সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি বাংলা অর্থ ও ফজিলত জানুন

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত ও এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সকাল সকাল বিকাল সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ সওয়াবের আমল। এ বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস উল্লেখ রয়েছে এর মর্যাদা।

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি বাংলা অর্থ ও ফজিলত

আল্লাহতালা আসমাউল হুসনা এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছে এই সূরার মধ্যে। ২৪ আয়াত বিশিষ্ট সূরা হাশরের রুকুর সংখ্যা ৩ এছাড়াও এই সূরাটি মদিনাতে অবতীর্ণ বা নাযিল হয়েছে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি বাংলা অর্থ ও ফজিলত জানুন

ভূমিকা 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে আপনাদের জন্য সাজানো হয়েছে। প্রথম রুকু থেকে দ্বিতীয় তথা শেষ রুকু পর্যন্ত। ১ থেকে ২৪ নম্বর আয়াত দাসত্ব অস্বীকারকারীদের পরিণত দুনিয়া ও আখিরাতের কত কঠিন পরিণতি তা বলা হয়েছে। এছাড়াও এই সূরার বড় অংশে সমররীতির আলোচনা রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বাসীদের জন্য বিভিন্ন উপদেশমূলক বাণী রয়েছে। 

তাই আজকে আমরা সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত এর বাংলা অর্থ। এবং কিছু ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানবো যা আপনার ইবাদতকে আরো সহজ করে তুলবে এবং আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার কাজে সহযোগিতা করবে। এই সূরার এই আয়াতগুলো নিয়ে বিভিন্ন হাদিস রয়েছে মাকাল বিন ইয়াসার রা: বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি সকালবেলা তিনবার আউযুবিল্লাহি সামিইল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম পড়বে।

আরো পড়ুনঃ আয়তাল কুসরি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ অর্থ ফজিলত জেনে নিন 

এবং সাথে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করবে আল্লাহতালা ওই ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা দায়ী দূরত্ব করে দিবেন। তারা সারাদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে থাকবে। যদি কেউ এই সময় মারা যায় তাহলে তার শহীদের মর্যাদা দেওয়া হবে। কেউ যদি সন্ধ্যায় পড়ে তাহলে সকাল পর্যন্ত তার জন্য এই সুবিধা থাকবে। সুনানে তিরমিজি হাদিস নাম্বার ৩০৯০ ও আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ২৯২২, তারপরে মুসনাত আহমদ হাদিস নাম্বার ১৯৭৯৫, এবং কাঞ্জল উম্মাল হাদিস নম্বর ৩৫৯৭।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত যদি আপনি জানতে চান এবং শুনতে চান তাহলে নিচে দেওয়া  ভিডিওটা দেখতে পারেন এখানে সুন্দরভাবে তেলাওয়াত দেওয়া হয়েছে যা শুনলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। সচরাচর যে সকল ব্যক্তিরা পড়াশোনা বা আরবি বাংলা পড়তে পারেন না তারা এই শোনার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। নিচের এই ভিডিওটি শুনে আপনি মুখস্ত করে প্রতিদিন নিয়ম করে পড়তে পারেন। 

আশা করি উপরের এই ভিডিওটি আপনাকে ভালো লেগেছে। এই থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনি আপনার জীবনে বাস্তমুখে আমল করে প্রচুর সওয়াব হাসিল করতে পারেন। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে আমরা সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের আরবি বাংলা এবং কিছু ব্যাখ্যা উপস্থাপন করব যাতে আপনি এ বিষয়ে সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার নিয়ম জানুন

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার নিয়ম জানুন। যেভাবে ইবাদত করার মাধ্যমে বা পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অশেষ সওয়াব হাসিল করতে পারবেন। আসলে বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমরা সূরা হাশরের তিন আয়াত পড়ে থাকি। সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার জন্য আপনাকে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম। 

এবং বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে শুরু করতে হবে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করা। এভাবে আপনি প্রতিদিন সকালে অথবা ফজরের নামাজের সময় নামাজ শেষে পড়ার মাধ্যমে অশেষ সওয়াব হাসিল করতে পারেন। আপনি চাইলে প্রতিটি নামাজের সময় পড়তে পারেন। এছাড়া আপনি রাতে শেষ নামাজের সময় পড়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন এতে অশেষ ফজিলত পাওয়া যায়।

উপরের বিভিন্ন হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেমন, কেউ যদি সকালে পড়ে তাহলে সারাদিন তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকবে এসময় তিনি যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়া হবে বলে হাদীসে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কেউ যদি রাতে পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে সারারতে তার ইবাদতের মত সহবাসে থাকবে এবং সে যদি মারা যায় তাহলে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হবে। 

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি দেখে নিন 

আপনি যদি সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি না জেনে থাকেন তাহলে নিজের আরবি গুলো দেখে নিতে পারেন এখানে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জন্য সিরিয়াল ভাবে দিন আয়াত উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই আপনি সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি পড়ে নিতে পারেন এবং পর্যায়ক্রমে আপনি নিচের দিকে জানতে পারবেন বাংলা এবং কিছু অর্থ। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি, 

هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لاَ إِلَـٰهَ إِلاَّ هُوَ عَالِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَادَةِ هُوَ ٱلرَّحْمَـٰنُ ٱلرَّحِيمُ  هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لاَ إِلَـٰهَ إِلاَّ هُوَ ٱلْمَلِكُ ٱلْقُدُّوسُ ٱلسَّلاَمُ ٱلْمُؤْمِنُ ٱلْمُهَيْمِنُ ٱلْعَزِيزُ ٱلْجَبَّارُ ٱلْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ  هُوَ ٱللَّهُ ٱلْخَالِقُ ٱلْبَارِىءُ ٱلْمُصَوِّرُ لَهُ ٱلأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلأَرْضِ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ 

উক্ত আরবি থেকে আপনি বুঝতেই পারছেন যে এই আয়াতটি কুরআনের কত মর্যাদা পূর্ণ একটি আয়াত। সাধারণত অনেক মানুষ রয়েছে তারা নামাজের শেষে সকাল বিকালে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবি পড়ে থাকে। এতে বিভিন্ন ধরনের ফজিলত রয়েছে যা পর্যায়ক্রমে আমরা জানবো তবে আপনি যদি আপনার বাস্তবিক জীবনে এটা পড়তে পারেন তাহলে বিশেষ কিছু উপকারিতা পাবেন। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ জানুন 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ অনেকেই জানতে চাই। কারণ আমাদের দেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা আরবি পড়তে পারে না তাদের জন্য বাংলাতে খুব সহজে উপস্থাপন করা হলো এই সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত। যেখানে স্পষ্টভাবে আপনি আরবি গুলো যেভাবে আছে ঠিক সেইভাবেই বাংলা উচ্চারণ গুলো করতে পারবেন। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ: হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া, আমিমুল গাইবী ওয়াজ শাহাদাদি, হু আর রাহমানুর রহম। হুয়াল্লা হুয়াল্লাজি লা ইলাহ ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মমিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহ আম্মা ইউ য়ুশিরিকিন। হু আল্লাহুল খালিকুল বারিউল মুছাওয়ুরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মাফির সামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওযল আজিজুল হাকিম।

এই ছিল আজকের সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ। যারা আরবিতে কোরআন শরীফ বা আরবি পড়তে পারেন না তাদের জন্য সহজ ভাষায় একবারে সাবলীনভাবে হুবহু সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ উপস্থাপন করেছি সহজেই যা পড়তে পারবেন। এছাড়াও পর্যায়ক্রম নিয়ে আমরা বাংলা অর্থ এবং কিছু ফজিলত সম্পর্কে জানবো। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা অর্থসহ জানুন 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা অর্থসহ অনেকে জানতে চাই তাই আপনাদের সুবিধার্থে আয়াতগুলোর বাংলা অর্থ উপস্থাপন করলাম। আসলে আমাদের ভাষা হচ্ছে বাংলা তাই কোন কিছু বোঝার জন্য আমাদেরকে বাংলা ভাষায় চিন্তা করতে হয়। বাংলা ভাষায় যেকোনো কিছু পদার্থ আমাদের সহজ হয়। তাই এই সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে। 

তারই শব্দ ভিত্তিক অনুবাদের প্রেক্ষিতে যে অর্থপূর্ণ শব্দগুলো ব্যবহার করা যায় তার ধারাবাহিকতায় আপনাদের জন্য সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা অর্থ উপস্থাপন করেছি। যা আপনাকে এই সূরার বিষয় বা মূল কারণগলো জানার জন্য সাহায্য করবে। প্রকৃত অর্থে এ সূরার ফজিলত এবং গুরুত্বপূর্ণতা রয়েছে তাই আপনি এর বাংলা অর্থগুলো জেনে নিন। নিচে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা অর্থ দেখুন।

আরো পড়ুনঃ বুখারী শরীফের পূর্ণ নাম কি - বুখারী শরীফের বৈশিষ্ট্য জানুন 

বাংলা অর্থঃ তিনি আল্লাহু, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়ী, পরম দয়াময়। তিনি আল্লাহু তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি মালিক তিনি পবিত্র, তিনি শান্তি, তিনি নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনি রক্ষক, তিনি পরাক্রমশালী, তিনি প্রবল, তিনি অহংকারের অধিকারী। ওরা যাকে শরিক করে আল্লাহ তার থেকে পবিত্র, মহান। তিনি আল্লাহু সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবন কর্তা, রূপদাতা, সব সুন্দর নাম তারই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তার পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, তত্ত্বজ্ঞানী। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং স্পষ্ট জানতে পেরেছেন বাংলা উচ্চারণ গুলো কি এবং হুবহু এই উচ্চারণগুলো কুরআনের ভাষায় ব্যবহার করা হয়েছে আপনি যদি কুরআন পড়তে পারেন তাহলে কুরআনের এই বাংলা তরজমা বই গুলো দেখিয়ে মিলিয়ে নিতে পারেন। সাধারণত অনেকেই বিভিন্ন সময়ে এই আমলটি করতে চায় তাই যারা আরবি বাংলা জানেনা তারা আল্লাহর সকল ভাষার অধিকারী তাই আপনি সকল ভাষায় আল্লাহতালার কাছে ইবাদতের জন্য বলতে পারেন। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত অপরিসীম যা একজন মানুষের সকল বিপদ এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। কোন ব্যক্তি যদি সঠিক নেস্টার সাথে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাকে নিরাশ করেন না। কারণ আল্লাহতালা সব জায়গায় বিরাজমান এবং সকল কিছু তার অধীনে। তিনি তার মহিমা পূর্ণ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন সকল কিছুই তার গুনো গান করে। 

আসলে সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস এর মান বিশ্লেষণ করলে জানা যায়। সত্যিই এই সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত অপরিসীম। এটি সূরা হাশর পবিত্র কোরআনের ৫৯ নম্বর সূরা। এই তিনটি রুকু ও 24 টি আয়াত রয়েছে। এই কুরআনের আরেকটি মদিনা অবতীর্ণ বা নাযিল হয়েছে তবে এর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কিত আছে। 

সাধারণত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। মদিনা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে বনু নাজিরে বসবাস। এখানে তাদের মহানবী সা: তাদের মহল্লায় গেলে তাকে একটি ছাদের নিচে বসতে দেয়। পরে ছাদ থেকে পাথর গড়িয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। আল্লাহতালা ওহীর মাধ্যমে তাকে এই বিষয়ে জানিয়ে দেন এবং সেখন থেকে সরিয়ে যান। মহানবী সা: বলেন তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছো। 

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম অনুযায়ী আমল করার ১০টি টিপস  

বিশ্ব নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সকালবেলা সূরা হাশরের সে তিন আয়াত তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ ওই ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা যুক্ত করে দিবেন। যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ে যদি কোন লোক মারা যায় তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে আর যে ব্যক্তি এই সময়ে সন্ধ্যার পর পূর্বে সে একই মর্যাদা রয়েছে। সুনানে তিরমিজি হাদিস নাম্বার ৩০৯০।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত আল কাওসার সম্পর্কে এ বিষয়গুলো বোঝানো হয়েছে আপনি উপরে যে বিষয়গুলো জেনেছেন তা হচ্ছে এই সূরার গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। এছাড়া আপনি অশেষ সব হাসিল করতে পারবেন এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ করে এবং সকল প্রকার খারাপ এবং অশ্লীল কাছ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলে অবশ্যই আপনি আল্লাহর অশেষ নিয়ামত এবং রহমত প্রাপ্ত হবেন। কারণ আল্লাহ তাআলা কারো কাছে রিনি থাকেন না। 

ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে যখন কেউ কোন কিছু পাওয়ার যোগ্য হয়ে যায় তখন আল্লাহ তায়ালাকে তাকে সেই বিষয়টি অবশ্যই দিয়ে দেয় কারণ আল্লাহতালা কৃপণ নয়। প্রকৃত অর্থে আপনি যদি উপকারিতা পেতে দেন তাহলে অনেক ধরনের হাদিস রয়েছে যেগুলোতে এর সুপ্তাহিতা প্রমাণ রয়েছে যেমন কিছু হাদিসের উপর উপস্থাপন করেছি এছাড়াও মিশকাতুল মাসাবিহ্ হাদিস নং ২১৫৭, আত তারগিব ওয়াত তারহীব হাদিস নং ৩৭৯। এছাড়া হুয়াবুল ঈমান হাদিস নং ২৫০২, মুসনাতে আহমদ হাদিস নং ২০৩০৬।

এছাড়াও হযরত মসলিম বিন হারেস তামিমি রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে মন নবেশ করে বলেন যখন তুমি মাগরিবের নামাজ শেষ করবে তখন তুমি বলবে আললাহুমমা আরি আজিরনি মিনান্নার। এটা সাতবার পড়বে তাহলে তুমি নিশ্চয়ই সে অবস্থায় ইন্তেকাল করলে জান্নাত পাবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এ বিষয়ে অনেক হাদিস রয়েছে, কয়েকটিস আপনাদের সামনে অবস্থান করলাম। সহীহ ইবনে হিব্বান হাদিস নাম্বার ৩৬৭, মুসনাত আহমদ হাদিস নং ১৮০৫৪, সুনানে আবু দাউদ ৫০৮১।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত pdf

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত pdf আপনি যদি সংগ্রহ করতে চান তাহলে পিডিএফ ফাইলটি দেখতে পারেন এখানে বাংলা আরবি এবং অর্থসহ উপস্থাপন করেছে যা আপনার সহজ করে দিবে অনুশীলন করার বিষয়টিকে। নিচে যেই পিডিএফ ফাইলটি দেওয়া আছে তা ব্যবহার করে আপনি যেকোনোভবে ফটোকপি করতে পারবেন অথবা প্রিন্ট করে বের করে নিতে পারেন। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত pdf

উক্ত পিডিএফ ফাইল আপনি চাইলে আপনার ইবাদতের জায়গায় ছবি তৈরি করে রেখে দিতে পারেন আপনি যদি কোন সময় ভুলে যান বা পড়তে পড়তে মনে বসে যাচ্ছেন তাহলে সেই সময় আপনি এক নজর দেখে নিতে পারবেন। এছাড়া আপনার যদি কোন প্রিয় বন্ধু বা ব্যক্তি থাকে তাকে এই পিডিএফ ফাইলটি উপহার দিতে পারেন যাতে সে এই ফাইলটি দেখে পড়তে পারে এবং বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের তাফসীর জানুন 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের তাফসীর অনেকে জানতে চাই বিভিন্ন মুলবি এবং ইসলাম গবেষকরা বিভিন্নভাবে এটা উপস্থাপন করেছে তাই আপনাদেরকে সহজ ভাবে বুঝার জন্য তাফসির উপস্থাপন করলাম যেন আপনি খুব সহজেই এর তাফসির বুঝতে পারেন। বর্তমান আপনার যে জীবন রয়েছে তাতে এই বিষয়গুলো যুক্ত করে এর ফজিলত ও তাৎপর্য অনুভব করতে পারেন। তাই কিছু তাফসির উপস্থাপন করলাম।

এখানে বলা হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালার সকল মানুষদের জন্য দয়ালু এবং তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। সুতরাং তার মহিমা পূর্ণ সকল বিষয়ে তিনি অবগত থাকেন অদৃশ্য এবং দৃশ্য। এখানে তিনি রহিম এবং রহমানের উল্লেখ করেছেন। রহিম এর অর্থ হচ্ছে ব্যক্তি কন্দ্রিক যেটা একজন মানুষকেই আল্লাহ দান করে। যেমন জ্ঞান কেউ বেশি অর্জন করে কেউ অসীম জ্ঞানের অধিকারী হয়। রহমান যা সকলের জন্য উপকারী। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের তাফসীর

সাধারণত মানুষ যে ধরনের সুবিধা গুলো সকল মানুষ পায় সেটাই হচ্ছে রহমত। আল্লাহকে যে ভালবাসে সেও তার রহমত পায় যে বাসে না সেও পায়। আল্লাহর ইবাদত যে ব্যক্তি করে সেও আল্লাহর নিয়ামত ভোগ করে এবং আল্লাহর ইবাদত যে করে না সেও আল্লাহ সকল ইবাদত ভোগ করে এর জন্য আল্লাহকে রহমানুর রহিম ও বলা হয়েছে। এখানে অধ্যাপক মাওলানা মোজাম্মেল হক বলেছেন। আসলে যেই দয়ার কেন্দ্র সকলকে দান করে সেই দয়াটাই হচ্ছে রহমান। 

সকল সিটি সৃষ্টির জগতের সকল কিছুর মহল এবং রাজা তিনি তার যে গুনাগুন এবং তার সকল দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে সকল কিছু। তার মর্যাদা পূর্ণ এবং অতি দয়ার বিষয়গুলো এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে সাধারণত মানুষ এই সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত নেকির জন্য বা সওয়াবের জন্য না পড়ে এই বিষয়গুলো প্রচার এবং অনুধাবন করার জন্য করা উচিত যাতে মানুষ সত্যটা বুঝতে পারি এবং সঠিক ইসলামিক কার্যক্রমে লিপ্ত হতে পারে। 

তিনি এক সময় রহমান রূপে মানুষের কে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করে তার সৃষ্টিকর্তার সকল কিছুকে। এবং বিশেষভাবে কিছু বিষয়ে তিনি রহিম রূপে দেখাশোনা করেন যেখানে তার সকল দৃষ্টি সকল কিছুর ভিতরে বিরাজমান। তিনি এক অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরীক নেই তাই তার ইবাদত করতে হবে তারই সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাহলে আপনি পরিপূর্ণভাবে সূরা হাশরের তিন আয়াতের যে বিষয়গুলো রয়েছে তা পরিপূর্ণ বিশ্বাস এবং অনুভব করতে পারবেন। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর সূরা হাশর সম্পর্কে 

প্রশ্নঃ সূরা হাশরের আয়াত ২৩ এর অর্থ কি? 

উত্তরঃ তিনি আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি অধিপতি, পবিত্র, নীরব বদ্ধ, নিরাপত্তা বিধায়ক, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, গর্ভের অধিকারী যারা তার শরীর স্থির করে আল্লাহ তা হতে মহান পবিত্র। 

প্রশ্নঃ সূরা হাশর এর অর্থ কি?

উত্তরঃ তিনি আল্লাহর তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই তিনি বাদশা ও মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, আল্লাহর মহান বিষয় সম্পর্ক গুলো যা মানুষ জানে না এবং আল্লাহ সকল বিষয়ে অবগত এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।

প্রশ্নঃ সূরা হাশরের বিষয়বস্তু কি? 

উত্তরঃ সূরা হাশরের প্রধান বিষয় হলো ইহুদি গোত্র বনু নাদিরের নির্বাচন এবং মুসলমানদের ঐক্য আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ। যা কুরআনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহর মহত্ব শক্তি, মুমিনদের ঐক্য আত্মত্যাগ, মুনাফিকদের চরিত্র, আল্লাহ সুন্দর নাম সমূহ, হাশরের দিনের গুরুত্ব সম্পদ বন্টন এবং বিভিন্ন ফেতনার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রশ্নঃ সূরা হাশর কোথায় নাজিল হয়? 

উত্তরঃ সূরা হাশর মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছিল মদিনা শরীফের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, যেখানে বন নাই নাদির গোত্রের ঘটনার প্রেক্ষাপটে সূরাটি নাযিল হয়। 

প্রশ্নঃ হাশরের মাঠ কোন দেশে হবে? 

উত্তরঃ পবিত্র কোরআন ও হাদীসের কোথাও এ ধরনের কোনো উত্তর নেই যে হাশরের মাঠ কোথায় হবে তবে হাশর হলো হিসাব নিকাশের দিন। যেদিন আপনার দুনিয়ার জীবন শেষ হয়ে যাবে আপনি পরপরওলে চলে যাবেন। তারপর থেকে আপনার হাশরের জীবন শুরু হয়ে যাবে তবে কিছু হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। অন্যরকম কিছু বিষয় যেমন ফিলিস্তিনের কথা বলা হয়েছে। সাম দেশ বা সিরিয়া ফিলিস্তিন অঞ্চলে একটি অংশ হিসেবে পরিচিত এখানে হাশরের মাঠে মসজিদে আশকার সাথে সম্পর্কিত কিছু কথা বলা হয়েছে। 

প্রশ্নঃ হাশরের মাঠে কারা সাক্ষী হবে

উত্তরঃ হাশরের ওয়াক্তে নবী রাসুলগণ আপনার পক্ষে এবং বিপক্ষে সাক্ষী দিতে পারে তবে সবচাইতে বড় শক্তি হতে নিজেই নিজের কি কি করেছেন এবং আল্লাহতালা কোরআনে বলেছেন যে আপনার সকল কর্মবিন্দু সরিষা পরিমাণ হলেও দেখানো হবে। 

প্রশ্নঃ তাওহীদ শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ তাওহীদ শব্দের অর্থ একাত্মবাদ এক ঈশ্বরবাদ। যেখানে সৃষ্টির রাজ্য শেষ সেখান থেকে তাওহীদের রাজ্য শুরু বলে বিভিন্ন হাদিসে জানা গেছে। এক কথায় আল্লাহর রাজ্যকে এই তৌহিদের রাজ্য বলা হয়।

শেষ মন্তব্য সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা আরবি 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা আরবি এবং বিভিন্ন ফজিলত সম্পর্কে আমরা অনেকে জানতে চাই। তারই  ধারাবাহিকতায় আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আপনি চাইলে প্রতিদিনের ইবাদতের সময় এই হাশরের তিন আয়াত পড়ে বিশেষ সব হাজল করতে পারেন। সাধারণত মহানবী এই হাশরের শেষ তিন আয়াতের যে ফজিলত সম্পর্কে বলেছে। 

সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি সূরা হাশর মুখস্ত করতে চান এবং আপনার বাস্তবিক জীবনের ফজিলত পেতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ে শুরু করে দিতে পারেন এর সঠিক নিয়ম ও ইবাদতের ধারা অনুযায়ী যাতে আপনি অশেষ ছোয়াব এবং ফজিলত হাসিল করতে পারেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন নিশ্চিতভাবেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url