেমন উপরে আমরা উল্লেখ করেছি রাস্তা ওয়ার্ড নম্বর মহল্লা শহর জেলা গ্রাম এবং হোল্ডিং নম্বরসহ যে বিষয়গুলো থেকে আপনার ঠিকানা সহজেই উদ্ধার করা যাবে। এক কথায় আপনাকে খুঁজে বের করার জন্য যেই তথ্যগুলো প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো অবশ্যই ঠিকানা যুক্ত করার সময় সঠিক তথ্য দিতে হবে। 

পূর্বের পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য যেভাবে যুক্ত করবেন 

আপনার যদি পূর্বের পাসপোর্ট থাকে তাহলে কিভাবে যুক্ত করবেন সেই তথ্যগুলো এটা অনেকেই জানেন না। যদি আমার আগের কোন পাসপোর্ট থাকে তবে নতুন পাসপোর্ট আবেদন করার সময় সে পাসপোর্ট এর দেওয়া তথ্যগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কাজে দেবে। উপরে বলা হয়েছে যাদের দুইটি বা দ্বিতীয়বার পাসপোর্ট তারা দ্বিতীয়তে ক্লিক করবেন এই উপায়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারবে আপনার আগেও একটি পাসপোর্ট ছিল। 

আরো পড়ুনঃ বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং কার্যকারিতা 

প্রথমে পুরনো পাসপোর্ট নম্বর ইস্যু তারিখ এবং শেষ মেয়াদ ঠিকানা লিখুন। এরপর আপনি নিশ্চিত করুন যে পাসপোর্টটি আবেদন হোক স্বচ্ছ এবং পরবর্তী রেকর্ডের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি হচ্ছে। আগের পাসপোর্ট এবং নতুন পাসপোর্ট একই তথ্য থাকতে হবে। এবং পুরনো পাসপোর্ট এর মূল ও ফটোকপি সঙ্গে নিতে হবে অনেক সময় অফিসে জমা দেয়ার সময় যাচাই প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়।

আপনি যদি হারিয়ে যান মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তবুও ফর্মের পরবর্তী পাসপোর্ট এর তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আবেদন করার পর দ্রুত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় এবং নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য উপকারী। যাদের আগে থেকে পাসপোর্ট করা রয়েছে তারা খুব দ্রুত পরবর্তী নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য এই তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন এটা অত্যন্ত কার্যকর এবং নিশ্চিন্ত। 

পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন 

পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার আগে যে বিষয়গুলো আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে তা সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য বলেছি। আপনার পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো ভালো করে জানা উচিত এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ব্যক্তিগত সকল তথ্য, যেমন, আপনার নাম, বর্তমান ঠিকানা, পিতা মাতার নাম, ভোটার আইডি কার্ডের পরিচয় পত্র নম্বর জন্ম নিবন্ধন সনদ সহ প্রমাণিত সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা। 

আরো পড়ুনঃ আশা এনজিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ ও বিভিন্ন পদের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া  

সে বিষয়ে নিশ্চিন্তভাবে জেনে নিতে হবে। পাশাপাশি আপনি ফ্রি জমা দেওয়ার রশিদ আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কপি এবং ছবি সহ একই সাথে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখবেন। সাবমিট করার পূর্বে পাসপোর্ট এর সকল তথ্য মিলিয়ে দেখবেন এবং কোন ভুল থাকলে সেটা পুনরায় ঠিক করে তারপরে আবেদন ফরমে তথ্য সাবমিট করবেন। অনেক সময় তাড়াহুড়া করে কম পূরণ করে ভুল থেকে যায় তাই আপনাকে অবশ্যই ঠান্ডা মাথায় সকল তথ্য নির্ভুলভাবে সাবমিট করতে হবে। 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কোন তথ্যের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ ভুল বানান, নাম্বার ভুল এবং যেকোনো প্রকার ভুল থাকলে আপনার পাসপোর্টটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কিভাবে পূরণ করবেন

পেশা ও যোগ্যতা সম্পন্ন তথ্যগুলো পূরণ করার জন্য তাকে যে কাজটি করতে হবে তার মধ্যে প্রথমে আপনাদেরকে বলবো পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের পেশায় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত অংশটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই গুরুত্ব দেন নাই যার কারণে তাদের পাসপোর্ট পেতে অনেক সমস্যা এবং দেরি হয়ে থাকে। সাধারণত সঠিকভাবে পূরণ করা না হলে আপনি পাসপোর্ট পাবেন না। 

আপনার নিজের বর্তমান পেশার নাম পরিকল্পিতভাবে লিখতে হবে যদি আপনি ছাত্র হন তাহলে ছাত্র ছাত্রী হলে ছাত্রী চাকরিজীবী হলে সেই চাকরির ধরন ডাক্তারি পেশা বাজে কন পেশার যে অবস্থায় আছেন সেটা সম্পর্কে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা থাকলে ডাক্তার বা আইনজীবীর ক্ষেত্রে সেই তথ্য সঠিকভাবে যোগ করতে হবে। 

কোন জিনিসটা লাইসেন্স না থাকলেও সমস্যা নেই তবে আপনার শিক্ষাগত যে যোগ্যতা রয়েছে তার প্রত্যেকটি পর্যায়ে এসেছি ইন্টার এক কথায় আপনি সিভ তৈরি করে সেই অনুযায়ী তথ্য জমা দিতে পারেন। আপনার পড়ালেখার যোগ্যতা সর্বোচ্চ বা কম যেটা আছে সেটাই দিতে হবে কমবেশি করে দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যার জন্য আপনাকে অবশ্যই সকল তথ্য সঠিক দিতে হবে।

পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ভুল হলে করণীয় কাজ

পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ভুল হলে করণীয় কাজ যার মাধ্যমে আপনি পুনরায় ভুল সংশোধন করে আপনার পাসপোর্টটি পেতে পারেন। পাসপোর্ট আবেদন ভুল হলে আপনাকে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে লগইন করে সেই আবেদনটি বাতিল করতে হবে এরপর আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে। একটি তথ্য আর ছবি তোলার সময় যদি কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট অফিস থেকে সরাসরি সংশোধন করতে হবে।

পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ভুল হলে করণীয় কাজ

  • ছোটখাটো তথ্যের ভুল হলে অনেক ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে সংশোধন করেন। 
  • গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ভুল হলে সেটা সাথে সাথে বাতিল ঘোষণা হয়। 
  • এজন্য নতুন ভাবে আবেদন করে আপনাকে পুনরায় বায়োমেট্রিক উপায় এর সকল তথ্য সাবমিট করতে হবে।

আঙ্গুলের ছাপ স্বাক্ষর ছবি এগুলো ভুল হলে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। প্রমাণপত্র যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ভুল হলে আপনাকে তথ্যের প্রমাণ কপি এই ভুলগুলো থেকে আবার নতুনভাবে আবেদন করার জন্য তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আমি একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত যেই ভুলের জন্য সমস্যা হবে সেই নির্দিষ্ট ভুলের জন্য সমাধান আলাদা।

পাসপোর্ট আবেদন সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট আবেদন ভুল ইমেইল দিলে কি হয়? 

উত্তরঃ পাসপোর্ট আবেদনের ভুল ইমেইল ঠিকানা হওয়ার কারণে ৫ দিনের মধ্যে আপনার আবেদনটি বাতিল বলে ঘোষণা হবে এবং সিস্টেম বাতিল হওয়ার পর আপনাকে পুনরায় আবার পাসপোর্ট পেতে আবেদন করতে হবে।

প্রশ্নঃ অনলাইন পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম কি?

উত্তরঃ অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রথমে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং নতুন আবেদন করতে হবে। এরপর sikhane yes I have an electric password (epp) পুনরায় সে পাসপোর্ট তথ্য দিতে হবে।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করতে হয়? 

উত্তরঃ পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য আপনাকে উল্লেখিত ওয়েবসাইটের ভিতরে প্রবেশ করে check application status অপশনে প্রবেশ করতে হবে। তাহলে আপনি সেখান থেকে দেখতে পারবেন। 

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে 2025? 

উত্তরঃ বাংলাদেশের ২০২৫ সাল অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে ৪০২৫ থেকে শুরু করে ১২০৭৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে যা আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ এর উপর নির্ভর করে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কত প্রকার পাসপোর্ট রয়েছে?

উত্তরঃ বাংলাদেশে কত প্রকার পাসপোর্ট রয়েছে এটা আমাদের জানা উচিত সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। সাধারণত সবুজ কভার অফিশিয়াল সরকারি পাসপোর্ট, নীল কভার, এবং ডিপ্লোমাটক কূটনৈতিক পাসপোর্ট এর লাল কভার। সাধারণ নাগরিকের ভ্রমণের জন্য সাধারণত ব্যবহার করেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কাজে ব্যবহারের জন্য অফিশিয়াল পাসপোর্ট এবং উচ্চস্তস্থ কর্মকর্তা কর্মচারী কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে। 

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে?

উত্তরঃ পাসপোর্ট রিনিউ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে পূরণকৃত অনলাইন আবেদন পত্র, মূল পাসপোর্ট ও তার প্রথম পাতার ফটোকপি, জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার রশিদ প্রয়োজন হয়। 

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংখ্যার নম্বর কত? 

উত্তরঃ বাংলাদেশি মেশিনের রিডাবল পাসপোর্ট পেতে হলে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনে থাকা ১৭ সংখ্যার একটি কোড প্রয়োজন হয়।

প্রশ্নঃ কোন রঙের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী? 

উত্তরঃ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাস হলো জাপানের গারো লাল রঙের নাগরিক পাসপোর্ট এর মেয়াদ ১০ বছর এবং ১৯০ টি দেশে প্রবেশ অধিকার থাকে।

প্রশ্নঃ বিশ্বের কোন দেশ প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করেছিল? 

উত্তরঃ বিশ্বের প্রথম মালয়েশিয়া ১৯৯৮ সালে এবং জার্মানি সিঙ্গাপুর সুইডেন শোয়ার অনেক দেশ ধীরে ধীরে চালু করেছে। বাংলাদেশ ২০২০ সালে ২২ শে জানুয়ারি ই পাসপোর্ট চালু করে।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম

বাংলাদেশ ফাস্ট অনলাইন ফর্ম পূরণের নিয়ম খুব একটি জটিল বিষয় নয় আমরা ইতিমধ্যে এই তথ্যগুলো পড়ে জানতে পেরেছি। আপনাকে শুধু সচেতনভাবে সঠিক তথ্য প্রবেশ করাতে হবে। এর জন্য যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া আছে সেই নির্দেশনা গুলো ব্যবহার করুন এবং নিরাপত্তার সাথে ধীরে সুস্থে আপনার তথ্যগুলো প্রবেশ করান। বিভিন্ন সময় তাড়াহুড়া করে বিভিন্ন ধাপে ভুল হলে আপনার সেই সমস্যাগুলো পরবর্তীতে আবেদন বাতিল করার জন্য যথেষ্ট। 

যদি আপনার প্রয়োজন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে এই পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ধাপে ধাপে দেওয়া আজকের আর্টিকেলের যে পর্যায় গুলো রয়েছে সেগুলো দেখে আপনি নিজে ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা মোবাইল লকটা ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে সকল তথ্য দেওয়ার পর সাবমিট করার পূর্বে আপনার সকল তথ্য পুনরায় মিলিয়ে দেখা উচিত এতে ভুলের সম্ভাবনা কম হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Post Page Ad Right After Title