শীতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা জেনে নিন

আপনি কি শীতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখানে উপস্থাপন করা হবে কোন কোন খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

শীতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা

এছাড়াও কোন সবজিতে কি ধরনের ভিটামিন রয়েছে যার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় সেই বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হন তাহলে অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিষয়ে জানা উচিত এবং সচেতনতা সাথে খাবার গ্রহণ করা উচিত। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ শীতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা জেনে নিন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের জানা উচিত, আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি? এটি শরীরের একটি ব্যবস্থা যাকে ইমিউন সিস্টেম বলা হয় যা বাহিক হুমকি হাত থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করে। এবং আপনার শরীরকে নিরাময় করতে সাহায্য করে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে। সাধারণত কোষ টিস্যু এবং অঙ্গগুলির এই জটিল নেটওয়ার্ক হলো ভাইরাসের মত আক্রমণকারীদের শনাক্ত করে এবং তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ তৈরি করে। 

আরো পড়ুনঃ বিশেষ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় জেনে নিন

এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে সমন্বিত প্রক্রিয়া তৈরি হয় এবং প্রাথমিকভাবে শ্বেত রক্তকণিকা ব্যবহৃত হয়। এই ব্যবস্থাটা একটি শক্তিশালী সিস্টেম যা শরীরকে সুস্থতা রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এবং দুর্বলতার বিরুদ্ধে কাজ করে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই সিস্টেমটিকে বিভিন্ন সুবিধা জনক খাবার খাবার মাধ্যমে সতর্ক এবং সুস্থ রাখার চেষ্টা করবেন। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখার জন্য নিচে উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে। 

সাধারণত ইমিওথেরাপি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য এবং ধ্বংস করতে পারা যায় যা ইমিউন সিস্টেমকে উক করে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এরাই এবং রোগের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তৈরি করে যাতে কোন ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে এবং আপনার শরীরকে অসুস্থ করতে না পারে যার জন্য এই সিস্টেমটি শরীরে একটি ব্যবস্থা তৈরি করে রাখে।

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা

শীত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা জেনে আমরা প্রতিদিনের খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করলে। খুব কম সময়ের মধ্যেই আমরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবো এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবো। সাধারণত শীত বা যে কোনো সময় যে খাবারগুলো মানুষের শরীরের রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বেশি কার্যকরী সে খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিয়ে যাক।

আরো পড়ুনঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - ফলিক এসিডের উপকারিতা জানুন 

চোখ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার, 

শাকসবজি: বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি রয়েছে শক্তিগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারবেন। এই সবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে, পালং শাক, পুঁইশাক, করোলা, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, গাজর, লাউ এবং মিষ্টি খোলার মত সবজি যা মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

ফল জাতীয় খাবার: আপনার খাবার তালিকায় প্রতিদিন একটি করে হলেও ফোন রাখা উচিত। এতে পরিপাকতন্ত্র সক্রিয় তার সাথে কাজ করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন, কমলা, মালটা, আমড়া, লেবু ও আমলকি যা ভিটামিন সমৃদ্ধ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। 

আমিষ জাতীয় খাবার: আমাদের শরীরে যে সকল খাবারগুলো গ্রহণ করা হয় তার মধ্যে আমি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ এই খাবারগুলো অত শক্তিশালী এবং ধরনের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিম, দুধ, মাছ, ডাল, সিমের বিচি, কুমড়ার বিচি, বাদাম এই খাবারগুলো এন্টি বডি তৈরি করতে সাহায্য করে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

বাদাম ও বীজ জাতীয়: আমাদের দেশে অনেক ধরনের বাদাম রয়েছে এই বাদাম জাতীয় এবং বিষ জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণ রক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। বালের মধ্যে রয়েছে চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, এছাড়াও বিভিন্ন ফলের বীজ, যেমন কুমড়ার বীজ বাদামের মত বিভিন্ন শক্তি সরবরাহ করে এছাড়াও আরো অনেক বীজ জাতীয় উপাদান রয়েছে যা এই উপকার করতে সাহায্য করে। 

প্রোবায়োটিক খাবার: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি রাখার জন্য আপনি কিছু প্রোবায়োটিক খাবার গ্রহণ করতে পারেন এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে দই। এটি প্রবাইলের সমৃদ্ধ খাবার যা অন্তের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘনিষ্ঠভাবে বৃদ্ধি করে। 

আরো অন্যান্য খাবার: আপনি উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি যে খাবারগুলো খাবেন তার মধ্যে রয়েছে হলুদ, আদা, রসুন, মধু, এগুলো নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। সরাসরি রসুন আদা না খাওয়া গেলেও তরকারির সাথে বিভিন্ন মসলা হিসেবে এগুলোর ব্যবহার হয়। 

উপরে উল্লেখিত খাবারগুলোর মধ্যে হলুদ, ব্রোকলি, দই এবং যে খাবারগুলো উল্লেখ রয়েছে তা বেশি পরিমাণ আপনার শরীরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করে তোলে। এই শাকসবজি এবং খাবারগুলোর মধ্যে ভিটামিন ডি সহ ভিটামিন এ, সি, ই ও বিটা ক্যারোটিন সহ ফ্লাভোনয়েড উপস্থিত থাকে যা আপনার শরীরের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আদার রয়েছে যা সর্দি কাশিতে ঢুকছেন তারা পশম পেতে এটি খেতে পারেন। আদা এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। 

এছাড়া আপনি চাইলে সবুজ চা বা ক্রিমটি খেতে পারেন যার উপরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, আশেপাশে সূর্যমুখী বীজ এর মধ্যে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম থাকে। অনেকেই কাজুবদাম কে চর্বি এবং ভিটামিন ই এর উৎস মনে করে, তবে এর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ ফাইবার সঙ্গে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি আপনি লাল মরিচ খেতে পারেন, পল্টি মুরগি কিউ কিউটস পেঁপে, বুলবুলি সহ প্রাকৃতিক খাবার গুলো খেতে পারেন। 

প্রাকৃতিকভাবে ইমিউন সিস্টেম বাড়ানোর কিছু উপায় 

প্রাকৃতিক ভাবে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য আপনি যে কাজগুলো করবেন তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো। যাতে আপনি নিয়মিত সেই কাজগুলো করে আপনার শরীরকে শক্তিশালী করতে পারেন এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ ভাবে রাখতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা পছন্দ করার পাশাপাশি আপনার ইমিউন সিস্টেম ইতিবাচক জীবনধারার উপর নির্ভরশীল। তাই নিচে খাদ্য অভ্যাস গুলোর পাশাপাশি যে বিষয়গুলো জানা উচিত জেনে নিন। 

আরো পড়ুনঃ শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির ৭টি ঘরোয়া উপায় জানুন

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন সপ্তাহে 5 বার বা প্রতি সপ্তাহে পাঁচ দিন, শক্তি প্রশিক্ষণের সাথে কার্ডিও এর সমন্বয় রয়েছে।
  • ধূমপান এড়িয়ে চলুন বা অ্যালকোহল: ধূমপান বা অ্যালকোহল ত্যাগ করুন যা আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বই আনতে পারে তাই আপনাকে অবশ্যই ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। ধূমপান এবং অ্যালকোহল পানির কারণে শরীরে ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • স্টেস পরিচালনা করুন: জীবনের স্ট্রেস একটি অংশ হলেও দীর্ঘস্থায়ী চাপ আপনার ইউনিয়ন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে। আপনি চেষ্টা করুন মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার এতে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা ভালো থাকার পাশাপাশি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • ভ্যাকসিনের সাথে আপটু ডেট থাকুন: বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন ব্যবহার করে নিউমোনিয়া, কোভিড-19 এর মত আরো অসাধারণ অসুস্থতা। এই বিষয়গুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি আপনার টিকা সম্পর্কে একটু নিশ্চিত পরামর্শ নিন ডাক্তারদের কাছ থেকে।
  • একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হয়ে গেলে এই ইউনিয়ন সিস্টেমের উপর কিছুটা পরিবর্তন বা চাপ পড়তে পারে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই শরীরে অপর্যাপ্ত পরিমাণ বা অতিরিক্ত ওজন রাখা থেকে নিজেকে বিরতা রাখতে হবে এবং এই জিনিসটা বজায় রাখলে আপনার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উন্নত হবে। 

পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম: শরীরের সুস্বাস্থ্যের বজায় রাখার জন্য সিডিসি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি রাতে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। অনেক সময় কম বা বেশি হয় এই ক্ষেত্রে শরীরের উপরে ইফেক্ট পরতে পারে এই বিষয়টি প্রতিনিয়ত হতে থাকলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম করতে হবে। 

সিনিয়র ডায়াটেশিয়ান কেয়ার হাসপাতাল এর বিবরণ 

বিভিন্ন সময় দেখা যায় কোন খাবার গুলোর মধ্যে ভাইরাস বা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে যেগুলো মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাক নষ্ট করে দেয় এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের খারাপ এবং ভয়ঙ্কর রোগের সৃষ্টি করে। এর জন্য আপনাদের সামনে কিছু বিষয় উপস্থাপন করলাম যা ডক্টর সুনিতা উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন সময় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে।

সিনিয়র ডায়াটেশিয়ান কেয়ার হাসপাতাল এর বিবরণ

  • যেই খাবারগুলোই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে জেনে উপকৃত হবেন। এই খাবারগুলোর কোথাও উপরে উল্লেখ করেছি সাধারণত ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। উদাহরণ হিসেবে আপনি উপরে উল্লেখিত কমলালেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইটাস ফল খেতে পারেন যা ভিটামিন সি বেশি থাকে। 
  • যে সকল শাক-সবজি গুলো রয়েছে সেগুলো খেতে পারেন যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং এগুলোর মধ্যে ভিটামিন এ সি এবং ই এর মত উপাদান গুলো খেতে হবে যা উপস্থিত রয়েছে উপরে উল্লেখিত পালক শাক এবং ব্রোকলি সহ এই লেভেলের খাবারের মধ্যে। 
  • এখানে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোতে সবচাইতে বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। সর্বোচ্চ আক্রমণাত্মক শহরটি একক খাবার নেই তবে বেরি রসুন বাদামসহ উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো খেয়ে আপনি এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য কি পান করবেন? আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য গ্রিন টি, আদা চা, হলুদ দুধ, কমলা বা ডালিমের রসের মতো ফল খেতে পারেন এগুলো দুর্দান্তভাবে মানুষের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • আমি কিভাবে আমার ইউনিয়ন সোর্স সিস্টেম পরিষ্কার করব? এ প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সুনিতা ডক্টর বলেছেন যে, এটি সুস্থ ইউনিয়ন সিস্টেম বজায় রাখার জন্য একটি সুষম খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং নিয়মিত শারীরিক মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। পাশাপাশি দুর্দান্তভাবে আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারের এড়িয়ে চল এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। 

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়ে যাওয়ার একটি প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে শরীরে ঘুমের অভাব খাবারের অভাব এবং উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন চিকিৎসার কারণে শরীরের মধ্যে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি এর মাত্রা খুবই কম হয়ে যায় যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে দুর্বল করে তোলে। সুতরাং আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহণ করার পাশাপাশি  নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হবে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার কি কি? 

উত্তর: রোগ প্রতিরোধ করার খাবার গুলোর মধ্যে ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে সমর্থন করে এবং সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 

প্রশ্ন: কোন খাবারে ভিটামিন সি বেশি থাকে? 

উত্তর: উপরে উল্লেখিত আছে তারপরও আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম কমলালেবু স্ট্রবেরি এবং কিউটস এর মত সাইটাস ফল যেই সাথে বেল মরিচ এবং ব্রকলি ভিটামিন সি এর একটি প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। 

প্রশ্ন: জিংক সমৃদ্ধ খাবার কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়? 

উত্তর: চর বিহীন মাংস বাদাম বীজ এবং সিমের মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিংক থাকে, জারক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ক্ষত নিরাময়ে সহযোগিতা করে এবং কোষের প্রতিরোধক ব্যবস্থা করে তোলে। 

প্রশ্ন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রোবায়োটিক কেমন ভূমিকা পালন করে?

উত্তর: দই কেফির এবং গাজন যুক্ত খাবারে পাওয়া যায় প্রবায়োটিক অন্তের ব্যাকটেরিয়া সুস্থ ভারসাম্য রক্ষা করার শক্তি। তাই আপনি সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার ২৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন

প্রশ্ন: গারো রঙ্গের সবুজ শাকসবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কেন উপকারী? 

উত্তর: পালং শাক কেল এবং এ ধরনের পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ সি এবং কে থাকে পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভরপুর তা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

প্রশ্ন: ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে? 

উত্তর: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যেমন সালমন তিসির বীজ আখরোট এবং প্রবাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। 

প্রশ্ন: হলুদ খাওয়ার উপকারিতা কি কি? 

উত্তর: হলুদ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে হলুদে কারকিউমিন থাকে যার শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ক্ষত বা বিভিন্ন কাটাছেঁড়ায় ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচতে হলুদ ব্যবহার করা যায়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ঔষধ 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। তবে যারা জানেন না তাদের জন্য এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এবং ভিটামিন ডি, পাশাপাশি ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন এবং খনিজ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে। 

সাধারণত যে ওষুধগুলো রয়েছে সেই ওষুধগুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত যার রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের পাওয়া জনপ্রিয় ওষুধ গুলোর মধ্যে রয়েছে। যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এগুলো মিনারেল ভিটামিন এবং হারবাল উৎপাদন ভিত্তিক। জনপ্রিয় হারবাল এর মধ্যে রয়েছে অশ্বগন্ধা। যে মানুষের চাপ কমায় শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। 

আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ২১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবাক করা তথ্য জানুন

পাশাপাশি তুলসী গাছ শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কার্যকর ঠান্ডা লাগা কাশিতে কাজ করে। এছাড়াও গিলয় যারক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাস ইনফেকশন এর প্রতিরোধ করে। কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রদাহ যার মধ্যে আমলকি তুলসী মধু আদার মিশ্রণ। আবার কিছু সময় দেখা যায় যে আমলকি তুলছে গিলস বা চ্যাপল প্লাস এগুলো জনপ্রিয় ব্যান্ড রয়েছে যেমন, ডাবুর পতঞলি। এছাড়াও কিছু এলাপতি ওষুধ রয়েছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া যায়।swisse Daily Immune support, Healthy Care immune Defene, Ecold ব্যবহার করতে পারেন যা ইউনিয়ন সিস্টেম শক্তিশালী করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি, আবার অনেকেই জানিনা তাই বিষয়গুলো আপনাদের সামনে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করলাম। আপনার শরীরের ভিতরে ইউনিয়ন সিস্টেমটি বাইরের বিশ্বের সমস্ত জীবাণু সমস্ত আক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করে। সুতরাং আপনার এই সমস্যাটিকে নিজের সমস্যা সষ্টি করতে বাধা দেয়। তবে আপনি যদি এই সমস্যাকে দুর্বল করেন তাহলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন তাই হোমিও এই ওষুধগুলো ব্যবহার করা যায়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

  • জেলসিমিয়াম: জেলসিমিয়াম ওষুধে আপনার ক্লান্তি শরীরের ব্যথা এবং জ্বরের মতো উপসর্গ থাকে তাহলে খুব কার্যকরী। 
  • আর্সেনিকাম অ্যালবাম: ফুড পয়জিং হলে এটি অত্যন্ত উপকারী পেটের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটি সমানভাবে কার্যকরী। 
  • অসিলক্কিনাম: এটি হাঁসের লিভার এবং হৃদয় দিয়ে তৈরি হয় যা শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে, জ্বর এবং ফ্লু জাতীয় রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ব্যবহারের পূর্বে হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • এলিয়াম সেপা: এই এলিয়াম সেপা আপনার ফ্লু এর মত চোখ নাকের উপসর্গ থাকে এমিলি এম সিপাহ একটি গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ যা আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই উপকার গুলো করে থাকে। 
  • সম্মিলিত ওষুধ: অনেক ওষুধের সমন্বয়ে আপনার দেহের ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই বিষয়গুলো পরিচালিত করতে হবে। 
  • ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা, ৩০-১ ডোজ, ফসফরাসও১ ডোজ, এছাড়াও লাইকোডয়াম ৩০-১ ও জ্বরের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই সংগঠনটি ব্যবহার করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ওষুধের নাম ও মাইগ্রেন সমস্যা কেন হয় বিস্তারিত জানুন 

আপনি যদি লাইকোপোডিয়াম ৩০ সাদা পিলা ৩০ জ্বর এবং নাক বন্ধ হয়ে গেলে এই মিশনটি খুব কার্যকরী ভাবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শরীরের রক্ত দ্রুত ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এলার্জি এবং সমস্ত রোগের জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে সুতরাং আপনি হোমিও ব্যবহার করেও খুব সহজেই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন এবং এগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া আপনার বিভিন্ন ঝুঁকি থাকতে পারে ভুলভাল ভাবে ওষুধ গ্রহণ করতে গেলে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা 

আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সাধারণত বিভিন্ন খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এই খাবারগুলো তালিকা উপরে উপস্থাপন করেছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভাবে যেই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করা আছে। 

আপনি যদি মনোযোগ শহরে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে বিষয়গুলো জানা উচিত তার একটি স্পষ্ট ধারণা পাবে। সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ব্যায়াম করা যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ঔষধ পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া যায় এবং কিছু লক্ষণ রয়েছে যে বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Post Page Ad Right After Title