এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন ও কার্যকারী পদ্ধতি জানুন

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন করা যায়, এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই আপনাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি এলোভেরা ও লেবু দিয়ে কিভাবে চুলের যত্ন করা যায় সে সকল বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ নতুন টিপস। 

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন

বর্তমানে সারা দেশে তীব্র সূর্যের আলো পড়ছে তাই এই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চুল, ত্বক সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এসকল সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় এলোভেরার ও লেবু ব্যবহার করতে পারবেন। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ এলোভেরা ও লেবু দিয়ে  কিভাবে চুলের যত্ন নেওয়ার যায়

ভুমিকা 

আপনি বিভিন্ন স্বাস্থ উপকারিতা পেতে পারেন এই এলোভেরা জেল ব্যবহার করে। বর্তমানে এলোভেরা জেল ব্যবহের করে আপনি আপনার নানার উপকারিতা পাবেন। তবে এই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি নিচে উল্লেক্ষিত উপায় জেনে নিতে পারেন। এই গাছের অনেক উপকারিতা উপাদান আছে যা আপনার চুলের যত্নে উপকার দেয়।

আপনি এই এলোভেরা ব্যবহার করে চুলের ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করে। চুলকে করে স্বাস্থ উজ্জল ও ঘন। আবার আপনার যদি চুল পড়ে যায়। এর জন্য ও আপনি এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন। তাই এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে ও চুল পড়া কমবে। এছাড়া খুশকি দূর করতে লেবুর রস ও নারিকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন।

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নেবার উপায় 

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে চলুন জেনে নেই সে সকল উপায় সম্পর্কে। লেবুর রস ও অ্যালোভেরার জেল দুই চামচ লেবুর রস ও এক চামচ অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে এবং ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিলে এলোভেরার মধ্যে থাকা ময়েশ্চারাইজ উপাদান গুলো আপনার চুলকে করে তুলবে মসৃণ এবং সুন্দর। 

  1. এছাড়া আরো উপাদান রয়েছে যা আপনার চুলের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত শক্তিশালী এবং মজবুত করে রাখবে এবং চুলের গোড়া যদি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে সবল করে তোলার জন্য কাজ করবে। 
  2. এছাড়াও আরো যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন। এক চা চামচ মধু ২ চা চামচ নারকেল তেল ও ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবং চুলে ব্যবহার করলে আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। 
  3. এছাড়া দুই চা চামচ টক দই  সঙ্গে মিশিয়ে এক চা চামচ এলোভেরা জেল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চুলে মাখিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আরো একটি সহজ এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে ডিমের কুসুমের সঙ্গে দুই চা চামচ অ্যালভেরা ও এক চা চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। 

এবং এই মিশ্রণটি চুলে মেখে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছুদিন বা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনি নিজেই দেখতে পাবেন যে কি কি ধরনের উপকারিতা ও কি কি ফল পাচ্ছেন। খুশকি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। মাথার শুষ্কতা দূর করে এই অ্যালোভেরা মাথায় ব্যবহার করার মাধ্যমে এছাড়া খুশকি দূর করার জন্য লেবুর রস নারকেলের  সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন।

লেবুর রস চুলে দেওয়ার নিয়ম 

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন করার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের নিয়ম আলোচনা করেছি এই নিয়মগুলো অন্বেষণ করতে পারেন অথবা এখন যে নিয়ম গুলো বলবো ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস চুলে দেওয়ার নিয়ম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উন্নত নিয়ম হচ্ছে লেবুর রস ২ চা চামচ এবং অ্যালোভেরা জেল দুই চা চামচ মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন এবং আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তাহলেই দেখবেন চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুনঃ তেতুলের বীজ চূর্ণ খাওয়ার উপকারিতা ও ১৬ কার্যকারী উপাদান

লেবুর রস তুলে দেয়ার আরো একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেবু নিয়ে টুকরো টুকরো করে নিতে হবে এবং অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় দিয়ে রাখতে হবে আধাঘন্টা মতো দিয়ে রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং মাথার ত্বকের খুশকি দূর করবে এবং ত্বকে সুরক্ষা দিবে। 

পরিমিত পরিমাণে লেবুর রস ও এলোভেরা চুলে ব্যবহার করলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মজবুত হয় এবং চুল পড়া রোধ করে। এছাড়াও চুলের যত্নে সরাসরি লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন কার্যকর ও ফল পেতে আপনি লেবুর রস দিয়ে হেয়ার ম্যাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা তে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে যা ফাংগাল এর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। 

এছাড়াও অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড ও অ্যামাইনো এসিড এবং জিন কপার এর মত পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। তাই আপনি এই উপকারিতা পেতে নিয়মিত এই এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবে। চুলের সকল সমস্যা দুর করতে চাইলে আপনি এই উপকারিতা গুলো পাবেন। 

লেবু দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়

লেবু দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায় গুলো ব্যবহার করলে আপনি শুধু লেবু ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার চুলকে সিল্কি এবং মজবুত করে রাখতে পারবেন। পুরো একটা লেবুর রস এক গ্লাস বা এক মগ পানিতে মিশিয়ে সেটা ভালো করে চুলে মাখতে হবে। একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে চুল পুরোপুরি শুকানোর আগে কিন্তু রোদে বের হওয়া যাবে না। 

  • লেবু দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায় এর পাশাপাশি এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় অবলম্বন করতে পারেন। উপায়টি উপরে উল্লেখিত। নিয়মিত লেবু ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল হবে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে জাতক ও চুলের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
  • আপনি যদি লেবু দিয়ে চুলের যত্ন করতে চান বা চুলকে সিল্কি রাখতে চান তাহলে ব্যবহার করা শুরু করে দিন এই উল্লেখিত উপায়গুলোর মাধ্যমে আচ্ছা খুব সহজেই আপনার চুলকে সিল্কি করতে সাহায্য করবে ও ২ টেবিল চামচ নারকেলের তেল নিন এবং একটি আস্ত লেবুর রস মিশিয়ে তেলটি ফ্রিজে রাখুন এবং ফ্রিজ থেকে নিয়ে ঠান্ডা অবস্থায় চুলে মাখন এবং এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন তাহলে দেখুন এর উপকারিতা। 

এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে চুলের ক্ষেত্রে এই লেবুর রস ও অ্যালোভেরা। আপনার চুলকে ঝলমলে করতে সাহায্য করে মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে, চুলের তৈলাক্ততা ভাব দূর করতেও সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, আগা ফাটা চুল থেকে সুস্থ চুলে রূপান্তর করে। এছাড়াও চুল পড়া রোধ করে চুলকে ঘন এবং মজবুত করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখে লেবু ও এলোভেরা।

লেবুর রস চুলে দেওয়ার নিয়ম ও কাজ

লেবুর রস তুলে দেওয়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে তার তার মধ্যে কার্যকর নিয়মটি এখন আলোচনা করব যে নিয়মটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার চুল হবে সিল্কি সুন্দর এবং মজবুত। এছাড়াও আপনার চুলে নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে, মাথায় খুশকি থাকলে দূর হয়ে যাবে, যার জন্য আপনাকে শুধু লেবুর রস ব্যবহার করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা ও ১৪ টি রোগ মুক্তির উপায়

আরে লেবুর রস ব্যবহার করার নিয়মটা হচ্ছে আপনি একটি টাটকা লেবু তুলে  সম্পূর্ণ রস একটি গ্লাস অথবা মগে পানির সাথে মিশিয়ে আপনার সমস্ত চুল ভিজিয়ে রাখলে এবং এই পদ্ধতিটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। চুল পড়া রোধ, চুল ভেঙে যাওয়া, চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন এই লেবুর রস ব্যবহার করার মাধ্যমে। 

আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য লেবুর রসের সাথে সামান্য পরিমাণ অ্যালোভেরার জেল যোগ করে নিতে পারেন। এতে আপনি আরো বেশি ভালো ফলাফল পাবেন এবং চুলের জন্য এরা অনেক উপকারী হয়ে উঠবে। আপনি যদি চুলের বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে লেবুর রস এবং অ্যালোভেরা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন না। এটি ব্যবহার করলে উল্লেখিত সকল সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। 

শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার 

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নীলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই শ্যামপুর সাথে লেবু চিনি ব্যবহার করে এতে যে উপকার টি হয় তা হচ্ছে আপনার চুল হবে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল এবং সিল্ক। তাই শ্যামপুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার করা যায়। চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী এছাড়াও এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকার বয়ে নিয়ে আসে রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এই অ্যালোভেরা ও লেবু রস। 

শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার

আবার রূপচর্চার ক্ষেত্রে চিনি ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শ্যাম্পু এবং চিনি সাথে লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করলে এটা চুলে ব্যবহার করলে যে উপকারিত হবে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকার হবে আপনার চুলকে বেশি ঝলমলে ও সিল্কি করে তুলবে। এমিশন টিতে অল্প পরিমাণ লেবুর রস এবং সামান্য পরিমাণ চিনি এবং শ্যাম্পু মিস করে নিতে হবে তাহলে আপনার মাথায় খুশকি থাকলে দূর হয়ে যাবে। 

এছাড়াও চুলের পরিমাণ অনুযায়ী যেকোনো ব্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। শ্যামপুর সাথে চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে এবং এই মিশ্রণটি পেস্টের মতো করতে হবে। এবং মাথায় শ্যাম্পু করার সময় যে পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করেন ঠিক সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে মাথায় ব্যবহার করতে হবে। উল্লেখিত পদ্ধতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন সিল্কি এবং উজ্জ্বল চুল। 

রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায় 

এলোভেরা ও লেবুর রস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার রুক্ষ চুল কে সিল্কি এবং উজ্জ্বল করে তুলতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হবে। অ্যালোভেরা গাছের জেল থেকে সংগ্রহ করে এর সাথে দুই চামচ নারিকেলের তে মিশ্রিত করে নিতে হবে এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিন ব্যবহারের সময় ৩০ মিনিটের মত রেখে দিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারী টিপস 

এরপর জৈব শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলকে ধুয়ে নিতে হবে এবং এভাবে আপনি আপনার রুক্ষ চুলকে সিল্কি করে তুলতে পারেন। এছাড়াও আরও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন সেটি হচ্ছে, নারিকেলের তেল অলিভ অয়েল বাজে কোন তেল গরম করে কয়েক মিনিটের জন্য আপনার চুলে আলতো ভাবে মেসেজ করুন এবং চুলকে যে কোন কিছু দিয়ে বা সাওয়ার কাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন। 

এরপর গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখা তোয়ালি দিয়ে চুল ঢেকে দিন এবং এই অবস্থায় ১০ মিনিটের মতো রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং আরো ভালো ফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পরে চুলে কন্ডিশন ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার চুলকে সিল্কি এবং রুক্ষতা থেকে দূর করবে এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুলে পরিণত করবে। এভাবে আপনি আপনার রুক্ষ চুলকে সুক্ষ সিল্কি চুলে রূপান্তর করতে পারবেন। 

চুল স্মুথ করার উপায় সম্পর্কে 

চুল স্মুথ করার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি অবশ্যই ব্যবহার করবেন এই উপায়টি যা আপনাকে বাড়তি কোনো ঝামেলা বা হেয়ার ডিজাইন ইত্যাদি সমস্যা দেখতে হবে না। আপনি চুল স্মুথ করার জন্য এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করতে পারেন। যার জন্য আপনাকে প্রথমেই কিছু উপকরণ নিয়ে নিতে হবে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে পিয়াজ, ডিম, লেবু, অলিভ অয়েল, কলা, নারিকেল দুধ, মেহেদী মেথি আর নারিকেলের তেল।

আরো পড়ুনঃ ডেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা ও বিশেষ টিপস

চুল সুন্দর করার জন্য এবং সিল্কি করার জন্য পেঁয়াজের রস খুব কার্যকারী। এছাড়া খুশকি দূর করার জন্য এবং নতুন চুল গজানোর জন্য আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারের ফলে এই উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়। আপনিও যদি এ সকল উপকারিতা পেতে চান এবং চুল স্মুথ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন বলে মনে করবো। 

চুল স্মুথ করা আরো অনেক উপায় রয়েছে সেই উপায় গুলো উল্লিখিত পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে আপনি চাইলে অবশ্যই সেই উপায়গুলো অবলম্বন করে চুলের স্মুথ উজ্জ্বলতা তৈরি করতে পারেন যা আপনাকে করে তুলবে দেখতে আরো সুদর্শন এবং সুন্দর চুলের অধিকারী। আশা করি বোঝাতে পেরেছি চুল স্মুথ করার জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করবেন। 

চুল সিল্কি করার ঘরোয়া পদ্ধতি 

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে। যে উপায়গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার চুলকে সিল্কি এবং সুন্দর করে রাখতে পারবেন সেই উপায় গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি আলোচনা করেছি বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনার বাড়িতে থাকা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার চুল সিল্কি করা যায়।

চুল সিল্কি করার ঘরোয়া পদ্ধতি

তাহলে চলুন জেনে নেই কি সকল উপায় ব্যবহার করলে আপনি ঘরে বসেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকে সিল্কি এবং মসৃণ করে রাখতে পারবেন। আপনার বাড়িতে অবশ্যই লেবু পেঁয়াজ ডিম অলিভ অয়েল নারিকেল তেল দুধ মেহেদী মেথি আর নারকেলের তেল ইত্যাদি উপকরণ রয়েছে। এই উপকরণ গুলো একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার চুলকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সিল্কি এবং সুন্দর করে তুলতে পারবেন। 

চুল সিল্কি করার জন্য আপনি শুধুমাত্র লেবু ও ব্যবহার করতে পারবেন। লেবুর রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুল এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও লেবুর রস খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে এবং শক্তিশালী উজ্জ্বল বর্ণের চুল সৃষ্টি হবে। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার পরে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দেয়ার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায় 

আপনার যদি কোকড়ানো চুল হয়ে থাকে এবং সে চুলকে যদি আপনি সিল্কি এবং সোজা সোজা করতে চান তাহলে এই পদ্ধতিতে অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার চুলকে সিল্কি এবং সুন্দর করতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে প্রথমে নারকেলের তেল এবং নারকেলের তেল চুলকে মশ্চারাইজ করতে এবং সিল্কি করতে সাহায্য করে। 

আপনি এই নারিকেলের তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে কোকড়ানো চুল সোজা এবং সিল্কি করতে পারবেন। সিল্কি করতে নারিকেলের তেলের সাথে অ্যালোভেরা ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। উপরে এর প্রক্রিয়া গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো জেনে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কোঁকড়া চুল সিল্কি করার পদ্ধতিগুলো সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন। 

এছাড়াও নিয়মিত চুল ধোয়া, সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশন ব্যবহার করা, চুল যত্ন সহকারে আপনার আসরানো। এছাড়াও কোকড়ানো চুল সিল্কি করার জন্য দুইটা ডিম ও চা চামচ অলিভ অয়েল মিশ্রণ তৈরি করুন। এবং এটা আপনার মাথায় ভালোভাবে মাখিয়ে বড় দানার চিরুনি দিয়ে আসরে নিন।

শাওয়া কাপ পর ৪০ মিনিটের মত রেখে হালকা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে দেখতে পাবেন আপনার কোকড়ানো চুল গুলো সোজা এবং সিল্কি হয়ে গেছে। এই উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব ভালো করে আপনার চুলের উপকারিতা নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ অ্যালোভেরা ও লেবু কি চুলের জন্য ভালো?

উত্তরঃ ১ থেকে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ কাপ জল মিশিয়ে নিন। তবে শ্যাম্পু করার পর, এই দ্রবণ মাথায় দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, কয়েক মিনিট রেখে দিন এবং তারপর আবার ধুয়ে ফেলুন। সূত্র হল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাক্রিডেটেড ন্যাচারোপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ যারা অ্যালোভেরার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলে।

প্রশ্নঃ সারা রাত এলোভেরা মুখে রাখা যাবে কি?

উত্তরঃ মুখে অ্যালোভেরা জেল লাগানোর পর এটি ত্বকে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। যদি আপনি এটি রাতে ব্যবহার করেন, তবে সারা রাত ত্বকে রেখে দিতে পারেন। এই উপায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। 

প্রশ্নঃ চুল গজানোর জন্য অ্যালোভেরা কিভাবে ব্যবহার করব?

উত্তরঃ চুল গজানোর জন্য চুলে আলতো করে ম্যাসাজ করুন যা আপনার আঙুলের ডগা দিয়ে জেলটি আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের ফলিকলে রক্ত ​​সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, যা্র কারণে চুলের বৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করে। যদিও আপনার পুরো মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগানো সহায়ক, তবে টাকের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দিন যা চুল গজাতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ অ্যালোভেরা ও লেবু কি ত্বক ফর্সা করে?

উত্তরঃ অ্যালোভেরা জেল ও লেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বলতা এবং পরিষ্কার করে তোলে পারে। ত্বকে কালো দাগ এবং নিস্তেজতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক খোসার মাস্ক এর মত। ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। দুটি একসাথে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন ও ত্বকে ব্যবহার ক্লরুন।

প্রশ্নঃ দই ও অ্যালোভেরা চুলে লাগানো যাবে কি?

উত্তরঃ আমরা চাইলে দই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করতে পারি। অন্যদিকে অ্যালোভেরা চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই মাস্কটি ও খুশকি, শুষ্কতা বা চুলকানির মতো মাথার ত্বকের সমস্যা মোকাবেলায় বিশেষভাবে কার্যকর   ভুমিকা রাখে।

প্রশ্নঃ অ্যালোভেরা ও লেবুর ব্যবহার?

উত্তরঃ লেবু এবং অ্যালোভেরার মিশ্রণটি খুব জলযুক্ত ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এই রেসিপিটি তৈরি করতে হলে, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ২ চা চামচ লেবুর রস নিন। ত্বকে লাগানোর আগে উপকরণগুলি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি মাস্কটি ব্রাশ দিয়ে লাগাচ্ছেন কি না। এটি ব্যবহার করে চুলের ও ত্বকের সকল সমস্যা দুর করবে যা জন্য এটি ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্নঃ অ্যালোভেরা মাস্ক কি প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়?

উত্তরঃ হ্যা, আপনি চাইলে এটি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করতে পারবেন। উপরে সেই বিশষয়ে অনেক কিছু আলোচনা করা আছে।

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন সম্পর্কে শেষ মন্তব্য  

এলোভেরা ও লেবু  দ্বারা চুলের যত্ন ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন উপায় আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি কিভাবে একজন মানুষের চুলকে সিল্কি রাখা যায় এবং এই উপকরণ গুলো ব্যবহার করার ফলে কি ধরনের উপকার হতে পারে সে সকল বিষয় সম্পর্কে এই পোস্টটিতে আলোচনা করেছি। লেবু ও অ্যালোভেরা এমন একটি উপাদান যা চুলের জন্য বিশেষ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

এছাড়াও ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল সোজা করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে সেই উপায় গুলোর মধ্যে একটি উপায় হলো আপনাকে থেঁতো করা পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ টক দই এদের একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে এবং এই মিশ্রণটি আপনি যদি চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল পড়া রোধ হবে। মাথায় খুশকি দূর করা সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url