বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা- বিয়ে করার সঠিক সময় জানুন
বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে কি না এবং বিয়ে করার জন্য সঠিক সময় কি? আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনে নিতে পারেন।
বিয়ে করার সঠিক সময় রয়েছে যা একজন মানুষের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে তাই আমরা সঠিক সময়ে বিয়ে করলে বেশি সুবিধা পাই।
পোস্ট সুচিপত্রঃ বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা- বিয়ে করার সঠিক সময় জানুন
- ভূমিকা
- বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
- তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা
- অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা
- বিয়ের শারীরিক উপকারিতা
- বিয়ে করার সঠিক সময়
- বিয়ে করার সহজ উপায় কি জানেন
- বিয়ে না হওয়ার কারণ ইসলাম কি বলে
- বিবাহ পড়ানোর খুতবা জানুন
- বিয়ে নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- বিয়ের করার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে শেষ মন্তব্য
ভূমিকা
বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে কিনা এ বিষয় সম্পর্ক সঠিক জ্ঞান অর্জন করার জন্য আপনি নিচের তথ্যগুলো অনুধাবন করতে পারেন। একজন মানুষ সচরাচর সামাজিকভাবে বসবাস করে। সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহ তায়ালা আদম এবং হাওয়া সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের বিবাহের সম্পর্ক দ্বারা বর্তমান যুগের আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিবর্তন হয়ে এসেছি।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে যদি স্বামী-বিবাহ বন্ধন বা এই প্রক্রিয়া না থাকতো তাহলে পৃথিবী হয়তো মানুষ শূন্য হয়ে যেত। কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ তার প্রজাতি কে পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রাখে। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ অনেক রকম উপকার পায় এবং কিছু ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ও রক্ষা করা যায়। বর্তমান কলি যুগে বিয়ে করা খুব সহজ একটি ব্যাপার ওহে দাঁড়িয়েছে।
তবে বিয়ে করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যে বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত। বিয়ের সঠিক সময়ে ব্যক্তি এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং মহিলা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তারা একে অপরের সাথে শারীরিক এবং মানসিকভাবে মিলিয়ে যায় এবং একই ভাবনার উপর থেকে জীবন যাপন করতে চাই। তাই চলুন বিস্তারিত জানি।
বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে আমরা অনেককেই বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে ধারণা করি। সাধারণত বিয়ে করার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা যা আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত। যদি সেই বিষয়গুলো জানে তাহলে উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো একজন মানুষের জীবনে নানাবিধ সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই বিয়ের মাধ্যমে দুটি মানুষের ভিতরে সামাজিকভাবে সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়।
নতুন একটি পরিবার গঠিত হয় এবং সেখান থেকে বংশবৃদ্ধি ঘটে।এছাড়া এই সম্পর্কের মধ্যে গড়ে ওঠে মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা একে অপরের প্রতি অবৈধ সম্পর্ক থেকে দূরে রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের খারাপ কর্ম তেও থেকেও দূরে থাকে কিছু ক্ষেত্রে বিয়ে বিচ্ছেদ আর্থিক চাপ এবং স্বাধীনতা হরণের কারণ হয়ে থাকে তাই দেখে নিন বিয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো,
বিয়ের উপকারিতা সমূহ,
- সামাজিক বন্ধনঃ বিয়ে করার মাধ্যমে একে অপরের মাধ্যমে বা দাম্পত্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামাজিক বন্ধন তৈরি হয় এবং এর মাধ্যমে সুসংবদ্ধ কাঠামো তৈরি হয় এবং সেখানে একটি পরিবার গঠিত হয়। যা সৃষ্টির অবিভাজ্য রহস্য দ্বারা রহমত পূর্ণ হয়ে থাকে।
- বংশবৃদ্ধিঃ বিয়ে করার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন। এমন মানব প্রথা থেকে টিকিয়ে রাখতে পরিবার বা উত্তরাধিকারের সূত্রে বংশগত জন্মনিয়ন্ত্রণ বা জন্ম প্রজনন প্রক্রিয়া চালু হয়।
- যৌনতার সমাধানঃ বিয়ে করার মাধ্যমে আপনি আপনার যৌন সমস্যাকে সমাধান করতে পারবেন। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সাথে যৌন মিলন করলে যৌন চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি বাইরে খারাপ পরিবেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
- মানসিক শান্তিঃ বিবাহিত জীবন মানসিকভাবে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রদান করে। যা একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা এবং বিভিন্ন বিপদ আপদে পাশে দাঁড়াতে সাহায্য সহযোগিতা করে।
- শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ বিবাহ করলে গবেষণায় দেখা গেছে দাম্পত্য জীবনে স্টক, বিষন্নতা এবং একাকীত্ব তার ঝুঁকি কমে যায় এ থেকে হৃদরোগ ও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই উপযুক্ত বয়সে বিয়ে করে মানসিক ও শারীরিক শান্তি লাভ করুন।
- অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতঃ অর্থনীতি নিরাপত্তা নিশ্চিহ্ন করার জন্য বিয়ে অন্যতম মাধ্যম যদি আপনারা দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য বিয়ে করেন বা অর্থনৈতিক সমস্যা ঘোচাতে চান তাহলে বিভিন্ন উপায়ে দুইজন মিলে পরিশ্রম করতে পারে এতে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অভাব কমে যাবে।
- অবৈধ সম্পর্ক বা পরকীয়া থেকে মুক্তঃ পর্যাপ্ত মানুষ রয়েছে যারা বিয়ে না করার কারণে বিভিন্ন পরকীয়া এবং অবৈধ সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তাই আপনি যদি একজন বিবাহিত মানুষ হন তাহলে এর সম্ভাবনা অনেকটাই কম হয়। কারণ মানুষের জৈবিক চাহিদার কারণে মানুষ বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত হয়।
- নিজের মত জীবন সঙ্গী পাওয়া যায়ঃ বিয়ের মাধ্যমে শুধু সংসার বা সন্তান জন্ম দেয়া বড় বিষয় নয়। বিয়ের মাধ্যমে একটা সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য জীবনসঙ্গী পাওয়া যায়। যাকে সুখে-দুঃখে বিভিন্ন সময়ে কাছে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে মানুষ একা চলতে পারে না তাই বেঁচে থাকার জন্য জীবনসঙ্গী অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিয়ে করার অপকারিতা সমূহ,
- ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কমে যাওয়াঃ বিয়ে করার পর উভয়েরই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কিছুটা কমে যায় কারণ একে অপরকে একসাথে থাকতে হলে অনেক কিছু কম্প্রোমাইজ করতে হয়। যেমন বেচালার জীবনে কোন কিছু করতে মন চাইলে সেটা নিজে নিজেই মতামত বা সিদ্ধান্ত দিতে হয়। তবে বিয়ে করার পর আপনি আপনার সিদ্ধান্ত বউ বা জীবন সঙ্গিনী ছাড়া সম্পূর্ণ ভাবে নিতে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হবে। পরিবারের সাথে এবং নিজের স্ত্রীর সাথে সময় দিতে হয়।
- আর্থিক চাপ বৃদ্ধিঃ বিয়ের আগে একটি মানুষের একজনের চিন্তা করতে হয়। বা পরিবারের যাদের সাথে থাকে তাদের চিন্তা করতে হয় কিন্তু বিয়ের পর তাকে সকল কিছুর বাইরে বিয়ে এবং তার আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন পড়ে তাই সেই তুলনায় বিবাহের পর আর্থিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
- দায়িত্ব বৃদ্ধিঃ বিবাহের পর মানুষের জীবনে একে অপরের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিয়ের পর থেকে একজন স্ত্রীর সকল ভরণপোষণ এবং যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। যদিও ছেলে মেয়ে উভয়ে দাম্পত্য জীবনের দায়িত্ব নেওয়া যায়। তবে অনেক সময় ছেলেদের প্রতি বেশি দায়িত্ব পড়ে।
- ব্যক্তিগত মত পার্থক্যঃ ব্যক্তিগত মত পার্থক্য হওয়ার জন্য জীবনসঙ্গী অনেক সময় মহাকাল হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় দেখা যায় কোন কিছু করা বা না করার পেছনে দুইজনেরই মতামত দুই রকম হয় সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মতামত অনেকটাই অবনতি ঘটে।
- বিবাহবিচ্ছেদঃ পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণ বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তাই বলা হয় যে যেখানে সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই বিয়ে যেহেতু একটি সম্পর্কই নয় একটি ভালোবাসা বিশ্বাস এবং দায়িত্বের ভিতরে পড়ে তাই এই সময়ে বিচ্ছেদ বা একে অপরের সাথে না মিললে মনোমালিন্য এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- মানসিক দুশ্চিন্তাঃ অনেক সময় বিয়ে করার পর মানুষের বিভিন্ন ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। বিয়ে করার পর সংসার পরিচালনা করার জন্য এবং সংসারের ছেলে মেয়ে এবং সকল কিছুর দায়িত্ব পালন করতে বিভিন্ন ধরনের পরিশ্রম এবং মানসিক চিন্তার ভিতর পড়তে হয়।
একজন মানুষ বিয়ে করার জন্য যে উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে রাখলে তার দাম্পত্য জীবন সুন্দর হবে। সে বিষয়গুলো উপস্থাপন চেষ্টা করলাম। আপনি যদি বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই বিয়ে করার পূর্বে কিছু কাজ আপনাকে মেনে নিতে হবে। যেমন বিয়ে করার পর আপনি স্বাধীনভাবে চলতে পারবেন না একে অপরের মতামত কে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়াও তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা গুলো দেখুন।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম - বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার জানুন
সকল কাজা নামাজ ও ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও সময় জেনে নিন
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচী ২০২৩ - তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও ফজলত দেখুন
তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা
তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা আছে এগুলোর উপর একটি মানুষের প্রয়োজন। সাধারণত ছেলেদের ২১ বছর এবং মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হলে এগিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়। এখানে বলা বোঝানো হয়েছে যে শারীরিকভাবে তারা প্রস্তুত থাকে। এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে তাদের মধ্যে বিবাহের সম্পর্ক তৈরি করে দেওয়া হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক নিয়ম এবং ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে তৈরি।
তোকে যদি আপনি কম বয়সে বিয়ে করেন সেক্ষেত্রে আপনার মানসিক শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্যার আপনার উপযুক্ততা এই আপনি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিতে পারেন এটা আপনার মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। সংসার করে জীবন যাপন করার প্রক্রিয়া জানা যায়। অর্থনৈতিকভাবে একে অপরের সহযোগিতায় উন্নত করা যায়। এছাড়া যে বিষয়গুলো সচলতা লক্ষ্য করা যায়।
তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে সন্তান তাড়াতাড়ি জন্ম নেয় এবং দাম্পত্য জীবনের সন্তানকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ববোধ এবং কার্যক্রম চলে আসে। সহজে সন্তান কম বয়সী সন্তানের বাবা হওয়া যায়। সম্পর্কের দৃঢ়তা করে স্বামী-স্ত্রীর কমন বা তাড়াতাড়ি বিয়ে হলে তাদের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের আগেই মিলন না মহব্বতের সৃষ্টি হয়। তাই উপযুক্ত সময়ে বিয়ে করা অন্যতম। এখানে কিছু খারাপ ও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে।
যদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ঘাটতি থাকে তাহলে মানুষের সমস্যা হতে পারে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনাটা সঠিক হলে আপনি তাড়াতাড়ি ক্যারিয়ার করতে পারবেন এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া আপনার ক্যারিয়ার এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে পারে যা আপনার চিন্তাভাবনা স্থির করে তুলতে পারে তাই আপনাকে উপযুক্ত মনে হলেই বিয়ে করতে হবে। বিয়ে করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আর্থিক এবং সামাজিক পরিবেশ।
অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা
এছাড়া আপনার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। শরীরের দুর্বলতা বোধ এবং মানসিক চাপ সহ আর্থিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে। সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে পারেন। তবে অল্প বয়সে বিয়ে করা কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন ছটি সুফল আপনার সামনে উপস্থা করলাম। যে সফলগলো প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রয়োজন। রকম বয়সের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বিয়ের জন্য কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।
আপনি যদি ৩০ বছরের বেশি বয়স হলে বিয়ে করেন তাহলে আপনার মধ্যে এক ধরনের গাম্ভীর জবাব ভারত তো চলে আসবে যার কারণে আপনার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে এই সময়ে বেশি মধুর সমস্ত হতে দেরি হয় তাই ব্যাপারটা এমন হয়ে যায় যে বিয়ে করতে হবে তাই করা।
বেশি সময় বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী তাদের ভিতরে যে সময় পায় তার চাইতে কম বয়সে বিয়ে করলে বেশি সময় পায়। বেশি সময়ে বিয়ে করলে একান্ত সময় কাটানো অন্যরকম হয়ে ওঠে আর একই ভাবে অল্প সময়ে বিয়ে করলে বেশি জীবন সঙ্গীত সময় বেশি পাওয়া যায় এবং সকল দিক থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।
ওরা সোনি সকলে জানি একা থাকার চেয়ে দুজনে থাকা বেশি নিরাপত্তায় অল্প বয়সে বিয়ে করেন তাহলে খুব কম বয়সে আপনার জীবন সঙ্গী হিসেবে একজনকে পাবেন তার সাথে শুধু সকল বিষয়ে সকল কিছু শেয়ার করতে পারবেন। যে কোন সমস্যা একে অপরের মিলে সমাধান করতে পারবেন। মানসিক চাপ এবং আর্থিক সর্বনিম্ন ধরনের চাপ কমে।
আমার সন্তানের জন্য ভালো পিতা-মাতার হতে আপনাকে আগে বিয়ে করার উত্তম কারণ বয়স হয়ে গেলে আপনার যে মন মানসিকতা থাকবে তার চাইতে কম বয়সে বিয়ে করলে সেই দিক থেকে আপনি বেশি সময় দিতে পারবেন আপনার সন্তান সন্ততিদের সাথে। দেখা যাচ্ছে আপনি সবার জন্মদিন আর কয়েক বছর পরেই মারা যাচ্ছে। অল্প বয়সে বিয়ে করলে দীর্ঘদিন সংসারের সময় দিতে পারবেন।
এস নামের একটি মানসিক সমস্যায় পড়তে হয় বিয়ে দেরিতে করলে সেটা হচ্ছে, পারিবারিক থেকে চাপ আসে, বন্ধু তীর্থকে টিটকারি শুনতে হয় এবং বিভিন্ন নানামুখী কথা শুনতে হয় অল্প সময়ে বিয়ে না করলে। অনেকেই বলে কোন সম্পর্ক আছে বিভিন্ন ধরনের কথা।
তাই আপনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চান তাহলে অল্প বয়সে বিয়ে করতে পারেন। অল্প বয়স বলছে যে খুব কম বয়সী তা না আপনার যখন বয়স পূর্ণ হবে তখন। অনেকেই বয়স পূর্ণ হওয়ার পর বাপ পরিপূর্ণতা পাওয়ার পরেও খুব দেরিতে বিয়ে করেন না করে আপনি সঠিক সময়ে বিয়ে করবেন। এই সঠিক সময় বিয়ে করলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজেই সমাধান হবে যা আপনার চলাকে আপনার জীবনকে আরো সহজ করবে।
বিয়ের শারীরিক উপকারিতা
বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন, কারণ বিয়ের শারীরিক উপকারিতা রয়েছে যা আপনি জানলে অবাক হবেন। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে যে একাত্ত এবং মানুষের অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একাকীত্বতা মানুষকে বিষন্নতায় ফেলি এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যয় নিয়ে যায়। আর আপনি যদি বিয়ে করেন তাহলে আপনার শারীরিক যৌন সমস্যা হবে না। আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সফল থাকবেন।
একজন মানুষের শারীরিক চাহিদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা আপনি বিয়ে করে নাই পূরণ করতে পারেন। এছাড়াও আপনার দেখাশোনা এবং সকল দায়ী দয়িত্ব ভাগাভাগি করার জন্য একজন জীবনসঙ্গী পাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাদের দাম্পত্য জীবন তাদের অকাল মৃত্যুর হার অনেকটাই কম তারা মানসিক চিন্তায় ভোগে কম। বিভিন্ন সময় হৃদরকের সম্ভাবনা থেকে বাঁচতে পারে।
একে অপর প্রতি ভালোবাসা থেকে তৈরি হয় অনুভূতি এবং দায়িত্বশীলতা যা একে অপরকে ভালো থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে ভালোবাসার মানুষকে দেখলে মানুষের শরীরে এক ধরনের হরমোন খরিত হয় যা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এবং মানুষের মন মানসিকতাকে পজেটিভ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিয়ে করার সঠিক সময়
বিয়ে করার সঠিক সময় সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। শারীরিকভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আমরা বিয়ে করার জন্য ২১ ছেলেদের এবং ১৮ বছর মেয়েদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। আসলে এর প্রকৃত অর্থ হচ্ছে মেয়েদের পরিপূর্ণতা শারীরিকভাবে তৈরি হয়ে ওঠার জন্য ১৮ বছর সময় প্রয়োজন হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে আগে হয়ে যায় তবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর অপেক্ষা করা প্রয়োজন বিয়ে করার জন্য।
তাই আপনি এই সময়ে বিয়ে করতে পারেন এটা অন্যতম সময়। তবে আপনাকে শারীরিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে বিয়ে করার জন্য। বিয়ে শুধু একটি মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক নয়। বরং একটি জীবনের সাথে আরেকটি জীবন সুন্দরভাবে একই সাথে চলার ঐক্যবদ্ধ সংলাপ ও দৃঢ় তাকে বোঝায়।
তাই বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে যে মানুষ শুধুমাত্র বয়সের দিক থেকে উপযুক্ত বা শারীরিক থেকে উপযুক্ত হলে বিয়ে না করে। তার আর্থিক, পারিবারিক, পরিবেশগত সকল দিক বিবেচনা করে উপযুক্ত হলেই বিয়ে করা উচিত। এতে আপনার মধ্যে বিয়ে করার যে উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তা স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন। আপনি যদি সচেতনভাবে সকল কিছু জেনে বিয়ে করেন তাহলে উপকারিতাগুলো আপনার জীবনে বেশি ফলিত হবে।
আবার আপনি যদি অনিয়ম এবং অপ্রয়োজনে শারীরিক ক্ষমতা দ্বারাই বিয়ে করে মানসিকভাবে প্রস্তুত এবং আর্থিকভাবে সামাজিকভাবে প্রস্তুত না থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বিবাহিত জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা চলে আসবে। যে সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আর এর জন্য সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তাই বিয়ে করার জন্য সঠিক বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ে করার সহজ উপায় কি জানেন
বিয়ে করার সহজ উপায় রয়েছে যা খুব ভালোভাবে জেনে আপনি যে কোন সময় যে ভাবে বিয়ে করতে পারবেন। আসলে বিয়ে করার সহজ উপায় করতে গেলে তুই একটি সম্পর্ক এবং শুধু সম্পর্ক নয় একটি মনের মিলন। তাই অবশ্যই বিয়ে করার জন্য সহজ কিছু উপায় রয়েছে যা আপনার বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন।
- প্রথমে আপনি বিয়ে করার জন্য ছেলে বা মেয়ে ভয়ে উভয়কে পছন্দ করে কিনা তা জানবেন।
- এবং তাদের পরিবারের সবাই মত দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হবেন।
- এবং সেই আপনি তাকে বিয়ে করবেন সে কি আপনার সাথে সারাজীবন কাটাতে পারবে কিনা তার সম্মতি জানুন।
এ বিষয়গুলো জানলে আপনি খুব সহজেই সরকারিভাবে বা বাসায় সকলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান করে কাজী ডেকে বিয়ে করাতে পারবেন। তবে আপনি যদি সহজেই কম খরচে বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করতে পারেন। প্রকৃত অর্থে বিয়ে করার জন্য সরকারি কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে যা আইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। আপনাকে সহজে বিয়ে করতে হলে আইনের মাধ্যমে বিয়ে করতে হবে।
বিয়ে না হওয়ার কারণ ইসলাম কি বলে
বিয়ে না হওয়ার কারণ সম্পর্কে ইসলাম যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছে, তাহলে একজন মানুষ পূর্ণ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য তার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে তার সাথে বিবাহ সম্পর্কে স্বচ্ছভাবে ধরাতে পারে। এছাড়াও একজন মানুষ যেকোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারে না বিয়ে করার জন্য ইসলামিক কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। যে নিয়ম নীতি গুলো অনুসরণ করা ফরজ একজন মুসলিমের জন্য।
এছাড়া অপর একটি ধর্মেই কিছু নিয়মৃত রয়েছে বিয়ে করার জন্য তবে মুসলিম মন্দির ক্ষেত্রে বিয়ে করার জন্য উভয়ের সম্মতি প্রদান। এবং বিয়ে করার সময় ছেলেপক্ষকে মেয়ে পক্ষকে কিছু পরিমাণ দেনমোহর পরিশোধ করতে হয়। আমার ধর্মীয়ভাবে অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিবাহ করতে চায় না। বিবাহ করার কারণে তাদের ধর্ম থেকে বিচ্যুত বা ধর্মের কাছ থেকে বিচ্যুত হতে পারে যার জন্য তারা বৈরাগ্য জীবন যাপন করে।
ইসলামী বর্তমানে একজন মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই বিয়ে করতে পারে। আপনিও যদি একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে অবশ্যই বিয়ে করতে পারবেন। ইসলামে বিয়ে করার জন্য যে নিয়মগুলো রয়েছে তার নিচে আরো পড়ুন শেষ হলে উপস্থিত করা হয়েছে আপনি এই আরোপন সেকশনটি ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন যে কিভাবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিয়ে করাতে হয়।
তবে কুরআনের বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কাদের সাথে বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়া যাবে এবং কোন ব্যক্তিদের সাথে বিবাহ বন্ধনে বা কোন সম্পর্কের মানুষের সাথে বিবাহ বন্ধন থেকে দূরে থাকতে হবে। আমরা সচরাচর যে জানি খালা, ফুপু, চাচি, সৎ মা, দুধ বোন, আপন বোন এদের সাথে বিবাহ সম্পর্কে থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া সকল মানুষের সাথে যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে বা নেই তাদের সাথে বিবাহ সম্পর্কে সম্পর্ক সম্পর্ক করা যায়।
বিবাহ পড়ানোর খুতবা জানুন
বিবাহ পড়ানোর খুতবা যা বিবাহ পড়ানোর পূর্বে পড়ানো হয়। খুবা পড়ার পরে বিভিন্ন নিয়ম রতি রয়েছে যা অনুসরণ করে আপনাদের আমাদের সকলের বিয়ের কাজ শুরু করা হয়। তাই আমরা অনেকেই বিয়ের খুতবা সম্পর্কে জানতে চাই। তাই নিচে বিয়ের খুতবা আরবি এবং বাংলাতে দেওয়া হল যা আপনাকে বিয়ের খুতবা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করবে। প্রথমে আরবি এবং পরে বাংলাতে দেখুন।
আরবি, إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونؤمن به ونتوكل عليه، ونعوذ بالله من شرور انفسنا ومن سيئات اعمالنا، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له، واشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له، واشهد ان سيدنا ومولانا محمد عبده و رسوله، الذي أُرسل الى الناس كافةً بشيرا ونذيرا، وداعيا الى الله بإذنه سراجا وقمرا منيرا، اما بعد.
فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم، بسم الله الرحمن الرحيم، يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم
مُّسْلِمُونَ (سورة آل عمران : 102)
وقال تعالى: يَا
أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ، واحِدَةٍ،
وخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا ونِسَاءً
واتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ والْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ
عَلَيْكُمْ رَقِيبًا (سورة النساء:1)
وقال تعالى: يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا، يُصْلِحْ
لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ
وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا (سورة الأحزاب: 70-71)
وقال
رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا تزوج العبد فقد استكمل نصف الدين فليتق الله
في النصف الباقي (صحيح الترغيب والترهيب للامام الالباني رحمه الله)
وقال
عليه الصلاة والسلام: النِّكَاحُ من سُنَّتِي فمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَليسَ
مِنِّي ، و ايضا قال: تَزَوَّجُوا الوَدُودَ الوَلودَ ، فإني مُكَاثِرٌ بكم
الأنبياءَ يومَ القيامةِ (أخرجه أحمد: 13594)
বাংলা উচ্চারণ, ইন্নাল মাইদা লিল্লাহি, নাহমাদুহ ওয়া নাসতাইনুহু, ওয়া নাস্তাগফিরুহু, ওয়ান নাউজুবিল্লাহি মিন শুরুরি আনফুসিনা, ওয়া মিন ছাইয়া তুই আমালিনা, মাইয়া দিলিল্লাহু, ফালা মদিলিল্লাহু, অমায়িক ফালা হাদিয়া লাহ।
ওয়া আশহাদু আন্না ইলাহা ইল্লাহু, ওয়াদাহু লা শারিকালাহু, ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু রাসুলহু, আল্লাজি উসিলা ইলান নাসিকা ফফাতাম, বাসিরা ওয়া নাজিরা। ওয়াদা ইয়ান ইলাল্লাহি বিজিনি ওয়াসিরাও, ওয়াকাম্বারা মুমিনা, আম্মা বাদ!
ফাউজু লিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুত্তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন।
ওয়াক আল্লাহতালা, ইন্না আইয়ুহাল্লাসুদ তাকু রাব্বাকু মুল্লাজি খালাকা কুম মিন মীন নাফসি ওয়াহিদাটিও, ওয়া খালাকা মিনহা যাও যাহা, ওয়াও বাচ্চা মিনহুমা, রিজলাল কাশীরাও ওয়া নিসা, এয়াত তাকুল্লা হাল্লজি তাসা আলু না বিহি, ওয়াল আরহাম, ইন্নাল্লাহা কানা আলাইকুম রাকিবা।
ওয়াকালা তায়ালা: ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু তাহকুল্লা ওয়াকু লুকাইলা চাদিদা। ইউ সাল্লি লাকুম আলাকুম ওয়াগ লাকুম জনু বাকুম, ওয়া মাই ইউতি ইল্লাহা ওয়া রাসূলুল্লাহ ফাকাদ ফাজা ফাউজান আজিমা।
ওয়াক আল্লাহ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম: ইয়াতা জাওয়াদ জাযাল আবদু, ফাঁকাদ ইসকাতামালা নিসফাত দ্বীন, ফাল ইয়াত্তাকিল্লাহা, ফিল্মফিলস ফিল বাকি। সোয়াবুল ঈমান
ওয়ালা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম: আনিকা হু মিনস সুন্নাতি, হামান রাবিবা আন সুন্নাতি ফালাইসা মিন্নি। ওয়াকালা আই জান, তাজা ওয়াজ্জুল ওয়ালুদাল ওয়াদুদা, ফা ইন্নি মুকাসিরুম, বি কমুল আম্বিয়া, ইয়াউমাল ইয়ামাহ।
বাংলা অনুবাদ, নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তার প্রশংসা করছি, তার সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা আমাদের নফসের অকল্যাণ থেকে এবং আমাদের খারাপ কর্মগুলো থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত করেন তাকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারে না। আর আল্লাহু যাকে বিভ্রান্ত করে তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারে না।
এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোন শরীরিক নেই, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রেরিত নবী ও রাসূল। হে বিশ্বাসীগণ তোমরা আল্লাহকে সত্তিকারের ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করো না। হে মানব জাতি তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো চিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার জোড়া কে সৃষ্টি করেছে।
এবং তাদের থেকে বহু নারী এবং নর ছড়িয়ে দিয়েছেন। ভয় করো যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট জিজ্ঞাসা করো এবং সতর্ক থাকুন রক্ত আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (সূরা নিসা এক নম্বর)
হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে ভয় করে এবং সত্য কথা বলো, তিনি তোমাদের কর্ম ক্ষেত্রে ত্রুটি মুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন, আর যারা আল্লাহু ও তার রাসূলের আনন্দ করতো করে তারা অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। (সূরা আহযাব ৭০-৭১)। আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন বান্দা যখন বিবাহ করে তখন সে তার অর্ধেক দিন পূর্ণ করে নেয়।
অতএব তাকে তার অবশিষ্ট অর্ধেক দিনের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করা উচিত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিয়ে পড়ানোর জন্য কি দোয়া পড়ানো হয় এবং সেই দোয়ার আরবি এবং বাংলা অনুবাদ কেমন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন তাই আপনাকে এই তথ্যগুলো জানার জন্য এবং করর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি এগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে জানতে পারবেন যে কিভাবে কোন দোয়ার মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হয় ও কি খুতবা।
বিয়ে নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ বিয়ে করলে কি কি উপকার পাওয়া যায়?
উত্তরঃ বিয়ে করলে সাধারণত যে সকল উপকার পাওয়া যায় তাহলে সামাজিক বন্ধন দাম্পত্য জীবন ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তন, পারস্পরিক অধিকার দায়িত্ব অঙ্গীকার তৈরি এবং জীবন যাত্রা সম্পূর্ণ পরিবর্তন।
প্রশ্নঃ বিয়ে করলে কি কি রোগ ভালো হয়?
উত্তরঃ বিয়ে করলে কিছুদিনের রোগ সারে যেমন মানুষের কথাটা বস্তু থাকলে তা ভালো হয়, হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে, মানসিক চাপ কমে, শরীরের রক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সার্বকভাবে সুস্থ রাখে শরীরকে। গবেষণা জানা গেছে স্বামী স্ত্রী ভালবাসার সময় এক ধরনের হরমোন ক্ষরিত হয় যা শরীর ভালো রাখার জন্য উপযুক্ত।
প্রশ্নঃ বিয়ে কেন করা উচিত?
উত্তরঃ বিবাহের মাধ্যমে পরিবারের সূত্রপাত হয় এবং বিবাহ ছাড়া মানুষের নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি এবং বংশ বজায় রাখা সম্ভব না তাই আল্লাহ কর্তৃক এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে দুনিয়ার ভারসাম্য বাদে রাখা হয়। তাই সকলকে বিয়ে করা উচিত বিশেষ ক্ষেত্র ব্যতীত। মহা মানুষ বিয়ে করা না করা এগুলোর ঊর্ধ্বে থাকে।
প্রশ্নঃ বিয়ে করার মূল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ ইসলামের দৃষ্টি অনুপাতে বিবাহের মূল উদ্দেশ্য হলো স্বামী-স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তি চারিত্রিক পবিত্রতা সামাজিক পারিবারিক বন্ধন স্থিতিশীলতা সন্তান জন্মদান এবং লালন পালনের প্রক্রিয়া। এছাড়াও এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে তৃতীয় জাতের মানুষের উৎপত্তি ঘটে।
প্রশ্নঃ বিয়ে পরানোর সময় বর কি বলে?
উত্তরঃ বিয়ে পড়ানোর সময় বর যে কথাটি বলে তা হচ্ছে সকল কিছু সম্মতি এবং প্রস্তাব সাপেক্ষে মুসলিম বিয়েতে কনেপক্ষের প্রস্তাবের পর কবুল এবং আমি রাজি বা গ্রহণ করলাম শব্দটি উচ্চারণ করতে হয়।
প্রশ্নঃ স্ত্রী তালাক দিলে দেনমোহর পাবে কি?
উত্তরঃ বর্তমানে স্ত্রী তালাক দিলেও তার দেনমোহরের টাকা দিতে হবে কারণ দেনমোহরের টাকা আইনগতভাবে অধিকার এবং এটি স্বামীর দেওয়া একটি আর্থিক প্রতিশ্রুতি।
প্রশ্নঃ বর্তমানে মোহরে ফাতেমী কত?
উত্তরঃ এটি হলো এক ধরনের ব্যবস্থা যা তাদের আর্থিক অবস্থা এবং সম্মতির উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। দুদিনের পক্ষ এবং ছেলেপক্ষ উভয়ের রাজি থাকে সে ক্ষেত্রে।
প্রশ্নঃ মোহরে ফাতেমী কি?
উত্তরঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নিজ কন্যা এবং হযরত মাওলা আলী আলাইহিস সালাতু সালাম এর সঙ্গে বিয়ের সময় যে দিন মোহর নির্ধারণ করা হয়েছিল তাকে মোহরে ফাতেমী বলে।
প্রশ্নঃ মোহরানা ছাড়া কি বিয়ে হয়?
উত্তরঃ মোহরানা ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না বিয়ের সময় যদি দেননি ধান না হয়ে থাকে তবে স্ত্রী পূর্ণ দেনমোহর দাবি করতে পারি না পড়তে বিয়েটি যদি সম্পাদিত হয় তবুও স্বামীর দেনমোহর দিতে হবে স্ত্রীকে, এখানে আইন অনুযায়ী বা ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা হয়েছে যেখানে ন্যূনতম পরিমাণ হলেও স্বামীকে স্ত্রীর জন্য দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
বিয়ের করার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে শেষ মন্তব্য
বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আপনাদের সামনে যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম তা কি অবশ্যই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে একজন মানুষের কখন বিয়ে করা উচিত। আচ্ছা ভালো জানতে পেরেছেন যে বিয়ে করার জন্য কোন সময়ের উপযুক্ত এবং কিভাবে বিয়ে করতে হয়।
বিয়ে করার জন্য কি ধরনের বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং কোন জ্ঞানের আলোতে আপনাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলো। বর্তমানে দেখা যায় যে অনেক ছেলেমেয়েরা রয়েছে যারা অল্প বয়সে বিয়ে করে। প্রকৃত অর্থে অল্প বয়সে বিয়ে করার গেল সামাজিক আর্থিক এবং মানসিকভাবে পরিপূর্ণ না হলে এতে শান্তি না হয়ে অশান্তির পরিমাণ বেশি হয়।
সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি বিয়ে করার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো যদি সঠিকভাবে জানেন তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় পাবেন এবং সেই সিদ্ধান্ত যদি সঠিক নেন তাহলে আপনি অবশ্যই সারা জীবন সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন পার করতে পারবেন। আশা করি আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য ধারণ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url