রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া জানুন

রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিস্তৃতভবে জানার জন্য এই তথ্যগুলো জেনে রাখুন। সাধারণত আপনি যদি বিভিন্ন পণ্য চায়না থেকে সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া জানুন

এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এর জন্য বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে যা পর্যায়ক্রমে আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া জানুন

রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া জানুন 

আপনি কি রিসেলার দের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন, এই মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জানতে হবে। এ বিষয়গুলো হলো বাজার গবেষণা, আইন প্রক্রিয়ার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, আইআরসি সংগ্রহ, এবং নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী নির্বাচন ও চুক্তি করা, এছাড়াও পেমেন্ট ও শিপিং এর ব্যবস্থা করা এবং আপনার যে পণ্যগুলো আসবে তার কাস্টম ক্লিয়ারেন্স সম্পূর্ণ করতে হবে। 

বাজার গবেষণা ও পণ্য নির্বাচনঃ আপনি যদি চায়না থেকে কোন পণ্য চান তাহলে পণ্য সন্দেহের পূর্বে বাজার গবেষণা করতে হবে অন্য চাহিদা বেশি বা প্রতিযোগিতার পরিমাণ কেমন তা বিশ্লেষণ করতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা তৈরি করে সেই সমস্ত পণ্যগুলোকে আপনাকে বুঝিয়ে দেবে এই রকম সম্ভাব্য সরবরাহকারী খুঁজে বের করতে হবে। যে আপনাকে নির্ভরযোগ্যভাবে পণ্যগুলো সরবরাহ করবে। 

আরো পড়ুনঃ সকল যান বাহনের জন্য গাজী টায়ার প্রাইস ইন বাংলাদেশ জানুন 

আইনি ও নথিগত প্রস্তুতিঃ আপনি যদি ডিএসএলআর এর জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মধ্যে আইনি ও নথি গত প্রস্তুতি না নেন তাহলে আপনার সমস্যা হবে। তাই আপনাকে ব্যবসার জন্য ট্রড লাইসেন্স তৈরি করতে হবে, এবং ইম্পর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যাতে চায়না থেকে পণ্য কেনার জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি ও প্রোফর্মা চালান সংগ্রহ থাকে জা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া আপনাকে অবশ্যই বৈধভাবে পণ্য বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের অনুরোধ করতে হবে। 

সরবরাহকারী নির্বাচন ও চুক্তিঃ সরবরাহকারী নির্বাচন ও চুক্তি করার জন্য আপনি নির্ভরযোগ্যপ্ল্যাটফর্ম গুলো অনুসরণ করবেন যার মধ্যে রয়েছে আলিবাবা ডট কম, জাগো বাল সোর্স হিসেবে কাজ করে। এটা আবার বিশ্বস্ত বিশ্বজুড়ে এর একটি পরিচিত রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সরবরাহকারীর সাথে কথা বলুন এবং তাদের সাথে দাম তুলনা করে দেখুন। সেখানে বাজারদরের কম বেশি থাকতে পারে। যোগাযোগের সময় পণ্যের বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন উল্লেখ করুন। এবং চুক্তি করার সময় মূল্য, অর্থ প্রদানের শর্তাবলী, এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করণের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা রাখবেন। 

পেমেন্ট ও শিপিংঃ টেসলা দাদার এর ক্ষেত্রে চায়না পণ্য সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পেমেন্ট ও শিপিং এর দিকে নজর দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পণ্য অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং পেমেন্টের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনি এয়ার কার্গো ব্যবহার করতে পারেন যা দ্রুত তবে ব্যয়বহুল। এছাড়াও সমুদ্র পরিবহন সস্তা কিন্তু সময় সাপেক্ষ এর মত শিপিং পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী। 

ডেলিভারির স্থান সম্পর্কে সরবরাহকারী সাথে স্পষ্টভাবে আলোচনা করুন। যেখানে আপনাকে আপনার পণ্যগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণত এর মধ্যে রয়েছে FCA, FAS। এ বিষয়গুলো সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট এবং নিশ্চিন্ত ভাবে আপনাকে কন্ট্রোল করতে হবে। যাতে আপনি খুব সহজে শিপিং এবং পেমেন্টের কাজ সম্পাদন করতে পারেন। 

কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও পণ্য গ্রহণঃ আপনার চায়না থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর প্রযোজ্য শুল্ক ও কর সম্পর্কে গবেষণা করুন। যা পরবর্তীতে পণ্য খালাস করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন এবং কোন সমস্যা যেন না হয় এর জন্য সমস্ত সরবরাহ তত্ত্বের উল্লেখ আছে এমন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করুন। প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার পণ্যগুলো সংগ্রহ করে নিরাপদে রাখুন। 

এই কাজগুলো করে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রয়োজনীয় চায়না পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটা খুব কার্যকরী তাই রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া হিসেবে এই বিশেষ প্রক্রিয়াটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান যুগে অনেক মানুষ রয়েছে বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশে যারা বিভিন্ন চায়না পণ্য সংগ্রহ করে সেই পণ্যকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে এবং সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা বা অর্থ উপার্জন করে।

চায়না থেকে পণ্য আমদানির ওয়েবসাইট নিয়ে বিস্তারিত 

চায়না থেকে পণ্য আমদানির ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে জানা উচিত। উপরে আমরা চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে উল্লেখ করেছি যে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য আমদানির কাজ করতে পারেন। এই চায়না থেকে পণ্য আমদানির জন্য জনপ্রিয় ৬০ গুলোর মধ্যে রয়েছে alibaba.com, aliexpress, যা B2B এবং B2C উভয় ধরনের ব্যবসার জন্য উপযুক্ত। 

আরো পড়ুনঃ সিঙ্গার ফ্রিজ বাংলাদেশ প্রাইস 2025 সকল মডেলের লিটার অনুযায়ী দাম জানুন 

এছাড়াও 1688.COM, madeinchina.com এবং গ্লোবাল সোর্স এর মতো প্ল্যাটফর্ম গুলো মধ্যে আপনি আমদানির জন্য এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করতে পারেন। যারা ঘরে বসে আমদানি রপ্তানি সুবিধার্থে কিছু স্থানীয় ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন, skyboybd.com, Chinasource.com এগুলো বিশ্বব্যাপী উন্নত মানের আমদানি রপ্তানি পণ্যের সাথে যোগাযোগে ব্যস্ত থাকে এবং এর কাজই হচ্ছে বিভিন্ন দেশের পণ্য আদান-প্রদানে সাহায্য করা। 

প্রধান ওয়েবসাইট সমূহ, 

Alibaba.comঃ এটি একটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহকারী ডিরেক্টরি যা মূলত বাল্ব ও পাইকারি ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, সাধারণত এখানে প্রায় সব ধরনের পণ্যই খুঁজে পাওয়া যায় এবং নির্বণ না তার সাথে সরাসরি পণ্য কেনা যায়।

Aliexpress.comঃ এই ওয়েবসাইটটি ব্যক্তিগত এবং ছোট কাজের জন্য বেশি পরিচিত বিশেষ করে ক্রয় এবং বিক্রয়। তবে বর্তমানে ব্যবসায়ীরাও এর থেকে পণ্য আমদানি করতে পারে। 

DHgateঃ এটি আরো একটি পাইকারি ওয়েবসাইট যা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ করে। 

1688.comঃ প্রকৃত অর্থে এটি মূলত চীনের অভ্যন্তরীণ পাইকারি বাজার তবে এটি সরাসরি চায়না থেকে পণ্য আমদানির জন্য একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত এবং পরিচিত। 

Made in china.com; এই ওয়েবসাইটটি একটি নির্ভরযোগ্য চীনা সরবরাহকারী এবং প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের খুজে পেতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। বর্তমানে এর মাধ্যমে আপনি চীনা যে কোন চায়না পণ্য আপনারই করতে পারেন। 

Global sourceঃ গুগল সোর্স ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী খুঁজে পাবেন। এটি একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেখানে বিভিন্ন দেশের পণ্য সরবরাহকারী খুঁজে পাবে।

বাংলাদেশি ওয়েবসাইট সমূহ, 

Skyboybd.comঃ সাধারণ অর্থে এই ওয়েবসাইটটি চায়না থেকে ব্যবসায়িক কোন আমদানি সুবিধা প্রদান করে তবে এটা বাংলাদেশ ওয়েবসাইট যেখানে শিল্প কারখানা যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। আপনি যদি একটু ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চান তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। 

Chinasource.comঃ এই ওয়েবসাইটটি একটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য উন্নত মানের প্ল্যাটফর্ম যা সোর্সিং পেমেন্ট কাস্টম ক্লিয়ারেন্স সহ আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে সাহায্য করে। 

সুতরাং আপনি যদি চায়না থেকে পণ্য আমদানের ওয়েবসাইট সম্পর্কে না জানি তাহলে উল্লেখিত তথ্যগুলো থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে বসে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আমদানিকৃত পণ্য সংগ্রহ করবেন এবং সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ এবং বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনি যদি চায়না পণ্য রিসালাতের মধ্যে সংগ্রহ করতে চান তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

চায়না থেকে পণ্য আমদানি পদ্ধতি ব্যবহার করুন 

চায়না থেকে পণ্য আমদানি পদ্ধতি ব্যবহার না করলে আপনি অবশ্যই চায়না পণ্য বাংলাদেশ বা বিভিন্ন দেশে আমদানি করতে পারবেন না। সাধারণ চায়না থেকে আমদানি পদ্ধতি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এর জন্য আপনাকে বাজার গবেষণা করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স ও আইআরসি সার্টিফিকেট থাকতে হবে। পাশাপাশি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে ট্রেড লাইসেন্স, ইটিআইএন সার্টিফিকেট,

আরো পড়ুনঃ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও বাংলাদেশের সিম কোম্পানি কয়টি বিস্তারিত জানুন 

  • ব্যাংক সনদপত্র জাতীয় পরিচয় পত্র মোমেন্টাম অফ অ্যাসোসিয়েশন ও আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন এবং ফার্মগেট অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রথম অবস্থায় আপনাকে এই ধাপের প্রস্তুতিগলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
  • দ্বিতীয়ত আপনাকে পুনঃ নির্বাচন বিক্রেতা খুঁজতে হবে এবং প্রোফরমা ইনভয়েস সংগ্রহ করতে হবে। এর মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার তথ্য ও মূল্য উল্লেখ থাকবে। 
  • এছাড়াও আপনাকে অর্থ আয়ন বা শিপিং এর কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে সাধারণ ভাবে ক্রেডিট লেটার খোলা বা অন্য কোন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে। এখানে শিপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি সমুদ্র পত অনুসরণ করে বেশি সময় এবং আকাশপথ ব্যবহার করে কম সময়ে পণ্য আমদানি করতে পারেন। যে কোন একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

পাশাপাশি আপনাকে কাস্টমার ক্লিয়ারেন্স অনুসরণ করে। সম্পূর্ণভাবে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করার পর শিপিং কোম্পানির এজেন্ট এর মাধ্যমে পণ্য গ্রহণ করতে হবে। এভাবে চায়না থেকে পণ্য আমদানি পদ্ধতি অনুসরণ করে পূর্ণ পরীক্ষা ও পণ্য পাওয়ার পর সেই পরীক্ষা করে দেখুন যে ঠিকঠাক আছে কিনা। আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করার পর আপনি অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তা রাখতে পারবেন। এবং সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার এবং ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। 

চায়না থেকে জুতা আমদানি পদ্ধতি 

চায়না থেকে জুতা আমদানি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আপনি যে কোন ব্যান্ডের উন্নত পর্যায়ের জুতা আমদানি করে বিভিন্ন দেশ সহ বাংলাদেশের রপ্তানি করতে পারেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে চায়না থেকে জুতা আমদানি করে রপ্তানি করতে চান। তাহলে খুব সহজেই কাজটি করতে পারেন অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কথা উপরে উল্লেখ করেছি সেই অনলাইন ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে আপনার পণ্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পেয়ে যাবেন। 

চায়না থেকে জুতা আমদানি পদ্ধতি

অন্যান্য প্রক্রিয়ার মত যে কোন প্রোডাক্ট চায়না থেকে আনার জন্য আপনাকে অবশ্যই সরবরাহকারী খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এজন্য কিছু সরবরাহকারী রয়েছে যেমন, IndiaMART, JustChinait ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সরবরাহকারী প্রস্তুত করতে হবে। এরপর শিপিং এবং লজিকস এর কাজ করে আপনি সুপারি ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এর কাজও করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত সকল নিয়মই অনুসরণ করতে হবে। 

চায়না হতে কি কি পণ্য আমদানি করা যায় 

চায়না হতে কি কি পণ্য আমদানি করা যায় এ বিষয়টা বর্তমানে খুব ক্লিয়ার। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশে চায়নার পণ্য প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে। এখানে সকালে ঘুম থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত একটা মানুষের যে সকল বিষয় বা যিনি গুলো প্রয়োজন হয়। তার প্রায় সকল বিষয়ে বা জিনিস বা পণ্যগুলো এখন বর্তমানে চায়না থেকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। 

আরো পড়ুনঃ প্রতি মাসে ২০-৫০ হাজার ইনকামের ৯টি উপায় জেনে কোটি টাকা আয় করুন 

  • খাদ্য তপন মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল, পামওয়েল, গম, বাদাম, শুকনো খাদ্যদ্রব্য এবং ফ্রোজেন খাবার।
  • ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যগুলোর মধ্যে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য সামগ্রিক পণ্যসমূহ। 
  • শিল্প ও নির্বাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারিজ, লোহা, ইস্পাত, রড, অন্যান্য বিল্ডিং উপকরণ। 
  • পোশাক ও ফ্যাশনের মধ্যে জুতা, ব্যাগ, কসমেটিক সহ আরো অনেক ধরনের পণ্য। অনেক সময় আমরা প্লাস্টিক পণ্য রাসায়নিক এবং জ্বালানি জাতীয় পণ্য ব্যবহার করে থাকে চায়নার।
  • আপনি চীন থেকে বাংলাদেশে আমদানি পণ্য তালিকা দেখে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এবং আপনার দেশের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারেন।

আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানবেন যে উপরে উল্লেখিত পণ্য গুলো কতটা প্রয়োজনীয় যা চাইনা হতে বিভিন্নভাবে আমদানি হয়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আমরা উপরে উল্লেখিত লিস্টের মধ্যে যেই তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি এছাড়াও আরো অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে যা প্রয়োজন হয়ে থাকে তাই উপরে উল্লেখিত পণ্যগুলো সাধারণত প্রয়োজন হয়। 

চায়না বিজনেস আইডিয়া কি কি জানুন

চায়না প্রিন্টের বিজনেস আইডিয়া কি কি এ বষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জানিনা। তাই এখানে আপনাদের জন্য কিছু বিজনেস আইডিয়া উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই বিজনেসগলো করে উন্নতি করতে পারেন। সাধারণ অর্থে চায়না থেকে বিভিন্ন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে সে ধরনের পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করা একটি ইউনিক উপায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি এই কাজগুলো করতে চান তাহলে নিচের বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে। 

জনপ্রিয় চায়না বিজনেস আইডিয়া, 

  • ই-কমার্স স্টোর অনলাইনে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে চায়না থেকে পণ্য আমদানি করে বিক্রি করা যেতে পারে। যা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয় চায়না প্রোডাক্ট। 
  • সরাসরি আমদানি করতে পারেন চায়না থেকে বিভিন্ন পণ্য যা বাংলাদেশে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে একটি জনপ্রিয় লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে পারেন। 
  • অনলাইন বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের চাইনিজ পণ্য যেমন ইলেকট্রিক গ্যাজেট ও হোম এপ্লিকেশন সহ বিভিন্ন ফ্যাশনেবল জিনিস বিক্রি করতে পারেন। 
  • বর্তমানে কিছু পণ্য আছে যেমন বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট খেলনা বা নতুন ট্রেডিং প্রোডাক্ট জামদানি করে বিক্রি করলে বেশি লাভজনক ব্যবসা করা যায়। 
  • ইসরা আপনি কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারেন যারা সরাসরি আমদানি করতে চান না তারা চায়না থেকে পণ্য সরবরাহ করার জন্য কমিশন ভিত্তিক কমিশন এজেন্টদের সাহায্য নিতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায় 

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ,

  • এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ভ্যাট এবং আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জানতে হবে। 
  • সঠিক পণ্য নির্বাচন করে লাভজনক চাহিদা সম্পন্ন ইউনিক প্রডাক্ট খুঁজে বের করতে হবে। আপনার লভ্যাংশের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দেবে। 
  • পণ্যগুলো বিক্রি করার জন্য সঠিক মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে হবে যা প্রচারণার জন্য একটি কার্যকর ও কৌশল হিসেবে কাজ করবে। 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস, 

  • সাধারণত চায়না থেকে পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন অনলাইন টিউটোরিয়াল ব্যবহার করে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারেন। 
  • এছাড়াও বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো থেকে সরাসরি চায়না পণ্য অর্ডার করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস ব্যবহার করা হয় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। 
  • সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অভিজ্ঞ সরবরাহকারী বা কমিশনের মাধ্যমে পণ্য আমদানির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে হবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। 

উল্লেখিত এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি চায়না বিজনেস আইডিয়া তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট আমদানি করে সেই প্রোডাক্টগুলো বিভিন্ন জায়গায় সেল করার মাধ্যমে ভালো মানের একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম তৈরি করতে পারেন এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায় আপনি যদি সহজেই চায়না বিজনেস করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে উল্লেখিত বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। 

চায়না পাইকারি বাজার সম্পর্কে জানুন 

চানা পাইকারি বাজার সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত চীনের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হলো ইই উউ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শহর। যা যে জিয়াং প্রদেশের ইই উউ শহরে অবস্থিত। এছাড়া আলিবাবার মত অনলাইন প্লাটফর্ম থেকেও আপনি পাইকারি কেনাকাটা করতে পারেন যা বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের চীনের নির্মমতা ও সরবরাহকারী সাথে সংযুক্ত স্থাপনা। 

চায়না পাইকারি বাজার সম্পর্কে জানুন

এছাড়াও উপরে উল্লেখিত যেই ওয়েবসাইট গুলোর কথা উল্লেখ করেছে সেই ওয়েবসাইট গুলো থেকেও আপনি চায়না পাইকারি বাজার সম্পর্কে জানতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমদানিত চীন থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয় ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য পণ্য। তবে আপনি এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা আরো বেশি পরিমাণ নিতে ফেসবুক গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যান্য ফেসবুক খুলে দেবেন। 

এই মাধ্যমে আপনি চীন থেকে পাইকারি পণ্য আমদানি ও ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা এবং চায়না পণ্যের পাইকারি বাজার সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে উপরে উল্লেখ করেছি যে চায়না পাইকারি বাজারের মধ্যে সবচাইতে উন্নত এবং জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম কোনটা এবং কোন বাজারটি বেশি পাইকারি বাজার হিসেবে গ্রহণযোগ্য যা ব্যবহার করে আপনি অধিক লাভবান হতে পারেন। 

চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানি করার খরচ কত জানুন 

চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানি করার খরচ সম্পর্কে যা জানেন না তাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। সাধারণত চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানি করতে খরচের ধরন ওজন পরিমাণ এবং পরিবহনের উপর নির্ভর করে। তবে আপনি যদি জাহাজ এর মাধ্যমে খরচ করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে কেজি হিসেবে গণ্য করা হয়। যেখানে প্রতি কেজিতে প্রায় $২৫০ টাকা থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য মালের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে - সংশোধন করার উপায় জানুন 

  • জাহাজীকরণ চার্জ প্রযোজ্য হয়। 
  • কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স। 
  • শুল্ক-কর ও অন্যান্য ফি।

উক্ত মাধ্যমগুলো অনুসরণ করার জন্য বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খরচ হয়ে থাকে। তাই এক কথায় বলা যায় না চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানি করার খরচ কত। তবে আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন সে পণ্যের উপর নির্ভর করে এই খরচগুলো হিসাব করে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করতে চায়না থেকে জাহাজে পণ্য আমদানি খরচ কত হবে। 

চায়না পণ্য নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ চীন থেকে আমদানি করার জন্য সেরা ওয়েবসাইট কোনটি?

উত্তরঃ চীন থেকে আমদানি করার জন্য সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছে আলিবাবা ডট কম, আলী এক্সপ্রেস, 1688.com, মেড ইন চায়না ডট কম উল্লেখযোগ্য। 

প্রশ্নঃ  চায়না থেকে পণ্য কিভাবে আনা যায়? 

উত্তরঃ চায়না থেকে পণ্য আনতে চাইলে আপনাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ব্যবসায় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। এবং সরবরাহকারী খুঁজে তার সাথে চুক্তিপত্র করতে হবে। এছাড়াও এই পোস্টটি সম্পন্ন করলে আপনি প্রক্রিয়াটি জানতে পারবেন। 

প্রশ্নঃ চায়না থেকে আমদানি করার সেরা উপায়? 

উত্তরঃ চায়না থেকে বিভিন্নভাবে আমদানি করা যায় তবে বিমান পরিবহন, সমুদ্র পরিবহন এবং কোরিয়ার পরিষেবার মাধ্যমে আপনি চীন থেকে বিভিন্ন দেশে পণ্য আমদানি করতে পারেন। 

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের শীর্ষ আমদানি পণ্য কোনটি? 

উত্তরঃ বাংলা শীর্ষ আমদানি পণ্য হল তুলা এবং পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য। একক পণ্য হিসেবে তুলা এবং বেশি আমদানিকৃত শিল্পজাত পণ্য হিসেবে পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রী শীর্ষে আমদানি পণ্য। 

প্রশ্নঃ চীন থেকে আমদানি করার সবচেয়ে লাভজনক কোনটি? 

উত্তরঃ চীন থেকে আমদানিকৃত সবচেয়ে লাভজনক প্রোডাক্ট আছে ইলেকট্রনিক পণ্য বর্তমানে এখনো লাভজনক যার জন্য রপ্তানি আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। 

প্রশ্নঃ চীনে কোনটি সবচেয়ে বেশি খায়? 

উত্তরঃ চীনে খাবার ভাত এবং নুডুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা প্রতিমা খাবারে ভারত এবং নুডুলস আলু এবং পাস্তার সমতুল্য।

প্রশ্নঃ চীনের 996 নিয়ম কি? 

উত্তরঃ এই কোম্পানিগুলো একটি তীব্র সময়সূচি গ্রহণ করছে যা প্রথমে চীনের মূল ভূখণ্ডের জনপ্রিয় হয়েছিল, 996 বা সকাল 9 টা থেকে রাত 9:00 টা পর্যন্ত সপ্তাহে ছয় দন নামে পরিচিত, এটি এক কথায় বলতে গেলে এটি একটি ৭২ ঘন্টার কর্ম সপ্তাহ।

শেষ মন্তব্য রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া 

রিসেলারদের জন্য চায়না থেকে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি খুব সহজে রিসেলারদের জন্য চায়না পণ্য সংগ্রহ করতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি যে তথ্যগুলো বহন করে তা আপনার জন্য অনেক উপকারী। এখানে চায়না বিজনেস আইডিয়া পাবেন এবং চায়না পাইকারি বাজার সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও চাইনা হতে কি কি পণ্য বেশি আমদানি করা হয়। 

এক কথায় বলতে গেলে প্রচুর পরিমাণ পণ্য সারাদেশে চায়না থেকে আগত যে পণ্যগুলো ব্যবহার করে অনেক মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা চালায়। এই ডিএসএলআর এর ক্ষেত্রে চায়না থেকে পণ্য এনে আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিবেশে রপ্তানি করার পর সেখান থেকে একটি ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন যা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরী সুতরাং আপনি যদি চায়না থেকে ব্যবসা আইডিয়া নিতে চান তাহলে এই উপরে উল্লেখিত আইডিয়া গুলো অনেক কার্যকরী বলে আমি মনে করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Post Page Ad Right After Title