শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর ১০টি প্রাকৃতিক উপায়ে ও শর্ট টেকনিক

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, প্রথমেই আমাদেরকে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন তার মধ্যে রয়েছে সচেতনতা। এছাড়া শিশুরা মোবাইল আসক্তির কুফল ভোগ করবে।

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়

আমাদের শিশুদেরকে মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদেরকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মা-বাবা সহ বাড়ির সকল কে শিশুদের প্রতি নজর রাখতে হবে। তারা যেন শুধু মোবাইল নয় যেকোনো অপ্রয়োজনে কাজে আসক্ত না হয়। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর ১০টি প্রাকৃতিক উপায়ে ও শর্ট টেকনিক

মোবাইল আসক্তি কি 

কুমিল্লা শক্তি কি এটা আমাদের জানা উচিত কারণ শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল এবং সুফল আছে। এই মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উভয়ই রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আসক্তি গুলো থেকে দূরে রাখতে পারবেন আপনার শিশুকে। আসলে মোবাইল আসক্ত হলো মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রতি এক ধরনের মানসিক আচরণগত নির্ভরশীলতা হয়ে পড়া। 

এখানে ধরনের আচরণগত নির্ভর শীল হয়ে পড়ে মানুষ মোবাইলকে বিভিন্ন কারণে অকারণে ব্যবহার করে এবং যেখানে ব্যক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে অপ্রয়োজনীয় মোবাইল ব্যবহার করে তাকে মোবাইল আসক্তি বলে এটা থেকে দূরে থাকা উচিত। সময় উপযোগী সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে তাই মাদকাসক্তির মতই এটি একটি ক্ষতিকর প্রভাব। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন 

সুতরাং অবশ্যই আমাদের শিশুসন্তানকে মাদকাসক্তি বা বিভিন্ন ধরনের আসক্তি থেকে দূরে রাখার জন্য এই আসক্তির কারণ ও প্রতিকার গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আর্টিকেলটি উপস্থাপন করেছে তাই আপনি যদি নিঃসন্দেহে মোবাইল আসক্তি থেকে আপনার শিশুকে রক্ষা করতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি পড়ে সহজেই জেনে নিন কিভাবে আপনার শিশুকে এই আসক্তি তার হাত থেকে রক্ষা করবেন এবং এর সহজ প্রতিকার কি। 

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় টেকনিক

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় এগুলো জেনে, আপনার শিশুকে সচেতনভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। প্রত্যেক শিশুই তাদের জীবনের চলার জন্য ছোট্ট সময় থেকে অনুকরণ করতে পছন্দ করে। তাই আমাদের বাবা-মা পরিবারের সবার উচিত শিশুদের সাথে সে সকল আচরণ করা যেগুলো শিশুকে পজেটিভ মানসিকতার দিকে ধাপিত করবে। তাই দেখে নিন সহজেই এই আসক্তি কমানোর উপায় গুলো।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও বাংলাদেশের সিম কোম্পানি কয়টি বিস্তারিত জানুন 

বাবা মায়ের করণীয় কাজগুলোর মধ্যে যা রয়েছেঃ 

নিজেই উদাহরণ হয়ে বাচ্চাকে শিক্ষা দেওয়াঃ আপনার বাচ্চাকে আপনি যেটা করাতে চান যদি সেটা পড়াশোনা বা যে কোন কাজ হয় তাহলে নিজে সে কাজটা করার জন্য প্রস্তুতধন এবং সাথে সাথে নিজের বাচ্চাকে করান। যেমন আপনি যদি মোবাইল থেকে দূরে থাকেন, তাহলে দেখা যাবে আপনার পরিবারের সকল সদস্যরা যদি মোবাইল থেকে দূরে থাকে। এক কথায় প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার না করে। 

সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে, আপনার বাচ্চাটা মোবাইল এর সাথে সময় না দিয়ে আপনাদের মত অন্য কিছু করে সময় বা আপনাদের সাথে সময় পার করছে। এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি আপনাকে মোবাইলের বিকল্প হিসেবে বই পড়া, খেলাধুলা শখের কোন কিছু গান, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বা কোন বিষয়ে আনন্দের সাথে চর্চা করতে উৎসাহিত করুন। এছাড়াও পরিবারের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটান এবং রাতে খাবার আড্ডার একটি নির্দিষ্ট সময় বজায় রাখুন। 

নো ডিভাইস নিয়মঃ সকলের পরিবারের মধ্যে নিয়ম করুন যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিনোদন, বা একটি নির্দিষ্ট সময়ে খেলাধুলা, এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সকলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা, পৃথিবীর শিশুদের মনে সময়ের প্রাধান্য আসবে তারা সময়ের কাজ সময় করতে শিখবে তাই কোন কিছুতে আসক্ত না হয়ে প্রয়োজনের টুকুই ব্যবহার করবে।

তাদের পছন্দমত কাজে উৎসাহিত করাঃ ছেলেমেয়েরা যে সকল কাজ করতে উৎসাহী সে সকল কাজ করতে উৎসাহিত করা। মোবাইল আসক্ত কমানোর জন্য বিকল্প কাজের উৎসাহিত করতে হবে যেমন, বই পড়া, বাইরে খেলাধুলা করা, নতুন কিছু নিজে নিজের স্বীকার আগ্রহ তৈরি করা। শিশুদেরকে মনোবল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এভাবে শিশুদের মোবাইল আসতো কমানো যায়। 

পরিবারের সাথে সময় দেওয়াঃ পরিবারের সকলের যেন সেই বাচ্চার সাথে সময় দেয়। অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চাদেরকে পড়তে বলা হয়, বা অন্য কিছু করতে বলা হয় খেলাধুলা আবার যে কোনো ভালো কিছু। অথচ বাবা-মা বা পরিবারের অন্যরা অন্য কাজ টিভি দেখা, মোবাইল টিপা, ভিডিও গেম সব বিভিন্ন কাজের ব্যস্ত থাকে, সে সময় শিশু বা বাচ্চাদের মূল পরীক্ষা করে কাজ করার জন্য পড়াশোনা বা খেলায় মন দিতে পারিনা। 

এতে পরিবারের সকলকে সচেতন হওয়া উচিত। যাতে পরিবারের সকলের কাছ থেকে শিখে শিশুরা সেই ভাবে চলতে পারে তাই বড়দেরক আগে সচেতন হতে হবে এরপর শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর আপনার কাছে আর কঠিন থাকবে না। শিশুর যেকোনো বিষয়ে পজিটিভ মানসিকতা তৈরি করার জন্য আপনাকে পজেটিভ থাকতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই শিশুকে আপনার মত করে তৈরি করতে পারবেন। 

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট দেখুন

সামাজিক সচেতনতা শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় 

শিশুদের মোবাইল আসক্তিকরণের উপর সামাজিকভাবে সুস্থতা তৈরি করা উচিত কারণ একটি সমাজে সফল মানুষ একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় পরিবার ভালো একটি ছেলে সমাজের অন্য ছেলে বা সচেতন মানুষের সংস্পর্শে এসে সে ছেলেটি ওই সকল বিষয়ে আসক্ত হয়ে পড়ে তার পরিবারকে সুমন সংগঠন করার পাশাপাশি সমাজ এবং পরিবেশকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে হবে। 

মানুষ সামাজিক ভাবে বেড়ে ওঠে তাই সমাজের সকল প্রভাব শিশু এবং সকল মানুষের উপরে পড়ে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুদেরকে যে কোন বিষয় থেকে আসক্তি মুক্ত করার জন্য সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবে পারিবারিকভাবে সবাই সচেতন হয়ে এলে এটা সহজেই করা সম্ভব। সবাই নিয়ম এবং সঠিক অনুশীলন করলে সকল কিছু করতে পারে। আর মানুষ প্রকৃতগত ভাবেই অনুকরণ বা কপি করতে পছন্দ করে। 

সমাজে যত বেশি ভালো এবং স্বাভাবিক চরিত্রের মানুষ এবং সৎ মানুষ থাকবে ততই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনেক উপকার হবে তারা সহজ পথ কে আরো সহজতর তৈরি করতে পারবে। বর্তমান সমাজের সুশ্রুত পরিবেশ না থাকায় পরিবেশের সকল শিশু এবং কিশোর যুবকেরা নানান আসক্তিতে নিজেদের জীবনকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই শিশুদেরকে এই সকল ধরনের আসক্তি থেকে দূর করতে সামাজিক পারিবারিক এবং শৃঙ্খলার সাথে তৈরি করতে হবে। 

প্রযুক্তিগত সহায়তা করে

ডিভাইস সেটিং: ফোনের ডাটা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাপ্লিকেশন সেটিং পরিবর্তন করুন। যাতে তারা নির্দিষ্ট সময়ের পর ফোন ব্যবহার করতে না পারে। এবং নিজেও সেই নিয়মটি অনুসরণ করুন এতে দেখা যাবে আপনারা শিশুটি এই আশক থেকে ধীরে ধীরে অন্য কিছু করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে। নিজেদেরকে নিয়মশীল করর মধ্যে রাখুন।

স্কিন টাইম লিমিট: এটা আধুনিক যুগের একটি বিশেষ ব্যবস্থা গুগল ফ্যামিলি লিংক এর মত দুটো ব্যবহার করে আপনার সন্তানের ডিভাইস স্ক্রিন টাইম লিমিট সেট করে রাখুন যাতে সে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পারে। এতে আপনি খুব সহজেই আপনার শিশুকে মোবাইল আসক্তি থেকে দূর করতে পারবেন। এসব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার শিশুর মোবাইলটি ডিভাইস লক সিস্টেম সক্রিয়ভাবে লক করার ব্যবস্থা রাখতে পারেন। এতে শিশু চাইলেও ফোনটি ব্যবহার করতে পারবে না নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। 

অন্যান্য উপায় রাষ্ট্রীয় ও আইনগত 

বিভিন্ন কারণে মানুষ ফোন ব্যবহার করে অনিয়মিত এবং অপ্রয়োজনীয় যদিও শিশুদেরকে ব্যবহার করতে হয় কারণ বর্তমানে অনেক কাজে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যাপটপ ব্যবহার করে পড়াশোন বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়। কিছু কারণে দেখা যায় যে, আমাদের শিশু আছে যারা খুব সহজে তাদের কাজ করে। এই সুবিধা ব্যবহার করে প্রযুক্তির কিন্তু অনেক শিশু তার ভুল ব্যবহার করে জীবনে ভুল পথে চলে যায়।

শাসন ব্যবস্থা বা আইনগত বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে যদিও আইন রয়েছে তবুও মানুষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে আইনগুলো মানতে চায় না সমাজের সুশৃঙ্খলা বজায় এবং নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা। বর্তমান সমাজে আমরা যারা সবাই সবার মুখে সম্মান এবং শৃঙ্খলভাবে চলতে সাহায্য করলেই এ বিষয়গুলো করা সম্ভব এখানে অনেক ছোট শিশু এবং কিশোরেরা অবাধ্য ভাবে চলাফেরা করে। প্রাপ্ত বয়স হওয়ার আগে বিভিন্ন ফোন এবং অনেক সুযোগ-সুবিধা পায় কিন্তু তারা সেই ব্যবস্থাগুলো খারাপ পথে ব্যবহার করে। 

কিন্তু এই সকল বিষয়ে যদি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো কঠিন ভাবে চালু করা হয় যে, সমাজে এলোমেলোভাবে অপ্রয়োজনীয় ফোন ব্যবহার করা বা যে কোন পরিবেশে ফোন ব্যবহার করার মত অনেক নিয়ম নীতি হয়েছে যা পালন করা উচিত। সামাজিক সকল কিছু সফল মানুষ মিলে সুশৃংখল বজায় রাখা সম্ভব তাই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং সকল বিষয়ে পজেটিভ ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করে এতে সকল কিছুই পজিটিভ এবং ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

এছাড়া শিশুদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মোবাইল কোন ডিভাইস ব্যবহার না করে একটি প্রাকৃতিক ভাবে তাদেরকে বড় করা উচিত যাতে তাদের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচিত বিচারপতির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তার জন্য তাদেরকে সকল বিষয়ে অনুশীলন করার অনুপ্রেরণা দেওয়া উচিত। এসে যারা তাদের নিজস্ব পথে সঠিকভাবে যেতে পারে জোর করে কোন কিছু হয় না যদি দিকে আগ্রহে প্রকাশ করে তাকে সেই জিনিসটা করতে দেওয়া উচিত যদি সেটা সঠিক হয়।

শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল 

শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল হিসেবে আমরা যেগুলো লক্ষ্য করি। এরমধ্যে অনেক কারণ রয়েছে তবে এর প্রধান লক্ষণ গুলো শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে বিকাশ এ বিভিন্ন ভাবি বাঁধা প্রদান করতে পারে। এছাড়াও শারীরিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাই বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় হিসেবে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া নিচের কুফলগুলো হতে পারে। 

শারীরিক ক্ষতি সমূহ 

আঙ্গুলের পেশির সমস্যাঃ চিকিৎসকদের মতে স্কিন টাচ ফোন ব্যবহার করে আঙ্গুল দিয়ে চলাচলের ফলে আমাদের বেশি স্বাভাবিক বিকাশের স্বাভাবিকে বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে দেখা যায়, হাত লেগে যায় এবং আঙ্গুলগুলো অসার হয়ে যায়। 

শারীরিক অঙ্গের ক্ষতিঃ অনেক সময় আমরা একটা না একইভাবে বিভিন্ন কিছু দেখে থাকে। মোবাইল স্কলিং করে মোবাইলের ভিডিও দেখে বিনোদন ভাবি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে এর মধ্যে রয়েছে ঘাড়, পিঠ এবং অতিরিক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথা সৃষ্টি হওয়া।

ঘুমের ব্যাঘাতঃ বাংলাদেশের প্রায় কমবেশি অনেক মানুষের রয়েছে যারা রাত জেগে মোবাইলে কাজ করে বা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক বিষয়ে দেখে সময় পার করে। এর থেকে বিভিন্ন সময় দেখা যায় ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ ফুল ঘুমিয়ে থাকার পরেও ঘুম আসে না বা ঘুম কমে যায়। মোবাইল আসক্তির কারণ কারণ কারণ কারণ মোবাইলে দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে যে আলো যায় তা মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে এবং এই আলোর কারণে, কিছু সময় ঘুম সিগনাল না দেওয়ার পরে ঘুমাতে সমস্যা হয়।

শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাঃ শারীরিক ভালো মানুষ বিভিন্ন সময়ে তাদের শাড়ির কার্যকলাপের ব্যাঘাতে সমস্যা তৈরি হয়। মোবাইল বেশি ফোন ব্যবহার করার ফলে তারা বাইরে খেলো না বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ গঠিত কাজ কাম এর সাথে যুক্ত হতে চাই না। এতে শিশুরা অলস এবং অতিরিক্ত ওজন হয়ে যায় যার ফলে তারা স্থলতার অভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় শারীরিকভাবে। 

চোখের সমস্যাঃ আমরা অনেকেই জানি দীর্ঘক্ষণ মোবাইল লেখা কম্পিউটার ঠিক এটি চোখের জন্য মারাত্ম্য ক্ষতিকর। সুতরাং আমাদেরই অতিরিক্ত ফোন থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে শিশুর বয়স্ক এবং সকলের ক্ষেত্রে এটা মেনে চলা উচিত। দীর্ঘক্ষণ ফোন দেখার ফলে চোখে যে আলোক রশ্মি যায় তার চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চোখের অল্প বয়সেই অল্প বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় যাতে চশমা ব্যবহার করা লাগে। 

মানসিক আচরণগত ক্ষতি গুলো 

মানসিক ও আচরণগত ক্ষমতার মধ্যে রয়েছ, শিশুরা খিটখিটে স্বভাবের যেটি এবং একঘেয়েমি হয়ে উঠে তারা যে কোন কিছুতেই বায়না এবং মোবাইল ব্যবহার করার জন্য বায়না করে। এটা করবো না যদি মোবাইল ব্যবহার করতে না দাও। কোন কিছু করতে বললে বলেন যে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময়ের পজেটিভ প্রবাহ পড়ে তবে নেগেটিভ বিষয়টাই বেশি দেখা যায়। 

মনোযোগের অভাব দেখা দেয় শিশুদের মধ্যে কোন ঘাটতি দেখা যায় পৃথিবীতে কথা বলতে পারে বা বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিকভাবেই তারা মোবাইলের সাথে মনযোগ দিয়ে থাকতে থাকতে অন্য মানুষ ঘুম হয়ে যায় এবং অনেক সময় শিশুরা পাগলও হয়ে যায় এরকমটা দেখা গেছে। শিশু মোবাইল আসক্তির কারণ গেম খেলে সময় নষ্ট করে এবং বিভিন্ন সময় টাকা নষ্ট হয়।

তাদের মধ্যে মানসিক চাপ ও উদ্যোগে সৃষ্ট হয় মোবাইল বা সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ, বিষন্নতা, তিক্ততা তৈরি হতে পারে যেকোনো বিষয়ের প্রতি তাদের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায় সেগুলো অনেক সময় মানুষের রোগে পরিণত হয়। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ঘটে মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর প্রভাব বা বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মূলক সমস্যা। অনেক মানুষ রয়েছে যারা অটিজম এর মত রোগের সমস্যায় পড়ে। 

সামাজিক ক্ষতি 

সামাজিকভাবে মানুষ যেরকম আশা করেছিলাম তাদের আশা করি থেকে বিচ্যুত হয়। বিষন্নতার দিকে চলে যায় এবং অন্য শিশুদের সাথে মিশতে খেলতে আগ্রহী থাকেনা। সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানুষ হিসেবে সমাজের কাছে অনেক ঋণ ও প্রতিপন্ন হয়ে পড়ে যায় মাদক শক্তি বা বিভিন্ন ধরনের মোবাইলের শক্তির মত খারাপ কাজ থেকে শিশুদেরকে দূরে রাখার জন্য আমাদেরকে সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। 

যোগাযোগের অভাব দেখা দেয় বাবা-মা এবং শিশুদের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয় বা পরিবার থেকে সুস্থ অনেক সময় কাছে থেকেও দূরে চলে যায়। জীবনে প্রত্যেকটা মানুষ অনেক সময় জীবনকে গুছিয়ে নিতে চাই কিন্তু বাস্তবতা আবার নিয়মের কিছু বিষয় যা তাদেরকে পিছিয়ে দিতে বাধ্য করে। অনেক পরিবার রয়েছে তাদের বাবা-মা সকলে চাকরি করে তাদের ছেলেমেয়েরা, বাড়ির কাজের মেয়ে বা একাকী ঘরের মধ্যে মোবাইল ব অনলাইন জগতের সাথে সময় পার করে।

এই কারণগুলোর জন্য অনেক সময় শিশুদের মধ্যে এই আসক্ত সৃষ্টি হয় তারা বিভিন্ন কিছু আসক্ত হয়ে নিজেদের জীবনকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়। আপনি অনেক সচেতন হয়ে সকল সামাজিক মানুষকে সচেতন করতে পারলে আমাদের শিশুদেরকে প্রাকৃতিক উপায়ে মানসিক, শাস্তিক ও সামাজিকভাবে যেকোনো প্রকার আসক্তির হাত থেকে কুফল থেকে রক্ষা করতে পারব।

মোবাইলা শক্তির কারণ ও প্রতিকার গুলো আমাদের জানা যায় তাহলে খুব সহজেই আমাদের ছেলে সন্তান এবং শিশুদেরকে এই আসক্তির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। প্রথমে তো উপরে আপনাদেরকে নিয়েছি সামাজিক মানুষ এবং পারিবারিকভাবে কিভাবে একটা শিশু বা যে কোন মানুষকে যে কোন আসক্তি থেকে দূর করা যায়। তাই আজকে এখন আমরা জানবো যে মানসিক হবে মানুষ কেন কোন আসক্তি থেকে যায়। প্রতিকার ও কারণ গুলো কি কি?

শিশুদের মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার সমূহ 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন শিশুদের কাছে একটি বিনোদন বা খেলনার বিষয় হয়ে গেছে তবে এর মাধ্যমে শেখার ও একটি উপায় রয়েছে যার ব্যবহার করার উপর নির্ভর করে। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণহীন শিশুদের মোবাইল ব্যবহার একটি আসক্তির মূল কারণ। সমস্যা হয়ে থাকে। শিশুদের মোবাইল আসক্তির এর সাথে কারণ গুলো দেখুন।

শিশুদের মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার সমূহ

  • বিনোদনের সহজ উপায় এখানে মোবাইলে কার্টুন গেম ইউটিউব এসব অনেক সহজে পাওয়া যায় যা শিশুদের বিভিন্ন পছন্দের জিনিস মুহূর্তে তাদের সামনে চলে আসে। সরাইতে বিভিন্ন ভাবে আকৃষ্ট হয় এবং তা বারবার পড়তে চেষ্টা করে। 
  • অভিভাবকদের ব্যস্ততার কারণে এই আসক্তির একটি মূল কারণ হয় কারণ, অনেক সময় বাবা তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য শিশুকে বাসায় একা রেখে মোবাইল এবং বিভিন্ন সময় চলে যায় তখন তাদের এই অভ্যাসটি ধিরে-ধিরে একটি আসক্তিতে পরিণত হয়। 
  • বাইরে খেলাধুলা করতে না পাড়ার কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে শিশুরা বাইরে খেলাধুলা করতে না পারায় বাইরে যে কোন সময় মোবাইল প্রিজনের সাথে সময় বার করে এই সিস্টেমটা তৈরি হয়ে যায় যার ফলে অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি তৈরি হয়। 

অতিরিক্ত লাগামহীনভাবে গেম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কানেকশন থাকার কারণে রঙিন গ্রাফি দ্রুত পরিবর্তন দৃশ্য এবং বিভিন্ন ধরনের সিস্টেম শিশুদের মস্তিষ্কের উত্তেজিত করে যা পুনরায় ব্যবহার করার উৎসাহ দেয় এবং এটা এক কথায় শরীরের যে পরিবর্তন হয় তা বৈজ্ঞানিকভাবে দেখলে এরা মানুষের শরীরে সুখ এবং দুঃখের মত জায়গায় যা অনেকটাই প্রাকৃতিকভাবেই ঘটে শরীরের কিছু হরমোন ক্ষরণের ফলে এটা ঘটে যায় শিশুদের কি আকৃষ্ট করতে অনেকটা সাহায্য করে। 

শিশুদের মোবাইলের আসক্তির প্রতিকার জানুন 

স্কিন টাইম সীমা নির্ধারণ করে রাখুন তাদের বয়স দুই থেকে পাঁচ বছর থেকে এক ঘন্টা বেশি মোবাইল ব্যবহার করতে দিবেন না। 

  • যাদের 6+ তাদের জন্য নিয়মিত সময়ে আমার খুব খাবার ছাড়া হতো সময় নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। তাহলে তারা তাদের প্রয়োজনটুকু বুঝতে পারবে। 
  • মোবাইল ব্যবহারের নিয়ম তৈরি করুন যাতে খাবার টেবিলে মোবাইল নয়, খাবার সময় খাবার এবং মোবাইলের সময় মোবাইল, আমার ঘুমের 1 ঘন্টা আগে স্ক্রিন বন্ধ করার নিয়ম রাখুন যাতে মোবাইল আসক্ত কম হতে সাহায্য করে। 
  • শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ও শিক্ষামূলক কন্টেন্ট গুলো দেখুন পাখিগুলো স্কিপ করে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার মোবাইল আসক্তি বা আসক্তির প্রতিকারের জন্য যে মূল শক্তি প্রয়োজন তা তৈরি করতে পারবেন।
  • বিকল্প প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে, বই পড়া, খেলাধুলা, শখের কাজ করা, বেড়াতে যাওয়া, আমার মোবাইল বা পরিবারের সকলের সাথে মোবাইল পরিবর্তে বাইরে খেলাধুলার পাশাপাশি কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা পার্ক এবং বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা ঘুরতে যাওয়া প্রধান আসক্তি কমানোর উপায় বলে মনে করতে পারেন। 
  • নিজেকে উদাহরণ তৈরি করা শিশুর বাবা-মাকে দেখে তাদের ব্যক্তিত্ব নির্ধারণ করতে চাই তাই অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা কমিয়ে নিজেদের কেউ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হয় তাহলে শিশুদেরকে নয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
  • ধীরে ধীরে অভ্যাসগুলো কমানোর চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিনের তুলনায় ১০ মিনিট ১৫ মিনিট কোন সময় ব্যবহার করতে হবে এই ধরনের মোবাইল আসক্তির মধ্যে থেকে আপনার শিশুকে রক্ষা করার জন্য। একসাথে সময় নিয়ে কাজটি করতে হবে। একদিনে করলে হবে না ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে হবে। 

মোবাইল পরিবার দেয়া সম্ভব নয় কিন্তু সঠিক নিয়ম এবং অভিভাবকদের সচেতনতা অবলম্বন করেই শিশুদেরকে নিয়ন্ত্রণভাবে মোবাইল ব্যবহার শেখানো সম্ভব। প্রত্যেকটা বিষয়ে এই বিতর্কের ব্যবস্থা গ্রহণ করার সাথে সাথে সচেতন মূলকভাবে সেই সময়গুলো তৈরি করে বাচ্চাদের মধ্যে সে বিষয়গুলো প্রয়োগ করতে হবে তাহলে ধীরে ধীরে শিশু মোবাইল আসক্তি এবং এই পৃথিবীতে সমস্যা গুলো থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।

শেষ মন্তব্য শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় 

আপনি অবশ্যই শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন। আপনার শিশু কিভাবে আপনার বাচ্চাদের বিভিন্ন কারণে যেকোনো ধরনের বাজে আসক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা এবং পারিবারিকভাবে শিক্ষার দিতে হবে। নিজেকে সঠিক রেখে তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে। 

কতটা শিশু তাদের বাবা-মা এবং পরিবারের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাই আমি যদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে বা আপনি যদি কোন আসক্তিতে থাকেন তাহলে সেই শিশুকে কখনো আসক্তি থেকে মুক্ত করতে পারবে না তাই নিজেকে শুদ্ধ হওয়ার পরেই নিজের সন্তান এবং পরিবেশ এবং পরিবারকে যেকোনো ধরনের আসক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Post Page Ad Right After Title