শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করার খাবার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন বিস্তারিত
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করার খাবার জানা থাকলে আপনি আপনার শিশুকে প্রার্থী ভাবে খাদ্য খাওয়ানোর ঘরের মধ্যে দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে পারবেন।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সুষম পুষ্টি নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, পর্যাপ্ত গুণ এবং মানসিক চাপ কোন দিকে মনে করতে হবে। আশেপাশে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাতেই হবে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করার খাবার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন
- সাধারণ শিশুদের রোগ ও লক্ষণ সমূহ জানুন
- শিশু সাধারণ রোগ ও এই রোগের প্রতিকার গুলো দেখুন
- কিভাবে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় ১০টি টিপস
- শিশুদের স্বাস্থ্যকর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাহায্য করতে দুগ্ধজাত দ্রব্যের ভূমিকা
- বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ঔষধ
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন
- শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর
- শেষ মন্তব্য শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার
সাধারণ শিশুদের রোগ ও লক্ষণ সমূহ জানুন
সাধারণত শিশুদের রোগ বলতে সাধারণত এমন কিছু অসুস্থতা কে বোঝায় যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনা মাদক ভাবে দুর্বল থাকে যার কারণে সহজেই বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। তাই আজকে জেনে নিন সাধারণত শিশুদের রোগ ও তাদের বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত লক্ষণ যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন তারা কি সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক পর্যায়ক্রমে লক্ষণ ও কারণ সমূহ।
আরো পড়ুনঃ শীতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা জেনে নিন
শিশুদের রোগ ও লক্ষণ সমূহ,
- সর্দি কাশি ও জ্বর: সাধারণত সর্দি কাশি ও জ্বর ভাইরাস জড়িত কারণে হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোর জন্য নাক বন্ধ হয়ে যায়, হালকা থেকে মাঝারি কাশি সৃষ্টি হয়, এর সাথে জ্বর থাকতে পারে হালকা মাত্রায়।
- হাম: এটা একটি শিশুদের রোগ যা ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। এর কারণে শরীরে ছোট ছোট ফুলকুঁড়ি, উচ্চচাপ ও চোখ লাল হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।
- চিকেনপক্স: এটাও সাধারণত ছোটদের জন্যই বেশি দেখা যায়, এর লক্ষণ গুলো ছোট ছোট পানি ভরা ফোস্কা হয়, চুলকানি, জ্বর ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়।
- ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা: সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে বেশি সাধারণ একটি রোগ যা বেশিরভাগ ছোটদের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ দেখা যায়। এই রোগে অনেক শিশুরাই মৃত্যুবরণ করে বিভিন্ন সময়। শিশুদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা যায় এবং শিশুর মৃত্যুর মুখে চলে যেতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- নিউমোনিয়া: এটাও শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় ফুসফুসে আক্রমণ করে যা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস কাশি এবং জল তৈরি করে। এটাও এক ধরনের ভাইরাস জড়িত সমস্যা তাই দ্রুততার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- ত্বকে ফুল করে বা চুলকানি: অনেক বাচ্চা শিশু আছে যাদের জন্মগতভাবে এলার্জির সমস্যা থাকে তাদের কি সম্ভবত এগুলো বেশি দেখা যায় এলার্জি সংক্রমণ যা ঘামাচি কারণও হতে পারে।
- কানের ইনফেকশন: এ সমস্যা হলে প্রথমে কান ব্যথা এবং জ্বর জ্বর ভাব হওয়ার পরে আস্তে আস্তে এটা খারাপ অবস্থায় নিয়ে যায় এবং কান থেকে তরল বের হয়। যা অপরিষ্কার কারণের বেশি হয়ে থাকে।
- অ্যানিমিয়া বা রক্ত শূন্যতা: অনেক শিশু জন্মগতভাবে দুর্বল হয়ে জন্মগ্রহণ করে তাদের রক্তশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। এটা মায়ের শরীরে আয়রনের অভাব থাকলে হয়ে থাকে তাই আপনার শিশুকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার ডিম সবুজ শাক ও কলিজা খাবার খাওয়াতে হবে।
- অপুষ্টি বা ওজন হীন হওয়া: অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা অপুষ্টি এবং সঠিক খাবার না পাওয়ার কারণে ওজন কম হয়ে যায় যার কারণে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এতে আপনাকে অবশ্যই বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে।
- টনসিল ইনফেকশন: এই সমস্যাটির কারণে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। ঐশী সর্তকতার সাথে এই গলা ব্যথা জ্বর বা কোন কিছু খেতে কষ্ট হওয়া বা গিলতে না পারলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।
উল্লেখিত সমস্যাগুলো হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে নিয়মিত টিকা বা ইমিউনাইজেশন দিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। বিশুদ্ধ পানি এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাতে হবে যা নিচে আলোচনা বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং অসুস্থ হলে দ্রুত তার সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
শিশু সাধারণ রোগ ও এই রোগের প্রতিকার গুলো দেখুন
শিশুর আমলের ঘরের সবচাইতে আদরের মানুষ, তাই তাদেরকে অবশ্যই অবহেলা করা যাবে না। কারণ শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন সময়ে তাদের রোগ আক্রান্ত হলে খেয়াল রাখতে হবে রোগ লক্ষণ এবং সাধারণভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে যে চিকিৎসা গুলো দেওয়া যায় সেই বিষয়গুলো করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন রোগের জন্য কোন ধরনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা প্রাতিক প্রাকৃতিক ভাবে নিতে পারেন।
সর্দি কাশি ভাইরাস জড়িত সংক্রমণ বা আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে, সাধারণত নাক বন্ধ, কাশি, গলাব্যথা সমস্যা হয়। এই সমস্যার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে।
প্রতিকার: শিশুর গরম কাপড় পরিয়ে রাখুন, ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখুন, প্রচুর পানি এবং তরল খাবার দিন, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন।
জ্বর: চর একটি ভাইরাস জনত বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়, লক্ষণ গুলো উপরে উল্লেখ করেছি, এছাড়াও শরীর গরম হয়ে যায় খাওয়ার অনীহা এবং শরীর ঘামে।
প্রতিকার: প্রাথমিকভাবে আপনি মসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন, হালকা পোশাক পরান, জ্বর দুই দিনের বেশি হলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
ডায়রিয়া: ডায়রিয়া একটি দূষিত খাবার বা পানিবাহিত রোগ, এটা বারবার পাতলা পায়খানা এবং শরীর পানি শূন্যতা দুর্বল হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার - আয়রন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি তালিকা বিস্তারিত পড়ুন
প্রতিকার: এর প্রতিকার হিসেবে আপনাকে প্রথমে ওরস্যালাইন দিতে হবে, দুধ ও তরল খাবার দিতে হবে, এবং অতিরিক্ত হওয়ার আগেই ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে।
নিউমোনিয়া: এটাও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত সর্দি কাশি বা শ্বাসকষ্ট রোগ।
প্রতিকার: এটা গুরুতর রোগ শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করানো যাবে না।
হাম: এটাও ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয় যা চামড়ায় ফুলকুঁড়ি ও চোখ লাল হয়ে যায়।
প্রতিকার: এর প্রতিকার করার জন্য আপনাকে (MR) এম আর টিকা শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে দিতে হবে। শিশুকে বিশ্রাম এবং তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে।
চিকেন পক্স: উপরে এর লক্ষণ গুলো দেওয়া আছে এটা সাধারণত ভেরিসেলা ভাইরাসের আক্রমণের দ্বারা হয়ে থাকে ফুলকুঁড়ি বা জ্বর চুলকানির মত লক্ষণ দেখা দেয়।
প্রতিকার: শিশুকে অবশ্যই আলাদাভাবে রাখতে হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিয়ে দিতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে ফুলকুঁড়ি বা চুলকানিতে যেন চুলকানি না দেয়। ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে।
চামড়া রেস: ঘাম ধুলি বালি বা এলার্জির কারণে এই সমস্যা হয়ে যায়, যাতে চামড়ায় ছোট ছোট দাগ ও হয়ে যায়।
প্রতিকার: শিশুকে ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখুন, তুলার কাপড় পরান, চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টি এলার্জিক ক্রিম ব্যবহার করুন এবং বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করান।
টনসিল ইনফেকশন: উপরের লক্ষণ এবং কারণগুলি উল্লেখ করেছি এই সমস্যাটি হলে আপনাকে প্রতিকার মূলক ভাবে কাজটি করতে হবে। এটি সাধারণত গলা ব্যথা এবং জ্বর ও সামান্য খাওয়ার সমস্যার মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় যা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়।
প্রতিকার: গরম পানিতে গারগল করানো যায় বড় শিশু হলে, ঠান্ডা খাবারিয়ে চলতে হবে প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
রক্তস্বল্পতা: এ সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে প্রতিকার মূলক যে কাজটি করতে হবে এর লক্ষণ গুলো উপরে আলোচনা করেছি, প্রতিকারের জন্য আপনাকেপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাতে হবে যা উপরে উল্লেখ করেছি বিশেষ করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করবে।
অপুষ্টি: অপুষ্টির লক্ষণ গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তবে এর প্রতিকার করার জন্য আপনাকে শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিম দুধ সবজি, খাবারের পাশাপাশি আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং নিয়মিত ওজন মাপে দেখতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
এছাড়াও যে বিষয়গুলো করতে হবে তা উপরে উল্লেখ করেছি শিশুর খুব সাধারণ ঘটনা তবে সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত টিকাদান এর মাধ্যমে এই সময় অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। শিশু স্বাস্থ্যের যত্নে সামান্য মনোযোগ হতে হবে না হলে ভবিষ্যতে অসুস্থতার ভিত্তিতে জীবনের বিভিন্ন বড় ধরনের সমস্যা চলে আসতে পারে। এর জন্য উপরে উল্লেখিত টিকা নিয়ম মাপিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। আশাকরি আপনি উল্লেখিত তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট একটি ধারণা পেয়েছেন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় হিসেবে।
কিভাবে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় ১০টি টিপস
কিভাবে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের গুরুত্বপূর্ণভাবে জানা দরকার। সাধারণত আমরা এটা মনে করি যে শিশু যে কোন সময় রোগে হতে পারে এবং তা ভালো হয়ে যায় তবে এই ছোটখাটো বিষয় থেকে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনাকে প্রতিদিন কি স্বাস্থ্যকর সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল অনুযায়ী একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে। এবং যে দশটি উপায়ের কথা বলছি এগুলো নিয়ম ফলো করে ব্যবহার করতে হবে।
আপনার সন্তানের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করুন
একটি শিশু তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বৃদ্ধি করবে সে জানে না তাই আর তাকে সকল বিষয় থেকে মা-বাবাকে সতর্কতামূলক ভাবে শিখিয়ে দিতে হবে। সঠিকভাবে নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করা হবে শিশুরা সাধারণত প্রায় 16 ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। ঘুমের ফলে শরীরের প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ তৈরি করার ক্ষমতা কম হয় যার ফলে শিশুরা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে তাদের বিকাশের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফল অন্তর্ভুক্ত করুন এবং সবজি শিশুর খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখুন
স্বাভাবিক শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যে খাবারগুলো রয়েছে তার মধ্যে ফলমূল ও শাকসবজি অবশ্যই রাখতে হবে। এর মধ্যে আপনাকে গাজর, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, সবুজ মটরশুটি এবং অনেক ধরনের ক্যারোটিনয়েড জাতীয় খাবার রাখতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ফাইটো নউট্রিয়েন্ট ও হতে পারে। যা শিশু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুনঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - ফলিক এসিডের উপকারিতা জানুন
যা শরীরের ঘাতক কোষ ও শ্বেত রক্তকণিকা এবং ইন্টারফেরন তৈরি করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বুস্টার শিশুদের বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবার আখরোট এবং ওটস জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
আপনার বাচ্চাদের অনাক্রান্ত তা বুস্টার সময়সূচী থেকে বিচ্যুত হবেন না
টিকা দেওয়ার সময়সূচী সবসময় নির্ধারিত সময়ে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে নিশ্চিত করতে হবে। তার সকল বুস্টার ডোজ গুলো যেন সকল নিয়ম অনুসরণ করে শেষ করা হয়। আমাদের কি মারাত্মকভাবে শিশুদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়। বুস্টার এ সাপ্লিমেন্ট করতে পারেন। সিপ লিমা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী। এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ভিটামিন সি এ ডি পরিপূরক খাবার গ্রহণ করান।
সুপারিশ না করা পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক গুলি নিজে পরিচালনা করবেন না
শিশুকে বিভিন্ন সময় অসুস্থ হয়ে গেলে এমন কোন রোগ দেখা দেয় যে রোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হয় সেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে খাওয়ানোর ভুল করা যাবে না। এখানে এন্টিবায়োটিক বিভিন্ন সময়ে উল্টোপাল্টা হলে ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করে। তাই আপনাকে এন্টিবায়োটিক গুলি খাওয়ার এন্টিবায়োটিক গুলির সাথে ভালো ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাতে হবে।
আপনার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
আপনি যখন আপনার বুকের দুধ খাওয়াবেন তখন একজন মায়ের বুকের দুধে কোলাই স্ট্যাম্প থাকে। এটা অবিশ্বাস্য শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই প্রকৃতপক্ষে গবেষণায় দেখা গেছে যে এটা প্রত্যেকটি শিশুর জন্য ছয় মাস পর্যন্ত অবশ্যই দুধ খাওয়াতে হবে। স্বাভাবিক কোন সমস্যা না থাকলে অবশ্যই বুকের দুধ খাত এতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টি হয় যা শিশুর শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার বাচ্চাদের যথাযথ স্বাস্থ্যগত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করান
ভালো স্বাস্থ্যবিধি আপনার বাচ্চা বা সন্তানের কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য করবে। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই সচেতনভবে শরীরের যত্ন নেয় এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বাচ্চাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়া পরজীবী সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার এ ধরনের বিষয়গুলো জানাতে হবে। ঘুমের আগে ব্রাশ করা টয়লেট ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি।
প্রোবায়োটিক দিয়ে অন্তের স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন
বিভিন্ন সময় শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগ সংক্রমণ পাচন তন্ত্র কারণে হয়ে থাকে। ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকা প্রয়োজন। এর জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন দই। এ ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং মাঝে মাঝে এ ধরনের খাবার দিতে হবে যাতে আপনার শিশুর মধ্যে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকবে।
আপনার শিশুকে প্রায় বাইরে খেলতে দিন
অনেকেই আছে যারা শিশুদেরকে বাইরে বেরোতে দেয় না রোদে যেতে দেয় না এবং প্রাকৃতিক ভাবে চলাফেরা করতে বাধা দেয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শিশুদের জন্য বৃদ্ধি করার জন্য এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন হয়। এ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য শিশুকে বাইরে রোদে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মিশতে দিতে হবে যা প্রাকৃতিকভাবে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
শিশুদের স্বাস্থ্যকর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাহায্য করতে দুগ্ধজাত দ্রব্যের ভূমিকা
সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় শিশুরা সর্দি কাশি জ্বর এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেশি হয়। এসবের সমস্যা তাদের সহপাঠী খেলার সঙ্গীর মতো আশেপাশে পরিবেশ প্রতি সংক্রমণিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। আপনার শিশুকে বাইরে চলাফেরা করতে হবে এবং অন্যরকম সংস্পর্শে এসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এর যে মাত্রা তাপ বৃদ্ধি হবে এবং শরীরের ভিতরে এক ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে।
শিশুদের বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যবস্থা সুশিক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ে আপনার শিশুর ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার সন্তানের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তি করার জন্য আপনাকে অসুস্থ থকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই এই টিপসগুলো মাথায় রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ b6 এবং সি সহ আয়রন সিংক এন্টিঅক্সিডেন্ট ফলিক এসিডের মত নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাতে হবে।
- আপনি মধু ও লেবুর জুস খাওয়াতে পারবেন। পেটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- আপনি হলদি মিল্ক হতে পারেন। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন সংগ্রহণ থেকে রক্ষা করে সাধারণত আমরা মসলা হিসেবে এন্টিফিমেন্টারি কোন সমৃদ্ধ হলুদ খেয়ে থাকি।
- এসো আপনারে গার্লিক সুপ খেতে পারেন এটা এন্টিমাইক্রোবিয়াল, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। সাধারণত রসুনের ইউসুফের প্রধান উৎস রসুন এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা শক্তি রয়েছে।
- লেমন জিনজার ট্রি অনেক উন্নত মানের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার এতে ভিটামিন সি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ তার ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান রয়েছে।
উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো খাওয়ালে আপনার সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘুরোভাব বৃদ্ধি করতে পারবেন। প্রাকৃতিকভাবে যে কোন বিষয় মানুষের শরীরে ব্যবহার করা ভালো কারণ প্রাকৃতিকভাবে যেই বিষয়গুলো ব্যবহার করে তার কোন সাইড ইফেক্ট থাকে না। তাই আপনি আপনার বাচ্চার যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলের সম্পূর্ণ তথ্য কাজে লাগাতে পারবে এখানে কি কারণে রোগ হয় এবং কি রোগের লক্ষণ এবং প্রাকৃতিক ভাবে প্রতিকার উল্লেখ করা হয়েছে।
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ঔষধ
শিশুদের বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো তা নিচে উল্লেখ করা হবে। সাধারণত নির্দিষ্ট কোন ওষুধ আছে যে ওষুধ গুলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আপনি ওষুধের পাশাপাশি কিছু সুষম খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা - ভাইরাসের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- অশ্বগন্ধা রয়েছে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ওটস রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- বিভিন্ন ধরনের হলডিস রয়েছে দা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যায়।
- মাল্টিভিটামিন জাতীয় খাবার রয়েছে যা খেতে পারেন।
এইভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে পাশাপাশি আপনি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন। সাধারণত এই খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম। নিয়মিত ব্যায়াম, এবং ভালো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অভ্যাস করাতে হবে এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে তাহলে খুব সহজেই বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন আপনি কি জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে তথ্যগুলো আপনাকে উপকার করবেন। নক্ষত্র ক্ষণে কমে যাওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, খাদ্য অভ্যাস ও অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত ঘুম, শারীরিক কার্যকলাপের অভাবে এবং কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন ও খনিজ এর ঘাটতি যেমন ভিটামিন ডি। এছাড়াও কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং রোগের কারণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। কেমন বড়দের ক্ষেত্রে এইচআইভি।
জোর করা: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সাধারণত শরীরের চাপের উপর থাকে তখন এটি শরীর থেকে এক ধরনের করটিসল নামক হরমোন নিঃসরণ হয়। যা উচ্চ মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দমন করতে পারে। সাধারণত শিথিলকরণ কৌশল ব্যায়াম এবং মনোযোগের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ নবজাতকের জন্ডিস হলে মায়ের করনীয় - নবজাতকের বিলিরুবিন কমানোর উপায়
দরিদ্র খাদ্য: প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থেকেই এই দরিদ্র খাদ্যের কথা এসেছে আসলে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন। সেই পরিমাণ ভিটামিন আমরা সংগ্রহ করতে বা খাদ্য হিসেবে পাই না যেমন ভিটামিন সি ডি ই ও জিংক ও সেলেনিয়াম এর মত খনিজ উপাদানের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যা বিভিন্ন ফল শাকসবজি চর্বিহীন প্রোটিন এবং গোটা শস্য তে রয়েছে।
ঘুমের অভাব: শিশু কিংবা বড় সকলের ক্ষেত্রে ঘুমের অভাব দেখা দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নত মানের পর্যায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রামের প্রয়োজন। যা আপনার শরীরের কোষগুলো এবং শরীরের সকল অঙ্গ পতঙ্ গুলোকে পুনর্জীবিত করে রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কোষগুলোকে কমিয়ে ফেলে যা শরীরকে সংক্রমণের জন্য সংবেদনশীল করে তোলে। রুটিন মাপিক পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম এবং ঘুমের প্রয়োজন।
আসীন জীবনধারা: অনেক রোগ রয়েছে যারা আলিশান ভাবে বসে থাকে এবং শারীরিক কোনো কার্যকলাপ করে না। এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায় যার ফলে তাদের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা কমে যায় প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ কোষের কার্যকলাপ কমে। তাই জীবনযাত্রার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলার জন্য শারীরিকভাবে এ বিষয়গুলো কাজ করে। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই রুটিং মাপের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম করতে হবে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল কোহল: অনেক মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সাধারণত দৈনিক জীবনে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্থায়ীভাবে রাখার জন্য সকল নিয়ম মানা উচিত কিন্তু অনেক মানুষ রয়েছে। যে মানুষগুলো দীর্ঘদিন অ্যালকোহল অপব্যবহার করে শরীরের সংক্রমণে বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। যা ধীরে ধীরে শরীরকে নিস্তেজ করে তোলে।
ধূমপান এবং হেপিং: অনেক মানুষ রয়েছে তারা তো আমাকে ধোঁয়া এবং হ্যাপি দিয়ে পণ্যগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে তবুও ব্যবহার করে। এদের রাসায়নিক থাকে যা ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং শরীরের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লড়াইয়ের ক্ষমতা হ্রাস করে। এছাড়া শাসনতন্ত্রের অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাই ধূমপান ত্যাগ করা এবং হ্যাপেন এড়িয়ে চলা দরকার।
স্বাস্থ্যবিধির অভাব: আমরা সবাই সাধারণত দুর্বল স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করি যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আমরা অনুপযুক্ত ব্যবহার এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের অবহেলা করার কারণে রোগী জীবাণু সংক্রমণ হতে থাকলে এতে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা শর্ত: অনেক মানুষ রয়েছে যারা ডায়াবেটিস ছিল তা এবং অটোমেশন রোগের কারণে দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় প্রদাহ এবং বিভিন্ন ধরনের কর্মহীনতার দিকে পরিচালনা করে যার কারণে ব্যক্তিগত সংক্রমণ এবং সংবেদনশীল শরীর তৈরি হয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কমে যায় তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
পরিবেশগত ফ্যাক্টর: এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দূষণকারী বিষাক্ত পদার্থ এবং পরিবেশগত ঝুঁকি সংস্পর্শে আসার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়। আমরা যারা বয়স্ক সম্পর্কিত এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিবেশের এই সমস্যা গুলোর কারণে বেশি হয়ে থাকে। এরপর এলার্জি সংস্পর্শে আসে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একবারই নষ্ট হয়ে যায় যার কারণে পরিবেশের স্পর্শ করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
শিশু ও বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া: শিশু এবং বয়স্কদের প্রকৃত ক্ষমতা কম থাকে, শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মগত অনেকভাবে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম থাকে আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে সঠিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে হবে তাহলে আমরা আমাদের অত্যন্ত সক্রিয় রাখতে পারব।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে একজন মানুষের কেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন কমে এই প্রশ্নের উত্তর আপনি যদি বিস্তারিত করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। একটা মানুষের শরীরে একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। সে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ম অনুসরণ করতে হয় খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হয় এবং এই পোস্টটি আলু ছিল যে বিষয়গুলো রয়েছে সেই সকল বিষয়গুলো অনুসরণ করে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: কাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়?
উত্তর: আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যাই পুষ্টির ভিতরে আলোচনা হয়েছে। সাধারণত বয়স্ক মানুষ, শিশু, এবং বিভিন্ন সংক্রমণ ওষুধ ক্যান্সার যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা খারাপ করে। দুর্বল করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকাকে ইমিউনোস্পঞ্জমাইডস বলা হয়।
প্রশ্ন: কোন ভিটামিনের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়?
উত্তর: ভিটামিন ডি,সি এর ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় পাশাপাশি ইউ মিনতি ভালো হলে কবিদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম হয়।
প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াকে কি বলে?
উত্তর: বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোধ ক্ষমতার পরিবর্তন হয়ে যার ফলে কার্যকারিতা হ্রাস পায়, ইউরোপ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস হয়ে যায় যা ইমিউনোসেন্সেস নামে পরিচিত।
প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন?
উত্তর: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিশেষ কারণ গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এছাড়াও, ধূমপান অ্যালকোহল অপুষ্টির কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তবে অনেক সময় দেখা যায় এইচ আই ভি এর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়।
প্রশ্ন: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় কোন রোগ?
উত্তর: শরীরে সাধারণত লোপাস, রিউমাটেড আর্থাইটিস বা ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান এর মত অটোইমিউন রোগের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়।
প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে কিভাবে বুঝবেন?
উত্তর: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে প্রাথমিকভাবে যে সমস্যা হয় তা হচ্ছে ইমিউনোফিসিয়েন্সির সবচেয়ে সাধারণ লক্ষ্য গুলোর মধ্যে একটি জারক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ব্যক্তির সংক্রমণের তুলনায় বেশি ঘন ঘন, দীর্ঘস্থায়ী হওয়া চিকিৎসা করা কঠিন, হয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে আপনি মনে করবেন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়ে গেছে।
প্রশ্ন: ইমিউন সিস্টেম কি?
উত্তর: ইমিউন সিস্টেম হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যা রোগ জীবাণু ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ শনাক্ত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরকে রক্ষা করে। এটি একটি জটিল নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোষ এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত। যেমন, ত্বক, অস্থিমজ্জা, লিম্ফ লোড এবং বিশেষায়িত শ্বেত রক্তকণিকা এর ভূমিকা রাখে।
শেষ মন্তব্য শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো আপনি জেনে অবশ্যই উপকৃত হবেন। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে উপস্থিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যাতে আপনি বুঝতে পারবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন। এবং আপনি এই সমস্যাকে কিভাবে আপনার থেকে রক্ষা করবেন। কি সমস্যা শিশুদের এবং বয়স্কদের জন্য বেশি হয় তাই এই ধরনের ব্যক্তিদেরকে সতর্কতা থাকতে হবে।
আপনি যদি একজন সততম মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সচেতনতার সাথে জীবন যেমন করবে তেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকবেন। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই আপনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। এতে আপনি সহজেই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারবেন।



মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url