বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ - সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর বিস্তারিত জানুন
বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক যে সম্প্রতি বন্টন ক্যালকুলেটর রয়েছে, সেই বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে সাজানো হয়েছে। সরকার কর্তৃক সকল নিয়ম গুলো দেখে নিন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এবং ইসলামে বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম অনুযায়ী যে বিধান বা সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুপাতেই সন্তান তার বাবার সম্পত্তির অংশের মালিকানা পায়।
পোস্ট সুচিপত্রঃ বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ - সম্প্রতি বন্টন ক্যালকুলেটর বিস্তারিত
- ভূমিকা
- বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ
- মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ও আইনের উৎস
- যেসব উত্তরাধিকারীদের মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে অধিকার আছে
- স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর অধিকার
- মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতার অধিকার
- মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে দাতার অধিকার বা পিতামহ
- বাবার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার ও পুত্রের অধিকার
- সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর সম্পর্কে জানুন
- জমি বন্টন আইন বাংলাদেশ
- মৃত বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
- মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ক্যালকুলেটর
- ইসলামী বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
- বাবার সম্পত্তি বন্টন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ মন্তব্য বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে সম্পত্তির ভাগ বা বাবার সম্পত্তি বন্টনের বিষয়ে অনেক রকমের সমস্যা এবং ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় মারামারি হালাহানি শুরু হয় এই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে। তাই এ সম্পত্তি যেন সন্তান হিসেবে প্রত্যেকেই বাবার সম্পদ সমান ভাগে এবং ইসলামী আইন অনুযায়ী পাই সেই বিষয়গুলো আমরা অনেকেই স্পষ্টভাবে জানিনা। সুতরাং আমাদের সরকারি আইন ইসলামী আইন এই বিষয়গুলো স্পষ্ট জানা উচিত।
আপনারা হয়তোবা অনেক এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন তবে যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বাংলাদেশের আইনি অনেক নিয়ম কানুন ইসলামী আইন অনুযায়ী হয়ে থাকে তাই আপনারা আজকে জানতে পারবেন ইসলামী আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তির ভাগ বা বন্টন কিভাবে হওয়া উচিত।
এছাড়াও আমরা অনেকেই রয়েছি যারা মুসলিম পরিবারের বাইরে। আমার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী মুসলিম ও হিন্দু উভয়ের সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য। তবে এখানে কিছু ধর্মীয় আইন মুসলমান এবং হিন্দুদের ভিতরে পার্থক্য রয়েছে। মুসলিম আইন অনুসারে ফরাস বা যে আইন রয়েছে তা বাবার মৃত্যুর পর সম্প্রতি কন্যা এবং পুত্র উভয়ই একটি অধিকারে পাবে। তবে তাদের উভয়ের মধ্যে সমান ভাগের উল্লেখ নেই।
তবে মুসলিম সম্প্রদায় অনুযায়ী তাদের উত্তরাধিকারের আইন অনুযায়ী কন্যা এবং পুত্র উভয়ে তাদের সম্পদের অধিকার সমান ভাবে পেয়ে থাকে। তবে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী যে নিয়ম তৈরি করা হয়েছে তার হিন্দু মুসলিম সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই আমরা জানবো বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী কি এবং কেমন করে তা বন্টন হয়।
বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ
বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিধান অনুযায়ী যা উল্লেখ করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারনা থাকা উচিত। আমরা অনেকেই সম্পত্তি ভাগাভাগির সময় নানা রকমের ভুল এবং জোরজবস্তি যা অনেক সময় দেখা যায় পরবর্তীতে জমি বিক্রি বা কেনার জন্য বিভিন্ন রকমের সমস্যায় পড়তে হয়। জমি বন্টন বাংলাদেশে যে আইন রয়েছে সে আইন গুলো দেখুন।
বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ নিয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে সকল বিস্তারিত আরো সময় জানবো। বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইন রয়েছে যা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার উত্তরাধিকারী দের উপর বর্তমান যাবতীয় বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনা করে থাকে। আমরা জানি উত্তরাধিকারের বিষয়গুলো একেবারে পারিবারিক আইন যা পারিবারিকভাবে পরিচালিত হয়।
তাই মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বদ্ধ ও অন্যান্য প্রায় সকল ধর্মের মানুষেরই এমনকি উপজাতিদের মধ্যেও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি-বিধান রয়েছে। মুসলমানদের যে উত্তরাধিকারের সম্পর্কিত বিধি বিধান রয়েছে তা কুরআন ও হাদিসের আলোতে তৈরি হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে মৃত ব্যক্তির ছেলে সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে উত্তরাধিকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায়
এমন একটি বিধান নিয়ে মুসলমান সমাজে প্রশ্ন ছিল তবে এর কিছু সংস্কার সাধনের চেষ্টা করা হয় তবে পরবর্তী তা সংস্কার করা সম্ভব। আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো তবে হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের উত্তরাধিকার আইনে বিধানগুলো এখনো নিজস্ব মতবাদ ও নিয়ম রয়েছে। ভারতের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ব্যাপক সংস্কার হলে বাংলাদেশে তেমন কোনো সংস্কার হয়নি সেখানে এখনো মহাত্মা গান্ধীর আমলের বিধি বিধান রয়েছে।
সনাতন যুগের এই আইন প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশে বসবাসকৃত হিন্দু মেয়েদের অধিকার থেকে বঞ্চনার ইতিহাস তৈরি হয়েছে। তবে খ্রিস্টান বৌদ্ধদেরও উত্তরাধিকার আইন ও তার প্রয়োগ সম্পর্কিত বিধি বিধানের রয়েছে যে বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই জানা এবং অনেকেরই অজানা। এখানে খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের নিয়মগুলো চলে আসছে উপজাতীয় সমাজে। আরো একটি বিষয়ে আমাদের জানা উচিত বর্তমান ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে,
বিয়ের মাধ্যমে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি দেখা যায়। সুতরাং 1872 সালের বিশেষ বিবাহ আইন সম্পূর্ণ বিবাহ দম্পতির সন্তানের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে পর্যাপ্ত আলোচনা রয়েছে যা থেকে আপনি স্পষ্ট ধারণা পাবেন তাই নিজের তথ্যগুলো দেখুন এবং মুসলিম বৌদ্ধ এবং হিন্দুদের উত্তরাধিকার সূত্রে যে আইন রয়েছে তারা সম্পর্কে জানুন।
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ও আইনের উৎস
মুসলিম উত্তরাধিকারী আইনের সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে এটা কি সেটা আগে জানতে হবে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোন মুসলমান যারা গেলে তার ফেলে যাওয়া সম্পত্তি কিভাবে কাদের মধ্যে বন্টন করা হয় সে বিষয়ে যে বিধান রয়েছে তাকে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত মুসলিম বিধান বা আইন বলে। এ আইনের যে উৎস গুলো রয়েছে তা হল,
- আল কুরআন
- হাদিস
- ইজমা
- কিয়াম
- আরবীয় প্রথা
- বিধি বন্ধ আইন
- আদালতের সীমাবদ্ধতা
কুরআন শরীফঃ পবিত্র কুরআন উত্তরাধিকার আইনের প্রধান উৎস মুসলিম সমাজের জন্য কুরআনের সূরা নিসা এর সপ্তম অষ্টম একাদশ-দ্বাদশ এবং ১৭৩ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে যে পরোক্ষভাবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন কিভাবে সম্পদের বন্টন করবে। যেমন, মুসলিম উত্তরাধিকার বা নিয়ম অনুসারে পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার বলা আছে যে, ১২ জন সম্পত্তির অংশীদার।
এদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং ৮ জন নারী, এছাড়াও পুরুষগণ হলেন মুসলিম আইনে কুরআনের পবিত্র বিধান অনুযায়ী তার বাবার ওয়ারিশগণ বা উত্তরাধিকারীগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে সুনির্দিষ্ট অংশ লাভ করিতে বাধ্য থাকবে। বর্তমানে এখনই প্রচলিত প্রথা চালু আছে যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার ভিতরে প্রচলিত।
হাদিসঃ হাদিস হলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময় অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং দিকনর্দেশনা। মুসলিম আইন অনুযায়ী যে হাদিসগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর অভিমত, উক্তি, শিক্ষা, উপদেশ, প্রশাসন, তার কথাবার্তার সকল বিষয়ই মন্তব্য।
এছাড়াও মহানবীর দৈনন্দিন জীবনের কর্মপণালী, জীবনযাপন প্রণালী, কর্মতৎপরতা, এবং মহানবীর কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী বিষয়ক তৎপরতা। তিনি পছন্দনীয় কার্যাবলী এবং অপসন্ন কার্য সম্পদের বিবরণমূলক বক্তব্য দেন। তিনি তার সাহাবীদের ক্ষেত্রে ইঙ্গিতবাহী সম্মতি ও নীরব সমর্থন দেন, আবার হযরত মা ফাতেমা আলাইহিস সালাতু সালাম একবার দাবি করেন যে,
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমরা নবীরা কোন সম্পদ ওয়ারিশদের জন্য রেখে যায় না। আমাদের যেগুলো থাকে তা অবশ্যই খয়রাতের জন্য যা জানার পর অনেকেই শান্ত হয়ে মেনে নেয়।
ইজমাঃ ইসমা বলতে বোঝায় আলেম ওলামাদের ঐক্যমতকে। যাকে সত্য বলিয়া ধরিয়ে নেওয়া হয়। কোরআন হাদিস এবং সুন্নাহর মাধ্যমে যে আইন প্রণয়ন কাজ চলছে তা মহানবীর প্রভাতের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হয়। সেখানে তার সমাধান করার জন্য সম্মিলত আলেমদের মতামত চূড়ান্ত মনে করা হতো। আমরা ইসলামের ইতিহাসে দেখি ধর্মীয় অনুশাসনের বেলায়।
রোজা নামাজ জনগণের সম্মিলিত ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কারণে মহানবীর উফাতের পরে খলিফা হিসেবে এক পর্যায়ে আবু বক্করকে খলিফা নিযুক্ত করা হয়। সাধারণত ইজমা বলতে সকলের সম্মত ও ন্যায় পরায়ন বিচার ব্যবস্থা কে বলে।
কিয়ামঃ এখানে কিয়াম বলতে বোঝায় যেই সমস্যা সমাধানের জন্য কোরআন হাদিস ও ইজমা বা কোন কিছুতে সমাধান পাওয়া যায় না সেই সমস্যা সমাধানের জন্য উপস্থিত সমস্যা পর্যায় আলোচনা করে সেই অনুযায়ী সত্য-মথ্যা যাচাই করে সমাধান দেওয়া। ইসলামে এভাবে বলে যে, মাদকতা সৃষ্টিকারী তীব্র তরল নিষিদ্ধ করা হয়েছে তবে স্পষ্টভাবে মদকে নিষেধ করা হয়নি। তবে মদ যেহেতু মাদকতা সৃষ্টিকারী তীব্র পানি তাই সাদৃশ্যমূলক ভাবে এটা নিষেধ করা হয় এটাই কিয়াম।
আরবীয় প্রথাঃ মুসলমানদের আইনের পঞ্চম উৎস হল প্রাক ইসলামী প্রথা, কুরআন-হাদিস সুন্নাহ ইজমা ও কিয়াম ব্যতীত আইনবিদ গণ ও যে উৎসব উপর গুরুত্ব আরোপ করেন সেটি হল প্রচলিত রীতি নীতি ও প্রথা। অনেক পুরাতন আরো প্রথা কুরআনের আয়াত দ্বারা বাতিল করা হয়েছে। চাকরান কর্তৃক নাটক করা হয়নি। যাস সুন্না কর্তৃক পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে গৃহীত হয়েছে উহা মুসলিম আইনের বিধি হিসেবে বর্তমানে রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি ও মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হয় কেন বিস্তারিত জানুন
যেমন প্রাক ইসলামী কোথায় জিহার, ইলা, খোলা ইত্যাদি যে কোন প্রকার প্রথার মাধ্যমে তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ করা হতো আবার তালাক প্রাপ্ত কে পুনরায় বিবাহ করার আগে কিছু কাল অপেক্ষা করতে হতো এরপর কোন নারীর পুনর্বিবাহর পূর্বে এই অপেক্ষমান সময়কে ইদ্দত পালন বলে ইসলামী আইনের নির্দিষ্ট মেয়াদ ইদ্দত পালন করতে হতো।
বিধি বন্ধ আইনঃ বাংলাদেশে বসবাসরত মুসলমানদের উপর ব্যক্তিগত মুসলিম আইন প্রয়োগ করা হয়। যা মুসলিম রীতিনীতি অনুযায়ী চলে উত্তরাধিকারীর বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উইল করা, হিবা নামা করা ওয়াকফ করা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মুসলিম আইনের প্রয়োগ হয়। এছাড়া মুসলিম ব্যক্তিগত আইন সম্পর্কে ও কতিপয় আইন বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। ওই প্রকারের আইনগুলোকে ষষ্ঠ উৎস বলে মুসলিম আইন বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিধিবদ্ধ আইন হিসেবে আইনসভা দ্বারা পাসকৃত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনগুলো হলো,
- শরিয়া আইন ১৯৩৭
- মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৭
- মুসলিম পারিবারিক আইন অত্যাধিক ১৯৬১ (অধ্যাদেশ নং ৮)
- মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রশন ১৯৭৪
আদালতের সিদ্ধান্তঃ দেশের উচ্চ আদালতের কোন জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও মুসলিম আইনের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র তাই এখানে 80% এরও বেশি মুসলিম রীতি নীতি প্রচলিত রয়েছে যার কারণে মুসলিম আইন অনুযায়ী এদেশের সকল বিচার ব্যবস্থা এবং আইন প্রচলন শুরু হয়েছে তবে ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ ইসলামিক আইন দ্বারা বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।
যেসব উত্তরাধিকারীদের মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে অধিকার আছে
অংশীদার তারা যে ওয়ারী সেরা মিরাজ যোগ্য সম্পত্তি পাওয়ার অধিকারী তারাই অংশীদার। পেছনে তালে তালিকা ও মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তাদের শস্য পরিমাণ অংশ কুরআনে আল্লাহ পাক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। যার ফলে তাদেরকে কুরানি ওয়ারিশ বলা হয়। মূলত কুরআনের নির্দেশ হাদিসের ব্যাখ্যা এবং সকল যুক্তিমতে অন্য সবার উপর তাদের অবস্থান হলেও তারা কোন সুবিধাভোগী শ্রেণী নয়।
এর কারণ হলো তারা খুব ছোট ও সামান্য অংশ পেয়ে থাকে। অংশীদারদের সংখ্যা 12 জন হোলি এরা বিবাহ সিদ্ধ জাত এবং রক্ত সম্পর্কে আত্মীয়। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং 8 জন মহিলা। তাহলে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে অন্য সব উত্তরাধিকারের মধ্যে অগ্রাধিকার পাই এবং তাদের অংশ রেখে পরে অন্যদেরকে সম্প্রতি প্রদান করা হয়।
পুরুষদের চারজন, প্রথম পিতা, দাদা বা তদুর্ধ, স্বামী, বই পিত্তে ভাই। এছাড়া মহিলারা হচ্ছে আটজন তবে এখানে স্ত্রী, মাতা, কন্যা, সহোদরা বোন, বৈমাত্রিয়া বোন, বইপত্রিয়া বোন, কন্যা ও দাদি তাদের মধ্যে পিতা স্বামী মাতা কন্যা ও স্ত্রী পাচজন কখনোই উত্তরাধিকার বা পরোক্ষ সম্প্র থেকে বঞ্চিত হয় না। তাদের প্রত্যক্ষ অংশীদার বলা হয় পাখিদেরকে পরোক্ষ বলা হয়।
অবশিষ্টংশ ভোগীগণ: মৃত ব্যক্তির যাদের সাথে রক্ত সম্পর্ক রয়েছে এবং যারা অংশীদারদের নির্দিষ্ট অংশ নেওয়ার পর কোন সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকলে তা অথবা কোন অংশীদার না থাকলে সমস্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির সাথে রক্তের সম্পর্কের কাছে এমন অবস্থিত নিকটবর্তী আত্মীয়রা তালিকায় উল্লেখযোগ্য ক্রমানুসারে লাভ করে থাকে।
মৃত ব্যক্তির এ সকল নিকটবর্তীদের অংশ অবশিষ্টাংশ ভোগী বলা হয়। এই অবশিষ্টংশ ভবিতের কোন নির্দিষ্ট অংশ নেই তবে অংশীদারদের দেনার পরেও কেবল অবশিষ্ট সম্পত্ত তারা পাবে। কিন্তু এই অবশ্য পরিমাণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে যদি কোন অংশীদার না থাকে তবে সমস্ত সম্পত্তি আবাসা বা অংশীদারগণ পাবে। এ সকল আবাসা বা অংশীদাররা এগেন নেটিভ ওয়ারিশ বলা হয়। কারণ এরা পুরুষ আত্মীয়দের মাধ্যমে ওয়ারিস হয়ে থাকে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট দেখুন
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে - সংশোধন করার উপায় জানুন
টেলিটক সিম অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া - টেলিটক অফার দেখার কোড জানুন
নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ বিস্তারিত জানুন
স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর অধিকার
একজন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির প্রতি তার স্বামীর কি ধরনের অধিকার থাকতে পারে। মুসলিম আইন এবং কোরআনের বিধান অনুযায়ী সম্প্রতিপত্রের বন্টনের ক্ষেত্রে স্বামীকে দুটি অবস্থায় বিশ্লেষণ করা হয়। একটি হলো মৃত ব্যক্তি সন্তান-সন্ততি বা পুত্রের সন্তান-সন্ততি বা নিম্ন কেউ না থাকলে তারা ১/২ অংশ পাবে। যেমন মৃত ব্যক্তির স্বামী পাবে ১/২ আমার পিতা পাবে ১/২।
আবার মৃত ব্যক্তির যদি সন্তান-সন্ততি থাকে সেক্ষেত্রে ১/৪ অংশ পাবে। এর জন্য স্বামী পাবে ১/৪ ও তিন পুত্র কবে ৩/৪। এশারের স্বামীর সম্পত্তি যদি থাকে তাহলে কি পরিমাণ অধিকার পাবে। স্বামী সম্পাদিত বিধবা। মৃত ব্যক্তির এক বা একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের সম্পত্তির প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা উল্লেখ করা হয়। প্রথমটি হলো মৃত ব্যক্তির সন্তান-সন্ততি না থাকলে স্ত্রী এক চতুর্থাংশ পাবে। যেমন, স্ত্রীভাবে ১/৪ আমার পিতা পাবে ৩/৪।
যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান-সন্ততি বর্তমান থাকে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সম্পত্তি পাবে ১/৮ অংশ। সুমন হাতে তাদের অংশ ভাগ করা হবে যেমন, স্ত্রী পাবে ১/৮ এবং পুত্র পাবে ৭/৮। এখানে যদি স্বামী পিরিত অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে উক্ত তালাক স্ত্রী তার ইদ্দতকাল এর মধ্যে যদি স্বামী মারা যায় তাহলে তালা কি স্ত্রী তার স্বামীর বয়স হবে। তবে স্বামী একইভাবে স্ত্রীর উত্তরাধিকার হতে পারবে না।
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতার অধিকার
মুসলিম আইন কুরআনের বিধান রয়েছে পিতার যে অধিকার রয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো দেখে নিন। এখানে পিতার এবং অংশ তিনটি অবস্থায় দেখানো হলো, প্রথমে মৃত ব্যক্তি যদি ছেলে সন্তান এবং একটি মেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে পিতা পাবে ১/৬=৩/১৮, পুত্র কবে ৫/৯=১০/১৮ কন্যার ক্ষেত্রে ৫/১৮=৫/১৮ যা অংশ অবশিষ্টাংশ ভোগী হিসেবে প্রাপ্ত হবে।
আবার যদি পিতা মৃত হয় এবং ব্যক্তির সম্প্রতি পুত্র ও কন্যা ১/৬ অংশ হিসেবে প্রাপ্ত হবে। পুত্র কন্যা তাদের মৃত পিতার সম্পত্তিতে অংশ অবশিষ্টাংশ হিসেবে ৫/৯ এবং ৫/১৮ অংশপপ্ত হবে। কন্যা পাবে পুত্রের অর্ধেক। আমার যদি পুত্র না থাকে তাহলে কন্যা যে ভাগটি থাকবে তা পিতা অংশ ১/৬ যা অবশিষ্টাংশ ভূমি হিসেবে সম্প্রতি পাবে। যেমন, পিতা ১/৬+২/৬ আসাবা =১/২। আমার কন্যা ৩/৬=১/২।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন ১ মিনিটে কি উপায় জানুন
আবার পুত্র কন্যা বা পুত্রের পুত্র না থাকলে পিতা আবাসা বা অবশিষ্ট হিসেবে যে সম্পত্তি পাবে তা মৃত পিতা, পিতা কালাম, ২/৩, মাতা, ১/৩, এবং ভাই ০, বোন ০। যদি মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান না থাকে এবং স্ত্রী ও তার পিতা থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের সম্পত্তির ভাগাভাগে হবে স্ত্রীর জন্য ১/৪ ও পিতার জন্য ৩/৪ মৃত ব্যক্তির নিঃসন্তান হলে এভাবে বন্টন হবে ইসলামী ধারা অনুযায়ী। এখানে স্ত্রীর অংশ মিটিয়ে দেওয়ার পর পিতার অংশ পাবে।
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে দাতার অধিকার বা পিতামহ
আসলে যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান সন্ততি থাকে অথবা পিতা নিকটবর্তী পিতার পিতার না থাকলে সত্যিকার পিতামহ ১/৬ অংশ পাবে এবং এরা কেউ না থাকলে সত্যিকার পিতাবাহ কোন অংশগ্রহণ তাহলে অবশিষ্ট ভোগি। প্রকৃত অর্থে পিতা যে অবস্থায় পায় পিতামহ সেই অবস্থায় পায় কিন্তু পিতা জীবিত থাকলে কিছুই পায় না যেমন, পিতামহ ০, এবং পিতা ১ অংশ।
তোর পিতা অবর্তমানে উল্লেখিত তিনটি অবস্থা পিতামহের উপর বর্তাবে। চারটি মাত্র স্থানে পিতা ও পিতামহের কিছু পার্থক্য আছে। যেমন পিতার মাতা পিতার সাথে থাকলে সম্পত্তি পায় না কিন্তু পিতামহের সাথে থাকলে পাই। যদি স্ত্রীর সাথে পিতা ও মাতা থাকে তবে স্বামী বা স্ত্রীকে দিয়ে যা অবস্থিত থাকবে তা মাতা ১/৬ অংশ হিসেবে পাই কিন্তু এক্ষেত্রে পিতার স্থলে মাথা সহ থাকলে মাতা সম্পত্তি পাবে ১/৩ অংশ।
সৎভাই বা সৎ বোন থাকলে বনগন পিতার সাথে বঞ্চিত হবে কিন্তু কোন কোন ইমামের মতে তারা পিতামহের সাথে বঞ্চিত হবে ইমাম আবু হানিফা থেকে বর্ণিত পিতামহের সাথে বঞ্চিত হবে। আমরা উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে উক্ত ইমাম সাহেবের মত অনুসরণ করে থাকি এবং বিভিন্ন ইসলামিক মতবাদ অনুযায়ী বিচার বিশ্লেষণ করি। এসব মৃত ব্যক্তি সম্পত্তিতে তার প্রকৃত মাতামহী বা দাদি নানীর অংশ কেমন হয় দেখুন।
যদি মৃত ব্যক্তি মাথার নিকটতম কিংবা নিকটতম প্রকৃতির পিতামহ না থাকলে দাদি বা নানি সম্পত্তি পাবে। সেক্ষেত্রে দাদি নানি অংশ পাবে ১/৬ ভাগ অংশ। প্রকৃত পিতা মহি হলেন একজন পূর্ণ নারী যার এবং মৃত ব্যক্তির মধ্যে মাতৃ সম্পর্ক কোন পিতামহ মধ্যবর্তী হয় না। যখন পিতা মাতা পিতা-মাতার মাতা। ও পিতার পিতার মাতা। মায়ের মা তার মা তাই মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে মাতার অধিকার হলো, মাথ পাবে ১/৬ পুত্র কবে ৫/৬।
বাবার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার ও পুত্রের অধিকার
বাবার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার ও পুত্রের অধিকার বিষয়ে ইসলামিক মতামত অনুযায়ী যে নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি। এবং বর্তমান পর্যায়েও এরই মত করেই ভাগাভাগি হয়ে আসছে। সুতরাং আপনি যদি কন্যা এবং পুত্রের ভেতরে সঠিক বন্টন সম্পর্কে সঠিক স্পষ্ট ধারণা না জানেন তাহলে নিজের নিয়মগুলো দেখুন।
কন্যা ও পুত্রের অধিকার: বাবার সম্পত্তির সম্পূর্ণ ভাগের যেই নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সেভাবেই ভাগ হবে। পুত্রের অধিকার হলো সন্তান তার বাবার সম্পত্তির এখানে মুসলিম উত্তরাধিকারী আইন অনুযায়ী কন্যা এবং পুত্রের যে ভাগাভাগি হয় তা হল, মৃত ব্যক্তির কন্যা একজন থাকলে পুত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে ১/২ ভাবে ভাগ সম্পত্তি পাবে। আবার দুই বা তখন যদি কন্যা থাকলে পুত্র না থাকলে ২/৩ ভাগে সম্পত্তি পাবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক করুন ১ মিনিটে
এখানে একটি বাবার সম্পত্তি ছেলে যে পরিমাণ পাবে তার অর্ধেক পরিমাণ সম্পত্তি কন্যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ইসলামী আইন অনুযায়ী। এখানে মৃত ব্যক্তি যদি পুত্র থাকে এবং কোন না থাকে তাহলে তাদের মধ্যে ২ঃ১ ভাবে ভাগ করা হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগি করার জন্য মেয়ে এবং ছেলেদের জন্য কেমন আইন এবং ইসলামী ও ব্যবস্থা প্রণয়ন করা আছে।
সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর সম্পর্কে জানুন
সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা তাই জেনে নিন আসলে সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর হল একটি টুল যা কোন মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তাদের অংশীদারের মধ্যে সহজে বন্টন করার নিয়ম যা জানার মাধ্যমে বন্টন ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়। প্রকৃত অর্থে মুসলিম উত্তরাধিকারের আইন অনুযায়ী এটি নির্ধারিত করা হয়। মৃত ব্যক্তির পুত্র কন্যা স্ত্রী পিতা-মাতা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের অংশ কত হবে এবং কিভাবে গণনা করবে তা নির্ধারণ করে।
বর্তমানে ক্যালকুলেটর অ্যাপস রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যে কোন ধরনের জটিল কঠিন সম্পর্ক বন্টনের জন্য সহজ এবং নিরপেক্ষ উপায় ও বন্টন প্রক্রিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। এর জন্য আপনি মোবাইলের প্লে স্টোর থেকে অথবা যে কোন ব্রাউজার থেকে দেখতে পারেন তবে মোবাইলে সহজেই আপনি uttaradikhar calculator লিখে সার্চ দিয়ে প্রথম ওয়েবসাইটটি বা অ্যাপসটি ওপেন করে ইন্সটল করে নিবেন।
এরপরে উক্ত অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ বন্টন এবং আপনি ওয়ারিশ সংখ্যা সাথে সম্পত্তির পরিমাণ সাবমিট করলে আপনাকে সঠিক বন্টন এর সংখ্যা প্রদান করতে যা মোট সম্পত্তি কত তা দিয়ে ফলাফল বাটনে ক্লিক করলে মিনিটের ভিতরেই আপনি আপনার সমাধান পেয়ে যাবেন। উত্তরাধিকারী ক্যালকুলেটর আসলে একটি অ্যাপস দ্বারা পরিচালিত জটিল জমির হিসাব বের করতে পারবেন ১ সেকেন্ডে।
এই অ্যাপসটির লিংকটি আমি উপরে অ্যাপস এর নামের সাথে কানেক্ট করে দিয়েছি আপনি ওখানে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি সেই অ্যাপস এ নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই অ্যাপসটি ইন্সটল করে আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন আপনার সম্পত্তির ক্যালকুলেটর যা ভাগাভাগি কে নিরাপদ করে। আসলে এই সম্প্রতি বন্টন ক্যালকুলেটরে প্রধান কাজগুলো তা দেখুন।
- উত্তরাধিকারীদের অংশ গণনা করা এবং এটি মৃত ব্যক্তির পুত্র কন্যা স্ত্রী ও পিতা-মাতার মধ্যে ও তাদের সকল অংশীদার বা আত্মীয়দের অংশের পরিমাণ গণনা করে।
- আমার বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং একটি পুত্র কন্যা দের সংখ্যা মৃত স্বামী ও স্ত্রী পিতা-মাতা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের উপস্থিতির ভিত্তিতে সম্পত্তির অংশ নির্বাচন করে।
- এই মাধ্যমে সহজবোধ্য ফলাফল প্রদান করা যায় ক্যালকুলেটর সাধারণত একটি চারবার টেবিলের মাধ্যমে সম্পত্তি বন্টন পদ্ধতি উপস্থাপন করে। যার জন্য এটা ব্যবহারকারীদের জন্য বুঝে ওঠা খুব সহজ হয়ে ওঠে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ সাধারণত মুসলিম উত্তরাধিকারী আইন বা ফারায়েজ এই ক্যালকুলেটর টি মূলত মুসলিম আইন অনুযায়ী কাজ করে। তাই উত্তরাধিকারের সম্পর্ক ব্যক্তিটির সাথে উত্তরাধিকারের যে সম্পর্ক পুত্র কন্যা স্ত্রী পিতা-মাতা তাদের সংখ্যা জানা জরুরী। এছাড়া আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট সম্পত্তির পরিমাণ ক্যালকুলেটরে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ইনপুট দিতে পারেন তাহলে আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন। আবার আপনি কোন নির্দিষ্ট সম্পদের বন্টন সম্পর্কে জানতে চাইলেও জানাতে পারে।
জমি বন্টন আইন বাংলাদেশ
জমি বন্টন আইন বাংলাদেশ যে বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ মুসলিম রীতি নীতি ও অমুসলিমদের জন্য বিভিন্ন আইন প্রযোজ্য রয়েছে। মুসলিমদের জন্য একটি মূলত মুসলিম উত্তরাধিকারী আইন বা ফারায়েজ দ্বারা পরিচালিত হয়। এর জন্য আপনি অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন উপরে যে উল্লেখিত অ্যাপসটি রয়েছে। যেখানে মৃত ব্যক্তি সম্প্রতি তার উত্তরাধিকারের মধ্যে সম্পূর্ণ নিরাপদে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়। মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য জমি বন্টন আইন বাংলাদেশ।
- মুসলিম আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি সম্পত্তি বন্টন করার পদ্ধতি এই আইনের মৃত একটি পুত্র কন্যায় স্ত্রী পিতা-মাতা ইত্যাদি উত্তরাধিকারর নির্দিষ্ট অংশ পান।
- এখানে সাধারণত পুত্র কন্যার দ্বিগুণ সম্পত্তি পায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি পুত্র ১ বিঘা জমি পাই সে ক্ষেত্রে কন্যা পুত্রের অর্ধেক জমি পাবে।
- যদি মৃত ব্যক্তির পুত্র না থাকে তবে কন্যা সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ যেমন অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ পাবে।
- আবার যদি মৃত ব্যক্তির একাধিক কোন না থাকে তবে তারা সবাই মিলে সম্পদের একটি অংশ যেমন দুইটিতে অংশ সমানভাবে ভাগ করে নেবে।
- মায়ের সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশি নিয়ম অনুযায়ী যৌন বন্টন আইন একই। তারা সম্পত্তিতে ও পিতার মতে উত্তরাধিকারী তাদের অংশ পাবে।
এবার অমুসলিমদের জন্য যে আইন,
অমুসলিমদের জন্য উত্তরাধিকারী আইন তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতিনীতি ও প্রথা অনুযায়ী প্রযোজ্য। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, অন্যান্য সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বন্টন করে। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জৈব বন্টনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের জানা উচিত।
- মৃত ব্যক্তির উইল থাকলে উইল অনুসারে সম্পত্তি বন্টন করা হয়।
- যদি উইল না থাকে তবে উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বন্টন করা হয়।
- উত্তরাধিকারের চাইলে নিজেদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা মাধ্যমে সম্পত্তি।
- বণ্টন বাটন এর সময় জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমির পচরা ইত্যাদি যাচাই করা উচিত।
যদি সম্প্রতি মালিকানা বা বন্টন নিয়ে কোনো বিরোধ দেখা দেয় তবে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করা যেতে পারে এবং আইনত সহায় যোগ্যতা এবং পরামর্শের সাথে একজন আইনজীবী সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। সুতরাং আপনাকে চর্বি বন্টন আইন বাংলাদেশে বসবাসরত প্রত্যেকটি মানুষের জন্য একই রকম নয় কারণ বিভিন্ন জাতির ক্ষেত্রে তাদের আলাদা আলাদা ধর্মীয় ও গোত্রীয় আইন রয়েছে। তবে মুসলিম সমাজ প্রচলিত দেশগুলোতে ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত করা হয়।
মৃত বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
মৃত বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম অনুযায়ী যদি আমি আপনার সম্পত্তি ভাগাভাগি পেতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই বিশেষ বিশেষ আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশি ইসলামিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের জমি পুত্রদের মাঝে বা অংশীদারি দের মাঝে ভাগাভাগি করার নিয়ম উল্লেখ করা আছে। একজন মৃত বাবার সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা মুসলিম আইন অনুযায়ী হয়।
এক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যা যদি মৃত ব্যক্তির বাবা আমার সম্পত্তি গুলো পুত্র ও কন্যা উভয় যেভাবে পাবে, পুত্ররা দ্বিগুণ ও মেয়েরা পুত্রের অর্ধেক সম্পত্তি পেয়ে থাকে। এছাড়াও একাধিক কন্যা থাকলে তারা সম্মিলিতভাবে সম্পদের দুই-তৃতীয়াশ হবে। যদি তাদের স্বামী বা স্ত্রী থাকেন তবে তারা সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ পাবে। আবার যদি পিতা-মতার জীবিত থাকে তাহলে তারাও সম্পত্তির অংশ পাবে।
মৃত বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম অনুযায়ী মৃত বাবার যদি ছেলে না থাকে সে ক্ষেত্রে তার সম্পত্তির ভাগ তার ভাইয়ের ছেলে কিছুটা পরিমাণ পাবে। যে পরিমাণটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির অন্যান্য আত্মীয় যেমন দাদা-দাদী ভাই-বোন ইত্যাদি তাদের সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পত্তির কিছু অংশীদার হতে পারে। শেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন উত্তরাধিকারী আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির ঋণ দেনা বা অন্যান্য খরচ পরিশোধ করার পর তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারীরা ভাগ পাবে।
আবার কোন ব্যক্তিকে তার সম্পত্তি উইল করে যান সে ক্ষেত্রে উইল অনুযায়ী সাম্প্রতিক বন্টন করা হয় এক্ষেত্রে মুসলিম আইন প্রযুক্ত হবে। সম্প্রতি বন্টনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রচলিত আইন ও প্রথা ও বিবেচনা করা হয়। সমকোণী বন্টনের সময় উত্তরাধিকারীদের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি করা উচিত যাতে ভবিষ্যতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। আবার এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য অভিজ্ঞ আইনজীবী পরামর্শ নিতে পারেন।
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ক্যালকুলেটর
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ক্যালকুলেটর হল একটি অনলাইন বা অফলাইন যান্ত্রিক টুল। যা ব্যবহার করে আপনার যে কোনো সম্পত্তির উত্তরাধিকার এবং কত ভাগে ভাগ হবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ণয় করতে পারবেন। এর জন্য উপরে উল্লেখিত অ্যাপসটির যে লিংক দেওয়া আছে তার মধ্যে প্রবেশ করে আপনি সেখান থেকে জমির পরিমাণ অনুযায়ী বিভাজন করতে পারেন।
সম্প্রতি বিধান করার জন্য নীতিপথে রেখে যাওয়া সম্প্রতি জমি বাড়ি এবং নগদ অর্থ ইত্যাদি বিভিন্ন উত্তরাধিকারের বন্টন করতে ব্যবহার হয় এটি জমির মালিকানা এবং জমির অংশীদার অনুযায়ী ইসলামী আইন অনুযায়ী বন্টন করে দেয়। এর জন্য আপনাকে অ্যাপসটি ইন্সটল করে সেই অ্যাপসটি যে ধরনের তথ্য সাবমিট করতে বলবে তা দিলে আপনি খুব সহজেই মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ক্যালকুলেটর অনুযায়ী জমি বন্টন করতে পারেন।
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি সম্পত্তি তার মৃত্যুর পর অনেকে রেখে যান কিন্তু এর মধ্যে উত্তরাধিকার আসল এবং সমান অধিকার পান সেই জন্য এই ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত বংশের মানুষ বেঁচে থাকলে যেমন একটু সাহায্য সহযোগিতা করে তেমন মৃত্যুর পরেও তার সাহায্য সবাইতে পারে। তাই ইসলামী ফারায়েজ আইন অনুযায়ী সম্পত্তি কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
বন্টনের আগে একটি বিষয় দেখতে হয় যেমন উত্তরাধিকারের মধ্যে ফায়ার রেজ ও দেশের আইন মতে সম্পত্তি বন্টনের আগে দেখতে হবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের কোন দায়ী দাবি বা আদেশ নির্দেশ আছে কিনা। দুই থেকে থাকে তাহলে তা পরিশোধ করার পর ভাগাভাগি শুরু করতে হবে। যেমন কিছু বিষয়ে আপনাকে মাথায় লক্ষ্য রাখতে হবে ভাগাভাগি করার পূর্বে।
- সরকারের খরচঃ মৃত ব্যক্তির সৎকারের সেই খরচ হয় তা পরবর্তী সম্পদের থেকে প্রদান করা হয়। যে সম্পত্তি তিনি তার জীবন দশায় রেখে গেছে।
- কোন পাওনাঃ যেকোনো ধরনের পাওনা থাকলে মৃত ব্যক্তি তার সম্পত্তি অনুযায়ী সে পাওনা দাওনা শোধ করে দিতে পারবে। সকল পাওনা শোধ করার পরে যে অবশিষ্ট সম্পত্তি থাকবে তা তার অংশীদারি দের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
- দেনমোহরঃ যদি স্ত্রী দেনমোহর বাকি থাকে তাহলে তা পরিশোধ করতে হবে এছাড়া এই সম্পত্তি বন্টন করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
- বিভিন্ন দানঃ মৃত ব্যক্তি জীবনে সে কোন দান করে থাকলে তা প্রাপ্তকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
- ওসিয়ত বা উইল করাঃ যদি মৃত ব্যক্তি সম্পূর্ণ করা থাকে বা কারো নামে বা কারো জন্য উইল করা থাকে তাহলে অবশ্যই সেই অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগাভাগ করা হবে এবং তবে এই উইল অনুযায়ী সব দায় দেনা পরিশোধের পর এক-তৃতীয়াংশের বেশি হতে পারে না। তাই নিচে প্রধান দুটি উত্তরাধিকারী ভাগ দেখুন।
এর দুটি ভাগ রয়েছে একটি হলো অংশীদার বা শেয়ারার। রোবটটি হচ্ছে রেডি দুয়ারী বা আসাবার। এর মধ্যে প্রথমত ১২ জনকে অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে, ব্যক্তির স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, দাদা, দাদি, বোন, কন্যা, পুত্র ও পুত্রের কন্যা, বৈমাত্রেয় বোন, বৈমাত্রেয় ভাই, বইপত্রের বোন। যদি কোন স্বামী যখন কোন বিবাহিত স্ত্রী লোক মারা যাবে।
সে ক্ষেত্রে তার যদি সন্তান-সন্ততি না থাকে ১/২ সম্পত্তির অংশ পাবে। আর যদি থেকে থাকে সন্তান-সন্ততি তাহলে স্বামী তারই স্ত্রীর সম্পত্তির ভাগ পাবে ১/৪। আমার স্ত্রী ক্ষেত্রেও যদি স্বামীর সন্তান-সন্ততি থাকে তবে সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে, যদি তাদের সন্তান সন্ততি থাকে তাহলে স্ত্রী পাবে ১/৮ ভাগ অংশ। আবার যখন কোন মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকবে কিন্তু মৃত ব্যক্তি ছেলে কোন থাকবে না।
সে ক্ষেত্রে মোট সম্পত্তির পিতা পাবে ১/৬ আর যদি ছেলে সন্তান থাকে তাহলে তার অংশীদার পাবে। দাদা যখন মৃত ব্যক্তির জীবিত থাকবে না তখন মৃত ব্যক্তির দাদা মৃত ব্যক্তির পিতার ন্যায় সম্পত্তি পাবে তবে মৃত ব্যক্তির জীবিত অবস্থায় দাদা কোন সম্পত্তি পাবে না। আশা করি এই বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
ইসলামী বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
ইসলামে বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান দেশের বাবার সম্পত্তির ভাগ ছেলে এবং মেয়ে উভয় হয়ে থাকে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাবার সম্পত্তি তার ছেলেমেয়েরা যেভাবে পাবে তার নিম্নরূপ ধারণা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে আরো কিছু বিষয় আপনাদের সামনে শেয়ার করি। ইসলাম শান্তির ধর্ম তাই শান্তিপূর্ণ সমাধান।
- সাধারণত ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বাবার সম্পত্তির ভাগ তার ছেলে মেয়ের ওপর নির্ভর করে। যদি বাবার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বাবা-মা স্ত্রী কন্যা পুত্র এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে সাধারণভাবে ভাগ করা হয়। এখানে বাবার সম্পত্তিতে ছেলের অংশ মেয়ের অংশের দ্বিগুণ।
- কেবলমাত্র কন্যা সন্তান থাকে তাহলে কন্যা সন্তান সম্পত্তির অর্ধেক অংশ পাবে। একাধিক মেয়ে সন্তান থাকলে তারা বাবার সম্পত্তির মোট ভাগের দুই-তৃতীয়াংশ। ছেলে মেয়ে উভয় থাকে সেক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে তাদের সম্পত্তির ভাগ ২ঃ১ হিসেবে বন্টন করা। এছাড়াও আরো উত্তরাধিকারের আইন রয়েছে যেগুলো হলো,
- ছেলেরা তার বাবার সম্পত্তির মেয়েদের ভাগের দ্বিগুণ পেয়ে থাকে। কারণ ভবিষ্যতে মেয়েরা তার বাবার বাড়িতে বাবার অনুপস্থিতি ভাইদের কাছে আশ্রয় এবং বিভিন্ন সাহায্য পেয়ে থাকে।
যদি বাবার শুধুমাত্র একাধিক মেয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে তারা মোট সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ পাবে। এবং বাকি সম্পদ তার আত্মীয়-স্বজন এর মধ্যে বিতরণ করা হবে। মেয়ের চাচাতো ভাই, বাবার মৃত্যুর পর তার আত্মীয়-স্বজন পিতা, যারা ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বাবার সম্পত্তি বন্টনের কথা বলা হয়েছে। স্ত্রী পিতা-মাতা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন দাদা-দাদি ভাই-বোন তার সম্পদের অংশীদার হতে পারে।
বাবার সম্পত্তি বন্টন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম কি?
উত্তরঃ বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ। তাই পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তি বন্টনের জন্য তার সকল অংশীদারের বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। তবে এর পূর্বে তার দেনা পাওনা বা কেউ পেয়ে থাকলে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং বাকি অবশিষ্ট সম্পত্তি ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী ভাগ হয়।
প্রশ্নঃ ভাই না থাকলে বাবার সম্পত্তি বন্টন কিভাবে হয়?
উত্তরঃ ভাই না থাকলে বাবার সম্পত্তির বন্টন বোনেরা যদি একজন থাকে সেক্ষেত্রে বাবার সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। এবং দুই বা একাধিক থাকলে বাবার সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ পাবে।
প্রশ্নঃ স্বামী মারা গেলে স্ত্রী কত সম্পত্তি পাবে?
উত্তরঃ স্বামী মারা গেলে স্ত্রী কতটুকু সম্পত্তি পাবে তা নির্ভর করে তার ভাগীদার এর ওপর যেরকম অংশীদার হবে সেই রকম ভাবে ভাগ হবে জয়পুরে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তির বন্টন কেমন?
উত্তরঃ বাংলাদেশি হিন্দু আইন প্রচলিত রয়েছে আগের সময়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বংশীয় আইন এবং ধর্মীয় আইন অনুযায়ী বন্টন করা হয়। এখানে দুই ধরনের বন্টন হয় থেকে কিছু উইল করা অপরটি সাধারণভাবে।
প্রশ্নঃ স্ত্রীর জমি কি স্বামী পায়?
উত্তরঃ স্ত্রীর যদি কোন সন্তান থাকে তাহলে পরিদপ্তর সম্পদের চার ভাগের এক ভাগ স্বামী পায়। যদি সন্তান না থাকে তাহলে সেই সম্পদের অর্ধেক পায়।
প্রশ্নঃ উইল প্রবেট কি?
উত্তরঃ উত্তরাধিকারী তার কাগজপত্র বা দলিল বৈধ হিসেবে প্রমাণ করার জন্য উইল প্রবেট করে তার অর্থ আদালত কর্তৃক গুলি যাচাই করা হয় এবং নিশ্চিহ্ন করা। যে সেই উইলিখিত তথ্যগুলি আইনের ত্রুটি আছে কিনা এবং সাধারণভাবে উইলীর মৃত্যুর পর তা কার্যকর করার জন্য প্রভেট করার প্রয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি কে কে পাবে?
উত্তরঃ বাবার সম্পত্তির বন্টন আইন বাংলাদেশ অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি স্ত্রী কন্যা, পুত্র, পিতা-মাতা, ভাই বোন এবং অন্যান্য নিকটবর্তী আত্মীয়রা পেয়ে থাকে যা তাদের সম্পর্কের উপর নির্ধারণ করা হয় এজন্য বিভিন্ন আইন রয়েছে।
প্রশ্নঃ ফারায়েজ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ ফারায়েজ হলো আরবি শব্দ এর অর্থ বা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ফরজ করা হয়েছে এমন বিষয়। অথবা এটি মুসলিমদের মধ্যে ইসলামী পরিভাষায় মৃত ব্যক্তি রেখে যাওয়া সম্পত্তির তার উত্তরাধিকারের মধ্যে বন্টন নিয়ম-কানুন ও প্রক্রিয়া কে বোঝায় একেই ইলমুল ফারায়েজ বা উত্তরাধিকার বিজ্ঞানী বলা যেতে পারে।
শেষ মন্তব্য বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ
বাবার সম্পত্তি বন্টন আইন বাংলাদেশ যে আইন তৈরি করেছে তা মুসলিম সমাজের আইন হিসেবে প্রচলিত সারা বশ্বের যত মুসলিম সমাজ প্রচলিত সব জায়গায় এ আইন পরিচালিত হয়। বিশ্ব জাহানের মুসলিমদের মধ্যে এটি অনন্য উপায় যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং সহজ উপায়ে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন করা হয়।
সুতরাং আজকের এই পোস্টটি যদি কেউ মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে জানতে পারবে বাবার সম্পত্তি বন্টনের জন্য বাংলাদেশের যে আইন প্রচলিত রয়েছে। ইসলামে বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম ও মুসলিম উত্তরাধিকারীদের আইন ক্যালকুলেটর গুলো সম্পর্কে জমি বন্টন আইন বাংলাদেশ অনুযায়ী যে নিয়ম রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি। সম্পত্তি বন্টন ক্যালকুলেটর এর মাধ্যমে আপনি আপনার বাবার সম্পত্তি বা যে কোন ব্যক্তির সম্পত্তি সঠিক বন্টন করতে পারবেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url