ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন - ইসলামে সহবাসের দোয়া ও নিয়ম
ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন এই বিষয়টা আমাদের সবারঅই জানা উচিত। স্বামী ও স্ত্রী মিলন নিয়ে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম জানেন কি? যদি না জানেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন।
আমরা যারা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করি তারা অবশ্যই ইসলামের দেখানো নিয়ম ব্যবহার করে সহবাস করতে চান? এই সময় আপনাকে পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে ও স্ত্রীর অনুমতি থাকতে হবে। তাহলে এই সহবাস ইসলামের দৃষ্টিতে ইবাদতে পরিণত হবে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন - ইসলামে সহবাসের দোয়া ও নিয়ম
- ভুমিকা
- ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন
- ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি
- দিনের বেলা সহবাস করার উপকারিতা
- পূর্ণিমা রাতে সহবাস করলে কি হয়
- এক দিনে কতবার সহবাস করা যায়
- শুক্রবারে সহবাস করলে কি হয়
- কখন সহবাস করলে সন্তান হয় জানুন
- শরীরের তাপমাত্রা মেপে গর্ভধারণের সঠিক সময় দেখুন
- স্ত্রী সহবাসের সহবাসের দোয়া ও নিয়ম বিস্তারিত জানুন
- শেষ মন্তব্যঃ ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন
ভুমিকা
আল্লাহর সর্বশেষ্ট সৃষ্টি হল মানুষ, এই মানুষ আল্লাহ তালা বানিয়েছে তার সাথে ভালোবাসা করার জন্য। কারণ ইবাদত করার জন্য আল্লাহর ফেরেস্তাদের অভাব ছিল না। আর আল্লাহর এই খেলা বোঝা বড় দায়। মানুষ যদি সহবাস করা বন্ধ করে দেয়। তাহলে আল্লাহর এই খেলা যা মানুষ দিয়ে মানুষ বানানোর প্রক্রিয়া তা এক সময় শেষ হয়ে যেত। তাই আল্লাহর সৃষ্টি প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্য মানুষকে এক বিশেষ ভাবে তৌরি করেছেন।
আরো পড়ুনঃ প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় ১৪টি উপায় জানুন
যাতে মানুষ এই পৃথিবীতে একবারে শেষ না হয়। আসলে স্বামী ও স্ত্রীর মিলন হল এক মহান প্রেমের প্রমাণ আপনি চাইলে এটা না মেনা পারবেন না। তাই চলুন জানি ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন। এবং সঠিক উপায়ে ইসলামে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম যেই ভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষ এই দুনিয়াতে বিচরন করে। সেই উপায় গুলো আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন
ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন আমরা যারা দাম্পত জীবন তাদেরে জন্য জানা অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। প্রকৃত ভাবে স্বামী ও স্ত্রীর মন মত থাকলেই সহবাস করা যায়। তবে এর কিছু সময় আছে যেই সময় গুলোতে ইসলামের নিষিদ্ধ সময় বলে জানা যায়। আসুন জেনে নিয় সহবাসের জন্য যে যে সময় ইসলামে উল্লেখ করা আছে।
ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন তাহলঃ
প্রথমঃ ইসলামিক দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার আয়াত ২২২ এখানে বলা হয়েছে, স্ত্রীর মাসিক শুরু হওয়া থেকে শুরু করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করা উচিত। মহান আল্লাহ বলেন, লোকের রাজ্য: স্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তুমি বলো তা অসুচি। সুতরাং তোমরা মাসিক চলাকালীন সময়ে স্ত্রী সংঘ বর্জন করো। এবং যতদিন না পবিত্র হয় সেই সময় পর্যন্ত তাদের নিকট যেও না।
এবং যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবেই গমন করে যেভাবে আল্লাহতালা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে একজন মহিলা পুরুষ তাদের সহবাসের জন্য এই সময় সৃষ্টিকর্তার থেকে নিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই কেউ এই সময়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না যদি দুজনেরই ইচ্ছা হয় সেই ক্ষেত্রে সাবধান।
আরো পড়ুনঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর ৭টি উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি জানুন
ইশরা আল্লাহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে মাসিক থাকা অবস্থায় সঙ্গম করে, অথবা স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করে, এবং কোন ঘনকের নিকট উপস্থিত হয়ে তার কথা বিশ্বাস করে সে যেন মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অবতীর্ণ কুরআনের সাথে কুফুরি করে। কুরআনের সকল প্রকার কুকর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আহমদ ২/৪০৮,৪৭৬ তিরমিজি, সহীহ ইবনে মাজাহ, ৫২২নং।
দ্বিতীয়তঃ রমজানের দিনের বেলায় রোজা অবস্থায় মহান আল্লাহতালা মহানবীর মাধ্যমে কুরআনে বলেছেন, রোজার রাতে স্ত্রী সঙ্গম করা বৈধ। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক সূরা বাকারাহ ১৮৭ নং আয়াত। আর বিদিত যে, রমজানের রোজা অবস্থায় সংগ্রামী করলে যথারীতি তার কাফফারা আছে। একটা দুইবার রিজার্ভ রাখতে হবে। এছাড়া অক্ষম হলে ৬০ জন মিসকিন খাওয়াতে হবে।
তৃতীয়ঃ হজ্জ বা উমরার ইমারাম অবস্থায়। মন আল্লাহু বলেন, সুবিদিত মাসে, (আরবি মাস শাওয়াল, জিলকদ, ও জিলহজ্জ) হজ হয়ে থাকে। যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করার জন্য সংকলন করে সে যেন হজের সময় সহবাস, পাপ কাজ এবং অন্যান্য সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। বাকারা আয়াত ১৯৭। এছাড়া উল্লেখিত সময়গলো বাদে আপনি যে কোন সময় আপনার স্ত্রীর সহমতে থাকলে সহবাস করতে পারেন।
সূরা নূরে প্রকাশ করা হয়েছে যে মহিলাদের বয়স ১৫ বা তাদের শারীরিক পরিবর্তন হওয়া শুরু হলে তারা পর্দা ব্যবহার করবে। এটা বিভিন্ন কারণে শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে কারণ শরীরের গঠন এবং তার ধারণক্ষমতা সব বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক ফোকাস এর মাধ্যমে তার জন্য দেখা যায় বাড়তে থাকে। এজন্য ছেলে মেয়েদের স্বপ্নদোষের সম্ভাবনা কখনো কখনো স্বপ্নদোষ হয়ে যায়। তাই মানুষের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনমলক জ্ঞান অর্জন করা উচিত।
ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি
ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানা দরকার। আমরা জানি রোজার রাতে রোজা থাকে না দিনের বেলায় রোজা থাকে সে ক্ষেত্রে সহবাস করা যায়। তবে ঈদের রাতে কি সহবাস করা যাবে? হ্যাঁ বন্ধুরা ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে। নিষিদ্ধ নেই তবে রোজা অবস্থায় রমজানের ঈদের দিনের বেলায় সহবাস করার নিষিদ্ধ ঈদের রাতে রোজা রাখার সময় নাই সে ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই।
কিছু কিছু মতামতের বলা হয়েছে ঈদের রাতে ও দিনে সহবাস করা বৈধ। তবে শুধুমাত্র রমজান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। এছাড়া ভয়েস কিংবা উমরার সময় ও স্ত্রী সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক সময় মহিলাদের মাসিক চক্রের কারণে অপবিত্র অবস্থায় থাকে সেই সময়েও স্ত্রী সহবাস করা সম্পূর্ণ নিষেধ। বিভিন্ন হাদিস শরীফে বলা হয়েছে। হাদিসে আবু যার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা থেকে বর্ণিত,
তারা বলেছিলেন ইয়া রাসুল সাঃ কেউ স্ত্রী সহবাস করে সেটাতেও কি সব পাওয়া যাবে? উত্তরে তিনি বলেন তোমরা কি মনে করো যে কামাচার যদি হারাম পথে হয় সেটা তাহলে গুনা হবে না? অবশ্যই হবে। তবে হালাল পথে হলে অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি বাস সব পাওয়া যায়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মিলনের ফলে বাচ্চা পয়দা হয় তাহলে সেই সন্তান কখনো শয়তানি স্পর্শ করবে না বা ক্ষতি করবে না।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
দিনের বেলা সহবাস করার উপকারিতা
দিনের বেলা সহবাস করার উপকারিতা রয়েছে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। আসল মানুষ শারীরিক মানুষের বিভিন্ন ধরনের তাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য খুব সহজেই সহবাস করলে সে চাপ কমানো যায়। বৈজ্ঞানিক এর কোন উপকারিতা না পাওয়া গেলেও মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে বলে জানা যায় যা দিন বা রাতের উপর নির্ভর করে না নির্ভর করে যৌন মিলনের উপর।
নিয়মিত সহবাসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও হৃদপিন্ডের ভালো থাকে পাশাপাশি মানসিক চাপ কমে এবং শারীরিক সুস্থতার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই কিছু সময় দিনের বেলা সহবাস করলে মানসিক কিভাবে ভালো থাকা যায় বা মেজাজ ভালো রাখা যায়। তবে প্রকৃত অর্থে সহবাস করার জন্য নির্জন এবং নীতিগুলি পরিবেশ উত্তম এর জন্য রাতের বেলায় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো সময়।
আপনি চাইলে আপনার শরীরের স্টেজ তোমাকে সহবাস করতে পারেন এটা স্টেজ রিলিভার এবং মানসিক চাপ কমিয়ে রাখে। সহবাস করলে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে তবে দিনের বেলায় সহবাস করা বা রাতের বেলা করা এটা বড় বিষয় নয় বড় বিষয় হচ্ছে দুজনের মধ্যে মনের মিল এবং মহব্বতের এক চরম পর্যায়ে সহবাস করা উচিত। সুস্থ ও সবল শরীর ও মানসিক সুস্থতার জন্য শারীরিক ভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পূর্ণিমা রাতে সহবাস করলে কি হয়
পূর্ণিমা রাতে সহবাস করলে কি হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা উচিত। সচরাচর আমরা অনেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে প্রত্যেকটা বিষয়ে গবেষণা করি আসলে বিজ্ঞানের কোন ভিত্তি নেই। তবে ইসলাম এবং আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বিশ্বাসে বিভিন্ন রকম মতামত রয়েছে তবে, হিন্দু ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক অপবাদ এবং ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী সর জন্য পূর্ণিমা রাতে সহবাস করা অনুচিত।
যারা পরিপূর্ণ ইসলামকে বিশ্বাস করে তারা অবশ্যই আধ্যাত্মবাদ কে বিশ্বাস করে, আধ্যাত্মবাদের এই সময়ে অর্থাৎ পূর্ণিমা রাতে সহবাস করার কথা নিষেধ রয়েছে। এ সময় সহবাস করলে সন্তানের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, এবং এই সময় অনেকেই মনে করেন যে পূর্ণিমার রাতে সহবাস করলে ছেলে বা সন্তানেরা বেশি সুন্দর ও জ্ঞান সম্পন্ন হয় এটা তেমন কোন বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক বা ধর্মীয় নির্দেশনা নেই।
তবে এতটুকু বলা যায় যে পূর্ণিমা রাতে সহবাস করলে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো যে আপনি ইসলাম এবং আধ্যাত্মবাদের উপর বিশ্বাসী থাকলে সেই সময়ে অর্থাৎ পূর্ণিমা রাতে সহ মাস থেকে দূরে থাকবেন। এমনকি খুবই নিরাপদ এবং নিরিবিলিভাবে এই সঙ্গ লিপ্ত হওয়া উচিত এটা অত্যন্ত মূল্যবান সময় এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা যায়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আল্লাহর প্রত্যেকটা কথা আমাদের মান্য করা উচিত।
এক দিনে কতবার সহবাস করা যায়
এক দিনে কতবার সহবাস করা যায় এই বিষয়ে পরিষ্কার হবে জেনে রাখা দরকার আসলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারী দিন রাত যে কোন সময় তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সম্মতি থাকলে সহবাস করতে পারে। তাদের শারীরিক মানসিক পরিচিতি লাভ হয়। সাধারণত এই সহবাস টি বয়সের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। চলনী কোন বয়সে কতবার সহবাস করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান।
আরো পড়ুনঃ সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
এক দিনে কতবার সহবাস করা যায় বয়স অনুযায়ীঃ
- যে সকল ব্যক্তিদের ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী দাম্পত্তি রয়েছে তারা গড়ে ১১২ বার শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন অর্থাৎ দিনে এক থেকে দুই তিনবার এর কিছুটা কম অনেক সময়।
- ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী দাম্পত্য না গড়ে ৮৬ বার যৌনমিলন করে অর্থাৎ মাসে ৭ থেকে ৮ বার।
- ৫০ থেকে ৫৯ বছরের বয়সে দম্পতিরা গড়ে কোন সত্তরবার গায়ে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হয় এদের যৌন মিলনের হার গড়ে মাসের ৬ থেকে ৭ বার।
বিজ্ঞানের সঠিক উপায়ঃ
- যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর তারা সপ্তাহে তিনবার সহবাস করতে পারেন।
- যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে তারা সপ্তাহে একবার সহবাস করতে পারে।
- যাদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তারা ১৫ দিনে অথবা একবার সহবাস করতে পারে।
নিয়মিত সহবাসের বিভিন্ন উপকারিতা ও গবেষণামূলক প্রমাণ দেখুন। অতিরিক্ত সমবয়সী যেমন ক্ষতিকর আবার কম সহবাসের শরীরের জন্য ততটাই ক্ষতিকর। তাই উপরে যাওয়ার নির্দেশ অনুযায়ী সহবাস করা উচিত। তবে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। The American journal of cardiology দ্বারা প্রকাশিত হয় তারা বলেন যেসব দাম্পত্য সপ্তাহে কম করে দুইবার সহবাস করে, তাদের হৃদপিণ্ড ভালো থাকে যারা একবারও সহবাস করে না তাদের থেকে।
শুক্রবারে সহবাস করলে কি হয়
শুক্রবারে সহবাস করলে কি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি আগে আপনারা বুঝতে পারেন। সাধারণত ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও বিভিন্ন বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে নির্দিষ্ট কোন দিন সময় নেই কিছু সময় যেগুলো উপরে উল্লেখ রয়েছে সেগুলো ব্যতীত। আপনি চাইলে শুক্রবার বৃহস্পতিবার যে কোন সময়ে সহবাস করতে পারে তবে আপনি যদি রোজা রাখেন বা বিভিন্ন নিয়ত করেন সেক্ষেত্রে না করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ বীর্যমনি পাউডার খাওয়ার নিয়ম - বীর্যমনি গাছের ২১টি উপকারিতা জানুন
অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রী সহবাস করার পূর্বে স্ত্রীর সহমত থাকে না সে ক্ষেত্রে যে কোন সময় বা যে কোন বাড়ির ক্ষেত্রে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা উচিত নয়। দুজনেই যদি রাজি থাকে সেক্ষেত্রে সহবাস করলে খুব বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায় এবং তাদের মধ্যে একটা আন্তরিকতার বৃদ্ধি পায়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে সহবাস করার বিষয় সম্পর্কে আপনি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
অনেকে আবার জানতে চাই কোন কোন বারে সহবাস করা নিষেধ। কাদের জন্য বলবো আপনার পার্টনার যদি রাজি থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি উল্লেখিত সময়গুলো ব্যতীত যেকোনো সময় সহবাস করতে পারে এতে আপনি শারীরিক এবং মানসিক সুবিধা পাবেন। আমরা পর্যায়ক্রমে আরো বিষয় জানবো তাই আপনি দিনের যে কোন সময় যে কোন বারে সহবাস করতে পারেন যদি আপনার পার্টনারের মাসিক বা শারীরিক কোন সমস্যা না থাকে।
কখন সহবাস করলে সন্তান হয় জানুন
কখন সহবাস করলে সন্তান হয় এবং কখন সহবাস করলে সন্তান হয় না এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। কারণ আমরা দাম্পত্য জীবনে সবাই সহবাসে লিপ্ত হয়। তবে সহবাসের মূল উদ্দেশ্য শারীরিক মানসিক শান্তি পাশাপাশি সন্তান বা প্রজন্মের রক্ষার জন্য মানুষের সহবাস করা প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কখন সহবাস করলে সন্তান হয়। একটি গবেষণা পদ্ধতি রয়েছে যা আমরা জানবো।
আরো পড়ুনঃ ত্রিফলার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সাধারণভাবে প্রথমে আমাদের জানা উচিত, গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো ডিম্বাণু ফোটার সময়। এ সময় পিরিয়ড শুরু হওয়ার ৯ থেকে ১৯ তম দিনের মধ্যে অর্থাৎ ডিম্ব স্ফুটনের কাছাকাছি সময় গর্ভধারণের জন্য সম্ভাবনা বেশি থাকে। মহিলাদের মাসিক চক্র এবং তাদের শারীরিক লক্ষণ যেমন জমিরের পরিবর্তন ও বেশল শারীরিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি দেখে ডিম্বস্ফুটনের সময় বোঝা যায়।
পিরিয়ডের ক্যালেন্ডার বা মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময় ডিম্বস্ফুটন হয় সাধারণ প্রক্রিয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪ দিন আগ পর্যন্ত এটা হয়। সাধারণত শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষেকের জন্য ১২ থেকে ২৪ঘন্টা সময় লাগে সাধারণত শুক্রাণু মহিলাদের ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রায় সাত দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে আমাদের ঋতু স্বাদ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই সহজ বিষয় গুলো বুঝা সহজ।
সাদা স্রাব পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
প্রতিমাসে মেয়েদের সাদা স্রাবের চার ধরনের অবস্থা দেখা যায়। এই অবস্থাগুলো পর্যবেক্ষণ করলে আপনি জানতে পারবেন মৃত সাগর কি অবস্থা এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা। সাধারণত মাসিক নিয়মিত ও অনিয়মিত জৈব রকমই হোক না কেন সবাই সাদাস্রাবের এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাব্যময় সময় বের করতে পারবে।
- প্রথমে অবস্থা হতে মাসিকের ঠিক করে যখন কোন সাদাস্রাব দেখা যায় না, মাসিকের রাস্তাটা খুব শুকনা শুকনা মনে হয়, তখন কর্মধারণের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি (০.৩ শতাংশ)।
- দ্বিতীয়, এরপরের অবস্থায় মাসিকের রাস্তা হালকা ভেজা মনে হয়, কিন্তু আপনার চোখে কোন সাদাস্রাব দেখবেন না বা হাতেও ধরতে পারবেন না। তখন গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে এক শতাংশ একটু বেশি (১.৩ শতাংশ)।
- প্রথমে এই দুই অবস্থা সবার মধ্যে দেখা যায় না। বিশেষ করে যাদের মাসিকের সার্কেল ছোট এবং যাদের ক্ষেত্রে এই দুটি অবস্থা মাসিকের সময় হয়ে হয়ে যেতে পারে। তৃতীয় চতুর্থ অবস্থা প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়।
- তৃতীয় অবস্থায় কোন সাদাস্রাব যায়। এগুলো দেখি সেটা আঙ্গুলের সাথে আঠালো হয়ে লেগে থাকে। তখন গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে ২.৫ শতাংশে চলে আসে।
- চতুর্থ অবস্থায় সাদা স্রাব খুব পাতলা এবং পিচ্ছিল হয়। কাঁচা ডিমের সাদা অংশ তেমন মসলিন আর পিচ্ছিল হয় কিছুটা তেমন। দেখতে স্বচ্ছ আর সেই সাদা স্রাব তুই আঙ্গুল দিয়ে টেনে বড় করা যায়। কয় ইঞ্চি বড় করলেও ভেঙে যায় না। তখন গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় সেখানে ২৮.৬ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়।
- এই চতুর্থ অবস্থা শেষ হওয়ার পর আবার সাদা স্রাব গুলো আঠালো হয়। বা কোন প্রকার সাদা সব যায় না তবে অনেকেরই মাসিকে ঠিক আগে আগে আবার পাতলা সাথে দেখা যেতে পারে যেটা গর্ভধারণের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনিও খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যেদিন থেকে সাদা সাব থেকে শুরু করে শেষ যেদিন পাতলা পিচ্চি সাদা সাপ যাবে সেদিন সহ তারপরের তিন দিন এই সময়টা বাচ্চা নেওয়ার জন্য সবচাইতে ভালো সময়। তাই সাথে পরিবর্তন আসে কেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি একটু জানেন। কিছু কিছু কারণে সাজেশন পরিবর্ত আসার ফলে এই পদ্ধতি কখনো কার্যকর হতে পারে আবার কম হতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা মেপে গর্ভধারণের সঠিক সময় দেখুন
সুরের তাপমাত্রা মেপে করো তাহলে সঠিক সময় জানা যায়। মেয়েদের শরীরের তাপমাত্রা মাসিকের পর। আবার যখন ডিম্বাণু থেকে ডিম থেকে ডিম ফোটে সেই সময় এখানে তার তাপমাত্রা বেড়ে যায় এই পার্থক্যটা খুবই কম তাই সাধারণভাবে বোঝা যায় না। যেমন ০.২° সেলসিয়াস থেকে ০.৪°সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে তাই প্রতিদিন মাপার মাধ্যমে আপনি এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
তবে একটা রুল মনে রাখা প্রয়োজন, ৬ এর পরে ৩। টানা ছয়টি তাপমাত্রা কম থাকে এবং তিন দিন বেশি থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন এই তাপমাত্রা পরিমাপের বিষয়টি মাথায় রাখে পরিমাপ করেন সেক্ষেত্রে আপনি শরীরের তাপমাত্রা বেশি মনে করছিলেন এবং কম মনের কাছে এটা মেতে আপনার শরীরের তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে সেই সময় গর্ভধারণের জন্য এই প্রযক্ত সময় বলে মনে করা হয়।
এই মাপার জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে যেমন, ঘুম থেকে ওঠার পর, কোন কিছু করার আগে, বিছানা থাকা অবস্থাতেই তাপমাত্রা মাপতে হয়, প্রতিদিন একই সময় মারার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি ঘুমের সময় নিয়মিতানোর চেষ্টা করবেন এবং বিছানার কাছে থার্মোমিটার রখবেন। কোথায় মক্তভাবে বিষয়টা জানা উচিত প্রকৃত অর্থে বগলের নিচের তাপমাত্রা মাপা উচিত। আবার মুখের তাপমাত্রা মাপতে পারেন থার্মোমিটার দিয়ে জিহ্বার নিচে চেপে ধরে রাখুন।
স্ত্রী সহবাসের সহবাসের দোয়া ও নিয়ম বিস্তারিত জানুন
স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম আমাদের জানা উচিত। কারণ এটি আসলে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটা সৃষ্টির এই অনাবিল সুখের ধরে রাখার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম। পৃথিবীর সকল কিছুই যদি সহবাস করা বন্ধ করে তাহলে একসময় সকল প্রাণী জীবজন্তুকর পথে চলে যাবে। তাই আমরা মানুষেরা সহবাস করার জন্য যে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করবে সেই বিষয়গুলো একটু জেনে রাখো।
সাধারণত নারী-পুরুষের মধ্যে পারস্পরিক যৌন ক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে যাওয়া বংশ বিস্তার ও বৈধ বিবাহ প্রক্রিয়া রয়েছে। সেখানে দাম্পত্য জীবনে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক বা সহবাসের প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে আল্লাহতালা কর্তৃক বিভিন্ন বিধি-বিধান ও নিষেধ নিয়ম রয়েছে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের অবগত হওয়া উচিত। ইতিমধ্যে আমরা জানিয়েছি কখন সহবাসের জন্য উপযুক্ত সময় এবং সহবাসের জন্য নিষিদ্ধ সময় কি।
সাধারণত এটা কল্যাণকর এবং অত্যন্ত সুখ পূর্ণ একটি বিষয় সহবাস। সুতরাং আমাদেরকে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে দোয়া নিয়ম ও ফজিলত কবে রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। সহবাসের দোয়া ও এই দোয়ার বাংলা অর্থ ও ফজিলত গুলো দেখে নিন যা আপনার জীবনকে আরো সুন্দর ও ব্যভিচার মুক্ত করবে। সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা আল্লাহর রাসূলের সুন্নত সব ধরনের সুগন্ধ জাতীয় জিনিসপত্র পরিহার করা যায়।
স্ত্রী সহবাসের দোয়া আরবি, بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
স্ত্রী সহবাসের দোয়া বাংলা উচ্চারণ, বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবিশ শায়ত্বনা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বনা মা রাজাকতানা।
অর্থ, হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট থেকে শয়তানকে দূরে রাখো, আমাদের এই মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে তা হতে ও শয়তানকে দূরে রাখো।
ফজিলতঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন তোমাদের কেউ আপন স্ত্রীর সঙ্গে মিলন হওয়ার ইচ্ছে করে। তখন ওই দোয়া পড়ে যেন মিলনে যায় এই মিলন যদি তাদের কিসমতে যদি কোন সন্তান আসে সে সন্তান শয়তানে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।( সহি বুখারী মিশকাত মুশকম শরীফ) মাওলা আলী আলাইহিস সালাতু সালাম থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন যে ব্যক্তি সহবাসের ইচ্ছা করে তার নিয়ত যেন এমন হয়, আমি বেবিচার থেকে দূরে থাকবো, আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবে না আর জন্ম নেবে নেককার ও সৎ সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে স্বভাব ও অনেক সঙ্গে নেক উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সহবাসের পূর্বে স্বামী স্ত্রী উভয়ের পাক পবিত্র থাকতে হবে এবং সহবাসের সময় বিসমিল্লাহ বলে সহবাস শুরু করতে হবে। ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে সরল হয় তাহলে তা পুনরায় পড়ে নিতে হবে।
আরো কিছু বিষয় আমাদের জেনে রাখা উচিত যেমন কেবলামুখী না হয়ে থাকা। স্ত্রীকে পরিপূর্ণ উলঙ্গ না করা এবং স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া স্ত্রীর জরায়ুর দিকে না তাকানো। সহবাসের সময় স্ত্রীর সঙ্গে বেশি কথা না বলা। প্রচুর পরিমাণ সহবাস করার পূর্বে আদর বা ভালোবাসা বা চুমাচুমি করতে পারে। এছাড়া ভরা পেটে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আবার যে সময় গুলো দেখছি সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত সে বিষয়গুলো তো উপরে উল্লেখ করেছি। এছাড়া চন্দ্র মাসের প্রথম দিন এবং পূর্ণিমার দিন সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত।
শেষ মন্তব্যঃ ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন
আশা করি বুঝতে পেরেছি ইসলামের সংঘর্ষর নিষিদ্ধ সময় কখন। অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জানতে চাই এবং তাদের মধ্যে আমি ধরনের জানার আগ্রহত তাই এই সহজ বিষয়গুলো সহজভবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। যাতে আপনি খুব সহজেই সহবাস করার আগের দোয়া এবং সহবাস করার পরের দোয়া এবং সহবাস করার যে সঠিক নিয়ম রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন।
ইসলামে কিছু বিষয় সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে বিষয়গুলো সহবাস করার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। সুতরাং আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে উল্লেখিত কোষের তথ্যগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ সহবাসের নিয়ম ও দোয়া এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত এটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং স্বামী স্র মধ্যে অত্যন্ত আকর্ষণীয় সম্পর্ক ও গভীর সম্পর্ক তৈরি করে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url