সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা বলতে আজকে আমরা অনলাইন জগত মনে করি। আসলে প্রকৃত ভাবে অনলাইনে অনেক মাধ্যম রয়েছে যেগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।
এর মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং বেশি প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার সহ আরো অনেক ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এগুলো ব্যবহার করে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করি।
পোস্ট সুচিপত্রঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত
ভূমিকা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি কিন্তু বিষয়গুলো পালন করি না। সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে সমাজের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে একে অপরের সাথে যোগাযোগ বা বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য অনলাইন ভিত্তিক যে মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা হয় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব তাই সমাজের মধ্যে তাকে বসবাস করতে হয়। একে অপরের সাথে সহজে যোগাযোগের জন্য এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার হয়।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও বাংলাদেশের সিম কোম্পানি কয়টি বিস্তারিত জানুন
আর এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে সুবিধা অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। এই সুবিধা অসুবিধা গুলো আসলে আমাদের ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল। অনেক সময় এই আন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমরা অহেতুক বা অপ্রয়োজনে অসামাজিক কাজের জন্য ব্যবহার করি। যেগুলো ফলো আমাদেরকে ভোগ করতে হয়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা গুলোর মধ্যে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায় তথ্য ও জ্ঞান অর্জন ও বৈশ্বিকভাবে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি এ বিষয়টা অনেকেই জানেন। আবার কি আছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিন্তু এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানে না। প্রকৃত অর্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কিছু আন্তঃক্রিয়া মূলক তথ্য প্রযুক্তি কে বোঝায়। সাধারণত যেগুলোর মধ্যে রয়েছে তথ্য, ধারণা, আগ্রহ ও অন্যান্য ধরনের অভিব্যক্তি যা আন্ত জাল ভিত্তিক। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
- তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলির মূল বিষয়গুলো হলো জগজিৎ মাধ্যমগুলি আন্তক্রিয়া যা আন্তঃ ক্রিয়া, আন্তর্জাতিক এপ্লিকেশন। এখানে আমাদের ব্যবহারকারীর উৎপত্তি বিষয়বস্তু, মন্তব্য বিভিন্ন ডিজিটাল চিত্র ভিডিও এ সকল ধরনের আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক ফলে উৎপাদিত উৎপাদক গুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে জীবন শক্তি চালিত।
- আন্তর্জাতিক ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে আপনি এক দেশে থেকে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে তাদের সাথে দেখা এবং কথা বলা সহ বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের কাজ খুব সহজে ঘরে বসে করতে পারবেন।
- ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ভ্রাম্যমান মোবাইল ফোন বা দুরালা পনির আপের সেরার প্রতিটির জন্য সংক্ষিপ্ত আত্ম বিবরণ সৃষ্টি করেন। যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংস্থাগুলির নকশা ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
- এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন ব্যবহারকারীর আত্ম বিবরণী ও অন্যান্য ব্যক্তি বা দলের একে অপরের বিভিন্ন তথ্য সংযোগ ঘটে যার ফলে এই সামাজিক জাল ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে।
- আরো একটি কাজ করা যায় রাজনৈতিক বা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপ তৈরি করি আপনি সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যোগাযোগ, সংঘটত হওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে বিভিন্ন আন্দোলন এবং বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করতে পারেন। আশা করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি তা বুঝতে পেরেছেন।
সামাজিক পরিভাষায় দিয়ে বোঝাতে এই ভিত্তি মন্ত্রগুলি ব্যবহার কারি কেন্দ্রিক এই সমস্যা সম্প্রদায় ভিত্তিক কর্মকাণ্ডের উৎসাহিত করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান সহজে করতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য সবচাইতে উন্নত প্রযুক্তি হচ্ছে মোবাইল, মোবাইল ল্যাপটপ আইফোন এ ধরনের ডিভাইস। যা ব্যবহার করে আপনি সুবিধা গুলো পাবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত জানা উচিত। প্রকৃতপক্ষে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করি বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আমাদের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল সুবিধা গুলো পাওয়া যায় না কারণ ব্যবহার সঠিক না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রতারণা এবং অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় তাই এই বিষয়গুলো আমাদের বিস্তারিত জানা উচিত।
আরো পড়ুনঃ অফলাইন ও অনলাইনে নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত জানুন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা সমূহ,
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল গুলো রয়েছে যে সুফলগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো। প্রকৃত অর্থে যোগাযোগের সহজ উপায় হিসেবে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। যা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যোগাযোগের ব্যবস্থা সহজ করে তোলে।
- তথ্যের দ্রুত প্রাপ্তি: আপনি যেই তথ্যগুলো আপনার প্রয়োজনে শেয়ার করতে চাচ্ছেন। এ তথ্যগুলো যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় ভাবে ব্যবহার করা যায় এবং সংগ্রহ করার পাশাপাশি পাঠানো যায় কারো কাছে। এর মাধ্যমগুলোর মধ্যে সংবাদ শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।
- ব্যবসার প্রসার: পৃথিবীতে সকল সামাজিক ব্যবস্থাগুলোর সবচেয়ে বড় উপকার হল চেয়ে ব্যবসার প্রসার এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই যে কোন ধরনের ব্যবসাকে সফলতার দিকে নিয়ে আসতে পারবেন ব্যবসার প্রসার ও বিভিন্ন সেবা প্রচার করতে পারবেন। বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক বেশি ব্যবসার প্রসার করা যায়।
- শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি: আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে শিক্ষামূলক কন্ট্রোল সামাজিক সচেতনামূলক বিভিন্ন ধরনের উপদেশ। সমাজে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা এবং সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করানোর জন্য এই সামাজিক মাধ্যমগুলো বর্ত করে খুব ব্যবহৃত হচ্ছে।
- বিনোদন ও খেলাধুলা: আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় বিনোদন দেখার জন্য এবং সেই বিনোদন গুলো শিক্ষামূলক বা ফানিমূলক আনন্দদায়ক হতে পারে। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন দেশের খেলা দেখার জন্য এই সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। কখন কোন খেলা হয় বা হবে সে বিষয়েও জ্ঞান রাখতে পারবেন।
- চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতি হবে: আপনি যদি সঠিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের বিদেশি চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। যেকোনো দেশের উন্নত ডাক্তারদের সাথে আপনি সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিতে পারেন।
- কর্মসংস্থানের খোঁজ: বিভিন্ন কর্মসংস্থান রয়েছে এই কর্মসংস্থান গুলোতে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার আবেদন, এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা সাথে বিভিন্ন কর্মসস্থানের কখন কোন ধরনের কর্মের লোক প্রয়োজন হয় এই বিষয়গুলো জানতে পারবেন এবং সরকারি-বেসরকারি সকল ধরনের কর্মসংস্থানের সম্পর্কে খোঁজ রাখতে পারবেন।
- টাকা ইনকামের উপায়: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্নভবে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও অনলাইন জগতে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া রয়েছে যে প্রক্রিয়া গুলো ব্যবহার করে আপনার খুব সহজে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে। বর্তমানে জনপ্রিয়তার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, এবং গুগল এডসেন্স সহ আরো নানান ধরনের উপায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসুবিধা সমূহ,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা ও রয়েছে যা ব্যবহারকারীর উপর নির্ভরশীল। আপনি যদি একজন নীতিমান মানুষ হন তাহলে অবশ্যই যে কোন বিষয়ে সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এতে সমস্যার পরিমাণ কম থাকে। নিচে দেওয়া এই অস্বাভাবিক আচরণ এবং অপচয় গুলো রোধ করলে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কুফল থেকে বাঁচতে পারবেন। তবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
- সময়ের অপচয়: সবচাইতে বেশি সময়ের অপচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি মানুষ প্রয়োজন নেই এমন বিষয়ে বেশি সময় দেয় তাই এখানে সময়ের অপচয় হয় কিন্তু কোন উপকার পাওয়া যায় না বরং সে সময় লস এমবি লস হয়ে থাকে।
- আসক্তি: অনেকেই আছে যারা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি তারা বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ এর সাথে যুক্ত। বিভিন্ন অসঙ্গত পূর্ণ ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করে। এ সময় নষ্ট করা তাদের নেশা হয়ে গেছে, অনেকেই আছে যারা ফ্রী ফায়ার পাবগ এবং বিভিন্ন অনলাইন গেম এর সাথে সময় দিয়ে নিজের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করে। এতে পড়াশোনা নষ্ট হয় পরিবারের মানুষের কাছে খারাপ হতে হয়। এমন কি ভবিষ্যতের জীবনটাও ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে।
- গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়: অনেক সময় দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যেগুলো দিয়ে আপনি যোগাযোগ মাধ্যমটি তৈরি করেছেন সেই মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি করে মানুষ বিভিন্ন খারাপ ভাবে উপস্থাপন করে এতে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয় যা আপনার জন্য ক্ষতিকর। বিষয়ে কিছু মানুষ রয়েছে যারা এই কাজের সাথে জড়িত।
- ভুল তথ্যের প্রসার: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব সহজে যে কোন তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে অনেক অসাধু লোক রয়েছে যারা এই কাজগুলো করে থাকে আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন ভুলভাল তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরবে এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ দেখে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা করবে তাই এই সমস্যায় অনেকেই পড়ে সুইসাইড বা বিভিন্ন ধরনের বড় সমস্যায় পড়তে হয়।
- সাইবার বুলিং: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা একটি বড় সমস্যা, এই সমস্যাটি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার কারণে এই সাইবার নিরাপত্তা আমাদের সহজেই সমাধান করার জন্য বিভিন্ন সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হয় তবে অনেক হ্যাকার রয়েছে। এরা এই সাইবার এর বিভিন্ন তথ্য চুরি করে বিভিন্ন ভাবি মানুষকে সমস্যায় ফেলে তাই অবশ্যই সাবধানতার সাথে অনলাইন প্লাটফর্ম এর তথ্য ব্যবহার করতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।
পরিশেষে আমাদের জানা উচিত যে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অতি শক্তিশালী হাতিয়ার। এই হাতিয়ার ব্যবহার করে আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং অনেক কঠিন কাজকে সহজ করে তুলতে পারি। তবে এর ব্যবহার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আপনাকে এই সুবিধা গুলো নিতে অবশ্যই এই সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজ ব্যবহার করতে হবে। পৃথিবীর প্রায় সকল স্বাধীন দেশগুলোতে সামাজিক ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক রয়েছে যে ভালো দিকগুলো আমরা সঠিকভাবে জানলে। এই বিষয়গুলো ভালো উপকার করবে সামাজিক ব্যবহারের ভালো দিক এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো রয়েছে তা হচ্ছে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মানুষ যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে যেকোনো সময় যে কোনভাবে দ্রুততর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
পুরো পৃথিবীটা একটি গ্রামের মতো মনে হয়। যাকে বর্তমানে একটি গ্লোবাল ভিলেজ নামের নাম দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা কে বলা হয় আন্ত সামাজিক ব্যবস্থা যা ইন্টারনেট প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্ভবপর হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নত করা যায় ব্যবসা ও অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায়, আরো প্রধান কিছু উপকারের মধ্যে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমিক ভালো দিক যা সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য হচ্ছে বর্তমানে এর মাধ্যমে মানুষ কর্মসংস্থানের উপায় খুঁজে পাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করলে মানুষের সুফল মাকে বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হয় যা উপর উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকে অপব্যবহার করে তাহলে আপনার উপকার না হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্নভাবে যোগাযোগ তথ্য সংগ্রহ আদান প্রদানের জন্য উপযুক্ত। এর মধ্যে সবচাইতে অগ্রহনযোগ্য ব্যবহার হচ্ছে অপপ্রচার বা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু প্রচার করা।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল প্রযুক্তির ১০টি সুবিধা ও অসুবিধা - ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বিস্তারিত জানুন
সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করা। এখানে অন্যের ছবি সামাজিক অবস্থা এবং বিভিন্ন অস্থির অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন মানুষ রয়েছে যারা এর অপব্যবহার করে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে এবং উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কে সাহায্য করে। এভাবে আরো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এরকম অনেক সমস্যার নজির রয়েছে। আপনি যদি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকে সঠিকভাবে করেন তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন সুবিধা পাবেন তবে আপনি যদি ভুল ব্যবহার করেন।
সেক্ষেত্রেও আপনাকে সামাজিক চাপ মানসিক চাপ আসক্তি সামাজিক বিচ্ছিন্নতা সামাজিক অস্থিরতা ও আইনের গত সমস্যার মধ্যে করতে হতে পারে। আপনি যদি এসব সমস্যায় না পড়তে চান তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবহার করা থেকে নিজের বিরত রাখুন। এবং কেউ যদি এই ধরনের সমস্যার মধ্যে নিজেকে যুক্ত করে তাহলে তাকে সেই জায়গা থেকে অবশ্যই দূরে বা বিরত রাখার পরামর্শ দিতে হবে।
যুব সমাজের উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব
যুব সমাজের উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব রয়েছে যার প্রভাবে উপর যুবসমাজের অনেক ছেলেমেয়েরাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই ব্যবহারকে তারা সঠিকভাবে না করে বিভিন্ন খারাপ কাজে ও অসামাজিক ভাবে ব্যবহার করছে। নগ্ন ছবি, বিভিন্ন মানুষের সাথে চ্যাটিং, এমনকি গেমিং সহ আরো নাম সমস্যায় আসক্ত হয়ে তাদের ভবিষ্যৎ কি নষ্ট করে ফেলছে।
আরো পড়ুনঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা ২০ পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত জানুন
যে সমাসের যুবসমাজ যত উন্নত চিন্তা ধারার হয়ে থাকে তাই সেই সমস্ত বেশি তাড়াতাড়ি উন্নত হয়। আপনি যদি যেকোনো সমাজকে উন্নত করতে চান তাহলে অবশ্যই সেই সমাজে যুব সমাজের উপর নজর দিতে হবে এবং তাদের সকল বিষয়গুলো পজিটিভ ভাবে ব্যবহার করার সৎ পরামর্শ দিতে হবে এতে যুব সমাজের উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল গুলো পরিলক্ষিত হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যযুগ ও সমাজের সকল বিষয়ে উন্নত না করতে পারেন বা তাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে না পারি আমরা তাহলে এই যুবসমাজ এক সময় ধ্বংসের মুখে চলে যাবে। তাই আপনার সন্তানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালো দিক ব্যবহার করার পরামর্শ দিন এবং যুব সমাজের উপর সামাজিকভাবে পারিবারিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি কি?
উত্তর: বর্তমান প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো হলো, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমু, টিকটিক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, লিংকড ইন ইতালি হলো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উদাহরণ।
প্রশ্ন: সোশ্যাল মিডিয়া সুবিধা কি কি?
উত্তর: সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান অনিক উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, তথ্য ও শিক্ষার সহজলভ্যতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সামাজিক সচেতনতা তৈরি বিনোদিনের সহজ মাধ্যম এবং সবচেয়ে প্রধান হচ্ছে যোগাযোগের উন্নত ব্যবস্থা।
প্রশ্ন: যোগাযোগের মাধ্যম কি?
উত্তর: যোগাযোগের মাধ্যম হলো সেই উপায় যার মাধ্যমে মানুষ যন্ত্র একে অপরের সাথে তথ্য কথাবার্তা আদর প্রদান করে, যেমন মৌখিক বা লিখিত ভাবে দৃশ্যমান ছবি এবং ইলেকট্রিক টেলিফোন সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কাজগুলো করতে পারে।
প্রশ্ন: সামাজিক প্রযুক্তির মাধ্যম কয়টি ও কি কি?
উত্তর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রযুক্তি তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যোগাযোগ, সামাজিক এবং চিত্র বা সংকেত ভিত্তিক মাধ্যমে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।
প্রশ্ন: মানুষের প্রথম যোগাযোগের মাধ্যম কি ছিল?
উত্তর: মানুষের ভাষা আবিষ্কার হওয়ার ক্ষেত্রে যোগাযোগের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তবে লেখা আবিষ্কার হওয়ার আগে মানুষ হাত নেড়ে, চিৎকার করে, ঢাকঢোল বাজিয়ে আগুন বা ধোঁয়া ব্যবহার করে যোগাযোগ করতো, তবে সবচাইতে বেশি দৃষ্টিগ্রাহ্য দূরত্বে আদিম মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল আগুনের সংকেত।
প্রশ্ন: যোগাযোগ শক্তি কি?
উত্তর: একটি কন্টাক্ট ফোর্স হল যে কোন শক্তি যা দুটি বস্তু একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার কারণে ঘটে। এখানে যোগাযোগ শক্তি খুবই সাধারণ এবং বস্তুর মাইক্রোস্কোপিক সংকেত এর মধ্যে সর্বাধিক দৃশ্যমান মিথস্ক্রিয়ার গুলোর জন্য দায়ী। একটি গাড়ির তেল দেওয়া বা একটি বল লাথি মারা প্রতিদিনের উদাহরণ যেখানে যোগাযোগ বাহিনীর কাজ করছে।
প্রশ্ন: আইসিটি ICT এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: আইসিটি হলো (information and communication technology) সাধারণত এটাই তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকরণ ও প্রয়োজনে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বোঝানো হয়েছে। যা কম্পিউটার টেলিযোগাযোগ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম ব্যবহার করে ডাটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, এবং ব্যবহার বা আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
শেষ মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা
আপনি যদি আজকের এই আচরণটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। সাধারণত আমরা বর্তমানে সকল বয়সের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে। এতে আমরা বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার সম্মুখীন হই। যা অনেক সময় আমাদের সুবিধা না দিয়ে অসুবিধায় ফেলে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীর ব্যবহারের ফল।
আপনি যদি যেকোন বিষয়ে সঠিক ফলাফল পেতে চান বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাহলে আপনাকে অবশ্যই পজিটিভ চিন্তা করে ব্যবহার করতে হবে। কারণ প্রত্যেকটা বিষয়েরই ব্যবহার তার সঠিক এবং ভুল ফলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা পেতে হলে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে এবং সঠিক ব্যবহার করতে হবে। আশাকরি তথ্যগুলো থেকে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।



মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url